Tag: missile

missile

  • Ballistic Missile Pralay: চিন সীমান্তে ভারতের ‘প্রলয়’! প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রথমবার প্রদর্শিত হবে এই মারণ ক্ষেপণাস্ত্র

    Ballistic Missile Pralay: চিন সীমান্তে ভারতের ‘প্রলয়’! প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রথমবার প্রদর্শিত হবে এই মারণ ক্ষেপণাস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারতের নতুন নতুন উদাহরণ প্রতিবছর প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে পেশ করে কেন্দ্র। এবারের কুচকাওয়াজেও সেই রেওয়াজে কোনও বিচ্যুতি নেই। ২০২৫ সালের কুচকাওয়াজের আকর্ষণ হতে চলেছে ‘প্রলয়’। প্রথমবার কর্তব্য পথ দিয়ে যেতে দেখা যাবে পারাণবিক অস্ত্রবহণে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্রকে। চিনা আক্রমণ ঠেকাতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) মোতায়েন হালকা ‘ট্যাকটিকাল’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘প্রলয়’ (Ballistic Missile Pralay) দিল্লির কর্তব্যপথে প্রথমবার চাক্ষুষ করবেন দেশবাসী। ২০১৯ সালের অগাস্টে ওড়িশার চাঁদিপুর উপকূলে ‘প্রলয়ের’ চূড়ান্ত দফার পরীক্ষা হয়েছিল। তার পরেই স্বল্প পাল্লার এই ব্যালিস্টিক ‘ভূমি থেকে ভূমি’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতীয় সেনায় অন্তর্ভুক্ত হয়। 

    প্রলয়ের কাজ (Ballistic Missile Pralay) 

    ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে চিনা ফৌজের আগ্রাসন এবং গালওয়ান উপত্যকায় (Ballistic Missile Pralay) রক্তাক্ত সংঘর্ষের পরে এলএসিতে ‘প্রলয়’ মোতায়েন করে ভারতীয় সেনা। ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা এবং উন্নয়ন সংস্থা ডিআরডিও-র বিজ্ঞানীদের তৈরি কঠিন জ্বালানি চালিত এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ২০০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার। ডিআরডিওর তৈরি ‘ভূমি থেকে ভূমি’ ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্র পৃথ্বীর আদলে তৈরি ‘প্রলয়’ তুলনায় হালকা। ফলে উঁচু পার্বত্য এলাকায় ব্যবহার করা অনেক সহজ। তা ছাড়া পরমাণু অস্ত্র বহনের উপযোগী উন্নত প্রযুক্তির এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মাঝ আকাশে গতিপথ বদলাতে সক্ষম। ফলে শত্রুপক্ষের ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্রকে এড়িয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে ‘প্রলয়’।

    ভয় পাবে শত্রুরা

    এটি ১২০০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে শত্রুর ঘাঁটি লক্ষ্য করে আঘাত করতে সক্ষম, যা প্রয়োজন (Ballistic Missile Pralay) অনুযায়ী ২০০০ কিমি/ঘণ্টা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা সম্ভব। এর মানে, শত্রুর লক্ষ্য করে আঘাত করতে সক্ষম, যা প্রয়োজন অনুযায়ী ২০০০ কিমি/ঘণ্টা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা সম্ভব। এর মানে, শত্রুর লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার সময় এই ক্ষেপণাস্ত্রের গতিবেগ ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়, যা এটিকে অত্যন্ত কার্যকরী এবং বিধ্বংসী করে তোলে। ৫ টন ওজনের এই মিসাইল প্রায় ৫০০-১০০০ কেজি ওজনের বিস্ফোরক নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারে, যা লক্ষ্যবস্তুতে সুনির্দিষ্টভাবে আঘাত করে। সীমান্তের কাছাকাছি থেকে নিক্ষেপ করলে চিন ও পাকিস্তানের ঘাঁটিগুলো মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংস হবে। শত্রুদের বাঙ্কার, কামান, এবং সামরিক ডিপো সহজেই ধ্বংস করতে সক্ষম হবে প্রলয় মিসাইল। বিশেষত, চিন এবং পাকিস্তানের মতো দেশগুলোর বিপক্ষে এই মিসাইল ব্যবহারে বড় ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে। পাকিস্তানের গজনভি, এম-১১ এবং শাহীন মিসাইলের বিপরীতে প্রলয় আরও শক্তিশালী এবং কার্যকর প্রমাণিত হবে। 

    প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রদর্শন

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, এ বারের প্রজাতন্ত্র দিবসের (Ballistic Missile Pralay) কুচকাওয়াজে রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রলয় ছাড়াও দেশে তৈরি সুপারসনিক (শব্দের চেয়ে বেশি গতিবেগসম্পন্ন) ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্র ‘ব্রহ্মস’ প্রদর্শিত হবে। সেই সঙ্গে থাকবে, সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে ডিআরডিও এবং ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড (বিডিএল)-এর তৈরি স্বল্পপাল্লার ‘ভূমি থেকে আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্র আকাশ এবং ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র ‘নাগ’ এবং মাল্টি ব্যারেল রকেট সিস্টেম ‘পিনাকা’র নতুন সংস্করণ। গত দু’বছরের মতোই এ বারও প্রজাতন্ত্র দিবসে ব্রিটিশ ২৫ পাউন্ডারের বদলে দেশে তৈরি ১০৫ মিলিমিটার কামান থেকে আনুষ্ঠানিক ‘২১ তোপধ্বনি’ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nag Mark 2: পোখরানে সফল পরীক্ষা, নির্ভুল লক্ষ্যভেদ অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল ‘নাগ মার্ক ২’ ক্ষেপণাস্ত্রের

    Nag Mark 2: পোখরানে সফল পরীক্ষা, নির্ভুল লক্ষ্যভেদ অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল ‘নাগ মার্ক ২’ ক্ষেপণাস্ত্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ফের সাফল্য ভারতের। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তৃতীয় প্রজন্মের অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল নাগ মার্ক-২ (Nag Mark 2) ক্ষেপণাস্ত্রের ফিল্ড ইভালুয়েশন ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন হল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি রাজস্থানের পোখরানে (Pokhran) একটি ফায়ারিং রেঞ্জে সেনা আধিকারিকদের (Indian Army) উপস্থিতিতে এই ট্রায়াল চালানো হয়। আত্মনির্ভর ভারতের প্রতীক ‘নাগ মার্ক ২’ যে কোনও জটিল অপারেশনে সাহায্য করতে সক্ষম, বলে মত বিশেষজ্ঞদের (DRDO)।

    ফিল্ড ট্রায়ালের সময় তিনবারই সফল 

    সোমবার ভারতের মাটিতে তৈরি ‘নাগ মার্ক ২’ মিসাইলের (Nag Mark 2) পরীক্ষা করে ডিআরডিও (Defence Research and Development Organisation)। ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে এই পরীক্ষা চালানো হয়। নিশানা একেবারে নিখুঁত। ‘ফায়ার অ্যান্ড ফরগেট’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনায়াসে টার্গেট ধ্বংস করে দিল ভারতের ‘নাগ’ মিসাইল। ফিল্ড ট্রায়ালের সময় তিনবারই সর্বাধিক ও সর্বনিম্ন দূরত্বের টার্গেট ধ্বংস করতে সফল হয়েছে এই মিসাইল।

    ডিআরডিও, ভারতীয় সেনাকে অভিনন্দন (DRDO)

    ‘নাগ মার্ক ২’ হল (Nag Mark 2)  একটি অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ফায়ার অ্যান্ড ফরগেট গাইডেড মিসাইল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন অস্ত্রের সঙ্গে লড়তে সক্ষম এই মিসাইল। সঠিক নিশানায় যেন আঘাত হানতে পারে ক্ষেপণাস্ত্র, তার জন্য লঞ্চ করার আগেই টার্গেট নির্দিষ্ট করে দেওয়া যায়। যাতে কোনওভাবেই কোনও ভুল না হয়ে যায়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং নাগ মার্ক ২ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেমের সফল ফিল্ড মূল্যায়নের জন্য ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও), ভারতীয় সেনাবাহিনীকে (Indian Army) অভিনন্দন জানিয়েছেন। সেনায় অন্তর্ভুক্তি করতে ক্ষেপণাস্ত্রটিকে প্রস্তুত করার জন্য সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন ডিআরডিও (DRDO) চেয়ারম্যান সমীর ভি কামাত। এই ক্ষেপণাস্ত্র  ভারতের সামরিক শক্তি আরও বাড়াবে বলে অভিমত তাঁর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ballistic Missile Defence System: নয়া ব্যালিস্টিক মিসাইল সিস্টেমের সফল পরীক্ষা ভারতের, পাল্লা কত জানেন?

    Ballistic Missile Defence System: নয়া ব্যালিস্টিক মিসাইল সিস্টেমের সফল পরীক্ষা ভারতের, পাল্লা কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মিলল সাফল্য। সফল হল দ্বিতীয় পর্যায়ের ব্যালিস্টিক মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমের (Ballistic Missile Defence System) পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ। ওড়িশা উপকূলের অদূরে বুধবার এই পরীক্ষা হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে কেন্দ্র। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ৫ হাজার কিলোমিটার পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করেছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা, সংক্ষেপে ডিআরডিও (DRDO)।

    কী বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী? (Ballistic Missile Defence System)

    সফল পরীক্ষার জন্য ডিআরডিওর বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, “এই সফল ফ্লাইট টেস্ট আরও একবার দেশের ব্যালিস্টিক মিসাইল ডিফেন্স ক্ষমতা প্রমাণ করল।” সরকারের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিকেল ৪টে ২০ মিনিটে একটি মিমিকিং অ্যাডভারসারি ব্যালিস্টিক মিসাইলকে টার্গেট মিসাইল বানিয়ে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল এলসি-৪ ধর্মা থেকে। স্থলে এবং সমুদ্রে থাকা ওয়েপন সিস্টেম রাডারগুলি সেগুলিকে চিহ্নিত করেছিল। 

    লঞ্চ হল ইন্টারসেপ্টর মিসাইল…

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, শত্রুরূপী মিসাইলটি রেডারে আসতেই সঙ্গে সঙ্গেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাক্টিভেট হয়ে যায় এডি ইন্টারসেপ্টর সিস্টেম। ৪টে ২৪ মিনিটে ফেজ-২ এডি এনডো-অ্যাটমস্ফেরিক মিসাইলটি লঞ্চ হয়েছিল চাঁদিপুরের এলসি-৩ আরটিআর থেকে। এই ফ্লাইট টেস্ট সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক কেন্দ্রিক ওয়ারফেয়ার ওয়েপন সিস্টেমকে যাচাই করার সব ধাপগুলি সফলভাবে পেরিয়েছে। এই ওয়েপন সিস্টেমের মধ্যে রয়েছে লং রেঞ্জ সেন্সর, লো ল্যাটেন্সি কমিউনিকেশন সিস্টেম এবং এমসিসি ও অ্যাডভান্সড ইন্টারসেপ্টার মিসাইলগুলি।

    আরও পড়ুন: “আমাদের দেশকে দূষিত করছে খালিস্তানপন্থী জঙ্গিরা”, তোপ কানাডার সাংসদের

    ডিআরডিও সূত্রে খবর, শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিরোধে কার্যকরী হবে এই নয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (Ballistic Missile Defence System)। ভারতীয় সেনার নয়া স্ট্র্যাটেজিক ফোর্স কমান্ডের তত্ত্বাবধানে আগেই প্রাথমিক পরীক্ষা হয়েছে এই মিসাইলের ব্যবহারিক কৌশল ও লক্ষ্যভেদের ক্ষমতা। এদিন হল দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা। সূত্রের খবর, নয়া এই মিসাইল ‘অগ্নি’ সিরিজের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নয়।

    কেন্দ্রের তরফে জারি করা ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মিসাইলটির পারফরমেন্স মনিটরিং করা হচ্ছিল ফ্লাইট ডেটা থেকে। এই ডেটা সংগ্রহ করেছিল রেঞ্জ ট্র্যাকিং যন্ত্র। জাহাজ-সহ বিভিন্ন জায়গায় (DRDO) রাখা হয়েছিল এই যন্ত্র। সেখান থেকেই মিলেছে যাবতীয় তথ্য (Ballistic Missile Defence System)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ballistic Missile: সতর্ক থাকুক পাকিস্তান, চিন! ‘অগ্নি প্রাইম’ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ ভারতের

    Ballistic Missile: সতর্ক থাকুক পাকিস্তান, চিন! ‘অগ্নি প্রাইম’ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন প্রজন্মের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (Ballistic Missile) ‘অগ্নি প্রাইম’-এর (Agni-Prime) সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করল ভারত। বৃহস্পতিবার ওড়িশা উপকূলে এপিজে আবদুল কালাম দ্বীপে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র অগ্নি প্রাইমের সফল উৎক্ষেপণের কথা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতি

    মন্ত্রকের বিবৃতি বলা হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রের (Ballistic Missile) পরীক্ষার সময় সমস্ত কার্যকারিতা তথা উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। সেনার স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ড (এসএফসি) এবং রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও) যৌথভাবে অগ্নি প্রাইম ব্যালেস্টিক মিসাইলের পরীক্ষা চালিয়েছে। বুধবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ ক্ষেপণাস্ত্রটিকৃ উৎক্ষেপণ করা হয়। চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহানের সামনেই এই উৎক্ষেপণ হয়। ছিলেন ডিআরডিও (DRDO) ও সেনার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও। সফল পরীক্ষার জন্য ডিআরডিও, এসএফসি এবং সেনাকে অভিনন্দন জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তিনি বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণে সেনা বাহিনীর শক্তি কয়েক গুণ বাড়ল। 

    অগ্নি প্রাইমের শক্তি

    অগ্নি প্রাইম মিসাইল (Ballistic Missile) হল অগ্নি সিরিজের নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র। এই ক্ষেপণাস্ত্রের ওজন ১১,০০০ কেজি। ক্ষেপণাস্ত্রটি ২০০০ কিলোমিটার দূরের যে কোনও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম। ৩৪.৫ ফুট লম্বা ক্ষেপণাস্ত্রটিকে এক বা মাল্টিপল ইন্ডিপেন্ডেন্টলি টার্গেটেবল রিএন্ট্রি ভেহিক্যল (MIRV) ওয়ারহেডের সঙ্গে লাগানো যেতে পারে। এই ক্ষেপণাস্ত্র একসঙ্গে একাধিক লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করতে পারে।

    আরও পড়ুন: ‘দলের কোনও দিশা নেই, সনাতন ধর্ম বিরোধী’, ইস্তফা দিলেন কংগ্রেস মুখপাত্র গৌরব বল্লভ

    তাওয়াং এবং অরুণাচলে চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহেই এই ব্যালাস্টিক মিসাইলের সফল পরীক্ষা করল ভারত। দূরপাল্লার এই মিসাইসল প্রয়োজন পড়লে চিনের রাজধানী বেজিংয়েও আঘাত হানতে সক্ষম বলে জানা নিয়েছে। এই মিসাইলের সফল পরীক্ষার মধ্য দিয়ে পাকিস্তান ও চিনকে প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি বলে মত আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের। যদিও সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারেই এই পরীক্ষা করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Army: ভারতীয় সেনার সামরিক প্রশিক্ষণের সময়ে ভুলবশত তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রে বিস্ফোরণ

    Indian Army: ভারতীয় সেনার সামরিক প্রশিক্ষণের সময়ে ভুলবশত তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রে বিস্ফোরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামরিক প্রশিক্ষণের সময়ে ভুলবশত তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র (Missile Misfired) ছুঁড়ল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের জয়সালমীরে। শুক্রবার পোখরান ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে মহড়া চলাকালীন প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে তিনটি সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ‘ভুলবশত’ নিক্ষেপ করা হয় বলে সেনাসূত্রে খবর। 

    যান্ত্রিক ত্রুটিই দায়ী!

    সেনা (Indian Army) সূত্রে জানা গিয়েছে, ভুলবশত উৎক্ষেপণ হওয়া ওই ক্ষেপণাস্ত্রগুলির পাল্লা ১০ থেকে ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে। তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রই পাল্লার বাইরে গিয়ে বিভিন্ন গ্রামের ক্ষেতে আঘাত হেনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটায়। যদিও এই ঘটনায় কোনও হতাহত বা কারও আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। হঠাৎ মিসাইল আছড়ে পড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতেই পোখরানের ফায়ারিং রেঞ্জ থেকে ওই মিসাইলের টেস্ট ফায়ারিং করা হচ্ছিল, কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তা ভুলবশত উৎক্ষেপণ হয়।

    আরও পড়ুন: সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের উদ্যোগে আয়োজিত হল বায়ুসেনা এবং স্থলসেনার যৌথ মহড়া

    তদন্ত চলছে

    প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল অমিতাভ শর্মা জানান, কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, তা জানার জন্য তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে। এদিকে প্রশাসন সূত্রে জাানা গিয়েছে, ভুলবশত উৎক্ষেপণ হওয়া তিনটি মিসাইলের মধ্যে দুটি উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও, তৃতীয় মিসাইলটির হদিস মেলেনি। পুলিশ ও সেনাবাহিনী (Indian Army) মিলিতভাবে ওই ‘নিখোঁজ’ তৃতীয় মিসাইল খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। প্রতিবেশী দেশে ভুলবশত ওই মিসাইল পড়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নাচনার ডিএসপি কৈলাশ বিষ্ণোই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আজাসার গ্রামের একটি ক্ষেতে একটি ক্ষেপণাস্ত্র পাওয়া গিয়েছে। দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটি পাওয়া গিয়েছে অন্য একটি ক্ষেতে। ক্ষেপণাস্ত্রের বিস্ফোরণের কারণে ক্ষেত দু’টিতে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North Korea fires missiles প্রথম পরস্পরের বিরুদ্ধে মিসাইল দাগল উওর ও দক্ষিণ কোরিয়া

    North Korea fires missiles প্রথম পরস্পরের বিরুদ্ধে মিসাইল দাগল উওর ও দক্ষিণ কোরিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমবারের মতো দক্ষিণ কোরিয়ার জলসীমান্তে মিসাইল ছুড়েছে কিম জং-উনের দেশে উত্তর কোরিয়া। জবাবে তিনটি মিসাইল ছুড়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাকর্তা জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার মিসাইলগুলি দক্ষিণ কোরিয়ার জলসীমার খুব কাছে পড়েছে যা দক্ষিণ কোরিয়ার অখন্ডতার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী তা কখনোই বরদাস্ত করবে না বলে সাফ জানিয়েছেন।

    এদিকে, সিওলের প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল (Yoon Suk-yeol) একে কার্যকর আঞ্চলিক আক্রমণ বলে উল্লেখ করেছেন। উত্তর কোরিয়ার ১০টি মিসাইলের মধ্যে তিনটি মিসাইল স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল যা উত্তর কোরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চল ওনসান থেকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।

    এর মধ্যে অন্তত একটি বুধবার নয়টার আগে নিক্ষেপ করা হয় যা সীমান্তের ২৬ কিলোমিটার দক্ষিণে, সোচো শহরের ৫৭ কিলোমিটার পূর্ব দিকে এবং উলিয়াং দ্বীপের ১৬৭ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে আঘাত হানে। এর ফলে উলিয়াং এ সাইরেন বাজিয়ে অধিবাসীদের ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারগুলোতে আশ্রয় নিতে বলা হয়।

    প্রসঙ্গত, উত্তর কোরিয়ার সীমারেখা পড়েছে সাগরের মাঝ বরাবর। তবে উত্তর কোরিয়া কখনওই এ সীমারেখাকে মেনে নেয়নি। এর আগে উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছিল, যে তারা যদি যৌথ সামরিক মহড়া অব্যাহত রাখে তাহলে তাদেরকে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন মূল্য দিতে হবে’। এ হুমকিকে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রচ্ছন্ন হুমকি হিসেবে দেখা হয়েছে।

    দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে, দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রমণ হলে তারা সেক্ষেত্রে মার্কিন সহযোগিতাও পাবে। উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পর দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান জাতীয় নিরাপত্তা বৈঠক ডেকেছেন। 

    চলতি বছরেই পঞ্চাশটির বেশি মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। এর মধ্যে একটি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র জাপান অতিক্রম করে গিয়ে পড়েছে। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক শক্তি সম্পন্ন সাবমেরিন দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলে এসেছে দু দেশের সামরিক মহড়ার অংশ হিসেবে। গত অগাস্ট মাসে এই মহড়া শুরু হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Taiwan China Conflict: তাইওয়ানের ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থার শীর্ষ আধিকারিকের মৃত্যু, রহস্য

    Taiwan China Conflict: তাইওয়ানের ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থার শীর্ষ আধিকারিকের মৃত্যু, রহস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাইওয়ান চিনের উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছে। এমতাবস্থায় রহস্য মৃত্যু তাইওয়ানের (Taiwan) ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থার এক শীর্ষ আধিকারিকের। সংবাদ মাধ্যম সূত্রেই এ খবর মিলেছে। তাইওয়ান সীমান্তের খুব কাছে মহড়া দিচ্ছে চিনা (China) ফৌজ। এমন আবহে ক্ষেপণাস্ত্র (Missile) নির্মাণকারী সংস্থার বর্ষীয়ান আধিকারিকের মৃত্যুতে ঘনীভূত হয়েছে রহস্য। মৃত্যুর কারণ জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।

    চুং শান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলজির সহ প্রধান ছিলেন আউ ইয়াং লি-সিং (Ou Yang Li-hsing)। এই চুং শান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলজি রয়েছে তাইওয়ান সেনার অধীনে। শনিবার সকালে দক্ষিণ তাইওয়ানের একটি হোটেলের ঘরে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয় আউ ইয়াং লি-সিংয়ের দেহ।

    জানা গিয়েছে, পেশাগত কাজে দক্ষিণ তাইওয়ানের পিংটুং প্রদেশে গিয়েছিলেন আউ ইয়াং লি-সিং। এদিনই  ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করার কথা ছিল তাঁর। চিনের সঙ্গে তাইওয়ানের কূটনৈতিক উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার পর থেকেই ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাইওয়ান। এহেন আবহেই রহস্য মৃত্যু তাইওয়ানের ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থার বর্ষীয়ান আধিকারিকের।

    আরও পড়ুন : ন্যান্সির তাইওয়ান সফরের জের, আমেরিকার সঙ্গে কথা বন্ধ চিনের

    মঙ্গলবার রাতে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আসেন এশিয়া সফরে। সেই সূত্রেই তাঁরা আসেন তাইওয়ানে। ন্যান্সির সফরসূচিতে তাইওয়ানের নাম ছিল না। তবে তিনি যে তাইওয়ান যেতে পারেন, তা একপ্রকার ঠিকই ছিল। তা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় চিনা প্রেসিডেন্টের। তখনই জিন পিং তাঁকে এই বলে সতর্ক করে দেন যে, যাঁরা আগুন নিয়ে খেলবেন, তাঁরা ধ্বংস হয়ে যাবেন। চুপ করে থাকেননি বাইডেনও। তিনিও জানিয়ে দেন, তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকার নীতিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি।

    আরও পড়ুন : চিনা হুমকি, তাইওয়ানে মহড়া শুরু যুদ্ধের

    তাইওয়ান সফর সেরে ন্যান্সি যান জাপানে। তার আগেই সামরিক মহড়া শুরু করে দেয় চিন। তাইওয়ান প্রণালী বন্ধ করে সামরিক মহড়া চালাতে শুরু করেছে শি জিন পিংয়ের সরকার। চিনের সাবমেরিন তাইওয়ানের জলসীমায় প্রবেশ করেছে বলে জানানো হয়েছে তাইওয়ানের তরফে। চিনের শতাধিক যুদ্ধ বিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় সামরিক মহড়া চালায়। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সামরিক মহড়ায় চিন মোট নটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। এর মধ্যে চারটি গিয়েছে তাইওয়ানের ওপর দিয়ে। চিন চারদিনের সামরিক মহড়ার কথা ঘোষণা করেছে। এই মহড়াগুলি চলবে তাইওয়ানের নির্দিষ্ট ছটি জোনে। এই  আবহে ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থার সহ প্রধানের মৃত্যুতে ক্রমেই দানা বাঁধছে রহস্য।

     

  • Agni-4 Missile: সফল উৎক্ষেপণ অগ্নি-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের, আওতায় ভারতের প্রতিবেশীরা

    Agni-4 Missile: সফল উৎক্ষেপণ অগ্নি-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের, আওতায় ভারতের প্রতিবেশীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম অগ্নি-৪ (agni-4) ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (ballistic missile) সফল উৎক্ষেপণ করল ভারত (India)। ওড়িশার (odisha) এপিজে আব্দুল কালাম দ্বীপ (apj abdul kalam island), পূর্ববর্তী হুইলার দ্বীপ (Wheeler Island) থেকে  ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের (Ministry of Defence) তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সফল উৎক্ষেপণের মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্রের নয়া প্রযুক্তি যাচাই করা গিয়েছে।

    জানা গিয়েছে, অগ্নি-৪ ব্যালিস্টিক মিসাইল চার হাজার দূরের যে কোনও লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে পারে। মন্ত্রকের তরফে জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই সফল পরীক্ষা দেশের প্রতিরক্ষাকে আরও মজবুত করে তুলবে। এদিনের পরীক্ষায় অগ্নি-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের যাবতীয় অপারেশনাল প্যারামিটার তথা প্রযুক্তির নির্ভরযোগ্যতাকে সফলভাবে যাচাই করেছে।

    গত বছর অগ্নি-প্রাইম (Agni Prime) মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করেছিল ভারত। সেই পরীক্ষাও হয়েছিল ওড়িশা উপকূলে। সেটিও ছিল পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র। পাল্লা ছিল এক থেকে দু’হাজার কিলোমিটার। অগ্নি-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ৪ হাজার কিলোমিটার। স্বাভাবিকভাবেই অগ্নি-৪ এর আওতায় চলে এল ভারতের অধিকাংশ প্রতিবেশী দেশ।

    আরও পড়ুন : ১৮ বছর পর বারাণসী বিস্ফোরণকাণ্ডে ফাঁসির সাজা ওয়ালিউল্লাহ খানকে

    কিছুদিন আগেই অত্যাধুনিক ব্রহ্মস (BrahMos) সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছিল ভারতীয় নৌসেনা ও বায়ুসেনা। দুটি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ করা হয় আন্দামান ও নিকোবর সংলগ্ন এলাকায়। উৎক্ষেপণ শেষে নৌসেনা জানিয়েছিল, যুদ্ধজাহাজ ‘আইএনএস দিল্লি’ (INS Delhi) থেকে একটি ব্রহ্মস মিসাইল ছোড়া হয়। উৎক্ষেপণের পর এক বিবৃতিতে নৌসেনা জানিয়েছিল, ঘণ্টা প্রতি তিন হাজার কিলোমিটার বেগে নির্ধারিত লক্ষ্য একটি বাতিল জাহাজে আছড়ে পড়ে মিসাইলটি। অত্যাধুনিক এই সমরাস্ত্রের অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে, জাহাজটিতে বিরাট গর্ত তৈরি হয়। প্রচণ্ড গতির জন্য এই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে সহজে ঘায়েল করতে পারে না এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমগুলি।

    আরও পড়ুন : প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াচ্ছে পাকিস্তান!

    অগ্নি-৪ এর সফল উৎক্ষেপণের ফলে ভারত আরও বেশি শক্তিশালী হল। এদিকে, এর আগেই অবশ্য প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বরাদ্দ বাড়াতে চলেছে ভারতের নিকটতম প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান (Pakistan)। পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রেই এ খবর মিলেছে। দেউলিয়া হওয়ার পথে যে দেশ, সে দেশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বরাদ্দ বাড়ায় কোন যুক্তিতে, উঠছে সেই প্রশ্নও।  

     

  • BrahMos Missiles: আরও ঘাতক! স্টেলথ ডেস্ট্রয়ারের জন্য ১৭০০ কোটি টাকার ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে নৌসেনা

    BrahMos Missiles: আরও ঘাতক! স্টেলথ ডেস্ট্রয়ারের জন্য ১৭০০ কোটি টাকার ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে নৌসেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতা ফুটিয়ে তুলতে বদ্ধপরিকর প্রতিরক্ষামন্ত্রক। মেক-ইন-ইন্ডিয়ার মন্ত্রকে হাতিয়ার করে বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রক ব্রহ্মস এয়ারোস্পেস প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে ১৭০০ কোটির চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। নৌসেনার জন্য মিসাইল কিনতেই এই চুক্তি। মন্ত্রক সূত্রে এক বিবৃতি জারি করে এই উদ্যোগের কথা জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতীয় নৌ সেনার শক্তি আরও বাড়াবে এই মিসাইল। আসলে এই ধরনের মিসাইল যেমন স্থলভাগ থেকে লক্ষ্যবস্তুর উপর নিক্ষেপ করা যায়। আবার একইভাবে জলেও শত্রুপক্ষের জাহাজে আঘাত হানতে এটি সক্ষম।

    ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর কাছে সাধারণত তিন ধরনের ব্রহ্মস মিসাইল রয়েছে। যা স্থল, জল, ও আকাশে আঘাত হানতে পারে। কিছুদিন আগেই সুখোই-৩০ বিমান থেকে ভারত ব্রহ্মস মিসাইলের সফল পরীক্ষা করা হয়। কয়েকদিন আগে মহড়ার সময় বঙ্গোপসাগরে নিখুঁত নিশানায় আঘাত হানতে পেরেছিল এই মিসাইল। এই সাফল্য একেবারে গেম চেঞ্জার, বলে আগেই জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞেরা। 

    আরও পড়ুন: ৪০ ঘণ্টার সফরে ২৩টি বৈঠক, ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে জাপানে মোদি

    ইন্দো রাশিয়ান যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল এই মিসাইল। এটির পাল্লা মোটামুটি ২৯০ কিমি। এটিকে বিশ্বের দ্রুততম গতি সম্পন্ন মিসাইল বলে গণ্য করা হয়। প্রায় শব্দের গতিবেগের চেয়ে তিনগুণ বেশি গতিবেগে এটি ছুটতে পারে। ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে যে মিসাইল রয়েছে তার পাল্লা প্রায় ৪৫০-৫০০ কিমি পর্যন্ত। যুদ্ধের পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। সম্প্রসারিত পাল্লায় এটি আঘাত হানতে সক্ষম। সমুদ্রের ওপর বিপক্ষের বড়সড় প্রতিরক্ষাকে ভেঙে দিতেই ব্রহ্মস বেশি কার্যকরী। তাই নৌসেনার জন্য এই মিসাইল আরও বেশি করে কেনার কথা ভাবছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক।

    সূত্রের খবর, ভারত আরও দূর পাল্লার ব্রহ্মস মিসাইল তৈরি করতে চাইছে। সেই মিসাইলের পাল্লা বৃদ্ধি করে প্রায় ৮০০ কিমি করা হতে পারে। সেই উদ্যোগ সফল করার লক্ষ্যেই কাজ করে চলেছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞেরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share