Tag: minerals

minerals

  • Critical Minerals: উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকায় হদিশ মিলল গুরুত্বপূর্ণ খনিজের

    Critical Minerals: উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকায় হদিশ মিলল গুরুত্বপূর্ণ খনিজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকায় হদিশ মিলেছে গুরুত্বপূর্ণ খনিজের (Critical Minerals)। পরিচ্ছন্ন জ্বালানির রূপান্তর, ডিজিটাল পরিকাঠামো এবং প্রতিরক্ষা উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত জরুরি। সম্প্রতি এ খবর জানিয়েছে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। এই খনিজগুলির মধ্যে রয়েছে রেয়ার আর্থ এলিমেন্টস (REE), গ্রাফাইট, ভ্যানাডিয়াম, লিথিয়াম, কোবাল্ট এবং অন্যান্য উপাদান, যা ব্যাটারি, সেমিকন্ডাক্টর এবং উন্নত ধাতব মিশ্রণ তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়।

    জিএসআইয়ের রিপোর্ট (Critical Minerals)

    জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার এক রিপোর্টে বলা হয়েছে (Northeast Region), “এ ধরনের সম্পদের প্রতি ভারতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা দেশীয় উৎস চিহ্নিত ও উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তাকে আরও জোরালোভাবে তুলে ধরে, বিশেষ করে পূর্ব-উত্তর ভারতের মতো ভূতাত্ত্বিকভাবে সম্ভাবনাময় অঞ্চলে নিবেদিত থিম্যাটিক স্টাডি, বেসলাইন সমীক্ষা এবং প্রকল্পভিত্তিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে, জিএসআই একাধিক অঞ্চলে এই গুরুত্বপূর্ণ সম্পদে সমৃদ্ধ এলাকা চিহ্নিত করেছে।” ৫৭ পাতার এক প্রতিবেদনে সংক্ষেপে উপস্থাপন করা হয়েছে তাদের অনুসন্ধানের ফলের সারসংক্ষেপ।

    চিনের সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন ভারত

    বিশ্বের প্রধান রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট রফতানিকারী দেশ হল চিন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে এই রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বেজিং। অথচ, এই রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে বৈদ্যুতিক যানবাহনের মোটর তৈরি-সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে (Critical Minerals)। প্রতিবেশী দেশের এই সিদ্ধান্ত পশ্চিমী দেশগুলির পাশাপাশি ভারতেও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। কারণ ২০২৫ অর্থবর্ষে ভারত তার ৫৪০ টন ম্যাগনেট আমদানির ৮০ শতাংশেরও বেশি সংগ্রহ করেছিল ড্রাগনের দেশ থেকেই। ইউরোপের জ্বালানি খাতও প্রায় ৯৮ শতাংশ সংগ্রহ করেছিল চিন থেকেই। ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল চিনের এই সিদ্ধান্তকে ভারতের জন্য এক সতর্কবার্তা বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “ভারতের উচিত বিকল্প সরবরাহ চেইন খুঁজে বের করা এবং চিনের ওপর নির্ভরতা কমানো (Northeast Region)।”

    উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অনন্য ভূতাত্ত্বিক গঠন

    জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অনন্য ভূতাত্ত্বিক গঠন — যার মধ্যে ওফিওলাইট বেল্ট, ক্ষার-আল্ট্রামাফিক কমপ্লেক্স এবং গ্রাফাইটযুক্ত সিস্ট রয়েছে — তা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ খনিজের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। ভারত যখন খনিজ-নির্ভর পরিচ্ছন্ন জ্বালানির পরিবর্তন ও প্রযুক্তিগত বিকাশের পথে এগিয়ে চলেছে, তখন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের খনিজ সম্পদ একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত (Critical Minerals)। উত্তর-পূর্বাঞ্চল অঞ্চলটি অরুণাচলপ্রদেশ, অসম, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম এবং ত্রিপুরা নিয়ে গঠিত এবং এটি প্রায় ২.৬২ লাখ বর্গকিলোমিটার বা ভারতের মোট ভৌগোলিক এলাকার প্রায় ৮ শতাংশ জুড়ে রয়েছে (Northeast Region)।

    অরুণাচলপ্রদেশে ভ্যানাডিয়ামের খোঁজ

    অরুণাচলপ্রদেশ ভারতের প্রাকৃতিক ফ্লেক গ্রাফাইটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভ্যন্তরীণ উৎস হিসেবে উঠে এসেছে। জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, পশ্চিম সিয়াং, পাপুম পাড়ে এবং লোয়ার সুবনসিরি জেলায় প্রচুর মজুত চিহ্নিত করা হয়েছে, এবং এ পর্যন্ত ১৭.৮৯ মিলিয়ন টনেরও বেশি গ্রাফাইট সম্পদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা ব্যাটারি ও রিফ্র্যাক্টরি (উচ্চতাপ প্রতিরোধক) ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত মানের। জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে (Critical Minerals), “এই অঞ্চলের গ্রাফাইট সাধারণত সূক্ষ্ম থেকে মাঝারি ফ্লেকযুক্ত হয়, যার ফিক্সড কার্বন কন্টেন্ট ৫ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত। এটি পরবর্তী পর্যায়ের পরিশোধন এবং লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির অ্যানোড-সহ উচ্চ-মূল্যবান ব্যবহারের জন্য একটি কার্যকর কাঁচামাল হিসেবে বিবেচিত হয়।” জানা গিয়েছে, অরুণাচলপ্রদেশে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হল ভ্যানাডিয়াম, যা স্টিল মিশ্র ধাতু এবং অন্যান্য শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাতু। জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অনুসন্ধানে মোট ১৩.৭৯ মিলিয়ন টন ভ্যানাডিয়াম পাওয়া গিয়েছে, যা এই গুরুত্বপূর্ণ মিশ্র ধাতুর ক্ষেত্রে ভারতের প্রথম বড় রকমের উৎস।

    অসম-মেঘালয়ে রেয়ার আর্থ এলিমেন্টস

    জিএসআই জানিয়েছে (Critical Minerals), অরুণাচল প্রদেশের পাপুম পারে জেলায় লোদোসো গ্রামের আশপাশের এলাকায় ২.১৫ মিলিয়ন টন ‘আয়রনসমৃদ্ধ ফিলাইট’ (এক ধরনের রূপান্তরিত শিলা)-এ রেয়ার আর্থ এলিমেন্টস পাওয়া গিয়েছে। অসম ও মেঘালয়েও রেয়ার আর্থ এলিমেন্টস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অসমে রেয়ার আর্থ এলিমেন্টসের ঘনত্ব প্রতি মিলিয়নে ১,০০০ থেকে ৫,০০০ এর মধ্যে। ঘনত্ব প্রতি মিলিয়নের অর্থ হল, প্রতি এক মিলিয়ন অংশের মিশ্রণে কোনও নির্দিষ্ট পদার্থের একটি অংশ। মেঘালয়ে এই ঘনত্বের পরিমাণ প্রতি মিলিয়নে ৩,৬৪৬ থেকে ৫,১০০-র মধ্যে (Northeast Region)।

    লিথিয়াম মজুদ

    জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, অরুণাচলপ্রদেশ, নাগাল্যান্ড ও অসমে লিথিয়াম মজুদের ইঙ্গিত মিলেছে। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, “নাগাল্যান্ড ও মণিপুরে অবস্থিত ওফিওলাইট শিলার সঙ্গে সম্পর্কিত নিকেল ও কোবাল্টের লক্ষ্যে সেখানে বিস্তারিত ভূ-রাসায়নিক সমীক্ষা ও শিলাচিত্র বিশ্লেষণ করা হচ্ছে (Critical Minerals)।”

  • Muscle cramps: হঠাৎ পায়ে-কোমরে খিঁচ! কেন হচ্ছে এই সমস্যা? কীভাবে মোকাবিলা করবেন?

    Muscle cramps: হঠাৎ পায়ে-কোমরে খিঁচ! কেন হচ্ছে এই সমস্যা? কীভাবে মোকাবিলা করবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ঘুম থেকে উঠে‌ কিংবা নিত্যদিনের ঘরোয়া কাজ করতে গিয়ে হঠাৎ পা কিংবা কোমরে যন্ত্রণা অনুভব হয়। অনেকেই হঠাৎ এই পা, ঘাড় কিংবা কোমরের পেশিতে খিঁচ (Muscle cramps) অনুভব করেন। যার ফলে দিন কয়েক ধরে ভোগান্তি চলে। স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হয়। এমনকী মারাত্মক ব্যথার জন্য অনেক সময় হাঁটাচলা করতেও সমস্যা হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকের ঘন ঘন এই ধরনের পেশিতে টানের মতো সমস্যা দেখা দেয়। আর তখন বাড়তি সতর্কতা জরুরি। বারবার দেহের বিভিন্ন পেশিতে টান, জানান দেয় শরীরে একধিক ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। সতর্ক না হলে বড় বিপদ হতে পারে।

    কেন‌ বারবার পেশিতে খিঁচ ধরে? (Muscle cramps)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পেশিতে খিঁচ বা টান অনুভব হয় মূলত দূর্বলতার কারণে।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরের ক্ষমতার বাইরে একটানা পরিশ্রম করলে, পেশি দুর্বল হয়ে যায়। আর তখন পেশিতে ল্যাকটিক অ্যাসিড জমা হয়। আর তার জেরেই পেশিতে টান বা খিঁচের মতো সমস্যা দেখা দিতে থাকে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়ে খেলোয়াড়দের প্র্যাক্টিসের সময় পেশিতে টান ধরে। লাগাতার অক্লান্ত পরিশ্রমের জেরেই এই সমস্যা হয়। দুর্বলতার পাশপাশি শরীরে জলের অভাব পেশিতে খিঁচের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মানুষের শরীরের ৭০ শতাংশ জল থাকে। সেই জলের সাহায্যেই মানুষের শরীরের একাধিক অঙ্গ সক্রিয় থাকে। পেশির সচলতা বাড়াতেও শরীরের ভিতরের জল সাহায্য করে। শরীরে এই পর্যাপ্ত পরিমাণ জল না থাকলেই পেশিতে নানান সমস্যা দেখা যায়। তার জেরেই কোমর, ঘাড় কিংবা হাতে-পায়ে খিঁচের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
    তবে, এর পাশপাশি শরীরে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ভিটামিনের ঘাটতি হচ্ছে কিনা সেদিকে নজরদারি জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরে এই উপাদানের ঘাটতি হলেই দুর্বলতা দেখা দেয়। পেশি শক্তি কমে এবং খিঁচ হতে পারে (Muscle cramps)।

    কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা সম্ভব?

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, লাগাতার কাজ করবেন না। দিনে যতই কাজের চাপ থাকুক না কেন, কাজের ফাঁকে অন্তত আধ ঘণ্টা অন্তর কিছুটা সময় বিশ্রাম জরুরি। সকালে ঘুম থেকে উঠেই কাজ শুরুর আগে কিছুটা সময় শারীরিক কসরত জরুরি। তবেই পেশি সচল থাকবে। পেশিতে টান ধরার (Muscle cramps) সমস্যাও কমবে।
    নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরে জলের ঘাটতি না হলে পেশিতে টান ধরার ঝুঁকিও কমে।
    জল খাওয়ার পাশপাশি ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি ১২ জাতীয় খাবার নিয়মিত খাওয়া দরকার। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত লেবুর রস, ডিম খাওয়া দরকার। এই ধরনের খাবারে শরীরে এনার্জির জোগান পাওয়া যায়। দুর্বলতা কম হয়‌। ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি ১২ চাহিদা পূরণ হয়। ফলে, পেশিতে টান ধরার সমস্যাও কমে।
    নিয়মিত যে কোনও ধরনের বাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তা জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের খাবার থেকে শরীর সহজেই পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের চাহিদা পূরণ করে‌। এর ফলে শরীরের পেশি মজবুত হয়। খিঁচের ঝুঁকিও কমে (Muscle cramps)।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Cauliflower: শীতের বাজারে দেদার মিলছে ফুলকপি, নিয়মিত এই সবজি খেলে শরীরে কী প্রভাব পড়ে?

    Cauliflower: শীতের বাজারে দেদার মিলছে ফুলকপি, নিয়মিত এই সবজি খেলে শরীরে কী প্রভাব পড়ে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীত বসেছে জাঁকিয়ে! আর এই মরশুমের সবচেয়ে জনপ্রিয় সবজি ফুলকপি (Cauliflower)। বিয়েবাড়ির নিরামিষ মেনুতে হোক, কিংবা বাড়ির খাবারের তালিকায়, এই সবজির হরেক পদের রান্না চলছে। দিন কয়েক ধরে বাজারে ফুলকপি দেদার মিলছে। সহজলভ্য এই ফুলকপি এখন নেট দুনিয়ারও রসিকতার বস্তু! তবে নিয়মিত ফুলকপি খেলে শরীরে গভীর প্রভাব পড়ে, এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। এখন দেখে নেওয়া যাক, কতখানি উপকারী এই ফুলকপি?

    হাড়ের জন্য বিশেষ উপকারী

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাড়ের সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত মহিলাদের মধ্যে হাড়ের ক্ষয় রোগের প্রকোপ মারাত্মকভাবে বাড়ছে। তাই হাড়ের যত্ন নেওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, হাড় সুস্থ ও মজবুত রাখতে খাবারের উপরে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া দরকার। আর যে সব খাবার হাড় মজবুত রাখে, তার মধ্যে অন্যতম হল ফুলকপি (Vegetable)। হাড়ের ক্ষয় রুখতে এবং হাড়কে মজবুত করতে ফুলকপি খুব সাহায্য করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফুলকপিতে থাকে‌ ভিটামিন কে। তাই এই এই সবজি হাড়ের জন্য বিশেষ উপকারী।

    স্থূলতার বিরুদ্ধে লড়ে (Cauliflower)

    জীবনযাপন সম্পর্কিত রোগে এখন অধিকাংশ তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা ভুগছেন। আর স্থূলতা সেই তালিকায় অন্যতম। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হৃদরোগ থেকে ডায়াবেটিস কিংবা বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যার কারণ লুকিয়ে থাকে অতিরিক্ত ওজনে। ফুলকপি ওজন কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফুলকপিতে ক্যালরি খুবই কম থাকে। ফলে ফুলকপি খেলে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

    হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ফুলকপি (Cauliflower) সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ফুলকপিতে থাকে গ্লুকোরোফেনিন। এই উপাদান হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে। হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়।

    কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমায়

    ফুলকপিতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকে। এই দুই উপাদান শরীরে কোলেস্টেরলের ঝুঁকিও কমায়। শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

    পাচনতন্ত্রের জন্য উপকারী (Cauliflower)

    শীতে অনেকেই হজমের সমস্যায় ভোগেন। আবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দেখা দেয়। ফুলকপি এই দুই সমস্যা মোকাবিলায় বিশেষ সাহায্য করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফুলকপি নিয়মিত খেলে পাচনতন্ত্র ভালো থাকে। ফুলকপিতে (Vegetable) থাকে ফাইবার। তাই এই উপাদান পাচনতন্ত্রের জন্য বিশেষ উপকারী। 

    তবে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত ফুলকপি খেলে দেহে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড থাকলে ফুলকপি নিয়মিত না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nutrition for kids: শিশু কি পুষ্টিকর খাবার খাচ্ছে? সন্তানের বুদ্ধির বিকাশ হবে কোন পাঁচ খাবারে?

    Nutrition for kids: শিশু কি পুষ্টিকর খাবার খাচ্ছে? সন্তানের বুদ্ধির বিকাশ হবে কোন পাঁচ খাবারে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সুস্থ থাকতে জরুরি সঠিক খাদ্যাভ্যাস। পুষ্টি ঠিকমতো না হলে শিশুর বিকাশ সম্ভব নয়। আর স্বাস্থ্যকর খাবার আর পুষ্টি ঠিকমতো না পেলে শিশুর একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষত বুদ্ধির বিকাশে মারাত্মক প্রভাব পড়ে! কারণ, শিশু কী খাবার খাচ্ছে, তার উপরে অনেকটাই তার মস্তিষ্কের বিকাশ নির্ভর করে। তাই ঠিকমতো পুষ্টিগুণ (Nutrition for kids) না পেলে শিশুর বুদ্ধির বিকাশ হয় না। যার প্রভাব সরাসরি তার পড়াশোনার উপরেই পড়ে। তাই পরীক্ষায় ভালো ফলের জন্য, সন্তানের বুদ্ধির বিকাশের জন্য পুষ্টির দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি বলেই জানাচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের মতে, ৩ থেকে ৫ বছর বয়সি শিশুদের খাদ্যাভ্যাসে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।‌ কারণ, এটা শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশের আদর্শ সময়। এই সময়ে তাই তার খাবারেও‌ বিশেষ‌ নজরদারি প্রয়োজন। কিন্তু প্রশ্ন হল, কোন পাঁচ খাবারে বুদ্ধির বিকাশের পথ সহজ হবে? এবার সেই বিষয়েই আলোচনা করা যাক।

    জলখাবারে থাকুক বাদাম (Nutrition for kids)

    বছর তিনেক বয়স থেকেই জলখাবারে বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবার নিয়মিত দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাঠবাদাম, কাজু কিংবা পেস্তা যে কোনও ধরনের বাদাম জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি থাকে। এই উপাদান শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই জলখাবারে নিয়মিত যে কোনও এক ধরনের বাদাম খাওয়া জরুরি। এর ফলে শিশুর বিভিন্ন বিষয় মনে রাখতে সুবিধা হয়।

    দিনে অন্তত এক ধরনের বেরি জাতীয় ফল 

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, দিনের যে কোনও সময় শিশুদের অন্তত এক ধরনের বেরি জাতীয় ফল (Nutrition for kids) দিতে হবে। স্ট্রবেরি, ব্লু বেরি বা যে কোনও বেরি জাতীয় ফল নিয়মিত খেলে মস্তিষ্কের বিকাশে বাড়তি সাহায্য হয়। কারণ, যে কোনও বেরি জাতীয় ফলে ভিটামিন সি পর্যাপ্ত থাকে।‌ এর পাশপাশি থাকে ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, ফসফরাস। এই উপাদানগুলি মস্তিষ্কের গঠনে বিশেষ সাহায্য করে। আবার স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।

    দুপুরের মেনুতে থাকুক মাছ এবং ডিম (Nutrition for kids)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুর বিকাশের জন্য মাছ এবং ডিম, এই দুই খাবারের পুষ্টিগুণ অত‌্যন্ত জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরের বিভিন্ন পেশি মজবুত করতে, রক্তে আয়রনের অভাব মেটাতে এবং শরীরে ভিটামিন‌-ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করতে মাছ এবং ডিম সাহায্য করে। তেমনি, মস্তিষ্কের বিকাশেও মাছ এবং ডিম-এই দুই খাবার‌ বিশেষভাবে সাহায্য করে। তাই শিশুকে নিয়মিত দুপুরে মাছ অথবা ডিম দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাছ এবং ডিম এই দুই খাবারেই থাকে ফ্যাটি অ্যাসিড। এই উপাদান মস্তিষ্কের বিকাশে‌ বিশেষত স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত এই দুই খাবার শিশুকে দিলে তার বিশেষ উপকার হবে।

    রাতের খাবারে থাকুক ‘রামধনু’ সব্জি

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সব্জি খাওয়ায় (Nutrition for kids) শিশুদের অভ্যস্ত করা জরুরি।‌ টমেটো, কুমড়ো, পটল কিংবা পালং শাক, বিভিন্ন রঙের সব্জি, সবুজ সব্জি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে।‌ কিন্তু অধিকাংশ শিশুই এখন নিয়মিত সবুজ সব্জি খায় না।‌ এর জেরে নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। মস্তিষ্কের বিকাশে এই সবুজ সব্জি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিট, মূলা, পটল কিংবা গাজর-এই বিভিন্ন রঙের সব্জিতে থাকে বিটা ক্যারোটিন। এই উপাদান মস্তিষ্কের বিকাশে বিশেষ সাহায্য করে। তাই একসঙ্গে বিভিন্ন রঙের সব্জি খাওয়ার অভ্যাস করা জরুরি। একেই ‘রামধনু’ সব্জি বলছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, এই সব সব্জি (Nutritious food) খেলে একদিকে শরীরের বিকাশ ঠিকমতো হবে, আবার মস্তিষ্কও সক্রিয় থাকবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malnutrition: কোন ভাবনা বাড়াচ্ছে অপুষ্টি? কী বলছে ইউনিসেফের সাম্প্রতিক রিপোর্ট?

    Malnutrition: কোন ভাবনা বাড়াচ্ছে অপুষ্টি? কী বলছে ইউনিসেফের সাম্প্রতিক রিপোর্ট?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ভারতে বাড়ছে অপুষ্টি! ইউনিসেফের সাম্প্রতিক রিপোর্ট (UNICEF’s latest report) অনুযায়ী, ভারতে প্রতি চার জনের মধ্যে একজন শিশু অপুষ্টিতে (Malnutrition) ভুগছে। আর সেই সঙ্গে বাড়ছে অপুষ্টিজনিত স্বাস্থ্য সমস্যা। পাশপাশি লিভার, পাকস্থলীর নানান রোগের প্রকোপও বাড়ছে। বিশেষত খুব কম বয়স থেকেই তাই নানান স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে। শিশুদের বিকাশেও তার প্রভাব পড়ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হচ্ছে না। আর তার জেরেই সমস্যা বাড়ছে।

    কেন বাড়ছে অপুষ্টি? (Malnutrition)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ পরিবারেই ‘কিছু একটা খেয়ে নিলেই হবে’ এই মনোভাব দেখা দিচ্ছে। অনেকেই সুষম আহার কিংবা পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে না। আর তার থেকেই বিপত্তি। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকালের জলখাবার কিংবা সন্ধ্যার খাবারে অধিকাংশ সময়েই বাইরের চটজলদি খাবার খাওয়া হচ্ছে (Malnutrition)। তরুণ প্রজন্মের একাংশ কলেজে যাওয়ার পরে প্রথম ব্রেকফাস্ট করছে। আবার স্কুল পড়ুয়ার টিফিনেও থাকছে নানা রকমের ভাজা কিংবা প্যাকেটজাত খাবার। এই ধরনের খাবারে অধিকাংশ সময়েই কোনও পুষ্টিগুণ থাকে না। ফলে পেট ভরলেও পুষ্টি পাচ্ছে না‌। এর জেরেই বাড়ছে‌ বিপদ। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ছোট থেকেই বাইরের নানান প্রিজারভেটিভ খাবারে শিশুরা অভ্যস্থ হয়ে পড়ছে। নানান মাংসের পদ প্রিজারভেটিভ করে খাওয়ার চল বেড়েছে। এর জেরে শরীরে নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সুষম আহারের ধারণা অধিকাংশ পরিবারেই নেই। তাই শিশুদের মধ্যেও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস তৈরি হচ্ছে না। এর জেরেই স্বাস্থ্য সমস্যা বাড়ছে।

    কোন বিপদ হতে পারে? (Malnutrition)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন অপুষ্টি শরীরে একাধিক রোগ তৈরি করে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে। ফলে নানান সংক্রামক রোগের প্রকোপ বাড়ে। ইনফ্লুয়েঞ্জা কিংবা পক্স, যে কোনও রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। পাশপাশি বিকাশেও সমস্যা দেখা যায়। মস্তিষ্কের বিকাশ ঠিকমতো হয় না‌। সর্বদাই ক্লান্তি অনুভব হয়। এছাড়া, হাড় ও পেশিতেও নানান সমস্যা দেখা দেয়। হাড়ে নানান রোগ হতে পারে। পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। পাকস্থলী ও লিভারেও অপুষ্টির জন্য নানান রোগ হতে পারে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা? (Malnutrition)

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সকালের জলখাবার কিংবা রাতের খাবারের সময় নির্দিষ্ট করা সবচেয়ে জরুরি। পুষ্টি সুনিশ্চিত করতে সময়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস প্রাথমিক শর্ত। সকালের জলখাবার দুধ, ফল কিংবা রুটি থাকা জরুরি। তেলেভাজা খাবার সকালে একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। রাতে দীর্ঘ সময় না খাওয়ার জেরে পাকস্থলী খালি থাকে। তাই সকালের প্রথম খাবার তেলেভাজা হলে, তা হজমের সমস্যা তৈরি করে‌। দুপুরের খাবারে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন ও ফ্যাটের পরিমাণ ঠিকমতো থাকা জরুরি। অর্থাৎ ভাত কিংবা রুটির সঙ্গে ডাল, সবজি এবং মাছের মতো পদ থাকতে হবে (Malnutrition)। শিশু বয়স থেকেই সবজি, ডাল খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। না হলে শরীরের সবরকম চাহিদা মিটবে না। রাতের খাবার ন’টা থেকে সাড়ে ন’টার মধ্যে শেষ করা জরুরি। হালকা খাবার যেমন স্ট্রু, তার সঙ্গে রুটি কিংবা ডাল আর সবজি এই জাতীয় খাবার মেনুতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, সহজেই হজম হবে, এমন খাবার খাওয়া জরুরি। পাশাপাশি মাছ-মাংসের সঙ্গে সবজি যেন সমান ভাবেই খাওয়া হয়, সে দিকে নজর রাখতে হবে। তবেই শরীরে ঠিকমতো পুষ্টি পাবে‌। তেলে ভাজা খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। যা হোক খেয়ে পেট ভরানো নয়। বরং পুষ্টিকর খাবার পর্যাপ্ত খাওয়া হচ্ছে কিনা সে দিকে নজরদারি জরুরি। তবেই একাধিক রোগ প্রতিরোধ করা সহজ হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pulses: শিশু থেকে বয়স্ক, নিয়মিত ডাল খেলে কোন কোন রোগ থেকে মুক্তি মিলবে? 

    Pulses: শিশু থেকে বয়স্ক, নিয়মিত ডাল খেলে কোন কোন রোগ থেকে মুক্তি মিলবে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ভাত হোক কিংবা রুটি, ভারতীয়দের খাবারে ডাল (Pulses) অতি পরিচিত এক পদ। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত ডাল খেলে শরীরে রোগের ঝুঁকি কমবে। এমনকী বেশ কিছু রোগের মোকাবিলা সহজ করে দেবে ডাল। তাই শিশু থেকে বয়স্ক, সব বয়সেরই খাবারের তালিকায় ডাল রাখতে হবে‌। দুপুর কিংবা রাতে ভাত-রুটির সঙ্গে ডাল আবশ্যিক। এবার দেখে নেওয়া যেতে পারে, কোন ডালে কোন রোগ কাবু হয়?

    মুগ ডালে বাড়তি উপকার ডায়াবেটিস আক্রান্তদের (Pulses)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, মুগ ডালে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফেনলিগ যৌগ। এই দুই উপাদান শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। বিশেষত ডায়াবেটিস আক্রান্তদের শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান খুবই জরুরি। কারণ, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের একাধিক রোগে বিশেষত সংক্রামক রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই মুগ ডাল তাদের জন্য বাড়তি উপকারী। এছাড়াও, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের শরীরে এনার্জির জোগানে ঘাটতি দেখা দেয়। মুগ ডালে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, দস্তার মতো খনিজ পদার্থ। এর জেরে এই ডাল নিয়মিত খেলে শরীরে খনিজ পদার্থের চাহিদা পূরণ হবে। ফলে, ক্লান্তি বোধ কমবে‌।

    কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রেখে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবে ছোলার ডাল

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ছোলার ডাল শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। বিশেষত, উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের সমস্যায় আক্রান্তদের এই ডাল বাড়তি উপকারী। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ছোলার ডাল দেহে জমে থাকা অতিরিক্ত টক্সিন দূর করে। বাজে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে‌। তাছাড়া এই খাবারে রয়েছে ফাইবার। তাই মস্তিষ্ক ও হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা বাড়ায়‌। তাই চল্লিশোর্ধ্বদের নিয়মিত ছোলার ডাল (Pulses) খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সপ্তাহে অন্তত দুই বা তিন দিন ভাত-রুটির সঙ্গে থাকুক এক বাটি ছোলার ডাল। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে। স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমবে।

    মুসুর ডাল পেশির সমস‌্যা কমাবে, রুখবে অস্ট্রিয়পোরেসিস (Pulses)

    মুসুর ডালে রয়েছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম। তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, মহিলাদের নিয়মিত অন্তত এক বাটি মুসুর ডাল খাওয়া দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে পেশির সমস্যা। কম বয়স থেকেই পেশি দুর্বল হয়ে যাচ্ছে‌। হাড় ক্ষয়ের সমস্যাও বাড়ছে। বিশেষত অধিকাংশ পঞ্চাশোর্ধ্ব মহিলাদের অস্ট্রিয়পোরেসিসের মতো সমস্যা বাড়ছে। ক্যালসিয়ামের ঘাটতির জেরেই এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই দেহে প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের জোগান বজায় রাখতে মুসুর ডাল খুবই উপকারী (Pulses in Diet)।

    হজমের গোলমাল কমাবে মটর ডাল

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, মটর ডালে (Pulses) রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। তাই নিয়মিত মটর ডাল খেলে হজমের গোলমাল কমে। অন্ত্রের জন্য মটর ডাল খুবই উপকারী।

    উচ্চ রক্তচাপ এবং স্থূলতা নিয়ন্ত্রণ করবে রাজমা

    ভারতের আরেক জনপ্রিয় ডাল‌ হল রাজমা। এই ডালে (Pulses) প্রোটিন, ভিটামিনের পাশপাশি রয়েছে ফাইবার। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজমা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। পাশাপাশি রাজমা ওজন নিয়ন্ত্রণে খুবই সাহায্য করে। তাই ভাতের সঙ্গে রাজমা খেলে শরীর ভালো থাকে। ভাতে কার্বোহাইড্রেট থাকে। তার সঙ্গে রাজমার মতো ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে দেহে এনার্জির জোগান হয়। আবার ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই সপ্তাহে অন্তত তিন দিন ভাতের সঙ্গে রাজমা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sugarcane Juice: তাপপ্রবাহের ঠেলায় নাস্তানাবুদ? এনার্জি ফিরে পেতে আখের রসের জুড়ি মেলা ভার!

    Sugarcane Juice: তাপপ্রবাহের ঠেলায় নাস্তানাবুদ? এনার্জি ফিরে পেতে আখের রসের জুড়ি মেলা ভার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে মানুষ ঠান্ডা পানীয়ের ওপর অনেক সময়ই নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। বাইরের তীব্র গরমে নিজের শরীরকে কিছু সময়ের জন্য ঠান্ডা করতে নানান ফলের জুস থেকে শুরু করে ঠান্ডা পানীয় খেয়ে থাকেন অনেকেই। কিন্তু এই গরমে আরও এক পানীয় হল আখের রস (Sugarcane Juice), যা অনেকেরই প্রিয়। ভারতীয় ঐতিহ্য এবং আয়ুর্বেদিক দিক থেকে আখের রস একটি পুষ্টিকর ও উপকারী পানীয় নামেই পরিচিত। এতে ফাইবার ও বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর উপাদান থাকে, যা মানুষের শরীরকে ঠিক রাখতে নানান ভাবে সাহায্য করে। তবে যারা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত, তাদের এই আখের রস এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। কারণ এটি আচমকা মানব শরীরের শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে পারে।

    কোথায় মেলে? (Sugarcane Juice)

    ভারতের বিভিন্ন জায়গা যেমন মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, গোয়া, পন্ডিচেরি এবং কেরলে আখ চাষ হয়। এই আখের রস একটি স্বাস্থ্যকর পানীয়। যা গরম আবহাওয়া থেকে মানব শরীরকে সুস্থ সতেজ রাখে। তাছাড়াও ক্লান্তি, হিট স্ট্রোক প্রভৃতি থেকে শরীরকে দূরে থাকে। গরমে মানুষের শরীরকে হাইড্রেট রাখাটা খুবই দরকারি। তাই এই আখের রসই হয়ে উঠতে পারে এক গুরুত্বপূর্ণ পানীয়। আসুন, দেখে নিই, কী কী উপকারিতা আছে এই আখের রসের।

    প্রাকৃতিক এনার্জি ড্রিংক

    এটি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এক গ্লাস আখের রস (Sugarcane Juice) এই তীব্র গরমে আপনার ক্লান্ত শরীরকে নিমেষে শক্তি জোগাতে পারে। আখের রসে আছে গ্লুকোজ, এবং বিভিন্ন ইলেক্ট্রোলাইট যা শরীরকে তাৎক্ষণিক ঠান্ডা করতে সাহায্য করে।

    ক্যান্সার রোধে সাহায্যকারী (Sugarcane Juice)

    বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই আখের রসের মধ্যে আছে ক্যান্সার রোধের গুণাবলী। আখের রস শরীরে পাওয়া ফ্লেভোন ক্যান্সার কোষের উৎপাদন ও বিস্তার বন্ধ করতে সাহায্য করে। শরীরের পিএইচ-এর মাত্রা সঠিক রাখতে সাহায্য করে।

    কিডনি ভালো রাখে

    আখের রস উপকারী মূত্রবর্ধক (Sugarcane Juice) হিসেবেও পরিচিত। কারণ এটি কিডনির কার্যক্ষমতাকে স্বাভাবিক রাখে, দেহের অতিরিক্ত লবণ অপসারণ করে এবং শরীরকে কিডনি জনিত নানান সমস্যা থেকে দূরে রাখে।

    ত্বক ভালো রাখতে উপকারী

    আখের রসের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেসিয়াম, এবং অন্যান্য ইলেক্ট্রোলাইট পদার্থ যা আমাদের শরীরের রক্ত প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে ও স্বাভাবিক রাখে যা সুন্দর ত্বক পেতে সাহায্য করে। তাছাড়াও বার্ধক্যজনিত সমস্যা থেকে ত্বককে দূরে রাখে (Sugarcane Juice)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vegetables: সবুজ শাক-সব্জিতেই রয়েছে দাওয়াই! কোন সব্জির গুণে কমবে কোন সমস্যা?

    Vegetables: সবুজ শাক-সব্জিতেই রয়েছে দাওয়াই! কোন সব্জির গুণে কমবে কোন সমস্যা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    কোনও কৃত্রিম পদ্ধতি নয়। বরং সবুজ শাক-সব্জি (Vegetables) নিয়মিত খেলেই একাধিক রোগের মোকাবিলা করা সম্ভব। বিশ্ব জুড়ে এমন হাজার হাজার সব্জি আর শাক রয়েছে, যা থেকে একাধিক জটিল রোগ মোকাবিলা করা যেতে পারে। তবে, এগুলোর অধিকাংশ পাওয়া যায় ভারতে। এমনই কথা সম্প্রতি জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আধুনিক জীবন যাপনের জন্য যে সমস্ত রোগের দাপট বাড়ছে, তাদের রুখতে দাওয়াই রয়েছে ভারতেই। এমনই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

    কী বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা? (Vegetables)

    সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কোলেস্টেরল,‌ উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতার সমস্যা রুখতে পারে ভারতীয় সব্জি এবং শাক। সংস্থার তরফে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সব্জির কথা বলা হয়েছে। যা নিয়মিত খেলে রোগ মোকাবিলা সম্ভব। আর সেখানেই রয়েছে ভারতের ২১০০ শাক ও সব্জির তালিকা (Vegetables)। যা ‘লাইফস্টাইল ডিজিজ’ রুখতে বিশেষ সাহায্য করে।

    কোন সব্জির গুণে কোন‌ রোগ কমবে? (Vegetables)

    বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, আধুনিক ব্যস্ত জীবন যাপনের জেরে নানান রোগ বাড়ছে‌। কাজের চাপ, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় চটজলদি খাবারে অভ্যস্ত হওয়ার জেরেই ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, স্থূলতা, হৃদরোগ, বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যা বাড়ছে। 
    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এমন কিছু শাক-সব্জি (Vegetables) রয়েছে, যেগুলো নিয়মিত খেলে এই ধরনের সমস্যা কমবে। আর সেই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে মেথি শাক। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত মেথি শাক খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে। মেথি শাকে থাকে ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন।‌ একদিকে এই শাক ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে, আরেকদিকে শরীরের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। অর্থাৎ স্থূলতার সমস্যা কমাতেও বিশেষ‌ সাহায্য করে এই শাক। 
    যে কোনও রান্নায় এলাচ ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ভারতীয় এই মশলা একাধিক রোগের প্রতিরোধে বিশেষ সাহায্য করে বলে জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। একদিকে হজমের সমস্যা কমায়। আবার এলাচ ফুসফুসের জন্য বিশেষ উপকারী বলেও‌ জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 
    নিয়মিত করলা খেলেও পাওয়া যাবে বিশেষ উপকার। এমনই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, করলায় (Vegetables) থাকে ফ্রুক্টোসামিন, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। তাছাড়া করলায় আছে ভিটামিন এ। যা দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখতে বিশেষ উপকারী। এছাড়া করলায় রয়েছে ফাইবার। এটা স্থূলতা রুখতে বিশেষ সাহায্য করে‌। 
    এছাড়া ফুলকপি, পালং শাক এবং পুঁই শাক হৃদরোগ রুখতে বিশেষ সাহায্য করে বলে জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।‌ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সব সবুজ সব্জি এবং শাকে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার। তাই কোলেস্টেরল কমাতে এবং হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে এই ধরনের সব্জি উপকারি। 

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিয়মিত বাড়িতে তৈরি কম তেলমশলার সবুজ সব্জি খেলে সুস্থ জীবনযাপন সম্ভব।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share