Tag: meteorites

meteorites

  • NASA: গ্রহাণু, উল্কা এবং ধূমকেতুর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে জানেন কী?

    NASA: গ্রহাণু, উল্কা এবং ধূমকেতুর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে জানেন কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনারা অনেকেই হয়তো উল্কা (meteor), ধূমকেতু (comet) দেখেছেন আর গ্রহাণুর (asteroid) কথা শুনেছেন। অনেকে আবার এগুলোকে একই মনে করেন। এগুলো এক বস্তু নয়। তবে এদের মধ্যে কী কী পার্থক্য রয়েছে সম্প্রতি এই নিয়ে নাসা (NASA) থেকে জানানো হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    গ্রহাণু

    গ্রহাণুকে ইংরেজিতে বলা হয় অ্যাস্টেরয়েড (asteroid)। এটি প্রধানত পাথর দ্বারা গঠিত বস্তু। এগুলো সাধারণত সৌরজগতের প্রাথমিক গঠনের প্রাচীন টুকরো, বেশিরভাগই শিলা দ্বারা গঠিত। এরা সৌরজগতে অবস্থান করে এবং সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। আকৃতিতে অনেক ছোট হওয়ার কারণে এদেরকে খালি চোখে দেখা যায় না তবে দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে এদেরকে অস্পষ্ট তারকার মত দেখা যায়। এদের আকৃতি কয়েক মিটার থেকে শুরু করে অনেক বড় হতে পারে। আবার এই গ্রহাণুগুলোতে এমন ধাতু থাকতে পারে যা তাদের উজ্জ্বল করে। এছাড়াও এতে  কার্বন রয়েছে যার ফলে এগুলোর রঙ কয়লার মত কালো। বিজ্ঞানীদের ধারনা অনুযায়ী আমাদের সৌরমণ্ডলে প্রচুর সংখ্যক গ্রহাণু রয়েছে, যারা প্রায় ২ মিটার – ৫৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।

    ধূমকেতু

    ধূমকেতুর ইংরেজি শব্দ হল কমেট (comet)। এটি সাধারণত ধুলো, বরফ ও গ্যাসের তৈরি এক ধরনের মহাজাগতিক বস্তু। প্রতিটি ধূমকেতুর কেন্দ্রে একটি বরফের নিউক্লিয়াস থাকে। যখন ধূমকেতুর কক্ষপথ সূর্যের কাছাকাছি আসে, তখন এর বরফের শরীর গরম হয়ে যায়, প্রচুর পরিমাণে গ্যাস তৈরি করে যা এর নিউক্লিয়াসের চারপাশে কোমা বা লেজ তৈরি করে। এছাড়াও সূর্য থেকে আসা সৌর ঝড়ের ফলে বিস্ফোরণ ঘটায় ধূমকেতুতে লেজের সৃষ্টি হয়। ধূমকেতুর  লেজ থাকে, তাই এরা উল্কার থেকে আলাদা হয়। এই লেজ হল আসলে পাতলা ও ক্ষণস্থায়ী বায়ুমণ্ডল। মানুষ বহুকাল থেকেই ধূমকেতু দেখে আসছে। একটি ধূমকেতুর পর্যায়কাল কয়েক বছর থেকে শুরু করে কয়েক হাজার বছর পর্যন্ত হতে পারে। নাসা থেকে বলা হয়েছে মহাকাশে ৩৫৩৫ টির মত ধূমকেতুর সন্ধান পাওয়া গেছে, তবে সৌরজগতের মধ্যে সম্ভবত কোটি কোটি ধূমকেতু রয়েছে।

    উল্কা

    উল্কা বা Meteoroids আসলে ধূমকেতু আর গ্রহাণুর খণ্ডাবশেষ। উল্কাগুলি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার সময় বায়ুর সংঘর্ষে জ্বলে ওঠে। তখন একে উল্কাপাতবলে, যাকে আমরা তারাখসা নামেও জানি। আসলে এগুলো মোটেও নক্ষত্র নয়। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার পরে, উল্কাগুলি সাধারণত বড় হয়, কিন্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলীয় স্তরগুলির মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময়, তারা উত্তপ্ত হয়, আর এর বেশিরভাগ অংশই প্রচণ্ড তাপে পুড়ে যায়। পৃথিবীর পৃষ্ঠে পৌঁছানো বেশিরভাগ উল্কা ছোট পাথরের আকারের ন্যায় হয়ে থাকে।

     

     

LinkedIn
Share