Tag: Modi

Modi

  • Modi: “বিজেপি জানে, দেশের সংস্কৃতি…”, আঞ্চলিক ভাষা ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য মোদির

    Modi: “বিজেপি জানে, দেশের সংস্কৃতি…”, আঞ্চলিক ভাষা ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য’ভারতের (India) গর্ব। ভাষা-বৈচিত্র্যও তার ব্যতিক্রম নয়। নানা-ভাষার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ভারতের সংস্কৃতি। প্রতিটি আঞ্চলিক ভাষাই দেশের কাছে গর্বের বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। জয়পুরে বিজেপির (BJP) দলীয় সম্মেলনে শুক্রবার মোদি বলেন, “ভাষা নিয়ে অযথা বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে দলীয় কর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।” 

    দলের দু’দিনের সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষা (Regional languages) সম্পর্কে শুক্রবার মোদি বলেন,”অতীতে দেখা গিয়েছে, ভাষার ওপর ভিত্তি করে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে। বিজেপি জানে, দেশের সংস্কৃতি বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হয়। প্রত্যেকটি আঞ্চলিক ভাষাই সমানভাবে পূজনীয়। বিজেপি দেশের প্রতিটি আঞ্চলিক ভাষার প্রতিই শ্রদ্ধাশীল। ভবিষ্যতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই ভাষার ভূমিকাই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।”‌ প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে জানান, দেশে যে জাতীয় শিক্ষা নীতি তৈরি হচ্ছে, তাতে আঞ্চলিক ভাষাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ভাষাকে কেন্দ্র করে যাতে কোনওরকম অশান্তি না হয়, সেজন্য দেশের মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। সম্প্রতি হিন্দিকে সরকারি ভাষা করা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্তব্যে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, মোদির  এই বক্তব্য তাকে প্রশমিত করবে বলেই আশা রাজনৈতিক মহলের।

    [tw]


    [/tw]

    গত এপ্রিল মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) সংসদীয় সরকারি ভাষা কমিটির সদস্যদের জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের যে কর্মসূচি তৈরি হয়, তার ৭০ শতাংশই হিন্দিতেই হয়। সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজির থেকে হিন্দিই বেশি গ্রহণযোগ্য। সেক্ষেত্রে আঞ্চলিক ভাষা ইংরেজির বিকল্প হতে পারে না। শাহের এই ধরনের মন্তব্যে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়। বিরোধীরা সরব হয়ে ওঠেন। তাঁদের দাবি ছিল, শাহ হিন্দিকে দেশের সরকারি ভাষা হিসাবে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ভারত যেখানে বহু ভাষাভাষীর দেশ, সেখানে এভাবে কোনও কিছু চাপিয়ে দেওয়া যায় না। এই প্রসঙ্গে মোদি এদিন বলেন, “বিরোধীরা যে কোনও ছোট ছোট বিষয় নিয়েই বিতর্ক তৈরি করে যা দেশবাসীর স্বার্থে কাম্য নয়।”

  • Congress Chintan Shivir: “এক পরিবার, এক টিকিট” নীতির ভাবনা কংগ্রেসে, ছাড় পাবে গান্ধী-পরিবার?

    Congress Chintan Shivir: “এক পরিবার, এক টিকিট” নীতির ভাবনা কংগ্রেসে, ছাড় পাবে গান্ধী-পরিবার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে (2024 Loksabha election) বিজেপির (BJP) বিজয়রথ কীভাবে থামানো যাবে, সেই নিয়ে আলোচনা-বিশ্লেষণ করতে ১৩ মে থেকে রাজস্থানের উদয়পুরে বসছে কংগ্রেসের (congress) চিন্তন শিবির (chintan shivir)।

    কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অতীতে, পরিবার-তন্ত্রকে ইস্যু করে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। বিরোধীদের এই অস্ত্রেই বিভিন্ন নির্বাচনে ঘায়েল হয়েছে কংগ্রেস। শুধু বিরোধী নয়, দলের অভ্যন্তরেও এই নিয়ে অনেক অপ্রিয় প্রশ্ন উঠেছে। দলের অন্দরে ও বাইরে উভয়ক্ষেত্রেই একাধিকবার, এই পরিবারতন্ত্রের জন্য বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে হাত-শিবিরকে। 

    আগামী লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরকে টেক্কা দিতে এবার আগে থেকে কোমর বেঁধে নামতে চলেছে শতাব্দী-প্রাচীন দলটি। এবার তাই পরিবারতন্ত্রে ইতি টানতে চাইছে কংগ্রেস। সূত্রের খবর, বিরোধীদের জবাব দিতে এবার এক পরিবার এক টিকিট নীতি (one family, one ticket) চালু করতে পারেন কংগ্রেস হাইকমান্ড। 

    সম্প্রতি, ভোটকূশলী প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসকে চাঙা করার একগুচ্ছ খসড়া পেশ করেন হাইকমান্ডের কাছে। ওই খসড়ায়ই ছিল এক পরিবার, এক টিকিট নীতি লাগু করার কথা। পিকে কংগ্রেসে যোগ দেননি। তবে তাঁর প্রস্তাব নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে আলোচনা। 

    সূত্রের খবর, দলের মধ্যেই প্রস্তাব উঠেছে, দলকে জেতাতে অবিলম্বে চালু হোক এক পরিবার এক টিকিট নীতি।  ইতিমধ্যেই দলের শীর্ষস্তরে এই নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা ও পর্যালোচনা হয়েছে। আসন্ন চিন্তন শিবিরেই প্রস্তাবে পড়তে পারে হাইকমান্ডের শিলমোহর। 

    আরও পড়ুন : কাঠমান্ডুর নাইটক্লাবে রাহুল গান্ধীর ভিডিও ভাইরাল, নিন্দায় সরব বিজেপি

    তবে সূত্রের খবর, এই নীতি-রূপায়ণের ক্ষেত্রে একটি ব্যতিক্রম রাখা হয়েছে! আর সেই ব্যতিক্রমের নাম গান্ধী পরিবার। অর্থাৎ, এক পরিবার এক টিকিট নীতি বাকি সকলের জন্য কার্যকর হলেও, গান্ধী পরিবারের ক্ষেত্রে নয়। অর্থাৎ, গান্ধী পরিবারকে এই নিয়মের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে বলেই খবর।

    সূত্রের খবর, আলোচনার সময়, গান্ধী পরিবারের ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা সম্ভব নয় বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে। স্বাস্থ্যের কারণে হয়তো এবার আর রায়বেরিলি থেকে ভোটে লড়বেন না সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। তবে আমেঠি থেকে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)  লড়বেন বলেই খবর। এক পরিবার এক নীতি লাগু হলে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার টিকিট পাওয়ার কথা নয়। যদিও প্রিয়ঙ্কাও লড়বেন বলে এখনও পর্যন্ত খবর।

    পরপর দু’দফায় দিল্লির তখতে বসেছে বিজেপি সরকার। দীর্ঘদিন ক্ষমতা থেকে দূরে শতাব্দী প্রাচীন দল কংগ্রেস। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষয় শুরু হয়েছে দলে। যার ফলশ্রুতিতে একের পর এক রাজ্যে ধরাশায়ী হচ্ছে দল। এমতাবস্থায় দলকে চাঙা করার একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে ওই চিন্তন শিবিরে। তার মধ্যেই একটি হতে চলেছে, এক পরিবার এক টিকিট নীতি।

    কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর, বিজেপি যাতে ফের পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ করতে না পারে, সেই জন্যই এই নীতি চালু করার ভাবনা। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, যদি গান্ধী পরিবারকে এই নীতি থেকে “ফ্রি পাস” দেওয়া হয়, তাহলে কংগ্রেসের দ্বিচারিতা আরও প্রকট হবে। সেক্ষেত্রে, নির্বাচনের আগে, বিজেপির হাতে নতুন অস্ত্র উঠে আসবে। 

    শুধু তাই নয়। দলের কংগ্রেসেরই অন্দরে এই নিয়ে আরও অসন্তোষ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, ইতিমধ্য়েই, দলের একাংশ রাহুলের নেতৃত্ব নিয়ে খুশি নয়। অনেকেই মনে করেন, পুনরুজ্জীবনের জন্য গান্ধী পরিবারের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসতে হবে কংগ্রেসকে। কিন্তু, তা আখেরে কতটা হয়, তা আসন্ন চিন্তন শিবিরেই বোঝা যাবে। 

  • Modi in Nepal: লুম্বিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে অম্বেদকরের নামে চেয়ার, ঘোষণা মোদির

    Modi in Nepal: লুম্বিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে অম্বেদকরের নামে চেয়ার, ঘোষণা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুদ্ধপূর্ণিমার (Buddha Purnima) দিনেই ৪ দিন নেপাল (Nepal) সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। এদিন সন্ধ্যায় বুদ্ধজয়ন্তী (Buddha Jayanti) উপলক্ষে লুম্বিনি ডেভলপমেন্ট ট্রাস্টের উদ্যোগে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, ভারতের সহযোগিতায় নেপালে লুম্বিনি মিউজিয়াম তৈরি হওয়াটা ভারত-নেপাল (India-Nepal) সৌহার্দ্যের প্রতীক। দু’ দেশের মধ্যে সুসম্পর্কের ইঙ্গিত বহন করে এই মিউজিয়াম। 

    লুম্বিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের সংবিধান প্রণেতা বি আর অম্বেদকরের (Ambedkar) নামে ‘চেয়ার ফর বুদ্ধিষ্ট স্টাডিজ’ তৈরির কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির জন্মস্থান গুজরাতের ভডনগরে প্রাচীন বৌদ্ধশিক্ষার কেন্দ্র ছিল বলেও জানান তিনি। এখনও সেখানে সেই প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শন মেলে। মোদি বলেন, “বৈশাখী পূর্ণিমার দিন লুম্বিনিতে বুদ্ধের জন্ম, ওই দিনই বুদ্ধগয়ায় তাঁর বোধিসত্ত্ব প্রাপ্ত এমনকি ওই একই দিনে কুশীনগরে তাঁর মহাপরিনির্বাণ দার্শনিক ইঙ্গিত বহন করে। একই তিথিতে বুদ্ধের জন্ম-জ্ঞান-নির্বাণ লাভ ঐতিহ্য বহন করে।”

    [tw]


    [/tw]

    এদিন লুম্বিনি বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান পড়শি দেশের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা এবং তাঁর স্ত্রী। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে ছিলেন নেপাল মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য। এদিন নেপাল (Modi in Nepal) নেমেই মায়াদেবী মন্দিরে পুজো দেন নরেন্দ্র মোদি। গৌতম বুদ্ধের (Gautam Buddha) জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত এই মন্দির। পাশাপাশি মন্দির সংলগ্ন অশোকস্তম্ভে প্রদীপ জ্বালানোর পাশাপাশি বোধিবৃক্ষে জল ঢালেন দুই প্রধানমন্ত্রী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০১৪-তে শপথ নিয়েই নেপাল সরকারকে এই বৃক্ষ উপহার দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। 

    জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে এই সফর কার্যকরী ভূমিকা নেবে, বলে ট্যুইটবার্তায় জানান মোদি। ২০২০ সালে নেপালের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কেপি অলির ভ্রান্ত বিদেশনীতির জেরে প্রভাবিত হয়েছিল ইন্দো-নেপাল সম্পর্ক। সীমান্তের ঝুলে থাকা কালাপানি এলাকাকে নেপালের দাবি করে মানচিত্র প্রকাশ করছিল নেপাল সরকার। সেই নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল নয়াদিল্লি।

    কিন্তু ওলি সরকারের পতনের পরে সেদেশে এখন দেউবা সরকার। শেরবাহাদুর দেউবা ক্ষমতায় এসেই ভারতের সঙ্গে তিক্ততা সরাতে উদ্যোগ নিয়েছেন। তাই দ্বিপাক্ষিক স্তরে ঝুলে থাকা সব সমস্যার সমধান আলোচনা এবং কূটনৈতিক পথেই সম্ভব বলে যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে ইন্দো-নেপাল।

  • Modi: মোদির নিশানায় পরিবারতন্ত্র, অযথা বিতর্ক তৈরি বিরোধীদের কাজ

    Modi: মোদির নিশানায় পরিবারতন্ত্র, অযথা বিতর্ক তৈরি বিরোধীদের কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখে আনেননি সনিয়া অথবা রাহুল গান্ধীর নাম। মমতা কিংবা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করেননি এক বারও। অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের নাম না করে ফের একবার পরিবারতন্ত্রের বিরোধিতা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার জপুরে  বিজেপির দলীয় সম্মেলনে মোদি বলেন, “যে দলগুলির ভিত্তি পরিবারতন্ত্রের উপর দাঁড়িয়ে তারা দেশের মানুষের জন্য ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। তাদের দিনের শুরু থেকে শেষ পরিবারের জন্যই তোলা থাকে। পরিবারের স্বার্থেই কাজ করেন তাঁরা। দেশের স্বার্থ তাঁদের কাছে গৌন।” দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে গেলে গণতন্ত্রই শেষ কথা বলে জানান তিনি।

    বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ শাসনের আট বছর পূর্ণ হওয়াকে কেন্দ্র করে দু’দিনের এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ২০১৪ সালের পরবর্তী সময়কালকে দেশের উন্নয়ন, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং সামাজিক সুরক্ষার জন্য উত্সর্গ করেন মোদি। তিনি বলেন, “২০১৪-এর পরে দেশে সরকারি কাজের ক্ষেত্রে জনগণের হারানো বিশ্বাস ফিরে এসেছে। এই আট বছর সরকার সেবা, সুশাসন এবং গরিবের কল্যাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। এনডিএ আমলের এই আট বছর প্রান্তিক কৃষক থেকে শুরু করে শ্রমিক এবং মধ্যবিত্তের প্রত্যাশা পূরণের সময় ছিল।” 

    আরও পড়ুন: ভাষার মধ্যে বৈচিত্র্য দেশের গর্ব, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    দলের কর্মীদের উদ্দেশে মোদি জানান, এটা থেমে থাকার সময় নয়।  তিনি বলেন, “বিজেপির জন্যও আগামী ২৫ বছরের লক্ষ্য ঠিক করার এবং অবিরাম কাজ করে চলার সময় এটা। সারা বিশ্ব এখন বিরাট প্রত্যাশা নিয়ে ভারতের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে।” দলের কর্মীদের সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই কাজ করে যেতে হবে। বিরোধীরা অনেক ছোট ছোট ঘটনাকে বড় করে দেখিয়ে বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করবে, কিন্তু তাকে আমল দিলে চলবে না বলে জানান মোদি। তাঁর তোপ, ” বিরোধীদের লক্ষ্যই হল ছোট ঘটনা নিয়ে বিতর্ক তৈরি করে দেশের অগ্রগতিকে ব্যাহত করা।”

    এদিন ফের পরিবারতন্ত্রকে নিশানা করে মোদি বলেন, “বংশ পরম্পরার রাজনীতি দেশের স্বার্থ সবার উপরে রাখার বদলে ‘আমি এবং আমার’ ভাবনাকে পোক্ত করে। রাজনৈতিক দুর্নীতির এটি বড় কারণ। পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি দেশের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। তা সমূলে উপড়ে ফেলা প্রয়োজন। পারিবারিক রাজনীতির পরম্পরা রক্ষা শুধু গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করে না, দুর্বলও করে দেয়।’’ বিজেপি শুরু থেকেই পরিবারতন্ত্রের বিরোধী বলে জানান মোদি। 

  • Suvendu Letter To Modi: মমতার দাবি আদৌ সত্যি তো? খতিয়ে দেখে টাকা দিন, প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ শুভেন্দুর

    Suvendu Letter To Modi: মমতার দাবি আদৌ সত্যি তো? খতিয়ে দেখে টাকা দিন, প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PMAY) নাম বদলে রাজ্যের নামে প্রকল্প চালানো হচ্ছে। সঙ্গে ১০০ দিনের কাজেও (MNREGA) ব্যাপক দুর্নীতি করছে তৃণমূল (TMC)। এই মর্মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Modi) তিনপাতার চিঠি লিখলেন শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী। 

    বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া অর্থ দাবি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদিকে লেখা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (Pradhan Mantri Awas Yojana), ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না। অনতিবিলম্বে যাতে সেই টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়, তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন মমতা।  পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী এ-ও দাবি করেছিলেন, এই অর্থ কেন্দ্রীয় সরকার আটকে রাখার ফলে গ্রামীণ উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে।

    ঠিক ২ দিন পর, প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টা চিঠি লিখলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি অনুরোধ করলেন, টাকা দেওয়ার আগে সব দিক খতিয়ে দেখুক কেন্দ্র। শুভেন্দু জানালেন, রাজ্য সরকার যাতে সবরকম স্বচ্ছতা বজায় রাখে ও যাবতীয় প্রটোকল মেনে চলে, তা নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দফতরের আধিকারিকদের চিঠিতে অনুরোধ করেছেন তিনি।

    [tw]


    [/tw]

    প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে শুভেন্দু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের (Pradhan Mantri Awas Yojana) নাম বদলে দিয়ে “বাংলা আবাস যোজনা” (Bangla Awas Yojana) বলে রাজ্য সরকার নিজেদের নামে চালাচ্ছে। এমনকি সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ছবি বসাচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু জানিয়েছেন, এহেন কাজ শুধু যে নীতিবিরুদ্ধ তাই নয়, যে কৃতিত্বের দাবিদার রাজ্য নয়, তার দাবিও করা হচ্ছে। 

    ১০০ দিনের কাজ নিয়েও রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নন্দীগ্রামের (Nandigram) এই বিধায়ক। শুভেন্দুর মতে, ১০০ দিনের কাজ অর্থাৎ মনরেগা প্রকল্পের যে টাকা বকেয়া বলে দাবি উঠছে, সেই কাজে শাসকদল তৃণমূলের অনেকে দুর্নীতিতে যুক্ত। কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে বেনিয়ম চলে। তাই সেই টাকা যাতে কেন্দ্রের তরফে ঠিকঠাক বণ্টন হয়, সেদিকেও প্রধানমন্ত্রীকে নজর দিক। চিঠিতে এই আবেদনও করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

  • Modi QUAD Summit: বিশ্ব-বাজারের পণ্য তৈরির ভিত্তিভূমি হোক ভারত, আহ্বান মোদির

    Modi QUAD Summit: বিশ্ব-বাজারের পণ্য তৈরির ভিত্তিভূমি হোক ভারত, আহ্বান মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে আরও বেশি করে বিনিয়োগের জন্য জাপানি (Tokyo) শিল্পপতিদের আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। দেশীয় প্রযুক্তির সুবিধা নেওয়ার জন্য জাপানি ব্যবসায়ী সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বিশ্ববাসীর জন্য পণ্য তৈরির লক্ষ্যে ভারতীয় বাজারকে কাজে লাগানোর আর্জি জানান মোদি।

    দু’দিনের জাপান (Japan) সফরের প্রথম দিনে সেদেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দেখা করেন মোদি। কোয়াড শীর্ষ সম্মেলনে (QUAD Summit) যোগ দিতে সোমবার ভোরে টোকিও পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সোমবার বিকেলে এনইসি (NEC) কর্পোরেশনের চেয়ারপার্সন নোবুহিরো এন্ডোর (Nobuhiro Endo) সঙ্গে দেখা করেন তিনি। ভারতের টেলিকম যোগাযোগ ক্ষেত্রে এনইসি-র ভূমিকাকে স্বাগত জানিয়েছেন মোদি।

    শিল্প উন্নয়ন, কর এবং শ্রম-সহ ভারতে ব্যবসা সহজ করার জন্য গৃহীত বিভিন্ন সংস্কার নিয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী এবং এনইসি প্রধান। মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর এন্ডো ট্যুইটবার্তায় জানান, “আজ প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ভাল আলোচনা হয়েছে। স্মার্ট সিটিগুলিতে কী ভাবে কাজ করা যায় সে সম্পর্কে কথা বলেছি তাঁর সঙ্গে। শিক্ষা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে।” এপ্রসঙ্গে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের (MEA) মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানান, ভারতে নতুন এবং উদীয়মান প্রযুক্তির সুযোগ নিয়ে আলোচনা হয় এই বৈঠকে।

    [tw]


    [/tw]

    এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয় সুজ়ুকি মোটর কর্পোরেশনের উপদেষ্টা ওসামু সুজ়ুকি (Osamu Suzuki), সফট ব্যাঙ্ক (Soft Bank) গ্রুপ কর্পোরশনের বোর্ড পরিচালক মসোয়াসির (Masayoshi Son) সঙ্গে। পরে মোদি জাপানের শীর্ষস্থানীয় পোশাক ব্র্যান্ড ইউনিক্লোর চেয়ারম্যান, তথা সিইও তাদাশি ইয়ানাইয়ের সঙ্গে দেখা করেন। পিএম মেগা ইন্টিগ্রেটেড টেক্সটাইল অঞ্চল (PM MITRA) এবং পার্ক স্কিম নিয়ে আলোচনা হয় দু’জনের মধ্যে। প্রকল্পের অধীনে তৈরি পার্কে একটি ইনকিউবেশন সেন্টার, একটি কমন প্রসেসিং হাউস, একটি কমন ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এবং অন্যান্য বস্ত্র নির্মাণ সংক্রান্ত সুবিধা (ডিজাইন সেন্টার এবং টেস্টিং সেন্টার) থাকবে, বলে জানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ৪০ ঘণ্টার সফরে ২৩টি বৈঠক, ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে জাপানে মোদি

    জাপানের ব্যবসায়ী কর্তাদের সঙ্গে দেখা করার পর প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁদের সঙ্গে তাঁর ছবি ট্যুইট করেন। সংক্ষেপে বৈঠকের আলোচ্য বিষয়গুলিও তুলে ধরে মোদি বলেন, “টোকিওতে শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতিদের সঙ্গে কথা বলে আমি খুব খুশি। নানা বিষয় নিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা হয়। ভারতের প্রযুক্তি, উদ্যোগ, দেশীয় বাজার নিয়ে উৎসাহ প্রকাশ করেছেন সকলে। ভারতীয় যুবসমাজ এবং মোধার প্রতিও আকৃষ্ট এখানকার শিল্পপতিরা।”

  • Modi Biden Meeting: “ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আস্থার সম্পর্ক”, বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে মন্তব্য মোদির

    Modi Biden Meeting: “ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আস্থার সম্পর্ক”, বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে মন্তব্য মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টোকিওতে চলছে কোয়াড বৈঠক (Quad summit)। তারই ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের দুই রাষ্ট্রপ্রধান। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) বলেন, “ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক (India US relation) সম্পূর্ণ বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য-সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক রয়েছে। ফলে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও উন্নত হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য বিষয়েও বিভিন্ন সময় দুই দেশ একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছে।” 

    ইউক্রেনের (Ukraine) ওপর রাশিয়ার আগ্রাসনের এদিন কড়া নিন্দা করেছেন বাইডেন (Joe Biden)। এবিষয়ে ভারতের (India) অবস্থানের প্রশংসা করেছেন তিনি। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের (Ukraine Russia war) ফলে যেভাবে গোটা বিশ্বে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে সে বিষয়ে আলোচনা করেন দুই রাষ্ট্রনেতা।

    আরও পড়ুনঃ বিশ্ব-বাজারের পণ্য তৈরির ভিত্তিভূমি হোক ভারত, আহ্বান মোদির

    ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে যখন আমেরিকা হুঁশিয়ারি জারি করেছিল, যে দেশ রাশিয়াকে সমর্থন করবে তারাই আমেরিকার শত্রু হিসেবে বিবেচিত হবে। এমতাবস্থায় ভারতের রাশিয়া থেকে তেল কেনার নিন্দা করেছিল গোটা বিশ্ব। অনেকেরই মনে হয়েছিল এবার আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হবে। এই ঘটনার কোনওরকম প্রভাব যে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে পড়বে না এদিন তা পরিস্কার করেছেন বাইডেন। তিনি বলেন, কোনও দেশের রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে কিনা সেটা আমেরিকার দেখার বিষয় না।

    আরও পড়ুনঃ ৪০ ঘণ্টার সফরে ২৩টি বৈঠক, ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে জাপানে মোদি

    কোভিড (covid-19) পরিস্থিতি সামলানোর বিষয়েও মোদিকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন বাইডেন। চিন (China) যে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে অসফল হয়েছে সেকথাও এদিন বলেন মার্কিন প্রধান। 

    [tw]


    [/tw]

    জো বাইডেন আরও বলেন, “এমন অনেক কিছু আছে যা আমাদের দুই দেশ একসঙ্গে করতে পারে এবং করবেও। মার্কিন-ভারত অংশীদারিত্ব তৈরির লক্ষ্যে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” তিনি এও বলেন যে, “আমি খুশি যে আমরা ভারতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ যেমন ভ্যাকসিন উৎপাদনে সহায়তা, ক্লিন এনার্জি উদ্যোগের জন্য বিনিয়োগ করতে পেরেছি। আমি আনন্দিত যে আমরা ভারত-মার্কিন ভ্যাকসিন অ্যাকশন প্রোগ্রাম পুনর্নবীকরণ করছি।” 

    কোয়াড বৈঠকের পরে আধঘণ্টা বৈঠক করেন মোদি-বাইডেন। এর আগে শেষ এপ্রিলে একসঙ্গে হয়েছিলেন এই দুই নেতা। 

       

  • Modi-Macron: মোদি-মাক্রঁর বৈঠক, উঠল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গও

    Modi-Macron: মোদি-মাক্রঁর বৈঠক, উঠল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন দিনের ইউরোপ সফর শেষে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই তিন দিনে তিনি সাক্ষাৎ করেছেন নর্ডিক দেশগুলির রাষ্ট্র প্রধানদের সঙ্গে। এই সফরের শেষ দিনে মোদি সাক্ষাৎ করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁর সঙ্গে। প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। আলোচনা হয়েছে আরও একাধিক বিষয়ে।

    দু’ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। আসলে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ হলেও, বকলমে যুদ্ধ হচ্ছে রাশিয়ার সঙ্গে ইউরোপের ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির। এমতাবস্থায় ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার বন্ধুত্বে চিড় ধরানোর লাগাতার চেষ্টা করে যাচ্ছে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভারতকে রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি কিনতে নিষেধ করেছেন একাধিকবার। তাতে কান না দিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই চলেছে সাউথ ব্লক। এমন আবহে মোদির ইউরোপ সফর গুরুত্বপূর্ণ বই কি!

    তিন দিনের ইউরোপ সফরের শেষ দিনে ফান্সে পা রাখেন মোদি। বুধবার প্যারিসে ফরাসি প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন এলিসে প্যালেসে বৈঠকে বসেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। সেখানেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, প্রতিরক্ষা সহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিজে পুতিনকে যুদ্ধ বন্ধের আবেদন করেছেন বলে খবর। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে আদতে কোনও পক্ষেরই জয় হবে না বলেও মাক্রঁরকে জানিয়ে দিয়েছেন মোদি। যুদ্ধের দীর্ঘ মেয়াদি প্রভাবের জেরে আসলে গরিব দেশগুলির ক্ষতি হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

    মোদির ফ্রান্স ছাড়ার পরেই বিবৃতি জারি করা হয়েছে ভারতের বিদেশ সচিব বিনয় কোয়ার্ত্রার তরফে। তিনি জানান, দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বিশ্ব সহ নানা বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে। বিনয় বলেন, দুই রাষ্ট্র নেতার আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, মহাকাশ, সিভিল নিউক্লিয়ার সহযোগিতা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারত-ফ্রান্স দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপরও মাক্রঁ জোর দিয়েছেন বলেও জানান বিদেশ সচিব।     

     

     

  • India’s first 5G testbed: ভারতে পরীক্ষামূলকভাবে চালু 5G পরিষেবা, শতাব্দীর শেষেই 6G, জানালেন মোদি

    India’s first 5G testbed: ভারতে পরীক্ষামূলকভাবে চালু 5G পরিষেবা, শতাব্দীর শেষেই 6G, জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রথম পরীক্ষামূলক ৫জি পরিষেবা (5G service) চালু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। মঙ্গলবার টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (Telecom Regulatory Authority of India) বা “ট্রাই” (TRAI)-এর এক অনুষ্ঠানে এই পরিষেবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। আধুনিক প্রযুক্তির দিনে এই পরিষেবা দেশকে স্বনির্ভর হতে সাহায্য করবে বলে জানান তিনি। চলতি দশকের শেষে ভারত ৬জি পরিষেবাও (6G service) চালু করতে সক্ষম হবে বলে জানান মোদি।

    দেশবাসীর ৫জি নেটওয়ার্ক সার্ভিস ব্যবহারের আশাপূরণ করতে বিগত কয়েক বছর ধরে লাগাতার জোরকদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। ৫জি-র আগমন ঘটলে ডেটা ডাউনলোডের গতি বাড়বে প্রায় ১০ গুণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রাথমিক স্তরে এই পরিষেবা পরীক্ষামূলকভাবে চালাতে খরচ হবে আনুমানিক ২২০ কোটি টাকা। আইআইটি মাদ্রাজের নেতৃত্বে দেশের আটটি সংস্থা এই পরিষেবা রূপায়ণে বড় ভূমিকা নেয়।

    [tw]


    [/tw]

    দেশের যুবসমাজ, গবেষক এবং তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে দেশজ এই পরিষেবা গ্রহণ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, “যোগাযোগ ব্যবস্থা একটা দেশের অগ্রগতিকে নিয়ন্ত্রণ করেন। বর্তমান দিনে এই পরিষেবা প্রশাসনিক, ব্যবসায়িক এবং সামাজিক স্তরে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।” তিনি বলেন, নয়া প্রযুক্তিকে কেন্দ্র করেই যাতে টেলিকম নেটওয়ার্কগুলি নতুন করে গড়ে ওঠে, তা নিশ্চিত করতে হবে। মোদির কথায়,” এখন টেলিকম শুধু একটা সেক্টর নয়। প্রযুক্তি প্রতিটি সেক্টরকে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত করছে। তাই এখন সবাই কোলাবরেটিভ রেগুলেশন অর্থাৎ একে অপরের সঙ্গে মিলে মিশে কাজ করার কথাই ভাবছে।” 

    [tw]


    [/tw]

    প্রধানমন্ত্রীর আশা, এই দশকের শেষেই ভারতে চালু হয়ে যাবে ৬জি ইন্টারনেট (6G Internet) পরিষেবা। এ বিষয়ে সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তির উপর কাজ চলছে। একথা আগেই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনীয় অনুমতি ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞানী এবং ইঞ্জিনিয়াররা নয়া প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছেন। 

  • Modi in Europe: ইউরোপ সফরে বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের কী উপহার দিলেন মোদি?

    Modi in Europe: ইউরোপ সফরে বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের কী উপহার দিলেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন দিনের ইউরোপ সফর শেষ। এবার দেশের ফেরার পালা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi)। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস থেকে দিল্লি রওনা হয়েছেন তিনি।  

    দু’বছর পরে ফের বিদেশ সফরে গিয়ে জার্মানি, ডেনমার্ক এবং ফ্রান্সে ২৫টি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক-সহ কথা বলেছেন মোট সাত জন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে। পাশাপাশি, ওই দেশগুলিতে বসবাসকারী ভারতীয় এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সভাতেও যোগ দেন তিনি। 

    বিদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার দিকে বরাবরই জোর দেন মোদি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। খালি হাতে বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে দেখা করেননি প্রধানমন্ত্রী। দুহাত ভরে উপহার তুলে দিয়েছেন রাষ্ট্রনেতাদের হাতে, যেখানে গুরুত্ব পেয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের হস্তশিল্প। পশমিনা শাল, ডোকরার কাজ করা নৌকা, রোগান পেইন্টিং কী নেই সেই তালিকায়!

    সোমবার জার্মানিতে গিয়ে সে দেশের চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজের সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী জুন মাসে মিউনিখের বাভারিয়ায় জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির শীর্ষবৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য মোদিকে আমন্ত্রণ জানান স্কোলজ।   

    মঙ্গলবার ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে যান মোদি (Modi)। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডেরিকসেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা সংক্রান্ত বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন। পাশাপাশি, স্ক্যান্ডিনেভীয় (নর্ডিক) দেশ, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ে এবং আইসল্যান্ডের রাষ্ট্রনেতাদের একটি আলোচনা সভাতে অংশ নেন। বুধবারের এই সভাতেই বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী কিছু শিল্প নিদর্শন উপহার (Gifts) দেন মোদি। 

    ডেনমার্কের যুবরাজ ফেডরিককে ছত্রিশগড়ের ৪০০০ পুরনো ডোকরা শিল্পের কাজ করা একটি নৌকো উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী। আর রানী মার্গেটকে উপহার দেন গুজরাতের কচের রোগান সেলাই করা একটুকরো কাপড়। যুবরানীকে উপহার দেন বেনারসের ৫০০ বছর পুরনো শিল্প মিনেকারী করা রুপোর একটি পাখি।

    ফিনল্যান্ডের প্রতিনিধিকে ‘Tree of life’ উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী। এই গাছ বৃদ্ধি এবং বিকাশের প্রতীক। গাছটি পিতলের তৈরি। নরওয়ের প্রধানমন্ত্রীকে দেন রাজস্থানের বিখ্যাত কোফতগিরি কাজ করা একটি ঢাল। ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডেরিকসেনকে উপহার দেন গুজরাতের কচ্ছের এমব্রয়ডারি করা একটি ওয়াল হ্যাঙ্গিং। সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীকে দেন পশমিনা শাল। কাশ্মীরের এই পশমিনা শাল ভারতীয় আভিজাত্যের প্রতীক। 

     

     

     

LinkedIn
Share