Tag: Modi Government

Modi Government

  • India Taliban Officials Meet: আফগান ভূমে পাক হামলার নিন্দার পরেই আলোচনার টেবিলে নয়াদিল্লি-কাবুল

    India Taliban Officials Meet: আফগান ভূমে পাক হামলার নিন্দার পরেই আলোচনার টেবিলে নয়াদিল্লি-কাবুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানে এয়ারস্ট্রাইক চালিয়েছে পাকিস্তান। তার জেরে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের। এই সুযোগটাকেই সুন্দরভাবে কাজে লাগিয়ে দিল মোদি সরকার (Modi Government)। বুধবার দুবাইয়ে আলোচনার টেবিলে বসলেন ভারত ও আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসনের প্রতিনিধিরা (India Taliban Officials Meet)। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের সচিব বিক্রিম মিস্রির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির। উপস্থিত ছিলেন দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক মন্ত্রী ও সরকারি আধিকারিক।

    আলোচনার টেবিলে ভারত-আফগানিস্তান (India Taliban Officials Meet)

    ২০২১ সালে তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা পুনর্দখলের পরে এই প্রথমবার বিদেশের মাটিতে প্রতিনিধি পর্যায়ের এমন বৈঠক হল। এই বৈঠকের ঠিক দু’সপ্তাহ আগেই আফগানিস্তানের মাটিতে হামলা চালায় পাক বায়ুসেনা। এই হামলার দু’সপ্তাহের মাথায় কাছাকাছি এল ভারত ও আফগানিস্তান। সাউথ ব্লকের তরফে জানানো হয়েছে, এই বৈঠকে (India Taliban Officials Meet) আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে ইরানের চাবাহার বন্দর (Chabahar Port) থেকে পণ্য চলাচল পরিবহণ ও ক্রিকেট সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

    ট্র্যাক-টু কূটনীতি

    প্রসঙ্গত, গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করলেও, এখনও রাষ্ট্রসংঘের স্বীকৃতি পায়নি আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। ভারত-সহ বিশ্বের সিংহভাগ দেশের সঙ্গেই তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। মোদি সরকারও (Modi Government) তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি (India Taliban Officials Meet)। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে নয়াদিল্লি-কাবুল কূটনৈতিক সম্পর্কও নেই। এহেন আবহে মোদি সরকার ট্র্যাক-টু কূটনীতির মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছে আফগানিস্তানের শাসকদের সঙ্গে। বিপদের সময় পাশে থাকায় ভারত সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন আফগানিস্তানের মন্ত্রী। দুই দেশই ভারত ও আফগানিস্তানের জনগণের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের ওপর জোর দেন।

    আরও পড়ুন: তিরুপতি মন্দিরে হুড়োহুড়ি, পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ৬, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    ভারত-আফগানিস্তান কাছাকাছি চলে আসায় প্রমাদ গুণছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ভারত ও আফগানিস্তানকে আলোচনার টেবিলে বসিয়ে (India Taliban Officials Meet) পাকিস্তানকে আরও একবার মাত দিল নরেন্দ্র মোদির সরকার (Modi Government)। এর আগে আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পের সময় ‘মানবিক সাহায্য’ পাঠিয়েছিল ভারত। এদিনের বৈঠকে সেজন্য নয়াদিল্লির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তালিবান প্রশাসনের মন্ত্রী। ২৫ ডিসেম্বর ভোরে আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে হামলা চালায় পাক বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান। মৃত্যু হয়েছিল মহিলা, শিশু-সহ ৪৬ জন সাধারণ মানুষের। সোমবারই ওই হামলার নিন্দা করে বিবৃতি দিয়েছিল ভারত। তার ঠিক দু’দিনের মধ্যেই আলোচনার টেবিলে বসে গেল নয়াদিল্লি ও কাবুল (India Taliban Officials Meet)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Modi Government: নতুন বছরে বড় ঘোষণা মোদি সরকারের, কৃষকদের জন্য ৬৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ কেন্দ্রের

    Modi Government: নতুন বছরে বড় ঘোষণা মোদি সরকারের, কৃষকদের জন্য ৬৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরে কৃষকদের জন্য বড় উপহার দিল মোদি সরকার (Modi Government)। এদিন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রথম ক্যাবিনেট বা মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। সেখান থেকেই কৃষকদের জন্য একগুচ্ছ ঘোষণা করা হল। কৃষকদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার তাদের ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প ‘ফসল বিমা যোজনা’ (PM Fasal Bima Yojna) স্কিমকে আরও এক বছরের জন্য বর্ধিত করল। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের জন্যও এই স্কিম চালু থাকবে কৃষকদের জন্য। শুধু তাই নয়, এই স্কিমে (PM Fasal Bima Yojana) এবার ৬৯,৫১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র।

    কৃষকদের জন্য নতুন বছরের উপহার

    ক্যাবিনেট কমিটি অন ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্সের একটি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi Government) নেতৃত্বে বুধবার কৃষকদের জন্য নানা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়াও মন্ত্রিসভার বৈঠকে (Crop Insurance) আরও অতিরিক্ত ৮২৪ কোটি টাকার ফান্ড বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র, যাতে কৃষিক্ষেত্রে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করা যায়। নিজের এক্স হ্যান্ডলে এদিন একটি পোস্ট শেয়ার করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লেখেন, ‘আমাদের সরকার কৃষকদের কথা চিন্তা করে নানারকম উদ্যোগ নিয়ে থাকে। আমরা আমাদের দেশের সমস্ত কৃষক ভাই-বোনেদের জন্য গর্বিত যাঁরা দেশের প্রতিটি নাগরিকের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছেন। ২০২৫-এর প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক সেই কৃষকদের সমৃদ্ধির জন্যই উৎসর্গ করা হল। আমি খুশি যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত সেখানে নেওয়া হয়েছে’।

    মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত

    এদিনের মন্ত্রিসভার (Modi Government) বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের জন্য কৃষকদের সুবিধার্থে ফসল বিমা যোজনায় (PM Fasal Bima Yojna) আরও ৬৯,৫১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ফসল নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচতে কৃষকদের সাহায্য করবে এই বিমা। এই স্কিমের প্রয়োগের জন্য বড় মাপের প্রযুক্তিগত উপাদানের প্রয়োজন হয়, যার জন্য বরাদ্দ ফান্ডের নাম দেওয়া হয়েছে ফান্ড ফর ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজি। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৯টি রাজ্যে এই প্রযুক্তি অবলম্বন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অসম, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, তামিলনাড়ু, কর্নাটক ইত্যাদি।

    সারের দাম নিয়ন্ত্রণ

    কেন্দ্রের (Modi Government) তরফে জানানো হয়েছে, কৃষকদের কাছে যাতে সস্তায় রাসায়নিক সার বা ডি-অ্যামোনিয়াম ফসফেটের (De-ammonium phosphate) এর যোগান থাকে, তা নিশ্চিত করতে নতুন করে ৩৮৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। এছাড়া ডিএপি সারের দামও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ৫০ কেজির বস্তার দাম পড়বে ১৩৫০ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে রাসায়নিক সারের দাম আকাশছোঁয়া। খোলা বাজারে রাসায়নিক সারের (DAP) ৫০ কেজি বস্তার দাম ৩০০০ টাকারও বেশি। কৃষকদের সহযোগিতা করার জন‍্যই এই সারের দাম বেঁধে দেওয়া হল। অতিরিক্ত টাকা ভর্তুকি হিসেবে বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Modi Government: মহিলা ক্ষমতায়নে নয়া প্রকল্প মোদি সরকারের, ৩৮০০ কিশোরীকে দেওয়া হবে বিশেষ প্রশিক্ষণ

    Modi Government: মহিলা ক্ষমতায়নে নয়া প্রকল্প মোদি সরকারের, ৩৮০০ কিশোরীকে দেওয়া হবে বিশেষ প্রশিক্ষণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারী ক্ষমতায়নের (Woman Empowerment) বিশেষ বার্তা দিতে চলেছে তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসা মোদি সরকার (Modi Government)। মহিলা ক্ষমতায়নের উপর বিশেষ জোর দিতে গোটা দেশে নানা প্রকল্প আনা হয়েছে। এবার মহিলাদের মধ্যে স্বনির্ভরতার হার বাড়াতে ‘ডোর টু ডোর পাইলট প্রজেক্ট’ আনছে কেন্দ্র। ইচ্ছুক কিশোরীদের দক্ষতা অর্জনের সুযোগ দিতে চলেছে মোদি সরকার (Modi Government)। দেশের অর্থনীতিতে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। মহিলাদের শ্রমশক্তির হার বাড়ানোই কেন্দ্রের লক্ষ্য।

    নারী কল্যাণে সরকারের নয়া উদ্যোগ

    এর আগেও একাধিকবার মোদি সরকার (Modi Government) নারী সুরক্ষা, নারী অগ্রাধিকার কর্মসূচির উপর জোর দিয়েছে। পুরুষদের সঙ্গে একই সারিতে নারীদেরও এগিয়ে রাখতে একাধিক জাতীয় কর্মসূচির পাশাপাশি বহু সামাজিক প্রকল্প আনা হয়েছে। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে আনা হয়েছে নয়া আইনও। নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত মহিলাদের প্রচারের মুখ হিসেবে তুলে ধরেছে কেন্দ্র। এবার দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা মন্ত্রক (MSDE) এবং নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রক (MWCD) একসঙ্গে একটি পাইলট প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছে।  ১৯টি রাজ্যের ২৭টি জেলায় ৩৮০০ কিশোরীকে প্রাথমিক ভাবে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। এই মেয়েরা আইটি, হসপিটালিটি, এবং গ্রিন জবস-সহ অপ্রচলিত সেক্টরে কাজের দক্ষতা অর্জন করবে (Modi Government)।

    আরও পড়ুন: পাহাড়কেও হার মানাচ্ছে পুরুলিয়া! নতুন বছরে শীতের এই আমেজ চলবে কতদিন?

    প্রকল্পের খুঁটিনাটি

    প্রতিভাসম্পন্ন মেয়েদের উৎসাহিত করতে সরকারের (Modi Government) তরফে নানা ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণরত কিশোরীদের জন্য থাকা-খাওয়ার খরচ বহন করবে সরকার। যাতায়াত ভাতা, চাকরির পর একটি স্টাইপেন্ডের ব্যবস্থাও করা হবে। এই প্রকল্পে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মেয়েদের স্বাস্থ্যের যত্ন, সুস্থতা এবং কেরিয়ার সম্পর্কেও পরামর্শ দেওয়া হবে। নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের (Modi Government) তরফে প্রতিটি জেলায় কিশোরীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এই প্রকল্পে নির্বাচিত চাকরির মধ্যে রয়েছে নন-ক্লিনিক্যাল কেয়ারটেকার, প্লে স্কুল ফ্যাসিলিটেটর, সহকারী ক্রেশ কেয়ারটেকার, এবং কেয়ার হোম সুপারভাইজার। প্রতিটি কাজের জন্য ৩২ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের এক আধিকারিকের কথায়, “এই প্রকল্পের লক্ষ্য মহিলাদের ক্ষমতায়ন (Woman Empowerment), মহিলা শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা।” প্রাথমিক পর্যায়ে এই প্রকল্প সফল হলে এটি আরও জেলা ও রাজ্যে সম্প্রসারিত করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • NCRTC: আপনি কি রিল বানান? নমো ভারত ট্রেনে বানিয়ে জিততে পারেন দেড় লক্ষ টাকা পুরস্কার!

    NCRTC: আপনি কি রিল বানান? নমো ভারত ট্রেনে বানিয়ে জিততে পারেন দেড় লক্ষ টাকা পুরস্কার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামাজিক মাধ্যমে রিল তৈরি করা অনেকেরই নেশা। কেউ কেউ আবার আয়ের খোঁজেও কাজ করছেন। ঘরে-বাইরে, রাস্তায়, প্রকৃতি, ট্রেন-বাস ইত্যাদি জায়গায় ব্যাপকভাবে রিল বানান এক শ্রেণির যুবক-যুবতীরা। কখনও কথন আবার কখনও অভিনয়-নাচে আকর্ষণ করেন সামজিক মাধ্যমের দর্শকদের। আবার পথ চলতি মানুষ বিরক্তও হন। এবার এই রিলকে লাভজনক ব্যবসা করতে কেন্দ্রের মোদি সরকার (Modi Government) বিশেষ ভাবনা নিয়ে এসেছে। জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন বা এনসিআরটিসি (NCRTC) এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এই প্রতিযোগিতার নাম, ‘নমো ভারত শর্ট ফিল্ম মেকিং কম্পিটিশন’।

    প্রতিযোগিতার শর্ত কী (NCRTC)?

    এই প্রতিযোগিতায় (NCRTC) অংশগ্রহণকারীদের একটি শর্ট ফিল্ম বা রিল তৈরি করতে হবে। তবে শর্ত একটাই ওই শর্ট ফিল্ম বা রিল অত্যাধুনিক নমো ভারত ট্রেন এবং আরআরটিএস বা রিজিওনাল র‌্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেম স্টেশন থাকতে হবে। কলেজ ছাত্র থেকে চলচ্চিত্র বা কন্টেন্ট নির্মাতা অথবা চাকরিজীবী বা ব্যবসা যে কেউ এই প্রতিযগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। সকলের জন্য এই প্রতিযোগিতা উন্মুক্ত। নির্দিষ্ট কোনও ধরাবাধা নিয়ম নেই। কেবল মাত্র আধুনিক পরিবহণ ব্যবস্থাগুলিকে সুকুশল ভাবে উপস্থাপন করতে হবে।

    রিল জমা করার শেষ তারিখ ২০ ডিসেম্বর

    আরআরটিএস স্টেশন এবং নমো ভারত ট্রেনে প্রায় বিনামূল্যেই এই উচ্চমানের ভিডিও তোলা যাবে। আলাদা করে অতরিক্ত খরচ লাগবে না। তবে যাঁরা অংশ গ্রহণ করবেন তাঁদের হিন্দি বা ইংরেজি ভাষায় রিল তৈরি করে রিল জমা (NCRTC) দিতে হবে। সমস্ত রিল এমপি ৪ বা এমওভি ফর্ম্যাটে জমা দিতে হবে। তবে ন্যূনতম রেজোলিউশন হতে হবে ১০৮০কিউ। রিল জমা করার শেষ তারিখ ২০ ডিসেম্বর। প্রতিযোগীরা সাবটাইটেল দিতে চাইলে দিতে পারেন, কিন্তু বাধ্যতামূলক নয়।

    আরও পড়ুনঃ সিঁদুর সরিয়ে মহিলাদের কপালে ক্রস, বিহারে ধর্মান্তকরণের অভিযোগে গ্রেফতার ৩ মিশনারি

    কোন ঠিকানায় আবেদন করবেন?

    একই ভাবে প্রতিযোগীদের (NCRTC) অংশগ্রহণ করতে গেলে রিল নির্মাতাদের pr@ncrtc.in এই ঠিকানায় ইমেল করতে হবে। ইমেলের বিষয় হিসেবে লিখতে হবে, অ্যাপ্লিকেশন ফর নমো ভারত শর্ট ফিল্ম মেকিং কম্পিটিশন। একই ভাবে প্রতিযোগীতায় রিল নির্মাতার সম্পূর্ণ নাম, ১০০ শব্দের মধ্যে কাহিনীর সংক্ষিপ্তসার এবং রিলের আনুমানিক সময়কাল লিখে জানাতে হবে। মূল্যায়নের (Modi Government) পর তিনজন বিজয়ীকে নগদ পুরস্কার দেওয়া হবে। প্রথমস্থান অধিকারী পাবেন দেড় লক্ষ টাকা। দ্বিতীয়স্থান অধিকারী পাবেন এক লক্ষ টাকা এবং তৃতীয়স্থান অধিকারী পাবেন ৫০ হাজার টাকা। তবে জয়ীদের রিল বা ভিডিও এনসিআরটিসির ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে দেখানো হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Union Government: মোদি সরকার ৫০ থেকে ৭০ হাজার কোটির সুদমুক্ত ঋণ দেবে রাজ্যগুলিকে

    Union Government: মোদি সরকার ৫০ থেকে ৭০ হাজার কোটির সুদমুক্ত ঋণ দেবে রাজ্যগুলিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকার (Union Government) ২০২৫ অর্থবর্ষের তৃতীয় কোয়ার্টারে (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর) প্রতিটি রাজ্যকে মূলধন বিনিয়োগের জন্য বিশেষ ফান্ড দেবে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই ফান্ড ৫০ হাজার কোটি থেকে ৭০ হাজার কোটি পর্যন্ত হতে পর্যন্ত হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, এমন বরাদ্দ বৃদ্ধির লক্ষ্য হল, রাজ্যের প্রকল্পগুলিকে আরও জোরদার করা। কেন্দ্রীয় সরকারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ফান্ডিং পুরোটাই সুদ মুক্ত হতে চলেছে এবং ২০২৫ অর্থবর্ষের তৃতীয় কোয়ার্টারে এই ফান্ডিং (Infrastructure Growth) রাজ্যগুলিকে করা হবে।

    বিহার, গুজরাত, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ সমেত ১৬টি রাজ্য এসেছে প্রকল্পের আওতায়

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ অর্থবর্ষে (Union Government) বিহার, গুজরাট, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ সমেত ১৬টি রাজ্য সুদ মুক্ত এই ঋণের প্রকল্পের আওতায় এসেছে। এই স্কিমের আওতায় সুদ মুক্ত ঋণ নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মেয়াদ হবে ৫০ বছর। চলতি বছরের জুলাই মাসে বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেখানেই তিনি জানিয়েছিলেন, ২০২৫ অর্থবর্ষে রাজ্যগুলিকে সাহায্য প্রদানের (Infrastructure Growth) জন্য এই স্কিমের বরাদ্দ বাড়ানো হবে।

    করোনা পরবর্তীতে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতেই চালু হয় এই প্রকল্প

    জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের (Union Government) মধ্যে ৫৮ শতাংশ অর্থাৎ আনুমানিক ৮৮ হাজার কোটি টাকা- আবাসন, নগর পরিকল্পনা, যুব সমাজের জন্য ডিজিটাল লাইব্রেরি, পুরনো সরকারি যানবাহন বাতিল এবং সংস্কার এই সমস্ত কিছুর কাজ করা হবে। প্রসঙ্গত, সুদ ছাড়া ঋণ প্রকল্প চালু করা হয়েছিল ২০২১ সালেই। সে সময়তে করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্যই এমন কর্মসূচি নিয়েছিল সরকার।

    ‘‘কোনও রাজ্যের সঙ্গেই সৎ মায়ের মতো আচরণ করা হচ্ছে না’’

    অন্যদিকে, বুধবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় (Union Government) অর্থমন্ত্রী হাজির ছিলেন ম্যাঙ্গালুরুর একটি অনুষ্ঠানে। সেখানে তিনি জানান, কোনও রাজ্যের সঙ্গেই সৎ মায়ের মত আচরণ করা হয়নি। ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সরকারের ১০ বছরের শাসনের সময় রাজ্যগুলিকে যে পরিমাণ বরাদ্দ দেওয়া হত এবং মোদি জমানায় যতটা বরাদ্দ করা হয়, তার পরিসংখ্যান তিনি তুলে ধরেন। তিনি জানান, ভারত প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বড় উৎপাদক ও রফতানিকারক হয়ে উঠেছে। এর পাশাপাশি মোবাইল, আধা-পরিবাহী, পুনর্নবীকরণ শক্তির সরঞ্জামসহ অন্যান্য উৎপাদন অনেক বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সীতারামন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Svanidhi Yojana: ফুটপাতে ব্যবসা করেন? মোদি সরকার দিচ্ছে স্বল্প সুদে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ

    PM Svanidhi Yojana: ফুটপাতে ব্যবসা করেন? মোদি সরকার দিচ্ছে স্বল্প সুদে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফুটপাতের পণ্য বিক্রেতাদের পাশে মোদি সরকার ( PM Svanidhi Yojana)। ফুটপাত ব্যবসায়ীদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার (Modi Government) চালু করেছে ‘প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি যোজনা’। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ফুটপাত ব্যবসায়ীদের স্বল্প সুদে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, প্রকল্পের আওতায় প্রথমে ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে। তারপরে, দ্বিতীয় কিস্তিতে ২০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় কিস্তিতে আরও ২০ হাজার দেওয়া হবে। কীভাবে আবেদন করবেন এই প্রকল্পে, কারা পাবেন ঋণ, সে নিয়েই আজকে আমাদের প্রতিবেদন।

    প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি যোজনা প্রকল্পে ( PM Svanidhi Yojana) কারা আবেদন করতে পারবেন?

    আবেদনকারীকে অবশ্যই ভারতের নাগরিক হতে হবে।

    আবেদনকারীর ব্যবসা কমপক্ষে ২ বছরের পুরনো হতে হবে।

    কোন কোন প্রয়োজনীয় নথি লাগবে?

    – আধার কার্ড

    – প্যান কার্ড

    – আয়ের শংসাপত্র

    – বাসস্থান সার্টিফিকেট

    – স্থানীয় পুরসভা বা পঞ্চায়েতের শংসাপত্র

    – ব্যাঙ্ক পাসবুক

    – ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি

    – মোবাইল নম্বর

    কীভাবে প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি যোজনায় ( PM Svanidhi Yojana) আবেদন করবেন?

    – প্রথমে আপনাকে pmsvanidhi.mohua.gov.in ওয়েবসাইটে যেতে হবে।

    – এর পরে, অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের হোম পেজে ঋণের আবেদনের জন্য তিনটি অপশন দেখাবে।

    – এর পরে, আপনাকে নিজের ( PM Svanidhi Yojana) পছন্দ অনুযায়ী ঋণ অপশনে ক্লিক করতে হবে।

    – এর পরে, আপনার সামনে নতুন একটি পেজ খুলে যাবে, সেখানে আপনাকে মোবাইল নম্বরটি দিতে হবে।

    -এর পরে, ক্যাপচা কোড লিখতে হবে।

    – এর পর Request OTP-তে ক্লিক করবেন। মোবাইলে OTP আসবে, পরে তা সাবমিট করবেন।

    – এর পরে, আবেদনপত্রের পাতা খুলে যাবে, সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য সমেত এটি পূরণ করতে হবে।

    – এরপরে, সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।

    – সবশেষে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে আবেদনপত্র জমা করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India’s Paralympic Revolution: সর্বকালের সর্বোচ্চ পদক! শূন্য থেকে ২৯, স্বপ্নপূরণ ভারতীয় প্যারাথলিটদের

    India’s Paralympic Revolution: সর্বকালের সর্বোচ্চ পদক! শূন্য থেকে ২৯, স্বপ্নপূরণ ভারতীয় প্যারাথলিটদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভালোবাসার শহরে ১১ দিনের মেগা টুর্নামেন্টে দেশবাসীর স্বপ্নপূরণ করেছেন ভারতীয় প্যারাথলিটরা (India’s Paralympic Revolution)। প্যারালিম্পিক্সের (Paris Paralaympics 2024) ইতিহাসে সর্বকালের সর্বোচ্চ পদক নিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে ভারত। টিম ইন্ডিয়ার ঝুলিতে এসেছে মোট ২৯টি পদক। পদক তালিকায় ১৮ নম্বরে শেষ করেছে ভারত। শূন্য থেকে শুরু। আগের ১১টি প্যারালিম্পিক্সে মোট ১২টি পদক জিতেছিল ভারত। গত দুবার গেমস ভিলেজে এসেছে আমূল পরিবর্তন। টোকিওকে টেক্কা দিয়েছে প্যারিস। মোদি সরকারের (Modi Government) টার্গেট অলিম্পিক পোডিয়াম প্যারাথলিটদের জীবনেও এনেছে নতুন আশা। স্বপ্নপূরণের সাহস পেয়েছেন অবনী, শীতলা, নবদীপ, সুমিতরা। 

    মোদি সরকারের সহায়তা

    মোদি সরকারের (Modi Government) হাত ধরে খেলার জগতে প্রতিদিন উন্নতি করছে ভারত। ক্রিকেট-ফুটবল-হকি তো ছিলই, এখন অন্য খেলাতেও ছুটছে ভারতের বিজয়রথ। এই ভিত তিলে তিলে তৈরি করেছে মোদি সরকার। খেলো ইন্ডিয়া প্রকল্পই হোক বা  টার্গেট অলিম্পিক পোডিয়াম স্কিম (TOPS) বা প্যরাথলিটদের (India’s Paralympic Revolution) প্রশংসা, প্রধানমন্ত্রীর চওড়া কাঁধে ভরসা রাখতে পেরেছেন ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা। ফলও মিলেছে হাতেনাতে। 

    স্বপ্নের উত্থান

    ১১টি প্যারালিম্পিক্সে (India’s Paralympic Revolution) মোট ১২টি পদক জিতেছিল ভারত। কিন্তু নতুন দশকে পর পর দুই প্যারালিম্পিক্সে তৈরি হল ইতিহাস। টোকিওতে মোট ১৯ পদক জিতে সর্বকালীন রেকর্ড গড়েছিল ভারত। তিন বছর পর সেই পদক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৯। অর্থাৎ আগের ১১টি প্যারালিম্পিক্সে যেখানে মাত্র ১২টি পদক ছিল ভারতের ঝুলিতে, সেখানে শেষ দুই প্যারালিম্পিক্সে পদকের সংখ্যাটা দাঁড়াল তার চারগুণ, অর্থাৎ ৪৮। এই সংখ্যাটাই কিন্তু প্যারালিম্পিক্সে ভারতের সাফল্যের ছবিটা তুলে ধরার জন্য যথেষ্ট। পদক সংখ্যা থেকে পদক তালিকায় স্থান, সবেতেই রেকর্ড ভারতের।

    প্যারিসে সোনার পথে  

    অবনী লেখারা সমেত মোট সাতজন ভারতীয় অ্যাথলিট প্যারিস প্যারালিম্পিক্সে (India’s Paralympic Revolution) সোনা জিতেছেন। অবনীর সোনাজয় দিয়ে ভারতের পদকের খাতা খুলেছিল, নভদীপের সোনাজয় দিয়েই শেষ হয় পদকজয় সফর। সুমিত আন্টিল ফের একবার গড়েছেন বিশ্বরেকর্ড। এফ৪১ বিভাগে আসে প্রথম পদক, তিরন্দাজিতে শীতল দেবীরা প্রথম পদক এনে দেন ভারতকে, এছাড়াও একাধিক রেকর্ড গড়েন ভারতীয় অ্যাথলিটরা। সাতটি সোনা, নয়টি রুপো এবং ১৩টি ব্রোঞ্জ জিতে এক ঐতিহাসিক প্রতিযোগিতা শেষ করে ভারতীয় অ্যাথলিটরা। এমন এক ঐতিহাসিক টুর্নামেন্ট শেষে ভারতীয় প্যারাথলিটদের প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এই পারফরম্যান্স পরবর্তী প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করবে, এমনটাই আশা প্রধানমন্ত্রীর।

    পরিস্থিতি বদলাচ্ছে

    সমালোচকরা বলতেই পারেন, এখনও অনেকটা পথ বাকি। সত্যিই এখনও যেতে হবে অনেক দূর। চিন (২২০টি পদক), গ্রেট ব্রিটেন (১২৪টি) এবং যুক্তরাষ্ট্রের (১০৫টি) মতো দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এখনও অনেক দূর যেতে হবে, তবে ভারতের প্যারা স্পোর্টস সমর্থকরা বলছেন, পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। এগোচ্ছে ভারত। শূন্য থেকে শুরু করে এখন ২৯। ধীরে ধীরে এগিয়ে চলবে ভারত, আশা করাই যেতে পারে। এই অগ্রগতির পিছনে অনেক কিছু কাজ করেছে। বেশ কয়েকটি সরকারি সংস্থা, কোচ এবং কর্পোরেট সংস্থাগুলি একত্রিত হয়ে প্যারা ক্রীড়ায় বিনিয়োগ করেছে। এর ফলে নতুন নতুন নায়ক তৈরি হয়েছে, যা দেখে অনেক শিশু এবং তাদের অভিভাবকরা প্যারা স্পোর্টসকে পেশা হিসেবে নেওয়ার সাহস পেয়েছেন। প্রযুক্তিও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতির সাথে সাথে প্যারা ক্রীড়াবিদরা এখন বিশ্বমানের সরঞ্জাম ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছেন। 

    কী বলছেন ক্রীড়াবিদরা

    ভারতীয় প্যারা ব্যাডমিন্টন দলের প্রধান কোচ গৌরব খান্না বলছেন, “আমাদের ক্রীড়াবিদদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। ২০১৫ সালে আমি যখন প্যারা ব্যাডমিন্টন দলে যোগ দিয়েছিলাম, তখন জাতীয় শিবিরে মাত্র ৫০ জন অ্যাথলেট ছিল। এখন সেই সংখ্যা ১০০০-এর বেশি।” প্রতিবন্ধী অধিকার কর্মী নিপুণ মালহোত্রা বলছেন, “সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হল অভিভাবকরা এখন বিশ্বাস করছেন যে প্রতিবন্ধী শিশুরাও নায়ক হতে পারে। ২০ বছর আগের তুলনায় এখন পরিবারের মধ্যে প্রতিবন্ধীদের ভূমিকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, যা সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিতেও প্রভাব ফেলছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Modi Government: লগ্নি ৩৩০০ কোটি টাকা, দেশের পঞ্চম সেমিকন্ডাক্টর ইউনিটকে অনুমোদন কেন্দ্রের

    Modi Government: লগ্নি ৩৩০০ কোটি টাকা, দেশের পঞ্চম সেমিকন্ডাক্টর ইউনিটকে অনুমোদন কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরে গুজরাটের সানন্দ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi Government) এই রাজ্যে নয়া সেমিকন্ডাক্টর ইউনিট (Semiconductor Factory) খুলছে কেন্স কোম্পানি। পুরো নাম কেন্স সেমিকন প্রাইভেট লিমিটেড। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আয়োজিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। এই ইউনিটটি হবে ভারতের পঞ্চম সেমিকন্ডাক্টর ইউনিট। এটি তৈরি হলে মজবুত হবে ভারতের সেমিকন্ডাক্টর ইকোসিস্টেম।

    বিরাট বিনিয়োগ

    জানা গিয়েছে, কোম্পানিটি সানন্দের এই ইউনিটে বিনিয়োগ করবে ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এই ইউনিটে প্রতিদিন ৬০ লাখ চিপ উৎপাদন হবে। বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হবে এই চিপগুলি। এর মধ্যে রয়েছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিস্টেম, অটোমোটিভ টেকনোলজি, ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল, কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স, টেলিকম ইক্যুপমেন্ট এবং মোবাইল ফোন।

    সেমিকন্ডাক্টর ইউনিট

    ২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর হয় প্রোগ্রাম ফর ডেভেলপমেন্ট অফ সেমিকন্ডাক্টর্স অ্যান্ড ডিসপ্লে ম্যানুফ্যাকচারিং ইকোসিস্টেম ইন ইন্ডিয়া। এই প্রোগ্রামের টোটাল বাজেট ছিল ৭৬ হাজার কোটি টাকা। সানন্দে দেশের প্রথম সেমিকন্ডাক্টর ইউনিটটি খোলে ২০২৩ সালের জুন মাসে। তার পরের তিনটি ইউনিট অনুমোদন পায় ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে। টাটা ইলেকট্রনিক্স ঢোলেরায় সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব সেটিং তৈরি করেছে। এই চারটি সেমিকন্ডাক্টর ইউনিট দ্রুত তৈরি হচ্ছে। যার জেরে এই এলাকায় দ্রুত সেমিকন্ডাক্টর ইকোসিস্টেম গড়ে উঠছে। এই ইউনিটগুলি সব মিলিয়ে টানবে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ। সব ইউনিটগুলি মিলিয়ে দৈনিক উৎপাদন (Modi Government) হবে ৭ কোটি চিপ।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিয়ে কথা হয়েছে মোদি-বাইডেনের, স্বীকার আমেরিকার

    কৃষিক্ষেত্রে ১৩ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকার প্যাকেজ

    এদিনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে কৃষিক্ষেত্রে ১৩ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকার প্যাকেজও অনুমোদিত হয়েছে। দেশে যাতে খাদ্য নিরাপত্তা বজায় থাকে, তাই এই প্যাকেজ অনুমোদন। বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি জানান, সব মিলিয়ে সাতটি প্রকল্পকে এদিন সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, “কৃষকদের জীবনের মানোনয়ন ও তাঁদের আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাতটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। প্রথমটি হল, ডিজিট্যাল কৃষি মিশন। এটি কৃষিক্ষেত্রে ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “মোট ২০ হাজার ৮১৭ কোটি টাকার (Semiconductor Factory) বিনিয়োগে ডিজিটাল কৃষি মিশন স্থাপন করা হবে (Modi Government)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Central Government: বরাদ্দ ১৪ হাজার কোটি! কৃষক কল্যাণে ৭ বড় প্রকল্প মোদি সরকারের

    Central Government: বরাদ্দ ১৪ হাজার কোটি! কৃষক কল্যাণে ৭ বড় প্রকল্প মোদি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষি ক্ষেত্রকে (Agriculture Sector) শক্তিশালী করতে বড় উদ্যোগ নিল মোদি সরকার। মোদি সরকারের (Central Government) মন্ত্রিসভায় একাধিক পদক্ষেপ করা হয় কৃষি ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করতে এবং একাধিক প্রকল্পে মোট ১৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয় কৃষকদের সার্বিক উন্নতিতে। মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তে সাতটি বড় প্রকল্পের বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।

    ডিজিটাল এগ্রিকালচারের মাধ্যমে আধুনিক হবে কৃষি (Central Government)

    মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে লক্ষ্য রাখা হয়েছে— ডিজিটাল এগ্রিকালচার, খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি শিক্ষা এবং দীর্ঘমেয়াদী কৃষিফলনের ওপরে। ডিজিটাল এগ্রিকালচার মিশনের যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার এখানেই বরাদ্দ করা হয়েছে ২,৮১৭ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের আওতায় কৃষি ক্ষেত্রকে আধুনিকীকরণ করা হবে এবং কৃষি ব্যবস্থা ভরপুর প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ডিজিটাল এগ্রিকালচার (Agriculture Sector) মিশনের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    কৃষি শিক্ষা ও গবেষণায় জোর

    অন্যদিকে, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government) বরাদ্দ করেছে ৩,৯৭৯ কোটি টাকা। এই উদ্যোগের মাধ্যমে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় জোর দেওয়া হবে। কৃষি বিজ্ঞানের ওপর বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণাও করা যাবে এই প্রকল্পের আওতায়। কৃষি শিক্ষার ক্ষেত্রে মোদি সরকার বরাদ্দ করেছে ২,২৯১ কোটি টাকা। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে কৃষি শিক্ষার বিষয়গুলির ওপর গবেষণা করার সুযোগ থাকছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষি শিক্ষায় জোর দিতে চাইছে মোদি সরকার।

    দীর্ঘমেয়াদি কৃষি ফলনে গুরুত্ব

    দীর্ঘমেয়াদি কৃষি ফলনের ওপরেও জোর দিয়েছে মোদি সরকার এবং এই ক্ষেত্রে ১,৭০২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের খাদ্য উৎপাদনকে বাড়াতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। অন্যদিকে সবজি, ফল এসবের বাগান, চাষ ইত্যাদির উন্নয়নে জোর দিয়েছে মোদি সরকার এবং এই ক্ষেত্রে বরাদ্দ করা হয়েছে ৮৬০ কোটি টাকা। দেশের কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রগুলির উন্নয়নে মোদি সরকার বরাদ্দ করেছে ১,২০২ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, এই কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের কৃষি ব্যবস্থাতে প্রযুক্তির ভরপুর ব্যবহার করা হবে। প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় ১,১১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে মোদি সরকার (Central Government)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: আরজি কর কাণ্ডের জের! ডাক্তারদের ওপর হামলা হলেই কঠোর সাজা, আইন আনছে কেন্দ্র

    RG Kar: আরজি কর কাণ্ডের জের! ডাক্তারদের ওপর হামলা হলেই কঠোর সাজা, আইন আনছে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজিকর কাণ্ডের (RG Kar) পরেই নিরাপত্তার দাবিতে দেশজুড়ে প্রতিবাদ-কর্মবিরতির ডাক দেন ডাক্তাররা। বর্তমান সময়ে বারবার উঠেছে স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তার প্রশ্ন। ঠিক এই আবহে, আরজি কর কাণ্ডের জেরে একদা বাতিল হওয়া ‘দ্য হেলথকেয়ার সার্ভিস পার্সোনেল অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্টস (হিংসা ও সম্পত্তির ক্ষতি প্রতিরোধ) বিল’কে পুনরুদ্ধার করতে উদ্যোগী হচ্ছে মোদি সরকার। প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য কর্মীদের বিরুদ্ধে যে কোনও হিংসাত্মক ঘটনা এবং হাসপাতাল তথা স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির সম্পত্তি ভাঙচুরে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম এই বিলের ওপর খসড়া তৈরি করা হয়। সে সময় কলকাতার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মহম্মদ সৈয়দ নামের এক রোগীর আত্মীয় দুই চিকিৎসকের ওপর ভয়ঙ্কর হামলা ঘটায়। এর প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভে (Violence Aganist Doctors) নামেন ডাক্তাররা, তখনই এই আইনটিকে প্রস্তাব করা হয়েছিল (RG Kar)।

    হামলাকারীদের কঠোর সাজা এবং মোটা টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে

    এই বিলে হামলাকারীদের (Violence Aganist Doctors) কঠোর সাজা এবং মোটা টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। এই বিলে বলা হয়েছে, ‘‘কোনও ব্যক্তি স্বাস্থ্য কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনওরকমের হিংসাত্মক কার্যকলাপে লিপ্ত হতে পারবেন না অথবা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কোনও সম্পত্তিরও ক্ষতি করতে পারবেন না।’’ ডাক্তারদের বিরুদ্ধে যে কোনও ধরনের হিংসাত্মক কার্যকলাপ কেউ ঘটালে তার জন্য এই বিল অনুযায়ী ছয় মাসের কারাদণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে যা বেড়ে পাঁচ বছর পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া কোনও চিকিৎসককে গুরুতর আঘাত করলে সাজার মেয়াদ থাকছে তিন বছর যা সর্বোচ্চ দশ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর বিধান রয়েছে। এছাড়াও ডাক্তারদের বিরুদ্ধে যে কোনও হিংসাত্মক কার্যকলাপ কোনও ব্যক্তি করে থাকলে পঞ্চাশ হাজার টাকা থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করারও বিধান রয়েছে ওই বিলে। যদি গুরুতরভাবে কোনও চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীকে আঘাত করা হয়, সেক্ষেত্রে অপরাধীর জরিমানা দুই লাখ টাকা থেকে দশ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলা অথবা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভাঙচুর চালিয়ে সম্পত্তির ক্ষতি করা- এ সমস্ত কিছুকেই এই বিলের আওতায় জামিন অযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, ডাক্তারদের ওপর হামলা বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সম্পত্তি ভাঙচুরের মত ঘটনা ঘটলে তার তদন্ত একজন ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ পদমর্যাদার অফিসার বা তার ঊর্ধ্বে কোনও অফিসারই করতে পারবেন কিন্তু এর নিচের পদমর্যাদাযুক্ত অফিসার করতে পারবেন না।

    জরিমানা হিসেবে দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ ধার্য

    স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর যে কোনও হামলার ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্তাকে অবহিত করাবেন বাধ্যতামূলকভাবে, এমন কথাও বলা হয়েছে ওই প্রস্তাবিত বিলে। প্রস্তাবিত ওই বিলে বলা হয়েছে, ডাক্তারদের ওপর আঘাত করলেই এক লাখ টাকা জরিমানা গুণতে হবে এবং গুরুতর আঘাতের জন্য পাঁচ লাখ টাকা জরিমানারও বিধান রয়েছে। শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যে পরিমাণ অর্থের সম্পত্তি ভাঙচুর হামলাকারীরা করবেন তার দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থের তাঁদের কাছ থেকে ফেরত নেওয়া হবে বলেও বিধান রয়েছে বিলে। ওই বিলে আরও বলা হয়েছে যদি কোনও দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি এই বিলের অধীনে ক্ষতিপূরণ প্রদান না করেন, তাহলে তাঁর ক্ষতিপূরণের অর্থটি রাজস্ব পুনরুদ্ধার আইন (১৮৯০) অনুযায়ী, বকেয়া হিসেবে আদায় করা হবে।

    কোন কোন ধরনের হামলার কথা বলা হয়েছে বিলে

    স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা ডাক্তারদের ওপরে ঠিক কী ধরনের হামলার কথা বলা হয়েছে এই বিলে? অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, চিকিৎসায় গাফিলতির মিথ্যা অভিযোগে হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় উন্মত্ত জনতা অথবা ডাক্তারদেরকেও নিগৃহীত করা হয়। এই বিলে উল্লেখ করা হয়েছে যে স্বাস্থ্য কর্মীদের ওপর যেকোনও ধরনের হামলা, স্বাস্থ্যকর্মীদের যেকোনও ধরনের ক্ষতি, আঘাত, গুরুতর আঘাত, হুমকি দেওয়া, ভয় দেখানো, জীবনহানির হুমকি প্রদর্শন করা বা এমন কোনও আঘাত করা যাতে স্বাস্থ্যকর্মী জীবনহানি হতে পারে, সরকারি চিকিৎসক তথা স্বাস্থ্য কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়া, যেকোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে সম্পত্তি ভাঙচুর করা, গুরুত্বপূর্ণ নথির ক্ষতি করা, নথি জ্বালিয়ে দেওয়া বা চুরি করা -এই সমস্ত কিছুই এই বিলের আওতায় পড়বে।

    করোনা অতিমারির সময় আনা আইন

    প্রসঙ্গত করোনা অতিমারি চলাকালীন লকডাউনের সময় নরেন্দ্র মোদি সরকার অতিমারি রোগ (সংশোধন) আইন-২০২০ পাশ করেছিল এবং এই আইনেও স্বাস্থ্যপরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া যেকোনও ধরনের হামলা বা হিংসাত্মক কার্যকলাপকে জামিন অযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছিল। ২০২২ সালের জুলাই মাসে একটি রিপোর্ট সামনে আসে যেখানে দেখা যায় যে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক ২০১৯ সালের প্রস্তাবিত ওই ‘দ্য হেলথকেয়ার সার্ভিস পার্সোনেল অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্টস (হিংসা ও সম্পত্তির ক্ষতি প্রতিরোধ) বিল’কে বাতিল করেছে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাক্তার মনসুখ মান্ডব্য জানিয়েছিলেন যে, ডাক্তার বা স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য আলাদা কোনও আইন তৈরি করা হচ্ছে না।

    আরজি করকাণ্ডের জের (RG Kar)

    কিন্তু ২০২৪ সালের ৯ অগাস্ট কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এরপরেই দেশ জুড়ে আন্দোলনে নামে বিভিন্ন ডাক্তার সংগঠন। ঠিক এই আবহে গত ১২ অগাস্ট ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন সরকারের কাছে কয়েকটি দাবি পেশ করে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, দ্য হেলথকেয়ার সার্ভিস পার্সোনেল অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্টস (হিংসা ও সম্পত্তির ক্ষতি প্রতিরোধ)-এই আইনের অন্তর্ভুক্তি। সেই সময়ে আইএমএ-এর প্রতিনিধিরা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করেন এবং কথা বলেন। তারপরে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকেও ডাক্তারদের সংগঠনগুলিকে আশ্বাস দেওয়া হয় যে চিকিৎসকদের ওপর যেকোনও ধরনের হামলা ও হিংসাত্মক কার্যকলাপ প্রতিরোধ করার জন্য কড়া পদক্ষেপ করবে সরকার (RG Kar)। এরপরে ২০১৯ সালের বাতিল হওয়া ওই বিলটি পুনরায় পর্যালোচনা করার জন্য নরেন্দ্র মোদি সরকার একটি প্যানেল গঠন করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, নতুন ওই প্যানেলে ডাক্তার, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ও একাধিক মন্ত্রকের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা রয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share