Tag: missiles

missiles

  • India’s First Laser Weapon: এক লহমায় ধ্বংস এক ঝাঁক ড্রোন! পাকিস্তান-চিনের ঘুম উড়িয়ে দেশীয় লেজার অস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতের

    India’s First Laser Weapon: এক লহমায় ধ্বংস এক ঝাঁক ড্রোন! পাকিস্তান-চিনের ঘুম উড়িয়ে দেশীয় লেজার অস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন প্রজন্মের অস্ত্রের দুনিয়ায় পা রাখল ভারত। লেজার অস্ত্রের (India’s First Laser Weapon) সফল পরীক্ষা চালিয়েছে দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও। ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-এর এই অস্ত্র মনে করাচ্ছে জর্জ লুকাসের তৈরি বিখ্যাত সিরিজ স্টার ওয়ারস-এর (Star Wars) যোদ্ধাদের। যেখানে যোদ্ধাদের অত্যাধুনিক তলোয়ার থেকে প্রতি নিয়ত বেরোচ্ছে আলোক রশ্মি। যা মাঝখান থেকে চিরে দিতে পারে একটা আস্ত বিমানকেও। এবার প্রায় একই রকম শক্তি নিজের হাতে তুলতে চলেছে ভারতীয় সেনা। শত্রু রাষ্ট্রের যুদ্ধবিমান থেকে গুপ্তচর ড্রোন, যে কোনও কিছু নিমিষে ধ্বংস করে দিতে পারে ডিআরডিও-র তৈরি এই লেজার অস্ত্র।

    ৩০ কিলোওয়াট লেজার অস্ত্রের ট্রায়াল রান সফল

    ডিআরডিও সূত্রে খবর, রবিবার অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলে এক দল গবেষক এই সদ্য নির্মিত ৩০ কিলোওয়াটের লেজার অস্ত্রের ট্রায়াল রান করায়। যাতে সফল হয়েছে তারা। জানা গিয়েছে, এই অত্যাধুনিক অস্ত্র তৈরির মাধ্যমেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন ও রাশিয়ার সঙ্গে জুড়ে গেল ভারতের নাম। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি এই নতুন মার্ক-২(এ)  ডিইডব্লু সিস্টেমটি দূর পর্যন্ত যে কোনও শত্রু ড্রোনের আক্রমণকে প্রতিহত করতে পারে। সেই ড্রোন এক ঝটকায় উড়িয়েও দিতে পারে। তারা আরও জানিয়েছে, এই অস্ত্র থেকে নির্গত লেজার বা আলোকরশ্মি ৫ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা যে কোনও ড্রোন বা হেলিকপ্টারকে আকাশপথেই ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। যা স্থল ও নৌসেনা উভয়েই নিজেদের সুবিধার্থে ব্যবহার করতে পারবেন।

    সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি লেজার অস্ত্র

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলের ন্যাশনাল ওপেন এয়ার রেঞ্জে লেজার (India’s First Laser Weapon) হাতিয়ারের পরীক্ষা করা হয়। ইতিমধ্যেই সেই ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি প্রকৃতপক্ষে একটি ‘ডিরেক্ট এনার্জি ওয়েপন সিস্টেম’ বা ডিইডব্লিউ। বর্তমান বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি দেশের কাছে আছে এই হাতিয়ার। এটি তৈরির মূল কৃতিত্ব ডিআরডিওর ‘সেন্টার ফর হাই এনার্জি সিস্টেমস অ্যান্ড সায়েন্সেস’-এর (সিএইচইএসএস)। লেজার হাতিয়ারের গবেষণায় হারদরাবাদের একাধিক ল্যাবরেটরি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাহায্য পেয়েছে ডিআরডিও। পরে নকশা অনুযায়ী অস্ত্রটিকে তৈরি করে একটি দেশীয় প্রতিরক্ষা সংস্থা। ট্রাক আকৃতির গাড়ির উপর ‘মার্ক-টু(এ) লেজার’কে বসানো হয়েছে। যুদ্ধের সময়ে একে একাধিক রণাঙ্গনে মোতায়েন করতে পারবে ফৌজ।

    ‘ড্রোন ঘাতক’ লেজার অস্ত্র

    প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা সূত্রে খবর, শত্রুর নজরদারি সেন্সর, অ্যান্টেনা বা রাডার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে পারবে ‘মার্ক-টু(এ)’। চোখের পলক ফেলার আগে নিখুঁত নিশানায় সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে হামলা চালাতে পারবে এই সমরাস্ত্র। লেজার হাতিয়ারটি ৩০ কিলোওয়াট শক্তি সম্পন্ন। তবে এর পাল্লার বিষয়টি গোপন রেখেছে প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা। ডিআরডিওর তরফে অত্যাধুনিক অস্ত্রটিকে ‘ড্রোন ঘাতক’-এর তকমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থাটির কর্তা-ব্যক্তিদের দাবি, ‘মার্ক-টু(এ)’র সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, এর নামমাত্র খরচ। এক-দু’লিটার পেট্রলের দামে কয়েক সেকেন্ডের জন্য লেজার রশ্মি ছুড়তে পারবে এই হাতিয়ার।

    ৩০-কিলোওয়াট লেজার অস্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য

    ● এই লেজার অস্ত্র ড্রোন, হেলিকপ্টার ও ক্ষেপণাস্ত্রের মতো আকাশপথের হুমকি ৫ কিলোমিটার দূর থেকেই ধ্বংস করতে পারে।

    ● শত্রুর যোগাযোগ ব্যবস্থা ও স্যাটেলাইট সিগন্যাল জ্যাম করতে সক্ষম।

    ● স্থল ও সমুদ্র – দুই জায়গায়ই এটি ব্যবহারযোগ্য।

    ● ৩৬০ ডিগ্রি সেন্সর দ্বারা সজ্জিত, যা টার্গেটিং-এ নির্ভুলতা নিশ্চিত করে।

    ● সহজেই বিমান, রেল, সড়ক বা জলপথে মোতায়েন করা যায়।

    ● বিভিন্ন সামরিক প্রয়োজনে এর ডিজাইনকে মানিয়ে নেওয়া যায়।

    বদলে যাবে আকাশ প্রতিরক্ষার সংজ্ঞা

    প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’র (এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) সংজ্ঞা বদলে দেবে ডিআরডিওর তৈরি অত্যাধুনিক এই অস্ত্র (India’s First Laser Weapon)। এর দু’রকম ব্যবহারের কথা বলেছেন সাবেক সেনাকর্তারা। দীর্ঘ দিন ধরেই ড্রোনের সাহায্যে জম্মু-কাশ্মীর এবং পঞ্জাবে হাতিয়ার ও মাদক চোরাচালান চালিয়ে আসছে পাকিস্তান। বাহিনীতে ‘মার্ক-টু(এ)’ চলে এলে সেই সূচক অনেকাংশেই নেমে আসবে, তা বলাই বাহুল্য। এ ছাড়া যুদ্ধ বা সীমান্ত সংঘর্ষের সময়ে শত্রুর ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসা ড্রোনকে পুড়িয়ে শেষ করতে পারবে নতুন লেজার হাতিয়ার। তবে ভারতীয় সেনা কবে থেকে এটি ব্যবহার করবে, তা স্পষ্ট করেনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

    ডিআরডিও-র পরের লক্ষ্য ‘সূর্য’

    ডিআরডিও-র পরের লক্ষ্য এরই আরও উন্নত সংস্করণ ‘সূর্য’, ৩০০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন। যার সীমা ২০ কিমি। এটি এখন গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে। ২০২৭ সালের মধ্যে ‘সূর্য’কে সামনে আনার চেষ্টায় রয়েছে ডিআরডিও। নতুন লেজার (India’s First Laser Weapon) হাতিয়ারটির সঙ্গে ‘সূর্য’-র কোনও মিল রয়েছে কি না, সেটা জানা যায়নি। তবে ‘সূর্য’র মাধ্যমে লেজার, মাইক্রোওয়েভ বা পার্টিকল বিমের (কণা রশ্মি) মতো কেন্দ্রীভূত শক্তিকে শত্রুর উপর সরাসরি প্রয়োগ করা যাবে বলে জানা গিয়েছিল। ‘সূর্য’ নিয়ে গবেষণার কাজে নিয়োজিত রয়েছে ডিআরডিওর লেজার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি সেন্টার। প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থাটির দাবি, ২০২৭ সালের মধ্যে হাতিয়ারটির প্রোটোটাইপ তৈরি করার কাজ পুরোপুরি শেষ করতে পারবে তারা। তবে এর জন্য একাধিক বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্বের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

  • VSHORADS: সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অত্যন্ত স্বল্প দূরত্বের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় সফল ভারত

    VSHORADS: সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অত্যন্ত স্বল্প দূরত্বের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় সফল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানের জয়সলমেরের পোখরান (Pokhran) ফায়ারিং রেঞ্জে দেশীয়ভাবে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র (VSHORADS) পরীক্ষা করল ভারত। পোখরান রেঞ্জে ডিআরডিও খুব স্বল্প পরিসরের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের তিনটি পরীক্ষা করেছিল।

    বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর (VSHORADS)

    ভারতের সাফল্যে উৎসাহিত প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি এই পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত ভারতীয় সেনাবাহিনী, ডিআরডিও এবং শিল্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ভিএসএইচওআরএডিএসের পুরো নাম ভেরি শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এই মিসাইলের পরীক্ষা সফল হওয়ায় বিজ্ঞানীদেরও অভিনন্দন জানিয়েছেন রাজনাথ। জানা গিয়েছে, এই মিসাইলটি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। এটি একটি মিসাইল ম্যান-পোর্টেবল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। নয়া ডেভেলপড এই মিসাইলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে রিঅ্যাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম ও ইন্টিগ্রেটেড এভিওনিক্স-সহ একাধিক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। ডিআরডিও-র (VSHORADS) তরফে জানানো হয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে উন্নত করা হচ্ছিল এই মিসাইল। একাধিক পরীক্ষায় সফল হওয়ার পর সম্প্রতি পোখরানে এর চূড়ান্ত পরীক্ষা করা হয়। সেই পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছে এটি।

    পোখরানে সাফল্য মিলেছিল অগাস্টেও

    অগাস্ট মাসেই পোখরানে সফল পরীক্ষা করা হয় ম্যান পোর্টেবল অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলের। একেবারে নিখুঁত নিশানায় শত্রুপক্ষের ট্যাঙ্ক ও ভারী যানকে ধুলিস্যাৎ করতে বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে এই মিসাইল। অন্যান্য অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলের তুলনায় এটি অত্যন্ত হালকা। ওজন ১৫ কিলোগ্রামেরও কম। স্বাভাবিকভাবেই যে কেউই এটি কাঁধে করে বহন করে নিয়ে যেতে পারবেন। এতদিন ভারতীয় সেনা তাদের প্রয়োজনে রাশিয়ান ইগলা ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর নির্ভর করত। এখনও করছে। তবে এখন এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আধুনীকিকরণ করা হচ্ছে এই জাতীয় ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে।

    আরও পড়ুন: “আমরা ভাগ হয়ে গেলে ওরা সেলিব্রেট করবে”, ভোটমুখী মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসকে নিশানা মোদির

    শুক্রবারই নয়াদিল্লিতে ইন্দো-প্যাসিফিক রিজিওনাল ডায়ালগ ২০২৪-এ ভাষণ দেওয়ার সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছিলেন, ভারত ধারাবাহিকভাবে বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে সওয়াল করেছে। আঞ্চলিক আলাপ-আলোচনা, স্থিতিশীলতা ও সম্মিলিত বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এশিয়ানের কেন্দ্রিকতার ওপর জোর দিয়ে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলির (Pokhran) মধ্যে সহযোগিতা সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছে (VSHORADS)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Nuclear Missiles: পাকিস্তানের চেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে ভারতের হাতে, বলছে রিপোর্ট

    India Nuclear Missiles: পাকিস্তানের চেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে ভারতের হাতে, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের চেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে ভারতের (India Nuclear Missiles) হাতে। অন্তত এমনই দাবি সুইডেনের বিশেষজ্ঞ সংস্থা স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (SIPRI)। এর আগে বিভিন্ন সংস্থার সমীক্ষায় জানা গিয়েছিল পাকিস্তানের হাতে রয়েছে বেশি সংখ্যক পরমাণু অস্ত্র (Weapon Systems)। সুইডেনের সংস্থার রিপোর্টে ভিন্ন সুর।

    কী বলছে রিপোর্ট? (India Nuclear Missiles)

    সোমবার সংস্থার তরফে প্রকাশ করা হয় রিপোর্টটি। তাতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের হিসেবে ভারতের হাতে পরমাণু অস্ত্র রয়েছে ১৭২টি। পাকিস্তানের চেয়ে দুটি বেশি। পাকিস্তানের চেয়ে ভারত এক ধাপ এগিয়ে রইলেও, ঢের পিছিয়ে রয়েছে চিনের চেয়ে। সুইডিশ ওই সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে চিনের হাতে (India Nuclear Missiles) ৪১০টি পরমাণু অস্ত্র থাকলেও, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে তা বেড়ে হয়েছে ৫০০। অথচ ২০১৮ সালে বেজিংয়ের হাতে ২৮০টি পরমাণু অস্ত্র ছিল বলে দাবি করা হয়েছিল এই সংস্থার রিপোর্টেই।

    কার হাতে কতগুলি পারমাণবিক অস্ত্র

    সুইডিশ এই সংস্থার রিপোর্টেই রয়েছে আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইজরায়েল এবং উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র সংস্ক্রান্ত তথ্য। রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে বিশ্বে অন্তত ২ হাজার ১০০টি পরমাণু অস্ত্রকে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হবে, তাতে বসিয়ে রাখা হয়েছে। এদের সিংহভাগই বিশ্বের অন্যতম দুই বৃহৎ শক্তিধর দেশ – আমেরিকা ও রাশিয়ায়। অন্যতম শক্তিধর দেশ চিনও কয়েকটি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রকে হাই অপারেশনাল সতর্কতায় রেখেছে বলেও দাবি সুইডিশ সংস্থার ওই রিপোর্টে।

    আর পড়ুন: জয়ের পর আজ প্রথম বারাণসীতে মোদি, আর্থিক সাহায্য ৯.২৬ কোটি কৃষককে

    রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের শ্যেনদৃষ্টি ভারতের নিউক্লিয়ার ডিপার্টমেন্টের ওপর। ভারত দূরপাল্লার পারমাণবিক অস্ত্র বানানোর (Weapon Systems) ওপর জোর দিচ্ছে। সেই সব অস্ত্রের পাল্লা এমন করার চেষ্টা চলছে, যাতে গোটা চিনই চলে আসতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায়। সুইডিশ থিঙ্কট্যাঙ্ক জানিয়েছে, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া রাশিয়া ও আমেরিকার পদাঙ্ক অনুসরণ করছে ভারত। বহুমুখী ব্যালিস্টিক মিসাইল মোতায়েনের ওপরও জোর দিচ্ছে তারা। বিশ্বের যে কোনও দেশের চেয়ে চিন ওয়্যারহেডস ওয়েপন বানাচ্ছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় (India Nuclear Missiles)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BrahMos Missiles: আরও চাপে চিন! ফিলিপিন্সে পোঁছল ভারতের ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র

    BrahMos Missiles: আরও চাপে চিন! ফিলিপিন্সে পোঁছল ভারতের ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কূটনৈতিক এবং সামরিক ক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ করল ভারত। চিনকে চাপে রাখতে ইতিমধ্যেই ফিলিপিন্সের সঙ্গে সামরিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ওই চুক্তির আওতায় শুক্রবার সকালেই ফিলিপিন্সে প্রথম দফায় পৌঁছল ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র (BrahMos Missiles)। ইতিমধ্যেই চিনকে নিশানায় রেখে লাদাখ ও অরুণাচলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র বসিয়েছে ভারত। এবার এই জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র চলে গেল ফিলিপিন্সের নৌ বাহিনীর হাতেও।

    সর্ববৃহৎ সামরিক রফতানি চুক্তি 

    ফিলিপিন্সের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত সর্ববৃহৎ সামরিক রফতানি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত (India-Philippines Relations)। শুক্রবার ভোরেই ফিলিপিন্সে পৌঁছে যায় ভারতের ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র। ভারতীয় বায়ুসেনার (IAF C-17) বিমানে চাপিয়ে ফিলিপিন্সে ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার রাতে নাগপুর থেকে রওনা দেয় বায়ুসেনার ওই বিমান। শুক্রবার ভোরে ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলায় পৌঁছয়। এর সঙ্গে ছিল তিনটি সাধারণ বিমানও। যাতে ছিল অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম এবং ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের সহায়ক যন্ত্রাংশ।

    কেন ফিলিপিন্সে ব্রহ্মস

    ফিলিপিন্সের উপকূলীয় নিরাপত্তার কাজে ভারতে তৈরি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হবে। পশ্চিম ফিলিপিন্স সাগরে আধিপত্য নিয়ে চিনের সঙ্গে সংঘাত রয়েছে ফিলিপিন্সের। সেই আবহে ভারতের সঙ্গে ফিলিপিন্সের এই সামরিক চুক্তিতে চিনের উপর চাপ বাড়বে বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা। ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে যৌথ উদ্যোগে গঠিত ব্রহ্মস এরোস্পেস সংস্থায় তৈরি ব্রহ্মস ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের চেয়েও দ্রুতগামী। স্থলভূমির পাশাপাশি ডুবোজাহাজ, জাহাজ, যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া সম্ভব। এই ক্ষেপণাস্ত্রই এবার শোভা পাবে ফিলিপিন্সের নৌ বাহিনীর সমর সম্ভারে। 

    কবে হয়েছিল চুক্তি

    ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ফিলিপিন্সের সঙ্গে সামরিক চুক্তির ঘোষণা করে ভারত। চুক্তি যদিও ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বরই স্বাক্ষরিত হয়।  বিদেশে সামরিক সরঞ্জাম রফতানির ক্ষেত্রে ফিলিপিন্সের সঙ্গে এই চুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রথম অন্য দেশের সঙ্গে সামরিক সরঞ্জাম রফতানির এত বড় চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল ভারত।  যা শুক্রবার বাস্তব রূপ পেল। মোট ২,৭০০ কোটি টাকার বিনিময়ে ভারতের সঙ্গে সামরিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ফিলিপিন্স। ওই চুক্তির আওতায় ২৯০ কিলোমিটার পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র  প্রযুক্তি কিনছে তারা। ক্ষেপণাস্ত্রের তিনটি ব্যাটারিও তাদের বিক্রি করছে ভারত। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ফিলিপিন্স নৌসেনার ২১ সৈনিককে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Iran-Israel Conflict: মিসাইল ও বিস্ফোরক বোঝাই ২০০টি ড্রোন নিয়ে ইজরায়েলে হামলা ইরানের

    Iran-Israel Conflict: মিসাইল ও বিস্ফোরক বোঝাই ২০০টি ড্রোন নিয়ে ইজরায়েলে হামলা ইরানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসের শুরুতেই ইজরায়েল সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে ইরানের দূতাবাসের ওপরে হামলা চালিয়েছিল। এই হামলার জবাব দিতে ইরান কী করে, তার দিকে বিশ্বের একাধিক দেশ তাকিয়েছিল। ইরান (Iran-Israel Conflict) যে হামলা চালাতে পারে, তা নিয়ে জল্পনাও তৈরি হয়েছিল। এবার সেই জল্পনাই সত্যি হল। আকাশপথে ইজরায়েলে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান।

    ২০০-এর বেশি ড্রোন দিয়ে এই হামলা! (Iran-Israel Conflict)

    আইডিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার মধ্যেরাতে বিভিন্ন প্রকার ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইজরায়েলে হামলা (Iran-Israel Conflict) চালায় তেহরান। আইডিএফ (ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স) সূত্রের খবর, ২০০-এর বেশি ড্রোন দিয়ে এই হামলা চালানো হয়েছে। যদিও এই হামলার ঘটনায় প্রাণহানির খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে, এই হামলার ঘটনায় ফের যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইরানের সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, এই ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ইজরায়েলের কোথায় আঘাত হেনেছে, তা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি। আইডিএফ-ও ভিডিও প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ইরানের ছোড়া অধিকাংশ মিশাইল আয়রন ডোমে আটকে রয়েছে। যেক’টি মিসাইল আছড়ে পড়ে, তাতে একজন শিশু জখম হয়েছে। ইরান হামলা চালিয়ে থেমে থাকেনি। জানা গিয়েছে, এই সংঘর্ষের ঘটনায় আমেরিকাকে নাক না গলানোর কথা বলা হয়েছে। তবে, যুদ্ধে আমেরিকা ইজরায়েলের পাশে দাঁড়াবে বলে জানিয়েছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই বিষয় নিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলতে পারেন। সব মিলিয়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা করছে অনেকে।

    আরও পড়ুন: “সবই তো আমি দিয়েছি, কেন বিজেপিকে ভোট দেন?,” আক্ষেপ মমতার

    কেন হামলা?

    গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যে যুদ্ধ (Iran-Israel Conflict) শুরু হয়েছিল, তা সময় কাটার সঙ্গে সঙ্গে আরও জটিল হয়েছে। চলতি মাসের শুরুতেই ইজরায়েল সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে ইরানের দূতাবাসের ওপরে হামলা চালায়। এরপরই পাল্টা মোক্ষম জবাবের হুঁশিয়ারি দেয় ইরান। আশঙ্কা ছিল, হুশিয়ারির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই হয়তো হামলা চালাবে ইরান। বাস্তবে দেখা গেল,  ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই হামলা চালাল ইরান।

    আমেরিকা– মিত্র দেশের থেকে সহযোগিতার দাবি

    ইজরায়েল সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, “ইরান আমাদের দেশের ওপর ড্রোন হামলা চালিয়েছে। আমরা আমেরিকা এবং বাকি মিত্র দেশের থেকে সহযোগিতা চেয়েছি যাতে, এই হামলা রোধ করা যায়।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ukraine war: ইউক্রেনে যুদ্ধাস্ত্র পাঠালে নতুন টার্গেটে হামলা, পশ্চিমকে হুঁশিয়ারি পুতিনের

    Ukraine war: ইউক্রেনে যুদ্ধাস্ত্র পাঠালে নতুন টার্গেটে হামলা, পশ্চিমকে হুঁশিয়ারি পুতিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকা (America) যদি ইউক্রেনকে (Ukraine) দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র (long  range missiles) সরবরাহ বন্ধ না করে, তাহলে রাশিয়া (Russia) নয়া লক্ষ্যে আঘাত হানবে। পশ্চিমের দেশগুলিকে এই মর্মে সতর্ক করল রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir putin)। রাশিয়ার এক সংবাদসংস্থা সূত্রেই এখবর মিলেছে। তিনি বলেন, “ইউক্রেনের যেসব জায়গায় আমরা এখনও আঘাত করিনি, সেসব জায়গায় এবার আঘাত করব।”

    চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia war)। প্রথম দিকে ইউক্রেনকে কিছুটা চেপে ধরলেও, পরে রাশিয়ার সঙ্গে সমানে টক্কর নিচ্ছে ইউক্রেন। যার জেরে একশো দিন পেরিয়ে গেলেও যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণ নেই। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকা সহ ন্যাটোর (NATO) অন্যান্য দেশের সাহায্য পাচ্ছে ইউক্রেন। তারই জেরে অব্যাহত লড়াই। সেই কারণেই এবার নাম না করে পশ্চিমের দেশগুলিকে হুঁশিয়ারি দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট (Russian President)। তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, ইউক্রেনকে দূরপাল্লার মিসাইলের জোগান দেওয়া হলে রাশিয়া নয়া লক্ষ্যে আঘাত করবে।

    আরও পড়ুন : রাশিয়া থেকে গ্যাস কেনা কি যুদ্ধে মদত নয়? পশ্চিমকে তোপ ভারতের

    দিনকয়েক আগেই আমেরিকা জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনকে হিমার (M142 HIMARS) মাল্টিপল রকেট লঞ্চ সিস্টেম (Multiple Rocket Launch Systems (MLRS)) পাঠাবে। আশি কিলোমিটার দূরের কোনও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। এছাড়াও কোটি কোটি ডলারের অস্ত্র সাহায্য করছে আমেরিকা। এই অস্ত্র সাহায্যেই ক্ষুব্ধ মস্কো (Moscow)।

    আন্তর্জাতিক যুদ্ধ বিশারদদের মতে, আমেরিকার হিমার চেয়ে রাশিয়ার হাতে থাকা সিস্টেমের পাল্লা কম। তাই হিমার দিয়ে ইউক্রেন বাহিনী কিভে (Kyiv) বসেই রুশ সেনাঘাঁটিতে হামলা চালাতে পারবে অনায়াসে। সেই কারণেই চিন্তিত ক্রেমলিন (Kremlin)। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) দাবি, তাঁরা এমন কোনও অস্ত্র ইউক্রেনকে দেবেন না, যাতে রাশিয়ার কোনও ক্ষতি হয়। পুতিনও স্বীকার করেছেন, আমেরিকা এমন কোনও নয়া অস্ত্র ইউক্রেনকে দিচ্ছে না। সোভিয়েত যুগে (Soviet era) তৈরি হিমারের মতো অস্ত্র ইউক্রেনের কাছে ছিল। পুতিন বলেন, আমেরিকার আসল উদ্দেশ্য যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করা।

    আরও পড়ুন : ভারতের ওপর কি ক্রমশ নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে রাশিয়া?

    যদিও টোকিওতে কোয়াড (QUAD) সম্মেলনের মঞ্চে পুতিনকে তোপ দেগে বাইডেন বলেছিলেন, আমরা ইতিহাসের একটি অন্ধকার অধ্যায়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ। এটি একটি মানবিক বিপর্যয়। যা শুধু মাত্র ইউরোপের (Europe) সমস্যা নয়, গোটা বিশ্বের সমস্যা। তিনি বলেন, এমনটা নয় যে রাশিয়া কেবল ইউক্রেনের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করছে। তারা ইউক্রেনের প্রতিটি স্কুল, প্রতিটি গির্জাকে তাদের অস্ত্রের লক্ষ্যবস্তু করছে। বিশ্বের সমস্ত শান্তিকামী দেশকে এর মোকাবিলা করতে হবে।

     

LinkedIn
Share