Tag: MI

MI

  • IPL 2024: বোলারদের দিনে ৪ উইকেট নিয়ে জবাব স্টার্কের, এক যুগ পর ওয়াংখেড়েতে জয় কলকাতার

    IPL 2024: বোলারদের দিনে ৪ উইকেট নিয়ে জবাব স্টার্কের, এক যুগ পর ওয়াংখেড়েতে জয় কলকাতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ এক যুগ পর ওয়াংখেড়েতে জয়ের খরা কাটল কলকাতার। ১২ বছর পরে ওয়াংখেড়েতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারাল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০১২ আইপিএলে এক বারই গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বে ওয়াংখেড়েতে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে সাফল্য পেয়েছিল নাইটরা। সেই রাত ফিরে এল, এখন মাঠে নয় ডাগ আউটে বসে গৌতম গম্ভীর। ম্যাচ শেষে নাইট মেন্টরের মুখে তৃপ্তির হাসি। তৃপ্ত ২০১২তে ম্যাচ জেতানোর নায়ক সুনীল নারিন। সে বার ৪ উইকেট নিয়েছিলেন নারিন। এবার ৪ উইকেট নিলেন চলতি আইপিএলে সবচেয়ে দামি প্লেয়ার মিচেল স্টার্ক। 

    ম্যাচ আপডেট

    টসে জিতে শুক্রবার প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। সেই সিদ্ধান্ত কাজে লাগে। ১৬৯ রানে কলকাতাকে বেঁধে ফেলে জসপ্রীত বুমরারা ৷ কলকাতার ভেঙ্কটেশ আইয়ার ৭০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন ৷ ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নেমে ৪২ রান করেন মনীশ পাণ্ডে ৷ পালটা রান তাড়া করতে নেমে মুম্বইয়ের একমাত্র সূর্যকুমারের ব্যাট চলে ৷ ৫৬ রান করে আউট হন স্কাই ৷ আর ২৪ রান করেন টিম ডেভিড ৷ বাকি টপ থেকে মিডল ও টেল-এন্ডার ব্যাটারের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অবদান ১৩ রান ৷ কলকাতার হয়ে এদিন সফল বোলার স্টার্ক। ৩.৫ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন তিনি। ৪ ওভার বল করে ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন বরুণ চক্রবর্তী ও সুনীল নারিন। ৩০ রান দিয়ে রাসেলও নিয়েছেন ২ উইকেট। ১৮.৫ ওভারে ১৪৫ রানে অলআউট হয়ে যায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ২৪ রানে ম্যাচ জিতে প্লে-অফের একেবারে কাছে পৌঁছে যায় কেকেআর। 

    সফল স্টার্ক

    বিশ্বকাপের সফল বোলার কেকেআর-এর হয়ে সব সমালোচনার জবাব দিলেন মিচেল স্টার্ক। বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ে কেনা মিচেল স্টার্ক টুর্নামেন্টের শুরুতে একেবারেই ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেননি। সেই স্টার্ককে শুক্রবার রাতে পাওয়া গেল অন্য রকম ফর্মে। ম্যাচে চার উইকেট নিয়ে গড়ে ফেললেন এক অনন্য নজির। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ইতিহাসে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে যেসব বোলাররা এক ম্যাচে চার বা তার বেশি উইকেট নেওয়ার নজির গড়েছেন তাদের তালিকায় নাম নথিভুক্ত করালেন স্টার্ক। স্টার্ক‌ ছাড়া এই তালিকায় রয়েছেন আর মাত্র দুই জন। একজন সুনীল নারিন। যিনি আবার এই তালিকায় দু’বার জায়গা পেয়েছেন। অপর জন জনপ্রিয় অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। এদিন গ্যালারি থেকে স্বামী স্টার্কের প্রত্যাবর্তন দেখলেন স্ত্রী তথা অজি মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি৷ 

    প্লে অফের পথে কলকাতা

    শুক্রবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ঘরের মাঠে, তাদের হারিয়েই প্লে-অফের রাস্তা একেবারে মজবুত করে ফেলল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ১০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট এখন ১৪। রাজস্থানের ঘাড়েই এবার নিঃশ্বাস ফেলছে কেকেআর। ১০টির মধ্যে ৭টিতে জিতেছে কলকাতার দল। তিনটি ম্যাচে তারা হেরেছে। পয়েন্ট টেবলের দুই নম্বরেই রয়েছে নাইটরা। শ্রেয়স আইয়ারের নেতৃত্বাধীন দলের নেট রানরেট +১.০৯৮। এক নম্বর জায়গা ধরে রেখেছেন সঞ্জু স্যামসনরা। ১০ ম্যাচ খেলে আটটিতেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে রাজস্থান। দু’টি ম্যাচ হেরেছে তারা। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের শীর্ষস্থানের দখল রেখেছে সঞ্জুর দল। তাদের নেট রানরেট +০.৬২২। একই সঙ্গে এদিন ম্যাচ হেরে আইপিএল থেকে বিদায়ের ঘণ্টা প্রায় নিশ্চিত হার্দিকের মুম্বইয়ের। 


    দুই দলই অল আউট

    চলতি আইপিএলে যেন প্রতি ম্যাচেই রান‌ বন্যার সাক্ষী থেকেছেন দর্শকেরা। এক এক ম্যাচে তৈরি হয়েছে এক একটি ব্যাটিং রেকর্ড। প্রতি ম্যাচেই বোলারদের কপালে জুটেছে বেদম পেটানি। উল্টো ছবি দেখা গেল কেকেআর বনাম মুম্বই ম্যাচে। এদিন অল আউট হয়েছে দুই দল। ১৭ বছরের আইপিএল ইতিহাসে মাত্র চারটি ম্যাচে দুই দলই অল আউট হয়ে গিয়েছে। প্রথমবার এই ঘটনা ঘটেছিল আইপিএল শুরুর বছর দুই পরে। ২০১০ সালে এই ঘটনা প্রথম ঘটে নাগপুরে দিল্লি বনাম রাজস্থান ম্যাচে। দ্বিতীয় ঘটনা ঘটে প্রথম ঘটনার ৭ বছর বাদে। ২০১৭ সালে এই ঘটনা ঘটেছিল কলকাতাতে নাইট রাইডার্স বনাম আরিসিবি ম্যাচে। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে এই ঘটনা ফের ঘটে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ম্যাচে। তালিকায় সর্বশেষ জায়গা করে নিল ২০২৪ সালে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুম্বই বনাম কলকাতার ম্যাচটি।

    কী বললেন অধিনায়করা

    এদিন ম্যাচে হেরে নিজের হতাশা প্রকাশ করেন মুম্বই দলের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। ম্যাচের পরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ক্যাপ্টেন বলেন, ‘আমি বলতে চাই যে, ব্যাটিং ইনিংসে আমরা পার্টনারশিপ গড়তে পারিনি এবং পরপর উইকেট হারাচ্ছিলাম, টি-টোয়েন্টিতে আপনি যদি পার্টনারশিপ না করেন, তাহলে আপনার ক্ষতি হবেই।’ ম্যাচ শেষে তৃপ্ত নাইট অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার বলেন, ‘আমরা আপাতত প্লে-অফের দরজায় রয়েছি। এই ম্যাচে অনেক কিছুই মাথায় ঘুরছিল। হারলে কী হতে পারে, এসবও ঘুরছিল। এক যুগ পর এখানে জিতলাম, এই পরিসংখ্যান আমার জানা ছিল না।’ আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মেরও প্রশংসা শোনা যায় শ্রেয়সের কথায়। এদিন ব্যাটিংয়ে বিপর্যয়ের সামনে পড়েছিল কেকেআর। মণীশ পান্ডেকে ইমপ্যাক্টে নামানো হয়। ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও মণীশ পান্ডে জুটিতে ৮৩ রান যোগ হয়। কেকেআর ইনিংসে সেটাই টার্নিং পয়েন্ট। শ্রেয়সের কথায়, ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম এই ম্যাচে আমাদের দারুণ ভাবে সাহায্য করেছে। প্রথম ম্যাচ থেকেই মণীশ সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। ওর জন্যই লড়াই করার মতো স্কোরে পৌঁছতে পেরেছি।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • IPL 2023: গিল-মোহিতের দাপটে পর পর দুবার আইপিএল ফাইনালে গুজরাট টাইটান্স

    IPL 2023: গিল-মোহিতের দাপটে পর পর দুবার আইপিএল ফাইনালে গুজরাট টাইটান্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খেতাব ধরে রাখার লড়াইয়ে শেষ ধাপে পৌঁছে গেল গুজরাট টাইটান্স। রবিবার আইপিএল (IPL 2023) ফাইনালে মোতেরায় হার্দিক বাহিনীর সামনে চেন্নাই সুপার কিংস। প্লে-অফে প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। শেষ হাসি হেসেছিল ধোনি ব্রিগেড। তবে শুক্রবার মোতেরায় দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডয়ান্সকে ৬২ রানে হারিয়ে সহজেই ফাইনালের টিকিট পাকা করে নেয় গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের নায়ক শুভমান গিল। ৬০ বলে তাঁর সংগ্রহ ঝোড়ো ১২৯ রান। ৭টি চার ও ১০টি ছক্কাও হাঁকিয়েছেন তিনি। বলা ভালো, গিলের দুর্ধর্ষ ব্যাটিংয়ের সামনে উড়ে গেল মুম্বই।

    ম্যাচের হালচাল

    বৃষ্টির কারণে শুক্রবার মোতেরায় গুজরাট-মুম্বই ম্যাচ শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের আধ ঘণ্টা পরে। পরিবেশ ও পরিস্থিতি বুঝে টসে জিতে আগে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। তিনি ভেবেছিলেন, রান তাড়া করতে সুবিধা হবে। কিন্তু শুভমান গিলের সেঞ্চুরিতে ভর করে গুজরাট ৩ উইকেটে ২২৩ রান তোলায় কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়ে মুম্বই। গিল ছাড়া গুজরাটের হয়ে ভালো ব্যাট করেছেন সাই সুদর্শন (৪৩)। তবে মন্থর ব্যাটিংয়ের কারণে রিটায়ার্ড আউট হন। যা আইপিএলে ঘটল দ্বিতীয়বার। চাওলার বলে ঋদ্ধিমান ১৮ রানে আউট হওয়ার পর ঝড় তোলেন গিল। তবে দু’বার জীবনও পেয়েছেন তিনি। একবার তাঁর ক্যাচ ফেলেন টিম ডেভিড। আর একবার ফিরতি ক্যাচ ধরতে ব্যর্থ হন গ্রিন। ৩২ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করেন গিল। তারপর সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে তাঁর লাগে মাত্র ১৭টি বল। যা থেকেই স্পষ্ট, গিল কতটা আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন।

    আরও পড়ুন: একা হাতেই গুঁড়িয়ে দিলেন লখনউকে! কে এই আকাশ মাধওয়াল?

    দিনটা সত্যিই মুম্বইয়ের ছিল না। তা না হলে টসে জিতেও এভাবে হারতে হয়! সহ খেলোয়াড় জর্ডনের সঙ্গে সংঘর্ষে চোটে আঘাত পান কিষান। তিনি আর ব্যাট করতে পারেননি। ফলে রোহিতের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন ওয়াধেরা। কিন্তু দু’জনেই ব্যর্থ। পাওয়ার প্লেতে চালিয়ে খেলে তিলক ভার্মা ১৪ বলে করেন ৪৩। গ্রিন চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেও, পরে ফের ব্যাট করতে নামে। সূর্যকুমারের সঙ্গে বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু ৩০ রানে লিটলের বলে বোল্ড হন গ্রিন। তবে সূর্য যতক্ষণ ছিলেন, ততক্ষণ আশা বেঁচে ছিল মুম্বইয়ের। কিন্তু চাপের মুখে চালিয়ে খেলতে গিয়ে মোহিত শর্মার বলে ৬১ রানে বোল্ড হন সূর্য। গুজরাটের জয় কার্যত নিশিচত হয়ে যায়। ১৮.১ ওভারে ১৭১ রানেই গুটিয়ে যায় মুম্বই। ১০ রানে মোহিতের সংগ্রহ মোট ৫টি উইকেট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share