Tag: Money Laundering Case

Money Laundering Case

  • Money Laundering Case: ৮-ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ জ্যাকলিনকে, এবার দিল্লি পুলিশের জেরার মুখে নোরা

    Money Laundering Case: ৮-ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ জ্যাকলিনকে, এবার দিল্লি পুলিশের জেরার মুখে নোরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে (Jacqueline Fernandez) ২০০ কোটি টাকা তছরুপের মামলায় টানা আট ঘণ্টা জেরা করার পর এবার অভিনেত্রী তথা জনপ্রিয় মডেল নোরা ফাতেহিকে (Nora Fatehi) সমন (summon) করেছে দিল্লি পুলিশ। এর আগেই তছরুপ (Money Laundering) মামলার চার্জশিটে ইডি জানায় যে, অভিযুক্ত অভিনেত্রী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অপরাধের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। নোরাকে সমন করার পর ইতিমধ্যেই তিনি হাজির হয়েছেন দিল্লি পুলিশের ইকোনমিক অফেন্সেস উইং-এ।

    বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল দিল্লি পুলিশের ইকোনমিক অফেন্সেস উইং (EOW) শাখার আধিকারিকরা৷ এর আগেও সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার তোলাবাজির মামলায় (Sukhesh ChandraShekhar Extortion Case) নোরা ফাতেহিকে ২ সেপ্টেম্বর জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল দিল্লি পুলিশ৷ তখন নোরা জানিয়েছিলেন যে, এই মামলার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। নোরার পাশাপাশি এদিন ফের পিঙ্কি ইরানিকে দেখা যায়। তাঁকেও আজ জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে জানা গিয়েছে। পিঙ্কি ইরানিই নোরা ফাতেহি ও জ্যাকলিনকে চন্দ্রশেখরের সঙ্গে দেখা করিয়েছিলেন বলে খবর শোনা যাচ্ছে। ফলে ইনিও এতে জড়িত রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সব জানতেন অভিনেত্রী! চার্জশিটে দাবি ইডি-র, তছরুপকাণ্ডে আরও অস্বস্তিতে জ্যাকলিন

    প্রসঙ্গত, গতকালও পিঙ্কি ইরানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এছাড়াও জ্যাকলিনকে প্রায় ৮ ঘণ্টা জেরা করা হয় ও প্রায় ১০০ টির মত প্রশ্ন করা হয়। জানা গিয়েছে, তিনি গতকাল সকাল ১১ টা ৩০ মিনিটে দিল্লির তদন্ত সংস্থার মন্দির মার্গ অফিসে পৌঁছেছিলেন এবং রাত ৮ টার আগে চলে যান। তদন্তকারীদের দাবি,  শুধুমাত্র জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ নন, নোরা ফাতেহিও সুকেশ চন্দ্রশেখরের (Sukesh Chandrashekhar) সঙ্গে ২০০ কোটি টাকার তোলাবাজির মামলায় জড়িত৷ নোরা ফাতেহিও, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের (Jacqueline Fernandez) মতো সুকেশ চন্দ্রশেখরের থেকে মূল্যবান উপহার নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ৷

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Nora Fatehi: “আমি ষড়যন্ত্রের শিকার, ষড়যন্ত্রকারী নই”, আর্থিক তছরুপ মামলায় জেরার মুখে বললেন নোরা ফতেহি

    Nora Fatehi: “আমি ষড়যন্ত্রের শিকার, ষড়যন্ত্রকারী নই”, আর্থিক তছরুপ মামলায় জেরার মুখে বললেন নোরা ফতেহি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ (Jacqueline Fernandez)-এর পরে গতকাল নোরা ফতেহি (Nora Fatehi)-কে সমন করেছিল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। ফলে সময় মতো দিল্লি পুলিশের ইকোনমিক অফেন্সেস উইং (EOW) -এর অফিসে পৌঁছে গিয়েছিলেন নোরা। ২০০ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের মামলায় (Money Laundering Case) মন্দির মার্গের সদর দফতরে নোরাকে টানা ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বলি সুন্দরীকে জেরা করার সময়ে অনেক তথ্যই উঠে এসেছে, যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।

    নোরা ফতেহি বলেছেন, ‘তিনি এই ষড়যন্ত্রের শিকার, ষড়যন্ত্রকারী নয়।’ গতকাল নোরার পাশাপাশি জেরা করা হয় পিঙ্কি ইরানিকেও। কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জ্যাকলিন ও নোরার সঙ্গে আলাপ করিয়েছিলেন এই পিঙ্কি। নোরা এদিন দাবি করেন যে, তাঁর সঙ্গে সুকেশের কখনও সাক্ষাৎ হয়নি, শুধুমাত্র হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয়েছিল। এবং হোয়াটসঅ্যাপের সেই মেসেজের স্ক্রিনশটগুলিও দেখিয়েছেন নোরা।

    আরও পড়ুন: ৮-ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ জ্যাকলিনকে, এবার দিল্লি পুলিশের জেরার মুখে নোরা

    তিনি তাঁর তামিলনাড়ুতে “চ্যারিটি” ইভেন্টে সফরের বিস্তারিত ঘটনাও বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, তিনি এক্সসিড এন্টারটেইনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের প্রোমোটার আফসার জাইদির আমন্ত্রণে সেই ইভেন্টে গিয়েছিলেন ও অনুষ্ঠানটি সুপার কার আর্টিস্ট্রি দ্বারা অনুষ্ঠিত করা হয়েছিল। এরপর তদন্তকারীরা প্রশ্ন করেন যে, এই ইভেন্টে যাওয়ার জন্য কে তাঁর খরচের জন্য টাকা দিয়েছেন, তখন নোরা সুকেশের স্ত্রী লীনা পলের (Leena Paul) নাম উল্লেখ করেন। অফিসারদের আরও বলেছিলেন যে লীনা একটি ইভেন্টে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং তাঁকে একটি গুচি ব্যাগ এবং একটি আইফোন উপহার দিয়েছিলেন এবং তখনই তিনি জানতে পারেন যে তাঁকে একটি বিএমডব্লিউ উপহার দেওয়া হচ্ছে।

    ইকোনমিক উইং-এর বিশেষ কমিশনার রবীন্দ্র যাদব সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, তদন্তে সাহায্য করেছেন নোরা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বুধবার জ্যাকলিন ও পিঙ্কিকে দিল্লি পুলিশের জেরা করার সময়ে তাঁরা বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। আরও জানা গিয়েছে যে, সুকেশ প্রথমে নোরাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করলে সুকেশ ব্যর্থ হয় ও পরে জ্যাকলিনকে তাঁর জালে ফাঁসিয়ে নেয়। ফলে জ্যাকলিন চন্দ্রশেখরের দ্বারা এতটাই প্রভাবিত হয়ে পড়েছিলেন যে, তিনি তাকে “তার স্বপ্নের মানুষ” বলে ভাবতেন। এমনকি তাঁকে বিয়ে করার কথাও ভাবতেন। পুলিশের বিশেষ কমিশনার (ইওডব্লিউ) রবিন্দর যাদব জানিয়েছেন, তবে জ্যাকলিন সুকেশের বিষয়ে জানার পরেও তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙেনি। অন্যদিকে কিন্তু কিছু সন্দেহ করতে পারায় আগেই সুকেশ ও লীনার সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে নেয় নোরা। ফলে গতকাল তিনি বলেছেন, ‘তিনি কোনও অপরাধমূলক কাজকর্মের সম্পর্কে জানতেন না’।

  • Rahul Gandhi: শুক্রে ফের জেরা ‘ক্লান্ত’ রাহুলকে, উঠল মতিলাল ভোরার নামও

    Rahul Gandhi: শুক্রে ফের জেরা ‘ক্লান্ত’ রাহুলকে, উঠল মতিলাল ভোরার নামও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পর পর তিন দিন জেরা। প্রতিদিন প্রায় ১০ ঘণ্টা করে। স্বাভাবিকভাবেই ক্লান্ত কংগ্রেসের (Congress) প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তাই চেয়েছিলেন বিরতি। ইডির (ED) তরফে মিলেছেও ছুটি। সেই কারণে বৃহস্পতিবার রাহুলকে জেরা করা হবে না বলে ইডি সূত্রে খবর। শুক্রবার তিনি ফের মুখোমুখি হবেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।

    ইডির একটি সূত্রে দাবি, রাহুলকে বৃহস্পতিবারই তলব করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি বিরতি চাওয়ায় তা মঞ্জুর করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইডির এক কর্তা বলেন, গত তিনদিন ধরে রাহুলকে জেরার অডিও এবং ভিডিও রেকর্ডিং করা হচ্ছে। লেখা হচ্ছে বয়ানও। সেই বয়ানে স্বাক্ষর করানোর পরেই মিলছে ছুটি। তাই দীর্ঘায়িত হচ্ছে জেরা প্রক্রিয়া। ওই বয়ান রাহুলের মা সোনিয়া গান্ধীর বয়ানের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। ৮ জুন তলব করা হয়েছিল সোনিয়াকে। করোনা সংক্রিমিত হওয়ায় আপাতত তিনি ভর্তি হাসপাতালে। তাই ২৩ জুন তলব করা হয়েছে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রীকে।

    আরও পড়ুন : ইডি-র ম্যারাথন জেরার মুখে ফের রাহুল, হাজিরা বুধেও

    ইডি সূত্রে খবর, জেরায় রাহুল জানিয়েছেন, ইয়ং ইন্ডিয়া থেকে একটি টাকাও নেননি তিনি। ইয়ং ইন্ডিয়া একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। যদিও ইডির পাল্টা দাবি, ২০১০ সালে সংস্থাটি গঠিত হওয়ার পর থেকে কোনও সেবামূলক কাজ করেনি।যদি করে থাকে তার প্রমাণস্বরূপ ইডির কাছে নথিপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাহুলকে। কংগ্রেস সাংসদের দাবি, ইয়ং ইন্ডিয়া এবং কংগ্রেসের মধ্যে কী লেনদেন হয়েছে, সেসব কিছুই তিনি জানেন না। রাহুলের দাবি, সবটাই দেখতেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা মতিলাল ভোরা। ইয়ং ইন্ডিয়ার ব্যালেন্স শিটও দেখতেন তিনিই।

    আরও পড়ুন : রাজনৈতিক ছাড়পত্র ছাড়াই লন্ডন গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী?

    এদিকে, শুক্রবার রাহুলকে চতুর্থ দফার জেরার দিনও ফের একবার উত্তাল হতে পারে রাজধানী দিল্লি। গত তিন দিনের মতো সেদিনও দিল্লিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে পারেন কংগ্রেস নেতারা। আজ, বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে রাজভবন ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছে সোনিয়া গান্ধীর দল।

     

  • Dawood Ibrahim: পাকিস্তানে বসেই ভাইবোনদের প্রতিমাসে ১০ লক্ষ টাকা পাঠায় দাউদ! দাবি ইডি-র

    Dawood Ibrahim: পাকিস্তানে বসেই ভাইবোনদের প্রতিমাসে ১০ লক্ষ টাকা পাঠায় দাউদ! দাবি ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) যে বহাল তবিয়তে রয়েছে দাউদ ইব্রাহিম (Dawood Ibrahim), তা অনেক আগেই জানা ছিল। এবার, কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের হাতে উঠে এসেছে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, পাকিস্তান থেকেই এখনও ভারতে বসবাসকারী নিজের ভাই বোনদের প্রতিমাসে ১০ লক্ষ টাকা পাঠায় এই আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন।

    আর্থিক তছরুপ কাণ্ডে অভিযুক্ত মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মন্ত্রী নবাব মালিকের (Nawab Malik) বিরুদ্ধে তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। এই  মামলায়  বেশ কয়েকজন সাক্ষীকে জেরা করেছে তারা। কিছুদিন আগেই আদালতে একটি চার্জশিট দাখিল করেছে ইডি। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, মালিকের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার এক সাক্ষী জেরায় স্বীকার করেছে যে, ইকবাল কাসকর (Iqbal Kaskar) একবার তাকে বলেছিল, তার দাদা দাউদ প্রতিমাসে তাদের বোন হাসিনাকে ১০ লক্ষ টাকা পাঠায়। 

    ইডি বলেছে, খলিদ উসমান শেখ নামে ওই সাক্ষীর বয়ান অনুযায়ী, পরিচিতদের মাধ্যমে দাউদ টাকা পাঠায়। কাসকরও প্রতিমাসে ১০ লক্ষ টাকা পেত। বেশ কয়েকবার, দাউদের থেকে প্রাপ্ত টাকাও দেখিয়েছিল কাসকর। ইডি জানিয়েছে, খালিদের দাদা ছিল কাসকরের বাল্যবন্ধু। গ্যাং ওয়ারে মারা যায় সে। সেই দাদার সঙ্গে আবার দাউদের বোন হাসিনা পার্কারের (Haseena Parkar) গাড়িচালক তথা দেহরক্ষী সলিম প্যাটেলের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। ইডি-র দাবি, জেরায় খালিদ জানিয়েছে, প্যাটেল তাকে জানিয়েছিল – সে আর হাসিনা দাউদের নামে টাকা আদায় করত, সম্পত্তি কব্জা করত। মুম্বইয়ের কুর্লাতে এমনই একটি সম্পত্তি কব্জা করেছিল পার্কার-প্যাটেল। পরে তা নবাব মালিককে বেচে দেওয়া হয়।

    মুম্বইজুড়ে দাউদ-সঙ্গীদের খোঁজে হানা এনআইএ-র, গ্রেফতার ছোটা শাকিলের ভগ্নিপতি

    এর আগেও, বিভিন্ন মামলায় একাধিক সাক্ষী স্বীকার করেছে যে, দাউদ রয়েছে পাকিস্তানেই। সেই তালিকায় যেমন কাসকর রয়েছে, তেমনই রয়েছে হাসিনা পার্কারের ছেলে আলিশাহ। কাসকর জানিয়েছিল, দাউদের স্ত্রীর নাম মেহজাবীন। পাঁচ সন্তান রয়েছে। এক ছেলে, নাম মঈন। চার মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। আবার আলিশাহ জানিয়েছে, ইদ-দীপাবলির মতো উৎসবের সময় মেহজবীন তাদের সকলের সঙ্গে যোগাযোগ করত। 

    আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমকে ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের (1993 Bombay Blasts) পর থেকেই হন্যে হয়ে খুঁজছে ভারত। অনেকবারই হাতের নাগালে এসেও ফসকে গিয়েছে এই আন্তর্জাতিক মাফিয়া। সম্প্রতি দাউদকে খুঁজতে আবার কোমর বেঁধেছে এনআইএ (NIA) এবং ইডি (ED)। ‘ডি কোম্পানি’-র বিরুদ্ধে বেআইনি অর্থ পাচার মামলায় তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। বেআইনি অর্থ পাচার মামলায় (Money Laundering Case) মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রী নবাব মালিককে আগেই গ্রেফতার করেছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা।  

  • Congress: সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    Congress: সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার কংগ্রেসের অন্তর্বতীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) এবং রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) নোটিস পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। বেআইনিভাবে অর্থ লেনদেনে (money laundering case) জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁদের নোটিস পাঠানো হয়েছে। বুধবার কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থার তরফেই এ খবর জানানো হয়েছে।

    ইডি-র (ED) তরফে জানানো হয়েছে, ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাহুলকে ২ জুন আর সোনিয়াকে ৮ জুন ইডি-র দফতরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলের দুই হেভিওয়েট নেতাকে যে ডেকে পাঠানো হয়েছে, তা স্বীকারও করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি বলেন, সোনিয়া গান্ধীকে ৮ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে ইডি। তবে তাঁরা যে এতে ভয় পাচ্ছেন না, তা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন হাত শিবিরের নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা। তিনি বলেন, আমরা এই নোটিসে ভয় পাই না। মাথা নতও করব না।

    আরও পড়ুন : রাজনৈতিক ছাড়পত্র ছাড়াই লন্ডন গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী?

    আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি বলেন, এটি বেআইনি অর্থ লেনদেন মামলার এক অদ্ভুত নোটিস, যার সঙ্গে কোনও আর্থিক লেনদেন জড়িত নেই। এটি পুরোপুরি প্রতিহিংসার রাজনীতি। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এর মোকাবিলা করব। সিংভি বলেন, সোনিয়া, রাহুল তদন্তে সহযোগিতা করবেন। রাহুল আপাতত বিদেশে রয়েছেন। ফিরে এলে তিনি তদন্তকারীদের মুখোমুখি হবেন। অন্যথায় ইডির কাছে আরও সময় চাওয়া হবে।

    তদন্তে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি এদিন প্রধানমন্ত্রীকে একহাত নেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। রণদীপ বলেন, পুরো ষড়যন্ত্রের পিছনে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পোষা সংস্থা ইডি। মোদি (Modi) সরকার প্রতিশোধের জন্য অন্ধ হয়ে গিয়েছে। ইডির নোটিসকে নয়া কাপুরুষোচিত কাজ বলে তোপ দাগেন তিনি। রণদীপ জানান, ন্যাশনাল হেরাল্ড ১৯৪২ সালের একটি সংবাদপত্র। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার তা দমনের কাজ করেছিল। এখন মোদি সরকার ইডিকে হাতিয়ার করে এসব করছে।

    আরও পড়ুন : “আলবিদা কংগ্রেস”, ফেসবুক লাইভ করে সোনিয়া-সঙ্গ ছাড়লেন সুনীল জাখর

    জওহরলাল নেহরু প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ বিজেপি (BJP) তুলেছিল মনমোহন সিং (Manmohan Singh)-এর জমানায়ই। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়। যার মূল হোতা ছিলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।

    তাঁর অভিযোগ, অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড নামে যে সংস্থার হাতে সংবাদপত্রটির মালিকানা ছিল, বাজারে ৯০ কোটি টাকা দেনা ছিল তাদের। সংবাদপত্রটির সম্পত্তি বিক্রি করে কেন কংগ্রেস নেতৃত্ব ঋণের টাকা মেটালেন না, সেই প্রশ্ন তুলে আদালতে অভিযোগ করেন ঘুরপথে আয়কর মুক্ত পুরো টাকা নিজেদের পকেটে ভরেছেন সোনিয়া, রাহুল সহ কংগ্রেস নেতৃত্ব।

     

LinkedIn
Share