Tag: mograhat

mograhat

  • South 24 Parganas: ১০০ দিনের বকেয়া টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকলেই দিতে হচ্ছে ‘কাটমানি’, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    South 24 Parganas: ১০০ দিনের বকেয়া টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকলেই দিতে হচ্ছে ‘কাটমানি’, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মুখে ১০০ দিনের প্রকল্পের বকেয়া টাকা পাঠাতে শুরু করেছে তৃণমূল সরকার। জবকার্ড উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি প্রাপ্য টাকা পাঠানো শুরু হয়েছে। এবার সেই টাকা থেকেও ‘কাটমানি’ চাওয়ার অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার  উস্তির শ্রীচন্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপ- প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের নাম অসিত হালদার। তিনি স্থানীয় তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার উস্তির শ্রীচন্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা আফসানা বিবির জবকার্ড রয়েছে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার পরই তাঁর কাছে কাটমানি চাওয়া হয়েছে বলে দাবি তাঁর স্বামী ইসরাফিল মোল্লার। তাঁর অভিযোগ, শ্রীচন্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুমনা হালদারের স্বামী তৃণমূল নেতা অসিত হালদারের বিরুদ্ধে। ইসরাফিল স্থানীয় উস্তি থানায় অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রাজ্য সরকারের পাঠানো ৩২৬৪ টাকা জমা পড়ার পরই ২ হাজার টাকা চান উপপ্রধানের স্বামী অসিত হালদার। টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমাকে ও আমার স্ত্রীকে মারধর ও প্রাণে মারার হুমকি দেন অসিত। পুলিশের কাছে যথাযথ নিরাপত্তার আবেদন জানিয়েছি। কাটমানি চাওয়ার অভিযোগের পাশাপাশি জব কার্ড হোল্ডারের তালিকায় ওই তৃণমূল নেতার এবং উপ প্রধানের নাম রয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

    আরও পড়ুন: ‘রাজ্যের জন্য থমকে কৃষ্ণনগর-করিমপুর রেল প্রকল্পের কাজ”, বললেন জগন্নাথ সরকার

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অসিত হালদার বলেন, যখন ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে ছিল আমি শ্রমিকদের পারিশ্রমিক নিজের পকেট থেকে ধার দিয়েছি। এখন রাজ্য সরকার সেই টাকা জব কার্ড হোল্ডারদের দেওয়ায় আমার পাওনা টাকাই চেয়েছি। এতে দুর্নীতির কিছু নেই। একইসঙ্গে দলের স্থানীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার হয়েছি আমরা। জবকার্ডে নাম নিয়ে তিনি বলেন, তালিকা তৈরির সময় আমার স্ত্রী উপপ্রধান ছিলেন না। তিনি ছিলেন পঞ্চায়েতের একজন সাধারণ সদস্য মাত্র। তাই তখন থেকেই আমাদের নামেও জব কার্ড রয়েছে। এতে দুর্নীতির কিছু নেই। এ বিষয়ে মগরাহাট পশ্চিম যুব তৃণমূল সভাপতি ইমরান হাসান বলেন, “যদি ওই উপপ্রধানের স্বামী অন্যায় কিছু করে থাকেন তবে দল নিশ্চয়ই তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। তৃণমূল কংগ্রেস কখনওই দুর্নীতির সঙ্গে আপোস করে না”।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gram Panchayat Election: মগরাহাটে দলীয় নেতার বিরুদ্ধে অবস্থান বিক্ষোভে তৃণমূল কর্মীরা, কেন জানেন?

    Gram Panchayat Election: মগরাহাটে দলীয় নেতার বিরুদ্ধে অবস্থান বিক্ষোভে তৃণমূল কর্মীরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের নির্দেশকে অমান্য করে গ্রাম পঞ্চায়েতে (Gram Panchayat Election) প্রধান গঠনের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। এরই প্রতিবাদে শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট পূর্ব বিধানসভার মুলটি অঞ্চলের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা।

    গ্রাম পঞ্চায়েতে (Gram Panchayat Election) প্রধান গঠনকে কেন্দ্র করে ঠিক কী অভিযোগ?

    গত ১০ তারিখ মগরাহাট পূর্ব বিধানসভার মুলটি গ্রাম পঞ্চায়েতে (Gram Panchayat Election) প্রধান গঠনের দিন ধার্য হয়েছিল। আর এই প্রধান গঠনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল গোটা এলাকায়। পাশাপাশি ভোটাভুটির মাধ্যমে জয়ী প্রার্থী নাসির মণ্ডলকে প্রধান না করায় এদিন তৃণমূল বিধায়িকার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে দলেরই কর্মী সমর্থকরা। মূলত মগরাহাট পূর্ব বিধানসভার মুলটি পঞ্চায়েতের প্রধানের পদটি জেনারেল। সেখানেই দলীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেয় ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রধানের জন্য নাম মনোনীত হবে। আর সেখানেই দলের নির্দেশ মতো বিধায়িকার উপস্থিতিতে প্রধানের পদের জন্য জয়যুক্ত হয় নাসির মণ্ডল। কিন্তু, পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করতে গিয়ে দেখা যায়, মুলটি অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় দলের নির্দেশকে অমান্য করে কালিদাস নস্কর নামে এক ব্যক্তিকে প্রধান করেন। এরপরই বিক্ষোভে সামিল হন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকেরা। মূলত মুলটি অঞ্চলের ২৩ টি আসন ছিল। যারমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ১৬ টি, বিজেপি পাঁচটি ও সিপিএম দুটি আসন দখল করেছিল। তবে, এ নিয়ে মগরাহাট পূর্বের বিধায়িকা নমিতা সাহা জানিয়ে ছিল দলের নির্দেশ যারা অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নেবে এবং সাসপেন্ডও করা হতে পারে।

    কী বললেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা?

    দলের নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্ষুব্ধ দলেরই একাংশ। পঞ্চায়েত অফিসের সামনে প্যান্ডেল করেই তৃণমূল কর্মীরা অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। তৃণমূল যুব নেতা আনিসুর রহমান বলেন, দলের নির্দেশ অমান্য করেই গ্রাম পঞ্চায়েতে (Gram Panchayat Election) প্রধান নির্বাচিত করা হয়েছে। আমরা এই প্রধানকে মানি না। দলের নির্দেশ মেনে যাকে প্রধান করা হয়েছিল, তাকেই দায়িত্ব দিতে হবে। না হলে আমাদের অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি চলবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share