Tag: Mission

  • Mission Trishul: বিহারে এনডিএর বিপুল জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে আরএসএস!

    Mission Trishul: বিহারে এনডিএর বিপুল জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে আরএসএস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএর বিপুল জয় নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে আরএসএস (RSS)। নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছে বিজেপি, জেডিইউ, এলজেপি(আরভি) এবং অন্যান্য জোটসঙ্গীরা, সেখানে আরএসএস এবং বিজেপির বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, জটিল সামাজিক সমীকরণযুক্ত জেলাগুলিতে বিশেষভাবে সংঘের মাঠপর্যায়ের কাজ জোটকে বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে (Mission Trishul)। তারা মূলত জোর দিয়েছে সুশাসন ও উন্নয়নের ওপর।

    স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন (Mission Trishul)

    সংবাদ মাধ্যমের খবর, আরএসএস বিহারের ৩৮টি জেলার প্রতিটিতে অন্তত ১০০ জন করে স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করেছিল, যারা তাদের সহযোগী সংগঠনের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কাজ করেছে। এর পাশাপাশি প্রায় ৫ হাজার এবিভিপি সদস্যকে পাঁচজনের ছোট দলগুলিতে ভাগ করে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে পাঠানো হয়েছিল। এই দলগুলি নীরবে কাজ করেছে। আরএসএসের এই চেষ্টা এনডিএর ভোটশেয়ার ২০২০ সালের নির্বাচনের তুলনায় অধিকাংশ আসনেই বাড়াতে সাহায্য করেছে। ২০২০ সালে এনডিএর কিছু শরিক, যেমন তৎকালীন অবিভক্ত লোক জনশক্তি পার্টি এবং জাতীয় লোক মোর্চা আলাদাভাবে নির্বাচন লড়েছিল। কিন্তু এবার সবাই একজোট হওয়ায় আরএসএস জোটের সব প্রার্থীকেই সমানভাবে সমর্থন করেছে।

    এনডিএর জয়জয়কার

    আরএসএস সূত্রে খবর, যে যে আসনে এনডিএর যেসব শরিক দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে সেগুলির ভোটশেয়ারে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা গেছে। বিজেপির ৪২.৫৬ ভোট থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৮.৪৪ শতাংশ, জনতা দল (ইউনাইটেড)-এর ভোট ৩২.৮৩ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৬.২ শতাংশ। এলজেপি(আরভি)-এর ভোট ১০.২৬ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৩.১৮ শতাংশ, হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (সেক্যুলার)-এর ভোট ৩২.২৮ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৮.৩৯ শতাংশ, এবং আরএলএমের ৪.৪১ ভোটের হার থেকে বেড়ে হয়েছে ৪১.০৯ শতাংশ (RSS)। এনডিএর সংখ্যাগরিষ্ঠতার গেরো পার করার আরও একটি কারণ হল মানুষের ভোট দেওয়ার ধরন বদলানো। আরএসএস কর্মীরা ভোটারদের (Mission Trishul) বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে কর্মক্ষমতা ও জাতীয় স্বার্থ—এই বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দিতে হবে, প্রচলিত জাতিভিত্তিক ভোটের বদলে। বস্তুত, এই প্রথার জন্য বিহার বহুদিন ধরে পরিচিত। স্বেচ্ছাসেবকদের অনেকেই সংঘের বিভিন্ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে বিহারে বাস করতেন। ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এবিভিপি ছাত্ররা সময় বের করতে পারলেই যোগ দিতেন নানা কর্মসূচিতে। আরএসএসের এক পদাধিকারী জানান, তাদের বাড়ি–বাড়ি প্রচার ভোটারদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে কেবলমাত্র জাতিভিত্তিক রাজনৈতিক পছন্দ বৃহত্তর সামাজিক স্বার্থকে দুর্বল করে।

    মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় নজরকাড়া ফল

    সবচেয়ে (RSS) নজরকাড়া ফল এসেছে সীমাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে। এটি এমন কিছু জেলার সমষ্টি যেখানে মুসলিম জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্য। সমাজসেবা, কমিউনিটি কাজ এবং স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমের মাধ্যমে গত দশকে আরএসএস এখানে ধীরে ধীরে তাদের পায়ের নীচের মাটি শক্তি করেছে। সংঘ কর্তাদের মতে, এই দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতির কারণেই তারা এই অঞ্চলের ২৮–৩২টি আসনে জাতিভেদের বিশ্বাসের মূলে কুঠারাঘাত করে হিন্দু ভোট একত্রিত করতে পেরেছেন। ৩২টি আসনের মধ্যে যেখানে মুসলিম ভোটাররা সংখ্যাগরিষ্ঠ, সেখানে এবারের নির্বাচনে এনডিএ জিতেছে ২১টি আসন। এর মধ্যে বিজেপি ১০টি, জেডিইউ ৮টি, এলজেপি (আরভি) ২টি এবং আরএলএম ১টি আসন জিতেছে। ২০২০ সালের তুলনায় এটি ভালো ফল। কারণ, সেবার এনডিএ এই আসনগুলির মধ্যে ১৮টিতে জিতেছিল (Mission Trishul)।

    সংখ্যালঘু মোর্চার অবদান

    বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চাও জুলাই থেকে একটি নীরব কিন্তু লক্ষ্যভিত্তিক প্রচার চালিয়েছে, বিশেষভাবে মুসলিম পরিবারগুলির ওপর গুরুত্ব দিয়ে। তারা কেন্দ্রের বিভিন্ন কল্যাণ প্রকল্প, যেমন উজ্জ্বলা ও আবাস যোজনার উদাহরণ তুলে ধরে জানিয়েছে, এসব প্রকল্প ধর্মনিরপেক্ষভাবে সবারই উপকার করেছে। সংখ্যালঘু মোর্চার প্রধান জামাল সিদ্দিকি বলেন, “অনেক মুসলিম পরিবার ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে, কারণ তারা স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন চাইছিল।” তাঁর দাবি, নীতীশ কুমারের টেকসই সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উন্নয়ন প্রচেষ্টা—এই দুটোই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

    মিশন ত্রিশূল

    পরম্পরাগত নির্বাচনী ব্যবস্থার পাশাপাশি, আরএসএস এ বছর ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মিশন ত্রিশূল নামে একটি বিশেষ প্রচারও করে। আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত নিজেও এতে যুক্ত ছিলেন। প্রশ্ন হল, মিশন ত্রিশূল কী (RSS)মিশন ত্রিশূল হল তিন ধাপের একটি কাঠামো, যার লক্ষ্য হল এনডিএর জয়ের সম্ভাবনাকে শক্তিশালী করা এবং গ্রামীণ অঞ্চলে বিরোধী মনোভাবের প্রভাব কমানো। মিশনের প্রথম ধাপে বুথ স্তরে ভোটার মানসিকতার বিস্তারিত মানচিত্র তৈরি করা হয়। আরএসএস স্বেচ্ছাসেবকরা গ্রাম ও ছোট শহরের মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন, বেকারত্ব, রাস্তার অভাব, কল্যাণমূলক সুবিধা বিলম্বে পাওয়া, বা স্থানীয় নেতাদের প্রতি ক্ষোভ এসব বিভিন্ন অসন্তোষের কারণ জানতে।
    দ্বিতীয় ধাপটি হল যোগাযোগ কৌশল। যেসব এলাকায় অসন্তোষ পাওয়া গেল, সেখানে আরএসএস স্থানীয় সমস্যাগুলিকে বিজেপির বৃহত্তর জাতীয় প্রচারের সঙ্গে যুক্ত করতে কাজ করে, উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক পরিচয়, জাতীয়তাবাদ এবং স্থিতিশীলতা (Mission Trishul)।
    স্বেচ্ছাসেবকরা সরকারি প্রকল্প, কর্মসংস্থান প্রচেষ্টা, কৃষি সংস্কার, এবং সংরক্ষণ নীতি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে এগুলিকে সুশাসন ও উন্নয়নের বড় গল্পের সঙ্গে মিলিয়ে দেন (RSS)। মিশন ত্রিশূলের শেষ ধাপটি হল হিন্দু ভোটারদের একত্রিত করা। এবিভিপি, বাজরং দল, ভিএইচপি, মজদুর সংঘের মতো সংগঠনগুলি এই কাজে সাহায্য করে। তারা কোন বুথ বিজেপির শক্তিশালী, কোনটি দুর্বল – এগুলি চিহ্নিত করে এবং নিশ্চিত করে যে বিজেপি-সমর্থক ভোটাররা ভোটদানে সক্রিয় হয় (Mission Trishul)।

  • India: কাবুলে ফের খুলছে ভারতীয় দূতাবাস, আফগান বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শঙ্করের বৈঠকের পরেই ঘোষণা

    India: কাবুলে ফের খুলছে ভারতীয় দূতাবাস, আফগান বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শঙ্করের বৈঠকের পরেই ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আরও চাপে পড়ে গেল পাকিস্তান। মজবুত হচ্ছে ভারত-আফগানিস্তান সম্পর্ক। ‘কাবুল মিশন’ (Kabul Mission) সফল করতে সেখানে ফের খোলা হচ্ছে ভারতীয় (India) দূতাবাস। এর পাশাপাশি, দুই দেশের মধ্যে সরাসরি উড়ান পরিষেবা, উন্নয়নমূলক প্রকল্প সম্প্রসারণ এবং মানবিক সাহায্য বাড়ানোর ঘোষণাও করা হয়েছে।

    মুত্তাকি-জয়শঙ্কর বৈঠক (India)

    তালিবান সরকারকে এখনও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি ভারত। এই সরকারেরই বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি ভারত সফরে এসেছেন বৃহস্পতিবার। থাকবেন এক সপ্তাহ। আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর এই প্রথম সে দেশের নয়া সরকারের শীর্ষ কোনও নেতা প্রথম এলেন ভারত সফরে। শুক্রবার ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি, পাকিস্তান–আফগানিস্তান–ইরান বিষয়ক যুগ্ম সচিব আনন্দ প্রকাশ এবং বিদেশমন্ত্রকের অন্য কর্তারা। বৈঠক শেষে জয়শঙ্কর বলেন, “আজ আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে কাবুলে ভারতের প্রযুক্তিগত মিশনকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ভারতের দূতাবাসে’র মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে।” আফগান বিদেশমন্ত্রীকে “এক্সেলেন্সি” সম্বোধন করে জয়শঙ্কর বলেন, “আপনার এই সফর আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এবং ভারত-আফগানিস্তানের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ফের নিশ্চিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”

    কী বললেন মুত্তাকি

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে আফগানিস্তানের রাশ যায় তালিবানদের হাতে। তার পরেই বন্ধ করে দেওয়া হয় কাবুলের ভারতীয় দূতাবাস। তবে গত কয়েক মাসে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে দুই দেশের মধ্যে। এহেন আবহে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে পুরোদস্তুর দূতাবাস চালু করার ঘোষণা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সদলে বৈঠক শেষে মুত্তাকি বলেন, “আশা করছি, দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়বে (Kabul Mission)। যোগাযোগ এবং বিনিময় বৃদ্ধি পাবে।” নয়াদিল্লিকে ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ আখ্যা দেন আফগান বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, “পারস্পরিক সম্মান, বাণিজ্য এবং দুই দেশের সাধারণ মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই আমরা।” তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রী মুত্তাকি সাফ জানিয়ে দেন, “আমাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করে কোনও দেশকে অন্য দেশের ওপরে হামলা চালাতে দেব না।” আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, আফগান বিদেশমন্ত্রীর নিশানায় যে আদতে পাকিস্তানই, তা বলাই বাহুল্য। যদিও ইসলামাবাদের নাম মুখে আনেননি তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রী।

    খনি খুঁড়তে ভারতকে আমন্ত্রণ

    এর পরেই দূতাবাস খোলার কথা ঘোষণা করেন জয়শঙ্কর। বলেন, “আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং স্বাধীনতাকে সমর্থন করে ভারত। নয়াদিল্লির (India) টেকনিক্যাল মিশন কাবুলে রাষ্ট্রীয় দূতাবাসের মর্যাদা পাবে।” আফগানিস্তানের খনি ক্ষেত্রগুলিতে খনন কার্য চালানোর অনুমতি পেয়েছে ভারত। সেজন্য ভারতীয় বিভিন্ন কোম্পানিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে তালিবান সরকার। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “এতে দুই দেশেরই স্বার্থ রয়েছে। বাণিজ্য এবং ব্যবসা বাড়বে।” কাবুল এবং নয়াদিল্লির মধ্যে অতিরিক্ত উড়ান চালুর কথাও মনে করিয়ে দেন জয়শঙ্কর। এর পরেই ভূমিকম্পের সময় ভারতের মানবিক সাহায্যের জন্য নয়াদিল্লিকে ধন্যবাদও জানান মুত্তাকি (Kabul Mission)।

    পুরোদমে চালু হচ্ছে ভারতীয় দূতাবাস

    ২০২২ সালে কাবুলে একটি টেকনিক্যাল টিম পাঠিয়েছিল ভারত। সেই থেকেই সেই টিমের সদস্যরা অবস্থান করছিলেন ভারতীয় দূতাবাসে। সেই দূতাবাসই এবার চালু হচ্ছে পুরোদমে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাকিস্তান ও তালিবান সরকারের মধ্যে সীমান্তবর্তী সন্ত্রাস ও আফগান শরণার্থীদের পুনর্বাসন নিয়ে সম্পর্কের টানাপোড়েনের আবহে কাবুলের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ বাড়ানোর নয়া সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সেটাকেই কাজে লাগাল ভারত। বৈঠকে জয়শঙ্কর বলেন, “ভারত আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং স্বাধীনতার প্রতি পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা শুধু আফগানিস্তানের জাতীয় উন্নয়নেই নয়, গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতা এবং সহনশীলতাও নিশ্চিত করে।” তিনি আরও জানান, ভারত অতীতের প্রকল্পগুলির রক্ষণাবেক্ষণ ও অসম্পূর্ণ প্রকল্পগুলির সমাপ্তিতে সহযোগিতা করবে। আফগানিস্তানের উন্নয়নমূলক অন্যান্য চাহিদা সম্পর্কেও আলোচনা হবে।

    দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় জোর

    এদিন, বৈঠকের শুরুতেই জয়শঙ্কর বলেন, “আমাদের মুখোমুখি এই সাক্ষাৎ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এই বৈঠক আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির বিনিময়, অভিন্ন স্বার্থ চিহ্নিত করা এবং ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার সুযোগ দিয়েছে।” নাম না করে পাকিস্তানকে নিশানা করে ভারতের বিদেশমন্ত্রীও বলেন, “আমাদের উভয় দেশেরই উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির প্রতি অভিন্ন প্রতিশ্রুতি রয়েছে। কিন্তু সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসবাদ সেই লক্ষ্যে বড় হুমকি (Kabul Mission)। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে। ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগের প্রতি আপনার সংবেদনশীলতার প্রশংসা আমরা করি (India)।” তিনি বলেন, “আমাদের শিক্ষা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির কর্মসূচিগুলি দীর্ঘদিন ধরে আফগান যুবসমাজকে লালন-পালন করে আসছে। আমরা আফগান শিক্ষার্থীদের জন্য ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়াশোনার সুযোগ আরও বাড়বে।” তিনি বলেন, “খেলাধুলো আর একটি দীর্ঘদিনের সংযোগের ক্ষেত্র। আফগানিস্তানের ক্রিকেট প্রতিভার উত্থান সত্যিই প্রশংসনীয়। আফগানিস্তানের ক্রিকেটকে আরও সাহায্য করতে পেরে ভারত আনন্দিত।”

    এদিকে, তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রীর ভারত সফরের মধ্যেই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কাবুল। অনুমান, এই হামলা চালিয়েছে পাক বিমানবাহিনী (Kabul Mission)। পাকিস্তানের সঙ্গে তালিবানদের সম্পর্কের নাটকীয় অবনতির পরেই ঘটল এই হামলা (India)।

  • Gyan Bharatam Mission: পান্ডুলিপি সংরক্ষণে ‘জ্ঞান ভারতম মিশন’ চালুর কথা কেন্দ্রীয় বাজেটে, কেন তাৎপর্যপূর্ণ

    Gyan Bharatam Mission: পান্ডুলিপি সংরক্ষণে ‘জ্ঞান ভারতম মিশন’ চালুর কথা কেন্দ্রীয় বাজেটে, কেন তাৎপর্যপূর্ণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বাজেটে ঘোষণা করা হয়েছে ‘জ্ঞান ভারতম মিশন’ চালুর কথা। ২০২৫-’২৬ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এই মিশন চালুর কথা ঘোষণা করেন (Indias Ancient Knowledge)। এই মিশনে এক কোটি পান্ডুলিপি সংরক্ষণ ও নথিভুক্ত করা হবে (Gyan Bharatam Mission)। এই উদ্যোগটি ভারতের বিশাল বৌদ্ধিক ঐতিহ্যকে রক্ষা ও সমৃদ্ধ করার উদ্দেশ্যে গৃহীত হয়েছে। এটি প্রাচীন জ্ঞানকে আধুনিক শিক্ষা ও প্রযুক্তির সঙ্গে সংযুক্ত করার মোদি সরকারের বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

     কী বললেন সীতারামন? (Gyan Bharatam Mission)

    শনিবার বাজেট বক্তৃতায় সীতারামন বলেন, “আমাদের পান্ডুলিপি ঐতিহ্যের সমীক্ষা, নথিভুক্তকরণ এবং সংরক্ষণের জন্য জ্ঞান ভারতম মিশন চালু করা হবে। এটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, জাদুঘর, গ্রন্থাগার এবং ব্যক্তিগত সংগ্রাহকদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে এক কোটি পান্ডুলিপি অন্তর্ভুক্ত করবে।”  সীতারামন এও ঘোষণা করেন, ভারতীয় জ্ঞানতন্ত্রের জন্য একটি জাতীয় ডিজিটাল ভান্ডার স্থাপন করা হবে, যা জ্ঞান বিনিময়ের সুযোগ করে দেবে। নয়া এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত বলেন, “২০২৫ সালের বাজেট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সভ্যতাগত উত্তরাধিকারের সংরক্ষণ ও প্রচারের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।”

    শেখাওয়াতের বক্তব্য

    তিনি (Gyan Bharatam Mission) বলেন, “একটি নতুন কেন্দ্রীয় খাত প্রকল্প, ‘জাতীয় পান্ডুলিপি মিশন’ বা ‘জ্ঞান ভারতম মিশন’, আমাদের পান্ডুলিপি ঐতিহ্যের সমীক্ষা, দলিলীকরণ ও সংরক্ষণের জন্য চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ কোটিরও বেশি পান্ডুলিপি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভারতীয় জ্ঞান ব্যবস্থার একটি জাতীয় ডিজিটাল সংগ্রহশালা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এটি প্রমাণ করে যে আমাদের সরকার আমাদের ‘বিরাসত’ রক্ষার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে আমরা ‘বিকশিত ভারত’-এর পথে এগিয়ে যেতে পারি।”

    প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশাসন ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুনর্গঠনের জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে। এই প্রচেষ্টাগুলির মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল ২০২০ সালে চালু হওয়া ‘জাতীয় শিক্ষা নীতি’, এটি ভারতীয় সংস্কৃতির মূল্যবোধ ও জ্ঞানকে শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে সমন্বিত করার লক্ষ্য নিয়েছে (Indias Ancient Knowledge)। এই নীতির সমর্থনে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে ‘ভারতীয় জ্ঞান পরম্পরা বিভাগ’ প্রতিষ্ঠা করে (Gyan Bharatam Mission)।

LinkedIn
Share