Tag: Mithun Chakraborty

Mithun Chakraborty

  • Mithun Chakraborty: ট্রেলার দেখিয়েছে বাংলাদেশ! এক হোন হিন্দু বাঙালিরা, আহ্বান মিঠুনের

    Mithun Chakraborty: ট্রেলার দেখিয়েছে বাংলাদেশ! এক হোন হিন্দু বাঙালিরা, আহ্বান মিঠুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রেলার দেখিয়েছে বাংলাদেশ! হিন্দু বাঙালিরা এক হোন। ঠিক এই ভাষাতেই হিন্দু ঐক্যের (Hindu Unity) আহ্বান জানালেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। বৃহস্পতিবার রাজ্যে বিজেপির একটি দলীয় কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। এই সভায় যোগদান করে হিন্দু বাঙালিদের উদ্দেশে সতর্কবার্তাও দিলেন অভিনেতা। এদিন মিঠুন চক্রবর্তীর ভাষণে ছিল আগাগোড়াই হিন্দুত্বের ছোঁয়া। অভিনেতা বলেন, ‘‘আমি কিন্তু বলি, গর্ব করে বলো যে আমি সনাতনী। আমরা সনাতনী। যদি ভগবান সনাতনী হিসাবে জন্ম দিয়ে থাকেন তাহলে মরব সনাতন হিসাবে। কিন্তু অন্য হাতে ওই ভাবে মার খেয়ে মরব না।’’

    বারাকপুরের বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা আয়োজন করে বসন্ত উৎসব

    এদিন সন্ধ্যায় নিউ বারাকপুরের কৃষ্টি ভবনে বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা মিলে আয়োজন করেছিলেন বসন্ত মিলন অনুষ্ঠান। সেখানেই মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ট্রেলার দেখিয়ে দিয়েছে। যদি না জিততে পারেন তাহলে পশ্চিমবাংলায় হিন্দু বাঙালি বলে কেউ থাকবে না। এখনও ৯ শতাংশ হিন্দু আমাদের ভোট দেন না। এবার ওরা জিতে এলে কিন্তু নির্বংশ করে দেবে।’’ প্রসঙ্গত, এদিন অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা হিসেবে হাজির ছিলেন মিঠুন। এছাড়াও বারাকপুরে বিজেপির এই দলীয় কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ সমেত ওই লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ডল ও জেলাস্তরের বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থকরা।

    অন্য দলের হিন্দুরা কী করবেন, না – করবেন আমরা জানি না

    মিঠুনের (Mithun Chakraborty) সভা ঘিরে কর্মী সমর্থকদের মধ্যে আগ্রহ ছিল একেবারে তুঙ্গে। গোটা সভাগার ছিল ভর্তি। সভা মঞ্চ থেকে এদিন মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অন্য দলের হিন্দুরা কী করবেন, না করবেন আমরা জানি না। কিন্তু বিজেপির হিন্দু বাঙালিরা থাকবে না, এটা কিন্তু মনে করে চলবেন। এরা তৈরি হয়ে বসে আছে, আবার যদি জিতে আসি, নির্বংশ করে দেব। সেজন্য কিছু না ভেবে জিতুন।’’ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, সাম্প্রতিক বাংলাদেশে যেভাবে সংখ্যালঘু সমাজের ওপর আক্রমণ আঘাত নেমে এসেছে তাতে উদ্বিগ্ন হয়েছে বিভিন্ন মহল। প্রশ্ন উঠেছে ইউনূস জমানার আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়েও। এই আবহে নিজের ভাষণে মিঠুন, মমতা ও ইউনূসের শাসনকে এক করে দেখাতে চাইলেন।

    এখনও ৯ শতাংশ হিন্দু ভোট দেয় না, আমি চিৎকার করে অনুরোধ করছি, এবার ভোট দিন

    বারাকপুরে দলীয় কর্মসূচি শেষ করে মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি বলেন, ‘‘এখনও ৯ শতাংশ হিন্দু ভোট দেয় না। আমি চিৎকার করে তাঁদের অনুরোধ করছি, এবার ভোট দিন। বাংলাদেশ একটা ট্রেলার দেখিয়েছে আপনাদের। এর পর পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু বাঙালি থাকবে কি না তা নিয়ে আমার মনে প্রশ্ন আছে। এটা আমাদের অস্তিত্বের লড়াই। যে ৯ শতাংশ হিন্দু এখনও ভোট করে না, তাঁদের অনুরোধ করছি, এবার ভোট করুন। নইলে আসন্ন নির্বাচনে, যদি আমরা জিততে না পারি, তাহলে হিন্দু বাঙালি যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের জন্য খুবই কষ্টের দিন আসতে চলেছে। খুব সাবধানে থাকুন। কারণ যে সব মিটিং চলছে সেগুলো আপনারা খবর রাখেন না। প্রকাশ্যে সেটা বলতে পারব না। বিজেপি বিরোধী দলগুলো যে মিটিং করছে শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে। কিছুদিন পর সব বেরিয়ে যাবে মার্কেটে। বেরিয়ে আসুন, ভোট দিন। এটা আমাদের অস্তিত্বের লড়াই।’’

    হিন্দু ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে মাঠে নেমেছে গেরুয়া শিবির, তারই প্রতিধ্বনি মহাগুরুর গলায়!

    বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। এই আবহে হিন্দু ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে মাঠে নেমেছে গেরুয়া শিবির। কলকাতার পাশাপাশি একাধিক জেলা, শহরতলিতে হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই পোস্টারও সামনে এসেছে। একইসঙ্গে গেরুয়া শিবিরের একাধিক সভায় বার্তা দেওয়া হয়েছে হিন্দু ঐক্যের। দিনকয়েক পরেই রয়েছে রামনবমী। সেই রামনবমীকে কেন্দ্র করে চড়ছে বঙ্গ রাজনীতির পারদ। এবারের রামনবমীকে কেন্দ্র করে রেকর্ড সংখ্যক ভিড় হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। রামনবমীর উৎসবকে সফল করতে কোমর বেঁধে নেমেছে গোটা সংঘ পরিবার। গতকাল বৃহস্পতিবারই হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে বারুইপুরে সভা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেও তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে রামনবমী নিয়ে। বারুইপুরের সভা থেকেই ভালো করে রামবনবমী পালনের বার্তা দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, হিন্দুরা জেগে গেছেন। এবার বড় করে রামনবমী হবে, তারপর পালন করা হবে হনুমান জয়ন্তী। ঠিক এই আবহে হিন্দু ঐক্যের বার্তা দিয়ে বক্তব্য রাখতে শোনা গেল মিঠুন চক্রবর্তীকেও (Mithun Chakraborty)।

  • Mithun Attacks Mamata: মহাকুম্ভকে ‘মৃত্যুকুম্ভ’ বলায় মমতাকে ধুয়ে দিলেন ‘মহাগুরু’

    Mithun Attacks Mamata: মহাকুম্ভকে ‘মৃত্যুকুম্ভ’ বলায় মমতাকে ধুয়ে দিলেন ‘মহাগুরু’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভকে (Maha Kumbh 2025) ‘মৃত্যুকুম্ভ’ উল্লেখ করা নিয়ে মমতাকে এবার পাল্টা (Mithun Attacks Mamata) দিলেন বিজেপি নেতা তথা বিখ্যাত অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। দাদাসাহেব ফালকে জয়ী অভিনেতা তথা বিজেপি নেতার সাফ কথা, মমতা ভুল বলছেন, আসল কথা হল প্রয়াগরাজে সনাতনী ধর্মের আস্থার জয় হয়েছে। রেকর্ড সংখ্যক মানুষ সেখানে পূণ্যস্নান করেছেন। এদিকে, মহাকুম্ভের ১৪৪ বছরের চক্র নিয়ে সংশয় প্রকাশ করায় মুখ্যমন্ত্রীকে তুলোধনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    কুম্ভ নিয়ে ঢোঁক গিললেন মমতা!

    ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্যের বিতর্ক নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা মঙ্গলবার ঢোঁক গিলে বলেন, ‘‘কুম্ভস্নান নিয়ে কিছু বলিনি। আমি বলেছি, কুম্ভ নিয়ে অব্যবস্থার কথা।’’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মিঠুন (Mithun Attacks Mamata) বলেন, ‘‘কে কী বলছেন তার মধ্যে আমি যাব না। তবে চোখ তো মিথ্যে কথা বলে না। সত্তর কোটি ইতিমধ্যে হয়ে গিয়েছে। সবমিলিয়ে কত হবে জানি না, ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি, সবটা যেন সুস্থভাবে সম্পন্ন হয়।’’

    ‘‘যেটা উনি বলেছেন সেটা পুরোপুরি ভুল’’

    মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘আমি যতদূর জানি, পূণ্যস্নান সংক্রান্তিতে হয়। যেমন গঙ্গাসাগর প্রতিবার হয়, মহাকুম্ভে ১২ বছর পর পর হয়। তা বলে ১৪৪ বছর অন্তর মহাকুম্ভ, আমি যতটুক শুনেছি, এটা ঠিক নয়!’’ জবাবে মিঠুন (Mithun Attacks Mamata) বলেন, ‘‘যেটা উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বলেছেন সেটা পুরোপুরি ভুল। ৭০ কোটি মানুষ প্রয়াগরাজে এসেছেন, পূণ্যস্নান করেছেন, এটা কি ভুল? এই মহাস্নান গরিব থেকে বড়লোক, সবাই এক জায়গায়, কোনও ভেদাভেদ নেই। ফলে সনাতনী ধর্মর কী পাওয়ার সেটা বুঝিয়ে দিল, গর্ব সে কহো হাম সনাতনী হ্যায়!’’

    ‘‘মানুষ দেখেছে সনাতন ধর্মের শক্তি’’

    মমতা দাবি করেছেন, মহাকুম্ভ (Maha Kumbh 2025) নিয়ে হাইপ তুলেছে যোগী প্রশাসন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি নস্যৎ করে ‘মহাগুরু’ (Mithun Attacks Mamata) বলেন, ‘‘এতে হাইপ তোলার কী আছে, হাইপ কেউ তোলেননি, আপনা থেকেই উঠেছে! যোগী সাহেব কাউকে ফোন করে বলেননি। মহাকুম্ভ পুণ্যের জায়গা, ফলে লোক নিজে থেকেই জড়ো হয়েছে, মানুষ দেখেছে সনাতন ধর্মের শক্তি।’’ একই সঙ্গে মিঠুন এও দাবি করেছেন, বাংলা থেকে খুন, ধর্ষণ, রাহাজানির ঘটনা বন্ধ করতে চাইলে সবার আগে তৃণমূলের সরকারকে হঠিয়ে বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেই দায়িত্ব নিতে হবে বাংলার মানুষকেই।

    ‘‘সনাতন ধর্মের পবিত্র ঘটনাগুলিকে অবমূল্যায়ন করার প্রচেষ্টা’’

    শুধু মিঠুনই নন, মমতাকে একহাত নেন শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)। সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতাকে কটাক্ষ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লেখেন, ‘‘‘ধর্মীয়’ ইতিহাসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করছেন যে, ১৪৪ বছরের মহাকুম্ভ চক্র ‘ভুল এবং প্রচারিত’। ঐতিহাসিক নথি, জ্যোতিষশাস্ত্র এবং জ্যোতির্বিদ্যাবিজ্ঞান মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) বৈধতা নিশ্চিত করে। তাঁর (মমতার) বারবার বিভ্রান্তিকর বক্তব্য রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সনাতন ধর্মের পবিত্র ঘটনাগুলিকে অবমূল্যায়ন ও অবমূল্যায়ন করার প্রচেষ্টা বলে মনে হচ্ছে, যা তাঁর তুষ্টির রাজনীতির ব্র্যান্ড দ্বারাও প্রভাবিত।’’ শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘যেহেতু তিনি ১৪৪ বছরের চক্রকে উড়িয়ে দিচ্ছেন, তাই তিনি অবশ্যই যথাক্রমে ১২ বছর অন্তর পূর্ণ কুম্ভ, এবং ৬ বছর অন্তর অর্ধ কুম্ভ মেলার চক্র সম্পর্কেও সন্দেহবাদী। এই নির্বাচনী সংশয়বাদ তাঁর হিন্দু-বিরোধী রাজনৈতিক এজেন্ডাকে প্রকাশ করে।’’

    ‘‘তৃণমূলের ৫০ এমএলএ কুম্ভে স্নান করেছেন’’!

    এরই সঙ্গে, নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা মমতাকে মনে করিয়ে দেন, তাঁর (মমতার) দলেরই কত নেতা-মন্ত্রী সব প্রয়াগে গিয়ে পুণ্যডুব দিয়ে এসেছেন। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আমি নিজে ওখানে স্নান করেছি। তৃণমূলের তো ৫০ জন এমএলএ ওখানে(কুম্ভে) স্নান করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুকুম্ভ বলার পরে ক্যানিংয়ের এমএলএ স্নান করেছেন। উত্তরপাড়ার এমএলএ স্নান করেছেন শুনলাম। যাঁরা এসব বলছেন, তাঁরা শুধুমাত্র ক্যামেরার সামনে আসার জন্য এসব বলেন। তবে বিপদে পড়লে তাঁরাই বলেন ভগবান আমায় রক্ষা করুন। সেই সঙ্গে তৃণমূলের নেতারা মহাকুম্ভে স্নান করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দেন বলেও দাবি করেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।’’

  • Mithun Chakraborty: “ভাগীরথীতে ফেলব না, কেটে মাটিতে পুঁতে দেব”, কাদের উদ্দেশে বললেন মিঠুন?

    Mithun Chakraborty: “ভাগীরথীতে ফেলব না, কেটে মাটিতে পুঁতে দেব”, কাদের উদ্দেশে বললেন মিঠুন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এখন আমি বলছি আমরা তাদের কেটে মাটিতে পুঁতে দেব।” এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির (BJP Rally) তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচিতে যোগ দিতে কলকাতায় এসেছেন মিঠুন। তখনই নিশানা করেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা হুমায়ুন কবিরকে।

    কী বলেছিলেন হুমায়ুন

    লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে হুমায়ুন বলেছিলেন, আপনারা এখানে ৩০ শতাংশ। কিন্তু আমরা ৭০ শতাংশ… যদি আপনারা মনে করেন যে মসজিদ ধ্বংস করবেন আর মুসলিমরা চুপচাপ বসে থাকবে… তাহলে ভুল করবেন। আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব যদি আপনাদের ভগীরথীতে ডোবাতে না পারি…।

    মিঠুনের পাল্টা জবাব

    এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে বিজেপির তারকা নেতা বলেন, “একজন নেতা (পড়ুন হুমায়ুন) বলছেন এখানে ৭০ শতাংশ মুসলমান ও ৩০ শতাংশ হিন্দু রয়েছে। তিনি তাঁদের কেটে ভাগীরথীতে ফেলে দেবেন…আমি ভেবেছিলাম মুখ্যমন্ত্রী (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কিছু বলবেন। তিনি কিছু বলেননি…তাই এখন আমি বলছি, আমরা তাদের কেটে মাটিতে পুঁতে দেব।” মিঠুন বলেন, “আমি বলছি আমরা তোমাদের কেটে টুকরো টুকরো করব। তোমাদের ভগীরথীতে ফেলব না। কারণ তিনি আমাদের মা। কিন্তু আমরা তোমাদের মাটিতে পুঁতে দেব।” আগামী মাসেই রাজ্যের পাঁচ জেলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। তার আগে মিঠুনের (Mithun Chakraborty) এহেন মন্তব্যে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি।

    আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডে বিজেপির তারকা প্রচারকের তালিকায় মোদি-শাহ-আদিত্যনাথের সঙ্গে শুভেন্দুও

    মিঠুন বলেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রী নই… কিন্তু আমি বলছি, আমরা বাংলার মসনদ জয়ের জন্য যে কোনও কিছু করব… ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর এ রাজ্য বিজেপির হবে।” রাজ্যের শাসক দলকে সতর্ক করতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি বারবার বলছি… আমরা যে কোনও কিছু করব (২০২৬ সালের নির্বাচন জেতার জন্য)… যে কোনও কিছু। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজির সামনে বসেই এটা বলছি – আমরা যে কোনও কিছু করব।” এই বিজেপি নেতার অভিযোগ, বাংলার রাজ্য সরকার হিন্দু সম্প্রদায়কে ভোট দিতে দেয় না। বিজেপি (BJP Rally) কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে মিঠুন (Mithun Chakraborty) বলেন, “আমরা সেই সব লোককে চাই, যাঁরা লড়াই করতে পারবেন…যাঁরা দাঁড়িয়ে বলতে পারবেন, গুলি করো…আমায় দেখতে দাও কত বুলেট তোমাদের আছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Mithun Chakraborty: “এক কোটি সদস্য হলেই আমরা জিতব”, শাহি সভায় বললেন মিঠুন

    Mithun Chakraborty: “এক কোটি সদস্য হলেই আমরা জিতব”, শাহি সভায় বললেন মিঠুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই বাংলায় এসে বিজেপির সদস্যতা অভিযানের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই সঙ্গে ছাব্বিশের ভোটে সরকার পরিবর্তনের ডাকও দিয়েছেন তিনি। সভায় উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীও (Mithun Chakraborty)। এ দিন মিঠুন বলেন, “এক কোটি সদস্য হলেই আমরা জিতব।” এরপরই সভাগারে উপস্থিত বিজেপি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দেন  তিনি। মিঠুন  বলেন, “আমরা কি এক কোটি সদস্য (BJP Membership Drive) তৈরি করতে পারব? তাহলে ছাব্বিশের মসনদ আমাদের।”

    মার তোর কাছে কত গুলি আছে

    শাসক দলের লাগামছাড়া সন্ত্রাসের প্রসঙ্গও উঠে আসে অভিনেতার গলায়। কীভাবে প্রতিরোধ করা যাবে? অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) বললেন, “আমাদের এমন কর্মী চাই যে সামনে থেকে লড়বে। এমন কার্যকর্তা চাই যে বলবে মার তোর কাছে কত গুলি আছে। কুচ ভি করেঙ্গে কুচ ভি। আমি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সামনেই বলছি কুচ ভি করেঙ্গে। এই কুচ ভি কে অন্দর (কুচ ভি-র ভিতরে অনেক অর্থ রয়েছে।)”

    আর কী বললেন অভিনেতা (Mithun Chakraborty)?

    তিনি (Mithun Chakraborty) আরও বলেন, ‘‘পয়সা নিয়ে বিজেপি (BJP Membership Drive) হবেন না। আমাদের চাই না। তৃণমূলে চলে যান। তবে মনে রাখবেন, আমাদের বাগান থেকে একটা ফল নিলে আপনাদের থেকে আমরা ৪টা নেব।’’ নভেম্বর মাস থেকে দলকে আরও বেশি সময় দেবেন বলেছেন তিনি। তাঁর মতে, ‘‘নভেম্বর থেকে আমি ২০ দিন দলকে দেব, ১০ দিন কাজ করব। যদি কাজ না করি সেক্ষেত্রে খাব কি? রাজ্যের সমস্ত জায়গাতে যাব।’’

    বিজেপির সংগঠন মজবুত করার পরামর্শ শাহের

    এদিন রাজ্যে বিজেপির সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে কর্মীদের উৎসাহ দেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, “আমরা হরিয়ানায় জিতেছি, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্রেও জিতব। তারপর আমাদের লক্ষ্য হবে বাংলা। মমতা দিদি বলছেন, কেন্দ্র ১০০ দিনের টাকা দিচ্ছে না কিন্তু কেন্দ্র টাকা দিলে তৃণমূলের সিন্ডিকেট খেয়ে নিচ্ছে। তাই বাংলাকে সোনার বাংলায় পরিণত করতে সকলে বিজেপিতে যোগদান করুন। বিজেপি ক্ষমতায় এলে গরুপাচার, কয়লাপাচার বন্ধ হবে। চাকরি পেতে গেলে আর কাউকে টাকা দিতে হবে না। অপরাধের রাজত্ব বন্ধ হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mithun Chakraborty: মোদিতে মুগ্ধ মিঠুন! দাদাসাহেব ফালকে ‘আমি লড়ে নিয়েছি’, অকপট মহাগুরু

    Mithun Chakraborty: মোদিতে মুগ্ধ মিঠুন! দাদাসাহেব ফালকে ‘আমি লড়ে নিয়েছি’, অকপট মহাগুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলিউড থেকে টলিউড তাঁর জনপ্রিয়তা সমান। মৃগয়া হোক বা ডিস্কো ডান্সার, কাশ্মীর ফাইলস বা কাবুলিওয়ালা তিনি সদা সপ্রতিভ। তিনি মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। উত্তর কলকাতার গলি থেকে সোজা বলিউডের অলিন্দে পৌঁছনোটা সহজ ছিল না। সবটা লড়াই করেই অর্জন করতে হয়েছে। সোমবার দাদা সাহেব ফালকে (Dadasaheb Phalke Award) সম্মান পেয়ে আবেগে ভাসলেন মহাগুরু। 

    মোদিতে মুগ্ধ মিঠুন

    দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কারের (Dadasaheb Phalke Award) জন্য তাঁর নাম ঘোষণা হওয়ার পর সোমবার সকালেই অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লিখেছেন, ‘প্রজন্মের পর প্রজন্ম মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) অনুরাগী। তিনি একজন সাংস্কৃতিক আইকন।’ মিঠুন চক্রবর্তীও এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগত পরিচয়ের অভিজ্ঞতার কথা বলেন। নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করে মিঠুন বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমার সম্মান ও ভালবাসা রইল। উনি চমৎকার মানুষ। অনেকবার দেখা হয়েছে আমাদের। কথা বললেই বুঝতে পারবেন, উনি কত ভাল মানুষ।” তাঁর লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ফোন করলেও এক বঙ্গ সন্তানের অনন্য সম্মানলাভের পরও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও ফোন পাননি মিঠুন।

    সাফল্য প্রসঙ্গে অকপট

    এদিন নিজের সাফল্য প্রসঙ্গে মিঠুন (Mithun Chakraborty) বললেন, “আমায় কোনও কিছুই কেউ থালায় সাজিয়ে দেননি। সবটাই লড়ে নিতে হয়েছে। তবে যদি ফল এটা পাওয়া যায়। তাহলে পুরনো সব ব্যথা, কষ্ট মনে থাকে না। ভগবান সত্যিই আমার সঙ্গে ছিলেন। আমার মনে হয় এটাই হয়তো সঠিক সময় ছিল। তাই এখন এই সম্মান পাচ্ছি।” পরবর্তী প্রজন্মকে মিঠুনের পরামর্শ, “আমি যদি পেরে থাকি, তাহলে সবাই পারবে। জীবনে আশা কখনও হারাতে নেই। যাই হোক না কেন আশা রাখলে সব সম্ভব।”  ৮ অক্টোবর মুক্তি পাবে মিঠুন অভিনীত ছবি ‘শাস্ত্রী’। আর সেই দিনই দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার (Dadasaheb Phalke Award) তুলে দেওয়া হবে তাঁর হাতে। ফলে বাড়তি আনন্দ তো আছেই। নিজের এই সম্মান পরিবার এবং তাঁর সকল অনুরাগীকে উত্‍সর্গ করতে চান অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সোমবার এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই মমতা শঙ্কর থেকে প্রসেনজিত্‍ চট্টোপাধ্য়ায় প্রত্যেকে নিজেদের আনন্দের কথা জানিয়েছেন। এদিন সকালে এক্স হ্যান্ডেলে এই সংবাদ দেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mithun Chakraborty: অর্ধ শতাব্দীজুড়ে ভারতীয় সিনে দুনিয়ায় রাজত্ব, দাদাসাহেব ফালকে পাচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী

    Mithun Chakraborty: অর্ধ শতাব্দীজুড়ে ভারতীয় সিনে দুনিয়ায় রাজত্ব, দাদাসাহেব ফালকে পাচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সিনেমায় অনবদ্য অবদানের জন্য দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার (Dadasaheb Phalke Award) পাচ্ছেন কিংবদন্তী অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। মৃণাল সেনের ‘মৃগয়া’ ছবির মাধ্যমে অভিনয়ের হাতেখড়ি। তারপর ডিস্কো কিং হিসেবে মুম্বই মাতানো ফের বাংলায় এসে ফাটাকেষ্ট সেজে দর্শকদের মন জয়। ভারতীয় সিনে জগতের বিভিন্ন দিকে তাঁর অবাধ যাতায়াত এই বঙ্গসন্তানের। ৮ অক্টোবর ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে মিঠুন চক্রবর্তীকে দাদাসাহেব ফালকে সম্মান  প্রদান করা হবে।

    কেন্দ্র সরকারের ঘোষণা

    বিনোদ খন্না, অমিতাভ বচ্চন থেকে আশা পারেখ—দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের বিজয়ীদের তালিকায় রয়েছে এমন অনেক নাম। এবার সেই তালিকায় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, “মিঠুনদার অসাধারণ অভিনয় যাত্রা পরবর্তী সব প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা। আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি দাদাসাহেব ফালকে জুরি থেকে ঠিক করা হয়েছে এ বছর শ্রী মিঠুন চক্রবর্তীকে (Mithun Chakraborty) দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হবে। চলতি বছরের ৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে ৭০তম আন্তর্জাতিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।” জাতীয় পুরস্কার, পদ্মসম্মানে ভূষিত হয়েছেন বহু আগেই।  এবার সেই পাঁচ দশকের ফিল্মি কেরিয়ারের জন্য ‘দাদাসাহেব ফালকে’ (Dadasaheb Phalke Award) পাচ্ছেন মহাগুরু। 

    কঠিন-পথে রাজপাট (Mithun Chakraborty)

    ফিল্মি কেরিয়ারের শুরুটা করেছিলেন ১৯৭৬ সালে। বাঙালি পরিচালক মৃণাল সেনের হাত ধরে ‘মৃগয়া’ ছবির সুবাদে অভিনয় জীবনে অভিষেক ঘটে মিঠুন চক্রবর্তীর। প্রথম ছবিতেই তাঁর ঝুলিতে আসে সেরা অভিনেতার পুরস্কার। জাতীয় পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হয় তাঁকে। তবে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে বেজায় বেগ পেতে হয়েছিল অভিনেতাকে (Mithun Chakraborty)। বলিউডে তখন অমিতাভ-রাজ। মিঠুনের চেহারা, এমনকী গায়ের রং নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বলিউডের ছবি নির্মাতারা। কাজ চাইতে গেলেই সপাটে মিঠুনের মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু দমে যাননি। জেদের বশেই দর্শকদের কাছে প্রিয় ‘ডিস্কো ডান্সার’ হয়ে উঠেছিলেন। তার পর অর্ধ শতাব্দীজুড়ে ভারতীয় সিনেদুনিয়ায় রাজত্ব করছেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। যার স্বীকৃতি দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার (Dadasaheb Phalke Award)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP Dharna: ধর্না শেষ, লাগাতার আন্দোলনে বিজেপি, নবান্ন অভিযানের ডাক মিঠুনের

    BJP Dharna: ধর্না শেষ, লাগাতার আন্দোলনে বিজেপি, নবান্ন অভিযানের ডাক মিঠুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার (Kolkata) ধর্মতলায় ওয়াই চ্যানেলে বিজেপির (BJP Dharna) ধর্না কর্মসূচি শেষ হলেও আন্দোলনের ময়দান ছাড়ছে না বিজেপি। মাঝে একটা দিন বাদ। ১৮ তারিখ থেকে ফের পথে নামছে বঙ্গ গেরুয়া ব্রিগেড। জানা গিয়েছে, আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তার কর্মসূচিকে পুজোর মুখ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে চলেছে রাজ্য বিজেপি।

    বিজেপির লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা (BJP Dharna)

    ২৯ অগাস্ট থেকে ধর্না (BJP Dharna) কর্মসূচি শুরু করে বিজেপি। ধর্মতলায় প্রতিবাদ-অবস্থান শুরু হয় তাদের। তার আগে শ্যামবাজারে ছিল পাঁচদিনের কর্মসূচি। এবার, ধর্না শেষ হওয়ার পর ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে লাগাতার কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির। জানা গিয়েছে, ১৮ সেপ্টেম্বর পথসভা শুরু হবে বিজেপির। চলবে ১ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রতিটি ওয়ার্ডে পথসভা করবেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। পঞ্চায়েত এলাকায় দু’ থেকে তিনটি করে পথসভা করবে বিজেপি। এক কোটি সই সংগ্রহ করে তা বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে সাংসদ ও বিধায়করা তুলে দেবেন রাজ্যপালের হাতে। ২৫ সেপ্টেম্বর ‘হাজরা চলো’ কর্মসূচি বিজেপির। ‘থানা সাফাই’ অভিযানেরও ডাক দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। ঝাঁটা আর গঙ্গাজল দিয়ে ২৩ তারিখ এই অভিযান করবে দলের মহিলা মোর্চা। এছাড়া ২৩ সেপ্টেম্বর রাজ্যের প্রতিটি রেল স্টেশনে সভা করার ঘোষণা করা হয়েছে। ২৫ তারিখ ‘কালীঘাট চলো’-র ডাক দেওয়া হয়েছে। ওই দিন হাজরা মোড়ে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: জ্বলবে না উনুন! আজ পালিত হচ্ছে অরন্ধন উৎসব, জানুন রান্না পুজোর তাৎপর্য

    সরকার উৎখাতের দাবি

    শ্যামবাজারের পরে ধর্মতলায় টানা ধর্না (BJP Dharna) কর্মসূচির শেষ দিনে সোমবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ঘোষণা, “ধর্না হয়তো শেষ হল। কিন্তু যত ক্ষণ না বিচার পাচ্ছি, তত ক্ষণ আমারা রাস্তাতেই থাকব। আমরা রাজ্যপালের কাছে ১ কোটি সই মাথায় নিয়ে যাব। ৩৫৬ বা ৩৫৫ যাই হোক, আপনি এই সরকারকে উৎখাত করুন।”

    নবান্ন অভিযানের ডাক মিঠুনের

    ধর্না-মঞ্চে (BJP Dharna) উপস্থিত হয়ে এ দিনই অভিনেতা তথা রাজ্য বিজেপির কোর কমিটির সদস্য মিঠুন চক্রবর্তী আবার এক ধাপ এগিয়ে নবান্ন অভিযানের ডাক দিলেন। প্রয়োজনে বুক পেতে গুলি খাওয়ার জন্য প্রত্যেককে প্রস্তুত হতে বললেন! তিনি বলেন, “আবার নবান্ন অভিযান হবে। আমি সেই অভিযানে থাকব। আর এই অভিযান ব্রিজের কাছে থেমে যাবে না। নবান্নের ১৪ তলায় গিয়েই থামবে! ওরা এর আগে জল কামান চালিয়েছে, কাঁদানে গ্যাস চালিয়েছে। এ বার হয়তো গুলি চালাবে। আত্মাহুতি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন! আমরা থাকব সামনের সারিতে। দেখি কত গুলি চালাতে পারে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘‘ভয় কেটে গিয়েছে’’, ভাঙা হাত নিয়ে আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদ মিছিলে মিঠুন

    RG Kar Incident: ‘‘ভয় কেটে গিয়েছে’’, ভাঙা হাত নিয়ে আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদ মিছিলে মিঠুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাঙা হাত নিয়েই এবার আরজি করকাণ্ডের (RG Kar Incident) বিচার চেয়ে কলকাতার রাজপথে নামলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। স্বামী বিবেকানন্দের শিকাগো বক্তৃতার দিনটির স্মরণে বুধবার বিকেলে সিমলা স্ট্রিট থেকে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় পর্যন্ত ‘বিবেক জাগরণ যাত্রা’র ডাক দিয়েছিল বিদ্বজ্জনদের একাংশ। সেই পদযাত্রায় অংশ নিলেন ‘মহাগুরু’।

    ‘‘ভয় কেটে গিয়েছে’’

    এদিন মিঠুন (Mithun Chakraborty) বলেন, ‘‘এই প্রতিবাদ যেন বন্ধ না হয়। এটাই আমাদের বাংলা। আমাদের বাংলা প্রতিবাদী বাংলা। আমাদের বাংলা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ার বাংলা। এত দিন সব মুখ বুজে ভয়ে বসে ছিল। সেই ভয় কেটে গিয়েছে।.. সবাই চায় জাস্টিস (RG Kar Incident)। জাস্টিস যতক্ষণ না পাবে, এই প্রতিবাদ চলবে। এই আওয়াজ চলবে। আমরা এর বিরুদ্ধে লড়ব।’’ এদিন ‘বিবেক জাগরণ যাত্রা’য়  হাঁটলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার, প্রাক্তন আমলা তথা প্রাক্তন সাংসদ বিক্রম সরকার, চিকিৎসক কুণাল সরকার, শিক্ষক বিমলশঙ্কর নন্দ প্রমুখ। মিছিলে সামিল হলেও, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই হাঁটেননি মিঠুন। একটি হুডখোলা জিপের সামনের আসনে বসেই কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা গেল তাঁকে। 

    আরও পড়ুন: যখন মোদিকে আত্মানুসন্ধানে সাহায্য করেছিল স্বামী বিবেকানন্দের বাণী

    কেন এই উদ্যোগ

    কর্মসূচির উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শকে স্মরণ করেই এই মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। ১৮৯৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকার শিকাগো শহরে স্বামী বিবেকানন্দ সারা পৃথিবীর বিবেকের জাগরণ ঘটিয়েছিলেন। অথচ আজ ১৩১ বছর পরে তাঁর নিজের শহর কলকাতাতেই বিবেকের দংশনে নিত্য ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে মানুষ! আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা সমাজের মনুষ্যত্বকে। তাই প্রতিবাদ হিসাবে শিকাগো বক্তৃতার দিনেই এই কর্মসূচির আয়োজন, বলে জানান উদ্যোক্তারা। মিছিলের আহ্বায়ক ছিলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকার। বিকাল ৪টেয় নাগাদ হেদুয়ায় স্বামীজির পৈতৃক বাসস্থান থেকে মিছিল শুরু হয়। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্রের মূর্তির পাদদেশে পৌঁছে শেষ হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘‘পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা ভয়াবহ…’’, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সরব মিঠুন চক্রবর্তী

    RG Kar Incident: ‘‘পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা ভয়াবহ…’’, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সরব মিঠুন চক্রবর্তী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় সম্প্রতি আরজি করে (RG Kar Incident) এক মহিলা চিকিৎসককে নৃশংস খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। এই ঘটনার বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন আম জনতা। বিচারের আশায় সরব হয়েছেন বিভিন্ন তারকারা। ন্যক্কারজনক এই ঘটনায় পদক্ষেপ নিয়েছে বিজেপিও। বিরোধীদের মিছিল, ধর্নার পাশাপাশি উঠেছে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের, ইস্তফার দাবিও। আর এবার এই ঘটনায় মুখ খুললেন বিজেপি (BJP) নেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)।  

    কী বলেছেন মিঠুন চক্রবর্তী? (Mithun Chakraborty) 

    আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) প্রতিবাদের ঝড় দেশের সর্বত্র। এ প্রসঙ্গে এদিন বিজেপি (BJP) নেতা মিঠুন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘আমি অনেকদিন ধরে অনেক জায়গায় অনেকবার এই কথাটা বলে এসেছি যে আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা খুবই ভয়াবহ হয়ে উঠছে। কী বলব, বাঙালি হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছি। পরিবারের (নির্যাতিতার পরিবার) প্রতি আমার সম্পূর্ণ সহানুভূতি রইল। আর যারা যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাড়াতাড়ি তাদের সবাইকে গ্রেফতার করে শাস্তি দেওয়া হোক। এটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় কাম্য।’’ বিজেপি নেতার এই বক্তব্য বিজেপির ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করা হয়। 

    বিজেপির প্রতিবাদ কর্মসূচি (RG Kar Incident) 

    সোমবার থেকে বিজেপি আরজি কর কাণ্ডে লাগাতার প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করতে চলেছে। আগামী ২০ অগাস্ট থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত লাগাতার ধর্না চলবে বিজেপির। সোমবার ধর্নার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। ঠিক হয়েছে, ভাগে ভাগে বিভিন্ন স্তরের নেতারা বসবেন ধর্নায়। রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে ২০ তারিখ এই ধর্নায় উপস্থিত থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ অন্যান্য বিজেপি বিধায়করা। জানা গিয়েছে আগামী ২১ অগাস্ট রাজ্য বিজেপির সাংসদরা ধর্না দেবেন। ২২ তারিখ ঘেরাও করবেন স্বাস্থ্য ভবন।    

    ‘তিলোত্তমা’র বিচার চেয়ে পথে টলিউড 

    অন্যদিকে রবিবার ‘তিলোত্তমা’র বিচার চেয়ে (RG Kar Incident) পথে নেমেছে টলিউড তারকারা। টেকিনিশিয়ান স্টুডিয়ো থেকে শুরু হওয়া তারকাদের মিছিলে ছিলেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, ঐন্দ্রিলা সেন, অঙ্কুশ হাজরা, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়, সৌরসেনী মৈত্র, অনির্বাণ চক্রবর্তী, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, রাহুল অরুণোদয় বন্দোপাধ্যায়, রাজ চক্রবর্তী, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়-সহ অনেকেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mithun Chakraborty: গায়ের রং-এর জন্য অপমানিত! বলিউডে এক সময় মিঠুন ছিলেন গরিবের অমিতাভ

    Mithun Chakraborty: গায়ের রং-এর জন্য অপমানিত! বলিউডে এক সময় মিঠুন ছিলেন গরিবের অমিতাভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনও রকম বিশেষ সুবিধা ছাড়াও যে বলিউডে বড় তারকা হওয়া যায় তা প্রমাণ করে দেখিয়েছিলেন বাংলার ছেলে মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। কলকাতা থেকে গিয়ে এক অচেনা অজানা শহরে সহায় সম্বলহীন ভাবে দিনের পর দিন পরিশ্রম করে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। বলিউডে পা রাখার পর, প্রথমদিকে নাকি টেম্পো-তে চড়েও যাতায়াত করতে হয়েছিল মিঠুনকে। গায়ের রং কালো বলে শুনতে হয়েছিল কটুক্তিও। আবার সেই বলিউডেই এক সময় অমিতাভ বচ্চনের (Amitabh Bachchan) সঙ্গে তুলনা করা হত তাঁর।

    মিঠুনের আগমন

    সালটা ছিল ১৯৭৬, সেবছরই পরিচালক মৃণাল সেনের ‘মৃগয়া’ ছবির হাত ধরে অভিনয় জীবনে পা রেখেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। প্রথম ছবিতে অভিনয়ের পরই সেরা অভিনেতা হিসাবে জাতীয় পুরস্কার জিতে নিয়েছিলেন মিঠুন। পরবর্তী সময়ে মুম্বইতে গিয়ে তারকা হয়ে ওঠেন মিঠুন চক্রবর্তী। ১৯৭৯ সালে রাজশ্রী প্রোডাকশনের ‘তারনা’ ছবির হাত ধরে বলিউডে পথ চলা শুরু হয়েছিল তাঁর। তারপর ১৯৮২ সালে ‘ডিস্কো ড্যান্সার’ ছবিতে অভিনয়ের পর তাঁকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি, জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছিলেন। 

    গায়ের রং কালো

    মুম্বইয়ে গিয়ে একটা লম্বা সময় ধরে সংগ্রাম করতে হয়েছিল মিঠুনকে (Mithun Chakraborty)। বলিউডে তাঁর কোনও চেনা পরিচিতি ছিল না। এমনকি গায়ের রং কালো বলে পরিচালকরাও অপমান করতেন তাঁকে। তবুও তথাকথিত কোনো গডফাদার ছাড়াই নিজের পরিশ্রম এবং প্রতিভার জোরে নিজের ভবিষ্যৎ নিজে লিখেছেন বাগবাজারের ছেলে। আশির দশকের সুপারস্টারদের মধ্যে একজন ছিলেন ‘ডিস্কো কিং’। বিগ বি-র ঔজ্জ্বল্যের সামনে যখন ফিকে পড়ে যাচ্ছিলেন অন্য অভিনেতারা। তখন ব্যতিক্রম ছিলেন মিঠুন। অমিতাভের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সিনেমায় অভিনয় করছিলেন তিনি। সে সময়েই তিনি তকমা পান ‘গরিবের অমিতাভ বচ্চন’ (Gareebon ka Amitabh)।

    আরও পড়ুন: কল্কি কে? ট্রেলারের ধোঁয়াশা কাটিয়ে জানতে হলে যেতে হবে হলে

    অমিতাভের সঙ্গে সম্পর্ক

    এক সাক্ষাৎকারে অমিতাভকে ‘শতাব্দীর সেরা তারকা’ আখ্যা দিয়ে মিঠুন (Mithun Chakraborty) বলেছিলেন, “সে সময়ে বচ্চন সাব সব বড় ব্যানারের সিনেমা করতেন। আর আমার কাছে কোনও ব্যানারই ছিল না। কিন্তু আমার ছবির ব্যবসাও প্রায় ওঁর কাছাকাছিই যেত। মানুষ বলত, এ-ও অমিতাভ বচ্চন, কিন্তু গরিবের’’। লোকের ঠাট্টায় খুশিই হয়েছিলেন মিঠুন। অভিনেতার কথায়, এটা তাঁর কাছে সবথেকে বড় প্রশংসা ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share