Tag: Ministry of External Affairs

Ministry of External Affairs

  • DIG Harcharan Singh Bhullar: ৭.৫ কোটির বেশি নগদ টাকা, ২.৫ কেজি সোনা, ৫০ টি সম্পত্তি উদ্ধার হরিচরণ ভুল্লার বাড়িতে

    DIG Harcharan Singh Bhullar: ৭.৫ কোটির বেশি নগদ টাকা, ২.৫ কেজি সোনা, ৫০ টি সম্পত্তি উদ্ধার হরিচরণ ভুল্লার বাড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুষকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন পঞ্জাবের ডিআইজি হরিচরণ ভুল্লার (DIG Harcharan Singh Bhullar)। তাঁর মতো পুলিশ অফিসার যে দুর্নীতি করে বিপুল সম্পত্তির পাহাড় গড়েছিলেন সেই সত্যকেই এবার প্রকাশ করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই জানিয়েছে, ৭.৫ কোটির বেশি নগদ টাকা, ২.৫ কেজি সোনা, ৫০ টি সম্পত্তি এবং আরও নানা জিনিসের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সিবিআই-এর (CBI) এই অভিযানে একশ্রেণীর মানুষের মনে প্রশ্ন উঠেছে সরকারি অফিসার এতো সম্পত্তির মালিক কীভাবে হলেন? স্তম্ভিত গোটা পুলিশ মহল এবং আমজনতা! উত্তর নেই ভুল্লারের কাছেও। অবশ্য ভুল্লার নিজেও দুর্নীতি দমনে খুব দক্ষ অফিসার ছিলেন, অথচ নিজেই সেই কাজে এখন অভিযুক্ত। এই প্রশ্নই এখন দেশজুড়ে সমাজমাধ্যমে ব্যাপক শোরগোল ফেলেছে।

    ১০০টি তাজা কার্তুজ সহ চারটি আগ্নেয়াস্ত্রও বাজেয়াপ্ত (DIG Harcharan Singh Bhullar)

    সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিআইজি ভুল্লারের (DIG Harcharan Singh Bhullar) বাসভবনে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে ৫ কোটি নগদ টাকা এবং ১.৫ কেজি সোনার অলঙ্কার। সেই সঙ্গে এই বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে আরও বিপুল পরিমাণ মূল্যবান জিনিসপত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। আবার ভুল্লারের চণ্ডীগড়ের বাসভবন থেকে প্রায় ৭.৫ কোটি টাকা নগদ অর্থ, ২.৫ কেজি ওজনের সোনার গয়না, রোলেক্স এবং রাডোর মতো ব্র্যান্ড সহ ২৬টি বিলাসবহুল ঘড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যের নামে সন্দেহজনক বেশকিছু বেনামী সম্পত্তিরও খোঁজ মিলেছে। এখনও পর্যন্ত ৫০টিরও বেশি স্থাবর সম্পত্তির নথি, লকারের চাবি এবং একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণের তথ্য উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও তাঁর বাড়ি থেকে ১০০টি তাজা কার্তুজ সহ চারটি আগ্নেয়াস্ত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আবার সমরালায়ে ওঁই অফিসারের মালিকানাধীন খামারবাড়ি থেকে ১০৮ বোতল মদ, ৫.৭ লক্ষ টাকা নগদ অর্থ এবং ১৭টি তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

    ৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে মোহালিতে গ্রেফতার

    সিবিআই (CBI) আরও জানিয়েছে, ভুল্লার (DIG Harcharan Singh Bhullar) আরও একজন সহযোগীর বাড়ি থেকে ২১ লক্ষ টাকা নগদ পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর নথিও উদ্ধার হয়েছে। অভিযুক্ত পঞ্জাব পুলিশের রোপার রেঞ্জের ডিআইজি হরচরণ সিং ভুল্লার এবং তাঁর সহযোগীকে আজ চণ্ডীগড়ের সিবিআই আদালতে হাজির করা হয়েছে। আদালত অভিযুক্ত অফিসার এবং তাঁর সহযোগীকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। উল্লেখ্য ৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় মোহালিতে সিবিআইয়ের  হাতে ধরা পড়েন ভুল্লার। এরপরই তথ্যের সূত্রে ধরে চলে অভিযান এবং অবৈধ সম্পত্তি টাকা উদ্ধারের কাজ।

  • Bangladesh: ত্রিপুরায় তিন মৃত বাংলাদেশি গরু পাচারে অভিযুক্ত, দাবি বিদেশ মন্ত্রকের

    Bangladesh: ত্রিপুরায় তিন মৃত বাংলাদেশি গরু পাচারে অভিযুক্ত, দাবি বিদেশ মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার ত্রিপুরায় তিন বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (Ministry of External Affairs) বিবৃতি জারি করে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে গণপিটুনির দাবি সম্পূর্ণ ভাবে মিথ্যা। নিহত তিন বাংলাদেশি নাগরিক (Bangladesh) চোরাকারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিল। প্রথমে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশ করেছিল তারা এবং সেই সঙ্গে সীমান্তবর্তী গ্রামবাসীদের ওপরে হামলা চালিয়ে হিংসাত্মক কাজ করে। ফলে ইউনূস সরকারের মিথ্যা অভিযোগকে সম্পূর্ণভাবে আরও একবার প্রত্যাখান করায় মুখ পুড়ল বাংলাদেশেরই।

    গ্রাম থেকে গরু চুরি করার অপচেষ্টা করে

    বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র (Ministry of External Affairs) রণধীর জয়সওয়ালের সাফ কথা, ঘটনাটি গত ১৫ অক্টোবর ত্রিপুরায় ঘটেছিল। ভারতীয় সীমান্ত খোয়াই জেলার ৩ কিমি ভিতরে এই এলাকা। বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে তিনজন দুষ্কৃতীর একটি দল আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে ঢুকে পড়েছিল। এরপর বিদ্যাবিল গ্রাম থেকে গরু চুরি চেষ্টা করে তারা। সেই সঙ্গে তারা লোহার দা ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে এবং একজন গ্রামবাসীকে কুপিয়ে খুন করে। এরপর গ্রামবাসীরাই চোরদের আক্রমণের জবাব দেয়। ঘটনাস্থলে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই চোরকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। অপর আরেকজনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরের দিন মৃত্যু হয়।

    প্রয়োজনীয় স্থানে বেড়া দিতে হবে

    নিহত তিন চোরাকারবারির মৃতদেহ শনাক্ত করার পর জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা বাংলাদেশের (Bangladesh) হবিগঞ্জের বাসিন্দা। তাদের পরিচয় জুয়াল মিয়া, সজল মিয়া এবং পণ্ডিত মিয়া। তিন জনের মৃতদেহ বাংলাদেশের প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে মৃতদেহ পাঠানোর সময় ভারতের বিএসএফ এবং বাংলাদেশের বিজেবি সহ পুলিশ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ইতিমধ্যে ত্রিপুরা সরকার এই বিষয়ে একটি মামলাও দায়ের করেছে। তবে বাংলাদেশের গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমে এই ঘটনাকে ঘিরে বিভ্রান্তি ছড়ালে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক কঠোর ভাবে নিন্দা জানায়। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (Ministry of External Affairs) ইতিমধ্যে দুই দেশের সীমান্তে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আবেদন করেছে। চোরাচালান ও অনুপ্রবেশ রোধের জন্য প্রয়োজনীয় স্থানে বেড়া দেওয়ার বিষয়েও মত প্রকাশ করেছে। একই ভাবে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের কথা মাথায় রেখে উভয় সীমান্তে সতর্কতার বার্তাও দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

  • India Pakistan Relation: ‘পাকিস্তানের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শান্তির পথে সবচেয়ে বড় বাধা’, বলল বিদেশ মন্ত্রক

    India Pakistan Relation: ‘পাকিস্তানের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শান্তির পথে সবচেয়ে বড় বাধা’, বলল বিদেশ মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ভূখণ্ডে অবৈধ ও জোর করে দখলে রাখা এলাকা ছেড়ে দিক পাকিস্তান (India Pakistan Relation)। তাহলেই সীমান্তে শান্তি ফিরবে। পাকিস্তানের কাশ্মীর সম্পর্কিত মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে, বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এই কথা বলেন। তাঁর দাবি, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে সহায়তা প্রদান শান্তি ও নিরাপত্তার পথে সবচেয়ে বড় বাধা। পাকিস্তানই সন্ত্রাসবাদের আখড়া! সন্ত্রাসবাদের যে বীজ পাকিস্তান বপন করেছে, তার ফল তাদেরকে ভুগতে হচ্ছে, বলে জানান রণধীর।

    পাকিস্তানের বিশ্বাসঘাতকতা

    সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক মার্কিন পডকাস্টে পাকিস্তানের (India Pakistan Relation) সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার প্রচেষ্টার কথা শেয়ার করেন। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী পদে প্রথম শপথ গ্রহণের সময় তখনকার পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে আমন্ত্রণ করেছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদি উল্লেখ করেন যে, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁর প্রতিটি প্রচেষ্টা শত্রুতা ও বিশ্বাসভঙ্গের শিকার হয়েছে। তিনি বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে শান্তির উদ্দেশ্যে লাহোরে গিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর, আমি বিশেষভাবে পাকিস্তানকে আমার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম, যেন আমরা একটি নতুন অধ্যায় শুরু করতে পারি। তবুও, শান্তির প্রতি আমার প্রতিটি মহৎ প্রচেষ্টা শত্রুতা ও বিশ্বাসভঙ্গের মুখে পড়েছিল।” কিন্তু এই পডকাস্ট প্রচারের পর পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনে। পাক বিদেশমন্ত্রকের দাবি, ভারত রেষারেষি করছে। পাক-ভূমে সন্ত্রাসকে মদত দিচ্ছে দিল্লি। পাকিস্তান দাবি করেছে যে, বালোচ বিদ্রোহীরা জাফর এক্সপ্রেস ট্রেন হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল এবং তারা আফগানিস্তানের রিং লিডারদের সঙ্গে যোগাযোগে ছিল। ভারত এই ঘটনার মজা নিয়েছে।

    গুজব ছড়ানোর প্রয়াস

    পাকিস্তানের (India Pakistan Relation) বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র শাফকত আলি খান দাবি করেছিলেন, “ভারত পাকিস্তানে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত। বিশেষত, জাফর এক্সপ্রেস হামলায়, সন্ত্রাসীরা তাদের হ্যান্ডলারদের এবং রিং লিডারদের সঙ্গে আফগানিস্তানে যোগাযোগ করেছিল।” ভারত এই অভিযোগ সম্পূর্ণ খারিজ করেছে। দিল্লির তরফে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা পাকিস্তানের মিথ্যা অভিযোগগুলো অস্বীকার করছি। পৃথিবী জানে, বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের উৎস কোথায়। পাকিস্তানকে অন্যদের ওপর দোষ চাপানোর বদলে নিজেদের ভেতরে দেখতে হবে।” বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘পাকিস্তানের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বিদ্বেষে ভরা। ভারত-বিরোধী প্রচার চালানোর এটি একটি নবতম পন্থা। সারা বিশ্ব জানে, পাকিস্তান দীর্ঘ দিন ধরে সন্ত্রাসবাদ, সংগঠিত অপরাধ এবং অবৈধ আন্তর্দেশীয় কার্যকলাপের কেন্দ্রস্থল। পাকিস্তান যেমন বীজ বপন করবে, তেমন ফসলই পাবে।’’

    কাশ্মীর নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার

    রণধীর দাবি করেন, পাকিস্তান (India Pakistan Relation) গুজব না ছড়িয়ে বরং জোর করে ভারতের যে যে জায়গা তারা দখল করে রেখেছে তার ওপর থেকে সরে যাক। পাক দখলীকৃত জায়গা দিল্লিকে ফিরিয়ে দিলেই, ভারত সেখানে উন্নয়নের জোয়ার আনবে। সম্প্রতি কাশ্মীর প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘আমরা সবাই সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার কথা বলি। বিশ্বের বিভিন্ন নিয়মের মধ্যে যা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে অন্য কোনও দেশের এলাকায় সবথেকে দীর্ঘ অবৈধ উপস্থিতির সাক্ষী রয়েছে ভারতের কাশ্মীর।’ কাশ্মীর প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং পশ্চিমী বিশ্বের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমরা ইউনাইটেড নেশনসে গিয়েছি। কাশ্মীরের একাংশ দখলের ঘটনাকে বিতর্ক বলে দাবি করা হচ্ছে। তাহলে অপরাধী কে? ব্রিটেন, কানাডা, বেলজিয়াম, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা? আমাকে ক্ষমা করবেন। ওই বিষয়ে আমার এই রকম অনেক প্রশ্ন আছে।’ এর পরই রাষ্ট্রপুঞ্জের ভূমিকা শক্তিশালী করে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমরা চাই শক্তিশালী রাষ্ট্রপুঞ্জ। কিন্তু শক্তিশালী রাষ্ট্রপুঞ্জের দরকার নিরপেক্ষতা। শক্তিশালী গ্লোবাল অর্ডারে কিছু বেসিক স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখতে হবে। অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা যেমন দরকার, তেমন আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলারও প্রয়োজন।’

    ভারতকে দোষারোপের কারণ নেই

    বিদেশমন্ত্রীর দাবিকে মান্যতা দিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ভারত (India Pakistan Relation) এবং অন্যান্য অনেক দেশ প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে এই বলে বারবার সতর্ক করেছে যে, সন্ত্রাস এবং হিংসার সংস্কৃতির কারণে তারা নিজেদেরই ক্ষতি করছে। পাকিস্তানের নিজস্ব কর্মকাণ্ডের জন্য ভারতকে দোষারোপ করা কোনও যুক্তিযুক্ত সমাধান হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেছে বিদেশ মন্ত্রক। দিল্লির দাবি, অন্যের দিকে আঙুল তোলা এবং অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য বহিরাগত শক্তিকে দোষারোপ করার পরিবর্তে পাকিস্তানের আত্মসমালোচনা করা উচিত।

  • Arvind Kejriwal: কেজরিওয়াল ইস্যুতে মার্কিন মন্তব্য, কড়া প্রতিক্রিয়া বিদেশ মন্ত্রকের

    Arvind Kejriwal: কেজরিওয়াল ইস্যুতে মার্কিন মন্তব্য, কড়া প্রতিক্রিয়া বিদেশ মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) গ্রেফতারি নিয়ে মার্কিন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সে দেশের কূটনীতিকে ডেকে পাঠানোর ঠিক একদিন পরেই ফের বিবৃতি দিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। বৃহস্পতিবারই বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন যে ভারতের আইনি ব্যবস্থা এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে যে কোনও বিদেশি দাবিকে মানা হবে না। প্রসঙ্গত, গতকালই ভারত কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে মার্কিন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কড়া অবস্থান নেয়। প্রসঙ্গত, কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) গ্রেফতারি এবং কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মার্কিন সরকারের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। এনিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমরা চাইছি, আইনি প্রক্রিয়া যাতে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হয়। এছাড়া এই প্রক্রিয়ার ওপরে আমরা নজর রাখছি।’’

    কী বললেন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র?

    এ নিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘আমাদের দেশ গর্বিত রয়েছে তার স্বাধীন এবং শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা দায়বদ্ধ দেশের সার্বভৌমত্বকে বিদেশি শক্তি থেকে রক্ষা করার জন্য। ভারতবর্ষের আইনি প্রক্রিয়া সবসময় ‘রুল অফ ল’- এর ওপরে প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সবথেকে উল্লেখযোগ্য উপাদান হল পারস্পরিক শ্রদ্ধা।’’

    ঘটনার প্রেক্ষাপট

    আবগারি নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। বর্তমানে জেলে রয়েছেন তিনি। কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে মন্তব্য করেছে আমেরিকা। তার জেরে বুধবারই ভারতের মার্কিন দূতাবাসের এক শীর্ষ কূটনীতিককে তলব করে ব্যাখ্যা চায় সাউথ ব্লক। ভারত সরকার বুধবার দেশে থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি চিফ অফ মিশনের সঙ্গে ৪০ মিনিট ধরে বৈঠকও করে। তার আগে তাঁকে সাউথ ব্লকে বিদেশ মন্ত্রকের অফিসে তলব করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই বিবৃতি দিয়েছিল আমেরিকা। মার্কিন এক কূটনীতিক মন্তব্য করেছিলেন, তাঁরা পুরো ঘটনার ওপর নজর রাখছেন (Arvind Kejriwal)। এই ঘটনায় স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও দ্রুত আইনি পদক্ষেপও আশা করছেন তাঁরা। এর পরেই মার্কিন ওই কূটনীতিককে ডেকে পাঠায় নয়াদিল্লি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: সুকান্ত মজুমদারের উদ্যোগ সফল, ঘরে ফিরলেন দুবাইয়ে আটক শ্রমিকরা

    Dakshin Dinajpur: সুকান্ত মজুমদারের উদ্যোগ সফল, ঘরে ফিরলেন দুবাইয়ে আটক শ্রমিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুবাইয়ে আটকে থাকা দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) ১৫ জন শ্রমিককে ফিরিয়ে আনল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। দিন কয়েক আগে, গত ১১ তারিখে এই শ্রমিকদের নামের তালিকা বিদেশ মন্ত্রকের হাতে তুলে দিয়েছিলেন বালুঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তারপরই সরকার বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় হয়ে ওঠে। অবশেষে মেলে সাফল্য। স্বভাবতই ওইসব শ্রমিকদের পরিবারে খুশির আবহ। সকলেই এই কাজের জন্য সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এঁদের মধ্যে বুধবার রাজ্যের দশজন শ্রমিক বালুরঘাট-হাওড়া এক্সপ্রেসে গঙ্গারামপুর স্টেশনে পৌঁছান। সেখানে বিজেপির পক্ষ থেকে তাঁদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

    কী সমস্যায় পড়েছিলেন এঁরা? (Dakshin Dinajpur)

    উল্লেখ্য, গত ১ তারিখে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর ও অন্যান্য এলাকা থেকে বেশ কিছু শ্রমিককে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে দুবাই নিয়ে যাওয়া হয়। ৬ তারিখে দুবাইয়ে পৌছে শ্রমিকরা জানতে পারেনক, তাঁদের কম পারিশ্রমিক যেমন দেওয়া হচ্ছে, তেমনি কাজও করানো হচ্ছে অতিরিক্ত। দেশে ফিরতে চাইলেও ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না। একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে শ্রমিকরা তাঁদের পরিবারকে বিষয়টি জানান। এরপর পরিবারের লোকেরা বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে বিষয়টি জানালে সুকান্তবাবু তাঁদের ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দেন। এরপর সুকান্তবাবু দিল্লিতে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সাথে দেখা করে ওই শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তাঁর হাতে শ্রমিকদের নামের তালিকা তুলে দেন। এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার জানান, বিদেশ মন্ত্রকের হাতে শ্রমিকদের নামের তালিকা তুলে দেওয়ার পর বিদেশ মন্ত্রকের তৎপরতায় তাঁদের দেশে (Dakshin Dinajpur) ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে ‌হয়েছে।

    ফিরে কী বললেন শ্রমিকরা? (Dakshin Dinajpur)

    এই বিষয়ে শ্রমিকরা বলেন, আমরা সেখানে কাজ করতে যাওয়ার পর আমাদেরকে একটা ঘরে ১৫ দিন ধরে আটকে রেখেছিল। আমরা তারপর ভিডিওবার্তার মাধ্যমে খবর পাঠাই। সুকান্তবাবুর সাথে যোগাযোগ করে আমাদের পরিবার। তারপর সুকান্ত মজুমদারের এই প্রচেষ্টায় আজ আমরা দেশে ফিরি। এতে খুশি আমরা ও আমাদের পরিবারের লোকেরা (Dakshin Dinajpur)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CAA: সিএএ ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’, মার্কিন উদ্বেগ ‘অযৌক্তিক’, জানাল নয়াদিল্লি

    CAA: সিএএ ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’, মার্কিন উদ্বেগ ‘অযৌক্তিক’, জানাল নয়াদিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সোমবারই সিএএ (CAA) চালু করেছে মোদি সরকার। এনিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে আমেরিকাকে। সিএএ ভারতে কীভাবে প্রয়োগ করা হবে, সেদিকে ওয়াশিংটন নজর রাখবে বলে জানিয়েছিল তারা। আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্রের এই বিবৃতির পরে জবাব দিল নয়াদিল্লি। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে ওয়াশিংটনের এই বিবৃতিকে ‘অযৌক্তিক’ বলা হয়েছে। সিএএ ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলেও উল্লেখ করেছে নয়াদিল্লি।

    কী বললেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র?

    ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র শুক্রবার এবিষয়ে জানিয়েছেন, সিএএ (CAA) প্রসঙ্গে আমেরিকার বিবৃতি ‘অযৌক্তিক, ভুল তথ্য দ্বারা পরিচালিত এবং ভুল জায়গায় প্রযুক্ত’। নিজের বিবৃতির পক্ষে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, ‘‘সিএএ মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। তা কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। এই আইনে মানুষের রাষ্ট্রহীনতা, অধিকার এবং মর্যাদা রক্ষার কথা বলে। এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। দেশের অভ্যন্তরীণ সংস্কৃতি এবং মানবাধিকারের প্রতি দীর্ঘস্থায়ী দায়বদ্ধতার ভিত্তিতে তৈরি। আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান থেকে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন এবং পারসিক সম্প্রদায়ের যে সমস্ত মানুষ ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে প্রবেশ করেছেন, তাঁদের নিরাপদ আশ্রয় দেয় সিএএ।’’ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আরও বলেছেন, ‘‘আমরা মনে করছি, আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রক সিএএ নিয়ে যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, তা ভুল তথ্য দ্বারা পরিচালিত, ভুল জায়গায় প্রযুক্ত এবং অযৌক্তিক।’’

    কী বলেছিল আমেরিকা?

    বৃহস্পতিবার আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট-এর মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছিলেন, ‘‘গত ১১ মার্চ ভারত সরকার সিএএ (CAA) নিয়ে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, আমরা তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই আইন কী ভাবে প্রণয়ন করা হচ্ছে, আমরা তার দিকে নজর রেখেছি। ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা এবং আইনে সব সম্প্রদায়ের সমান অধিকার মৌলিক গণতান্ত্রিক নীতি।’’ শুক্রবার দুপুরে তারই জবাব দিল নয়াদিল্লি।

    সিএএ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই, আগেই জানিয়েছে সরকার

    ভারত সরকার ইতিমধ্যেই জানিয়েছে সিএএ নিয়ে মুসলিম নাগরিকদের ভীতির কারণ নেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও মুসলিমকেই তাড়ানো হবে না। বিরোধীদের নিশানা করে শাহ জানিয়েছেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি অহেতুক ভীতির পরিবেশ তৈরি করছে। মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বিভ্রান্ত করছে। এছাড়াও ভারত সরকার একটি প্রেস বিবৃতিতে ভারতীয় মুসলিম সমাজকে আশ্বস্ত করে জানিয়ে দিয়েছে, সিএএ-র (CAA) ফলে তাঁদের নাগরিকত্বে কোনও প্রভাব পড়বে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Pakistan: ‘‘পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের আখড়া, যেমন কর্ম করবে, তেমনই ফল ভুগবে’’, সাফ জানাল ভারত

    Pakistan: ‘‘পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের আখড়া, যেমন কর্ম করবে, তেমনই ফল ভুগবে’’, সাফ জানাল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর থেকেই পাকিস্তানে (Pakistan) জঙ্গিদের রহস্যমৃত্যু একপ্রকার রুটিন হয়ে গিয়েছে। পাকিস্তানের দাবি একাজ করছে ভারতের গোয়েন্দারা। এবার পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিল নয়া দিল্লি। নয়া দিল্লি ইসলামাবাদকে সাফ জানিয়ে দিল, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের আখড়া! সন্ত্রাসবাদের যে বীজ পাকিস্তান বপন করেছে, তার ফল তাদেরকেও ভুগতে হবে।

    পাকিস্তানের দাবি

    আন্তার্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলির রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের (Pakistan) বিদেশ মন্ত্রকের সচিব মহম্মদ সাইরাস সাজ্জাদ কাজি দিন কয়েক আগেই দাবি করেন, গত বছর শিয়ালকোট এবং রাওয়ালকোটে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈবার দু’জন জঙ্গিকে হত্যা করা হয়। এর সঙ্গে যুক্ত ভারতীয় গোয়েন্দারা। পাকিস্তানের হাতে ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ’ রয়েছে বলেও জানান কাজি। কাজির অভিযোগ আরও ছিল, পাকিস্তানের (Pakistan) ভিতরে অনৈতিক ভাবে ঢুকে অভিযান চালাচ্ছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা।

    কী বলছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক?

    পাকিস্তানের দাবি প্রসঙ্গে, বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘আমরা পাকিস্তানের (Pakistan) বিদেশ মন্ত্রকের সচিবের কিছু মন্তব্য সংবাদমাধ্যমে দেখেছি। পাকিস্তানের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বিদ্বেষে ভরা। ভারত-বিরোধী প্রচার চালানোর এটি একটি নবতম পন্থা। সারা বিশ্ব জানে, পাকিস্তান দীর্ঘ দিন ধরে সন্ত্রাসবাদ, সংগঠিত অপরাধ এবং অবৈধ আন্তর্দেশীয় কার্যকলাপের কেন্দ্রস্থল। পাকিস্তান যা বপন করবে, সেই ফসলই পাবে।’’ বিবৃতি দিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ভারত এবং অন্যান্য অনেক দেশ প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে এই বলে সতর্ক করেছে যে, সন্ত্রাস এবং হিংসার সংস্কৃতির কারণে তারা নিজেদেরই ক্ষতি করছে। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তানের নিজস্ব কর্মকাণ্ডের জন্য ভারতকে দোষারোপ করা কোনও যুক্তিযুক্ত সমাধান নয়। হুঁশিয়ারি দিয়ে বিদেশমন্ত্রক আরও জানিয়েছে, পাকিস্তান যেমন কর্ম করবে, তেমনই ফল ভুগবে তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India-Maldives Relationship: মলদ্বীপ থেকে সেনা সরানো নিয়ে কী জানাল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক?

    India-Maldives Relationship: মলদ্বীপ থেকে সেনা সরানো নিয়ে কী জানাল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মলদ্বীপে বিমান চলাচল করতে পারে এমন পরিস্থিতি বজায় রাখতে পারস্পরিক সমাধানসূত্র খোঁজার চেষ্টা করছে ভারত। মলদ্বীপ (India-Maldives Relationship) থেকে সেনা সরানো নিয়ে এমনই বিবৃতি দিল ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। চিন ঘেঁষা দ্বীপ রাষ্ট্রের মহম্মদ মুইজ্জুর সরকার মলদ্বীপ থেকে সেনা সরানোর জন্য ভারতকে ‘আর্জি’ জানিয়েছে। রীতিমতো সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

    নয়াদিল্লির বিবৃতি 

    মলদ্বীপ (India-Maldives Relationship) থেকে ভারতের সেনা সরানোর বিষয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনা করতে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। নয়াদিল্লির তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে,  “মলদ্বীপের মানুষের কাছে মানবিক সাহায্য পৌঁছে দিতে ভারতীয় বিমানগুলির চলাচল জারি রাখা জরুরি। এই কাজের পরিবেশ বজায় রাখতে উভয় পক্ষই একটি সমাধানসূত্রে পৌঁছনোর চেষ্টা করছে।” মলদ্বীপ এবং ভারতের সম্মতিক্রমে একটি নির্দিষ্ট দিন বেছে নিয়ে পরবর্তী আলোচনা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে। নভেম্বর মাসে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই মুইজ্জু বলেছিলেন, ‘‘আমাদের দেশের মাটি থেকে সমস্ত বিদেশি সেনাকে আমরা ফেরত পাঠাব।’’ এ ক্ষেত্রে মুইজ্জু নাম না-করলেও স্পষ্ট ভাবেই ভারতকে নিশানা করেন। কারণ, ভারত মহাসাগরের ওই দ্বীপরাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক এবং শিল্পক্ষেত্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল ভারতীয় সেনা।

    আরও পড়ুুন: “বাবর একদিনে ১ লক্ষ ৮০ হাজার হিন্দুকে খুন করেছিল” মন্দির ইস্যুতে তোপ শুভেন্দুর

    মলদ্বীপ প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর

    মলদ্বীপ (India-Maldives Relationship) প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, ‘পলিটিক্স ইস পলিটিক্স। আমরা এটা গ্যারান্টি দিতে পারি না যে রোজ প্রতিটি দেশ আমাদের সমর্থন করবে অথবা আমাদের কথায় একমত হবে। কখনও এটা ভালো না হতে পারে।’ বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছে ‘মলদ্বীপ বনাম লাক্ষাদ্বীপ’ বিতর্ক। সম্প্রতি লাক্ষাদ্বীপে ঘুরতে গিয়ে বেশ কিছু ছবি ও ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপরই মোদি এবং ভারতকে নিয়ে আপত্তিজনক কিছু মন্তব্য করেছিলেন মলদ্বীপের কয়েকজন মন্ত্রী। এরপর থেকেই ওঠে মলদ্বীপ বয়কটের রব। এই আবহে চিন সফরে যান মুইজ্জুর। চিন থেকে দেশে ফিরেই শনিবার মুইজ্জু হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়েছিলেন, কাউকে ধমকানোর ছাড়পত্র দেয়নি তার সরকার। এমনকী ১৫ মার্চের মধ্য়ে ভারতকে সমস্ত সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথাও বলা হয়। তারপরই পদক্ষেপ করল দিল্লি। বিদেশমন্ত্রী জানান, কোনও দেশের সরকারের সঙ্গে মতবরোধ হলেও ভারত সে দেশের জনগণের কথা চিন্তা করেই কাজ করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kenyan President: ভারত সফরে কেনিয়ার রাষ্ট্রপতি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুতের বার্তা 

    Kenyan President: ভারত সফরে কেনিয়ার রাষ্ট্রপতি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুতের বার্তা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৪ থেকে ৬ ডিসেম্বর ভারত সফরে আসছেন কেনিয়ার রাষ্ট্রপতি (Kenyan President) উয়িলিয়াম সামোই রুটো। আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। উভয় দেশের সরকারের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং একই সঙ্গে থাকবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয় শঙ্কর। এই কথা শনিবার জানানো হয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। সেই সঙ্গে উভয় দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুতের বার্তার কথা বলা হয়েছে বিবৃতিতে।

    রাষ্ট্রপতি ভবনে জানানো হবে অভ্যর্থনা

    কেনিয়ার রাষ্ট্রপতি (Kenyan President) তাঁর কার্যকালের মধ্যে এই প্রথমবার ভারতে আসছেন। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, আগামী ৫ ডিসেম্বর কেনিয়ার রাষ্ট্রপতি রুটোকে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হবে। ওই দিন একটি বিশেষ ভোজনের আয়োজন করা হবে। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দুই দেশের নানান বিষয় নিয়ে আলোচনাও হবে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য শুক্রুবার প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জানান রুটো। আফ্রিকার ইউনিয়ানকে জি ২০ দেশ ভুক্ত করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। সেই সঙ্গে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ‘অসাধারণ’ এই কথাও বলেন।

    দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত

    কেনিয়ার রাষ্ট্রপতি (Kenyan President) নতুন দিল্লিতে একটি বাণিজ্য সম্মলেনে যোগদান করবেন। মোটামুটি ছয় বছর পর কেনিয়ার কোনও রাষ্ট্রপতি ভারতে আসছেন বলে একটি বিবৃতিতে বলা বলা হয়েছে। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্ত এবং মজবুত করা হবে। রাষ্ট্রপতি রুটো বলেন, “ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক অত্যন্ত সুমধুর। আমি নিজে যোগদান করতে ভীষণ ভাবে উন্মুখ হয়ে রয়েছি।“

    কী বলেন কেনিয়ার রাষ্ট্রপতি?

    সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, কেনিয়ার রাষ্ট্রপতি (Kenyan President) বলেন, “একটি নিবিড় ভালো সম্পর্কের দিয়ে যেতে ভারত সফরে যাচ্ছি। জি ২০ তে তিনি রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন সময়ে আফ্রিকা স্থায়ী সদস্যপদ লাভ করেছে। এই জন্য নরেন্দ্র মোদিকে বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আমরা সম্পর্কের আরও মাত্রা দিতে চাই।” উল্লেখ্য, গত জুন মাসেই আফ্রিকা মহাদেশের ৫৫ টি দেশ এই জি ২০ গ্রুপের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়। এই বিষয়ে মোদি প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এরপর ১৮ তম এই সম্মেলনে আফ্রিকা দেশের প্রতিনিধিত্বকারী চেয়ার পারসেন আজালি আসুমানিকে টেবিলে আমন্ত্রণ করা হয়।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Imran Khan: ‘পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি’, ইমরানকে গুলির ঘটনায় প্রতিক্রিয়া ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের

    Imran Khan: ‘পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি’, ইমরানকে গুলির ঘটনায় প্রতিক্রিয়া ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবাদ মিছিল করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। তার পর থেকে অবশ্য এখনও পর্যন্ত অশান্ত হয়ে ওঠেনি ভারতের (India) প্রতিবেশী দেশটির পরিস্থিতি। তবে ঘটনার জেরে ভারত পাকিস্তানের পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে বলেই জানিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (MEA)।

    বৃহস্পতিবার ওই ঘটনার পর পরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। তিনি বলেন, পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ওপর হামলার ঘটনা আমরা সবে মাত্র জেনেছি। গোটা ঘটনার ওপর আমরা নজর রাখছি। এ নিয়ে যাবতীয় খবরের দিকে আমাদের নজর রয়েছে। এখনই এনিয়ে ভারত কোনও মন্তব্য করতে চায় না।

    লাহোর থেকে ইসলামাবাদ পর্যন্ত আজাদি মার্চের ডাক দিয়েছিল ইমরানের দল পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফ, সংক্ষেপে পিটিআই। ওই মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার-রাজনীতিক ইমরান খান (Imran Khan)। আচমকাই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এক ব্যক্তি। গুলি লাগে ইমরানের ডান পায়ে। মাটিতে পড়ে যান প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর পায়ে তিন থেকে চারটি গুলি লেগেছে। পরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় লাহোর হাসপাতালে। কেবল ইমরান নন, ফয়জল জাভেদ ও আহমেদ ছাত্তাহা নামে তাঁর দলের আরও দুই নেতাও গুরুতর জখম হয়েছেন। ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: নতুন জীবন পেলাম! বললেন ইমরান, সরকার বিরোধী বিক্ষোভে ফুঁসছে করাচি থেকে পেশোয়ার

    পিটিআইয়ের প্রবীণ নেতা আসাদ উমর বলেন, ইমরানকে (Imran Khan) সড়ক পথে লাহোরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়। তবে তাঁর গুলি লেগেছে। ঘটনার জন্য অবশ্য তিনি কাউকে দোষারোপ করেননি। জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুর পর্যন্তও ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয়নি কোনও গোষ্ঠী।

    ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি বলেন, ঘটনাটি চরম নিন্দনীয়। কড়া ভাষায় এর নিন্দে করছি। গুলি চালানোর ঘটনায় অবিলম্বে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছি। আমি ইমরান খানের (Imran Khan) দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। আহতদের যাতে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়, তারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
     
LinkedIn
Share