Tag: mla

mla

  • Humayun Kabir: ধর্মীয় উস্কানিমূলক মন্তব্যের জের! তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শো-কজ কমিশনের

    Humayun Kabir: ধর্মীয় উস্কানিমূলক মন্তব্যের জের! তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শো-কজ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মীয় উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে (Humayun Kabir) শো-কজ করল নির্বাচন কমিশন। হুমায়ুন জানিয়েছেন তিনি এখনও শো-কজের চিঠি হাতে পাননি। চিঠি পেলে তার জবাব দেবেন। কমিশন সূত্রে খবর, গত ২ মে বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া কমিশনের কাছে হুমায়ুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে বলে মনে করেই তাঁকে শো-কজের চিঠি ধরিয়ে জবাব তলব করা হয়েছে।

    কী বলেছিলেন কবীর

    সম্প্রতি একটি বুথ সম্মেলনে হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir) বলেন, ‘ভাগীরথীর জলে ভাসিয়ে দিতে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। যদি ভেবে থাকো, তোমরা ৭০ শতাংশ আর বাকি ৩০ শতাংশ মানুষ কিছু করবে না, তাহলে ভুল হবে। তোমরা কোথাও মসজিদ ভাঙলে ভেবো না যে আমাদের ছেলেরা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে।’ তাঁর এই মন্তব্যে সাম্প্রদায়িকতার উস্কানি রয়েছে বলে অভিযোগ জানানো হয় নির্বাচন কমিশনে। সেই অভিযোগের জেরে তাঁকে শোকজ করল কমিশন। যদিও হুমায়ুন দাবি করেছেন যে, সম্প্রতি জেলায় এসে বিজেপি নেতা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ কিছু মন্তব্য করেছিলেন। সেই সূত্রেই তাঁর এমন মন্তব্য। এর আগেও বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে হুমায়ুন কবীরকে। লোকসভা ভোটে ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করায় তিনি প্রচারে না থাকার কথা জানিয়েছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক। তবে পরে অবশ্য তাঁকে প্রচারে দেখা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: দেশে নির্বাচন পরিচালনায় পথিকৃৎ সুকুমার সেন, জানেন তাঁর কথা?

    হুমায়ুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    হুমায়ুনের (Humayun Kabir) এই আচরণের বিরুদ্ধে আগেই মুর্শিদাবাদের শক্তিনগর থানাতে অভিযোগ জানিয়েছিল বিজেপি। দলের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন শক্তিপুরে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গোকুলবিহারী ঘোষ। অভিযোগপত্রে তিনি জানিয়েছিলেন, গত ১ মে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ শক্তিপুর সবজি মার্কেটে এক সভায় হুমায়ুন কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। বিজেপির দাবি, অবিলম্বে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হোক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: সরকারি লঞ্চে চড়ে দলীয় মিটিংয়ে গেলেন তৃণমূলের দুই বিধায়ক, কমিশনে নালিশ বিজেপির

    South 24 Parganas: সরকারি লঞ্চে চড়ে দলীয় মিটিংয়ে গেলেন তৃণমূলের দুই বিধায়ক, কমিশনে নালিশ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে ফের বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার গোসাবা বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে সাংগঠনিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। গোসাবা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় সেই বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা মন্দিরবাজারের বিধায়ক জয়দেব হালদার এবং গোসাবা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য নেতৃত্বরা।

    সরকারি লঞ্চে তৃণমূলের মিটিংয়ে যোগ দিতে আসেন দুই বিধায়ক (South 24 Parganas)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোসাবা (South 24 Parganas) বিডিও-র লঞ্চে করে দলীয় মিটিংয়ে যোগ দিতে আসেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা এবং মন্দির বাজারের বিধায়ক জয়দেব হালদার। আর এই ঘটনার সামনে আসতে সুর চরিয়েছে বিরোধীরা। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ , নির্বাচন বিধি লাগু হওয়ার পর কিভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় মিটিংয়ে বিডিও লঞ্চ ব্যবহার করে দুই বিধায়ক তাদের দলীয় মিটিংয়ে আসে। নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে তারা সরকারি লঞ্চ ব্যবহার করছে এমনটাই অভিযোগ করছে বিজেপি। তবে, এই ঘটনায় গোসাবা বিডিও বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।

    আরও পড়ুন: “লোহার রড, শাবল দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালালো তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    তবে,এ বিষয়ে নির্বাচন বিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে নির্বাচন আধিকারিকের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে চলেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা বিকাশ সর্দার বলেন, এখন বিভিন্ন বিডিও অফিস, ডিএম অফিস, থানা থেকে ওপরে সমস্ত সরকারি দফতরগুলি শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে। তারা ভুলেই গেছে এখন নির্বাচন আচরণবিধি কার্যকরী হয়ে গিয়েছে। তারপরেও কীভাবে বিডিও অফিসের লঞ্চ নিয়ে নির্বাচনী প্রচারে যেতে পারে?এই বিষয় নিয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করব। পাশাপাশি এই বিষয় নিয়ে মন্দির বাজারের বিধায়ক তথা সুন্দরবন সংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি জয়দেব হালদার বলেন, এমন কোনও ঘটনায় ঘটেনি। আমরা ব্যক্তিগতভাবে লঞ্চ ভাড়া করে নিয়ে প্রচার কর্মসূচিতে যাই। বিরোধী শিবির ও বিজেপির কোনও ইস্যু নেই, তাই এই ধরনের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তারা সংবাদমাধ্যমে প্রচারে আসতে চাইছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Commission: উস্কানিমূলক মন্তব্যে তৃণমূল বিধায়ককে শো-কজ করল নির্বাচন কমিশন

    Election Commission: উস্কানিমূলক মন্তব্যে তৃণমূল বিধায়ককে শো-কজ করল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মধ্যে বিপাকে তৃণমূল বিধায়ক। এবার দ্বিতীয় দফা ভোটের আগেই হামিদুল রহমানকে শোকজ করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। সম্প্রতি এক নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বিরোধী ভোটারদের উদ্দেশ্যে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এবার তাঁকে শোকজ করল কমিশন।

    ঠিক কী বলেছিলেন (Election Commission)?

    সম্প্রতি দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী গোপাল লামার সমর্থনে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রেখেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান। চোপড়া (Chopra) ব্লকের মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের চুয়াগাড়ি চৌরঙ্গী মোড়ের সভায় বক্তব্যের মাঝে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে হামিদুল রহমান (Hamidul Rahaman) বলেছিলেন, “যে বিরোধী ভোটাররা তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেবেন না তাঁদের মনে রাখতে হবে ২৬ এপ্রিল ভোটের পর কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে যাবে। এলাকার বাহিনীর সঙ্গেই তখন থাকতে হবে। তখন কিছু হলে তাঁরা যেন বলতে না আসেন। তাই মূল্যবান ভোটগুলি নষ্ট করবেন না।” এই বক্তব্যের অভিযোগের ভিত্তিতে তৃণমূল বিধায়ককে শোকজ করেছে কমিশন (Election Commission)। ২৫ এপ্রিলের মধ্যে চোপড়ার বিধায়ককে জবাব দিহি করতে বলেছে কমিশন। যদিও এ ব্যাপারে চোপড়ার তৃণমূল বিধায়কের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও জানা যায়নি।

    বিজেপির বক্তব্য

    তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের এই বক্ত্যবের তীব্র নিন্দা করেছিল বিজেপি। চোপড়ার বিজেপি (BJP) নেতা বরুণ সিংহ পাল্টা সতর্ক করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ককে। অন্যদিকে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) হামিদুল রহমানের এই বক্তব্যের পরেই কমিশনে (Election Commission) অভিযোগ জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, “নিশ্চিত পরাজয় বুঝে গিয়েই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা হুমকি দিতে শুরু করেছেন। পঞ্চাতের মত ভোটলুঠ এবার আমরা করতে দেব না।”

    আরও পড়ুনঃ প্রচারের শেষ দিনে সুকান্তর হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে শতাধিক কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক হিংসা হয়েছিল

    প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের অন্যতম উত্তেজনার কেন্দ্র ছিল চোপড়া। সিপিএম ও কংগ্রেস মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় তাদের উপর গুলি চালানো ও বোমাবাজির অভিযোগও উঠেছিল। গুলিবিদ্ধ হয়ে এক সিপিএম কর্মীর মৃত্যুও হয়। আরও বেশ কয়েকজন গুরুতরভাবে আহতও হয়েছিল। এই ঘটনার পর উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। বিরোধীদের উপর তৃণমূল কংগ্রেসের এই হামলার পর বিরোধীরা কেউ মনোনয়নপত্র দাখিল করতেই পারেনি। একপ্রকার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Election Commission) জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এবার লোকসভা ভোটে আর তৃণমূলকে (TMC) এক চুলও জমি ছাড়তে নারাজ বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Saokat Molla: “আরাবুল জেলে, শওকত বাইরে কেন?”, পোস্টারে শোরগোল ভাঙড়ে

    Saokat Molla: “আরাবুল জেলে, শওকত বাইরে কেন?”, পোস্টারে শোরগোল ভাঙড়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শুরু হয়ে গেছে লোকসভা নির্বাচন (Lok sabha vote 2024), আর এরই মধ্যে ভাঙড়ে শোরগোল পড়েছে। শওকত মোল্লার (Saokat Molla) বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার। ক্যানিং পূর্বের এই তৃণমূল বিধায়ক গ্রেফতারির দাবিতে কলকাতা পুলিশের (Kolkata police) পোলেরহাট থানা এলাকার শ্যামনগরে পড়ল পোস্টার। ঘটনার জেরে শনিবার সকাল থেকে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

    কী লেখা পোস্টারে?

    সাদা কাগজে কালো কালিতে কম্পিউটার প্রিন্টের পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে গোটা এলাকা। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে পোস্টারে। পোস্টারে লেখা রয়েছে, “ক্যানিং ও জীবনতলা থেকে লোক এনে ভাঙড়ে (Bhangar) সন্ত্রাস করে খুন করা হল। আর ওই খুনের দায়ে আরাবুল (Arabul Islam) জেলে কিন্তু শওকত মোল্লা বাইরে কেন? প্রশাসন জবাব দাও!” এর পাশাপাশি পোস্টারে আরও লেখা রয়েছে, “জনগনের প্রকল্পের টাকা চুরি করে নেতা-মন্ত্রীরা সব জেলে কেন? কয়লাকাণ্ডের অভিযুক্ত শওকাত মোল্লা জবাব দাও।” এর পাশাপাশি শওকতকে ভাঙড়ে বোমা-গুলির ‘মাস্টার মাইন্ড’ বলেও পোস্টারে কটাক্ষ করা হয়েছে। পোস্টারে লেখা হয়েছে, “‌মুখ্যমন্ত্রী দ্বারা স্বীকৃত বোমা, গুলির মাস্টারমাইন্ড শওকত মোল্লার ভাঙড়ে ঠাঁই নাই।”‌

    শওকত বিরোধী গোষ্ঠীর পোস্টার?

    তবে রাতের অন্ধকারে কে বা কারা ওই পোষ্টার (posters) লাগাল তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিরোধীরা কেউ দিল, নাকি শাসক দলে শওকতের কোনও বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর কাজ এটা, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে চাপানউতোর ৷ কারণ, পোস্টারে কারও নাম না থাকলেও একাধিক ইস্যুতে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে শুধু শওকতকেই ৷

    আরও পড়ুনঃ মমতার বিরুদ্ধে এবার উস্কানি ও হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে কমিশনে দ্বারস্থ বিজেপি

    শওকতের বক্তব্য

    এপ্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা শওকত বলেন, “আমি জানি না কারা এই সব করেছে। পক্ষের লোক নাকি বিপক্ষের লোক। তবে যারাই করছে তারা আমাদের আশীর্বাদ করেছে, দোয়া করছে। কারণ এইসব করলে তৃণমূল (TMC) আরও বেশি শক্তিশালী হবে। ভাঙড়ের মানুষ মিথ্যাকে কখনও প্রশ্রয় দেবে না।” তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েত এলাকা জমি কমিটির আঁতুড়ঘর বলেই পরিচিত। তবে আইএসএফ শ্যামনগর এলাকায় যথেষ্ট শক্তি অর্জন করে রয়েছে। ফলে ওই এলাকায় শওকতের (Saokat Molla) বিরুদ্ধে এমন বিদ্বেষমূলক পোস্টার লাগানোর পিছনে জমি কমিটি নাকি আইএসএফ যুক্ত সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: শওকত মোল্লার ডাকা দলীয় কর্মসূচিতে অনুপস্থিত খোদ বিধায়ক! তৃণমূলে কোন্দল প্রকাশ্যে

    South 24 Parganas: শওকত মোল্লার ডাকা দলীয় কর্মসূচিতে অনুপস্থিত খোদ বিধায়ক! তৃণমূলে কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) গোসাবায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে চরম অস্বস্তিতে শাসক দল। রবিবার কাছারি মাঠে জয়নগর লোকসভায় কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডলের সমর্থনে কর্মী সভায় দেখা গেলনা গোসাবার বিধায়ক সুব্রত মণ্ডলকে। একই ভাবে তাঁর অনুগামীদের এদিন সভায় দেখা যায়নি। যদিও তৃণমূল বিধায়ক জানিয়েছেন নিজের অসুস্থতার জন্য উপস্থিত থাকতে পারেননি। কিন্তু দলেরই একাংশের মতামত দলীয় কোন্দল হল এখানে প্রধান সমস্যা। ঘটনায় বিজেপি তীব্র সমালোচনা করেছে।

    শওকত মোল্লার নেতৃতে সভায় কোন্দল (South 24 Parganas)!

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব ক্যানিং-এর বিধায়ক শওকত মোল্লার নেতৃত্বে এদিন দলীয় কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় তৃণমূল প্রার্থী নিজে ছিলেন। এই সভায় বক্ল তৃণমূলের অন্যতম নেতা তথা জেলা পরিষদের সদস্য অনিমেষ মণ্ডলের আহ্বানে ৮-৯টি পঞ্চায়েতের তৃণমূল কর্মী এবং অঞ্চল সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু গোসাবা (South 24 Parganas) বিধায়কের অনুগামী বলে পরিচিত বালি ১, বালি ২, গোসাবা, বিপ্রদাসপুরের পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন না। ফলে দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অত্যন্ত স্পষ্ট হয়েছে একথা তৃণমূলের একাংশের মানুষ মনে করছেন। অবশ্য গোসাবা অঞ্চল সভাপতি কৈলাশ বিশ্বাস বলেন, “আমাদের এই কর্মী সম্মেলনে ডাকা হয়নি তাই আসিনি। বাকিদের কথা বাকিরাই বলতে পারবেন।” যদিও শওকত মোল্লা এই বিষয়ে মন্তব্য করতে নারাজ ছিলেন। তবে অনিমেষ বলেছেন, “সকলকে আসতে বলা হয়েছে। কেউ না আসলে আমার কিছু বলার নেই।”

    তৃণমূল প্রার্থীর বক্তব্য

    অপর দিকে জয়নগর কেন্দ্রের (South 24 Parganas) তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডল বলেন, “দলের মধ্যে কোনও কোন্দল নেই। আমার সঙ্গে সকলে প্রচারে অংশ গ্রহণ করছেন। কোথাও কোনও রকম সমস্যা নেই। সকলের একটাই লক্ষ্য কত বেশি মার্জিনে প্রার্থীদের জয় করা যায়।” কিন্তু প্রার্থীর এই মন্তব্যের সঙ্গে বাস্তব চিত্র আলাদা, ঠিক এমনটাই মনে করছে বিজেপি। 

    আরও পড়ুনঃসন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার সইফুদ্দিনের গোপন জবানবন্দি নিতে কোর্টে আবেদন সিবিআই-এর

    বিজেপির বক্তব্য

    এই বিষয় নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বিজেপি। জয়নগর (South 24 Parganas) জেলার বিজেপির মুখপাত্র সঞ্জয় নায়েক বলেন, “গোসবায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ সকলেই অবগত। ভাগ নিয়ে ওদের গোলমাল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: “তৃণমূলের নেতারাও চাইছেন, সুকান্ত জিতুন”, জয় সম্পর্কে নিশ্চিত বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    BJP: “তৃণমূলের নেতারাও চাইছেন, সুকান্ত জিতুন”, জয় সম্পর্কে নিশ্চিত বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিপ্লব মিত্র মন্ত্রী আছেন, মন্ত্রীই থাকুন। মন্ত্রিত্ব ছেড়ে সাংসদ হওয়ার পিছনে কেউ ছোটে নাকি? তৃণমূলের অনেকেই চাইছেন সুকান্ত মজুমদার জিতুন। তাই তৃণমূলের সাংগঠনিক সভাতেও যাচ্ছেন না অনেকে।” এমনই মন্তব্য বালুরঘাট কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের। বুনিয়াদপুরের সুকান্ত ভবনে তৃণমূলের সাংগঠনিক সভায় দলের জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের গরহাজির থাকার অভিযোগ উঠেছে। ওই সভায় বালুরঘাট কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র নিজের অনুগামীদের দিয়েই ঘর ভরান বলে অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি নেতারা। সেই ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করেন সুকান্ত।

    অর্ধেকের বেশি পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধান গরহাজির

    তিনি বলেন, “তৃণমূলের নেতারাও চাইছেন, সুকান্ত জিতুন। তাই দলীয় বৈঠকেও যোগ দিচ্ছেন না তাঁরা।” যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, সেদিন ব্যক্তিগত কাজে অনেকে সভায় উপস্থিত থাকতে পারেননি। বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে রণকৌশল ঠিক করতেই সুকান্ত ভবনে তৃণমূলের বৈঠক ডাকা হয়েছিল। ওই বৈঠকে তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র থেকে শুরু করে জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল সহ অনেক নেতা ছিলেন। উপচে পড়া ভিড় হয়েছিল। কিন্তু বৈঠকে অর্ধেকের বেশি পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধান গরহাজির ছিলেন। দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার, প্রাক্তন মন্ত্রী শংকর চক্রবর্তী সহ বিপ্লব বিরোধী শিবিরের অনেক নেতাকেই ওই সভায় দেখা যায়নি। গত কয়েক বছর ধরে বিরোধী শিবিরকে কোণঠাসা করার অভিযোগ রয়েছে বিপ্লব মিত্রর বিরুদ্ধে। তাই লোকসভা নির্বাচনে বিপ্লববাবু প্রার্থী হতেই শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল চরমে উঠেছে বলে এদিন কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত (BJP)।

    কী বলল তৃণমূল, কী জবাব সুকান্তের? (BJP)

    বিজেপি প্রার্থীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, “সুকান্তবাবু এবার কয়েক লক্ষ ভোটে হারবেন। তিনি জেলার জন্য কোনও কাজ করেননি। তৃণমূলে কোনও গোষ্ঠী নেই। সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী।” এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (BJP) বলেন, “বিপ্লব মিত্র দীর্ঘদিনের রাজনীতিবিদ। তিনি গত বিধানসভা ভোটে জিতে মন্ত্রী হয়েছেন, আবার তিনি সাংসদ পদে প্রার্থী হয়েছেন। মন্ত্রিত্ব ছেড়ে সাংসদ পদের পিছনে কেন ছুটছেন? মন্ত্রী আছেন, মন্ত্রীই থাকুন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: “ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে ভোট করব”, নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে বিস্ফোরক হুমায়ুন

    Murshidabad: “ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে ভোট করব”, নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে বিস্ফোরক হুমায়ুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুরে তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিককে মানতে পারেননি সাংসদ অর্জুন সিং। দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন অর্জুন। এবার বহরমপুরের তৃণমূলের প্রার্থী তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে না পসন্দ  মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের। তাঁকে বহিরাগত তকমা দিয়ে নির্দল হিসেবে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হুমায়ুন। প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষের পাশাপাশি দলীয় নেতৃত্বকে তোপ দাগলেন তিনি। তিনি বলেন, ২০১৬ সালে আমার বিরুদ্ধে তৃণমূলের একটা অংশ চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিল, যাতে তিনি বিধানসভার টিকিট না পান। তবে দলের শীর্ষ নেতাদের তো অনেক ক্ষমতা। তাই প্রার্থী ঘোষণার আগে কারও সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজনই মনে করেনি।

    ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে ভোট করব (Murshidabad)

     অর্জুনের মতো মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) তৃণমূলের ‘বিদ্রোহী’ বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, “ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী মানতে আমার কোনও আপত্তি ছিল না। কিন্তু রাজ্য নেতৃত্ব যদি আমাদের মতো লোকজনকে একবার বলতেন এটা মানতে হবে, এটা আমাদের সিদ্ধান্ত, অবশ্যই আমি মাথা নত করে মেনে নিতাম।”এরপরই সুর চড়ান হুমায়ুন। তিনি বলেন, “আমি বলছি, বহিরাগত প্রার্থীকে আমি মানছি না। তারজন্য নির্বাচন কমিশন ভোটের দিনক্ষণ জানালে কী করব তা গোটা রাজ্যের মানুষ দেখতে পাবেন। আমি ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে ভোট করব। এবার কি তবে দল বদলের পালা হুমায়ুনের? তিনি বলছেন, “আমি কোনও দলে যাব না। আমি নিজেই পার্টি খুলব। নিজেই সেই পার্টির হয়ে লড়ব।”

    আরও পড়ুন: ঘর থেকে সরল মমতার ছবি, মজদুর ভবনে মোদি বন্দনায় অর্জুন

    পদে পদে অপমানিত হয়েছি

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা নেতৃত্বের দলীয় বৈঠক ছিল। সেখানেই দলের বর্ষীয়ান নেতা তথা হরিহরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক নিয়ামত শেখকে পাশে নিয়ে হুমায়ুন কবীরের বক্তব্য, “আমরা পদে পদে অপমানিত হয়েছি। সময়মতো সেটা বুঝিয়ে দেওয়া হবে। জেলার অনেক বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা বসে গিয়েছেন। নির্দল প্রার্থী হিসেবে আমার ভোটে লড়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাতে যে দলীয় নেতৃত্ব কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে, তা নিয়ে আদৌ ভাবিত নন হুমায়ুন। সাফ জানালেন, “ওসব নিয়ে ভাবছি না। সব কিছুর জন্য আমি প্রস্তুত।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: অসুস্থতার অজুহাতে কি কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন বিধায়ককে পদ থেকে সরাল তৃণমূল?

    Birbhum: অসুস্থতার অজুহাতে কি কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন বিধায়ককে পদ থেকে সরাল তৃণমূল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কেষ্ট-ঘনিষ্ঠকে পদ থেকে সারল তৃণমূল। অবশ্য অপসৃত প্রাক্তন বিধায়কের দাবি “আমি সুস্থ”। গরুপাচার মামলায় জেলবন্দী বীরভূমের (Birbhum) নেতা অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরেই তৃণমূলে এসেছিলেন নরেশ বাউড়ি। তাঁর বিধায়ক হওয়ার পিছনেও কেষ্ট মণ্ডলের হাত ছিল বিরাট। তাঁকে পদ থেকে অপসারণের ফলে দলের মধ্যেই উঠছে প্রশ্ন। তাঁকে কি গ্রেফতার করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? এই ভয়েই কি অপসারণ? নাকি দলের গোষ্ঠী কোন্দল? উঠছে নানা প্রশ্ন। 

    কেষ্ট-কাজল দ্বন্দ্ব (Birbhum)

    বীরভূমের (Birbhum) রাজনীতিতে তৃণমূলের মধ্যে অনুব্রত মণ্ডল এবং কাজল শেখের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এখন ব্যাপক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। গ্রেফতারের পর থেকে ক্রমশ দলের মধ্যে অনুব্রতের গুরুত্ব কমে গিয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। অপর দিকে অনুব্রতের অনুপস্থিতিতে কাজল শেখের গুরুত্ব অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। অবশ্য তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলার সভাপতির পদ থেকে কেষ্টকে এখনও আনুষ্ঠানিক অব্যাহতি দেননি। এই পরিস্থিতির মধ্যে দুবরাজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক নরেশকে বোলপুর টাউন সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কাজল শেখ এবং মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর সুকান্ত হাজরাকে। ফেলে অনেকের অনুমান, দলের মধ্যে কোন্দল স্পষ্ট। 

    বেসুরো নরেশ বাউড়ি

    ঘটনায় দলের সুরে সুর না মিলিয়ে বীরভূমের (Birbhum) অনুব্রতপন্থী নরেশ বাউড়ি বলেন, “শরীরিক ভাবে আমি যথেষ্ট সক্ষম। আমি অসুস্থ নই। দলের যা সিদ্ধান্ত তা মেনে চলবো।” তবে তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে, তাই দলের পদ থেকে সরানো হয়েছে, এমনটা অনেকেই মনে করছেন। বস্তুত লোকসভার আগে এই দলের পরিবর্তনে তৃণমূলের অন্দরে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    তৃণমূল মন্ত্রী বক্তব্য

    মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ অবশ্য দলের দায়িত্ব প্রসঙ্গে বলেন, “নরেশ বাবু শারীরিক ভাবে অসুস্থ। তিনি নিজেই সরে যাবার আবেদন করেছিলেন। তাঁকে পদ থেকে সরানো হয়নি। তাঁকে জেলায় (Birbhum) অন্য পদের দায়িত্ব দেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Humayun Kabir: আইপ্যাকের নাম করে হুমায়ুন কবীরকে মন্ত্রী করার টোপ! চাওয়া হল ১০ লক্ষ টাকা

    Humayun Kabir: আইপ্যাকের নাম করে হুমায়ুন কবীরকে মন্ত্রী করার টোপ! চাওয়া হল ১০ লক্ষ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইপ্যাকের নাম করে তৃণমূলের এক বিধায়ককে মন্ত্রী করার টোপ দেওয়া হয়। আর তার বিনিময়ে ১০ লক্ষ টাকা চাওয়ার অভিযোগ ওঠে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার শক্তিপুর থানা এলাকায়। তৃণমূল বিধায়কের নাম হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। তিনি ভরতপুরে বিধানসভার বিধায়ক। শক্তিপুর থানায় তিনি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম রঞ্জন সরকার। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম এলাকার পূর্বদাস পাড়াতে। শনিবার সকালে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।

     ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Humayun Kabir)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ওই যুবক একটি পোর্টালে কাজ করেন।  হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir) বলেন,”প্রায়  ১৫ মাস আগে রঞ্জন সরকার প্রথম আমাকে ফোন করেন এবং নিজেকে রাজ্যের কয়েকজন মন্ত্রী এবং আইপ্যাক-এর শীর্ষ কয়েকজন কর্তার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচয় দেন। সেই সময় ওই ব্যক্তি আমাকে রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য করে দেবে এই আশ্বাস দিয়ে আমার কাছ থেকে বেশ কয়েক হাজার টাকা দাবিও করেন । আমি কোনও মন্ত্রিত্ব পাওয়ার জন্য টাকা দিতে অস্বীকার করলে ওই যুবক আমাকে বারবার ফোন করতে থাকেন।” সূত্রের খবর -এরপর রঞ্জন সরকার বিপদে পড়েছেন এমন দাবি করে হুমায়ুন কবীরের  কাছ থেকে কয়েক ক্ষেপে প্রায় এক লক্ষ টাকা নিয়েছেন। এরপরই হুমায়ুন কবীর, রঞ্জন সরকারের টাকা চাওয়ার বিষয়টি কলকাতা পুলিশের নজরে আনেন। মুর্শিদাবাদ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার্স) মজিদ ইকবাল খান বলেন,” বিধায়কের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ওই ব্যক্তিকে মধ্যমগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছি।”  আদালত ধৃত রঞ্জন সরকারের তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর করেছে।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    হুমায়ুন কবীর  বলেন,” এরপর প্রায় ১ বছর আমার কাছ থেকে রঞ্জন সরকারের টাকা চাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু গত ২২ তারিখ থেকে আবার ওই ব্যক্তি আমাকে আইপ্যাক-এর নাম করে বারবার হোয়াটসঅ্যাপে এবং আমার ব্যক্তিগত নম্বরে ফোন করে বিরক্ত করতে থাকেন এবং টাকা চাইতে থাকেন। আমি ওই ব্যক্তিকে ফোন করতে বারণ করলেও বারবার নম্বর বদল করে আমাকে  ফোন করতে থাকেন। এরপরই আমি গোটা ঘটনাটি আইপ্যাক-এর কয়েকজন শীর্ষ আধিকারিকের নজরে আনি। তখন আমাকে জানানো হয় ওই নামে আইপ্যাক সংস্থাতে কেউ কাজ করে না এবং মন্ত্রিত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা চাওয়ার বিষয়টি পুলিশকে জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।” শুক্রবার রাতে হুমায়ুন কবীর তাঁর নিজের বাড়ির কাছে শক্তিপুর থানাতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালির পথে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় টিমকে বাধা পুলিশের, বচসা-ধস্তাধস্তি

    Sandeshkhali: সন্দেশখালির পথে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় টিমকে বাধা পুলিশের, বচসা-ধস্তাধস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পথে কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। নিরাপত্তার স্বার্থে নস্কর পাড়াতেই আটকে দেওয়া হয় তাদের। তারই প্রতিবাদে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার কলকাতায় আসেন কেন্দ্রীয় টিমের সদস্যরা। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নির্দেশে ইতিমধ্যেই গঠিত হয়েছে ছয় সদস্যের বিশেষ এই টিম। এই টিমের এদিন সন্দেশখালিতে পৌঁছে পরিস্থিতি অনুসন্ধান করার কথা ছিল। কিন্তু রামপুরের কাছেই নস্কর পাড়ায় আটকে দেওয়া হয় তাদের।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sandeshkhali)

    গত সপ্তাহে দফায় দফায় অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali)। সেসময় স্থানীয় মহিলাদের একাংশ দাবি করেছিলেন, দিনের পর দিন তাঁদের ওপর যৌন নির্যাতন হয়েছে।  মহিলাদের ওপর সেই নির্যাতনের অভিযোগ সংবাদ মাধ্যমে দফায় দফায় উঠে এসেছে। সেখানে সংসদীয় দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার গড়ে দেওয়া ওই উচ্চপর্যায়ের অনুসন্ধান কমিটি শুক্রবার সন্দেশখালি রওনা দেয়। প্রতিনিধিদলে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী ও প্রতিমা ভৌমিক, তিন সাংসদ সুনীতা দুগ্গল, কবিতা পাতিদার, সংগীতা যাদব ও রাজ্যসভা সাংসদ ও উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি ব্রিজলাল। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ও বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। ঠিক ছিল,এই প্রতিনিধিদল সন্দেশখালির মহিলা ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। তাঁদের অভিযোগের কথা শুনবেন। এরপর জেপি নাড্ডার হাতে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা তাঁদের রিপোর্ট তুলে দেবেন। কিন্তু, শুক্রবার ওই কেন্দ্রীয় টিমকে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে রামপুর নস্করপাড়ায় আটকে দেওয়া হয়। চারজনের প্রতিনিধিকে যাওয়ার অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু, পুলিশ অনুমতি দেয়নি। এরপরই পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় টিমের সদস্যদের প্রথম বচসা হয়। পরে, ধস্তাধস্তি হয়। সেখানেই অবস্থান বিক্ষোভে বসেন সেন্ট্রাল টিমের সদস্যরা।

    পুলিশি বাধা নিয়ে কী বললেন কেন্দ্রীয় টিমের সদস্য?

    কেন্দ্রীয় টিমের সদস্য তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী বলেন, পুলিশের যে ভূমিকা আমরা এখানে এসে দেখছি, সেই সক্রিয়তা শাহজাহানকে গ্রেফতারির ক্ষেত্রে পুলিশ দেখাত, তাহলে এই সময় আর আসত না। কেন্দ্রীয় টিমের সঙ্গে এসেছেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। তিনি বলেন, গায়ের জোরে আটকানো হচ্ছে। তৃণমূলের মন্ত্রীরা যেতে পারবেন। আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা যেতে পারবে না। এটাই হচ্ছে বাংলা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share