মাধ্যম ডেস্ক: পড়াশোনার চাপ বাড়ছে! স্কুল স্তর থেকেই এখন পড়াশোনার পাশাপাশি অধিকাংশ পড়ুয়াদের খেলাধুলা আর নানান রকমের প্রশিক্ষণ থাকে। ফলে অনেক সময়েই শিশু (Child Education) ক্লান্ত হয়ে পড়ে। পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ দিতেও সমস্যা হয়। আবার অনেক সময় পড়ার পরেও তারা মনে রাখতে পারে না। এই ধরনের সমস্যা নিয়ে অনেক অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঘরোয়া কিছু উপাদান এবং কিছু অভ্যাস এই ধরনের সমস্যা কমাতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্কুল পড়ুয়াদের প্রথম থেকেই কয়েকটি বিষয়ে গুরুত্ব (Memory) দিলে নানান সমস্যা এড়িয়ে চলা সম্ভব। এখন দেখা যাক, সন্তানের মনোযোগ এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কোন পদ্ধতির পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?
পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে (Child Education)
শিশুরোগ (Child Education) বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশুদের এখন পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক পরিবারেই দেখা যাচ্ছে, কাজের চাপে বা অন্যান্য কারণে বাড়ির বড়রা অনেক দেরিতে ঘুমোতে যান। আর এই অভ্যাস ধীরে ধীরে শিশুরাও রপ্ত করে। ফলে, তারাও অনেক রাতে ঘুমোনোয় অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু অধিকাংশ স্কুল সকাল থেকেই হয়। তাই পড়ুয়াদের অনেকটাই ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হয়। যার ফলে তাদের পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। দীর্ঘদিন অপর্যাপ্ত ঘুম শরীরের পেশিকে দূর্বল করে দেয়। তাছাড়া ঠিকমতো বিশ্রাম না হলে স্নায়ুর কার্যকারিতাও হ্রাস পায়। এর ফলে শরীরে ক্লান্তি গ্রাস করে। আবার শরীরের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। পাশপাশি পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে। মস্তিষ্কের (Memory) পর্যাপ্ত বিশ্রাম জরুরি। দীর্ঘদিন ঠিকমতো ঘুম না হলে স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে। তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, শরীরের পর্যাপ্ত বিশ্রাম জরুরি। তাই ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজন। স্কুল পড়ুয়াদের অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমের অভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সন্তানের ঘুমের সময় যাতে এক রকম থাকে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
নিয়মিত যোগাভ্যাস জরুরি
বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মনোযোগ বাড়াতে শরীরের কয়েকটি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকা এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা সবচেয়ে জরুরি। বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের এই দুই বিষয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই স্কুল পড়ুয়াদের নিয়মিত যোগাভ্যাস জরুরি। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। এর ফলে অ্যাংজাইটি বা অবসাদের ঝুঁকি কমে। তার ফলে কাজে মনোযোগ বাড়ে। আবার রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। তাই সন্তানের (Child Education) মনোযোগ বাড়াতে নিয়মিত আধঘণ্টা থেকে চল্লিশ মিনিট যোগাভ্যাসের পরামর্শ (Memory) দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
আখরোট এবং কাঠবাদাম বাড়াবে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভালো অভ্যাসের পাশপাশি ভালো খাবার সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্কুল পড়ুয়াদের অনেকেই নানান রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। এর প্রভাব পড়ছে দীর্ঘ প্রসারী। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস কমিয়ে দিতে পারে পড়ুয়ার নানান সমস্যা। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত আখরোট এবং কাঠবাদাম খাওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই দুই খাবারে থাকে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ। ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, আয়রন সহ একাধিক উপাদানে ভরপুর এই দুই খাবার। তাই নিয়মিত আখরোট এবং কাঠবাদাম খেলে প্রচুর উপকার পাওয়া যাবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়ামের মতো উপাদান শিশুদের (Child Education) স্নায়ুর কার্যকারিতা স্বাভাবিক রাখে। আবার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। এই খাবার নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তি ভালো থাকে। তাই সন্তানকে নিয়মিত এই দুই খাবার খাওনোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।