Tag: meitei kuki clash

meitei kuki clash

  • Manipur Peace Deal: কুকি-মেইতেইদের মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত, শান্ত হওয়ার পথে মণিপুর

    Manipur Peace Deal: কুকি-মেইতেইদের মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত, শান্ত হওয়ার পথে মণিপুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরের একটি জেলায় মেইতেই এবং কুকি গোষ্ঠীর মধ্যে শান্তি চুক্তি (Manipur Peace Deal) সম্পাদিত হল। প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে অশান্ত মণিপুর। অবশেষে জিরিবাম জেলায় বিবাদমান ২ গোষ্ঠীর মধ্যে শান্তি চুক্তি (Manipur Update) সম্পাদিত হল। সরকারের তরফে এটিকে বড় সাফল্য দাবি করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে সরকারের তরফে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছিল। শান্তি চুক্তিতে দুপক্ষই শান্তি ফেরাতে উদ্যোগ নেবে এবং সরকারকে সহযোগিতা করবে বলে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে। একইসঙ্গে হিংসার পথ তারা এড়িয়ে চলবে বলে জানিয়েছে।

    মণিপুরে শান্তি চুক্তি সম্পাদিত (Manipur Peace Deal)

    এই শান্তি চুক্তি একটি জেলার জন্য হলেও, মনে করা হচ্ছে এরপর দুপক্ষই ধীরে ধীরে মনিপুর জুড়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার বিষয়ে উদ্যোগী হবে। দুপক্ষই স্বাধীনতা দিবসের পর ফের একত্রিত হবে এবং শান্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে বলে জানা গিয়েছে। মেইতেই এবং কুকি-চিন দুই গোষ্ঠী সামরিক বাহিনীর সঙ্গেও সহযোগিতা করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এদিনের বৈঠকে (Manipur Peace Deal) বিবাদমান দুই গোষ্ঠী ছাড়াও থাদৌ, মিজো এবং পাইতে গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা এদিনের শান্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন। জিরিবাম জেলা মণিপুরের অন্যতম হিংসা কবলিত। গত বছরের মে মাস থেকে এই এলাকায় অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল। ৫৯ বছর বয়সি মেইতেই চাষি শৈবাম শরৎকুমার সিং নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই এই এলাকা জ্বলতে শুরু করে। গত মাসেও জঙ্গি হানায় একজন সিআরপিএফ জওয়ান এই এলাকায় নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছিলেন। যদিও এ বছরের ৬ জুনের পর থেকে ধীরে ধীরে এলাকায় শান্তি ফিরছিল।

    এখনও বহু মানুষ ঘড়ছাড়া (Manipur Update)

    প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও বহু মেইতেই পরিবার ত্রাণশিবিরে বসবাস করছেন। তাঁরা এখনও বাড়ি ফিরতে পারেননি। বৃহস্পতিবার ইম্ফলে বাড়ি ফেরার দাবিতে মেইতেই গোষ্ঠীর লোকেরা একটি মিছিল আয়োজিত করেন। এদের মধ্যে অনেকেই ভারত-মায়ানমার সীমান্তবর্তী শহর মোরেহ এলাকার বাসিন্দা। সরকারি হিসেবে দুপক্ষের সংঘর্ষে (Manipur Update) ২০০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৭০ হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়ে বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে ঠাঁই নিয়েছিলেন। যদিও তাঁদের একটা বড় অংশ বাড়ি ফিরে গিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: দলিত মহিলাকে বিয়ে করে ধর্মান্তকরণ, পরে খুন, গ্রেফতার মুসলিম যুবক

    প্রধানমন্ত্রী মণিপুর প্রসঙ্গে আগেই জানিয়েছেন, উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে শান্তি ফেরানোর সব রকম ভাবে চেষ্টা করছে সরকার। সব পক্ষের সঙ্গে (Manipur Peace Deal) আলোচনা চালানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরেই মণিপুরে এই প্রথম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হল।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Manipur Violence: ভাটপাড়ার রঞ্জিতের মৃত্যু হয়েছে ‘স্নাইপার’-এর হামলায়? আশঙ্কা বিএসএফ-এর

    Manipur Violence: ভাটপাড়ার রঞ্জিতের মৃত্যু হয়েছে ‘স্নাইপার’-এর হামলায়? আশঙ্কা বিএসএফ-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরের হিংসায় (Manipur Violence) গত মঙ্গলবার শহিদ হন বিএসএফ জওয়ান রঞ্জিত যাদব। ভাটপাড়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুকিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা রঞ্জিত পেশার তাগিদে মণিপুরে শান্তি রক্ষায় গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার হিংসায় নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। কাকচিং জেলার সুগনুতে মোতায়েন ছিলেন রঞ্জিত। সেখানে বিএসএফ ও অসম রাইফেলসের যোথ বাহিনী একটি চিরুনি-তল্লাশি অভিযানে অংশ নিয়েছিল। সেরু প্র্যাকটিকাল হাইস্কুলের কাছে সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিদের সঙ্গে গুলি বিনিময় হয় বাহিনীর। সেখানেই জঙ্গিদের ছোড়া একটি গুলি আচমকা এসে লাগে রঞ্জিতের ঘাড়ে। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। 

    হামলায় ব্যবহার হয়েছে ‘স্নাইপার’?

    রঞ্জিত একা নন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফরের ঠিক আগে মোরে জেলায় গত ২৮ মে গুলিতে আরেক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল (Manipur Violence) । বিএসএফ জানিয়েছে, এই দুই মৃত্যুর ধরন ও ভঙ্গি অনেকটাই এক। যা দেখে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর সন্দেহ, উভয় ক্ষেত্রেই দূর থেকে গুলি চালানো হয়েছে। বিএসএফ-এর অনুমান, দুই জওয়ানকে গুলি করে হত্যা করায় সম্ভবত কোনও ‘স্নাইপার’-কে ব্যবহার করা হয়েছে। 

    গুলি লাগে রঞ্জিতের ঘাড়ে

    যে অভিযানে (Manipur Violence) গিয়ে রঞ্জিতের মৃত্যু হয়েছিল, সেই একই অভিযানে গিয়ে গুলিতে জখম হন অসম রাইফেলসের ২ জওয়ানও। তাঁরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বিল্ডিংয়ের ছাদে ডিউটি করছিলেন রঞ্জিত। তাঁর শরীরে বুলেটপ্রুফ ভেস্ট ছিল। মাথায় ছিল হেলমেট। কিন্তু, গুলি এসে লাগে তাঁর ঘাড়ে। বিএসএফ সূত্রে খবর, গুলি করা হয় সম্ভবত কাছের পাহাড় থেকে। এটা কোনও অপ্রশিক্ষিত হাতের কাজ হতে পারে না বলে নিশ্চিত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

    উঁকি মারছে একাধিক প্রশ্ন

    আর এই বিষয়টি রীতিমতো ভাবিয়ে তুলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। বিএসএফ সূত্রের খবর, অতীতে কুকি জঙ্গিদের (Manipur Violence) স্নাইপার ব্যবহারের কোনও ইতিহাস নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্নাইপার-রাইফেলের ধরন আর পাঁচটা সাধারণ রাইফেলের মতো নয়। এর গোত্র আলাদা। একে চালানোর জন্য বিশেষ দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। এখন প্রশ্ন উঠছে, কী করে জঙ্গিরা স্নাইপার-অস্ত্র জোগাড় করল? কে তাদের এধরনের অস্ত্র সরবরাহ করল? এবং কোথা থেকেই বা তারা এই অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ নিল?

    আরও পড়ুন: মণিপুরে অশান্তির নেপথ্যে বিদেশিদের হাত! কেন্দ্রীয় তদন্ত চাইছে আদিবাসী সংগঠন

    নেপথ্যে বিদেশি হাত?

    মণিপুরবাসীদের একাংশের দাবি, রাজ্যের বহমান হিংসাত্মক ঘটনায় ‘বিদেশি হাত’ রয়েছে। তাঁদের মতে, কুকি জঙ্গিদের সঙ্গে মায়ানমারের জঙ্গিদের একটা যোগসূত্র রয়েছে। বহু জঙ্গি মায়ানমার থেকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে আসছে। তার ওপর, এই হিংসার আবহে, বহু বিদেশি জঙ্গি ভারতে অনুপ্রবেশ করে এখানে স্থানীয় জঙ্গিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদত দিচ্ছে। লক্ষ্য, শান্তি বিঘ্নিত করে অস্থিরতার পরিবেশ সৃষ্টি করা।

    বিএসএফ-এর সঙ্গে দ্বিমত সেনার

    যদিও, বিএসএফ-এর এই স্নাইপার তত্ত্বে সিলমোহর দিতে নারাজ সেনা। এক সেনা অফিসার জানিয়েছেন, যে হামলাগুলি হয়েছে, সেগুলি মূলত ৩০০ থেকে ৪০০ গজের মধ্যে। ফলত, এক্ষেত্রে এসএলআর বা অ্যাসল্ট রাইফেল দিয়েই এধরনের হামলা করা সম্ভব। স্নাইপার সাধারণত ব্যবহার হয় দূরের লক্ষ্যে আঘাত হানতে, যা মূলত ১০০০ গজ দূরত্বের আশপাশে থাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: মণিপুর হিংসার কারণ খুঁজবে বিশেষ তদন্ত কমিটি, ঘোষণা অমিত শাহের

    Amit Shah: মণিপুর হিংসার কারণ খুঁজবে বিশেষ তদন্ত কমিটি, ঘোষণা অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে হিংসার কারণ খুঁজে বের করতে বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। রাজধানী ইম্ফলে এই ঘোষণা করলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। কমিটির শীর্ষে রয়েছেন হাইকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি৷

    গত এক মাস ধরে জনজাতি হিংসায় জ্বলছে মণিপুর। যার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮০ জন। আহত শতাধিক। পরিস্থিতি সামাল দিতে চারদিন ধরে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে পড়ে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। ঘোষণা করেন বিশেষ সহায়তা প্যাকেজেরও। বৃহস্পতিবার, তার চারদিনের সফরের শেষ দিনে মণিপুর হিংসার তদন্ত নিয়ে বিশেষ ঘোষণা করলেন অমিত শাহ।

    হিংসা তদন্তে বহুমুখী পদক্ষেপ

    এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণা, হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন প্যানেল গোটা ঘটনার তদন্ত করবে। এছাড়া, হিংসার সঙ্গে জড়িত ৬টি মামলার তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে দেওয়া হয়েছে৷ পাশাপাশি, রাজ্য ও জেলাস্তরে সরকারের উদ্যোগে শান্তি কমিটিও গঠন করা হবে, জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাতে সব সম্প্রদায়ের স্থানীয় বিশিষ্টজনেরা ছাড়াও সরকারি পদাধিকারীরা থাকবেন। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “মণিপুরে হিংসাত্মক ঘটনার তদন্তে বেশ কয়েকটি সংস্থা কাজ করছে। ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে এমন ৬টি হিংসাত্মক ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের সিবিআই তদন্ত হবে। কেন্দ্রের নজরদারিতেই তদন্ত প্রক্রিয়া এগোবে৷ আমি সকলকে আশ্বাস দিচ্ছি যে, হিংসার শিকড় সন্ধানে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ভাবে এই তদন্ত করা হবে৷’’

    একাধিক সহায়তার ঘোষণা

    এর আগে, হিংসায় মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার কথা ঘোষণা করা হয়। বলা হয়, প্রতিটি পরিবারকে কেন্দ্র এবং রাজ্যের তরফে ৫ লক্ষ টাকা করে মোট ১০ লক্ষ টাকা অর্থনৈতিক সাহায্য করা হবে৷ এছাড়া, মৃতদের পরিবারের একজনকে চাকরিও দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। এদিন অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘‘রাজ্যের উদ্ভূত খাদ্য সঙ্কটের মোকাবিলা করতে ৩০ হাজার মেট্রিক টন চাল পাঠানো হবে কেন্দ্রের তরফে৷ রাজ্যে আরও চিকিৎসক পাঠানো হবে৷ ছাত্রছাত্রীদের জন্য অনলাইনে পঠনপাঠন এবং পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে৷’’

    আরও পড়ুন: শান্তি ফেরাতে উদ্যোগ! মণিপুরে ১৫ দিনের হিংসা বিরতির প্রস্তাব অমিত শাহের

    ভুয়ো খবর থেকে দূরে থাকতে অনুরোধ

    একইসঙ্গে, ভুয়ো খবরে কান না দেওয়ার জন্য জনসাধারণকে পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “ভুয়ো খবরে কান না দেওয়ার জন্য আমি মণিপুরের নাগরিকদের কাছে অনুরোধ করছি। যদি কেউ সাসপেনশন অফ অপারেশনস চুক্তি লঙ্ঘন করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অস্ত্র বহনকারীদের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে। আগামিকাল থেকে চিরুনি তল্লাশি শুরু হবে এবং কারও কাছে অস্ত্র পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: শান্তি ফেরাতে উদ্যোগ! মণিপুরে ১৫ দিনের হিংসা বিরতির প্রস্তাব অমিত শাহের

    Manipur Violence: শান্তি ফেরাতে উদ্যোগ! মণিপুরে ১৫ দিনের হিংসা বিরতির প্রস্তাব অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনজাতি হিংসায় জ্বলছে মণিপুর (Manipur Violence)। ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন ৮০ জন। পরিস্থিতি শান্ত করতে মণিপুর গিয়ে সেখানে শান্তি-প্রস্তাব রাখলেন অমিত শাহ।

    বৈঠকে দেওয়া হল প্রস্তাব

    সোমবার রাতে চারদিনের সফরে মণিপুর পৌঁছন শাহ। রাজধানী ইম্ফলে নেমেই তিনি দফায় দফায় রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক সারেন। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং থেকে শুরু করে মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ এবং মণিপুরের রাজ্যপালের সঙ্গেও বৈঠক করেন। মঙ্গলবার তিনি বৈঠক করেন সেনা কর্তা ও প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে। কথা বলেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও। এর পাশাপাশি, তিনি বিবাদমান জনজাতি গোষ্ঠী প্রতিনিধিদলের সঙ্গেও মিলিত হন (Manipur Violence)। তাঁদের অভিযোগ শুনে সমস্যার মূলে পৌঁছে সমাধান খোঁজার চেষ্টা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে কুকি জনজাতি প্রতিনিধিদলের তরফে তাঁর সামনে একাধিক দাবি পেশ করা হয়। শাহ সবকিছু ধৈর্য সহকারে শুনে কথা দেন, সব দাবি বিবেচনা করা হবে। এর সঙ্গেই বিবাদমান দুই জনজাতি গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদলের সামনে অমিত শাহ অনুরোধ করেন, ১৫ দিনের জন্য হিংসা থেকে নিজেদের বিরত রাখতে। শাহের মতে, হিংসা দিয়ে নয়, যে কোনও সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে শান্তির পরিবেশেই।

    আরও পড়ুন: মণিপুরে আর্থিক সাহায্য কেন্দ্র-রাজ্যের! মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ, একজনকে চাকরি

    সীমান্তবর্তী এলাকায় পরিদর্শন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    আজ বুধবার, মণিপুরের হিংসা বিধ্বস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শনে গেলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ভারত-মায়ানমার সীমান্তবর্তী বিভিন্ন গ্রাম ও জেলা, মূলত যেখানে অশান্তি ছড়িয়েছে, সেই জায়গাগুলি ঘুরে দেখেন তিনি। এদিন কাঙ্গপোকপি জেলায় যান শাহ। মণিপুরের যে জেলাগুলিতে সবথেকে বেশি অশান্তি (Manipur Violence) ছড়িয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম কাঙ্গপোকপি। এই অঞ্চল কুকি অধ্যুষিত হলেও, সেখানে মৈতেই জনজাতিরও বসবাস রয়েছে। অশান্তি শুরু হওয়ার পর থেকেই দুই জনজাতির বাড়িই ভাঙচুর, আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। মণিপুরের হিংসায় (Manipur Violence) নিহতদের পরিবারের জন্য গতকাল যৌথ আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করা হয়। সেই মোতাবেক কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার উভয় নিহতদের পরিবারপিছু ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। এছাড়া, নিহতদের পরিবার থেকে একজনকে চাকরি দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়। রাজ্যের খাদ্য সঙ্কট মেটাতে শীঘ্রই ২০ টন চাল বিলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share