Tag: Mohammed Yunus

  • India Bangladesh Relation: বাংলাদেশের অস্থির অবস্থার জন্য ভারত দায়ী নয়! স্পষ্ট বার্তা দিল্লির

    India Bangladesh Relation: বাংলাদেশের অস্থির অবস্থার জন্য ভারত দায়ী নয়! স্পষ্ট বার্তা দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation) অস্থির অবস্থার জন্য কোনওভাবেই ভারত দায়ী নয়। এটা আসল সমস্যা থেকে ঢাকার নজর ঘোরানোর চেষ্টা, বলে স্পষ্ট জানাল ভারত। বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের সাম্প্রতিক অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। ইউনুসের দাবি ছিল, ভারত বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য দায়ী। কিন্তু সাউথ ব্লক স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, এ ধরনের মন্তব্য দায়িত্ব এড়ানোর কৌশল ছাড়া কিছু নয়।

    প্রকৃত সমস্যা থেকে দূরে

    বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল বলেন, “আইনশৃঙ্খলা এবং শাসনব্যবস্থার দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের। যদি কেউ বলে বাইরের শক্তি এই সমস্যার জন্য দায়ী, তাহলে সেটা আসলে প্রকৃত সমস্যার দিক থেকে মনোযোগ সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা। এই ধরনের বিবৃতি দায়িত্ব এড়ানোর জন্য, সমস্যার সমাধান নয়।” সম্প্রতি ইউনুস নাগরিক ঐক্যের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে এক বৈঠকে ভারতকে “বাংলাদেশ ধ্বংসে সচেষ্ট” বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “আমরা গভীর সঙ্কটে রয়েছি। ভারত এই পরিবর্তন মেনে নিতে পারছে না। যদি সুযোগ পায়, একদিনেই আমাদের ধ্বংস করে দেবে।”

    বাংলাদেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে

    প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের মতে, আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ ঘোষণার পর “একটি নতুন যুদ্ধ পরিস্থিতি” তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের অগ্রগতি থামানো, দেশকে পতনের মুখে ঠেলে দেওয়া, এবং আবারও পরাধীনতার দিকে নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।” এর তীব্র প্রতিবাদ করে রনধীর জয়সওয়াল বলেন, “বাংলাদেশে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন যত দ্রুত সম্ভব আয়োজন করা দরকার, যাতে জনগণের মতামত প্রতিফলিত হয়। তা না করে বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation) অন্তর্বর্তী সরকার পুরো বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা ক্রমশ চরমে পৌঁছাচ্ছে।” ইউনুস জানিয়েছেন, আগামী ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে জুন ২০২৬-এর মধ্যে নির্বাচন করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। তবে বিএনপি, দেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী বিরোধী দল, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। এর মধ্যে ভারতের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশেই প্রবল বিক্ষোভের মুখে মহম্মদ ইউনূস, পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙল জনতা

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশেই প্রবল বিক্ষোভের মুখে মহম্মদ ইউনূস, পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙল জনতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশেই বিক্ষোভের মুখে মহম্মদ ইউনূস (Mohammed Yunus)। ঢাকায় পালাবদলের ঠিক ৬ মাসের মাথায় এই ঘটনা ঘটল। (Bangladesh Crisis) নজিরবিহীনভাবেই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানকে। আজ, মঙ্গলবার সকাল থেকেই মহম্মদ ইউনূসের বাড়ির সামনে চলছে বিক্ষোভ। জানা গিয়েছে, চিকিৎসা পরিষেবা পেতে ও পুনর্বাসনের দাবিতেই এই বিক্ষোভ শুরু করেছে জনতা। বাংলাদেশের পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মহম্মদ ইউনূসের বাড়ির সামনে রাস্তায় শুয়ে পড়ে প্রতিবাদ চলছে।

    গতকাল রাতেও তিতুমীর কলেজে বিক্ষোভ (Bangladesh Crisis)

    এর আগে, সোমবার রাতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে সরকারি তিতুমীর কলেজেও পড়ুয়ারাও। তাঁদের দাবি, কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করতে হবে। যদিও সোমবার রাতে এই বিক্ষোভ তুলে নেয় পড়ুয়ারা। পড়ুয়ারা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ‘‘যতক্ষণ পর্যন্ত দাবি আদায় না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। অবরোধ চলাকালীন জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া অ্যাম্বুলেন্স ও রোগী পরিবহণের গাড়ি ছাড়া অন্য কোনও গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না।’’ এরপর রাতেই পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মহম্মদ নুরুজ্জামান। তিতুমীর কলেজের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতির জন্য নির্বাচিত সরকার গঠন হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন তিনি। সেই পরামর্শ মেনে নেন আন্দোলনকারীরা (Bangladesh Crisis)।

    কী কারণে এই বিক্ষোভ?

    গত বছরের জুলাই-অগাস্টে উত্তাল বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) একশোর বেশি মানুষের মৃত্যু হয় ও ১০০০ জনেরও বেশি আহত হন। এরপর জামাত-বিএনপির মদতে দখল হয় গণভবন। বাংলাদেশ ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট ভারতে পালিয়ে আসেন তিনি। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে যে বিক্ষোভ চলছে, তা আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবিতে। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, ‘‘জীবনের কোনও মূল্য নেই, কারও চোখে, কারও হাতে গুলি লেগেছে, কারও দেহের অঙ্গ বাদ দিতে হয়েছে। এই সরকার পুনর্বাসন, উন্নতমানের চিকিৎসা পরিষেবা, নায়কের মর্যাদা না দিলে এই সরকার থাকবে না।’’

  • Bangladesh Crisis: আরও বিপাকে ইউনূস! আমেরিকার পর বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করল সুইৎজারল্যান্ডও

    Bangladesh Crisis: আরও বিপাকে ইউনূস! আমেরিকার পর বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করল সুইৎজারল্যান্ডও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণ আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশে পণ্য সরবরাহে বিঘ্ন ঘটেছে। দেশের ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও সঙ্কট দেখা দিয়েছে। নগদ টাকার জোগানে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) হাল ফেরাতে সক্ষম হয়নি, বলেই অভিমত বিশেষজ্ঞদের। এরই মধ্যে বাংলাদেশে সমস্ত আর্থিক সহায়তা বন্ধের ঘোষণা করে দিল সুইস সরকার। বিশ্বের উচ্চবিত্ত দেশগুলির মধ্যে অন্যতম সুইৎজারল্যান্ড (Switzerland)। আমেরিকার (US) পর এবার বাংলাদেশের মাথা থেকে হাত সরিয়ে নিল তারাও।

    কেন এই সিদ্ধান্ত

    উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক আর্থিক সহযোগিতায় টাকা ঢালা কমাতে উদ্যোগ নিয়েছে সুইৎজারল্যান্ডের (Switzerland) সংসদ। আর সেই সূত্র ধরেই চলতি বছরে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাজেট থেকে ১২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সরিয়ে নিল তারা। পাশাপাশি, ২০২৬ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাজেট থেকে ছেঁটে দেওয়া হল ৩৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই ত্রাণ বন্ধের জেরেই এবার বিপাকে পড়তে চলেছে বেশ কয়েকটি দেশ, যার মধ্যে অন্যতম ‘ইউনূসের বাংলাদেশ’। সুইস ফেডারেল কাউন্সিল সূত্রে জানা গিয়েছে, সংসদের এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ-সহ (Bangladesh Crisis) প্রভাব পড়বে আলবানিয়া ও জামবিয়াতেও। তাদের আরও দাবি, আপাতত ২০২৮ সাল পর্যন্ত এই সহযোগিতা চালানো হবে। কিন্তু তারপর থেকে আর কোনও রকম আর্থিক সহযোগিতা পাবে না এই দেশগুলি।

    ইউনূসের বৈঠক ব্যর্থ

    সম্প্রতি সপার্ষদ সুইৎজারল্যান্ড সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস৷ সুইৎজারল্যান্ডে সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন স্তরে তিন দিনে ৪৭টি বৈঠক করেছিলেন ইউনূস৷ সেই বৈঠকগুলি দারুণ ফলপ্রসূ হয়েছে বলেও জানায় বাংলাদেশ সরকার৷ কয়েকদিন যেতে না যেতে বাংলাদেশের সেই আশায় জল ঢেলে দিল সুইস সরকার৷ তারা জানিয়েছে, দ্বিপাক্ষিক সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশে যে প্রকল্পগুলি সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কোঅপারেশন চালাচ্ছিল, ২০২৮ সালের মধ্যে সেই সমস্ত প্রকল্প গুটিয়ে নেবে তারা৷

    ট্রাম্প সরকারের ধাক্কা

    ভারত-বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) চাপানউতোরের মধ্যেই এর আগে ঢাকার ওপর চাপ বাড়িয়েছে আমেরিকা (US)। মার্কিন নির্বাচনের প্রচারে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর আক্রমণ নিয়ে সরব হয়েছিলেন ট্রাম্প। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে বসেই বড় ঘোষণা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই আমেরিকার ডোনার এজেন্সি ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) বাংলাদেশে তার অর্থ সাহায্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলাদেশে স্বাস্থ্যক্ষেত্রের উন্নতিতে কয়েকশো কোটি টাকা সাহায্য করে আমেরিকা। স্বাভাবিকভাবেই এর ফলে আরও বিপাকে ইউনূস সরকার। বাংলাদেশে পরিবেশ, শিক্ষা, কৃষকদের জন্য রোজগারে বিপুল অর্থসাহায্য করে আমেরিকা। পাশাপাশি, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে রাখার জন্য টাকা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এবার থেকে সেই সুবিধা আর পাবেন না মহম্মদ ইউনূসের সরকার।

    অর্থনৈতিক অচলাবস্থা পদ্মা পাড়ে

    শেখ হাসিনা বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) ছাড়ার পর থেকে কার্যত অচলাবস্থা শুরু হয়েছে পদ্মা পাড়ে। বাংলাদেশের টাকার দামও পড়ছে লাগাতার। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক টাকা তোলার যে সীমা বেঁধে দিয়েছে, তার আওতায় একদিনে ২ লক্ষের বেশি টাকা তুলতে পারবেন না নাগরিকরা। ঢাকার পাইকারি বাজারে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি করা যাবে না বলে নির্দেশ এসেছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ফলে আমদানিকৃত পণ্যেরও দামও বাড়াতে পারছেন না, আবার আগের মতো বেশি সংখ্যক মানুষও আসছেন না বাজারে। ফলে ব্যবসায় লাভ নেই বলে অভিযোগ উঠে আসছে। গত কয়েক মাসে শহরাঞ্চলগুলি যদিও বা ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে, গ্রামাঞ্চলের পরিস্থিতি বেশ থমথমে।

    কী ভাবছেন অর্থনীতিবিদরা

    বাংলাদেশের রাজকোষে (Bangladesh Crisis) সঞ্চিত অর্থ নিয়েও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সঞ্চিত বিদেশি মুদ্রা দিনে দিনে কমছে। যদিও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া নিয়ে আশাবাদী। তবে আশার আলো দেখছেন না অর্থনীতিবিদরা। তাঁদের মতে, মূদ্রাস্ফীতি কমাতে অবিলম্বে বাংলাদেশ সরকারকে সরবরাহ বাড়াতে হবে, কমাতে হবে আমদানিকৃত শুল্কের উপর বসানো করের হার। বন্দরগুলিকে আবারও আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আন্তর্জাতিক স্তরে বিদেশি সাহায্যের বিষয়েও ভেবেচিন্তে পদক্ষেপ করতে হবে ইউনূস সরকারকে।

LinkedIn
Share