Tag: memory loss

memory loss

  • Child Education: বাড়ছে পড়াশোনার চাপ! সন্তানের মনোযোগ আর স্মৃতিশক্তি বাড়াবে‌ ঘরোয়া এই পদ্ধতি!

    Child Education: বাড়ছে পড়াশোনার চাপ! সন্তানের মনোযোগ আর স্মৃতিশক্তি বাড়াবে‌ ঘরোয়া এই পদ্ধতি!

    মাধ্যম ডেস্ক: পড়াশোনার চাপ বাড়ছে! স্কুল স্তর থেকেই এখন পড়াশোনার পাশাপাশি অধিকাংশ পড়ুয়াদের খেলাধুলা আর নানান রকমের প্রশিক্ষণ থাকে। ফলে অনেক সময়েই শিশু (Child Education) ক্লান্ত হয়ে পড়ে। পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ দিতেও সমস্যা‌ হয়। আবার অনেক সময় পড়ার পরেও তারা মনে রাখতে পারে না। এই ধরনের সমস্যা নিয়ে অনেক অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঘরোয়া কিছু উপাদান এবং কিছু অভ্যাস এই ধরনের সমস্যা কমাতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্কুল পড়ুয়াদের প্রথম থেকেই কয়েকটি বিষয়ে গুরুত্ব (Memory) দিলে নানান সমস্যা এড়িয়ে চলা সম্ভব। এখন দেখা যাক, সন্তানের মনোযোগ এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কোন পদ্ধতির পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে (Child Education)

    শিশুরোগ (Child Education) বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশুদের এখন‌ পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক পরিবারেই দেখা যাচ্ছে, কাজের চাপে বা অন্যান্য কারণে বাড়ির বড়রা অনেক দেরিতে ঘুমোতে যান। আর এই অভ্যাস ধীরে ধীরে শিশুরাও রপ্ত করে।‌ ফলে, তারাও অনেক রাতে ঘুমোনোয় অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু অধিকাংশ স্কুল সকাল থেকেই হয়। তাই পড়ুয়াদের অনেকটাই ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হয়। যার ফলে তাদের পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। দীর্ঘদিন অপর্যাপ্ত ঘুম শরীরের পেশিকে দূর্বল করে দেয়। তাছাড়া ঠিকমতো বিশ্রাম না হলে স্নায়ুর কার্যকারিতাও হ্রাস পায়। এর ফলে শরীরে ক্লান্তি গ্রাস করে। আবার শরীরের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। পাশপাশি পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে। মস্তিষ্কের (Memory) পর্যাপ্ত বিশ্রাম জরুরি। দীর্ঘদিন ঠিকমতো ঘুম না হলে স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে। তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, শরীরের পর্যাপ্ত বিশ্রাম জরুরি। তাই ঘুম অত‌্যন্ত প্রয়োজন। স্কুল পড়ুয়াদের অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমের অভ্যাস অত‌্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সন্তানের ঘুমের সময় যাতে এক রকম থাকে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

    নিয়মিত যোগাভ্যাস জরুরি

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মনোযোগ বাড়াতে শরীরের কয়েকটি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকা এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা সবচেয়ে জরুরি। বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের এই দুই বিষয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই স্কুল পড়ুয়াদের নিয়মিত যোগাভ্যাস জরুরি। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। এর ফলে অ্যাংজাইটি বা অবসাদের ঝুঁকি কমে। তার ফলে কাজে মনোযোগ বাড়ে‌। আবার রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে‌। তাই সন্তানের (Child Education) মনোযোগ বাড়াতে নিয়মিত আধঘণ্টা থেকে চল্লিশ মিনিট যোগাভ্যাসের পরামর্শ (Memory) দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    আখরোট এবং কাঠবাদাম বাড়াবে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভালো অভ্যাসের পাশপাশি ভালো খাবার সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্কুল পড়ুয়াদের অনেকেই নানান রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। এর প্রভাব পড়ছে দীর্ঘ প্রসারী। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস কমিয়ে দিতে পারে পড়ুয়ার নানান সমস্যা। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত আখরোট এবং কাঠবাদাম খাওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই দুই খাবারে থাকে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ। ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, আয়রন সহ একাধিক উপাদানে ভরপুর এই দুই খাবার। তাই নিয়মিত আখরোট এবং কাঠবাদাম খেলে প্রচুর উপকার পাওয়া যাবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়ামের মতো উপাদান শিশুদের (Child Education) স্নায়ুর কার্যকারিতা স্বাভাবিক রাখে। আবার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। এই খাবার নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তি ভালো থাকে। তাই সন্তানকে নিয়মিত এই দুই খাবার খাওনোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Alzheimer’s Disease: মধ্য চল্লিশেই স্পষ্ট লক্ষণ? অ্যালজাইমার্স রোগের জানান দেবে কোন উপসর্গ?

    Alzheimer’s Disease: মধ্য চল্লিশেই স্পষ্ট লক্ষণ? অ্যালজাইমার্স রোগের জানান দেবে কোন উপসর্গ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিচ্ছে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলার সমস্যা। বিশ্ব জুড়ে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। অধিকাংশ প্রবীণ নাগরিক অ্যালজাইমার্সে আক্রান্ত হচ্ছেন। এর জেরে জীবনযাপনের মান কমছে। স্বাভাবিক জীবন নষ্ট হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো ভারতেও অ্যালজাইমারের মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, এই রোগের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, রোগ নির্ণয় না হওয়া। অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগী অ্যালজাইমার (Alzheimer’s Disease) আক্রান্ত কিনা, তা বুঝতেই অনেক দেরি হয়ে যায়। পাশপাশি এই রোগ নিরাময়ে নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ নেই। তাই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। তাই প্রথম পর্যায়েই রোগ নির্ণয় করতে পারলে, নানান থেরাপির মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয় বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ।

    কী বলছে নয়া গবেষণা? (Alzheimer’s Disease)

    বিশ্ব জুড়ে অ্যালজাইমার নিয়ে একাধিক গবেষণা চলছে। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের রয়্যাল কলেজ অব ফিজিশিয়ান-এর একদল চিকিৎসক-গবেষক জানিয়েছেন, অ্যালজাইমারের মতো রোগের কিছু উপসর্গ চল্লিশ বছরের পরেই স্পষ্ট হয়। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ এই ধরনের উপসর্গকে অবহেলা করেন। কিন্তু সেই উপসর্গ দেখা দিলে পরিবারকে সচেতন হতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঘরোয়া কিছু সাধারণ পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা যেতে পারে ওই ব্যক্তির অ্যালজাইমারের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ কতখানি! তাহলে নানান থেরাপির মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করা সহজ হয়। ওই চিকিৎসক-গবেষকেরা জানাচ্ছেন, এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা না বাড়ালে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হতে পারে।

    অ্যালজাইমার্স কী?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, অ্যালজাইমার (Alzheimer’s Disease) হল মস্তিষ্কের স্নায়ুঘটিত এক ধরনের সমস্যা। এই রোগে আক্রান্ত হলে মস্তিষ্কের একাধিক স্নায়ু কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। ফলে, ব্যক্তির স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে। নিজের পরিচয়, নাম এগুলোও আক্রান্ত ভুলে যান। আস্তে আস্তে শরীরের ক্ষমতাও হারিয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিক জীবন যাপন সম্পূর্ণ নষ্ট হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, ষাট বছরের পরে অধিকাংশ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক ওই আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, চল্লিশের পরে এই রোগের কিছু লক্ষণ স্পষ্ট হয়। কিন্তু কোন লক্ষণকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে গবেষণা?

    দিনের সাধারণ ঘটনা মনে থাকছে তো!

    সাম্প্রতিক ওই গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, দিনের খুব সাধারণ ঘটনা মনে থাকছে কিনা সেদিকে খেয়াল করা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, চল্লিশের পরে অনেকেই খুব সাধারণ জিনিস ভুলে যান। অনেক সময়েই কাজের চাপে মনে রাখার ক্ষমতা কমে। কিন্তু অ্যালজাইমারের মতো রোগের অন্যতম উপসর্গ এই ভুলে যাওয়া। তাই খেয়াল রাখা জরুরি চল্লিশোর্ধ ব্যক্তি নিয়মিত সাধারণ জিনিস ভুলে যাচ্ছেন কিনা। ওই গবেষকদের একাংশ জানাচ্ছে, দশ মিনিট আগে ঘটনা কোনও ঘটনা, হয়তো কাঁচের গ্লাস ভেঙে যাওয়া কিংবা পরিবারের কোনও সদস্যের বাইরে যাওয়ার মতো কথা একেবারেই মনে করতে না পারলে, নিয়মিত এই ধরনের ভুলে যাওয়ার প্রবণতা বাড়লে সতর্ক হতে হবে। এটা অ্যালজাইমারের লক্ষণ।

    বারবার মেজাজ বদল বিপজ্জনক! (Alzheimer’s Disease)

    পরিবারের চল্লিশোর্ধ্ব সদস্যের বারবার মেজাজ বদল হলে সচেতনতা জরুরি বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, হঠাৎ করেই রেগে যাওয়া, অকারণে উত্তেজিত হয়ে থাকা, সামান্য বিষয়েও বিরক্তি বা মারাত্মক উদ্বিগ্ন হয়ে থাকা ব্যক্তিকে নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। মস্তিষ্ক নানান আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে। নিয়মিত দ্রুত এই মেজাজ বদল ইঙ্গিত দিচ্ছে মস্তিষ্ক আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তাই এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

    ঘরের জিনিস রাখা মনে থাকছে কি?

    গবেষকদের একাংশ জানাচ্ছে, ঘরে কোথায় কোন জিনিস রাখা হয়, সেটা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে (Problems in Mid-forties) মনে থাকছে কিনা সেটা খেয়াল করা দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, রান্নাঘরে চা তৈরির সামগ্রী কোথায় থাকে কিংবা ব্যাঙ্কের ডকুমেন্ট আলমারির কোথায় রাখা হয়, সেটা মনে রাখতে পারছেন কিনা সে নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। অনেক সময়েই দেখা যাচ্ছে, বয়স পঞ্চাশের চৌকাঠে পা দেওয়ার আগেই অনেকে এই সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মনে রাখতে পারছেন না। এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, বেশ কিছু নির্দিষ্ট থেরাপি রয়েছে, যা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাই দ্রুত রোগ (Alzheimer’s Disease) নির্ণয় হলে মোকাবিলা সহজ হবে। দরকার সচেতনতা। তবেই অ্যালজাইমারের মতো রোগের দাপট রুখতে পারবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Memory Loss: মনে রাখতে অসুবিধা? জানেন কি, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়তে পারে ঘরোয়া উপাদানেই? 

    Memory Loss: মনে রাখতে অসুবিধা? জানেন কি, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়তে পারে ঘরোয়া উপাদানেই? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে স্মৃতিশক্তি হারানোর সমস্যা। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই খুব সাধারণ বিষয়ও মনে রাখতে পারেন না। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, স্মৃতিলোপের এই সমস্যা প্রবীণ নাগরিকদের মধ্যেই আটকে নেই। কম বয়সী, এমনকী স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও বাড়ছে (Memory Loss)। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, খুব সাধারণ বিষয়, যেমন, খাতা কিংবা ব‌ই কোথায় রয়েছে, কোন দিন স্কুলে কোন বিষয় নিয়ে পড়ানো হবে, এগুলোও অনেক সময়েই পড়ুয়ারা মনে রাখতে পারছে না। আর এর জেরেই উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞ মহল। তারা জানাচ্ছে, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমতে থাকলে, তা ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। মনে রাখার ক্ষমতা খুব কম বয়স থেকেই কমলে পরবর্তী জীবন যাপন কঠিন হয়ে উঠবে। তাই প্রথম থেকেই সতর্কতা জরুরি।

    কেন কম বয়সেই কমছে স্মৃতিশক্তি? (Memory Loss)

    সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে স্মৃতিশক্তি কমার প্রধান কারণ দূষণ। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বায়ুদূষণ কিংবা শব্দদূষণ সাময়িক শারীরিক অসুস্থতা তৈরি করে না। এর ফল থাকে সূদূরপ্রসারী। বাতাসে কার্বন মনো অক্সাইড এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ মারাত্মক বেড়ে গেলে মস্তিষ্কের উপরে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বায়ুদূষণ মারাত্মক ভাবে বাড়ছে। ফুসফুসের পাশাপাশি এর জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মস্তিষ্কও। আর তার জেরেই কমছে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা। এছাড়া শব্দের দাপট শিশুদের মস্তিষ্কে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া তৈরি করছে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে কোনও উৎসবে শব্দের দাপট একটা বড় সমস্যা। হঠাৎ খুব জোরে শব্দ হওয়া কিংবা লাগাতার একটানা খুব জোরে ডিজে বা মাইক বাজানোর শব্দ শিশুর মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকারক। এর জেরে যেমন শ্রবণশক্তি কমে, তেমনি মস্তিষ্কের একাধিক কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই স্মৃতিশক্তিও কমে‌ (Memory Loss)।
    দূষণের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মস্তিষ্কের সক্রিয়তার মাত্রা নির্ভর করে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক না থাকলে মনে রাখার ক্ষমতা কমে। বিশেষত কম বয়সীদের ক্ষেত্রে এটা বেশি দেখা যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের মধ্যে নানান হরমোনের ভারসাম্যে পরিবর্তনের জেরে মানসিক চাপ তৈরি হয়। তার থেকেও ভুলে যাওয়ার মতো সমস্যা বাড়ে। অনেক ক্ষেত্রে বয়ঃসন্ধিকাল পেরনোর পরে সেই সমস্যা কমে যায়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অনেকের ক্ষেত্রেই সেই সমস্যা দীর্ঘমেয়াদি হয়ে থাকছে। ফলে তাদের জীবন জটিল হয়ে উঠছে। পাশপাশি পারিবারিক অশান্তি থাকলে শিশুমনে গভীর প্রভাব ফেলে। ফলে, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতার উপরেও‌ তার প্রভাব দেখা‌ যায়।

    কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা সম্ভব?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন (Domestic Ingredients) মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। একদিকে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, আরেকদিকে জীবন যাপনের ধরনে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। এই দুই ধরে রাখতে পারলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা অনেকটাই বাড়বে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, ঘুম খুব জরুরি। শিশুর পর্যাপ্ত ঘুম হচ্ছে কিনা, সেদিকে নজর রাখা জরুরি।‌ দিনে কমপক্ষে আট ঘণ্টা ঘুম দরকার। বেশি রাত পর্যন্ত জেগে না থাকার অভ্যাস তৈরি করা দরকার। মস্তিষ্কের বিশ্রাম হলে তবেই স্মৃতিশক্তি বাড়বে। এর পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে (Memory Loss) নিয়মিত প্রাণায়মের অভ্যাস তৈরি করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে শরীরের স্নায়ুর কার্যক্ষমতা বাড়ে। ফলে মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে। 
    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে কিছু খাবার নিয়মিত খাওয়া জরুরি। নিয়মিত মাছ খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। মাছে থাকে ফসফরাস। এই উপাদান স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে। যে কোনও বাদাম জাতীয় উপাদান, যেমন কাজু, আখরোট, কাঠবাদাম, এগুলোতে থাকে নানান খনিজ পদার্থ। যা মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখে। তাই পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত যে কোনও এক ধরনের বাদাম জাতীয় খাবার মেনুতে থাকা দরকার। 
    ডিম এবং চিকেন নিয়মিত খেলে মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রোটিন শরীরের জন্য খুবই উপকারী। মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে প্রোটিনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চিকেন এবং ডিম থেকে খুব সহজেই শরীরের প্রয়োজনীয় উপকারী প্রোটিন পাওয়া যায়। তাই সপ্তাহে অন্তত দুদিন চিকেন‌ এবং নিয়মিত একটা ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। 
    বিট, গাজর, ক্যাপসিকামের মতো রঙিন সবজি মস্তিষ্কের বিকাশে বিশেষ সাহায্য করে। তাই পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, নিয়মিত ফল ও সবজি মেনুতে রাখা দরকার (Domestic Ingredients)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Biscuits: খিদে পেলেই বিস্কুট? জানেন কী কী জটিল রোগ হতে পারে? কতখানি বিপজ্জনক এই খাবার?

    Biscuits: খিদে পেলেই বিস্কুট? জানেন কী কী জটিল রোগ হতে পারে? কতখানি বিপজ্জনক এই খাবার?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালের চা হোক কিংবা হঠাৎ সন্ধ্যার খিদে, অথবা বাসে-ট্রেনে সফরের সঙ্গী, সবেতেই রয়েছে বিস্কুট (Biscuits)। ছোট থেকে বড়, সব বয়সীদের বিস্কুট নিত্যসঙ্গী। চা, দুধের সঙ্গে কিংবা এমনিতেই অনেকে বিস্কুট খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু সাম্প্রতিক একাধিক আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিস্কুট কিছু ক্ষেত্রে আদৌ স্বাস্থ্যকর খাবার নয়। বরং বিস্কুটের উপকারের তুলনায় অপকার অনেক ক্ষেত্রে বেশি। নয়া রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিস্কুটের তুলনায় অনেক বেশি‌ ভালো বাঙালির মুড়ি।

    কী বলছে নয়া গবেষণা?

    সুইডেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক দল গবেষক বিস্কুট নিয়ে গবেষণা চালান। আর তাতেই প্রকাশ্যে আসে বেশ কিছু তথ্য। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিস্কুটের একাধিক উপাদানে একেবারেই পুষ্টিগুণ নেই। বরং তাতে শরীরে নানান জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, একজন প্রতিদিন পাঁচটি বিস্কুট খেলে তাঁর হৃদপিণ্ড থেকে মস্তিষ্ক, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কার্যকারিতা কয়েক গুণ কমে যায়। বিশেষত ডায়বেটিস আক্রান্তদের বিস্কুট এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন ওই গবেষকেরা। এবার দেখা যাক, কোন কোন রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বিস্কুট?

    ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায় (Biscuits)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিস্কুটে মূলত ময়দা ও চিনি থাকে। তাই নিয়মিত একাধিক বিস্কুট খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কয়েক গুণ বেড়ে যায় (Serious Disease)। অনেক সময়েই ডায়াবেটিস আক্রান্তদের খিদে পায়। আর চটজলদি খাবার হিসেবে, তাঁরা বিস্কুট খান। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এতে শরীরে বেশি ক্ষতি হয়। কারণ এর জেরে রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে। চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, বিস্কুটের পরিবর্তে ডায়াবেটিস আক্রান্তেরা মুড়ি খেতে পারে। তবে পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ জরুরি।

    স্থূলতা

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিস্কুট (Biscuits) দেহের ওজন বাড়িয়ে দেয়। বিস্কুটে থাকে তেল এবং ময়দা।‌ এই দুই উপাদান‌ শরীরের ওজন বাড়িয়ে দেয়। আর ওজন বাড়লে একাধিক রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই স্থূলতার সমস্যা থাকলে বিস্কুট এড়িয়ে চলতে হবে।

    স্মরণশক্তি!

    নতুন গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, বিস্কুট অতিরিক্ত খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে। এর জেরে স্মৃতিশক্তি বা স্মরণশক্তি কমে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক বিস্কুটে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা শরীরে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। আর তার জেরেই এই ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে।

    কোষ্ঠকাঠিন্য (Biscuits)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিস্কুটে প্রচুর পরিমাণে ময়দা ব্যবহার হয়। আর অতিরিক্ত ময়দা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা তৈরি হয়। বিশেষত শিশুদের অতিরিক্ত বিস্কুট খাওয়ালে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যার পাশপাশি পেটের সমস্যা এবং হজমের গোলমাল হতে পারে।

    কোলেস্টেরল

    বিস্কুটে রয়েছে ক্ষতিকারক ফ্যাট। আর তার জেরেই অতিরিক্ত বিস্কুট (Biscuits) খেলে একদিকে স্থূলতার সমস্যা বাড়ে। আবার আরেকদিকে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত অত্যাধিক বিস্কুট কোলেস্টেরলের মতো রোগের প্রকোপ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়।

    হৃদরোগের ঝুঁকি

    বিস্কুটের জেরে একদিকে স্থূলতার সমস্যা বাড়ে। আরেকদিকে বিস্কুট কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ক্ষতিকারক ফ্যাটের জেরেই এই ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিস্কুট হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্থূলতা ও অনিয়ন্ত্রিত কোলেস্টেরল, এই দুই সমস্যা হৃদরোগের অন্যতম কারণ। আর এর জেরেই বলা হয়, অত্যাধিক বিস্কুট খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে (Serious Disease)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dementia: স্মৃতিশক্তি কমছে মারাত্মকভাবে, মনে রাখার ক্ষমতা কমছে স্কুল পড়ুয়াদেরও!

    Dementia: স্মৃতিশক্তি কমছে মারাত্মকভাবে, মনে রাখার ক্ষমতা কমছে স্কুল পড়ুয়াদেরও!

     তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    লেখার মাঝেই হারিয়ে যায় শব্দ! এমনকী পরিচিত বর্ণ কীভাবে লিখতে হবে, সেও অনেক সময় মনে পড়ে না। দক্ষিণ কলকাতার বছর তেরোর স্কুল পড়ুয়ার স্কুল থেকে অভিভাবককে জানানো হচ্ছে, পরিচিত অনেক কিছুই হঠাৎ ভুলে যাচ্ছে সে। সত্তরের চৌকাঠ পার হওয়ার আগেই আবার নিজের বাড়ির ঠিকানা হামেশাই ভুলে যান বাগুইআটির এক প্রৌঢ়! এমনকী বিকেলে হেঁটে ফেরার পথে কোন গলিতে ঢুকছেন, সেটাও ঠিক বুঝতে পারেন না! চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এগুলো ব্যতিক্রম নয়। গত তিন বছরে স্মৃতিশক্তি হ্রাসের (Dementia) সমস্যা মারাত্মকভাবে বেড়েছে।

    স্মৃতিশক্তি হ্রাসের সমস্যা নতুন স্বাস্থ্য বিপর্যয়? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ৬০ বছরের পর স্মৃতিশক্তি কমার প্রবণতা কয়েক বছর ধরেই বাড়ছে। ডিমেনশিয়ায় (Dementia) আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবীণদের এই সমস্যা জীবনযাপনের মান কমাচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডিমেনশিয়ার মতো রোগের চিকিৎসা শুরু হয় দেরিতে। ফলে চিকিৎসার সুযোগ কমে যায়। কিন্তু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, গত তিন বছর ধরে শুধু বয়স্কদের নয়, কমবয়সীদের মধ্যে মারাত্মকভাবে বাড়ছে স্মৃতিশক্তি হ্রাসের প্রবণতা। এমনকী স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে এই সমস্যা।

    কী ধরনের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী (Dementia) হঠাৎ খুব সাধারণ বিষয় মনে করতে পারছেন না। সাধারণ ঘটনা বা খুব চেনা জিনিসও অস্পষ্ট হয়ে উঠছে। মাঝেমধ্যে একটা খালি খালি ভাব মনে হওয়া! অর্থাৎ, কী হচ্ছে, কিছুই বুঝতে পারেন না। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ব্রেন ফগিং বলা হয়। অনেক সময় মাথা ঝিমঝিম করে। আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি দেখা দেয়।

    স্মৃতিশক্তি হ্রাস-বৃদ্ধির নেপথ্যে কী কারণ? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গত তিন বছরে স্মৃতিশক্তি হ্রাসের (Dementia) প্রবণতা বেড়েছে। বিশেষত কমবয়সীদের মধ্যেও এই প্রবণতা প্রবল। আর তার অন্যতম কারণ করোনা বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। কারণ, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ব্রেন ফগিংয়ের মতো সমস্যা অর্থাৎ, হঠাৎ করে মস্তিষ্ক ঝাপসা হয়ে যাওয়া বেড়েছে। আর যে রোগীরা এই সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কমবয়সী রোগীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাই বলা যেতে পারে, করোনামুক্তির পরেও শরীরে যে সব দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা হচ্ছে, তার মধ্যে অন্যতম হল স্মৃতিশক্তি হ্রাস। তবে, করোনার পাশাপাশি দূষণকেও স্মৃতিশক্তি হ্রাসের অন্যতম কারণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, দূষণের জেরে মস্তিষ্কের কোষের কার্যক্ষমতা কমছে, আর তার জেরেই মনে রাখার ক্ষমতাও কমছে।

    কীভাবে বাড়বে স্মৃতিশক্তি? 

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, কমবয়সীরা ব্রেন ফগিং কিংবা ভুলে যাওয়ার কোনও রকম উপসর্গ (Dementia) দেখলেই দেরি করবেন না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। নির্দিষ্ট ওষুধ ও থেরাপির সাহায্যে এই ধরনের সমস্যা কমতে পারে এবং সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। কিন্তু, অনেকক্ষেত্রে রোগীরা চিকিৎসা অনেক দেরিতে শুরু করেন। ফলে, পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। সাধারণ বিষয় মনে রাখতে না পারার জেরে আত্মবিশ্বাস কমতে থাকে। ফলে, মানসিক অবসাদ গ্রাস করে। তবে, জীবনযাপনের পরিবর্তন এই ধরনের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে মোবাইল, ল্যাপটপে সময় কাটানো কমানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। দিনের অধিকাংশ সময় মোবাইলে দিলে মনে রাখার ক্ষমতা কমে। কারণ, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমতে থাকে। নিয়মিত মেডিটেশনের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। মনঃসংযোগের অভ্যাস স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share