Tag: Minor Patient Harassed

  • Minor Patient Harassed: আরজিকরের পর এসএসকেএম! সরকারি হাসপাতালে ‘যৌন হেনস্থা’ নাবালিকাকে, ধৃত এনআরএসের কর্মী

    Minor Patient Harassed: আরজিকরের পর এসএসকেএম! সরকারি হাসপাতালে ‘যৌন হেনস্থা’ নাবালিকাকে, ধৃত এনআরএসের কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হাসপাতালে যৌন হেনস্থার অভিযোগ। এবার ‘শিকার’ নাবালিকা রোগিণী (Minor Patient Harassed)। খবরের শিরোনামে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতাল। বুধবার দুপুরের ওই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।

    রোগিণী নির্যাতনে গ্রেফতার ১ (Minor Patient Harassed)

    বুধবার চিকিৎসা করাতে এসএসকেএমের বহির্বিভাগে গিয়েছিল ওই নাবালিকা। তার পরেই ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ। নাবালিকার পরিবারের দাবি, চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে হাসপাতালের শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে যৌন হেনস্থা করা হয় বছর পনেরর ওই কিশোরীকে। অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। ওই রাতেই কলকাতার ধাপা এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ভবানীপুর থানার পুলিশ। তাঁর বাড়ি ওই এলাকায়ই। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো (শিশু সুরক্ষা) আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।

    কাধিক প্রশ্নের উত্তর হাতড়াচ্ছেন তদন্তকারীরা

    পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত যুবকের পরিচয় জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। তিনি কোথায় কাজ করেন, এসএসকেএমেই বা ঢুকলেন কীভাবে, এসবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বর্তমানে এনআরএস হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী হলেও, আগে তিনি অস্থায়ী কর্মী ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালের। এসএসকেএমে তিনি কাজ করতেন ওয়ার্ড বয় বিভাগে। সেই সূত্রে মাঝেমধ্যেই এসএসকেএমে যাতায়াত করতেন তিনি।

    পুরানো পোশাকেই বাজিমাত!

    তাঁর কাছে ছিল এসএসকেএমের পুরানো পোশাকও। সেই পোশাক পরেই বুধবারও তিনি গিয়েছিলেন এসএসকেএমের বহির্বিভাগে। সেখানেই নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে ভুলিয়ে ভালিয়ে ওই নাবালিকাকে তিনি নিয়ে যান হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারের শৌচাগারে। সেখানেই তাঁকে যৌন হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। নাবালিকার চিৎকারে সবাই ছুটে এলে প্রকাশ্যে আসে যৌন নির্যাতনের বিষয়টি। ইতিমধ্যেই গা-ঢাকা দেন অভিযুক্ত। যদিও রাতেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তাঁর নাম অমিত মল্লিক। হাসপাতালের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। জানা গিয়েছে, এদিন ওই নাবালিকাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন তাঁর বাবা-মা। তাঁকে আউটডোরে লাইনে দাঁড় করিয়ে রেখে তাঁরা গিয়েছিলেন টিকিট করাতে। সেই সুযোগেরই সদ্ব্যবহার করে অমিত। পরে পরিবারের তরফে গোটা ঘটনাটি জানানো হয় হাসপাতালের মধ্যে থাকা কলকাতা পুলিশের আউটপোস্টে। নির্যাতিতার বাবা-মায়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করে ভবানীপুর থানার পুলিশ। তার পরেই শুরু হয় তদন্ত।

    হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন

    এসএসকেএমের মতো একটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়েও উঠছে একাধিক প্রশ্ন। অভিযুক্ত প্রাক্তন ওয়ার্ড বয় কেন এসএসকেএমের পোশাক পরে আউটডোরের সামনে ঘোরাঘুরি (Minor Patient Harassed) করছিলেন? এনআরএসের অস্থায়ী কর্মী হয়েও, কোন উদ্দেশ্যে এসএসকেএমে গিয়েছিলেন তিনি? তাঁর বিরুদ্ধে আগেও এমন কোনও অভিযোগ রয়েছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখছেন তদন্তকারীরা। বছরখানেক আগেই আরজিকর হাসপাতালে ঢুকে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন জনৈক সঞ্জয় রায়। পেশায় তিনি ছিলেন সিভিক ভলান্টিয়ার।

    দীর্ঘায়িত হচ্ছে তালিকা   

    আরজিকর, দুর্গাপুর, উলুবেড়িয়ার পর এবার এসএসকেএম! ক্রমেই দীর্ঘায়িত হচ্ছে হাসপাতালে ধর্ষণ কিংবা যৌন নির্যাতনের ঘটনার তালিকা। রাজ্যবাসীর প্রশ্ন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল শাসিত রাজ্যে কি এটা তবে চলতেই থাকবে? রাতের অন্ধকারটা কি তবে মেয়েদের জন্য বিপদ আর দুষ্কৃতীদের জন্য নিরাপদ হয়েই থাকবে! আর কতদিন সহ্য করতে হবে মাতৃজাতির এই অসম্মান? রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে, তৃণমূল নেত্রী যতদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন, ততদিনই চলতে থাকবে এই ঘটনা। কারণ বিভিন্ন সময় এই জাতীয় ঘটনা কিংবা ঘটনার অভিযোগ নিয়ে স্বয়ং মহিলা মুখ্যমন্ত্রী যেসব মন্তব্য করেন, তা দুষ্কৃতীদের তোল্লায় দিয়েছে। তারই মাশুল গুণতে হচ্ছে রাজ্যবাসীকে। গোটা দেশের কাছে মুখ পুড়ছে বাংলার।

    এদিকে, হাওড়ার উলুবেড়িয়া হাসপাতালে এক তরুণী চিকিৎসককে মারধর এবং ধর্ষণের হুমকির অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। পাঁচলায় এসপি অফিসের সামনে বিজেপির বিক্ষোভে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় বিজেপি কর্মীদের।

    উলুবেড়িয়ায় গ্রেফতার আরও এক

    উলুবেড়িয়ার ওই ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে ওই ঘটনায় গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩। ধৃত যুবকের নাম শেখ সম্রাট। আদালতে তোলা হলে তাঁকে ২ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়। এ ক্ষেত্রেও সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। এর আগে ওই ঘটনায় ট্রাফিক গার্ডে কর্মরত এক হোমগার্ড-সহ ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অভিযুক্তদের ৩ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত (Minor Patient Harassed)।

    কী বললেন রাজ্যপাল?

    অন্যদিকে, উলুবেড়িয়াকাণ্ডে ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি চিকিৎসকদের নিষ্ঠা ও ত্যাগের সহমর্মী হওয়ার আহ্বান জানান। এর আগে একাধিক ঘটনায় রাজ্যের নারী নির্যাতন নিয়ে মুখ খুলেছেন রাজ্যপাল। দুর্গাপুরে ওড়িশা থেকে পড়তে আসা এক ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণের ঘটনায় রাষ্ট্রপতিকে রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপালও। সেই সময় ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে, নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে রাজ্যপাল স্পষ্ট বলেছিলেন, “বাংলা মেয়েদের জন্য নিরাপদ নয়।”

    বাংলার মেয়েরা তাহলে যাবেন কোথায়? দেশ ছেড়ে যাবেনই বা কেন? উঠছে একাধিক প্রশ্ন (Minor Patient Harassed)।

LinkedIn
Share