Tag: mla

mla

  • Gate: রাজ্যে আরও একটি বিশ্ববাংলা গেট তৈরি হচ্ছে, কোথায় জানেন?

    Gate: রাজ্যে আরও একটি বিশ্ববাংলা গেট তৈরি হচ্ছে, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ইতিহাস সমৃদ্ধ শহর বারাকপুর। মঙ্গল পান্ডের হাত ধরে ইংরেজদের বিরুদ্ধে সিপাহী বিদ্রোহের প্রথম সূচনা হয়েছিল এই পূন্যভূমিতে। এই সিপাহী বিদ্রোহ ছিল প্রথম স্বাধীনতার আন্দোলন। ঐতিহাসিক শহর বারাকপুরের নিজস্ব কোনও আইকোণ নেই। গত বছরই আগস্ট মাসে বারাকপুর স্টেশনের সামনে ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করে ১০০ ফুট উচ্চতার জাতীয় পতাকা বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এবার নিউ টাউনের আদলে ব্যারাকপুর চিড়িয়ামোড়ে তৈরি করা হচ্ছে বিশ্ববাংলা গেট (Gate) । একইসঙ্গে সেখানে ঝুলন্ত রেস্টুরেন্ট তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যেই বারাকপুর শহরে এসে জায়গা পরিদর্শন করে যান রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের কর্তা শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য। সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী এবং বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস। তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী বলেন, বারাকপুর ঐতিহাসিক শহর। তাই, এই শহরের ঐতিহ্যকে তুলে ধরতেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এদিন এলাকা পরিদর্শন করে কোথায় উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে তা খতিয়ে দেখা হয়।

    বারাকপুরের ইতিহাস তুলে ধরতে কী উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে? Gate

    কয়েক বছর আগে বারাকপুর প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerje) উত্স্যধারা প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই প্রকল্পের মাধ্যমে বারাকপুরের ইতিহাস ফুটিয়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই প্রকল্পের কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এবার তৃণমূল বিধায়কের উদ্যোগে বারাকপুর স্টেশনের সামনে থেকে ১৫ নম্বর রেল গেট পর্যন্ত ঘোষ পাড়া রোডের ধারে রেলের যে পাঁচিল রয়েছে, সেই পাঁচিলের দেওয়ালে বারাকপুরের ইতিহাস সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হবে। রং দিয়ে ছবি এঁকে ফুটিয়ে তোলা হবে। বিধায়ক কোটার টাকায় এই প্রকল্পের কাজ করা হবে।  এমনিতেই বারাকপুর স্টেশন থেকে ১৫ নম্বর রেল গেট পর্যন্ত রাস্তাটি অত্যন্ত খারাপ ছিল। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে যেত। যানবাহন চলাচলে চরম সমস্যা হত। কয়েক মাস আগে প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ করে পূর্ত দপ্তরের পক্ষ থেকে রাস্তাটি ঢেলে সংস্কার করা হয়েছে। সঙ্গে পথচারীদের চলাচলের জন্য ফুটপাতও তৈরি করা হয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক বলেন, এবার পাঁচিলের দেওয়ালে সুন্দর ছবি এঁকে বারাকপুরের ইতিহাস ফুটিয়ে তোলা হবে। বাইরে থেকে আসা মানুষ এই ছবি দেখেই বারাকপুরের ইতিহাস সম্পর্কে একটি সুন্দর ধারণা তৈরি হবে। পাশাপাশি বারাকপুর চিড়িয়ামোড়ে নিউ টাউনের বিশ্ববাংলার আদলে একটি বিশাল গেট(Gate)  তৈরি করা হবে। একইসঙ্গে সেখানে থাকবে ঝুলন্ত রেষ্টুরেন্ট। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের টাকায় এই কাজ করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Water:  পুরসভার পানীয় জলে এত দুর্গন্ধ! কোথায় জানেন?

    Water: পুরসভার পানীয় জলে এত দুর্গন্ধ! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পুরসভার পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের (Water) সংযোগ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জলের কর না নেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু, দুর্গাপুর নগর নিগম সেই নির্দেশ না মেনেই প্রতিমাসে মিটার দেখে জলের (Water)  কর নেয়। প্রতিমাসে জল করও দেন শহরবাসী। কিন্তু, বিনিময়ে পুরসভার দেওয়া পাইপ লাইন থেকে বের হচ্ছে দুর্গন্ধময় জল। দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানার মামরা বাজারের সিদ্ধেশ্বরী মার্কেট এলাকার ঘটনা। জলে এতটাই দুর্গন্ধ বের হচ্ছে যে টেকা দায়। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ,  নগর নিগমকে নিয়মিত জলের (Water)  ট্যাক্স দেওয়া হয়। বিনিময়ে বিশুদ্ধ পানীয় জলের পরিবর্তে মিলছে দূষিত ড্রেনের জল। বাড়ছে পেটের রোগ আর চামড়ার রোগ। এলাকায় জলের কল খুললেই দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। সেই জল খাওয়া তো দূরের কথা, দুর্গন্ধে ঘরে থাকা যাচ্ছে না। এলাকাবাসীর আশঙ্কা, মামরা বাজারের একটি ড্রেনের পাশেই রয়েছে জলের পাইপ লাইন। সেই পাইপ হয়তো কোনও কারণে ফুটো হয়ে গিয়েছে, আর সেখান দিয়েই ড্রেনের নোংরা জল (Water)  ঢুকে পড়ে এই বিপত্তি হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, আমরা দিনে দুবার মাত্র দু ঘণ্টা জল পাই। আর সেই জল এখন বিষের সমতুল্য হয়ে উঠেছে। জলের (Water)  সমস্যায় থাকা পরিবারগুলিকে অনেক দূরে থাকা একটি কুয়ো থেকে অথবা অন্যের বাড়ি থেকে জল (Water)  নিয়ে এসে  নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, পুরসভার কর্মীরা এসে পাইপ লাইন খোঁড়াখুঁড়ি করছেন। কিন্তু, তাতে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।

    কী পদক্ষেপ নিলেন দুর্গাপুর পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য? Water

    পুরসভার পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের (Water)  সংযোগ দেওয়া হয়েছে। পাইপ লাইনের আশপাশে অনেক ড্রেন রয়েছে। সেই ড্রেনের নোংরা জল (Water)  পানীয় জলের পাইপে কী করে ঢুকল তা নিয়ে পুরসভার কর্মীরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।  দুর্গাপুর পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য তথা প্রাক্তন জল দপ্তরের মেয়র পারিষদ সদস্য দীপঙ্কর লাহা বলেন, আমাদের কর্মীরা বিগত চার পাঁচ দিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁড়াখুঁড়ি করে পাইপ লাইনের মধ্যে কোন সমস্যা আছে কিনা তা খুঁজে বার করার চেষ্টা করছেন। এখনও পর্যন্ত কোনও সমস্যা খুঁজে পাওয়া যায়নি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো  সমস্ত এলাকায় বাড়ি বাড়ি জলের (Water)  লাইন দেওয়া হয়েছে। ওই এলাকায় সাময়িক একটা সমস্যা হয়েছে। পরীক্ষার জন্য এলাকার ট্যাপ থেকে জল (Water)  সংগ্রহ করা হয়েছে।   জলে দুর্গন্ধ রয়েছে এ কথা সত্যি। তবে, কাজ চলছে, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।   বিজেপির দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষণ চন্দ্র ঘোড়ুই বলেন, দল নোংরা, তাই জলও নোংরা। দলেরই কোন স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নেই তাহলে স্বচ্ছ জল (Water)  মিলবে কীভাবে? আর কয়েক মাস পরেই পুরসভা নির্বাচন হবে। তৃণমূলকে সরিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। তারপরেই স্বচ্ছতা কাকে বলে বিজেপি দেখাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Water: পুকুরের জল পান করেন এই এলাকার বাসিন্দারা, কোথায় জানেন?

    Water: পুকুরের জল পান করেন এই এলাকার বাসিন্দারা, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ জল স্বপ্ন প্রকল্পে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে রাজ্যের ১৫.৭২ লক্ষ বাড়িতে পানীয় জল (Water) পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে সকলের ঘরে ঘরে পানীয় জল (Water)  পৌঁছে দেওয়ার স্বপ্নফেরি করেছে তৃণমূল সরকার। কিন্তু, বাস্তবে পানীয় জলের অবস্থা কেমন তা হারে হারে টের পাচ্ছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের মালঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারিলা গ্রামের বাসিন্দারা। বর্ষাকাল বাদে প্রায় সব সময় জলকষ্ট তীব্র আকার ধারণ করে এই এলাকায়। এলাকায় টিউবওয়েল থাকলেও সরু সুতোর মতো করে জল পড়ে। এলাকাবাসীর চাহিদা মেনে পরিস্থিতি সামাল দিতে পঞ্চায়েত থেকে গ্রামে জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো হয়। কিন্তু, গোটা গ্রামের চাহিদা তাতে পূরণ হয় না। বাধ্য হয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা পুকুরের জল (Water)  পান করেন। দিনের পর দিন এই এলাকার বাসিন্দাদের ভরসা পুকুরের জল। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য শিল্পী ওড়াও বলেন, গরমে জলকষ্ট এতটাই তীব্র হয় যে পুকুরের জল পান না করা ছাড়া উপায় থাকে না। ব্লক প্রশাসন থেকে শুরু করে সব জায়গায় দরবার করা হয়েছে। কিন্তু, এখনও জলের (Water)  সমস্যার সমাধান হয়নি।

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে কী মিটবে পানীয় জলের সমস্যা? Water

    ২০১৬ সালে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তপন ব্লকে জল সংকট দূর করতে পানীয় জল (Water)  প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। লক্ষ্য ছিল, বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া। সাত বছর পরও এলাকাবাসী জলের সুবিধা পাননি। পঞ্চায়েত সমিতি ও পিএইচই-র মাধ্যমে তপনের ভারিলার বেশ কিছু এলাকায় মার্ক-টু-টিউবওয়েল এবং জলের ট্যাপ  দেওয়া হয়েছে। তবে, সেগুলি থেকেও পর্যাপ্ত পরিমাণে জল (Water)  পাওয়া যায় না। তাই, বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই পুকুরের জল ব্যবহার করেন গ্রামের বাসিন্দারা। কবে, এই এলাকায় পানীয় জলের সমস্যার সমাধান হবে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন এলাকাবাসী। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মফিজউদ্দিন মিঁয়া বলেন, তপন ব্লকের কিছু এলাকায় পানীয় জলের (Water)  সমস্যা রয়েছে। তারজন্য আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আশা করছি, পঞ্চায়েত ভোটের আগেই ওই এলাকার পানীয় জলের (Water)  সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। স্থানীয় বিধায়ক বুধরাই টুডু বলেন, শাসক দলের ইতিবাচক মনোভাবের অভাবের কারণে এই এলাকার মানুষ জল সংকটে ভুগছেন। তবে, বিধায়ক হিসেবে পানীয় জলের সমস্যা সমাধানে আমি উদ্যোগ গ্রহণ করব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suspend: গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার! ঘর সামলাতে প্রধানকে বহিষ্কার করল তৃণমূল, কোথায় দেখে নিন

    Suspend: গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার! ঘর সামলাতে প্রধানকে বহিষ্কার করল তৃণমূল, কোথায় দেখে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে উত্তর দিনাজপুরে গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার তৃণমূল। ইসলামপুরে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর বিরোধ একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এমনিতেই ইসলামপুরে মাটিকুন্ডা এলাকায়  ক্ষমতার রাশ কার দখলে থাকবে তা নিয়ে দলেরই দুই নেতা শাহনওয়াজ আলম এবং মেহেবুব আলমের মধ্যে গন্ডগোল। মেহেবুব আলম মাটিকুন্ডা- ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। এলাকাবাসীদের দাবি, শাহনওয়াজ আলম বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর অনুগামী। আর মেহেবুব আলম তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালয়ের অনুগামী। ৮ মার্চ রাতে শাহনওয়াজের বাড়িতে প্রধান মেহেবুব আলম ও তাঁর লোকজনেরা  হামলা চালায় বলে অভিযোগ।চলে গুলি ও বোমা। বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় শাহনওয়াজের ভাই সাকিব আকতারের।তিনি পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার। এই ঘটনার পর পরই মেহেবুব আলমকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তারপরও দলের একাংশে মধ্যে বিদ্রোহ থামছিল না। বিশেষ করে বিধায়ক অনুগামীরা মেহেবুবের গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনায় খুশি হননি। তাঁরা রীতিমতো ক্ষোভ ফুঁসছেন। বিধায়ক প্রকাশ্যে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের বেআব্রু চেহারা আরও বেশি করে প্রকট হচ্ছে। তাই, পরিস্থিতি সামাল দিতে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল সাংবাদিক সম্মেলন করে দলের পঞ্চায়েত প্রধান মেহেবুব আলমকে দল থেকে বহিষ্কার (Suspend) করে দিলেন। একইসঙ্গে এই ঘটনায় জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির তিনি দাবি জানালেন। মূলত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের এই কোন্দল নতুন করে আর মাথাচাড়া না দেয় তারজন্য তড়িঘড়ি ওই প্রধানকে বহিষ্কার করা হল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    তৃণমূলীদের কাছে বোমা, গুলি মজুত থাকা নিয়ে কী বললেন জেলা সভাপতি ? Suspend

    ইসলামপুরে প্রকাশ্যে বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটল। একজন সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যু হল। সেই জের কাটতে না কাটতেই দুষ্কৃতীদের গুলিতে গুরুতর জখম হন চোপড়া ব্লকের ঘিরনিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের যুগ্ম অঞ্চল সভাপতি জাকির হোসেন। ফলে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বারুদের স্তূপের মধ্যে রয়েছে এই জেলা। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বোমা, গুলি মজুত রয়েছে শাসক দলের কাছে। এই বিষয় নিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, জেলায় সবাই তৃণমূল। তাই কোথাও কোনও গন্ডগোল হলে তৃণমূলের নাম উঠে আসছে। জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। অবিলম্বে জেলায় যারা অপরাধী রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বোমা, গুলি বাজেয়াপ্ত করবে। কারণ, যে বা যারা দোষী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। পুলিশ প্রশাসন সেটা করবে। আর দলের পক্ষ থেকে যেখানে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সেটা নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madan Mitra:  রাজ্য পুলিশকে একী বললেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র?

    Madan Mitra: রাজ্য পুলিশকে একী বললেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) । তিনি বেলঘরিয়ায় দলীয় সভায় প্রকাশ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তিনি বলেন, রাজ্যের পুলিশকে বলছি, আপনারা ভুলে যান তৃণমূল কংগ্রেস শাসকদলে রয়েছে। কয়েকদিন আগে রথতলায় ৫০টি মাইক বেঁধে সিপিএম সভা করল। আপনার চুপচাপ বসে বসে মজা দেখছিলেন। তবে, সব পুলিশ এক নয়। পুলিশের মধ্যে কিছু চড় রয়েছে। এরপর তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,  বিজেপি বাংলার বাজার গরম করলে কিভাবে ঠান্ডা করতে হয় তৃণমূলের কাছে সেই মন্ত্র আছে। প্রয়োজনে সেই মন্ত্র প্রয়োগ করা হবে।বারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ জেনে রাখুন আমরা বাংলা চালাই। সিপিএম, বিজেপিকে আপনারা বাবা বলে ভাবলেও ওরা কিন্তু বাবা নয়। মুখ্যমন্ত্রী একধারে পুলিশমন্ত্রীও। শাসক দলের দাপুটে এই নেতার পুলিশ নিয়ে এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তাহলে কী বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ দলদাস হয়ে কাজ করছে না। কী কারণে পুলিশের বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্য কামারহাটির কালারফুল বয় (Madan Mitra) করলেন তা তিনি খোলসা করেননি। তবে, দলের অন্দরে এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিরোধীরা এটা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়নে। আসলে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার অর্থ মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি পরোক্ষে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন।

    কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচিকে একী বলেন তৃণমূল বিধায়ক? Madan Mitra

    সাগরদিঘিতে বিরোধীদের অশুভ আঁতাত হয়েছে বলে মদন মিত্র (Madan Mitra) বারবার সোচ্চার হয়েছেন। এবার বিরোধীদের অশুভ আঁতাতের বিরুদ্ধে কামারহাটিতে ধিক্কার মিছিল করা হয়। মিছিল শেষে সভা ছিল। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কামারহাটির বিধায়ক( Madan Mitra) বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএম মনে রাখবেন এই তিনজনকে বান্ডিলে প্যাক করে প্রয়োজনে দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গায় কি করে তর্পন করতে হয়, ন্যাড়া করতে হয় তা আমরা জানি। এরপর কৌস্তভ বাগচির নাম না করে তিনি বলেন, প্রকাশ্যে ন্যাড়া হয়ে   আমাদেরকে ভয় দেখাবেন না।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Madan Mitra:  অনুব্রতহীন বীরভূমে পঞ্চায়েত ভোটে ফল নিয়ে একী বললেন মদন মিত্র?

    Madan Mitra: অনুব্রতহীন বীরভূমে পঞ্চায়েত ভোটে ফল নিয়ে একী বললেন মদন মিত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। কালারফুল বয়। ইদানিং তাঁর বক্তব্য নিয়ে শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। দলের অন্দরেই অনেক নেতা প্রকাশ্যে সমালোচনাও করেছেন। কিছুদিন আগে তাঁর একটি বক্তব্য নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাতে ডোন্ট কেয়ার। নিজের মতো করে খোশমেজাজে থাকেন শাসক দলের দাপুটে এই কালারফুল নেতা (Madan Mitra)। অনুব্রতহীন বীরভূমের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল কেমন হবে তা নিয়ে দলের অন্দরেই জোর চর্চা চলছে। দুদিন আগেই বীরভূমের নানুরে দলীয় সভায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে বেলঘরিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে এসে তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বলেন, অনুব্রতের নেতৃত্বে সাংগঠনিক ক্ষমতা এমন জায়গায় পৌঁচ্ছে ছিল যে ও নেই মানে অনেকেই ধরে নিয়েছে বীরভূমে আমরা হেরে যাব। এটা বলতে পারি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে এবার বীরভূম সব থেকে ভাল রেজাল্ট দেবে। আমি তো নির্বাচনের সময় ওই জেলায় যেতে পারব না। তবে, দল অনুমতি দিলে আমি বীরভূমের সীমান্ত পর্যন্ত যাব। দল আমাকে ঢোল দিলে আমি বীরভূম সীমান্তে দাঁড়িয়ে চড়াম চড়াম করে ঢোল বাজাব। অনুব্রতের মতো করে এসব কথা বলে ভোটের  কর্মীদের মনোবল চাঙা করতে চাইছেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    পঞ্চায়েত ভোটে কর্মীদের কী দেওয়ার কথা বললেন মদন মিত্র?

    অনুব্রত মণ্ডলের সৌজন্যে গত কয়েকটি নির্বাচনের সময় গুড় বাতাসা, নকুল দানা, চড়াম চড়াম সহ নতুন নতুন অনেক শব্দে রাজনীতির ময়দানে আমদানি হয়েছিল। শুধু তৃণমূল নেতা কর্মীরা নয় বিরোধী দলের নেতারাও এই সব শব্দ ব্যবহার করে অনুব্রতকে বার বার কটাক্ষ করেছেন। এদিন কামারহাটির বিধায়ক (Madan Mitra) বলেন, পঞ্চায়েতে দল যেখানে দায়িত্ব দেবে সেখানে যাব। গুড় বাতাসা খারাপ জিনিস নয়। গরমে গ্রামের মানুষকে এখনও গুড় বাতাসা দেওয়া হয়। তবে, পঞ্চায়েতে আমাদের যে সব কর্মীরা গরমের মধ্যে দলের হয়ে খাটবেন, তাদের জন্য গুড় বাতাসা নয়, মিনারেল ওয়াটার দেব। চিলড ওয়াটার দেব। আর অনুব্রত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জ্যান্ত বাঘের থেকে জখম বাঘ অনেক ভয়ানক। ওরা (পড়ুন বিজেপি) যদি মনে করে একজন অনুব্রতকে আটকে রাখলেই বাংলা ফাঁকা হয়ে যাবে তাহলে ওরা ভুল করছে। কারণ, রাজ্যে একটিই মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি তার ছায়ার সঙ্গে লড়াই করছে। আমাদের মতো লক্ষ লক্ষ কর্মী রয়েছে। ফলে, বিজেপি যে স্বপ্ন দেখছে তা সফল হবে না। আর অনুব্রত না থাকলেও পঞ্চায়েতে বীরভূমে তৃণমূল ভাল ফল করবে।

    সাগরদিঘিতে দলের ভরাডুবি নিয়ে তিনি (Madan Mitra) মুখ খোলেন। তিনি বলেন, সাগরদিঘিতে কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম জোট হয়েছিল। রাজ্যে একটি আসন নেই। মানুষের কাছে সহানুভূতি চেয়ে ভোট আদায় করেছে। কার ভোট কোথায় গিয়েছে তা রেজাল্টে তা প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে। ফলে, মানুষ সব বুঝে গিয়েছে। এসব জোট করে কোনও লাভ হবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fire: কাঁচরাপাড়ায় আগুনে ভস্মীভূত বেশ কয়েকটি দোকান,  ঘটনাস্থলে দমকলের ৪টি ইঞ্জিন, আতঙ্ক

    Fire: কাঁচরাপাড়ায় আগুনে ভস্মীভূত বেশ কয়েকটি দোকান, ঘটনাস্থলে দমকলের ৪টি ইঞ্জিন, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বুধবার ভোরে কাঁচরাপাড়া পুরসভার ভূতবাগান ঝিলপাড় নেতাজি নগর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে (Fire) বেশ কয়েকটি দোকান ভস্মীভূত হয়ে যায়। আগুনের(Fire)  তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে আশাপাশের দোকানগুলি পুড়ে যায়। আর বাজারে অধিকাংশ দোকানই কাঠের। দোকানগুলির মধ্যে প্রচুর কাঠ মজুত থাকায় আগুন (Fire) দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া বাজারের মধ্যে একটি গ্যারাজ ছিল। সেখানের একাধিক বাইক রাখা ছিল। সবই পুড়ে গিয়েছে। বাজার লাগোয়া একটি বাড়ি ছিল। দোকানের পাশাপাশি সেই বাড়ির সমস্ত আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।

    বাজারে  কী করে আগুন লাগল ? Fire

    ঝিলপাড় নেতাজি নগর বাজারে প্রথমে একটি কাঠের দোকানে আগুন (Fire) লাগে। দমকল আধিকারিকদের বক্তব্য, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন (Fire) লেগেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমনিতেই বাজারে রাতের দিকে কেউ থাকে না। বাজার লাগোয়া একটি বাড়ি ছিল। তাদের বিষয়টি নজরে আসে। তাঁরা ফোন করে ব্যবসায়ীদের খবর দেন। স্থানীয় লোকজনও নিজেদের উদ্যোগে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান।  কিন্তু, আগুনের লেলিহান শিখার তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে দ্রুত আগুন অন্য দোকানগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীকে। প্রথমে দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে কাজ শুরু করে। পরে, আরও তিনটি দমকলের ইঞ্জিন এসে এদিন দুপুর পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, দোকানে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমি ছুটে আসি। কিন্তু, ততক্ষণে আমার দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। নেতাজি নগর ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক প্রদীপ পালিত বলেন, সব মিলিয়ে ৯ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে একটি বাড়িও পুড়ে গিয়েছে। দমকল বাহিনী এসে আগুন (Fire) নিয়ন্ত্রণে এনেছে। প্রচুর টাকার ক্ষতি হয়ে গেল।

    এদিন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কাঁচরাপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান কমল অধিকারী। তিনি বলেন, আগুন (Fire) নিয়ন্ত্রণে আসার পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হবে। স্থানীয় বিধায়কের সঙ্গে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Agitation: তৃণমূলের পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ এলাকাবাসীর, কেন দেখে নিন?

    Agitation: তৃণমূলের পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ এলাকাবাসীর, কেন দেখে নিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ভাটপাড়া পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আর্য সমাজের ডাম্পিং গ্রাউন্ড। ডাঁই হয়ে জমে রয়েছে জঞ্জাল। কে বা কারা সেই জঞ্জালের স্তূপে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এমনিতেই জ়ঞ্জালের গন্ধে টেকা দায়। তারমধ্যে দোসর হচ্ছে ডাঁই হয়ে থাকা জঞ্জালের স্তূপে ধোঁয়া। গোটা এলাকায় দুর্গন্ধ যুক্ত ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। বাড়িতে বয়স্ক লোকজন থেকে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। সোমবার এলাকার মানুষ জঞ্জাল সরানোর দাবিতে রাস্তায় বেঞ্চ পেতে রাস্তা অবরোধে সামিল হন। তৃণমূল পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ( Agitation) উগরে দেন। আর এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এই পথ অবরোধের নেতৃত্ব দেন স্থানীয় কাউন্সিলর লালন চৌধুরী। পরিস্থিতি সামাল দিতে জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম যান। তাঁকে ঘিরে ধরে এলাকাবাসী নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দলীয় কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    তৃণমূল পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? Agitation

    ভাটপাড়ায় দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল পুরবোর্ডে ক্ষমতায় রয়েছে। আর এই পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আর্য সমাজ এলাকায় বহু বছর ধরে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে জঞ্জাল ফেলা হয় বলে অভিযোগ। জঞ্জালের ধোঁয়া আর ছাইয়ের কারণে শিশু থেকে বয়স্ক লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বহুবার তৃণমূল পুরবোর্ডে এই বিষয়ে দরবার করা হয়েছে। কিন্তু, বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ফলে, তৃণমূল পুর বোর্ডের বিরুদ্ধে ক্রমশ ক্ষোভ  দানা বাঁধতে শুরু করে। এদিন ফের ডাম্পিং গ্রাউন্ডে জঞ্জালের স্তূপে ধোঁয়ায় গোটা এলাকা ছেয়ে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা বাইরে বেরিয়ে আসেন। রাস্তা অবরোধ করে তাঁরা তৃণমূল পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ( Agitation) উগরে দেন। অবিলম্বে ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে জঞ্জাল সরানোর দাবিতে সরবও হন। স্থানীয় কাউন্সিলর লালন চৌধুরী বলেন,  এই জঞ্জাল এলাকাবাসীর কাছে মস্তবড় বোঝা। জঞ্জালের ধোঁয়ার কারণে বহু শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অনেকে বয়স্ক লোকজন ধোয়ার কারণে ঠিকমতো শ্বাস নিতে পারে না। ছয় মাসে আগে ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে জঞ্জাল সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুরবোর্ডের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। জগদ্দলের বিধায়ককে বিষয়টি বলা হয়েছিল। কিন্তু, কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। অগত্যা আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি। এই এলাকায় কোনওভাবে জঞ্জাল রাখা যাবে না।

    স্থানীয় কাউন্সিলারের সঙ্গে সহমত এলাকাবাসী। এদিন অবরোধে সামিল হয়ে বিক্ষোভকারীরা বলেন, পুরসভার কাছে আবেদন করে কোনও লাভ হয়নি। তাই, বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামতে হল। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যান জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। তাঁকে ঘিরে ধরে এলাকাবাসী বিক্ষোভে ( Agitation) ফেটে পড়েন। বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, ১২ বছর ধরে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে জঞ্জাল জমে। নতুন কিছু নয়। ধোঁয়ার জন্য এলাকাবাসীর কষ্ট হয়। শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। আগের তুলনায় জঞ্জাল অনেকটাই কমানো হয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এই জঞ্জালের স্তূপ আমরা সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে একী বললেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা?

    Anubrata Mondal: অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে একী বললেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে গিয়ে যদি কষ্ট দেওয়া হয়, বীরভূম জেলার বিজেপি কর্মীদের আমরা কষ্ট দেব। রবিবার বীরভূমের নানুরে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা এই মন্তব্য করেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাঁর এই হুমকি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    বিজেপি কর্মীদের ঠিক কী হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক? Anubrata Mondal

    সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। জেল থেকে ছাড়া না পেলে এবার প্রথম অনুব্রতহীন (Anubrata Mondal) পঞ্চায়েত ভোট হবে এই জেলায়। স্বাভাবিকভাবে এটা জেলা নেতৃত্বের কাছে মস্তবড় চ্যালেঞ্জ। এদিনের সভায় গদাধরবাবু বলেন, অনুব্রত মণ্ডলকে(Anubrata Mondal) নিয়ে গিয়ে এই জেলার সংগঠন শেষ করার যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তা হতে দেব না। জেলা কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখ সহ আমরা সকলে রয়েছি। সামনের পঞ্চায়েত এবং লোকসভা নির্বাচনে আমরা দেখিয়ে দেব, অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে ওরা যদি আঘাত করে, কষ্ট দেয় তাহলে এই জেলার বিজেপি কর্মীদের কষ্ট দেব। এই জেলায় বিজেপিকে কী করে শেষ করতে হয় সেটা দেখিয়ে দেব।

    কে এই গদাধর হাজরা?  একসময় গদাধর হাজরা নানুর বিধানসভার (২০১১-২০১৬) বিধায়ক ছিলেন। বিধায়ক থাকার সময় তিনি নানুরের দাপুটে নেতা কাজল শেখের সঙ্গ ছেড়ে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) অনুগামী হয়েছিলেন। ২০১৬ সালে দল তাঁকে টিকিট দিলেও তিনি জিততে পারেননি। বলা ভাল, তার বিরুদ্ধ গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত কাজল শেখ তাঁর জয়ের পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। নানুরে সেবার সিপিএম জয়ী হয়। পরবর্তী সময়ে তিনি গেরুয়া শিবিরে কিছুদিনের জন্য নাম লিখিয়েছিলেন। সেখানেও খুব বেশিদিন টিকতে না পেরে ফের তৃণমূলে ফিরে আসেন। একসময় জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি হয়ে গোটা বীরভূম চষে বেরিয়েছিলেন। এখন তৃণমূলে ফেরার পর তিনি কার্যত কোণঠাসা। তিনি এখন নানুর ব্লকের মাত্র দুটি অঞ্চলের সভাপতি।  জেলা কোর কমিটির নেতা কাজল শেখ, নানুরের বিধায়ক বিধানচন্দ্র মাঝি এবং নানুরের ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্যের হাতেই এলাকার রাশ রয়েছে। ফলে, জেলা তো দূরের কথা নানুরে খুব বেশি দাপট দেখাতে পারে না বলে দলের অন্দরেই এই নিয়ে চর্চা রয়েছে। এমনকী দলীয় মিটিংয়ে তাঁকে ডাকা হত না বলে দলীয় নেতাদের কাছে তিনি উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। এমনকী কিছুদিন আগে সংবাদ মাধ্যমের সামনে সেকথা বলতে গিয়ে গদাধরবাবু বলেছিলেন, নানুরের ব্লক সভাপতি গ্রুপবাজি করছে। আমাকে মিটিংয়ে না ডাকলে কেন যাব? তাঁর বক্তব্যেই পরিষ্কার নানুরে তৃণমূল আড়াআড়িভাবে বিভক্ত। যদিও রবিবার নানুরের সভায় এক মঞ্চে দলীয় বিধায়ক, ব্লক সভাপতির সঙ্গে গদাধরবাবুকে এক আসনে বসতে দেখা গিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাঁর এই হুমকি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)   নামকে সামনে রেখে বিজেপি কর্মীদের হুমকি দিয়ে দলীয় কর্মীদের কাছে আগের মতো তিনি প্রাসঙ্গিক হতে চাইছেন বলে রাজনৈতিক মহল করছেন।

    তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের মন্তব্যকে কোনওভাবে আমল দিতে নারাজ বিজেপির বীরভূম জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা। তিনি বলেন, পাঁচিলের উপরে বসেঅনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে গিয়ে যদি কষ্ট দেওয়া হয়, বীরভূম জেলার বিজেপি কর্মীদের আমরা কষ্ট দেব। রবিবার বীরভূমের নানুরে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা এই মন্তব্য করেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাঁর এই হুমকি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। ওরা এখন জল মাপছে। মানুষ আর ওদের কথা বিশ্বাস করবে না। আর ওই নেতা নিজেই দলে কোণঠাসা রয়েছেন। বিজেপি কর্মীদের হুমকি দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বাজার গরম করার চেষ্টা করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Tapas Roy: তৃণমূল ছাড়লেন তাপস রায়, ইস্তফা বিধায়ক পদেও, ওগরালেন একরাশ ক্ষোভ

    Tapas Roy: তৃণমূল ছাড়লেন তাপস রায়, ইস্তফা বিধায়ক পদেও, ওগরালেন একরাশ ক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সঙ্গে ২৩ বছরের সম্পর্কে ইতি টানলেন বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় (Tapas Roy)। ছাড়লেন বিধায়ক পদও। সোমবার বিধানসভায় পৌঁছে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দিলেন ইস্তফাপত্র। দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তাপস। বলেন, “৫২ দিন হয়ে গেল। ইডি অভিযানে বিধ্বস্ত আমি ও আমার পরিবার। ভেবেছিলাম, মুখ্যমন্ত্রী পাশে দাঁড়াবেন। অন্য কারও বাড়িতে গেলে বলেন ইডি কৌটো নাড়াল। আমারও স্ত্রী-পুত্র রয়েছে। এগুলো হৃদয়কে নাড়াচাড়া করে।” তাপস বলেন, “বিধানসভায় মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শেখ শাহজাহানকে ইডি টার্গেট করেছে বললেন, অথচ আমার বাড়িতে ইডির হানার কথা উল্লেখই করলেন না। আমি আহত, আঘাতপ্রাপ্ত।”

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তাপসের

    পোড়খাওয়া এই রাজনীতিবিদ (Tapas Roy) বলেন, “কেউ আমাকে বা আমার পরিবারকে ফোন করেনি। এর পেছনে আমার দলের কেউ কেউ রয়েছে। আজ কুণাল ঘোষ আমায় বোঝাতে এসেছিল। ও আমার সামনে শোকজ হয়েছিল।” তিনি বলেন, “যাঁদের শোকজ বা সাসেপেন্ড হওয়ার কথা, তারা বহাল তবিয়তে রয়েছে।” তাপস বলেন, “বাহান্ন দিন আমি মুখ্যমন্ত্রীর ডাক পাইনি। আমার স্ত্রী, কন্যাও ডাক পায়নি। উনি সকলের পাশে দাঁড়িয়ে যান। আমিও আশা করেছিলাম, ক্রিয়েটেড ইডি রেইডের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাবেন। কিন্তু তা হয়নি।”

    আরও পড়ুন: রাজ্য পুলিশের কথায় যেন বিশ্বাস না করা হয়, কমিশনের কাছে দাবি বিজেপির

    ব্যর্থ চেষ্টা, হাতছাড়া তাপস

    তাপসকে দলে ধরে রাখতে চেষ্টার কম কসুর করেনি তৃণমূল। এদিন সাতসকালে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন বরানগর পুরসভার কাউন্সিলররা। তাঁদের সঙ্গে দলের তরফে ছিলেন কুণাল ঘোষ ও ব্রাত্য বসু। ঘণ্টাখানেক ধরে বোঝানো হলেও, তৃণমূল ছাড়ার সিদ্ধান্ত থেকে এক চুলও সরেননি ঘাসফুল শিবিরের এই প্রাক্তন সেনানী। এক সময় কংগ্রেস করতেন তাপস (Tapas Roy)। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস ভেঙে যখন তণমূল কংগ্রেস তৈরি করলেন, তখন যাঁরা মমতার সঙ্গে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন তাপসও। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইদানিং তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছিল তাপসের। উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতির পদ থেকে তাপসকে সরিয়ে দিতেই হতাশ হন তাঁর অনুগামীরা। বাড়িতে ইডি কর্তারা হানা দিলে সরাসরি আক্রমণ করে বসেন তৃণমূল নেতা তথা সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বলেন, “আমার বাড়িতে ইডি আসার পিছনে হাত রয়েছে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের।” এরপর অবশ্য চুপচাপই হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। শেষমেশ এদিন ছাড়লেন তৃণমূল-সঙ্গ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share