Tag: Modi Trump Meeting

  • PM Modi: ভারতেই মার্কিন মুলুকের মতো পড়াশোনা! কী ভাবছেন মোদি-ট্রাম্প?

    PM Modi: ভারতেই মার্কিন মুলুকের মতো পড়াশোনা! কী ভাবছেন মোদি-ট্রাম্প?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ভারতেও ক্যাম্পাস খুলতে আমন্ত্রণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে দুই রাষ্ট্রনেতাই উভয় দেশের মধ্যে প্রতিভার চলাচল এবং শিক্ষার্থী, গবেষক ও কর্মীদের গতিবিধি সম্পর্কে সন্তোষ জ্ঞাপন করেছেন। দুই দেশের মানুষের স্বার্থে শিক্ষাক্ষেত্রে ভারত-মার্কিন আদান প্রদানের উপর জোড় দিয়েছেন মোদি ও ট্রাম্প।

    মার্কিন মুলুকে ভারতীয় শিক্ষার্থী

    ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য দ্বিগুণ হতে চলেছে। যা ৫০০ বিলিয়ন ডলার হবে। আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে শুক্রবার এমনই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বৈঠকের পর ট্রাম্প জানান, বিশ্বের সব থেকে পুরনো গণতন্ত্র আমেরিকা। বিশ্বের সব থেকে বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারত। তিনি বলেন, “আমি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করছি, যা একবিংশ শতাব্দীতে প্রত্যেক ক্ষেত্রে আমাদের অংশীদারিত্ব আমাদের অর্থনৈতিক চুক্তিগুলিকে আরও শক্তিশালী করবে।” এই প্রেক্ষাপটে তারা উল্লেখ করেছেন যে, ৩০০,০০০-এর বেশি ভারতীয় শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে প্রতি বছর ৮ বিলিয়ন ডলার অবদান রাখে এবং বহু সরাসরি ও পরোক্ষ চাকরি করে।

    ভারতেই মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস

    উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করা ভারতীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩,৩১,৬০২। এই শিক্ষাবর্ষে ২০২২-২৩ সালের তুলনায় ২৩ শতাংশ শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পেয়েছে, তখন সংখ্যা ছিল ২,৬৮,৯২৩। এদিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং প্রধানমন্ত্রী মোদি দুই দেশের মধ্যে জনগণ-জনগণের সম্পর্ক উন্নত করার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। এক্ষেত্রে শিক্ষা জগতের ভূমিকা প্রচুর। প্রধানমন্ত্রী মোদি, আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির অফশোর ক্যাম্পাস ভারতেও প্রতিষ্ঠার দিকে নজর দেওয়ার কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি আরও বলেন, “আমেরিকায় ভারতীয় কমিউনিটি আমাদের সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জনগণ-জনগণের সম্পর্ক আরও গভীর করতে আমরা শীঘ্রই লস অ্যাঞ্জেলেস এবং বোস্টনে নতুন ভারতীয় কনস্যুলেট খুলবো।” তিনি আরও বলেন, “আমরা আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাছে ভারতেই অফশোর ক্যাম্পাস খুলতে আমন্ত্রণ জানিয়েছি।”

    ক্যাম্পাস খুলতে গেলে গাইডলাইন

    সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন জানিয়েছে, বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি (Foreign Universities) ভারতে তাদের ক্যাম্পাস তৈরি করতে পারবে। শুধু তাই নয় এই ক্যাম্পাস পরিচালনার ব্যাপারে তারা স্বশাসিত সিদ্ধান্তও নিতে পারবে। ভর্তির প্রক্রিয়া, খরচের পরিকাঠামো – এইসব ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ অনুসারে এই নয়া নোটিফিকেশনের গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। এর সাহায্যে বিশ্বের বিভিন্ন সেরা বিশ্ববিদ্যালয় ভারতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে।

    বিশ্বমানের পড়াশোনা

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে ভারতীয়দের কিছু সংখ্যকের মধ্যে মার্কিন মুলুকে পড়াশোনা করতে যাওয়ার যে হিড়িক রয়েছে, ভারতে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ক্যাম্পাস খুললে তা হয়তো কিছুটা কমতেও পারে। আমেরিকার যেসব প্রতিষ্ঠান ভারতের মাটিতে ক্যাম্পাস তৈরি করবে। সেখানে যেন বিদেশের ক্যাম্পাসের মতোই পড়ুয়াদের পঠনপাঠন চলে, সেদিকেও দৃষ্টি রাখবে মোদি সরকার। সমস্ত নিয়ম-কানুন মেনেই চালু থাকবে বিশ্বমানের পড়াশোনা। ভারতে যে সমস্ত আমেরিকার শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠান গড়তে ইচ্ছুক তাদের বিশ্বব্যাপী র‍্যাঙ্কিংয়ের নিরিখে প্রথম ৫০০-র মধ্যে থাকতে হবে। অথবা বিষয় ভিত্তিক ক্যাটেগরির নিরিখে প্রথম ৫০০- র মধ্যে থাকতে হবে এইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে। যেসমস্ত মার্কিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভারতে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় বা ক্যাম্পাস তৈরি করবে সেখানে তারা একাধিক কোর্স চালু করতে পারবে। এই তালিকায় থাকছে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, ডক্টরাল, পোস্ট-ডক্টরাল, ডিপ্লোম ডিগ্রি, রিসার্চ বা গবেষণা, বিভিন্ন সার্টিফিকেট কোর্স। সমস্ত প্রোগ্রামের ১০ শতাংশ লেকচার বা পঠনপাঠন অনলাইনে হতে পারে, তবে তার বেশি নয়।

    একাধিক ক্যাম্পাস 

    জানা গিয়েছে, একটি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় একাধিক ক্যাম্পাস তৈরি করতে পারবে ভারতে। তবে প্রতিটির জন্য আলাদা করে আবেদন জানাতে হবে। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় ভারতে ক্যাম্পাস গঠন করলেও ইউজিসিকে বার্ষিক কোনও ফি দিতে হবে না। কেবলমাত্র একটি এককালীন অ্যাপ্লিকেশন ফি দিতে হবে ইউজিসিকে। নিজেদের পরিকাঠামো, ফিজিক্যাল এবং হিউম্যান রিসোর্স, জমির উপর ভিত্তি করেই ক্যাম্পাস তৈরি করতে পারবে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। এছাড়াও পড়ুয়াদের জন্য বৃত্তি অর্থাৎ স্কলারশিপ এবং কনসেশন অর্থাৎ ছাড়ের ব্যবস্থাও করতে পারবে তারা।

     

  • Modi-Trump Meeting: ‘ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণ হবে’, জানিয়েছেন মোদি

    Modi-Trump Meeting: ‘ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণ হবে’, জানিয়েছেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’হাজার তিরিশ সালের মধ্যে ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণ হবে। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী জানান, দু’দেশের মধ্যে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের মতো জ্বালানির ব্যবসা আরও মজবুত হবে। পরমাণুক্ষেত্রে বাড়বে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা। ভারত-আমেরিকার মধ্যে প্রযুক্তি বিনিময় নিয়েও ট্রাম্পের সঙ্গে কথা হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলস এবং বস্টনে ভারতের নতুন বাণিজ্যিক দূতাবাস হবে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারতে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস খোলা হবে। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফের ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    ট্রাম্প-মোদি বৈঠক 

    এদিন ট্রাম্প জানান, আমেরিকা থেকে ভারতে আমদানিকৃত পণ্যে শুল্ক কমানো এবং আরও বেশি করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে খনিজ তেল ও সামরিক বিমান কেনার ব্যাপারে এদিন মোদির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে তাঁর। তিনি বলেন, “উনি আমার চেয়ে আরও শক্ত এবং ভাল মধ্যস্থতাকারী। এই নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনও প্রতিযোগিতা চলতে পারে না।” উল্লেখ্য, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের নিরিখে আমেরিকার থেকে এগিয়ে রয়েছে ভারত। অর্থাৎ আমেরিকা থেকে ভারতে রফতানি হওয়া পণ্যের তুলনায় ভারত থেকে সে দেশে রপ্তানি হওয়া পণ্যের পরিমাণ বেশি। আর এই আবহে ভারত আমেরিকা থেকে আরও বেশি করে খনিজ তেল কেনার আশ্বাস দিয়েছে বলেই জানিয়েছেন ট্রাম্প।

    মেক ইন্ডিয়া গ্রেট এগেইন

    বৃহস্পতিবার, দ্বিপাক্ষিক বৈঠক থেকেই ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত-আমেরিকার বাণিজ্য দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দুই রাষ্ট্রনেতা। ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’-এর আদলেই ‘মেক ইন্ডিয়া গ্রেট এগেইন’-এর স্লোগান দিয়েছেন মোদি। শক্তি, প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি-সহ আরও একাধিক খাতে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০০ বিলিয়ন ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় ৪৩ লক্ষ ৪১ হাজার ৯৮৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে দুই দেশ। এছাড়াও, মহাকাশ গবেষণায় যৌথ ভাবে কাজ করবে নাসা-ইসরো, সেই প্রতিশ্রুতিটাও দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। উল্লেখ্য, ভারতের হাত মজবুত করতে আগ্রহ দেখিয়েছেন ট্রাম্পও।

  • Trump-Modi Meeting: প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিশেষ নৈশভোজ! আগামী সপ্তাহেই সাক্ষাৎ ট্রাম্প-মোদির?

    Trump-Modi Meeting: প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিশেষ নৈশভোজ! আগামী সপ্তাহেই সাক্ষাৎ ট্রাম্প-মোদির?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী সপ্তাহেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা হতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। বন্ধু মোদির জন্য বিশেষ নৈশভোজেরও আয়োজন করতে পারেন ট্রাম্প। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, চলতি মাসের ১২ তারিখই ওয়াশিংটন ডিসিতে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

    ট্রাম্প-মোদি সাক্ষাৎ ১৩ ফেব্রুয়ারি

    হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের পর প্রথম বার মার্কিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী সপ্তাহে প্যারিসে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ১০ এবং ১১ ফেব্রুয়ারি সেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স অ্যাকশন সামিটে যোগ দেবেন তিনি। সূত্রের খবর, এই সামিট শেষে ১২ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসি-এর উদ্দেশে রওনা হবেন মোদি। সূত্রের দাবি, ১৩ তারিখ ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। হোয়াইট হাউজের তরফে একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে, কোন কোন রাষ্ট্রপ্রধান ট্রাম্পের শপথগ্রহণের দু-এক সপ্তাহের মধ্যে আমেরিকা সফরে আসবেন, বৈঠক করবেন। সেই তালিকায় নাম রয়েছে মোদির। প্রেসিডেন্ট পদে ফেরার পর হাতে গোনা রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গেই এখনও পর্যন্ত ট্রাম্পের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের কথা শোনা গিয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে ভারতও।

    কী কী বিষয়ে আলোচনা

    বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য নৈশভোজের আয়োজন করতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের ঘাটতি হ্রাস করতে চান ট্রাম্প। সেই সম্পর্কিত আলোচনার সঙ্গে অবশ্যই তালিকায় অভিবাসন নীতিও থাকবে। ট্রাম্প এর আগে নিজের ভাষণে বলেছিলেন, এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনা করবেন এবং মোদি অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন বলেই তিনি মনে করেন। তবে এখনও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাতের পরিকল্পনা নিয়ে কোনও সরকারি ঘোষণা করেনি বিদেশ মন্ত্রক। সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, চেষ্ট করা হচ্ছে যাতে দ্রুত মোদি-ট্রাম্প বৈঠকে করেন। সেখানে নিঃসন্দেহে শুল্ক যুদ্ধ নিয়েও কথা হবে। কথা হবে সামরিক অস্ত্র, চিনের ‘দাদাগিরি’র মতো বিষয় নিয়েও ।

LinkedIn
Share