Tag: Mohon Bagan

Mohon Bagan

  • Mohun Bagan vs Mumbai City: ইতিহাসের রঙ সবুজ-মেরুন, মুম্বইকে হারিয়ে লিগ শিল্ড জয় মোহনবাগানের

    Mohun Bagan vs Mumbai City: ইতিহাসের রঙ সবুজ-মেরুন, মুম্বইকে হারিয়ে লিগ শিল্ড জয় মোহনবাগানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নববর্ষে সবুজ-মেরুন জনতাকে লিগ শিল্ড উপহার দিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। সোমবার যুবভারতী জুড়ে শুধুই মোহনবাগান। ঘরের মাঠে মোহনবাগান-মুম্বই সিটি (Mohun Bagan vs Mumbai City) ম্যাচ কার্যত পেত্রাতোসদের কাছে ছিল ফাইনাল। আইএসএলে সোমবারের আগে পর্যন্ত আটবার মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। তার মধ্যে ছবারই জিতেছে মুম্বই সিটি এফসি। দুটি ম্যাচ ড্র হয়েছে। পরিসংখ্যান দেখে দোলাচলে ছিল সবুজ-মেরুন জনতা। কিন্তু এদিন মাঠে সমস্ত পরিসংখ্যানকে উপড়ে ফেললেন কামিংস-কোলাসোরা। ২-০ গোলে মুম্বই সিটি এফসি-কে উড়িয়ে দিল মোহনবাগান। জিতে নিল লিগ শিল্ড।

    প্রথম থেকেই দাপট মোহনবাগানের

    এদিন প্রথম থেকেই ঘর সামলে আক্রমণের ঝড় তোলার চেষ্টা করছিল দুই দল। অঙ্ক কষে প্রতিটি ইঞ্চি দখলের দুই দলের প্রাণান্তকর লড়াই তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করল যুবভারতী। আইএসএল লিগ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হতে মুম্বইয়ের দরকার ড্র। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের দরকার জয় (Mohun Bagan vs Mumbai City)। নিঃসন্দেহে সবুজ-মেরুনের তাগিদ ছিল বেশি। ২০ মিনিটে অনিরুদ্ধ থাপার সেন্টার থেকে লিস্টন কোলাসোর হেড পোস্টের তলায় লেগে প্রতিহত হওয়ার পর গ্যালারিতে উপস্থিত হাজার পঞ্চান্ন দর্শকের হা-হুতাশ। কঠিন ম্যাচে দিনের সহজতম সুযোগ নষ্টের আক্ষেপ। কয়েক মিনিটের ব্যবধান, জনগর্জনে ফেটে পড়ল যুবভারতী। ২৯ মিনিটে দিমিত্রি পেত্রাতোসের আউটস্টেপ দিয়ে বাড়ানো বল ধরে লিস্টন কোলাসো, মেহতাব সিংকে দু’বার কাটিয়ে সোয়ার্ভিং শটে অন্যতম সেরা গোল করলেন। প্রথমার্ধে এক গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। বিরতির আগে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন মুম্বইয়ের ছাংতে। তিনি সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেন।

    হাবাসের অস্ত্র

    ডাগ-আউটে আন্তেনিও লোপেজ হাবাস ফিরতেই মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan vs Mumbai City) আরও শানিত। বিরতির পরে মুম্বই ঝাঁপিয়ে পড়বে এটা জানতেন হাবাস। কিন্তু তাঁর দল এদিন সব ধরনের চ্যালেঞ্জের জন্যই তৈরি ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে সাদিকু ও কাউকোকে তুলে নিয়ে কামিন্স ও হ্যামিলকে নামান হাবাস। সেই কামিন্সই ২-০ করে যান। পেত্রাতোসের কাছ থেকে বল পেয়ে দুর্দান্ত রিসিভ করেন অজি তারকা। তার পরে বাঁ পায়ের দুরন্ত ফিনিশ। ওরকম গোল দেখার জন্য কয়েক মাইল পথ হাঁটা যায়। ৮৯ মিনিটে ছাংতে ব্যবধান কমান মুম্বইয়ের হয়ে। ৯০ মিনিটে ব্রেন্ডন হামিল লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে যান। ৮ মিনিট সংযুক্ত সময় দেন রেফারি। বাকি সময়টা ১০ জনের মোহনবাগানকে পেয়েও অবশ্য গোল করতে পারেনি মুম্বই সিটি এফসি। প্রথম বার আইএসএল লিগ-শিল্ড জিতে ইতিহাস রচনা করল মোহনবাগান। এই জয়ের ফলে পরের মরশুমে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর গ্রুপ পর্বে সরাসরি খেলার সুযোগও পেয়ে গেল মোহনবাগান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Samar ‘Badru’ Banerjee: আর বাড়ি ফেরা হল না! প্রয়াত কিংবদন্তি ফুটবলার বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়

    Samar ‘Badru’ Banerjee: আর বাড়ি ফেরা হল না! প্রয়াত কিংবদন্তি ফুটবলার বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় একমাস অসুস্থ ছিলেন। এসএসকেএম-এ চিকিৎসা চলছিল। তবে সুস্থ হয়ে আর ফেরা হল না কিংবদন্তি বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রয়াত হলেন প্রাক্তন অলিম্পিয়ান সমর বন্দ্যোপাধ্যায়। ময়দানে যিনি বদ্রু নামেই পরিচিত ছিলেন। শুক্রবার রাত ২টো ১০ মিনিটে এসএসকেএম হাসপাতালে প্রয়াত হন তিনি। ফুটবলারের বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। 

    স্বাস্থ্যের ক্রমশ অবনতি হওয়ার জন্য গত ২৭ জুলাই বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বদ্রু। অ্যালঝাইমার্স, উচ্চ রক্তচাপ এবং অ্যাজোটেমিয়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। গত কয়েক দিনে অবস্থার আরও অবনতি হয়েছিল। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল তাঁকে।

    হাওড়ার বালিতে জন্ম। সেখানেই ফুটবলের প্রাথমিক পাঠ। ফুটবলে হাতেখড়ি বালি হিন্দু স্পোর্টিং ক্লাব এবং বালি ওয়েলিংটন ক্লাবে। ১৯৪৮-এ বালি প্রতিভা স্পোর্টিং ক্লাব কলকাতা ফুটবল লিগের তৃতীয় ডিভিশনে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। এরপর বিএনআর হয়ে মোহনবাগানের জার্সি গায়ে তোলেন কিংবদন্তী এই ফুটবলার। ১৯৫২ থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত সাত বছর মোহনবাগান ক্লাবের হয়ে খেলেছিলেন বদ্রু। মোহনবাগানের হয়ে ট্রফির বন্যা বইয়ে দিয়েছেন। ডুরান্ড কাপ জিতেছেন ১৯৫৩-এ। কলকাতা ফুটবল লিগ জিতেছেন চারবার (১৯৫৪, ১৯৫৫, ১৯৫৬, ১৯৫৯)। তার নামের পাশে আইএফএ শিল্ড তিনবার (১৯৫২, ১৯৫৪, ১৯৫৬)। রোভার্স কাপ জিতেছেন ১৯৫৬-এ।

    আরও পড়ুন: বাইশ গজকে বাই বাই! লর্ডসেই কি শেষ ম্যাচ ঝুলনের?

    ১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন অলিম্পিক্সে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি। ১৯৫৬ মেলবোর্ন অলিম্পিকে ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক ঘোষিত হন তিনি। দেশের হয়ে জিতেছেন কলম্বো কাপ-ও। বদ্রুর প্রয়াণে ক্রীড়ামহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তাঁর প্রয়াণে শোকবার্তা পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোক জ্ঞাপন করা হয়েছে মোহনবাগান ক্লাবের তরফেও।

LinkedIn
Share