Tag: mla

mla

  • Malda: দল ছাড়লেন তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের মালদা জেলার চেয়ারম্যান, কেন জানেন?

    Malda: দল ছাড়লেন তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের মালদা জেলার চেয়ারম্যান, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁরা সরব হচ্ছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগেই দল ছাড়লেন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের মালদা (Malda) জেলার চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। তাঁর মতো দাপুটে নেতা ভোটের মুখে দল ছেড়ে দেওয়ায় তৃণমূল চরম বেকায়দায় পড়়বে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    কেন দল ছাড়লেন?

    তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের মালদা (Malda) জেলার চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম একা দল ছেড়েছেন, এমন নয়। তিনি ছাড়াও কালিয়াচক-২ নম্বর ব্লক মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মীনাক্ষি মণ্ডল, মালদা জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সম্পাদক হায়দার আলি বিশ্বাস, বুথ সভাপতি সোহেল রানা সহ একাধিক পদাধিকারীই তৃণমূল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন। তাঁদের প্রত্যেকেরই রাজ্যের মন্ত্রী তথা মোথাবাড়ির বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ। সাবিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে একনায়কতন্ত্র চালানোর অভিযোগ এনে তাঁরা সকলে দলত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেছেন। সম্প্রতি সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি সহ বহু পদাধিকারী গণ ইস্তফা দিয়েছিলেন। তবে, তাঁরা দলত্যাগ করেননি। দলে থেকেই দলের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন। কিন্তু, এবার দলত্যাগ করলেন সংখ্যালঘু‌ সেলের চেয়ারম্যান সহ একাধিক পদাধিকারী।

    কী বললেন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের মালদা (Malda) জেলার চেয়ারম্যান?

    তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের মালদা (Malda) জেলার চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ভালোবেসেই তৃণমূল করতে এসেছিলাম। কিন্তু, দলটা দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। আর কিছুদিন এই দল করলে আমাদেরকেও সাধারণ মানুষ চোর চোর বলে ডাকবে। আর মোথাবাড়়ির বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন দলে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে দল করা যায় না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নবজোয়ার কর্মসূচিতে এসে যে সব কথা বলে গিয়েছেন তা দলের কেউ মানছেন না। ফলে, এই দলের নীতি, আদর্শ বলে কিছু নেই। তাই, আমাদের মতো মানুষের পক্ষে এই দল করা সম্ভব নয়। তাই, পদ ছাড়ার পাশাপাশি দলও আমরা ত্যাগ করলাম।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: ‘মার্ডার কেসের আসামিও দলের টিকিট পেয়েছেন,’ বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

    Panchayat Election: ‘মার্ডার কেসের আসামিও দলের টিকিট পেয়েছেন,’ বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের রবিউল ইসলাম, ভরতপুরের হুমায়ুন কবীর, হুগলির মনোরঞ্জন ব্যাপারীর পর এবার বেসুরো আরও এক তৃণমূল বিধায়ক। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) তাঁর তালিকা অনুযায়ী প্রার্থী করেনি দল। এমনটাই অভিযোগ প্রাক্তন মন্ত্রী তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লার। আর তাঁর পছন্দমতো সব প্রার্থী না করায় দলের বিরুদ্ধে কার্যত ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিধায়কের বেসুরো মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক?

    পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর প্রকাশ্যে আসছে। একাধিক জায়গায় তৃণমূলের কোন্দল সামনে চলে এসেছে। প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় একাধিক দাপুটে নেতা মুখ খুলেছেন দলের বিরুদ্ধে। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন মগরাহাটের গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। তিনি বলেন,” যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন এবার, তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই রাজনীতির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। এমনকী মার্ডার কেসের আসামিও টিকিট পেয়েছে। আমি ৪৯ হাজার ভোটে জিতেছি। কিন্তু এবার প্রার্থী হয়েছে ৫০-৫০। অর্থাৎ আমার প্রার্থী ৫০ শতাংশ। বাকি অন্যদের।” এর আগেও একাধিকবার বেঁফাস মন্তব্য করেছেন তিনি। কখনও দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচিতে গিয়ে  দলের বিরুদ্ধেই কথা বলেছেন, আবার কখনও বা এসডিপিও  এবং পুলিশ কর্মীকে দু পয়সার চাকর বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। আর এদিন অভিমানের সুরে গিয়াসউদ্দিন বলেন, “আমার উপর হয়তো দল আর ভরসা করতে পারছে না। আমি তালিকা দিয়েছিলাম। পরে দেখলাম সেখানে ৫০ শতাংশ প্রার্থীর নাম রয়েছে। বাকি ৫০ শতাংশের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই, তাদের দল টিকিট দিয়েছে।” তবে, এবার তাঁর তালিকার বাইরে যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন তাঁদের হয়ে প্রচারে যাবেন কি না তা নিয়ে স্পষ্ট করে তিনি কোনও কিছু মন্তব্য করেননি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে! আব্দুল করিম চৌধুরী-কানাইয়ালাল গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত ৩

    Uttar Dinajpur: গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে! আব্দুল করিম চৌধুরী-কানাইয়ালাল গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরে (Uttar Dinajpur) নির্দল প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হতেই করিম চৌধুরী গোষ্ঠীর নির্দল সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার ইসলামপুর ব্লকের মাটিকুন্ডা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ছঘরিয়া এলাকায়।

    কী ঘটেছে?

    মূলত তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠী করিম ও কানাইয়া পন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনায় ৩ জন করিম চৌধুরীর সমর্থক আহত হয়েছেন। তাঁদের বর্তমানে ইসলামপুর (Uttar Dinajpur) মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে। আহতদের অভিযোগ, তাঁরা ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর সমর্থক। বুধবার রাতে হঠাৎই জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের লোকেরা তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এই হামলার ঘটনায় সানজুর আলম, লাল মহঃ এবং নুর আলম নামে তিন জন করিম চৌধুরীর সমর্থক আহত হন। তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ইসলামপুর থানার পুলিশ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    করিম গোষ্ঠীর বক্তব্য

    আহত লাল মহঃ জানিয়েছেন, তাঁরা দু-তিন জন বসে গল্প করছিলেন। তাঁরা প্রত্যেকেই করিম চৌধুরির (Uttar Dinajpur) সমর্থক। হঠাৎ আসারুল হক, সাকাওয়াতরা পেছন থেকে লাঠিসোটা নিয়ে মারধর শুরু করে কোনও কারণ ছাড়াই। আবার করিম গোষ্ঠীর নির্দল প্রার্থী লাল বানুর ছেলে মহঃ খইবুল আলম জানিয়েছেন, “তৃণমূলের প্রতীকে যারা দাঁড়িয়েছে। তাদের কোনও সংগঠন নেই। তাদের পায়ের নিচের জমি সরে যাচ্ছে। তাই তারা ভয় দেখানোর জন্য আমাদের লোকজনের ওপরে হামলা চালিয়েছে। ওরা ভোটে হেরে যাওয়ার ভয়ে এলাকায় এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন করিম গোষ্ঠীর খইবুল।

    করিম চৌধুরীর বক্তব্য

    উল্লেখ্য, বুধবার ইসলামপুরের (Uttar Dinajpur) বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী সাংবাদিক বৈঠক ডেকে তাঁর সমর্থিত নির্দল প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। ইসলামপুর পঞ্চায়েত সমিতির ২৭ টি আসনে, জেলা পরিষদের ২ টি আসনে, এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩৪ টি আসনে তাঁর সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা লড়াই করছেন বলে জানান তিনি। পাশাপাশি নির্বাচনে সন্ত্রাস, বোমাবাজি, গুলি চালনার ঘটনায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগারওয়াল এবং ব্লক সভাপতি জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। তারপরই রাতের এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিত এলাকার মানুষজন।

    কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বক্তব্য

    অপরদিকে তৃণমূলের জেলা (Uttar Dinajpur) সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল টেলিফোনে জানিয়েছেন, করিম সাহেব নিজের মতো কাজ করুক। গোটা ঘটনা দলকে জানানো হয়েছে। মাটিকুন্ডা হোক কিংবা অন্য কোন জায়গা, কোথাও কোনও গন্ডগোল হতে দেবেন না বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

    এখন নির্বাচন কীভাবে কাটে এলাকায়, সেটাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bardhaman: নবজোয়ারে দু’হাজার পুলিশ, আর নির্বাচনে মাত্র ২২০০ আধা সেনা? কটাক্ষ অগ্নিমিত্রার

    Bardhaman: নবজোয়ারে দু’হাজার পুলিশ, আর নির্বাচনে মাত্র ২২০০ আধা সেনা? কটাক্ষ অগ্নিমিত্রার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলায় জেলায় এক কোম্পানি আধা সেনা দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট কি সম্ভব? এই প্রশ্নের উত্তরে আসানসোলের (Bardhaman) বিজেপি বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পল কটাক্ষের সুরে বলেন, তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে যুবরাজের নিরাপত্তার জন্য মোতায়ন দু’হাজার রাজ্য পুলিশ। অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের মানুষের নিরাপত্তার জন্য মাত্র ২২০০ আধা সেনা। সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! 

    কী বললেন বিধায়িকা?

    বিজেপি নেত্রী (Bardhaman) বলেন, রাজ্যে এই নির্বাচনের সময় নতুন জুটি তৈরি হয়েছে রাজীব সিনহা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! এই জুটি রাজ্যের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে বাজারে নেমেছে। গণতন্ত্রকে হত্যা ও মানুষ খুনের খেলায় মত্ত এই জুটিকে আটকাতে বাংলার মানুষ সর্বত্র নামছেন। তিনি আরও বলেন, রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট ২২ কোম্পানি আধা সেনা দিয়ে করলে অবশ্যই রক্তগঙ্গা বইবে, যদি না অতিরিক্ত আধা সেনা আসে। এই বিষয়ে আমরা আদালতের দারস্থ হব।

    প্রশাসনকে নিয়ে কী বললেন?

    দেগঙ্গায় আইএসএফ এবং তৃণমূলের ফের খণ্ডযুদ্ধ নিয়ে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদিকা অগ্নিমিত্রা পল বলেন, ১২ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছুই নেই! বিজেপির বুকের পাটা আছে বলেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে এককভাবে মনোনয়ন জমা করছে। অন্যদিকে তৃণমূল নির্বাচনে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে নেমেছে। পুলিশ-প্রশাসন এবং তৃণমূল প্রার্থীরা একত্রিত হয়েছে বলেই মনোনয়ন জমা করতে পেরেছে। দুদিনের মধ্যেই তৃণমূল ১০০% জায়গায় তাদের প্রার্থীর মনোনয়ন জমা করতে পেরেছে। তা না হলে দু-মিনিট করে সময়ে কীভাবে তৃণমূল প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা করতে পারে! অন্যদিকে এই পুলিশ পশ্চিম বর্ধমানে (Bardhaman) বিরোধীদের মনোনয়ন জমা করার কাজে বাধা দিতে সব রকম চেষ্টা চালিয়ে গেছে।

    তৃণমূল বিধায়কের দল ছাড়া নিয়ে কী বললেন?

    হুগলির বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল ছাড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে বিজেপি বিধায়িকা বলেন, তিনি দলে থাকবেন, না বেরিয়ে যাবেন, তা তৃণমূলের একান্ত নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু যাঁরা তৃণমূলের প্রথম দিন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে লড়াই করে এসেছেন, তাঁদের জায়গা বর্তমানে মঞ্চের নিচে। কেবল মাত্র যুবরাজের জায়গা মঞ্চের উপরে। বর্তমানে যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সুপার মুখ্যমন্ত্রী, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও উপরে।

    বুধবার বর্ধমানের (Bardhaman) বিজেপি সদর কার্যালয়ে রাঢ়বঙ্গের দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে আসেন বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পল। সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, বীরভূমের দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা। এছাড়াও আসানসোল, বীরভূম ও বর্ধমান সদর জেলার সভাপতি  এবং  অন্যান্য নেতৃত্বরা বৈঠকে ছিলেন বলে জানা গেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি, তোপ দলেরই বিধায়কের!

    Panchayat Election: লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি, তোপ দলেরই বিধায়কের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দলকে এলাকায় জেতালেও নিজের মেয়েকে দলীয় টিকিটে দাঁড় করাতে পারলেন না চোপড়ার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হামিদুল রহমান। তাঁর অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে টিকিট বন্টন (Panchayat Election) করা হয়েছে। অভিযোগের তীর জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বিরুদ্ধে। অপরদিকে, যারা টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে, দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জি তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ে অর্জুনা বেগম উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের চার নম্বর আসনে করিম চৌধুরীর অনুগামী হিসেবে নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়াই করছেন। আর তার ফলে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব খানিকটা বিপাকে পড়েছে। মেয়েকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে জেতাতে মরিয়া বিধায়ক হামিদুল রহমান। এই ঘটনায় আবারও তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে।

    কেন প্রার্থী (Panchayat Election) করা হল না বিধায়কের মেয়েকে?

    উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের চার নম্বর আসনে প্রার্থী (Panchayat Election) করা হয় চোপড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ে অর্জুনা বেগমকে। নির্বাচনে প্রায় ৪৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের কাজকর্ম পছন্দ না হওয়ায় অর্জুনা বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর অনুগামী হয়ে কাজকর্ম করেন। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বিদ্রোহী বিধায়ক করিম চৌধুরীর মনোনীতদের প্রার্থী তালিকার বাইরে রেখেছেন বলে অভিযোগ। বাতিলদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন ৪৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হামিদুল রহমানের মেয়ে অর্জুন বেগমও। শুধুমাত্র করিম চৌধুরীর অনুগামী হবার কারণেই তাঁকে জেলা পরিষদের চার নম্বর আসনে প্রার্থী করা হয়নি বলে অভিযোগ।

    দলের বিরুদ্ধেই তোপ বিধায়কের

    অপরদিকে মেয়েকে প্রার্থী না করায় জেলা সভাপতিকে এক হাত নিয়েছেন চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান। বিধায়কের অভিযোগ, একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে জেলা পরিষদের প্রার্থী করে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন জেলা সভাপতি। চার নম্বর আসনে দল যাকে প্রার্থী (Panchayat Election) করেছে, সে নিজের এলাকাতেই জিততে পারবে না। জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি ফারহাদ বানু একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ত্ব হওয়ার পরেও তাঁকেও প্রার্থী করা হয়নি। বিধায়কের আরও অভিযোগ, রাজ্যের সমস্ত জেলায় বিধায়কদের প্রার্থী নির্বাচনের প্রধান দায়িত্ব থাকলেও একমাত্র ইসলামপুরের বিধায়ককে সেই দায়িত্বের বাইরে রাখা হয়েছে। জেলা সভাপতি এবং রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানীর ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছেন চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান। হামিদুল রহমানের মেয়ে অর্জুনা বেগম আরেক ধাপ এগিয়ে বলেন, জেলা সভাপতি তাঁদের প্রতি অবিচার করেছেন। তাই তাঁরা নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়াই করছেন।

    কী জবাব দিলেন দলের জেলা সভাপতি?

    অপরদিকে, এ বিষয়ে জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগারওয়াল ফোনে জানিয়েছেন, “টাকা নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। কে টিকিট পাবে না পাবে, সমস্তটাই দল ঠিক করেছে। দলের ওপরে আমরা কেউ নই। দল যেটা সিদ্ধান্ত নেবে (Panchayat Election) সেটাই মেনে চলতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • TMC: দলীয় ফতোয়াকে ফুৎকারে উড়িয়ে নির্দল প্রার্থীদের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক

    TMC: দলীয় ফতোয়াকে ফুৎকারে উড়িয়ে নির্দল প্রার্থীদের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নির্দল প্রার্থীদের পাশে দাঁড়ালেন উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্দল প্রার্থীদের নিয়ে তৃণমূলের সুপ্রিমো যতই চাপ সৃষ্টি করুক তাতে চিন্তিত নন করিমসাহেব। দলীয় নেতা কর্মীরা দলের অফিসিয়াল প্রার্থী হতে না পেরে নির্দল প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাঁদের প্রার্থী পদ প্রত্যাহারের আবেদন করেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। শনিবার দলের বৈঠকে নির্দল প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

    কী বললেন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী?

     উত্তর দিনাজপুর জেলাতেও বহু তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) নেতা কর্মীরা প্রার্থী হতে না পেরে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে ইসলামপুর তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর অনুগামীরা দলের প্রার্থী হতে না পেরে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী বলেন, দুর্নীতিমুক্ত,স্বচ্ছ পঞ্চায়েত গঠন করতে দলনেত্রীর কাছে স্বচ্ছভাবমূর্তি থাকা মানুষদের তালিকা পাঠিয়েছিলেন। দল সেই তালিকা অনুমোদন করেনি। দলের এই ভূমিকায় হতাশ হয়ে পড়েন কর্মীরা। ২০১৯ বিধানসভা নির্বাচনে যারা আমার হয়ে নির্বাচনে পরিশ্রম করেছেন তাঁদের দলে রাখতেই আমি নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁদের হয়ে আমি প্রচারেও যাবে। দলের বিধায়ক হয়েও দলের কোনও প্রার্থীর হয়ে প্রচার বা বিরুদ্ধে কিছুই করব না। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন ইসলামপুর ব্লক নিয়ে যেন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন তিনি। পুলিশকে লেলিয়ে দিয়ে নির্দল প্রার্থীদের যাতে হেনস্থা না করেন তাঁর আবেদন করেছেন বিদ্রোহী এই বিধায়ক।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, তৃণমূল (TMC)  কংগ্রেসের অফিসিয়াল প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করা দলবিরোধী কাজ। কোনও নেতা বা বিধায়কের মদতে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করানোর উপযুক্ত প্রমাণ পেলে দল ওই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: “বিধায়কের বাড়িতে ঝাঁট দেয়, তাকেও টিকিট!” তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    Hooghly: “বিধায়কের বাড়িতে ঝাঁট দেয়, তাকেও টিকিট!” তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির (Hooghly) বলাগড় এখন বিখ্যাত। প্রাথমিক শিক্ষার নিয়োগ-দুর্নীতি কাণ্ডের মাথা শান্তনু-কুন্তলদের খাসতালুক এই বলাগড়। এবার বলাগড় শিরোনামে মূলত পঞ্চায়েতের টিকিট বণ্টনকে কেন্দ্র করে। প্রার্থী ঘোষণা হবার পর থেকে বেশ কিছু এলাকার মতো বলাগড়েও শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করেছে। উঠে এসেছে টাকা দিয়ে প্রার্থী করার মতো গুরুতর অভিযোগ। প্রকাশ্যে কাদা ছোড়াছুড়িতে মেতে উঠেছেন স্থানীয় বিধায়ক ও ব্লক সভাপতি। একে অপরের নামে বিস্ফোরক সব অভিযোগ তুলেছেন। মূল দ্বন্দ্ব টাকা নিয়ে জেলখাটা দুষ্কৃতীদের কেন টিকিট দেওয়া হয়েছে!

    কেন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব?

    প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকে ক্ষোভ দেখা যাচ্ছিল বলাগড়ের (Hooghly) তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। শনিবার বিকালে তার গণবিস্ফোরণ ঘটে। ওই দিন হুগলির বলাগড়ের জিরাটে একটি লজে দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক ডাকেন বলাগড় ব্লক তৃণমূল সভাপতি নবীন গাঙ্গুলি। আর সেখানেই ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূলের কর্মীরা। বলাগড় পঞ্চায়েত সমিতির আগের বারের বোর্ডের ছজন বিজয়ী কর্মাধ্যক্ষ বাদ পড়েছেন, একাধিক প্রধান, উপ-প্রধান এমনকী ব্লক সভাপতি, সহ-সভাপতিদেরও টিকিট দেওয়া হয়নি। আর এর পিছনে বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর বিশেষ হাত রয়েছে বলে মনে করেন তৃণমূল দলেরই কর্মী-সমর্থকরা।

    ব্লক সভাপতি গোষ্ঠীর বক্তব্য

    ব্লক (Hooghly) সভাপতি নবীন গাঙ্গুলি বলেন, যে কোনওদিন দল করেনি, এরকম, এমনকি বিজেপির লোককেও টিকিট দিয়েছেন বিধায়ক। এখন দল বলছে ভোট করতে হবে। কর্মীরা যারা সারা বছর কাজ করে, তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। দলকে সব জানিয়েছি। দেখি কী হয়। ব্লকের সাধারণ সম্পাদক সুজয় মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, টাকা নিয়ে টিকিট দেওয়া হয়েছে। বিধায়কের বাড়িতে ঝাঁট দেয়, তাকেও প্রার্থী করা হয়েছে। বিদায়ী বোর্ডের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ বাদল সরকার বলেন, প্রথম থেকে দল করছি। প্রতি বছরই টিকিট নিয়ে এই ধরনের গন্ডগোল হয়। বাইরে সিপিএমের সঙ্গে লড়াই করতে হয়, আর ভিতরে দলের টিকিট নিয়ে লড়াই করতে হয়। তবে এবারে পঞ্চায়েতে যেভাবে প্রার্থী করা হয়েছে, তাতে দলের কর্মীদের কথা শোনা হয়নি বলে জানান তিনি।

    বিধায়ক গোষ্ঠীর বক্তব্য

    এই বিষয়ে বলাগড়ের (Hooghly) বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেন, ২৩৮ টা গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ৯০ টা আমি নিয়েছি। যারা আমাকে জেতাতে সাহায্য করেছিল, তাদের দেওয়া হয়েছে। আমি একটাকাও নিইনি। টাকা নিয়ে টিকিট দিয়েছে ব্লক সভাপতি স্বয়ং। যাদের থেকে টাকা নিয়েছে ব্লক সভাপতি তাদের টিকিট দিতে পারছে না বলে এসব বলছেন। বিজেপিকে টিকিট ওরাই দিয়েছে। বিধায়ক আরও বলেন, সব কানে যাচ্ছে বিজেপির। মুচকি মুচকি হাসছে তারা।

    বিজেপির বক্তব্য

    এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিজেপির হুগলি (Hooghly) সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, যে দলের কোনও গণতন্ত্র নেই, যে দলের উদ্দেশ্য কেবলমাত্র টাকা কামানো, সেই দলের মিটিংয়ে বলাগড়ে যেটা হয়েছে, সেটাই স্বাভাবিক। আজ যারা টাকা দিয়েছে, তারা টিকিট পেয়েছে। আর যারা দেয়নি, তারা পায়নি। যার ফলেই ঝামেলা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Murshidabad: মনোনয়ন কেন্দ্রে তৃণমূলের বিধায়ক-পত্নীকে দেখেই ‘চোর চোর’ স্লোগান

    Murshidabad: মনোনয়ন কেন্দ্রে তৃণমূলের বিধায়ক-পত্নীকে দেখেই ‘চোর চোর’ স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের প্রার্থী তালিকায় নাম নেই। অথচ বৃহস্পতিবার দেখা গেল, দলেরই সিম্বলে মনোনয়নপত্র জমা করলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার স্ত্রী টগরী সাহা। আর এর পরই বিরোধীরা ‘চোর চোর’ স্লোগানে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিধায়ক-পত্নীকে।

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) মনোনয়নপত্র জমা করতে গিয়ে কী ঘটল?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা করার আজ বৃহস্পতিবার ছিল শেষ দিন। ইতিমধ্যেই সর্বত্র মনোনয়ন জমা দেওয়াকে ঘিরে শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীরা অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে। মনোনয়নকে ঘিরে কোথাও চলেছে বোমা, আবার কোথাও চলেছে গুলি। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির টিকিটে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের স্ত্রীকে দেখা গেল মনোনয়নপত্র জমা করতে। উল্লেখ্য, এই জীবনকৃষ্ণ সাহাকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামালায় সিবিআই-ইডি গ্রেফতার করেছে। বর্তমানে তিনি জেলে রয়েছেন। তাঁর স্ত্রী পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা করে বেরিয়ে আসছিলেন। ঠিক সেই সময় ব্লক অফিসের ভিতরেই মনোনয়ন দাখিলের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা বিরোধী দলের বিজপি প্রার্থীরা বিধায়কের স্ত্রী টগরী সাহাকে দেখেই চোর চোর স্লোগান তোলেন। দীর্ঘক্ষণ ধরে বিরোধী প্রার্থীরা লাইনে দাঁড়িয়ে মনোনয়নপত্র জমা করতে পারছিলেন না। অথচ বিধায়ক-পত্নী কোনও লাইন না দিয়েই নিজের মনোনয়ন জমা করেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের। বিধায়ক-পত্নী মনোনয়ন জমা করতে এসে থেমে থাকেননি। তিনি সুযোগ পেয়ে মনোনয়ন কেন্দ্রের ভিতরেই বিরোধীদের কুকুর-ছাগলের মতো আচরণ করেন বলে অভিযোগও শোনা গেছে। আর এই নিয়ে প্রশাসনের কাছে বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগও করা হয়।

    বিজেপির অভিযোগ

    ভারতীয় জনতা পার্টির স্থানীয় বুথ সহ সভাপতি ইলিয়াস শেখ বলেন, এতকাল এই তৃণমূল বিধায়ক (Murshidabad) কেবল চুরিই করে গেলেন, প্রাপ্য সুযোগসুবিধা থেকে মানুষকে বঞ্চিত করলেন! আজ সেই বিধায়কের পত্নী পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন করলেন। আমরা সকাল থেকে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি, আমাদের সময়ের কোনও দাম নেই। অথচ একজন বিধায়কের পত্নীর জন্য সব সুবিধা প্রশাসন দিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বললেন, একজন দুর্নীতিগ্রস্ত বিধায়কের পত্নীকে মনোনয়ন জমা করতে এসে লাইনে দাঁড়াতে হল না। ব্লক অফিসের আধিকারিকরা বিরোধী দলের প্রতি অসহযোগিতা করছেন। তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে প্রশাসন, এমনটাই অভিযোগ করেন ইলিয়াস শেখ।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: প্রার্থী বাছাই এবং মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক দলের বিধায়ক

    Nadia: প্রার্থী বাছাই এবং মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক দলের বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই দলের কোনও অনুশাসন নেই, নেই নির্দিষ্ট কোনও গাইডলাইন। কেউ কাউকে মানে না। একশ্রেণির নেতারা এই দলটাকে শেষ করছে। যাদের কথা শুনে দল প্রার্থী ঠিক করছে সেই প্রার্থীর দায়িত্ব তাদেরকেই নিতে হবে। এখানে আমার কিছু করার নেই। দলের কর্মীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় দলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক তেহট্টের (Nadia) তৃণমূল বিধায়ক তাপসকুমার সাহা।

    নদিয়ায় (Nadia) মনোনয়নকে ঘিরে কী হয়েছে?

    উল্লেখ্য, এক দফা পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে চলছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ। আজ তার শেষ দিন। সেইমতো তেহট্ট (Nadia) বিডিও অফিসে দলের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক তাপসকুমার সাহা। আর সেখানেই পছন্দের প্রার্থীদের নাম না থাকায় দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। 

    বিক্ষুব্ধ বিধায়ক কী বললেন?

    নির্বাচনে মনোনয়নের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে এই তৃণমূল বিধায়ক (Nadia) বলেন, ব্লক সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি এবং আমি একসঙ্গে বসে দলের নির্দেশে যে তালিকা দলকে পাঠিয়েছিলাম, সেখান থেকে অনেকের নাম বাদ গেছে। অথচ দল যেভাবে বলেছে, সই করে নাম সেই ভাবেই পাঠিয়েছি। কিন্তু তারপরেও আমাদের অনেকের নাম বাদ গেছে। আমরা বুঝতে পারছি, কেউ দলকে শেষ করার জন্যই এই ঘটনা ঘটাচ্ছে। এরপর তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের আইপ্যাক এবং দলের শীর্ষ স্তর থেকেও কেউ কেউ এই নাম বদল করেছেন বলে অভিযোগ করেন। বলেন, আমার তালিকার বাইরে যে নামগুলি এসেছে, তাঁদের দায়িত্ব আমি নেবো না! আর আমার দেওয়া যে সমস্ত নাম দল নির্বাচিত করেছে, তাঁদের দায়িত্ব আমি নিচ্ছি। পাশাপাশি তিনি আরও আক্রমণাত্মক হয়ে বলেন, এই দলের কোনও অনুশাসন নেই, নির্দিষ্ট গাইডলাইন নেই। জেলা সভাপতি, আইপ্যাক, অঞ্চল সভাপতিদের মধ্যে কোনও সংযোগ নেই। দলের তরফ থেকে নেই কোনও বিশেষ নির্দেশিকাও। এই প্রসঙ্গে আরও স্পষ্ট করে বলেন, দলের একটা অংশের নির্দেশে এই ঘটনা ঘটছে এবং এই বিষয়ের মধ্যে প্রদেশের কিছু নেতা যুক্ত হয়ে তৃণমূল দলকে নষ্ট করছেন বলে অভিযোগ করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বিজেপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ব্যাপক লাঠিচার্জ, আক্রান্ত বিধায়ক

    Bankura: মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বিজেপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ব্যাপক লাঠিচার্জ, আক্রান্ত বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ায় (Bankura) বিরোধীদের মনোনয়ন দাখিলে বাধা দিতে পুলিশকে নিয়ে ময়দানে নেমেছে রাজ্যের শাসক দল। আর এই অভিযোগ তুলে মনোনয়নের প্রথম দিন থেকেই সরব গেরুয়া শিবির। আজ ইন্দাসে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র পুলিশের সাথে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় গেরুয়া বাহিনীর। আক্রান্ত হন বিজেপির বিধায়ক নির্মলকুমার ধাড়া।

    বাঁকুড়ায় (Bankura) অভিযোগ কী?

    বুধবার ইন্দাস (Bankura) বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু পুলিশ বিজেপিকে বাধা দেয়। বিজেপির অভিযোগ, মিছিল আটকাতে পাল্টা ইন্দাসের পিরতলায় জমায়েত করে তৃণমূল। পাশাপাশি, সেখানে আগে থেকেই মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। বিজেপির মিছিলকে জোর করে আটকে দেয় পুলিশ। প্রতিবাদে সেখানেই ধর্ণা ও বিক্ষোভ শুরু করে দেন তাঁরা।

    পুলিশের ভূমিকা

    এরপর ইন্দাসের (Bankura) বিজেপি বিধায়ক নির্মলকুমার ধাড়া দলবল নিয়ে মিছিল করে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিডিও অফিসের দিকে এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁকে বাধা দেয়। আর তাতেই ছড়ায় উত্তেজনা। মুহূর্তের মধ্যে বিজেপি ও পুলিশে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। বিধায়কের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তি চলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করে। লাঠির আঘাতে বেশ কয়েক জন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। পাশাপাশি, ইটের আঘাতে বিষ্ণুপুরের এসডিপিও কুতুবউদ্দিন খান সহ বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে  জানানো হয়েছে। বিধায়ক নিজেও আহত হন বলে দাবি করেছে বিজেপি।

    আক্রান্ত সাংসদও

    এদিকে ইন্দাস যাওয়ার পথে কাঁকরডাঙ্গায় আক্রান্ত হন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, তৃণমূলের লোকজন এমনকী মহিলারা মিলে তাঁর উপর হামলা চালায়। তাঁর গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে কোনও রকমে বাঁচিয়েছেন। পাশাপাশি, তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ বিধায়ক নির্মল ধাড়ার ওপর আক্রমণ চালায়। এবং এই ঘটনায় তিনি বিষ্ণুপুরের (Bankura) এসডিপিও কুতুবউদ্দিন খানকে তীব্র ধিক্কার জানান। তিনি অভিযোগ তোলেন, এই অফিসার বিজেপি বিধায়ক, সাংসদ, নেতা-কর্মীদের মেরে ফেললেও মনোনয়ন দেওয়া থেকে আটকাতে পারবেন না। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নে যদি এই পরিস্থিতি হয়, নির্বাচনের দিনে কী হবে? তা নিয়ে চিন্তিত এলাকার মানুষ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share