Tag: Mohun Bagan

Mohun Bagan

  • Mohun Bagan: পর পর দু’বার! দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই আইএসএল লিগ-শিল্ড জয়ের ইতিহাস মোহনবাগানের

    Mohun Bagan: পর পর দু’বার! দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই আইএসএল লিগ-শিল্ড জয়ের ইতিহাস মোহনবাগানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাকি তিন ম্যাচের মধ্যে প্রয়োজন ছিল একটি জয়। আর অপেক্ষা নয়, ঘরের মাঠেই সেই লক্ষ্যে সফল মোহনবাগান (Mohun Bagan)। ইনজুরি টাইমে দিমিত্রি পেত্রাতোসের গোল। আর কোনও অঙ্ক নয়। মোহনবাগান লিগ-শিল্ড (ISL League Shield Champion) ধরে রাখল। আইএসএলে টানা দু-বার লিগ শিল্ড জয়ের ইতিহাস মোহনবাগানের। এর আগে কোনও টিমের এই কৃতিত্ব ছিল না। ২২ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ-শিল্ড জিতলেও এখনই তা পাচ্ছে না মোহনবাগান। ৮ মার্চ যুবভারতীতে নিজেদের শেষ ম্যাচে শিল্ড তুলবে তারা।

    পেত্রাতোসের গোলেই জয়

    সেই দিমিত্রি পেত্রাতোস। মোহনবাগান (Mohun Bagan) জনতার নয়নের মণি। গত মরসুমে দুর্দান্ত খেলেছিলেন। কিন্তু এবার চোট পাওয়ার পরে গোল পাচ্ছিলেন না। চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু হচ্ছিল না। সেই পেত্রাতোসের গোলেই লিগ-শিল্ড জিতল মোহনবাগান। এদিন খেলার শুরু থেকেই মোহনবাগান আক্রমণাত্মক ছিল। প্রথমার্ধেই বেশ কয়েক বার গোলের কাছে পৌঁছে যায় মোহনবাগান। কিন্তু গোলমুখ খুলতে পারছিলেন না ম্যাকলারেনরা। দ্বিতীয়ার্ধেও একই ছবি। অবশেষে ৯৩ মিনিটের মাথায় বাঁ পায়ের শটে গোল করে সোজা গ্যালারির কাছে ছুটে গেলেন পেত্রাতোস। সবুজ-মেরুন সমর্থকদের কাছে। যে সমর্থকেরা কঠিন সময়ে তাঁর উপর বিশ্বাস রেখেছেন, ভরসা দেখিয়েছেন, সেই জনতার সঙ্গে উল্লাস করলেন। দেখা গেল পেত্রাতোসের পরিচিত ‘স্টেনগান’ সেলিব্রেশন। গোটা দল তখন উচ্ছ্বাসে ব্যস্ত। পেত্রাতোসের গোলের পর মাঠে নেমে উচ্ছ্বাসে ভাসলেন কোচ হোসে মোলিনাও। তাঁর কাছেও এটা ছিল পরীক্ষা।

    এবার নকআউট ট্রফিই লক্ষ্য

    এ মরসুমে শুরুর দিকে অস্বস্তিতে ছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan)। কোচ বদল হয়। হোসে মোলিনা দায়িত্ব নিয়ে আগে রিজার্ভ বেঞ্চ শক্তিশালী করার দিকে নজর দেন। তাঁর লক্ষ্য সফল হয়েছিল। টানা জয়ের মাঝেও বেশ কিছু ড্রয়ে অস্বস্তি বেড়েছিল। আবারও ঘুরে দাঁড়ায় মোহনবাগান। অবশেষে একটা লক্ষ্য পূরণ। টানা দ্বিতীয় বার আইএসএলে লিগ-শিল্ড (ISL League Shield Champion) জয়। এই প্রথম বার আইএসএলের ইতিহাসে কোনও দল ৫০-এর বেশি পয়েন্ট পেল। এখনও দু’টি ম্যাচ বাকি বাগানের। কাজও বাকি। এবার একসঙ্গে দুটো ট্রফি জেতাতেই নজর সবু-মেরুন সমর্থকদের। গত সংস্করণে আইএসএল লিগ-শিল্ড জিতলেও নকআউট ট্রফি আসেনি। এবার নকআউট ট্রফিই লক্ষ্য মোহনবাগানের।

  • ISL Kolkata Derby: ডার্বির রং সবুজ-মেরুন, দ্রুততম গোলে লিগ টেবিলে শীর্ষেই মোহনবাগান

    ISL Kolkata Derby: ডার্বির রং সবুজ-মেরুন, দ্রুততম গোলে লিগ টেবিলে শীর্ষেই মোহনবাগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের কাছে অপরাজিতই রইল মোহনবাগান। এখনও পর্যন্ত আইএসএলে ১০ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। তার মধ্যে ৯ বারই জিতল মোহনবাগান। শনিবার ইস্টবেঙ্গলকে ১-০ গোলে হারাল মোহনবাগান। ম্যাচের ১ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের মাথায় একমাত্র গোলটি করেন জেমি ম্যাকলারেন। থ্রু পাস বাড়িয়েছিলেন মোহনবাগানের আশিস রাই (Asish Rai)। সেই পাস ধরে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের ফাঁক দিয়ে গোল জেমি ম্যাকলারেনের (Jamie Maclaren)। আইএসএল ডার্বির ইতিহাসে এটাই দ্রুততম গোল। গোটা ম্যাচে বারবার সুযোগ পেলেও সেই গোল আর পরিশোধ করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগানও ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ নষ্ট করে। ম্যাচে ২টি হলুদ কার্ড দেখে লাল কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গলের শৌভিক চক্রবর্তী।

    মোহনবাগানের দাপট 

    আইএসএলের প্রথম লেগের ডার্বি জিতেছিল মোহনবাগান। আইএসএলের প্রথম লেগের ডার্বি জিতেছিল মোহনবাগান। দ্বিতীয় ডার্বি জিতে মোহনবাগান ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেল। ইস্টবেঙ্গল যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই। বেঙ্গালুরুর সঙ্গে সবুজ-মেরুনের ব্যবধান শনিবারের পর আট পয়েন্টের। বাকিদের পক্ষে মোহনবাগানকে ধরা কার্যত অসম্ভব। বেশ কয়েক বছর ধরে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে হারটাই দস্তুর হয়ে গিয়েছে লাল হলুদ শিবিরের। আইএসএলে টপ সিক্সে যাওয়ার আশা ইস্টবেঙ্গলের ক্রমশ ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হচ্ছে। এদিন হারের পরে সেই রাস্তা আরও কঠিন হয়ে গেল। ধারে ও ভারে এই মোহনবাগান চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলের থেকে অনেকটাই শক্তিশালী। মাঠেও তা প্রমাণিত হয়েছে বাংরবার। 

    ছোটদের ডার্বিতেও জয়ী মোহনবাগান 

    শনিবার, বড়দের আগে ছোটদের ডার্বি জেতে মোহনবাগান। ২-১ গোলে জেতে সবুজ-মেরুন। কল্যাণীর মাঠে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবলারেরা নেমেছিল। প্রথমে গোল করে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের অনেকটা সময় পর্যন্ত এগিয়ে ছিল লাল-হলুদ। মোহনবাগানের রক্ষাকর্তা হয়ে ওঠে রাজদীপ পাল। নির্ধারিত সময়ের খেলায় সমতা ফেরায় সে। পরে সংযুক্তি সময়ে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করে রাজদীপ। মোহনবাগান সমতা ফেরানোর পরে আবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। পেনাল্টি পায় তারা। কিন্তু গোল করতে পারেনি লাল-হলুদ ফুটবলার। তার খেসারত দিতে হয় দলকে। রাজদীপ দ্বিতীয় গোল করার পরে আর ফেরার সম্ভাবনা ছিল না ইস্টবেঙ্গলের। ১-২ গোলে হেরে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISL Kolkata Derby: শনিবার বড় ম্যাচ, প্রস্তুতি তুঙ্গে! ফিরতি লেগে কবে মুখোমুখি মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল?

    ISL Kolkata Derby: শনিবার বড় ম্যাচ, প্রস্তুতি তুঙ্গে! ফিরতি লেগে কবে মুখোমুখি মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডিয়ান সুপার লিগের কলকাতা ডার্বির অপেক্ষায় ফুটবলপ্রেমীরা। শনিবার বড় ম্যাচে মুখোমুখি মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল। আইএসএল-এর চলতি মরসুমে এখনও অবধি মুখোমুখি হয়নি মোহনবাগান (Mohun Bagan) ও ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। আইএসএলে (ISL) কলকাতা ডার্বির (Kolkata Derby) প্রথম ম্যাচের আগেই জানা গেল, এ মরসুমের দ্বিতীয় বড় ম্যাচের দিনক্ষণ। ২০২৫ সালের ১১ জানুয়ারি হবে আইএসএলের এ মরসুমের দ্বিতীয় কলকাতা ডার্বি। ফিরতি লেগে বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হবে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের বড় ম্যাচ।

    দুই দলের প্রস্তুতি

    চলতি আইএসএল-এ মোহনবাগানের পারফরম্যান্স ওঠা-নামা করলেও অনেকটা গুছিয়ে নিতে পেরেছে তারা। চোট সারিয়ে দলের সঙ্গে পুরোদমে অনুশীলন করছেন আলবার্তো রডরিগেজ। ডার্বির আগে রাগবি বল নিয়ে খেলায় মাতলেন জেমি, দিমিরা। কোচ মোলিনা ছক কষছেন ডার্বি জয়ের। বড় ম্যাচ জিতে পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে চান মোলিনা। অন্যদিকে, ইন্ডিয়ান সুপার লিগের এ মরসুমে ৪ ম্যাচে ৪টে-তেই হার ইস্টবেঙ্গলের। বড় ম্যাচ জিতে ঘুরে দাঁড়ানোর সংকল্প ক্লেটন, ক্রেসপোদের। ডার্বি জিতে হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার আশায় সৌভিক, তালালরা।

    পয়েন্ট টেবলে কে কোথায়

    ইন্ডিয়ান সুপার লিগের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ বছরের ৩০ ডিসেম্বরের পরবর্তী আইএসএল সূচি ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের চলতি মরসুমে পয়েন্ট টেবলের শীর্ষে রয়েছে বেঙ্গালুরু এফসি। তাদের পয়েন্ট ১০। ৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে পঞ্জাব এফসি। তিনে জামশেদপুর এফসি। ৭ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে মোহনবাগান। ৪ পয়েন্ট নিয়ে ১০ নম্বরে মহমেডান। আর ৪টি ম্যাচ খেলে ৪টিতেই হেরে শূন্য ঝুলি লাল-হলুদের। পয়েন্ট টেবলের ১৩ নম্বরে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amitabh Bachchan: ইস্টবেঙ্গল নাকি মোহনবাগান! জানেন কাকে বেশি পছন্দ অমিতাভ বচ্চনের?

    Amitabh Bachchan: ইস্টবেঙ্গল নাকি মোহনবাগান! জানেন কাকে বেশি পছন্দ অমিতাভ বচ্চনের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবুজ-মেরুনই তাঁর পছন্দের ক্লাব। বাংলার জামাই হিসেবে গর্বিত বচ্চন সাবের প্রিয় ফুটবল ক্লাবও মোহনবাগান। ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’র (Kaun Banega Crorepati 16) ষোড়শতম সিজন নিয়ে এই মুহূর্তে ব্যস্ত অমিতাভ (Amitabh Bachchan)। সেই সেটেই এক প্রতিযোগীর প্রশ্নের উত্তরে নিজের পছন্দের কথা জানালেন অমিতাভ। 

    মোহনবাগান-ই আবেগ

    ভারতের শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ফুটবল ক্লাব মোহনবাগান। (Mohun Bagan) আর সবুজ-মেরুনের ফ্যান স্বয়ং অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)! একাধিকবার প্রকাশ্যে সেকথা বলেছেন বলিউড শাহেনশা। সম্প্রতি বিগ বি তাঁর সিগনেচার শো ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’-র (Kaun Banega Crorepati 16) হট-সিটে বসেও বলেছেন যে, মোহনবাগানই তাঁর সবচেয়ে প্রিয় টিম। ইস্টবেঙ্গল নাকি মোহনবাগান? এই প্রশ্নে চিরকাল দ্বিধাবিভক্ত বাঙালি। ইলিশ-চিংড়ি কোনও কোনও বাঙালির এই দুই মাছই প্রিয় তবে ইস্টবেঙ্গল না মোহনবাগান তা নিয়ে বরাবর বিতর্ক বঙ্গসমাজে। বলিউডের ‘শাহেনশা’ হিসেবে প্রতিপত্তি থাকলেও, কলকাতায় দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন অমিতাভ (Amitabh Bachchan)। বিবাহসূত্রে আবার বাঙালির জামাইও তিনি। তাই চিরাচরিত প্রশ্ন থেকে রক্ষা পেলেন না তিনিও। কলকাতায় থাকাকালীন অমিতাভ ফুটবল নিয়ে এই উন্মাদনার সাক্ষী থেকেছেন বলেই মনে করছেন তাঁর অনুরাগীরা। 

    আরও পড়ুন: শুরুতেই জোটে ঘোঁট! ওমরের মন্ত্রিসভায় যোগ দিচ্ছে না কংগ্রেস, কী কারণ?

    সম্প্রতি অনুষ্ঠান (Kaun Banega Crorepati 16)  চলাকালীন হুগলি নিবাসী বাঙালি যুবক বাচ্চু সাঁতরার সঙ্গে আলাপচারিতা সারেন অমিতাভ (Amitabh Bachchan)। ক্রিকেট ভাল লাগে বলে অমিতাভকে জানান বাচ্চু। এতে অমিতাভ জানতে চান, বাচ্চু কখনও ফুটবল খেলেছেন কি না। নিজেই জানান, বাঙালিদের ফুটবল নিয়ে এমন প্রশ্ন করাই উচিত নয়। কারণ বাঙালি মাত্রই ফুটবল খেলেছেন। তাই বাচ্চুর পছন্দের ক্লাব কোনটি জানতে চান অমিতাভ (Amitabh Bachchan)। জবাবে বাচ্চু জানান, মোহনবাগানের ভক্ত তিনি। এতে যারপরনাই খুশি হন অমিতাভ। বলেন, “আরে সাবাশ! আমিও মোহনবাগান সমর্থক।” অমিতাভ মোহনবাগানের সমর্থক জেনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন বাচ্চুও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durand Cup 2024: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ মোহনবাগান সমর্থকদের, ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড

    Durand Cup 2024: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ মোহনবাগান সমর্থকদের, ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নর্থইস্ট ইউনাইটেডের কাছে টাইব্রেকারে হেরে ডুরান্ড কাপ (Durand Cup 2024) হাতছাড়া হল মোহনবাগানের। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসই কাল হল সবুজ মেরুন শিবিরের। প্রথমার্ধে এগিয়ে গিয়েও কোনও লাভ হল না। দ্বিতীয়ার্ধে আগাগোড়া ছন্নছাড়া ফুটবল খেলল মোহনবাগান (Mohun Bagan)। নির্ধারিত সময়ে খেলা ২-২ থাকার পর টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে জিতল পাহাড়ের দলটি। মোহনবাগানের লিস্টন কোলাসো এবং শুভাশিস বসুর শট বাঁচিয়ে নায়ক নর্থইস্ট ইউনাইটেডের গোলকিপার গুরমিত। এদিনও যুবভারতীতে আরজি কর কাণ্ডে বিচারের দাবি উঠল। রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী চোখ বন্ধ করে বসে রইলেন।

    ম্যাচের আগে প্রতিবাদ

    ডুরান্ড কাপ ফাইনালেও দেখা গেল আরজি কর-কাণ্ডের (RG Kar Incident) প্রতিবাদ। নর্থইস্ট ইউনাইটেডের (North East United) বিরুদ্ধে মোহনবাগানের ম্যাচের আগে প্রতিবাদে সামিল হলেন সমর্থকরা। তা-ও কিনা রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সামনে। ব্যানারে দেখা গিয়েছে, ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের দুই মহিলা সমর্থক প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। সঙ্গে লেখা ছিল, ‘হাতে হাত রেখে এ লড়াই, আমাদের বোনের বিচার চাই’। এর সঙ্গেই শনিবার আরও একটি ব্যানার দেখা যায়। মহিলাদের রাত দখলের কর্মসূচিতে যে পোস্টার তৈরি করা হয়েছিল, অনেকটা সেই ধাঁচেই ব্যানার তৈরি করা হয়। সঙ্গে লেখা, ‘তোর কোনও ভয় নেই বোন, আমরা প্রতিবাদ করতে জানি’।

    শুরু থেকেই দাপট

    ম্যাচের শুরু (Durand Cup 2024) থেকেই দাপট দেখায় মোহনবাগান। কামিন্সের পর সাহাল, প্রথমার্ধেই ২ গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। ম্যাচের প্রথম গোলটি হয় ৯ মিনিটের মাথায়। পেনাল্টিতে মোহনবাগানকে এগিয়ে দিলেন কামিন্স। বক্সের মধ্যে সাহালকে ফাউল করেন নর্থ ইস্ট ডিফেন্ডার। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি কামিন্স। প্রথমার্ধের সংযুক্তি সময়ে ফের গোল মোহনবাগানের। এবার নর্থ ইস্টের জালে বল জড়ালেন সাহাল। বাঁ প্রান্ত থেকে বল নিয়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যান কোলাসো। বক্সে ঢুকে পাস দেন সাহালকে। সেখান থেকে জালে বল জড়িয়ে দেন সবুজ-মেরুনের ফুটবলার। 

    দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের রঙ বদল

    প্রথমার্ধেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ২-০ এগিয়ে যাওয়ায় ১৮ নম্বর ট্রফির স্বপ্ন উজ্জ্বল হতে শুরু করে সবুজ মেরুন শিবিরে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে হঠাৎই খেলার রং বদল। ম্যাচের ৫৬ ও ৫৮ মিনিটে পরপর দু-গোল নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচের ফয়সালা না হওয়ায় ফাইনাল গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেই বাজিমাত পাহাড়ের দলটির। নাটকীয় ফাইনালে টাইব্রেকারে মোহনবাগানকে (Mohun Bagan) হারিয়ে প্রথমবার ডুরান্ড কাপের ফাইনালে উঠেই চ্যাম্পিয়ন (Durand Cup 2024) হল নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এফসি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RG Kar Incident: আরজি কর-কাণ্ডে উত্তাল যুবভারতী, সমর্থকদের গ্রেফতারি আটকে ‘নায়ক’ কল্যাণ চৌবে

    RG Kar Incident: আরজি কর-কাণ্ডে উত্তাল যুবভারতী, সমর্থকদের গ্রেফতারি আটকে ‘নায়ক’ কল্যাণ চৌবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গা থেকে পদ্মা পার, ঘটি-বাঙালের লড়াই, ইলিশ না চিংড়ি এ সব তর্ক এখন ঊর্ধ্বে। ডার্বির ময়দানে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের গলায় একটাই স্বর, ‘বিচার চায় আরজি কর’। কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে সবুজ মেরুন বা লাল-হলুদ সমর্থকদের এক সুর ‘ডার্বি নিয়ে লড়াই নাই, আরজি করের বিচার চাই’। রবিবার যুবভারতীতে হওয়ার কথা ছিল ডুরান্ড ডার্বির। যদিও আরজি করে (RG Kar Incident) পড়ুয়া চিকিৎসকরে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত শহরে ডার্বি বাতিল করে দেয় পুলিশ। তবুও যুবভারতীর বাইরে প্রতিবাদের ঝড় তুলল ফুটবল প্রিয় বাঙালি। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহমেডান সমর্থকদের প্রতিবাদে চার ঘণ্টার বেশি অবরুদ্ধ হয়ে থাকল বাইপাস। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ করতে গিয়ে খেতে হল পুলিশের লাঠি। সমর্থকদের বাঁচাতে এগিয়ে এলেন সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবে। সম্পূর্ণ নিজের উদ্যোগে ইস্ট-মোহন বা মহামেডান সমর্থকদের পুলিশের হাত থেকে বাঁচালেন কল্যাণ।

    সমর্থকদের পাশে কল্যাণ

    রবিবার যুবভারতী সংলগ্ন এলাকায় যখন দুই দলের সমর্থক ও পুলিশের মধ্য বচসা চলছে তখনই ঘটনাস্থলে পৌঁছন সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার সভাপতি কল্যাণ চৌবে। কল্যাণ জানান,  সমর্থকদের দাবিকে সমর্থন জানাতেই তিনি সেখানে গিয়েছেন। পুলিশের ভূমিকার তীব্র নিন্দা করেন তিনি। কল্যাণ বলেন, ‘‘সমর্থকদের দাবিকে সমর্থন জানাতেই এখানে এসেছি। পুলিশ কী বলবে? যে ১০টা ছেলেকে তুলে নিয়ে গিয়েছি। কেন? তাঁরা ফুটবল খেলা দেখতে এসেছিলেন। ফুটবল খেলা দেখায় কী অপরাধ আছে? আমি পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে। ফুটবল খেলা দেখার জন্য কাউকে অ্যারেস্ট হতে দিতে পারব না।’’ 

    স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ

    এদিন পুলিশের ভূমিকার বিরোধিতা করে ফেডারেশন সভাপতি জানান, টা স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ। স্বাধীনতার আগে বা পরে এ রকম প্রতিবাদ কখনও হয়নি। ডার্বির অপেক্ষা সবাই করে থাকে। ফেরিওয়ালা থেকে শুরু করে খেলোয়াড়, সদস্য-সমর্থক সবাই এই ম্যাচের অপেক্ষা করে থাকেন। এই জন্যে আজ সবাই এগিয়ে এসেছেন। লাল-হলুদ, সবুজ-মেরুন, সাদা-কালো সবাই এক হয়ে গিয়েছে। পুলিশের লাঠিচার্জ মোটেই ভাল কাজ হল না। পতাকা নিয়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ চলছিল। সমর্থকদের কথায়, এদিন ফেডারেশন সভাপতি যা করেছেন তা এক কথায় প্রশংসনীয়। একজন বলেন, ‘‘ওনাকে ধন্যবাদ, উনি আজ সমর্থকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কোনও সমর্থককে গ্রেফতার হতে দেননি। কার্যত পুলিশের প্রিজন ভ্যানের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন কল্যাণ। ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের কোনও দলের সমর্থককেই গ্রেফতার হতে দেননি।’’  

    শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের বাধা 

    রবিবাসরীয় বিকেলে বৃষ্টির মধ্যেই তিলোত্তমার হয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন অগণিত সমর্থক। বিকেল ৪টে থেকে যুবভারতীর বাইরে অল্প অল্প করে জমায়েত শুরু হয়। পুলিশ আগে থেকেই তৈরি ছিল। গার্ডরেল দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছিল সমর্থকদের আটকাতে। মিছিল বড় হতেই পুলিশ আটকায়। মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকেরা প্রশ্ন তুলছিলেন, যদি নিরাপত্তার দাবি তুলে ডার্বি বাতিল করা হয়, তা হলে প্রতিবাদ আটকাতে এত পুলিশ মোতায়েন করা হল কেন? এর থেকে কম পুলিশে তো ডার্বি হয়ে যেত? আসলে কি পুলিশ তথা রাজ্য সরকার ভয় পেয়েছিল? সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে ডুরান্ড ডার্বির গ্যালারি জুড়ে যদি আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ-পোস্টার দেখা যেত সারা ভারতে, তাহলে তা সরকারের পক্ষে ভালো হত না, বলা বাহুল্য। তাই কি সংগঠকদের ওপর ম্যাচ বাতিল করার চাপ দেওয়া হয়েছে? এমনই সব প্রশ্ন তুলেছেন দুই প্রধানের সমর্থকরা।

    ডার্বির ময়দানে সরকার-বিরোধী স্লোগান

    বাঙালি দুই ভাগ হয়ে যায় ডার্বির লড়াই নিয়ে। ফিফার বিচারেও ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগানের ম্যাচ এশিয়ার অন্যতম সেরা ফুটবল দ্বৈরথ। তবে রবিবারের (১৮ অগস্ট) ডার্বি এক নতুন ছবির জন্ম দিল। এদিন আর কেউ লাল-হলুদ নয়, সবুজ-মেরুন নয়, সব রঙ মিশে গেল প্রতিবাদের রঙে। কেউ বললেন, ‘তুমি আমি একই স্বর, জাস্টিস ফর আরজি কর’, কেউ বললেন, চিংড়ি-ইলিশ এক স্বর, জাস্টিস ফর আরজি কর, ‘ঘটি বাঙাল দিয়েছে ডাক, তিলোত্তমা বিচার পাক’। প্রতিবাদ মিছিল থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিও উঠল। চেনা স্লোগান, যতবার ডার্বি… একটু বদলে হল, ‘যতবার ডার্বি, স্বৈরাচারী হারবি।’ স্লোগান উঠল, ‘এক হয়েছে বাঙাল-ঘটি, ভয় পেয়েছে হাওয়াই চটি।’ এমনকি, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানিয়ে কেউ কেউ স্লোগান দিলেন, ‘ইস্ট-মোহনের দাবি এক, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ’। মিছিল করে হাঁটতে হাঁটতে বিক্ষোভকারীদের এদিন জাতীয় সঙ্গীত গাইতেও দেখা যায়। দেখা যায়, আশেপাশে দাঁড়িয়ে যাঁরা গোটা ব্যাপারটি দেখছিলেন, তাঁরাও জাতীয় সঙ্গীতে গলা মেলান। স্লোগান উঠল ‘ডার্বি কাড়বি কেড়ে নে, মেয়েটাকে ফিরিয়ে দে’, ‘খেলার মাঠ বন্ধ তবে, খেলার বদলে বিচার হবে’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durand Derby: আরজি করকাণ্ডের জেরে বাতিল কলকাতা ডার্বি, দু’দলের মধ্যে পয়েন্ট ভাগ

    Durand Derby: আরজি করকাণ্ডের জেরে বাতিল কলকাতা ডার্বি, দু’দলের মধ্যে পয়েন্ট ভাগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে পড়ুয়া চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় উত্তপ্ত শহর থেকে রাজ্য। সারা দেশে প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে। সরকারের গাফিলতি ঠেকাতে তৎপর পুলিশ প্রশাসন। তাই পর্যাপ্ত পুলিশের অভাবে বাতিল হয়ে গেল রবিবারের ডুরান্ড কাপের ডার্বি (Durand Derby)। রবিবারের ডুরান্ড কাপ (Durand Cup) ডার্বিতে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের আশঙ্কা করছে পুলিশ। ডার্বির স্রোতে আরজি করকাণ্ডে নির্যাতিতার জন্য সুবিচার চাইবেন ভেবেছিলেন ইস্ট-মোহন সমর্থকরা। তাতে বাধ সাধল কলকাতা পুলিশ।

    কেন বন্ধ ডার্বি

    রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে শনিবার ডুরান্ড কাপের আয়োজক কমিটির দফায় দফায় বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, আরজি করকাণ্ডের (RG Kar) জেরে আয়োজকদের সঙ্গে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ কর্তাদের বৈঠকে ডার্বি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজ্যের এই পরিস্থিতিতে ডার্বি (Durand Derby) আয়োজনের ঝুঁকি নিতে নারাজ প্রশাসন। বৈঠক এখনও শেষ হয়নি। বড় ম্যাচের সমস্ত টিকিট আগেই বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, শুক্রবার থেকেই ডার্বি ম্যাচ বাতিল নিয়ে আলোচনা চলছিল। পুলিশের অনুমান, আরজি কর ঘটনার ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে গ্যালারিতে। যে কারণে বাতিল করে দেওয়া হল ডুরান্ড ডার্বি।

    পুলিশের যুক্তি

    শহরের উত্তপ্ত পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পুলিশের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়, শহরের বিভিন্ন জায়গায় এত পরিমাণে পুলিশকর্মী দেওয়া হয়েছে, যে ডার্বির (Durand Derby) জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা সম্ভব নয়। আসলে,গত কয়েক দিন ধরে সমাজমাধ্যমে দু’দলের সমর্থকেরাই আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Incident) প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। ফুটবল সমর্থকদের একাংশ আরজি করের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ টিফোর পরিকল্পনা করেছিলেন। কয়েকটি সমর্থক দলের তরফে ঘোষণাও করা হয়, ম্যাচের দিন ব্যানার, টিফোর মাধ্যমে ঘটনার প্রতিবাদ করা হবে। এই ধরনের টিফো পরিস্থিতি জটিল করতে পারে বলেও আশঙ্কা পুলিশ-প্রশাসনের। সব মিলিয়েই রবিবার ডুরান্ডের ডার্বি নিয়ে আপত্তি জানানো হয় পুলিশ-প্রশাসনের তরফে। 

    আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডের জের! ডাক্তারদের ওপর হামলা হলেই কঠোর সাজা, আইন আনছে কেন্দ্র

    জামশেদপুরে সরছে অন্য ম্যাচ

    ম্যাচ না হওয়ায় দু’দলের মধ্যে পয়েন্ট ভাগাভাগি হচ্ছে। ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান দু’দলই পাচ্ছে এক পয়েন্ট করে। প্রতিযোগিতায় গ্রুপগুলির পয়েন্ট তালিকায় যা অবস্থা, তাতে দু’দলই চলে যাচ্ছে কোয়ার্টার ফাইনালে। বিক্রি হওয়া টিকিটের পুরো টাকা ফুটবলপ্রেমীদের ফেরত দেওয়া হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কলকাতায় প্রতিযোগিতার আর কোনও ম্যাচ হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।  শোনা যাচ্ছে জামশেদপুরে ডার্বির (Durand Derby) বাকি ম্যাচ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Mohun Bagan: মেসির বিপক্ষে খেলা, ৫ সোনার বুটের মালিক! মোহনবাগানে অসি বিশ্বকাপার জেমি ম্যাকলারেন

    Mohun Bagan: মেসির বিপক্ষে খেলা, ৫ সোনার বুটের মালিক! মোহনবাগানে অসি বিশ্বকাপার জেমি ম্যাকলারেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে সমস্ত জল্পনার অবসান। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপার জেমি ম্যাকলারেন সই করলেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টে (Mohun Bagan)। ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে লিয়োনেল মেসির আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে খেলেছিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার এ লিগে পাঁচ বার সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে সোনার বুট জিতেছিলেন ম্যাকলারেন (Jamie Maclaren)। চার বছরের চুক্তিতে এবার তাঁকে নিয়েছে সবুজ-মেরুন।

    ডার্বি খেলতে মুখিয়ে আছেন জেমি (Jamie Maclaren)

    আগামী ২৯ জুলাই মোহনবাগান (Mohun Bagan) দিবসে কলকাতায় আসতে চলেছেন জেমি ম্যাকলারেন। তারপর থেকেই শুরু করবেন প্র্যাকটিস। কলকাতায় খেলা এবং মোহনবাগানে সই করার বিষয়ে ম্যাকলারেন জানিয়েছেন, “বহু বছর ধরেই আমি কলকাতা তথা ভারতীয় ফুটবল ফলো করি। আইএসএল-এ এর আগে অনেক বিশ্বমানের ফুটবলাররা খেলে গিয়েছেন বিভিন্ন ক্লাবে। তবে আমি মোহনবাগানে এসেছি ওঁদের ট্রফি জেতার খিদে দেখে। সবুজ-মেরুন সমর্থকদের সামনে মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে আছি। আশা করি নিজে আরও ট্রফি জিততে পারব আর দলকেও আরও সাফল্য এনে দিতে পারব।” ডার্বি খেলতে মুখিয়ে আছেন জেমি (Jamie Maclaren)। তিনি বলেছেন, “এই ম্যাচ আমি আগেও দেখেছি। একটা স্টেডিয়ামে ৬০,০০০ দর্শকের সামনে খেলা যে কোনও প্লেয়ারের স্বপ্ন। আর যে দেশই হোক, কোনও ডার্বি খেলা সবসময় আমার কাছে অন্যরকম একটা অনুভূতি দেয়।” ভারতীয় খাবারও তাঁর বেশ পছন্দ জানালেন  ম্যাকলারেন।

    মোহনবাগানে তিন বিশ্বকাপার (Mohun Bagan)

    ৩০ বছর বয়সি এই স্ট্রাইকার এ লিগের ইতিহাসে সর্বাধিক (১৫৪) গোল করেছেন। গত মরসুমেই মেলবোর্ন সিটির হয়ে ২৪টি গোল করেছেন তিনি। এই ক্লাবে টানা পাঁচ বছর খেলেছেন ম্যাকলারেন (Jamie Maclaren)। ১৪২টি ম্যাচে করেছেন ১০৩টি গোল, যা ক্লাবের ইতিহাসে সর্বাধিক। মেলবোর্নের আগে পার্থ গ্লোরি ও ব্রিসবেন রোয়ার্সের মতো দলেও খেলেছেন তিনি। আইএসএলের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও ক্লাবের জার্সিতে একসঙ্গে তিন জন বিশ্বকাপার খেলবেন। আগেই দিমিত্রি পেত্রাতোস ও জেসন কামিংস মোহন বাগানে (Mohun Bagan) ছিলেন। এ বার দলে জুড়লেন ম্যাকলারেন।  অস্ট্রেলীয় ফুটবলার বলেন, “পেত্রাতোস ও কামিংসের সঙ্গে একই দলে ও বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা আমার আছে। ওদের খুব ভাল ভাবে চিনি। তাই আবার একই দলের হয়ে নামতে ভাল লাগবে। আশা করছি তিন জনে ক্লাবকে জেতাতে বড় ভূমিকা নেব। ওরা থাকায় বাকিদের সঙ্গে মানিয়ে নিতে আমার বেশি সময় লাগবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISL 2024-25: লক্ষ্য আইএসএল! মোহনবাগানে স্কটিশ স্ট্রাইকার স্টুয়ার্ট, রেকর্ড অর্থে ইস্টবেঙ্গলে জিকসন

    ISL 2024-25: লক্ষ্য আইএসএল! মোহনবাগানে স্কটিশ স্ট্রাইকার স্টুয়ার্ট, রেকর্ড অর্থে ইস্টবেঙ্গলে জিকসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা ময়দানে শুক্রবার বড়দিন। শহরের দুই সেরা ক্লাবে আগামী আইএসএল-এর (ISL 2024-25) জন্য সই করলেন দুই তারকা ফুটবলার। মোহনবাগানে সই করলেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট। ইস্টবেঙ্গলে জিকসন সিং। বেশ কিছু দিন ধরেই এই দুই ফুটবলারের সই করার কথা শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে শুক্রবার সব জল্পনায় সিল মোহর পড়ল। মোহনবাগান কোচ জোসে মলিনা দলে এক জন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার চাইছিলেন যিনি স্ট্রাইকার হিসাবেও খেলতে পারবেন। সেই জায়গায় নেওয়া হল স্টুয়ার্টকে। অন্যদিকে, রেকর্ড ট্রান্সফার ফি দিয়ে কেরালা ব্লাস্টারস থেকে ৪ বছরের চুক্তিতে জিকসনকে তুলে নিল ইস্টবেঙ্গল।

    কলকাতায় খেলা স্বপ্নের (Mohun Bagan Super Giant)

    সবুজ-মেরুন ক্লাবে যোগ দিয়ে স্টুয়ার্ট বলেন, “অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল কলকাতায় খেলার। ভারতের সব ফুটবল স্টেডিয়াম আমার চেনা। ব্যক্তিগত সাফল্য পেয়েছি। চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। কিন্তু মোহনবাগানের জার্সি পরার আনন্দটাই আলাদা। এই দলের খেলায় সুযোগ পেয়ে আমি খুশি। আইএসএলের (ISL 2024-25) দু’টি ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন করেছি। আমার মতে, সবুজ-মেরুন সমর্থকরাই ভারত সেরা। এবার আমার লক্ষ্য মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে ফের আইএসএল চ্যাম্পিয়ন করা। সবুজ-মেরুন সমর্থকদের মুখে হাসি ধরে রাখতে চাই। ভারতের আর কোনও ক্লাবে খেলে এই স্বাদ পাওয়া যাবে না।” স্কটিশ ফুটবলারের কথায়, “অনেকদিন ধরেই আমার ডার্বি খেলার ইচ্ছে ছিল। সেকারণেও আমি মোহনবাগানে যোগ দিয়েছি। এশিয়া মহাদেশের অন্যতম সেরা ডার্বি ম্যাচ হল এই মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গলের লড়াই। সেই ম্যাচে জয়লাভই আপাতত আমার স্বপ্ন। আগে বহু ম্যাচ জিতলেও, কখনও ডার্বি জেতার সুযোগ আসেনি। সেটা মাথায় রেখেই অনুশীলনে নামব।”

    কবে থেকে শুরু অনুশীলন

    স্কটল্যান্ডের এই ফুটবলার আইএসএলে (ISL 2024-25) আগে খেলেছেন। জামশেদপুর এবং মুম্বই সিটি এফসি-র হয়ে ভারতে খেলার অভিজ্ঞতা আছে স্টুয়ার্টের। জামশেদপুরের হয়ে ১১টি এবং মুম্বইয়ের হয়ে ১০টি গোল করেছিলেন তিনি। আইএসএলে সোনার বলও জিতেছিলেন। ৩৪ বছরের এই স্ট্রাইকার এখন মোহনবাগানে। আগামী ২৯ জুলাই থেকে আসন্ন আইএসএল মরশুমের জন্য মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের প্রস্তুতি শুরু হবে। জানা গিয়েছে, সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে অনুশীলন। প্রথম দিনের অনুশীলনেই মাঠে থাকবেন স্টুয়ার্ট। সঙ্গে থাকবেন জেসন কামিন্স, লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিংরাও। ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে বাগানের কোচিং স্টাফও চলে আসবে।

    আরও পড়ুন: আসন্ন প্যারিস অলিম্পিক্সে ভারতের পদক জয়ের সেরা বাজি কারা?

    ইস্টবেঙ্গলের চমক (East Bengal)

    শুক্রবারই মাঝমাঠের শক্তি বৃদ্ধি করল ইস্টবেঙ্গল। তারা সই করাল ভারতীয় দলের মিডফিল্ডার জিকসন সিংকে। কেরালা ব্লাস্টারস থেকে ৪ বছরের চুক্তিতে তাঁরা তুলে নিল জিকশনকে। সূত্রের খবর, এই ডিল করতে গিয়ে রেকর্ড ট্রান্সফার ফি দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। তাঁকে পেতে কেরালাকে প্রায় ৩ কোটির ওপর ট্রান্সফার ফি দিয়েছে লাল-হলুদ। যা ভারতীয় ফুটবলের ক্ষেত্রে আপাতত একটি রেকর্ড। এত টাকা ট্রান্সফার ফি দিয়ে এর আগে কোনও ভারতীয় ফুটবলার আইএসএলের (ISL 2024-25) কোনও ক্লাবে আসেনি। ভারতীয় ফুটবল দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড় হলেন জিকসন। বিশ্বকাপে (অনুর্ধ্ব-১৭) ভারতের একমাত্র গোলস্কোরার তিনিই। তাঁকে কেরালা থেকে তুলে নিয়ে ইস্টবেঙ্গল যে একটা স্পষ্ট বার্তা দিতে চেয়েছে সব দলকে তা বলাই বাহুল্য। 

    লাল-হলুদে সই করে জিকশনও বলছেন, “ঐতিহ্যশালী এবং দেশের অন্যতম বড় ক্লাবে সই করে আমি উচ্ছ্বসিত। ফ্যানরা ভালবাসা উজাড় করে দিচ্ছেন। আমিও চাই এই ক্লাবের হয়ে ভাল খেলতে এবং সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে।” বর্তমানে ভারতীয় ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারদের মধ্যে প্রথম সারিতেই আসবেন জিকসন সিং। মণিপুরের ফুটবলার জিকসন। ২৩ বছরের এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার দেশের হয়ে ২২টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Kolkata Football League:  শততম বর্ষে কলকাতা ফুটবল লিগ ডার্বি, দাপটে জয় ইস্টবেঙ্গলের

    Kolkata Football League: শততম বর্ষে কলকাতা ফুটবল লিগ ডার্বি, দাপটে জয় ইস্টবেঙ্গলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মরশুমের প্রথম ডার্বিতে ২-১ এ হার মোহনবাগানের (East Bengal vs Mohun Bagan)। শনিবার শততম বর্ষে পা দিল কলকাতা ফুটবল লিগের (Kolkata Football League) ডার্বি। পাঁচ বছর পর কলকাতা ফুটবল লিগের ডার্বিতে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এবং ইস্টবেঙ্গল মুখোমুখি হয়েছিল। আর মরশুমের প্রথম ডার্বিতে জিতল লাল-হলুদ। এমনিতেই লিগের ইতিহাসে ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে ছিল, এই জয়ের ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে গেল লাল হলুদ বাহিনী। 

    দুরন্ত ফুটবল ইস্টবেঙ্গলের

    এদিন, ৫০ মিনিটের মাথায় বিষ্ণুর গোলে এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal vs Mohun Bagan)। মাঝমাঠ থেকে সার্থক গলুইয়ের বাড়ানো বল ধরেন বিষ্ণু। তিনি বল রিসিভ করতেই মোহনবাগানের দুজন ফুটবলার কেটে যান। এর পর গোলকিপারকে প্রায় দাঁড় করিয়ে বাঁ পায়ে বল জালে জড়ান বিষ্ণু। ৬৪ মিনিটে গোল করেন জেসিন। পরিবর্ত হিসেবে নেমেই ইস্টবেঙ্গলকে ২ গোলে এগিয়ে দেন তিনি। ৭৬ মিনিটে জঘন্য ফাউল করেন জোসেফ। লাল কার্ড দেখেন। ইস্টবেঙ্গল ১০ জনে খেলে। সেই সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত সময়ে গোল করেন সুহেল ভাট। মোহনবাগান এক গোল শোধ করে।

    দাপট লাল-হলুদের

    এদিন পুরো ম্যাচেই ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal vs Mohun Bagan) দাপট ছিল দেখার মতো। এদিন প্রথম একাদশে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাখেননি ইস্টবেঙ্গলের কোচ বিনো জর্জ। ফলে লেফট উইং দিয়ে আক্রমণ সেভাবে দানা বাঁধছিল না। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সায়নকে নামান বিনো। মাঠে নেমেই মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট রক্ষণে চাপ তৈরি করেন সায়ন। এই চাপে ভেঙে পড়ল সবুজ-মেরুন রক্ষণ।

    মাঠে হাজির কুয়াদ্রাত

    কলকাতা লিগের (Kolkata Football League) প্রথম ম্যাচ জিতে হ্যাটট্রিক করল ইমামি ইস্টবেঙ্গল, অন্যদিকে প্রথম দুই ম্যাচে ড্র করার পর তৃতীয় ম্যাচে হারতে হল মোহনবাগানকে। ফলে শুরুতেই চাপে পড়ে গেল গঙ্গাপারের ক্লাব। মোহনবাগান সিনিয়র দলের স্প্যানিশ কোচ হোসে মোলিনা এখনও কলকাতায় না পৌঁছলেও কুয়াদ্রাত এসে গিয়েছেন। শনিবার যুবভারতীতে উপস্থিত ছিলেন তিনি, জুনিয়র ফুটবলারদের দেখে নিতেই ডার্বিতে হাজির হলেন লাল হলুদের হেডস্যার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share