Tag: Modi

Modi

  • Modi:  ‘আগামী ২৫ বছরে উন্নত দেশের রূপ নেবে  ভারত’! জানেন লাল কেল্লায় কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Modi: ‘আগামী ২৫ বছরে উন্নত দেশের রূপ নেবে ভারত’! জানেন লাল কেল্লায় কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২৫ বছরের মধ্যে ভারত (India) উন্নত দেশে পরিণত হবে। আজ থেকে ২৫ বছর পর ২০৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতার ১০০ বছর উদযাপন করবে। সেই সময় এক বিরল ইতিহাসের সাক্ষী থাকব আমরা। ভারতের উন্নতি এবং মানুষের ভবিষ্যত গড়ে তুলতে এই ২৫ বছর একটানা কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।  তবেই আগামী  ২৫ বছর পর ভারত উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। স্বাধীনতা দিবসে প্রায় ৮৩ মিনিট জাতির উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই দেশ কীভাবে দুর্নীতির সঙ্গে লড়াই করছে,  ‘পরিবারতন্ত্রের সঙ্গে লড়াই’ করে নিজস্বতা গড়ে তুলেছে, সে বিষয়ে বক্তব্য রাখেন মোদি। আগামী ২৫ বছর যাতে যুব সম্প্রদায় দেশের জন্য কাজ করেন, স্বাধীনতা দিবসের মঞ্চ থেকে সেই আবেদনও করেন প্রধানমন্ত্রী। 

    লালকেল্লা থেকে ভারতের ভবিষ্যতের উন্নয়নের জন্য এদিন ‘পঞ্চপ্রাণ’-এর বার্তা দিলেন মোদি। আগামী ২৫ বছরের পরিকল্পনায় কোন কোন ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে হবে, তা এদিন উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক বৃহত্তর সংকল্প গ্রহণ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সেই সব সংকল্পের মধ্যে থাকতে হবে পরিচ্ছন্নতা, টিকাকরণে অগ্রগতি, শৌচালয় নির্মাণ। এ ছাড়া ২ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: দেশকে লুট করলে খেসারত দিতে হবে! দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা মোদির

    প্রধানমন্ত্রীর দাবি, দেশকে অগ্রগতির পথে নিয়ে যেতে হলে দাসত্বের ধারনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।  মোদি বলেন, ‘দেশের প্রতিটি ভাষার জন্য আমাদের গর্বিত হওয়া উচিত’। ডিজিটাল ভারত যে ভাবে প্রসারলাভ করছে, সে কথা উল্লেখ করে মোদি বলেন, ‘স্টার্ট আপগুলোই বলে দিচ্ছে দেশের উন্নয়ন কোন পথে এগোচ্ছে।’

     প্রধানমন্ত্রীর কথায়, প্রত্যেক নাগরিককে কর্রতব্য পরায়ণ হতে হবে। নাগরিকরা কর্তব্য পালন করলে দেশের প্রগতির পথ প্রশস্ত হবে। তবে শুধু সাধারণ নাগরিক নয়, তিনি উল্লেখ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকেও কর্তব্যপরায়ণ হতে হবে।

    আন্তর্জাতিক স্তরে কোনও সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজতে হলে দেশের ঐতিহ্যকে সবার আগে গুরুত্ব  দেওয়ার কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর দাবি, শিকড়ের সঙ্গে সংযোগ থাকলেই আকাশে ওড়া সহজ হবে। পরিবেশ রক্ষার মন্ত্র দেশের ঐতিহ্যের মধ্যে লুকিয়ে আছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

    ভারতের বৈশিষ্ট্যই হল বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য। এদিন তা আবারও মনে করিয়ে দেন মোদি। মহিলাদের সম্মানের কথা উল্লেখ করে লিঙ্গ বৈষম্য থেকে দূরে সরে আসার বার্তা দিয়েছেন তিনি। আজও যে ভাবে সমাজে মহিলাদের বঞ্চনার শিকার হতে হয়, সে কথা উল্লেখ করে তিনি দেশবাসীকে বলেন, এর থেকে মুক্তি উপায় খুঁজে বের করতে হবে।

     

  • Modi in Europe: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই নরেন্দ্র মোদির ঝটিকা ইউরোপ সফর কতটা তাৎপর্যপূর্ণ?

    Modi in Europe: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই নরেন্দ্র মোদির ঝটিকা ইউরোপ সফর কতটা তাৎপর্যপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩ দিন, ৬৫ ঘণ্টা, ২৫টা মিটিং।  সংক্ষেপে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) তিনদিনের ইউরোপ সফরসূচি। 

    তিনদিনের এই ঝটিকা ইউরোপ সফরে (Modi in Europe) তিন দেশের তিন রাজধানীতে তিন রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। তালিকায় যেমন আছেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলফ স্কোলজ, তেমনি আছেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী ফ্রেডেরিকসন এবং অবশ্যই আছেন মোদির পুরনো বন্ধু তথা ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এমান্যুয়েল মাক্রঁ (Emmanuel Macron), যিনি দ্বিতীয়বার জিতে ফের ফ্রান্সের ক্ষমতায়। 

    ব্যক্তিগত ট্যুইটে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী মাক্রঁকে ‘মাই ফ্রেন্ড’ বলে উল্লেখ করে তাঁর ফ্রান্সের সফরসূচি জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। বিদেশমন্ত্রক সূত্রের খবর, মূলত ভারত-ফ্রান্সের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হবে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। আলোচনায় আসবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ও। যে ইস্যুতে ইউরোপ আর ভারতের অবস্থান আলাদা। ন্যাটো সহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে। ইউক্রেনের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। সেখানে ভারত এখনও তার নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে।

    কোপেনহেগেনে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী ফ্রেডেরিকসনের সঙ্গেও বৈঠক করবেন নরেন্দ্র মোদি। ব্যক্তিগত ট্যুইটে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভারত অপেক্ষা করছে দ্বিতীয় ইন্ডিয়া-নর্ডিক সামিটের জন্য। যেখানে নর্ডিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এছাড়াও একাধিক দ্বিপাক্ষিক বিষয় থাকতে পারে দুই দেশের শীর্ষ নেতার আলোচনায়।

    ইউরোপ সফরের শুরুতেই সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী পৌঁছলেন জার্মানির রাজধানী বার্লিনে। সেখানে চ্যান্সেলর ওলফ স্কোলজের সঙ্গে প্রথমেই বৈঠক করেন। মূলত আলোচনা হয়েছে দু’দেশের পারষ্পরিক সম্পর্ক নিয়ে। গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কোভিড পরবর্তী অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে। দুদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতির দিকেও নজর ছিল বৈঠকে।

    মূলত তিন দেশের সঙ্গেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভালো করতেই এই সফর বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী এমন একটা সময়ে ইউরোপ সফরে যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ইউরোপ আর ভারত ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে। তার প্রভাব যাতে দুই দেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্কে না পড়ে সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই নরেন্দ্র মোদির ঝড়ো ইউরোপ সফর। দম ফেলার সময় পাবেন না প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীরা। কারণ ৩ দিন ৬৫ ঘণ্টা ২৫টা মিটিং।
     
    এমন কঠোর সময়সূচীর মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে মিলিত হতেও তিনি আগ্রহী। কারণ প্রায় ১০ লক্ষ প্রবাসী ভারতীয়ই প্রতিদিন ইউরোপকে ভারত (India) দর্শন করায়। 

     

  • Sushovan Bandyopadhyay: ওনার কথা আজও মনে পড়ে! প্রয়াত চিকিৎসক সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়েকে চিঠি মোদির

    Sushovan Bandyopadhyay: ওনার কথা আজও মনে পড়ে! প্রয়াত চিকিৎসক সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়েকে চিঠি মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদ্মশ্রী প্রাপ্ত ডাক্তার প্রয়াত সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ে মন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শোকবার্তা পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। তিনি চিঠিতে লেখেন, ‘ডাক্তার সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বশ্রেষ্ঠ মানবাত্মার প্রতীক। অসংখ্য মানুষের রোগ উপশমকারী একজন দয়ালু ও উদারহৃদয় চিকিৎসক হিসেবেই তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তাঁর মৃত্যুতে আমি শোকাহত। তাঁর পরিবারের পাশে আছি। ওনার জায়গা পূরণ হওয়ার নয়। ওনার চলে যাওয়া এক অপূরণীয় ক্ষতি। উনি না থাকলেও ওনার আদর্শ এবং কাজ আমাদের মধ্যে চিরদিন থেকে যাবে।’ প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, ‘পদ্ম পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের সময় তাঁর সঙ্গে মত বিনিময়ের কথা আমার আজও মনে আছে । তাঁর প্রয়াণে আমি ব্যথিত।’ এর আগে তাঁর প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করে ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী।

    গত ২৬ জুলাই প্রয়াত হন বোলপুরের ((Bolpur) অত্যন্ত জনপ্রিয় চিকিৎসক ‘১ টাকার ডাক্তার’ (1 Rupee doctor) সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায় (Sushobhan Banerjee)। কিডনির সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন তিনি। ৮৪ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ফেলেন (Demise) তিনি। বছরের পর বছর ধরে এলাকায় এক টাকার ডাক্তার হিসাবে পরিচিত ছিলেন, সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়। বোলপুরের হরগৌরিতলায় ৫৭ বছর ধরে মাত্র এক টাকায় রোগী দেখে আসছিলেন তিনি। গরিব মানুষদের জন্য তিনি ছিলেন নিবেদিত প্রাণ।

    আরও পড়ুন: ভালো নেই সলমন রুশদি, হারাতে পারেন একটি চোখ

    ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ৩০ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিলেন ডাক্তার সুশোভন ব্যানার্জি।  গত কয়েক মাস ধরেই কিডনি সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছিলেন। ধারাবাহিকভাবে চলছিল তাঁর ডায়ালাইসিস। তবে এই ডায়ালাইসিস চলাকালীনও তিনি যতটা সম্ভব রোগীদের পরিষেবা দিয়েছেন। এরই মধ্যে ১৫-২০ দিন আগে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাঁকে ভর্তি করা হয় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সুশোভনবাবু আজীবন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট সদস্য ছিলেন। সাধারণ মানুষের আর্জি মেনে নিয়ে জীবিত অবস্থায় বোলপুরে তিনি নিজের মূর্তি উন্মোচন করেছিলেন।

  • INS Vikrant: আইএনএস বিক্রান্তের জন্য ২৬টি যুদ্ধবিমান সরাসরি কিনবে নৌসেনা?

    INS Vikrant: আইএনএস বিক্রান্তের জন্য ২৬টি যুদ্ধবিমান সরাসরি কিনবে নৌসেনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তের (INS Vikrant) জন্য ২৬টি নৌ-যুদ্ধবিমান কিনবে ভারত। প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, ফাইটার জেটের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নৌবাহনীর শক্তি বৃদ্ধি হবে। এর ফলে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে ভারত। নৌবাহিনীর সুপারিশে এই যুদ্ধবিমানগুলি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

    গত জানুয়ারিতেই গোয়ায় ভারতীয় নৌবাহিনীর পরীক্ষা কেন্দ্রে ফরাসি রাফাল-মেরিনের (Rafale-M) পরীক্ষা হয়েছে। অন্যদিকে আগামী ১৫ জুনের মধ্যে মার্কিন ‘এফ-১৮ সুপার হর্নেট’ (F-18 Super Hornet) -এর ট্রায়ালও সেরে ফেলা হবে। দুটি যুদ্ধবিমানেরই গোয়ার পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু সেগুলি এখনও ভারতের একমাত্র বিমানবাহী ক্যারিয়ার জাহাজ আইএনএস বিক্রমাদিত্যে (INS Vikramaditya) অবতরণ করেনি। কারণ বর্তমানে এই বিমানবাহী রণতরীটি রক্ষণাবেক্ষণের অধীনে রয়েছে। জুনের পরে যাত্রা শুরু করবে।

    সূত্রের খবর, আগামী ১৫ অগস্ট, স্বাধীনতা দিবসে বিক্রান্তকে আনুষ্ঠানিকভাবে নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। ২৬২ মিটার উঁচু, ৬২ মিটার চওড়া এবং ৫৯ মিটার উঁচু আইএনএস বিক্রান্তে ১,৭০০-রও বেশি নৌসেনা এবং অফিসারের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে মহিলা অফিসারদের থাকার জন্য পৃথক ব্যবস্থা। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২৮ নট (প্রায় ৫২ কিলোমিটার)। রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৯০ মিটারেরও বেশি। ‘অ্যারেস্টেড হুক’ ব্যবহার করে তেজসের মতো আধুনিক যুদ্ধবিমানও ওঠানামা করতে পারবে এই বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ থেকে।

    আরও পড়ুন: ভারতীয় নৌ, বায়ুসেনার হাতে আসছে দেশীয় “অস্ত্র”

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বৃটিশ নৌবাহিনীর জন্য তৈরি করা বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ হারকিউলিস পাঁচের দশকে কিনেছিল ভারত। নাম দেওয়া হয় আইএনএস বিক্রান্ত। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে উজ্জ্বল ভূমিকা ছিল সেই বিক্রান্তের। প্রায় ৪ দশক কাজ করার পরে নয়ের দশকের শেষপর্বে বিক্রান্ত অবসর নেয়। ভেঙে ফেলা হয় জাহাজটি। তারই স্মৃতিতে তৈরি হয়েছে প্রথম ‘ভারতীয়’ বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজটি।

    মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানান, বিক্রান্তের জন্য নতুন মোট ২৬টি যুদ্ধবিমান কেনার কথা ভাবা হচ্ছে। তার মধ্যে ৮টি টুইন সিটার প্রশিক্ষক বিমান। প্রশিক্ষক বিমানের মাধ্যমে নৌসেনার নতুন পাইলটদেরও যুদ্ধবিমান চালনার ট্রেনিং দেওয়া যাবে। তবে, এগুলি যে শুধু ট্রেনিংয়ে ব্যবহৃত হবে, তা নয়। যুদ্ধ পরিস্থিতিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে। দেশীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে ফাইটারগুলি ভারতেই রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত করা যাবে।

     

  • Modi Biden Meet: মোদি-বাইডেন বৈঠকে উঠতে পারে ইউক্রেন, গম রফতানি প্রসঙ্গ

    Modi Biden Meet: মোদি-বাইডেন বৈঠকে উঠতে পারে ইউক্রেন, গম রফতানি প্রসঙ্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে যাতে গমের আকাল তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করতে বিদেশে গম রফতানির উপর বিধিনিষেধ (Wheat export ban) জারি করেছে নয়াদিল্লি। ভারতের (India) এই অবস্থানের তীব্র সমালোচনা করেছে জি-৭ (G-7) গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি। গম রফতানি নিয়ে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটের (World Food Crisis) সমাধান প্রসঙ্গে ভারতের দিকে আঙুল তুলেছে আমেরিকা (USA)। টোকিওতে (Tokyo) মঙ্গলবার মার্কিন প্রসিডেন্ট জো-বাইডেনের (US President Joe Biden) সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) বৈঠকে তাই গম রফতানি নিয়ে কথা হতে পারে বলে মনে করছে কুটনৈতিক মহল।

    কোয়াড সামিটে (QUAD summit) যোগ দিতে সোমবার জাপানের (Japan) রাজধানী টোকিওতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২৩ এবং ২৪ মে টোকিওতে কোয়াড সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। কোয়াড সামিট ছাড়াও তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, অস্ট্রেলিয়ার নব-নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন। 

    আরও পড়ুন: ৪০ ঘণ্টার সফরে ২৩টি বৈঠক, ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে জাপানে মোদি

    আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে গত মাসেই একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এবার কোয়াড সম্মেলনের ফাঁকে মুখোমুখি মোদি-বাইডেন (Modi-Biden) বৈঠকে বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নিয়ে কথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে থাকতে পারে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকট, গম রফতানি নিয়ে ভারতের অবস্থান, সন্ত্রাসবাদ (Terrorism), ইউক্রেন সংকট (Ukraine), জলবায়ু পরিবর্তনের (Climate Change) মতো বিষয়গুলি। 

    সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফে গম রফতানির ক্ষেত্রে বড়সড় রদবদল ঘটানো হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, রফতানির তালিকায় গমকে ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করা হচ্ছে। এর জন্য রফতানি বিষয়ক নীতিতে প্রয়োজনীয় সংশোধনীও আনে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারত সরকারের এই পদক্ষেপের সমালোচনায় সরব হয় G7 গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি। তাদের বক্তব্য, যে দেশগুলি এতদিন ভারতের কাছ থেকে নিয়মিত গম আমদানি করত, নয়াদিল্লির সিদ্ধান্তে তারা বিপদে পড়বে। 

    এশিয়া বা ভারত মহাসাগরীয় (Indian Ocean region) ভূ-রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই আমেরিকার নির্ভরযোগ্য সঙ্গী ভারত। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia War) নিয়ে আমেরিকার পথে হাঁটেনি মোদি সরকার। বারবার বার্তা দেওয়ার পরেও নিরপেক্ষ অবস্থানে অটল থেকেছে ভারত। আন্তর্জাতিক মঞ্চে রাশিয়া বিরোধী কড়া অবস্থান নেয়নি। যুদ্ধের সমালোচনা করে যুদ্ধ বন্ধের বার্তা দিলেও রাশিয়ার বিরোধী কোনও পদক্ষেপ করেনি ভারত। বরং আমেরিকার চোখরাঙানি এড়িয়ে রাশিয়া থেকে তেল কেনার চুক্তিও করেছে। যা নিয়ে ভারত ও আমেরিকার সম্পর্কে সামান্য হলেও আঁচড় লেগেছে বলে মনে করেছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে মোদি-বাইডেন (Modi Biden meet) মুখোমুখি বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে কুটনৈতিক মহল।

  • Modi in Japan: ৪০ ঘণ্টার সফরে ২৩টি বৈঠক, ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে জাপানে মোদি

    Modi in Japan: ৪০ ঘণ্টার সফরে ২৩টি বৈঠক, ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে জাপানে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ‘টু জিরো টু ফোর- নরেন্দ্র মোদি ওয়ান্স মোর’, জার্মানির প্রবাসী ভারতীয়দের মতো একই আওয়াজ জাপানে (Japan)৷ সোমবার কোয়াড (Quad summit) সামিটে যোগ দিতে জাপানের রাজধানী টোকিওতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। ২৩ এবং ২৪ মে টোকিওতে (Tokyo) কোয়াড সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। জাপানে মোট ৪০ ঘণ্টা থাকবেন এবং ২৩টি বৈঠকে অংশ নেবেন মোদি। এছাড়াও ৩৫ জন জাপানি সিইও এবং প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গেও কথা বলবেন তিনি।  

    অস্ট্রেলিয়া, জাপান, আমেরিকা এবং ভারতকে নিয়ে মূলত কোয়াড সম্মেলন আয়োজিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর আগামী দুই দিন অত্যন্ত ব্যস্ততার মধ্যেই কাটতে চলেছে। মোদির সময়সূচি অনুযায়ী, কোয়াড সামিট ছাড়াও তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden), অস্ট্রেলিয়ার নব-নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন। 

    আরও পড়ুন: বাঃ! কোথা থেকে শিখলে? জাপানি শিশুর হিন্দিতে মুগ্ধ মোদি

    মোদির ২৩ তারিখের কর্মসূচি:

    প্রধানমন্ত্রী মোদিকে প্রবাসী ভারতীয়দের স্বাগত সম্বর্ধনা।
    NEC কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান নোবুহিরো এন্ডোর সঙ্গে বৈঠক।
    UNIQLO চেয়ারম্যান তাদাশি ইয়ানাইয়ের সঙ্গে বৈঠক।
    সুজুকি মোটরসের উপদেষ্টা Osamu Suzuki-র সঙ্গেও বৈঠক করবেন মোদি।
    সফটব্যাঙ্ক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট  Masayoshi Son-এর সঙ্গে দেখা করবেন।
    ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক পার্টনারশিপ সূচনা করবেন।
    জাপানের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গেও গোল টেবিল বৈঠক করবেন।
    জাপানে প্রবাসী ভারতীয়দের  সঙ্গে আলোচনা করার কথা মোদির। 

    ২৪ তারিখের কর্মসূচি: 

    কোয়াড সম্মেলনে যোগ দেবেন।
    জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে যাবেন।
    জাপানে প্রধানমন্ত্রীর আয়োজনে কোয়াড লাঞ্চে যোগ দেবেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করবেন।
    অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন।
    জাপানের  প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগার সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
    জাপান-ভারত অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
    জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং নৈশভোজ সারবেন।
    শেষে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন মোদি।

    [tw]


    [/tw]

    এদিন মোদি জাপানে পৌছতেই ‘হর হর মোদি’, ‘মোদি কি জয়’, ও ‘বন্দেমাতারাম’ ‘ভারত মাতা কী জয়’ সহ একাধিক স্লোগানে মেতে ওঠেন প্রবাসী ভারতীয়েরা। নানান প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিমানবন্দরে ভিড় করেছিলেন বহু মানুষ। তার মধ্যে বাংলা প্লাকার্ডও চোখে পড়ে৷ একটি জাপানি সংবাদপত্রে দু’ দেশের সম্পর্ক নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লেখাও প্রকাশিত হয়েছে এদিন। সেখানে মোদি লিখেছেন, ‘আমাদের সম্পর্ক শান্তি, স্থায়িত্ব এবং সমৃদ্ধির লক্ষ্যে৷ এই বিশেষ বন্ধুত্ব ৭০ বছর পূরণ করল৷’

  • Independence Day: স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী, প্রজাতন্ত্র দিবসে রাষ্ট্রপতি! জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পার্থক্য জানেন

    Independence Day: স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী, প্রজাতন্ত্র দিবসে রাষ্ট্রপতি! জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পার্থক্য জানেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৬ জানুয়ারি এবং ১৫ অগাস্ট। দু’টি দিনই ভারতের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রজাতন্ত্র দিবস এবং স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী এবং ২৬ জানুয়ারি পতাকা উন্মোচন করেন দেশের রাষ্ট্রপতি৷ এই দু’টি দিনই জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান দেখিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। কিন্তু দু’টি দিন জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান দেখানোর পদ্ধতির পার্থক্য আছে।

    স্বাধীনতা দিবসের দিন পতাকা নীচে থেকে উপর পর্যন্ত তোলা হয়। লালকেল্লায় দেশের সম্মানে পতাকা উত্তোলন (Hoist) করেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় পতাকা খুঁটির নিচের অংশে বেঁধে ওপরে ‘উত্তোলন’ করা হয়। এটি একটি স্বাধীন দেশ হিসাবে ভারতের উত্থান এবং ব্রিটিশ শাসনের অবসান চিহ্নিত করে। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট ভারত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে উঠে দাঁড়িয়েছিল। তাই স্বাধীনতা দিবসে নীচে থেকে পতাকা উত্তোলন করা হয়। যখন দেশ স্বাধীন হয় তখন ভারতে কোনও রাষ্ট্রপতি ছিলেন না ছিলেন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু।  

    আরও পড়ুন: দেশ বিভাজনের বিভীষিকা, এক যন্ত্রণার ইতিহাস

    অন্যদিকে প্রজাতন্ত্র দিবসে, জাতীয় পতাকা খুঁটির একদম শীর্ষেই বাঁধা হয় এবং স্বাধীনতা দিবসের মতো খুঁটির নীচের অংশে বাঁধা হয় না। সেটি শুধু ভাঁজ করা অবস্থায় থাকে। সেখান থেকে পতাকাকে মুক্ত করা হয়।  প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করা হয় ১৯৫০ সাল থেকে। ওই বছরের ২৬ জানুয়ারি ছিল প্রজাতন্ত্র দিবস। তত দিন ভারত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেয়ে গিয়েছে। তাই জাতীয় পতাকা সেদিন উপরেই বাঁধা থাকে। সেটির উন্মোচন (Unfurl) করা হয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে ভারতের ডানা মেলার প্রতীক ধরে। এটি একটি মুক্ত সময়কে ইঙ্গিত করে। ২৬ জানুয়ারী, ১৯৫০,  ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নেন এবং আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রপ্রধান হন। ওই দিন তিনিই পতাকা উন্মোচন করেন।  এরপর থেকেই প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী পতাকা উত্তোলন করেন আর প্রজাতন্ত্র দিবসে রাষ্ট্রপতি পতাকা উন্মোচন করেন।

  • Modi in Japan: বাঃ! কোথা থেকে শিখলে?  জাপানি শিশুর হিন্দিতে মুগ্ধ মোদি

    Modi in Japan: বাঃ! কোথা থেকে শিখলে? জাপানি শিশুর হিন্দিতে মুগ্ধ মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনেকক্ষণ ধরে হোটেলের লবিতে অপেক্ষা করছিলেন একদল খুদে। কারোর হাতে আঁকা ভারতের পতাকা, পাশে দেশনেতার ছবি। কারোর হাতে ভারতের (India) মানচিত্র। অবশেষে নামলেন তিনি। ‘মোদি মোদি’ ধ্বনিতে ভরে উঠল চত্বর। সাদরে সকলকে গ্রহণ করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। সকলের আগে এগিয়ে গেলেন তাঁর প্রিয় শিশুদের কাছেই। জাপানি বালকের হিন্দি শুনে মুগ্ধ হলেন মোদিও।

    কোয়াড শীর্ষ সম্মেলনে (QUAD Summit) যোগ দিতে সোমবার দু’দিনের সফরে জাপান (Japan) গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ টোকিওর (Tokyo) হোটেলে পৌঁছতেই ভিড়ের মধ্য থেকে এগিয়ে এসে হঠাতই তাঁর সঙ্গে হিন্দিতে কথা বলতে শুরু করে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র রিতসুকি কোবাশি (Ritsuki Kobayashi)। নিজের আঁকা ছবি ও ভারত-বন্দনা নিয়ে মোদির সামনে হাজির হন রিতসুকি। জাপানের এই শিশুটিকে হিন্দিতে কথা বলতে দেখে প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি সকলেই হতবাক হয়ে পড়েন। বিস্মিত হয়ে যান প্রধানমন্ত্রীও। পরমুহূর্তেই তাকে জিজ্ঞাসা করেন, “বাঃ!  এত ভালো হিন্দি তুমি কোথা থেকে শিখলে? কিভাবে এত সুন্দর হিন্দিতে কথা বলছ তুমি?” ওই ছাত্রের কথা এবং আঁকা দেখে মুগ্ধ হয়ে তাকে আরও এগিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহ দেন মোদি। 

    [tw]


    [/tw]

    ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অটোগ্রাফ পেয়ে খুশি জাপানি কিশোর রিতসুকিও। তার কথায়, “আমি খুব ভাল হিন্দি বলতে পারি না। তবুও উনি আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। আমার লেখাও পড়েছেন। তাই আমি ভীষণ খুশি।” শুধু রিতসুকি নয়, সেই সময় সেখানে উপস্থিত অন্য জাপানি শিশুদের সঙ্গেও কথা বলেন মোদি। 

    [tw]


    [/tw]

    শিশু-সঙ্গ বরাবরই পছন্দ মোদির। সম্প্রতি জার্মান সফরেও ছোটদের সঙ্গে মন খুলে গল্প করতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। সেখানে একটি ছোট মেয়ের হাতে আঁকা নিজের ছবি দেখে মন ভরে গিয়েছিল মোদির। তার গাল টিপে আদরও করেছিলেন। আরেক খুদের গান শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন। ছোট শিল্পীর দেশাত্মবোধক গানে তুড়ি দিয়ে তাল দিতেও দেখা গিয়েছিল মোদিকে। হাততালি দিয়ে তাকে সাধুবাদ জানিয়েছিলন। ছবিও তুলেছিলেন তার সঙ্গে।

    আরও পড়ুন: ঢোল বাজালেন প্রধানমন্ত্রী, তাল দিলেন গানে, জার্মানিতে হালকা মেজাজে মোদি

  • Boris Johnson: “রাশিয়া সম্পর্কে ভারতের অবস্থান সকলের জানা, আর সেটা বদলাবে না”, বললেন বরিস জনসন

    Boris Johnson: “রাশিয়া সম্পর্কে ভারতের অবস্থান সকলের জানা, আর সেটা বদলাবে না”, বললেন বরিস জনসন

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া নিয়ে নিজেদের অবস্থান ভারত সফরে আগত ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছে নয়াদিল্লি। আর সেই অবস্থানে যে কোনও পরিবর্তন হবে না, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর তা কার্যত স্বীকারও করে নিয়েছেন জনসন। তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়া সম্পর্কে ভারতীয়দের অবস্থান ঐতিহাসিকভাবে সকলেরই জানা। অবশ্যই তারা এ অবস্থান পরিবর্তন করতে যাচ্ছে না। এটি সত্য।’

    তবে, জনসন এটাও জানিয়েছেন, ইউক্রেনের বুচায় সাধারণ নাগরিকদের উপর নৃশংসতা চালানোর অভিযোগের বিষয়ে মোদি ‘খুব কড়া’ ভাষায় কথা বলেছেন। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পুতিনের সঙ্গে একাধিকবার কথাও বলেছেন মোদি। ভারত শান্তি দেখতে চায় এবং রুশদের ইউক্রেন থেকে বের হয়ে যেতে দেখতে চায়। আমিও এ বিষয়ে পুরোপুরি একমত।’

    অনেকেই ভেবেছিলেন, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারতকে চাপ দেবেন জনসন। কিন্তু, ভারত বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিষয়ে নয়াদিল্লির অবস্থান নিয়ে কোনও চাপ দেননি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, ‘মোদি ও জনসন ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী জনসন এ বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গির কথা বলেছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত—প্রধানমন্ত্রী মোদি আমাদের এই দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করেছেন। আলোচনায় কোনও ধরনের চাপ ছিল না।’

     

  • Hanuman Chalisa: মোদির বাসভবনের সামনে নমাজ, হনুমান চালিশা পাঠ করতে চেয়ে অমিত শাহকে চিঠি এনসিপি নেত্রীর

    Hanuman Chalisa: মোদির বাসভবনের সামনে নমাজ, হনুমান চালিশা পাঠ করতে চেয়ে অমিত শাহকে চিঠি এনসিপি নেত্রীর

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) বাসভবনের সামনে নমাজ  (Namaz), হনুমান চালিশা (Hanuman Chalisa) সহ একাধিক মন্ত্রপাঠ করার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) চিঠি দিলেন শরদ পাওয়ারের (Sharad Pawar) দল এনসিপির (NCP) এক নেত্রী। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে।
     
    মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) নামাজ বিতর্ক (namaz row) নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার পর মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) বাড়ি ‘মাতোশ্রী’র (Matoshree) বাইরে হনুমান চালিশা পাঠের হুমকি দিয়েছিলেন নির্দল সাংসদ-বিধায়ক দম্পতি নবনীত রাণা (Navneet Rana) ও রবি রাণা (Ravi Rana)। ঘটনার জেরে গ্রেফতারও করা হয় তাঁদের। 

    এরই মাঝে এই ইস্যুতে নতুন মাত্রা যোগ করলেন এনসিপি নেত্রী তথা উত্তর মুম্বইয়ের দলের কার্যকরী সভাপতি ফামিদা হাসান খান (Fahmida Hasan Khan)। সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে হনুমান চালিশা ও নমাজ পাঠের অনুমতি চেয়ে চিঠি লিখলেন অমিত শাহকে (Amit Shah)। রাজনৈতিক মহলের মতে, উদ্ধব ঠাকরের বাড়ির সামনে রাণা-দম্পতির হনুমান চালিশা পাঠ করার হুঁশিয়ারির প্রতিশোধ নিতেই এই পন্থা অবলম্বন করেছেন ওই নেত্রী। 

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখে ফামিদা আবেদন জানিয়েছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর লোক কল্যাণ মার্গের বাসভবনের সামনে একাধিক ধর্মীয়গ্রন্থ পাঠ করতে চান। এবং ধর্মগ্রন্থের যে তালিকা তিনি দিয়েছেন তা রীতিমতো দীর্ঘ। চিঠিতে ওই নেত্রী জানিয়েছেন, মোদির বাসভবনের সামনে নামাজ, হনুমান চালিশা, দুর্গা চালিশা, নমোকর মন্ত্র-সহ একাধিক ধর্মগ্রন্থ পাঠ করতে চান তিনি। এনসিপি নেত্রী আরও জানিয়েছেন, তিনি নিয়মিত হনুমান চালিশা পাঠ করে থাকেন, এমনকী বাড়িতে দুর্গা পুজোও করেন। 

    যদিও এরপরেই বিজেপি সরকার ও মোদিকে চরম কটাক্ষ করেন ফামিদা। চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘দেশে যেভাবে মূল্যবৃদ্ধি চলছে এবং বেকারত্ব বাড়ছে, তাতে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জাগানোর প্রয়োজন হয়ে উঠেছে। যদি উদ্ধব ঠাকরের হিন্দুত্ববাদীকে জাগাতে রবি রানা এবং নবনীত রানা ‘মাতোশ্রী’র বাইরে হনুমান চালিসা পাঠ করার ঘোষণা করতে পারেন, তবে প্রধানমন্ত্রীকে জাগাতে আমাকেও দিল্লিতে মোদির বাসভবনের বাইরে বসে নমাজ, হনুমান চালিশা এবং দুর্গা চালিশা পাঠের অনুমতি দেওয়া হোক।’

    মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বাড়িতে হনুমান চালিশা পাঠের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সাংসদ-বিধায়ক দম্পতি নবনীত রানা ও রবি রানা। এই ঘটনার পর তাঁদের বাড়িতে বিক্ষোভ দেখান শিবসেনা সমর্থকরা। শুধু তাই নয়, রানা দম্পতির বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করে শিবসেনা। এর পরেই নবনীত ও তাঁর স্বামীকে এক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

     

LinkedIn
Share