Tag: Modi

Modi

  • PM Modi: প্রধানমন্ত্রীর হাতে উদ্বোধন হয়ে গেল কৃষি খাতে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের, জানুন কী কী?

    PM Modi: প্রধানমন্ত্রীর হাতে উদ্বোধন হয়ে গেল কৃষি খাতে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের, জানুন কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার কৃষি (Farmers) খাতে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এগুলি হল ‘পিএম ধন ধান্য কৃষি যোজনা’ এবং ‘ডাল উৎপাদনে আত্মনির্ভরতার জন্য মিশন’। এজন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা।

    দুই প্রকল্পে ব্যয় (PM Modi)

    নয়াদিল্লির ভারতীয় কৃষি গবেষণা সংস্থায় (IARI) এক বিশেষ কৃষি অনুষ্ঠানে এই প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পিএম ধন ধান্য কৃষি যোজনার ব্যয় ২৪ হাজার কোটি টাকা। এর লক্ষ্য হল কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, ফসলের বৈচিত্র্যকরণ ও টেকসই কৃষি পদ্ধতির প্রসার, পঞ্চায়েত ও ব্লক স্তরে ফসল কাটার পর সংরক্ষণ ব্যবস্থার উন্নতি, সেচ ব্যবস্থার শক্তিশালীকরণ এবং নির্বাচিত ১০০টি জেলার কৃষকদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি ঋণপ্রাপ্তির সুবিধা সহজ করা।ডাল উৎপাদনে আত্মনির্ভরতার জন্য মিশনে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। এর উদ্দেশ্য হল ডালের উৎপাদনশীলতা বাড়ানো, চাষের এলাকা বাড়ানো, ক্রয়, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ-সহ সম্পূর্ণ ভ্যালু চেইনকে শক্তিশালী করা এবং ফসল কাটার পর ক্ষতির পরিমাণ কমানো।

    কৃষকদের সঙ্গে কথা প্রধানমন্ত্রীর

    এদিন অনুষ্ঠান চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। তিনি তাঁদের মনে করিয়ে দেন, তাঁর সরকার কৃষক কল্যাণ, কৃষিতে আত্মনির্ভরতা ও গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রতি দায়বদ্ধ। এই কর্মসূচিতে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি প্রসার, কৃষকদের ক্ষমতায়ন এবং কৃষককেন্দ্রিক নানা উদ্যোগের মাধ্যমে অর্জিত গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য উদযাপনের ওপর জোর দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী কৃষি, পশুপালন, মৎস্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে ৫ হাজার ৪৫০ কোটিরও বেশি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। তিনি প্রায় ৮১৫ কোটি টাকার অতিরিক্ত প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বলেও সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

    উদ্বোধন হওয়া বিভিন্ন প্রকল্প

    এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) যেসব প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করেন, তার মধ্যে রয়েছে বেঙ্গালুরু ও জম্মু-কাশ্মীরে কৃত্রিম প্রজনন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, আমরেলি ও বানাসে উৎকর্ষ কেন্দ্র, অসমে রাষ্ট্রীয় গোকুল মিশনের অধীনে একটি আইভিএফ ল্যাবরেটরি, মেহসানা, ইন্দোর ও ভিলওয়ারায় মিল্ক পাওডার উৎপাদন কারখানা এবং অসমের তেজপুরে প্রধানমন্ত্রীর মৎস্য সম্পদ যোজনার অধীনে একটি মাছের খাদ্য উৎপাদন কেন্দ্র। এর পাশাপাশি, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, নাগাল্যান্ড, পুদুচেরি এবং ওড়িশায় বিভিন্ন আধুনিক মৎস্য ও কৃষি পরিকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন বেশ কয়েকটি (Farmers) প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন। এর মধ্যে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলায় একটি যৌথ কোল্ড চেইন ও মানোন্নয়ন পরিকাঠামো (রশ্মি বিকিরণ) ইউনিট, উত্তরাখণ্ডে ট্রাউট মৎস্য খামার, নাগাল্যান্ডে একটি ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকোয়া পার্ক, পুদুচেরির কারাইকালে একটি স্মার্ট ও মাছ ধরার বন্দর, এবং ওড়িশার হীরাকুদে একটি অত্যাধুনিক ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকোয়া পার্ক।

    সরকারি উদ্যোগের সাফল্য

    এদিনের অনুষ্ঠানে (PM Modi) বিভিন্ন সরকারি উদ্যোগের গুরুত্বপূর্ণ সাফল্যও তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১০ হাজার কৃষক উৎপাদক সংস্থার মাধ্যমে ৫০ লাখ কৃষকের সদস্যপদ, যার মধ্যে ১ হাজার ১০০টি সংস্থা ২০২৪–২৫ সালে বার্ষিক ১ কোটি টাকারও বেশি টার্নওভার অর্জন করেছে। অন্যান্য সাফল্যের মধ্যে ছিল প্রাকৃতিক কৃষি বিষয়ে জাতীয় মিশনের অধীনে ৫০ হাজার  কৃষকের সার্টিফিকেশন, ৩৮ হাজার মৈত্রীর (গ্রামীণ ভারতের বহুমুখী কৃত্রিম প্রজনন প্রযুক্তিবিদ) সার্টিফিকেশন এবং ১০ হাজারটিরও বেশি বহুমুখী ও ই-প্যাকস ইউনিটের অনুমোদন ও কার্যকলাপ শুরু। এছাড়াও, বেশ কিছু প্রাথমিক কৃষি ঋণ সমিতি, দুগ্ধ ও মৎস্য সহায়ক সমবায় গঠন এবং শক্তিশালী করা হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১০ হাজারেরও বেশি প্রাথমিক কৃষি ঋণ সমিতি তাদের কার্যকলাপে বৈচিত্র্য এনে প্রধানমন্ত্রী কিষান সমৃদ্ধি কেন্দ্র এবং কমন সার্ভিস সেন্টার হিসেবে কাজ শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রীর আশা, এই দুই নয়া প্রকল্প ভারতের কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা, আত্মনির্ভরতা ও গ্রামীণ অর্থনীতিকে আরও মজবুত করবে বলেও এদিন আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    কী বলেছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী?

    প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবারই (Farmers) কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেন, “চাল ও গম উৎপাদনে আমরা স্বনির্ভর। কিন্তু ডাল উৎপাদনে এখনও বিদেশের ওপর নির্ভরশীল। চাহিদা মেটাতে বিদেশ থেকে প্রায় ২৫ লাখ টন ডাল আমদানি করতেই হয়। সরকারের লক্ষ্য হল আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ডাল উৎপাদনে দেশ আত্মনির্ভর হবে।” তিনি জানান, কৃষকরা যে পরিমাণ ডাল উৎপাদন করবেন, তার ১০০ শতাংশই ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দিয়ে কিনে নেবে সরকার। উৎপাদন বাড়াতে ধান ও গম চাষের জমিতে ফসল কাটা হয়ে গেলে সেটিকে ডাল চাষের জন্য ব্যবহার করা হবে। সয়াবিনের সঙ্গেও ডাল চাষ করতে উৎসাহ দেওয়া হবে কৃষকদের (PM Modi)।

  • Benjamin Netanyahu: বিশ্বে গুরুত্ব বাড়ছে মোদির, মন্ত্রিসভার বৈঠক থামিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ফোন ধরলেন নেতানিয়াহু

    Benjamin Netanyahu: বিশ্বে গুরুত্ব বাড়ছে মোদির, মন্ত্রিসভার বৈঠক থামিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ফোন ধরলেন নেতানিয়াহু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই বিশ্বনেতা হয়ে উঠছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তামাম বিশ্বে দিনের পর দিন তাঁর জনপ্রিয়তার পারা যে বাড়ছে, তার প্রমাণ আমরা পেয়েছি একাধিকবার। আবারও একবার মিলল তার প্রমাণ। বৃহস্পতিবার সিকিউরিটি ক্যাবিনেট বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu)। সেই সময় ফোন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বন্ধুর ফোন ধরতে বৈঠক স্থগিত করে দেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। গাজা শান্তি পরিকল্পনার জন্য তাঁকে অভিনন্দনও জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তার আগে ওই একই ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও কথা বলেন মোদি।

    নেতানিয়াহুকে ফোন মোদির (Benjamin Netanyahu)

    ট্রাম্পের সঙ্গে কথোপকথনের পরেই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এর পরেই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি লেখেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনার অগ্রগতির জন্য অভিনন্দন জানাতে আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে ফোন করেছিলাম। আমরা বন্দিদের মুক্তি এবং গাজার জনগণকে উন্নত মানবিক সহায়তা সংক্রান্ত চুক্তিকে স্বাগত জানাই। আমি আবারও বলেছি যে, যে কোনও রূপে সন্ত্রাসবাদ বিশ্বের কোথাও গ্রহণযোগ্য নয়।”

    ইজরায়েলের বিবৃতি

    মোদি-নেতানিয়াহু কথোপকথন প্রসঙ্গে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিদের মুক্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করার জন্য সিকিউরিটি ক্যাবিনেটের বৈঠক ডেকেছিলেন। সেই বৈঠক চলাকালীনই ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই আবহে সিকিউরিটি ক্যাবিনেটের বৈঠক থামিয়ে দিয়ে মোদির সঙ্গে কথা বলেন নেতানিয়াহু। এই কথোপকথনের সময় ইজরায়েল-ভারত বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করার বার্তা দেন নেতানিয়াহু। ইজরায়েলের প্রতি ভারতের সমর্থনের জন্য মোদিকে ধন্যবাদও জানান তিনি। উভয় নেতাই ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় কাজ চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছেন।

    এর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রকাশ্যে প্রশংসা করেছিলেন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বের। তিনি ইজরায়েল-গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিটিকে তাঁর দৃঢ় নেতৃত্বের প্রতিফলন বলেও উল্লেখ (Benjamin Netanyahu) করেন। তিনি বলেন, “আমরা আশা করি, বন্দিদের মুক্তি এবং গাজাবাসীর জন্য মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের কিছুটা স্বস্তি মিলবে এবং স্থায়ী শান্তির (PM Modi) পথ প্রশস্ত হবে। প্রসঙ্গত, যুদ্ধবিরতির এই চুক্তির অধীনে গাজায় আটক বন্দিদের মুক্তি দেবে হামাস, বিনিময়ে ইজরায়েলের গারদে আটক শত শত প্যালেস্তাইন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে (Benjamin Netanyahu)।

  • PM Modi: সুশীলা কার্কির সঙ্গে কথা মোদির, নেপালের পাশে থাকার আশ্বাস ভারতের

    PM Modi: সুশীলা কার্কির সঙ্গে কথা মোদির, নেপালের পাশে থাকার আশ্বাস ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান সুশীলা কার্কির (Sushila Karki) সঙ্গে বৃহস্পতিবার কথা বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রধানমন্ত্রীর মতে, এই আলোচনা আন্তরিক এবং গঠনমূলক। ফোনালাপের সময় প্রধানমন্ত্রী নেপালে সাম্প্রতিক মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় গভীর সমবেদনাও জানান। প্রতিবেশী দেশটিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ভারতের সহযোগিতার আশ্বাসও দেন তিনি। এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে নেপালের পাশে থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী ফের একবার সুশীলাকে ভারতের প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দেন। ১৯ সেপ্টেম্বর নেপালের জাতীয় দিবস উপলক্ষে কার্কি ও নেপালের জনগণকে শুভেচ্ছাও জানান প্রধানমন্ত্রী।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    পরে এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী মিসেস সুশীলা কার্কির সঙ্গে আন্তরিক কথোপকথন হয়েছে। সাম্প্রতিক মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় গভীর সমবেদনা জানিয়েছি এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় তাঁর প্রচেষ্টায় ভারতের দৃঢ় সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছি। এছাড়া, আগামীকাল নেপালের জাতীয় দিবস উপলক্ষে তাঁকে এবং নেপালের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি।” প্রসঙ্গত, গত ১৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কর্মভার গ্রহণের জন্য কার্কিকে অভিনন্দন জানান এবং তাঁর নিয়োগকে ‘নারী ক্ষমতায়নে’র এক উজ্জ্বল উদাহরণ আখ্যা দেন। মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন, “ভারত ও নেপাল যৌথ ইতিহাস, বিশ্বাস ও সাংস্কৃতিক বন্ধনে আবদ্ধ ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং পালাবদলের সময় নয়াদিল্লি প্রতিবেশী দেশের মানুষের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছে।” তিনি বলেছিলেন, “আমি ১৪০ কোটি ভারতীয়ের পক্ষ থেকে কার্কিকে অভিনন্দন জানাতে চাই। আমি নিশ্চিত যে তিনি নেপালে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির পথ সুগম করবেন (PM Modi)।”

    নেপালের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী

    সুশীলা কার্কি নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। তিনিই প্রথম মহিলা, যিনি নেপালের শীর্ষ আদালতের ওই পদে বসেছিলেন। অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ায় তিনিই হলেন নেপালের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রীও। প্রধানমন্ত্রী পদে তাঁর নিয়োগের কয়েকদিনের মধ্যেই নেপালে অবসান ঘটেছে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার। এই অনিশ্চিয়তার সৃষ্টি হয়েছিল সারা দেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে হওয়া জেন জেডের আন্দোলনের জেরে, কেপি শর্মা অলি পদত্যাগে বাধ্য হওয়ার পর (Sushila Karki)।

    নেপালের রাষ্ট্রপতি, শীর্ষ সামরিক কর্তারা এবং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী যুব আন্দোলনকারীদের বৈঠকের পর কার্কিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য মনোনীত করা হয়। রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাওডেল বলেন, “অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী কার্কির নেতৃত্বে গঠিত নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছ’মাসের মধ্যে নতুন সংসদীয় নির্বাচনের আয়োজন করবে (PM Modi)।”

  • PM Modi: নিলামে তোলা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর পাওয়া ১৩০০-রও বেশি উপহার, বেস প্রাইস কত জানেন?

    PM Modi: নিলামে তোলা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর পাওয়া ১৩০০-রও বেশি উপহার, বেস প্রাইস কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ-বিদেশ থেকে ১ হাজার ৩০০-রও বেশি উপহার পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এর মধ্যে রয়েছে দেবী ভবানীর একটি মূর্তি, অযোধ্যার রাম মন্দিরের একটি মডেল এবং ২০২৪ প্যারা-অলিম্পিক গেমস থেকে পাওয়া ক্রীড়া স্মারকও। বুধবার থেকে শুরু হওয়া ই-নিলামে (E Auction) তোলা হয়েছে এগুলিই। এদিনই ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৭৫তম জন্মদিন। এদিনই অনলাইনে নিলামের সপ্তম সংস্করণের সূচনা হয়েছে। এই ই-নিলাম চলবে ২ অক্টোবর পর্যন্ত।

    বেস প্রাইস (PM Modi)

    পিএম মেমেন্টোজ ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, দেবী ভবানীর মূর্তিটির বেস প্রাইস ধরা হয়েছে ১ কোটি ০৩ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা, আর রাম মন্দিরের মডেলের বেস প্রাইস ৫.৫ লাখ টাকা। সংস্কৃতি মন্ত্রকের কর্তারা জানান, এই দুটি সামগ্রী-সহ প্যারা-অলিম্পিক পদকজয়ীদের তিন জোড়া জুতো (প্রতিটি জোড়ার বেস-প্রাইস ৭.৭ লাখ টাকা) বেস প্রাইসের দিক থেকে শীর্ষ পাঁচে রয়েছে। ই-নিলামের অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের সূক্ষ্ম সূচিকর্ম করা পশমিনা শাল, রাম দরবারের একটি তাঞ্জোর চিত্রকর্ম, ধাতুর তৈরি নটরাজ মূর্তি, গুজরাটের রঙ্গন আর্টে আঁকা ‘ট্রি অফ লাইফ’ এবং হাতে বোনা নাগা শাল (PM Modi)।

    ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্প

    উল্লেখ্য, ই-নিলামের প্রথম সংস্করণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে। সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “তারপর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া হাজার হাজার অনন্য উপহার নিলামে তোলা হয়েছে, যার মাধ্যমে ৫০ কোটিরও বেশি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের জন্য।” কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং সাংবাদিকদের বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর পাওয়া ১,৩০০-রও বেশি উপহার অনলাইনে নিলামে তোলা হবে।” এসব সামগ্রী প্রদর্শিত হচ্ছে ন্যাশনাল গ্যালারি অফ মডার্ন আর্টে। আগের বছরগুলির মতো এবারও ই-নিলাম থেকে প্রাপ্ত সমস্ত অর্থ ব্যয় করা হবে ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পে। মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, “ই-নিলাম (E Auction) শুধু ইতিহাসের একটি অংশ সংগ্রহের সুযোগই নয়, বরং একটি মহৎ মিশনে অংশগ্রহণের সুযোগও — আমাদের পবিত্র নদী গঙ্গা সংরক্ষণে (PM Modi)।”

  • PM Modi: “নয়া ভারত পরমাণু হামলার হুমকিকেও ভয় পায় না”, জন্মদিনে বললেন মোদি

    PM Modi: “নয়া ভারত পরমাণু হামলার হুমকিকেও ভয় পায় না”, জন্মদিনে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এটা নয়া ভারত। এই ভারত কাউকে ভয় পায় না। নয়া ভারত পরমাণু হামলার হুমকিকেও (Nuclear Threats) ভয় পায় না। ভারতীয় সেনা ঘরে ঢুকে শত্রুদের নিকেশ করে আসতে পারে।” বুধবার ৭৫তম জন্মদিনে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন মধ্যপ্রদেশের ধর এলাকায় সরকারি একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই ফের একবার পাকিস্তান ও পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের সতর্ক করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডারের ভিডিওর কথা উল্লেখ করে মোদি বলেন, “আমাদের সেনারা পাকিস্তানের হাঁটু ভেঙে দিয়েছে।”

    জইশ কমান্ডারের স্বীকারোক্তিই ঠিক (PM Modi)

    তিনি বলেন, “জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডারের স্বীকারোক্তিই ঠিক। পাকিস্তানের চোখের পলক পড়ার আগেই অপারেশন সিঁদুরে ওদের হাঁটু ভেঙে দেওয়া হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সরকারের কাছে সর্বোচ্চ প্রাধান্য হল ভারতমাতাকে রক্ষা করা। পাকিস্তানি জঙ্গিরা আমাদের মা-বোনের সিঁদুর মুছে দিয়েছিল। আমরা অপারেশন সিঁদুরে ওদের নাম ও নিশান মুছে দিয়েছি। চোখের পলক পড়ার আগেই ওদের ধরাশায়ী করে দিয়েছে আমাদের সেনাবাহিনী।” তিনি বলেন, “গতকালই দেশ তথা তামাম বিশ্ব সাক্ষী থেকেছে আর এক জঙ্গি কীভাবে কেঁদে কেঁদে বর্ণনা দিয়েছে। জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডারই পাকিস্তানের পর্দা ফাঁস করে দিয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডারের এই স্বীকারোক্তিই প্রমাণ করে যে নতুন ভারত কেবল দৃঢ়ভাবে সন্ত্রাসের জবাবই দেয় না, বরং কারও পারমাণবিক হুমকিকেও ভয় পায় না।”

    আসিম মুনিরের হুমকি

    তিনি বলেন, “পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির পরমাণু যুদ্ধের ভয় দেখিয়ে গোটা বিশ্বকে আতঙ্কিত করার চেষ্টা করছেন। ইসলামাবাদ বলছে, ভবিষ্যতে ভারত-পাক যুদ্ধ হলে অর্ধেক দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে।” এর পরেই মোদি (PM Modi) বলেন, “নতুন ভারত এমন হুমকিকে ভয় পায় না। ভারতীয় সেনা যেভাবে পহেলগাঁওয়ে হামলা চালানো জঙ্গিদের খতম করেছে, তেমনই দেশের মাটিতে ঢুকে যারা নাশকতা চালাতে আসবে, তাদেরও ধ্বংস করবে (Nuclear Threats)।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অপারেশন সিঁদুরে আমরা জঙ্গিদের লঞ্চপ্যাড গুঁড়িয়ে দিয়েছি। জইশের জঙ্গিরাই পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিয়েছে।” প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডার মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরি বলেছিলেন, “ভারতীয় সেনার অপারেশন সিঁদুরে ভাওয়ালপুরে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে মাসুদ আজহারের পরিবার।”

    মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরির ভিডিও বার্তা

    মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরির ভিডিও বার্তায় দেখা গিয়েছে, এই জঙ্গি নেতাকে ঘিরে রয়েছেন পাক সেনার কয়েকজন আধিকারিক। অপারেশন সিঁদুরের পর এতদিন ধরে এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছিল জইশ নেতারা। এই প্রথম তাঁরা সংগঠনের বিরাট ক্ষতির কথা কবুল করে নিলেন নিজেরাই। শুধু তাই নয়, তিনি জইশের দিল্লি ও মুম্বই হামলায় সরাসরি জড়িত থাকার কথাও স্বীকার করেন। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে পাকিস্তানের বালাকোট অঞ্চলের গুরুত্বের কথাও। তিনি (PM Modi) বলেন, “তিহাড় জেল থেকে বেরিয়ে আসার পর আমির-উল-মুজাহিদিন মওলানা মাসুদ আজাহার পাকিস্তানে ফিরে আসেন। তাঁর চিন্তা ও কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বালাকোটের মাটি তাঁকে আশ্রয় দেয়। এখানকার প্রতিটি (Nuclear Threats) কণা তাঁর কাছে ঋণী। সেই আজাহারই দিল্লি ও মুম্বইকে কাঁপিয়েছিল।”

    জইশ জঙ্গিদের সৎকারে যোগ দেওয়ার নির্দেশ

    ইলিয়াসের দাবি, ‘ভাওয়ালপুরে নিহত জইশ জঙ্গিদের সৎকারে যোগ দেওয়ার নির্দেশ সরাসরি দেওয়া হয়েছিল পাক সেনার সদর দফতর থেকে। সেনাপ্রধানের নির্দেশে সেখানে পাঠানোও হয়েছিল জেনারেলদের। তার পরে পাক সেনা ঘটনাটি আড়াল করার চেষ্টা করে, যাতে ভাওয়ালপুর ও জইশের যোগসূত্র প্রকাশ্যে না আসে।’ জইশ কমান্ডারের এই স্বীকারোক্তিতে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে এসেছে। সেটি হল, অপারেশন সিঁদুরের পর পাক জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতের এই অভিযান নাড়িয়ে দিয়েছে তাদের নেটওয়ার্কের ভিত। ভিডিওতে ইলিয়াস স্বীকার করেন, ৭ মে ভাওয়ালপুরে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের সদর দফতরে ভারত যে বিমান হামলা চালিয়েছিল, তা ছিল ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ। সেখানে প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৬ জন হিন্দু পর্যটক। ভাওয়ালপুর ছাড়াও পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের আরও আটটি জঙ্গি ঘাঁটিও চোখের নিমেষে ধ্বংস করে দেয় ভারতীয় বিমান বাহিনী।

    সুস্থ নারী, শক্তিশালী পরিবার অভিযান

    এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বিজেপির সেবা পক্ষ অভিযানেরও সূচনা করেন। ফি বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন উপলক্ষে পক্ষকালব্যাপী বিজেপির নেতা-কর্মী-সমর্থকরা নানান সেবামূলক কাজ করেন। ধরের ওই অনুষ্ঠানেই তিনি জানান, দেশে শুরু হচ্ছে সুস্থ নারী, শক্তিশালী পরিবার অভিযান। এই অভিযানে বিনামূল্যে ওষুধ ও নানান টেস্টের সুবিধা পাবেন মহিলারা। এতে উপকৃত হবেন ৪ কোটিরও বেশি মহিলা। মানসিক স্বাস্থ্য, অ্যানিমিয়া ও লাইফস্টাইল সংক্রান্ত রোগের সুবিধাও মিলবে সেবা পক্ষের ওই বিশেষ শিবিরে (Nuclear Threats)। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী মেগা ইন্টিগ্রেটেড টেক্সাটাইল রিজিওন অ্যান্ড অ্যাপারেল পার্কেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ওই অনুষ্ঠানে। বলেন, “দেশের কোটি কোটি মা-বোন আমায় আশীর্বাদ করেছেন। ধরে দেশের বৃহত্তম ইন্টিগ্রেটেড টেক্সটাইল পার্ক দেশের শিল্পকে নয়া শক্তি দেবে। কৃষকরা পাবেন ন্যায্য মূল্য (PM Modi)।”

  • Tommy Robinson: “হিন্দুরা শান্তিপূর্ণ, শান্তিপ্রিয়”, বললেন মোদির ‘ফ্যান’ ব্রিটেনের টমি রবিনসন

    Tommy Robinson: “হিন্দুরা শান্তিপূর্ণ, শান্তিপ্রিয়”, বললেন মোদির ‘ফ্যান’ ব্রিটেনের টমি রবিনসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হিন্দুরা অন্যান্য অভিবাসী গোষ্ঠীর থেকে একেবারেই আলাদা। তারা ব্রিটিশদের সঙ্গে মেলামেশা করে এবং ব্রিটিশ সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। হিন্দুরা কখনওই ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায় না। তারা ব্রিটিশ পরিচয়ের ক্ষয়ক্ষতির কারণও নয়।” কথাগুলি যিনি বললেন তিনি কিন্তু ধর্মে হিন্দু নন। তাঁর নাম টমি রবিনসন (Tommy Robinson)। এই মুহূর্তে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে। কারণ লন্ডনে বৃহৎ পরিসরের অভিবাসী-বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনিই।

    ব্রিটিশের মুখে হিন্দু প্রশস্তি (Tommy Robinson)

    ভারতীয়, বিশেষ করে ব্রিটেনের (UK) হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি খুবই আলাদা ও বিশেষ মনোভাব রয়েছে তাঁর। যদিও দেশে যে বেনো জলের মতো অভিবাসীদের দল ঢুকে পড়ছে, তা নিয়ে তিনি অত্যন্ত হতাশ ও ক্ষুব্ধ তিনি। রবিনসন নিজেকে একাধিকবার হিন্দুদের সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, তারা (হিন্দুরা) ব্রিটিশ জীবনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম। হিন্দুদের তিনি বর্ণনা করেছেন ‘শান্তিপূর্ণ’ ও ‘শান্তিপ্রিয়’ অভিবাসী সম্প্রদায় হিসেবে। তাই তিনি ব্রিটিশ সংস্কৃতি ও পরিচয়ের জন্য হিন্দুদের হুমকিস্বরূপ বলে মনে করেন না।

    আমি হিন্দুদের পাশেই দাঁড়াব

    অবশ্য এই প্রথম নয়, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি টমি রবিনসনের সমর্থন গত বেশ কয়েক বছর ধরেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ২০২২ সালে এশিয়া কাপ ক্রিকেট খেলা চলাকালীন লেস্টারে ব্রিটিশ হিন্দু-মুসলিমদের মধ্য সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই সময় তিনি ঘোষণা করেছিলেন, প্রয়োজনে তিনি শত শত মানুষকে মোবিলাইজ করবেন ব্রিটিশ হিন্দুদের পক্ষে লড়াই করতে এবং তাদের রক্ষা করতে। ওই বছরই এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “কখনও কখনও ব্রিটেনে হিন্দুদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করা হচ্ছে। তবে আমি কিন্তু তাদের পাশেই দাঁড়াব।”

    ব্রিটিশ রাজনীতিকদেরও নিশানা

    ব্রিটিশ রাজনীতিকদেরও একহাত নেন রবিনসন। তাঁর অভিযোগ, ব্রিটিশ রাজনীতিকরা হিন্দুদের পাশে দাঁড়াননি, রক্ষা করেননি তাঁদের অধিকার। তিনি বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে হিন্দুদের সংগ্রাম দেখেছি। এর সঙ্গে আমার ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযানের সঙ্গে খুবই মিল রয়েছে।” হিন্দুরা কীভাবে পক্ষপাতমূলক রাজনীতির শিকার হচ্ছেন, আপোষমূলক রাজনীতির ভুক্তভোগী হচ্ছেন এবং কয়েকটি ইসলামি গোষ্ঠীর টার্গেট হচ্ছেন, তাও তুলে ধরেন এই ব্রিটিশ নাগরিক। হিন্দুদের প্রতি তাঁর আহ্বান, ‘আপনারা নির্জীব না থেকে সক্রিয়ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে বৈষম্যের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে লড়াই করুন এবং নিজেদের রক্ষা করুন (Tommy Robinson)।’

    রবিনসনের মোদি-স্তুতি

    কেবল হিন্দু নন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও ভক্ত রবিনসন। ২০২৪ সালে যখন তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে বসেন মোদি, তখন তাঁর জয় উদযাপন করেছিলেন তিনি। ভারতের রাজনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসাও করেন। একে তাঁর পপুলিস্ট মতাদর্শ ও ব্রিটেনের প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে তুলনা করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে রবিনসন কমপক্ষে দু’টি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি তাঁর সমর্থন প্রকাশ করেন (UK)। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ জোট জয়ী হয়। এর পরে কমিউনিজমের মোকাবিলা করে তৃতীয়বার এনডিএ ক্ষমতায় আসায় তাদের অভিনন্দনও জ্ঞাপন করেন রবিনসন। বিশেষজ্ঞদের মতে, রবিনসনের হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার প্রধান কারণগুলির একটি হল, এই সম্প্রদায় সাধারণত কোনও হিংসা বা ব্রিটিশ বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হয় না। এরা সম্পূর্ণভাবে দেশীয় সংস্কৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে।

    মুসলিমদের প্রতি তাঁর মনোভাব

    যদিও রবিনসনের বিরোধীদের বক্তব্য, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি তাঁর এই সমর্থন একটি পরিকল্পিত কৌশল। এটি তাঁকে এমন এক ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করে যে তিনি সম্পূর্ণভাবে অভিবাসনের বিরুদ্ধে নন, যেমনটি বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁকে তুলে ধরা হয়। বরং তাঁর প্রতিবাদ শুধুমাত্র সেই সব অভিবাসীদের বিরুদ্ধে, যাঁরা ব্রিটিশ পরিচয় ও সংস্কৃতির পক্ষে হুমকি স্বরূপ এবং যাঁরা দেশের সামাজিক বন্ধনকে নষ্ট করে হিংসায় উসকানি দেয় (Tommy Robinson)। রবিনসন তাঁর অ্যাক্টিভিজমকে মুক্ত বাকস্বাধীনতা এবং জাতীয় পরিচয়ের রক্ষাকবচ হিসেবে তুলে ধরেন। যদিও তাঁর মতাদর্শের মধ্যে স্পষ্ট, তিনি মুসলিমদের ‘আক্রমণকারী’ এবং ‘অপরাধী’ হিসেবেই চিহ্নিত করেন (UK)।

    ‘ইউনাইট দ্য কিংডম’

    প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ দক্ষিণপন্থী কর্মী রবিনসন সম্প্রতি খোদ লন্ডনে (ব্রিটেনের রাজধানী) এক বিশাল মিছিলেন নেতৃত্ব দেন। ওই মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন এক লাখেরও বেশি মানুষ। এই কর্মসূচির নাম ছিল ‘ইউনাইট দ্য কিংডম’, যা মূলত অভিবাসনবিরোধী আন্দোলন হিসেবেই পরিচিত। মনে রাখা প্রয়োজন, রবিনসনের হিন্দুদের প্রতি মন্তব্য এমন একটা সময়ে এসেছে, যখন ভারতীয় সম্প্রদায় দক্ষিণ এশিয় পরিচয় প্রত্যাখ্যান করেছে (UK)। কারণ এর মধ্যে পাকিস্তানিরাও রয়েছে। এই পাকিস্তানিরাই ব্রিটেনে গ্রুমিং গ্যাং পরিচালনা করেছিল বলে অভিযোগ (Tommy Robinson)।

  • Nepal Unrest: “আমাদের এখানে মোদির মতো একজন নেতার দরকার”, বলছেন নেপালিরা

    Nepal Unrest: “আমাদের এখানে মোদির মতো একজন নেতার দরকার”, বলছেন নেপালিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমাদের এখানে মোদির (ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) মতো একটি সরকার দরকার। এখন বলেন্দ্র শাহ আসবেন এবং সব ঠিক হয়ে যাবে।” অশান্তির আগুনে জ্বলতে থাকা নেপালে (Nepal Unrest) দাঁড়িয়ে কথাগুলি বললেন স্থানীয় এক তরুণ। তিনি বলেন, “যদি আমাদের এখানে মোদির (PM Modi) মতো একজন নেতা থাকতেন, তবে নেপাল এই অবস্থায় থাকত না। এটি বিশ্বের শীর্ষ দেশ হতো।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে নেপালের জেন জেড-এর এহেন ‘জ্বরে’ যারপরনাই খুশি বিজেপি। ভারতীয় এক সাংবাদিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নেপালি তরুণের ওই কথাগুলি ভাইরাল হয়েছে। সেটাকেই হাতিয়ার করেছে পদ্মশিবির।

    দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের জেরে উত্তাল (Nepal Unrest)

    ৯ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে ভারতের পড়শি দেশ নেপাল। জেন জেড-এর আন্দোলনের জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। দুর্নীতি, স্বজনপোষণ এবং পদ্ধতিগত ব্যর্থতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন নেপালবাসী। তার জেরেই শুরু হয় আন্দোলন। যুব-নেতৃত্বাধীন সেই বিক্ষোভে সোমবার নিরস্ত্র জনতার ওপর গুলি চালায় পুলিশ। তার পরেই মারাত্মক আকার ধারণ করে নেপালের পরিস্থিতি। অশান্তির জেরে ভারতের এই পড়শি দেশে নিহত হন কমপক্ষে ১৯ জন। জখম হন ৪০০ জনেরও বেশি। অস্থিরতার মধ্যেই পদত্যাগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখকও। এহেন অগ্নগর্ভ পরিস্থিতিতেও নেপালবাসীর মুখে শোনা যায় মোদি-প্রশস্তি।

    বিজেপির কটাক্ষ-বাণ

    বুধবার সেই ভিডিওই কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে শেয়ার করেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। ওই ভিডিওতেই এক নেপালি তরুণকে বলতে শোনা যায়, দেশে এমন একজন নেতার প্রয়োজন, যিনি দেশকে নেতৃত্ব দেবেন, ঠিক যেভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন (Nepal Unrest)। সাম্প্রতিক অতীতে বিরোধী দলনেতার বেশ কয়েকটি ভিডিওর জন্য মালব্য বলেন, “কংগ্রেস রাহুল গান্ধীকে জেনারেল জেড “যৌন প্রতীক” হিসেবে উপস্থাপনের জন্য অশ্লীল অর্থ ব্যয় করছে, যেখানে তাঁকে তাঁর পেটের পেশি প্রদর্শন, বাইক চালানো, পুশ-আপ করা বা ঘুরে বেড়ানোর (PM Modi) মতো বোকা বোকা রিল দেখানো হয়েছে।” তিনি বলেন, “কিন্তু বাস্তব ছবিটা হল, ভারতের মতো নেপালেও জেনারেল জেড প্রধানমন্ত্রী মোদির মতো একজন নেতাকে চান, যাঁর দূরদৃষ্টি, দৃঢ়তা এবং কাজ করার ক্ষমতা রয়েছে।”  মালব্যর করা (Nepal Unrest) পোস্টে সংবাদমাধ্যম থেকে একটি ভিডিওও শেয়ার করা হয়েছে, যেখানে একজন নেপালি তরুণকে বলতে শোনা যায়, তাঁদের দেশে মোদির মতো একজন নেতার প্রয়োজন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অধীনে যদি এমন সরকার থাকত, তাহলে নেপাল বর্তমানে যেখানে আছে সেখানে থাকত না। নেপাল সামনের সারিতে থাকত।”

    মোদিজির মতো নেতৃত্বের প্রয়োজন

    বিজেপির অন্ধ্রপ্রদেশের সহ-সভাপতি বিষ্ণু বরাধন রেড্ডিও একটি ভিডিও শেয়ার করে বলেন, “নেপাল থেকে উঠে আসা যুব সমাজের আওয়াজ একটাই স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে – ‘আমাদের মোদিজির মতো নেতৃত্বের প্রয়োজন।’” তিনি আরও বলেন, “এটাই হচ্ছে ১১ বছর ধরে নিবেদিত শাসন ও দূরদর্শী নেতৃত্বের বৈশ্বিক প্রভাব। সবাই চায় এমন একজন নেতা যিনি প্রধানমন্ত্রী শ্রী অ্যাট দ্য রেট নরেন্দ্র মোদিজির মতো (Nepal Unrest)।”

    ভারতের উদ্বেগ

    এদিকে, নেপালে হিংসার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন ভারত সরকার। সরকারের তরফে বিবৃতি জারি করে কেন্দ্র জানিয়েছে, নেপালের কাঠমাণ্ডু-সহ একাধিক শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে, সেদিকেও আমরা নজর রাখছি। নেপালে যে সব ভারতীয় রয়েছেন (PM Modi), তাঁদের প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। নেপালি প্রশাসনের নির্দেশ মতো চলতে অনুরোধ করা হচ্ছে ভারতীয়দের। ভারতীয়দের নেপাল যাত্রা আপাতত এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শও দিয়েছে কেন্দ্র। ভারত-নেপাল সীমান্তে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। ভারতীয়রা যাতে সে দেশে থেকেও কোনওভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেটাই নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে নয়াদিল্লি।

    ভারতে অশান্তি ছড়াতে পারে দেশ-বিরোধীরা, আশঙ্কা

    নেপালে অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে দেশে অশান্তি ছড়ানোর কৌশল নিতে পারে ভারত বিরোধীরা। সেই বিষয়েও সতর্ক নয়াদিল্লি। কড়া নজর রাখা হচ্ছে পরিস্থিতির ওপর। তবে নয়াদিল্লি শান্তি এবং স্থিতিশীলতার পক্ষে হলেও, ভারত যে নেপাল ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে কোনও পদক্ষেপ করবে না, সেটা স্পষ্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বার্তায়ই। প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নেপালের হিংসার ঘটনা হৃদয়বিদারক (Nepal Unrest)।” প্রতিবেশী দেশের অস্থিরতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নেপালের স্থিতিশীলতা, উন্নতি এবং শান্তিরক্ষা ভারতের প্রাথমিক গুরুত্ব। আমার নেপালি ভাই-বোনেদের কাছে আবেদন (PM Modi), আপনারা শান্তির পক্ষে থাকুন।” নেপালে যেভাবে একগুচ্ছ তরুণের প্রাণ চলে গিয়েছে, তাতে শোকপ্রকাশও করেন প্রধানমন্ত্রী (Nepal Unrest)।

  • India US Relation: ট্রাম্পের সুর নরম, প্রত্যুত্তর দিলেন মোদিও, বিপাকে পড়েই ভোল বদল আমেরিকার?

    India US Relation: ট্রাম্পের সুর নরম, প্রত্যুত্তর দিলেন মোদিও, বিপাকে পড়েই ভোল বদল আমেরিকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পর পর চার দিন ফোন করেছিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (India US Relation)। সেই ফোন ধরেননি দিল্লিশ্বর নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তারপর ফের একবার রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি কেনায় ভারতকে চোখ রাঙিয়ে ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারপরেও রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যায় ভারত। ট্রাম্পের হুমকিকে ‘বুড়ো আঙুল’ দেখিয়ে চিনে আয়োজিত এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই, ট্রাম্পের উদ্দেশে পুতিন সাফ জানিয়ে দেন, ভারতের সঙ্গে কেউ এধরনের আচরণ করতে পারে না। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখে মার্কিন প্রশাসন। তার ওপর মঙ্গলবার ট্রাম্পকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দেন চিনা প্রেসিডেন্টও। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব কারণেই ফের ভারতের কাছাকাছি আসার চেষ্টা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

    ‘মৈত্রী’র বার্তা মোদির (India US Relation)

    সম্প্রতি একটি পোস্টে নরেন্দ্র মোদিকে ‘প্রিয় বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প। ইঙ্গিত দেন, থমকে যাওয়া বাণিজ্য আলোচনায় নয়া গতি আসার। এবার ‘মৈত্রী’র বার্তা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং স্বাভাবিক পার্টনার। আমি বিশ্বাস করি যে আমাদের বাণিজ্য আলোচনা ভারত-মার্কিন পার্টনারশিপের অসীম সম্ভাবনাকে আনলক করার পথ প্রস্তুত করবে। আমাদের টিম এই আলোচনা দ্রুত সমাপ্ত করার জন্য কাজ করছে।” প্রধানমন্ত্রীর এহেন ট্যুইট-বার্তার ঠিক আগে আগে ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছিলেন, “আমি নিশ্চিত যে আমাদের দুই মহান দেশের সফল সমাপ্তিতে পৌঁছতে কোন সমস্যা হবে না!” তিনি লিখেছেন, আমি আশা করি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে কথা বলব। ট্রাম্পের এই বার্তার পর প্রধানমন্ত্রীও জানিয়েছেন, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে শীঘ্রই কথা বলার প্রত্যাশা করছেন। তিনি লেখেন, “আমরা এক সঙ্গে কাজ করব যাতে আমাদের উভয় দেশের মানুষের জন্য উজ্জ্বল ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যত নিশ্চিত করা যায়।”

    প্রমাদ গোণে ট্রাম্প প্রশাসন

    প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনায় ভারতীয় পণ্যের ওপর দু’দফায় ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। করা হয় জরিমানাও। ট্রাম্প ভারতকে ‘মৃত অর্থনীতি’ উল্লেখ করেন। তাঁর সহকর্মীরা ভারতকে ‘ক্রেমলিনের লন্ড্রোম্যাট’ আখ্যা দেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘মোদির যুদ্ধ’ বলে অভিহিত করেছিলেন। এর আগে ট্রাম্প নিজেই অভিযোগ করেছিলেন, ওয়াশিংটন ভারতকে হারিয়েছে সব চেয়ে অন্ধকার চিনের কাছে। চিনে আয়োজিত এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের একই মেরুতে জিনপিং-মোদি-পুতিনকে দেখে (PM Modi) প্রমাদ গোণে ট্রাম্প প্রশাসন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে (India US Relation), তার পরেই সুর নরম করতে শুরু করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সপ্তাহের শেষের দিকে তিনি তাঁর সুর নরম করে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে “বিশেষ” বলে উল্লেখ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কের গুরুত্বের কথাও তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী পাল্টা বলেন, “আমি ট্রাম্পের ইতিবাচক মনোভাব সার্বিকভাবে মূল্যায়ন এবং সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাবর্তন করছি।” মার্কিন অর্থমন্ত্রকের সচিব স্কট বেসেন্ট, যিনি রাশিয়া থেকে তেল কেনায় ভারতকে কঠোর আক্রমণ করেছিলেন, তিনিও ‘টোন ডাউন’ করে বলেন, “আমি মনে করি দিনের শেষে, দুটি মহান দেশ এই সমস্যার সমাধান করবে।”

    ভোল বদলের কারণ

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই ভোল বদলের একাধিক কারণ রয়েছে। প্রথমত, আমেরিকা বরাবর চায়, ভারত-চিন উত্তেজনা চিরকাল বজায় থাকুক। সেই চিনকে যখন রাশিয়া এবং ভারতের সঙ্গে এক সারিতে দেখল ট্রাম্প প্রশাসন, তখন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার জোগাড় মার্কিন প্রেসিডেন্টের। কারণ, ভারত, রাশিয়া ও চিন একত্রে বিশ্ব জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ এবং বিশ্ব জিডিপির প্রায় এক তৃতীয়াংশের প্রতিনিধিত্ব করে। তাদের (India US Relation) সম্মিলিত বাণিজ্য ও সামরিক শক্তি আমেরিকার সমকক্ষ, কিছু ক্ষেত্রে তার চেয়েও এগিয়ে। ‘মিস্টার প্রেসিডেন্টে’র এই ‘টোন ডাউনে’র পেছনে খানিকটা হলেও এই ভয় কাজ করেছিল যে, যদি ওয়াশিংটন শুল্ক বাড়িয়ে দেয় (PM Modi) এবং চাপ বাড়িয়ে চলে, তাহলে ভারত-রাশিয়া-চিন এক মেরুতে চলে আসবে। আর যদি তা হয়, তাহলে তা হবে আমেরিকার কাছে হুমকি স্বরূপ।

    মোদির অটল মনোভাব

    রাজনৈতিক মহলের মতে, মোদির অটল এবং একই সঙ্গে কঠোর মনোভাবও ট্রাম্পকে বাধ্য করেছে সুর নরম করতে। কারণ, ট্রাম্প যখন ভারতীয় পণ্যের ওপর চড়া শুল্ক এবং জরিমানা আরোপ করেন, তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, “ভারত কখনওই তার কৃষক, পশুপালক এবং নাগরিকদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না। ব্যক্তিগতভাবে আমায় বড় মূল্য দিতে হতে পারে, যদিও আমি তার জন্য প্রস্তুত।” প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও ট্রাম্পের নাম না নিয়ে বলেছিলেন (PM Modi), “কিছু মানুষ ভারতের উন্নয়ন সহ্য করতে পারছে না। তারা মনে করে তারা সবার বস। তাই তারা কীভাবে ভারতের এত দ্রুত উন্নয়ন মেনে নেবে (India US Relation)?”

  • PM Modi: “ওঁর অনুভূতিকে অনুভব করি”, ট্রাম্পের ‘‘বন্ধু’’ মন্তব্যের ছোট্ট প্রতিক্রিয়া মোদির

    PM Modi: “ওঁর অনুভূতিকে অনুভব করি”, ট্রাম্পের ‘‘বন্ধু’’ মন্তব্যের ছোট্ট প্রতিক্রিয়া মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় পণ্যের ওপর দু’দফায় ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ট্রাম্পের এই চড়া শুল্কনীতির জেরে এক অক্ষে চলে আসে ভারত-রাশিয়া ও চিন। এতেই প্রমাদ গোনে ট্রাম্প প্রশাসন। ঘরে-বাইরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারপরেই তিনি বলেন, “আমি সব সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) বন্ধু। নরেন্দ্র মোদি আমার বিশেষ বন্ধু। সব সময় বিশেষই থাকবেন। আমি তাঁকে খুব পছন্দ করি।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “নরেন্দ্র মোদি আমার বিশেষ বন্ধু। সব সময় বিশেষ থাকবেন। আমি তাঁকে খুব পছন্দ করি। কিন্তু এই মুহূর্তে তিনি যা করছেন, সেটা ঠিক নয়। ভারত ও আমেরিকার মধ্যে একটা বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।” ট্রাম্পের এহেন মন্তব্যের জেরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, তিনি ট্রাম্পের অনুভূতিকে অনুভব করেন।

    মোদির ট্যুইট বার্তা (PM Modi)

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য এল এমন একটা সময়ে, যখন ট্রাম্প বলেন, তিনি সর্বদা মোদির বন্ধু থাকবেন। অথচ এর ঠিক একদিন আগেই তিনি দাবি করেছিলেন, ‘আমেরিকা ভারতকে সব চেয়ে গভীর, অন্ধকার চিনের হাতে হারিয়ে ফেলেছে।’ প্রত্যুত্তরে ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনুভূতি ও আমাদের সম্পর্কের ইতিবাচক মূল্যায়নের গভীর প্রশংসা করি এবং সম্পূর্ণভাবে অনুভব করি। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি অত্যন্ত ইতিবাচক এবং ভবিষ্যৎমুখী সামগ্রিক ও বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব রয়েছে।” তবে প্রধানমন্ত্রী যখন বললেন যে তিনি ট্রাম্পের অনুভূতির “প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন”, তখন তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে তার বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করতে এড়িয়ে গিয়েছেন। যার অর্থ হল, এই সম্পর্কের উত্তাপ শিথিল করতে হলে পেছনের দিকে কিছু কাজ করতে হবে।

    ইতিবাচক বাক্য বিনিময়

    দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে ইতিবাচক (PM Modi) এই বাক্য বিনিময় এই ধারণাকে জোরালো করে যে, ট্রাম্প ও তাঁর আধিকারিকদের ভারতবিরোধী উত্তেজক মন্তব্যের ঝড় সত্ত্বেও দুই দেশের সম্পর্ক মেরামত করার দরজা এখনও খোলা রয়েছে। ট্রাম্প ও তাঁর আধিকারিকরা একাধিকবার ভারত বিরোধী মন্তব্য (Donald Trump) করলেও, ভারত সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করেনি, করেনি কোনও পদক্ষেপও। ট্রাম্পের সমালোচনাও করেনি। যদিও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে অপরিশোধিত তেল কেনায় ভারতের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ভারতের কৃষি ও দুগ্ধ খাত আমেরিকার জন্য খোলার বিষয়ে অনিচ্ছা প্রকাশ করায় আটকে গিয়েছে দুই দেশের বাণিজ্য চুক্তি, যা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে সম্পর্কের শীতলতা। শুক্রবারও ট্রাম্প ভারতকে নিশানা করে জানান, যখন তিনি চিনে অনুষ্ঠিত এসসিও (SCO) শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদির উপস্থিতির বিষয়টি উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তিয়ানজিনে হাসিমুখে একে অন্যের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ছবি প্রদর্শন করার পর আরও বিব্রত বোধ করেন ট্রাম্প।

    ট্রাম্পের বক্তব্য

    এর পরেই মোদি, পুতিন ও শি জিনপিংকে এক (PM Modi) সঙ্গে হাঁটতে দেখা যাচ্ছে এমন একটি ছবি পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প লেখেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে আমরা ভারত ও রাশিয়াকে হারিয়েছি সবচেয়ে গাঢ়, অন্ধকার চিনের কাছে। তারা যেন এক সঙ্গে দীর্ঘ ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ কাটায়!’ এরই কয়েক ঘণ্টা পরে ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করেন। তিনি জানান, সম্পর্কটি এখনও ‘বিশেষ’ এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে শক্তিশালী বন্ধন বজায় রেখেছেন। ট্রাম্প (Donald Trump) বলেন, “আমি সর্বদা (প্রধানমন্ত্রী) মোদির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখব। তিনি একজন মহান প্রধানমন্ত্রী। আমি সর্বদা বন্ধু থাকব। তবে আমি ঠিক এই বিশেষ মুহূর্তে তিনি যা করছেন তা পছন্দ করি না। কিন্তু ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। চিন্তার কিছু নেই। মাঝে মাঝে আমাদের মতবিরোধ হয় (PM Modi)।”

    ট্রাম্পের ভোল বদল

    সম্প্রতি ট্রাম্প ও তাঁর সহকারীরা ভারতের ব্যাপারে আরও সংযত ভাষা ব্যবহার করেছেন। অথচ গোটা সপ্তাহটা ধরে ভারতের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। ভারতকে “ক্রেমলিনের লন্ড্রোম্যাট”ও বলা হয়েছিল, রাশিয়া ইউক্রেন সংঘর্ষকে বলা হয়েছিল “মোদি যুদ্ধ”। গত সপ্তাহেই ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা ও ভারতের সম্পর্ক খুব ভালো। যদিও তিনি এই সম্পর্ককে “একতরফা” হিসেবে উল্লেখ করেছেন বাণিজ্য অসমতার কারণে। আমেরিকার ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টও (Donald Trump) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কের শক্তি এবং স্থায়ীত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় দিনের শেষে, দু’টি মহান দেশ এটি সমাধান করবে (PM Modi)।”

  • Donald Trump: ‘সবসময় মোদির বন্ধু’! চিনের কাছে ভারত, রাশিয়াকে হারিয়ে ফেললাম বলার পর ফের ডিগবাজি ট্রাম্পের

    Donald Trump: ‘সবসময় মোদির বন্ধু’! চিনের কাছে ভারত, রাশিয়াকে হারিয়ে ফেললাম বলার পর ফের ডিগবাজি ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ডিগবাজি ট্রাম্পের। ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এইভাবেই তিনি ভারত ও রাশিয়াকে চাপে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ট্রাম্পের এই শুল্কনীতির জবাবে ভারত, চিন ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। এরপর ট্রাম্প জানালেন, তিনি সবসময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বন্ধু। একইসঙ্গে শুক্রবারে তিনি সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করে লেখেন, “চিনের কাছে হয়ত ভারত ও রাশিয়াকে হারিয়ে ফেললাম।”

    কী লিখলেন, কী বললেন ট্রাম্প (Donald Trump)?

    নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশাল’-এ পোস্ট করে ট্রাম্প লেখেন, “দেখে মনে হচ্ছে ভারত ও রাশিয়াকে চিনের কাছে হারিয়ে ফেললাম। তাদের দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ কামনা করি।” ট্রাম্পের এই মন্তব্য ঘিরে হইচই পড়ে যায়। পরে, হোয়াইট হাউসে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে নিজের আগের বক্তব্যের ব্যাখ্যা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ফের একবার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে নয়াদিল্লিকে নিয়ে তিনি বলেন, “আমার মনে হয় না আমরা ভারতকে হারিয়ে ফেলেছি। আমি খুব আশাহত যে ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে এত তেল কিনছে। আমি সে কথা জানিয়েছি। আমরা ভারতের উপরে চড়া শুল্ক বসিয়েছি, ৫০ শতাংশ শুল্ক। আপনারা জানেন, মোদির সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভালো। কয়েক মাস আগে তিনি এখানে এসেছিলেন। আমরা রোজ গার্ডেনে গিয়ে সাংবাদিক বৈঠকও করেছিলাম।” ট্রাম্প (Donald Trump) আরও বলেন, “নরেন্দ্র মোদি আমার বিশেষ বন্ধু। সবসময় বিশেষ থাকবেন। আমি তাঁকে খুব পছন্দ করি। কিন্তু এই মুহূর্তে তিনি যা করছেন, সেটা ঠিক নয়। ভারত (India) ও আমেরিকার মধ্যে একটা বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।”

    ভারত-চিন-রাশিয়ার জোট

    আমেরিকা যখন ভারতের ওপর শুল্ক আরোপ করে চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে, ঠিক সেই সময় ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে চিন ও রাশিয়া। সম্প্রতি, সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের সামিটে অংশ নিতে চিনের তিয়ানজিনে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Donald Trump) এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেখানে তাঁরা চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিন রাষ্ট্রনেতার এই সাক্ষাৎ ও আলোচনা বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। অনেকেই মনে করছেন, এই বৈঠকের মাধ্যমে ভারত, চিন ও রাশিয়া একত্রে একটি ত্রি-শক্তির মঞ্চ তৈরি করছে, যার ফলে আমেরিকা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কিছুটা একঘরে হয়ে পড়ছে।

LinkedIn
Share