Tag: model

model

  • FATF: ভারতের সম্পদ পুনরুদ্ধার ব্যবস্থার ব্যাপক প্রশংসা এফএটিএফের, জেনে নিন কী বলল

    FATF: ভারতের সম্পদ পুনরুদ্ধার ব্যবস্থার ব্যাপক প্রশংসা এফএটিএফের, জেনে নিন কী বলল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের সম্পদ পুনরুদ্ধার ব্যবস্থার ব্যাপক প্রশংসা করল ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স, সংক্ষেপে এফএটিএফ (FATF)। বৈশ্বিক জঙ্গি অর্থায়ন পর্যবেক্ষণকারী এই সংস্থা একটি মডেল সংস্থা হিসেবে উল্লেখ করেছে ইডিকে (ED Model)। নয়া প্রকাশিত রিপোর্ট “অ্যাসেট রিকভারি গাইডেন্স অ্যান্ড বেস্ট প্র্যাকটিসেসে” এফএটিএফ উল্লেখ করেছে যে, অপরাধ ও মানি লন্ডারিং–সংক্রান্ত সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও ব্যবস্থাপনার জন্য শক্তিশালী আইনি ও কার্যনির্বাহী ব্যবস্থা বাস্তবায়নকারী দেশগুলির মধ্যে ভারত অন্যতম। ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে ভারত দণ্ডাদেশ-ভিত্তিক এবং অদণ্ডাদেশ-ভিত্তিক উভয় ধরনের সম্পত্তিই বাজেয়াপ্ত করার আইন সক্রিয়ভাবে প্রয়োগ করছে। পরস্পর আইনি সহায়তা চুক্তির আওতায় পরিচালিত মামলাগুলিতে বিদেশি সংস্থাগুলির সঙ্গে সমন্বয়ের কৃতিত্বও দেওয়া হয়েছে ইডিকে।

    এফএটিএফের বক্তব্য (FATF)

    সন্ত্রাসবিরোধী পর্যবেক্ষণ এই সংস্থা জানিয়েছে, ইডির সম্পদ পুনরুদ্ধার কৌশল একটি পরিণত, সুসম্পদসমৃদ্ধ এবং প্রযুক্তিনির্ভর পদ্ধতির প্রতিফলন। এটি আর্থিক তদন্তে সংশোধিত এফএটিএফ মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ,যেখানে সম্পদ পুনরুদ্ধারকে জাতীয় নীতি-অগ্রাধিকার হিসেবে গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের (PMLA) আওতায় ভারতের আইনগত কাঠামোরও প্রশংসা করেছে ওই সংস্থা। এটি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগে অপরাধ থেকে অর্জিত সম্পদের দ্রুত বাজেয়াপ্ত, আটক এবং বাজেয়াপ্ত করার সুযোগ দেয়। রিপোর্টে ভারতের বিভিন্ন সংস্থার কার্যকর আন্তঃ-সংস্থা সমন্বয়ের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, সিবিআই এবং ইডি এবং এটিকে এমন একটি মডেল হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে, যা আর্থিক কেলেঙ্কারির মোকাবিলায় গোয়েন্দা তথ্য, আইনশৃঙ্খলা প্রয়োগ এবং বিচারপ্রক্রিয়াকে একত্রিত করতে আগ্রহী অন্যান্য দেশের কাছে উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে (FATF)।

    অ্যাসেট রিকভারি ব্যবস্থার প্রমাণ

    এফএটিএফ ভারতের আন্তর্জাতিক সহযোগিতার রেকর্ড, বিশেষত বিদেশি বিচারব্যবস্থা থেকে সফলভাবে সম্পদ প্রত্যর্পণের ঘটনাগুলিকে ভারতের ক্রমবিকশিত অ্যাসেট রিকভারি ব্যবস্থার প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করেছে (ED Model)। রিপোর্টে বলা হয়েছে, “ভারতের কর্মদক্ষতা, বিশেষত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED)-এর মাধ্যমে, দেখায় যে কীভাবে ধারাবাহিক নীতি, আইনি ক্ষমতায়ন এবং প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয় অপরাধীদের অবৈধ সম্পদ থেকে বঞ্চিত করতে প্রকৃত ফল এনে দিতে পারে।”

    উপসংহার

    এ সব উদাহরণের সাহায্যে এফএটিএফ বলেছে যে ভারতের সম্পদ পুনরুদ্ধার কাঠামো একটি উচ্চমানের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা প্রতিফলিত করে, যা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও স্বচ্ছতাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়। এতে স্বীকার করা হয়েছে যে ইডি আর্থিক গোয়েন্দা তথ্যকে তদন্ত, আইন প্রয়োগ এবং বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে একীভূত করেছে। তার ফলেই অপরাধীদের সম্পদ দ্রুত বাজেয়াপ্ত করা যাচ্ছে। নিষ্পত্তি করা সম্ভব হচ্ছে বিভিন্ন বিবাদের (FATF)। এফএটিএফের ওই প্রতিবেদনের উপসংহার হল (ED Model), ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি তাদের নতুন ২০২৩–২৪ সম্পদ পুনরুদ্ধার মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেখানে প্রাথমিক পর্যায়ে আর্থিক তদন্ত, সংস্থাগুলির পারস্পরিক সহযোগিতা এবং পুনরুদ্ধার করা সম্পদ জনস্বার্থে ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এটি অন্য সদস্য দেশগুলিকে ভারতের ভিক্টিম ফোকাসড রিকভারি মডেল অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে।

    বিনিয়োগ জালিয়াতির ঘটনা

    রিপোর্টে আরও বেশ কয়েকটি ভারতীয় কেস স্টাডি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যেখানে দেখানো হয়েছে কীভাবে ইডি বিরাট পরিসরে সম্পদ পুনরুদ্ধার করেছে, যা হাজার হাজার ভুক্তভোগীর উপকারে এসেছে। উদাহরণে এফএটিএফ এমন এক বিনিয়োগ জালিয়াতির ঘটনা বর্ণনা করেছে, যেখানে একটি ভারতীয় কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের জমির প্লট বা উচ্চ মুনাফার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রলুব্ধ করেছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি সংগৃহীত অর্থ বিদ্যুৎ ও খনি-সহ অন্যান্য খাতে সরিয়ে নেয়। তদন্ত চলাকালীন ইডি ৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ সংযুক্ত করে। ওই একই সময়ে সিআইডিও সমান্তরালভাবে সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছিল (FATF)।

    শেল কোম্পানিতে পাচার

    অন্য একটি ঘটনায় এফএটিএফ একটি প্রতারণাকারী কোম্পানির কথা জানিয়েছে, যারা অবৈধভাবে সিকিওরড ডিবেঞ্চারের মাধ্যমে জনগণের কাছ থেকে প্রচুর অর্থ তুলেছিল এবং সেই টাকা একাধিক শেল কোম্পানিতে পাচার করেছিল। প্রতারণার মাধ্যমে অর্জিত ওই সম্পদ প্রাথমিকভাবে অ্যাটাচ করে ইডি। এরপর হাইকোর্ট ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণের জন্য একটি অ্যাসেট ডিসপোজাল কমিটি (ADC) গঠন করে। ইডির অনুরোধে আদালত ৫৩৮ কোটি টাকার অ্যাটাচড অ্যাসেটস মুক্তির অনুমতি দেয়, যাতে ৭৫ হাজারেরও বেশি বিনিয়োগকারী ক্ষতিপূরণ পান। তাঁরা কোনও আইনি খরচ ছাড়াই অনলাইনে দাবি জানিয়েছিলেন (ED Model)।

    হিসেব–নিকেশে কারচুপি

    আর একটি উদাহরণে এফএটিএফ একটি সমবায় ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনার কথা তুলে ধরে। এখানে আধিকারিক ও অডিটররা আঁতাত করে হিসেব–নিকেশে কারচুপি করেছিলেন। বেনামে অ্যাকাউন্ট খুলে আত্মসাৎ করেন বিনিয়োগকারীদের কষ্টার্জিত সঞ্চয়। জানা গিয়েছে, ইডি ২৯০ কোটি টাকার বেনামি সম্পদ অ্যাটাচ করে এবং ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণের জন্য সেগুলি মহারাষ্ট্র ডিপোজিটরদের স্বার্থরক্ষা সংস্থাকে হস্তান্তর করে (FATF)। এফএটিএফ জানিয়েছে, এই মামলায় বাজেয়াপ্ত করা জমিটি পরবর্তীকালে একটি নয়া বিমানবন্দর গড়তে ব্যবহার করা হয়। এটি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, কীভাবে পুনরুদ্ধার করা সম্পদ সরাসরি সমাজের কল্যাণে ব্যবহার করা যেতে পারে।

  • Terrorists Arrested: ভারতব্যাপী জঙ্গি মডিউলের পর্দা ফাঁস, দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার ৫

    Terrorists Arrested: ভারতব্যাপী জঙ্গি মডিউলের পর্দা ফাঁস, দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্যান-ইন্ডিয়া বা দেশব্যাপী একটি জঙ্গি মডিউলের পর্দা ফাঁস (Terrorists Arrested) করল দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। অভিযোগ, পাকিস্তান-ভিত্তিক (Khilafat Model) হ্যান্ডলারের নির্দেশে পরিচালিত হচ্ছিল এই মডিউল। লক্ষ্য ভারতে খিলাফত শৈলীর শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। এই অভিযোগে দেশের চার রাজ্য থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মোট পাঁচজনকে। এরা হল আশহার দানিশ, সুফিয়ান আবুবকর খান, আফতাব আনসারি, হুজাইফা ইয়ামান এবং কামরান কুরেশি।

    খিলাফত-শৈলীর গ্রুপ গঠনের পরিকল্পনা (Terrorists Arrested)

    অতিরিক্ত কমিশনার (স্পেশাল সেল) প্রমোদ কুশওয়াহা জানান, এই গোষ্ঠী একটি দুই পর্বের পরিকল্পনা করেছিল। প্রথমত, ‘লস্কর’ নামে একটি খিলাফত-শৈলীর সংগঠন গঠন করা, এবং পরবর্তী কালে ইসলামের বিকৃত ব্যাখ্যার ওপর ভিত্তি করে ‘গাজওয়া-এ-হিন্দ’-এর অনুপ্রেরণায় ভারতে জিহাদ শুরু করা। তিনি বলেন, “তারা প্রথম ধাপে নিজেদের খিলাফত-শৈলীর একটি গ্রুপ গঠনের পরিকল্পনা করছিল। এরপর তারা গাজওয়া-এ-হিন্দ ধারণা অনুসরণ করে জিহাদ চালিয়ে যেতে চেয়েছিল, যার মধ্যে লক্ষ্যভিত্তিক হত্যাকাণ্ডও অন্তর্ভুক্ত।” পুলিশ অভিযুক্তদের কাছ থেকে সন্দেহজনক ও বিপজ্জনক পদার্থ বাজেয়াপ্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে গন্ধক গুঁড়ো, গন্ধক অ্যাসিড, নাইট্রিক অ্যাসিড, সোডিয়াম বাইকার্বোনেট, পিএইচ লেভেল চেকার, বল বিয়ারিংস এবং ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) তৈরি করতে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপাদান। এর পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে তার, মাদারবোর্ড, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজও।

    ১১ জন আটক

    জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোট ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। যদিও গ্রেফতার করা হয়েছে পাঁচজনকে। পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ছিল আশহার দানিশ। সে রাঁচির বাসিন্দা। সে নিজেকে একজন পেশাদার কোম্পানি পরিচালনা করা ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিত। জনসমক্ষে সে নিজেকে ‘সিইও’ হিসেবেও পরিচয় দিত। তবে ঘনিষ্ঠ মহলে সে পরিচিত ছিল ‘গাজওয়া নেতা’ নামে। এই গোষ্ঠী একটি এনজিও পরিচালনার অছিলায় জমি অধিগ্রহণের চেষ্টা করছিল। কুশওয়াহা বলেন, “এরা অত্যন্ত উগ্রপন্থী ব্যক্তি যারা একটি ঘনিষ্ঠ অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীর মাধ্যমে কাজ করত।”  সূত্রের খবর (Khilafat Model), রাঁচি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে আশহার দানিশকে। সুফিয়ান আবুবকর খান এবং আফতাব আনসারিকে ধরা হয়েছে দিল্লি থেকে। তেলঙ্গানার নিয়াজাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয় হুজাইফা ইয়ামানকে। আর মধ্যপ্রদেশের রাজগড় থেকে পাকড়াও করা হয়েছে কামরান কুরেশিকে (Terrorists Arrested)।

    ইম্প্রোভাইজড বিস্ফোরক ডিভাইস

    দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা ইম্প্রোভাইজড বিস্ফোরক ডিভাইস তৈরি মায় কার্তুজ তৈরির প্রশিক্ষণও নিয়েছে। তদন্তকারীরা সন্দেহভাজনদের কাছ থেকে কিছু ‘অপরাধমূলক ছবি’-ও উদ্ধার করেছে। পুলিশের মতে, দলটি স্বীকার করেছে যে তাদের হ্যান্ডলার অনলাইনে আইইডি তৈরির নির্দেশ দিচ্ছিল এবং বোমা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন রাসায়নিক এবং উপাদান সংগ্রহের নির্দেশও দিয়েছিল (Terrorists Arrested)। কুশওয়াহা বলেন, “এটি একটি দেশীয় অভিযান ছিল।” ধৃতদের স্বাধীনভাবে অস্ত্র সংগ্রহ এবং আইইডি তৈরির নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল (Khilafat Model)। দেওয়া হয়েছিল কার্তুজ তৈরির নির্দেশও। তাদের কাছ থেকে কিছু সন্দেহজনক স্কেচও উদ্ধার করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ সাম্প্রদায়িক প্রচার, ধর্মীয় বৈষম্য উস্কে দেওয়া এবং অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছে ধৃতদের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় বিভিন্ন সংস্থা ধৃতদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা ডিজিটাল ডিভাইসগুলি বিশ্লেষণ করছে। জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক শনাক্ত করতে এবং সম্ভাব্য আন্তর্জাতিক যোগসূত্র খুঁজে বের করতেই বিশ্লেষণ করা হচ্ছে উদ্ধার হওয়া ডিজিটাল ডিভাইসগুলি (Terrorists Arrested)। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের গ্রেফতারের ফলে দেশে একটি বড়সড় জঙ্গি হামলা ঠেকানো সম্ভব হয়েছে।

    আইইডি এবং অন্যান্য বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার

    তদন্তকারীরা জেনেছেন, ধৃতেরা পরস্পরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত। দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানা থেকে যে তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের কাছ থেকে আইইডি এবং অন্যান্য বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই দলটিকে পরিচালনা করছিল দানিশ। পাকিস্তানের হ্যান্ডলাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাঁর। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত তারা। ভারতে যুব সম্প্রদায়ের মগজধোলাই করে জঙ্গি কার্যকলাপে উদ্বুদ্ধ করার কাজ করত ধৃতেরা। শুধু তা-ই নয়, জঙ্গি দলে নিয়োগের দায়িত্বও ছিল ধৃতদের ওপর। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ এও জেনেছে, দিল্লি এবং এনসিআর-সহ দেশের নানা জায়গায় নাশকতার ছক কষা হয়েছিল (Terrorists Arrested)। পুলিশের অনুমান, ধৃতেরা আল কায়দা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট মডিউলের সঙ্গে জড়িত (Khilafat Model)।

  • Yogi Model: পাক সংসদে ‘যোগী মডেলে’র প্রশস্তি, ইসলামাবাদের হল টা কী?

    Yogi Model: পাক সংসদে ‘যোগী মডেলে’র প্রশস্তি, ইসলামাবাদের হল টা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) সংসদে শোনা গেল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির যোগী আদিত্যনাথের মডেলের (Yogi Model) প্রশস্তি! শুনতে অবাক লাগলেও, এটাই সত্যি। যোগীর নেতৃত্বাধীন উত্তরপ্রদেশ সরকারের প্রশংসা করে পাকিস্তানের এক সাংসদের একটি ভিডিও ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ফুটেজটিতে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানের সংসদ ‘জাতীয় পরিষদে’ ভাষণ দিচ্ছেন এক সাংসদ। তিনি পাকিস্তানের ফেডারেল পরিসংখ্যানের সঙ্গে রাজ্যের (উত্তরপ্রদেশের) বাজেট এবং কর রাজস্বের তুলনা করেছেন। উভয়ের মধ্যে আর্থিক ব্যবধানও তুলে ধরেছেন। পাক সাংসদের এই ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হতেই ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয় দুই দেশেই।

    পাক সাংসদের বক্তব্য (Yogi Model)

    পাকিস্তানের ওই সাংসদ সরকারি পরিসংখ্যান ব্যবহার করে দেখিয়েছেন, ভারতের একটি অঙ্গ রাজ্য উত্তরপ্রদেশ বাজেটের আকার এবং রাজস্ব সংগ্রহের দিক থেকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। ভারতের সোশ্যাল মিডিয়া ইউজাররা ভিডিও ক্লিপটি প্রচার করেছেন। তাঁদের মতে, এটি মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথের আর্থিক পদ্ধতির জনসমক্ষে সমর্থন বলে অভিহিত করেছেন। আর পাকিস্তানে এই বিবৃতিটি ফেডারেল সম্পদ কীভাবে বরাদ্দ করা হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ভাইরাল হওয়া ক্লিপে ওই সাংসদ বলেন, “পাকিস্তানের মোট বাজেট ৬২ বিলিয়ন ডলার, অথচ উত্তরপ্রদেশের বাজেট ৯৭ বিলিয়ন ডলার।”

    ‘যোগী মডেলে’র বিরল সমর্থন

    তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তানের মোট কর রাজস্ব ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, অথচ উত্তরপ্রদেশের কর রাজস্ব ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।” সাংসদ মনে করিয়ে দেন, পাকিস্তানের কর রাজস্ব উত্তরপ্রদেশের চেয়ে ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কম। ভারতের অনেক সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার একে ‘যোগী মডেলে’র (Yogi Model) এক বিরল সমর্থন হিসেবে দেখছেন। এই শব্দটি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের শাসনশৈলীকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।

    প্রসঙ্গত, এই ক্লিপটি পাকিস্তান কীভাবে তার রাজস্ব পরিচালনা করে এবং সম্পদ বণ্টন করে, তা নিয়ে আলোচনায় নয়া মাত্রা যোগ করেছে। পাক সংসদে বর্তমানে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেট নিয়ে বিতর্ক চলছে (Pakistan)। ভাইরাল মন্তব্যগুলি সেই আলোচনায় নয়া দিক উন্মোচন করেছে (Yogi Model)।

LinkedIn
Share