Tag: Money

Money

  • Patient: হাসপাতালের বেডের নীচে মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীর কাছে এত টাকা! হতবাক সকলে, কোথায় জানেন?

    Patient: হাসপাতালের বেডের নীচে মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীর কাছে এত টাকা! হতবাক সকলে, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সার্জিক্যাল ওয়ার্ড। সেখানে একটি বেডের মতো বসে রয়েছেন অজ্ঞাত পরিচয় মানসিক ভারসাম্যহীন এক  রোগী (Patient)। পরনে কালো প্যান্ট আর চেক জামা। হিন্দি ভাষী। তাঁর শারীরিক দুর্বলতার ওপর চিকিৎসা শুরু হয়। আচমকাই ভবঘুরে ওই রোগীর (Patient)  বেডের নীচে থেকে উদ্ধার হয় নোটের বান্ডিল। সবমিলিয়ে প্রায় এক লক্ষ টাকা। যা দেখে হতবাক হাসপাতালের নার্স থেকে চিকিত্সক সকলেই। এরকম একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ভবঘুরের কাছে এতগুলো টাকা এল কোথা থেকে? বিষয়টি জানতে পেরে হাসপাতালের সুপার ধীমান মণ্ডল ছুটে আসেন। কোনওরকমে বুঝিয়ে তাঁর ওই টাকা উদ্ধার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জিম্মায় রাখা হয়েছে। বিষয়টি কোকওভেন থানায় জানানো হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

     ভবঘুরে ওই রোগীর  কাছে এত টাকা আছে, জানা গেল কীভাবে? Patient

    ১৭ মার্চ কোকওভেন থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ার মুচিপাড়া থেকে ওই ভবঘুরেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু, তাঁর নাম ও পরিচয় জানা যায়নি। হাসপাতালের এক নার্স বলেন, দুদিন চিকিত্সা করার পর তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠেন। আর সুস্থ হতেই বেডের মধ্যে কিছুক্ষণ বসে থাকার পর তিনি বার বার বেডের নীচে লুকিয়ে পড়ছেন। বেডের নীচে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকছেন। মানসিক রোগী (Patient) ভেবে প্রথমে আমরা গুরুত্ব দিইনি। এক রোগীর (Patient)  বাড়ির লোকজন বলেন, বেডের নীচে ও কিছু গুনছে। তবে, সেটা কাউকে দেখাচ্ছেন না। এরপরই কৌতূহলবশত হাসপাতালের এক কর্মী বেডের নীচে নেমে দেখেন তাঁরা কাছে ৫০০ টাকার মোটা দুটি বান্ডিল রয়েছে। প্যান্টের পকেট থেকে বের করছে আর গুনছে। বার বার তিনি ওই টাকা গুনছিলেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়। সমস্ত টাকা ওই রোগীর (Patient) কাছে থেকে উদ্ধার করে রাখার ব্যবস্থা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ভবঘুরে বলেন, আমার জমি কেনাবেচা আর চটির ব্যবসা রয়েছে। ভাইয়ের সঙ্গে আমি ব্যবসা করি। ব্যবসার জন্যই টাকা নিয়ে এসেছিলাম। তারপর আবার বিরবির করে কী বলতে থাকেন। এতগুলো টাকা নিয়ে রাস্তার ধারে কেন পড়েছিল তা পরিষ্কারভাবে তিনি কিছু বলতে পারেননি।

    কী বললেন হাসপাতালের সুপার? Patient

    হাসপাতালের সুপার ধীমান মণ্ডল বলেন, ওই বৃদ্ধের মানসিক কোনও সমস্যা রয়েছে। তিনি নিজের নাম কখনও আহির খান আবার কখনও বলছে সামিহুল হুদাখান। বাড়ির ঠিকানা বলছেন, বিহার। কখনও  ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন এলাকার নাম করছেন। তাঁর কাছে কোনও পরিচয়পত্রও নেই। কথাই অসঙ্গতি থাকায় আমরা তাঁর কাছ থেকে ৯৯ হাজার টাকা নিয়ে নিজেদের হেফাজতে রেখেছি। তবে, এতগুলো টাকা নিয়ে তিনি কী করছিলেন তা বুঝতে পারছি না। তাঁর পরিবারের কেউ খবর পেয়ে আসলে তাঁদের হাতে ওই টাকা সহ রোগীকে তুলে দিতে চাই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

     

  • EPFO: পিএফে সুদ বৃদ্ধির প্রস্তাব, বাড়তি কত টাকা পাবেন জানেন?

    EPFO: পিএফে সুদ বৃদ্ধির প্রস্তাব, বাড়তি কত টাকা পাবেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিএফে (EPFO) সুদের হার বৃদ্ধির প্রস্তাব। শনিবারই সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টের তরফে ইপিএফওতে সুদের হার বাড়িয়ে করা হতে পারে ৮.২৫ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই সুদ পাবেন ইপিএফওর সাড়ে ৬ কোটি গ্রাহক। গত অর্থবর্ষে পিএফে সুদের হার ছিল ৮.১৫ শতাংশ। ০.১০ শতাংশ সুদের হার বাড়িয়ে করা হল ৮.২৫ শতাংশ। গত তিন বছরে এটাই সর্বোচ্চ সুদের হার।

    ইপিএফওর আইন

    ইপিএফওর আইন অনুযায়ী, কোনও কর্মচারির মূল বেতনের ১২ শতাংশ জমা হয় প্রভিডেন্ট ফান্ডে। ওই কর্মচারি যে সংস্থায় চাকরি করেন, সেই সংস্থাও জমা দেবে সমপরিমাণ টাকা। সংস্থার (EPFO) দেওয়া টাকার ৩.৬৭ শতাংশ টাকা পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা হয়। পেনশন স্কিমে জমা হয় ৮.৩৩ শতাংশ টাকা। 

    সুদের হার

    ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে পিএফে সুদের হার ছিল ৮.৫ শতাংশ। তার পরের অর্থবর্ষেও অপরিবর্তিত ছিল সুদের হার। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে সুদের হার কমিয়ে করা হয় ৮.১ শতাংশ। গত চার দশকে যা ছিল সর্বনিম্ন। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সুদের হার বাড়িয়ে করা হয় ৮.১৫ শতাংশ। এবার সেটাই ০.১০ শতাংশ বাড়িয়ে করা হল ৮.২৫ শতাংশ। জানা গিয়েছে, মিনিস্ট্রি অফ লেবার অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট সুদের এই হার বৃদ্ধির বিষয়টি সংশোধনের জন্য পাঠাবে অর্থমন্ত্রকে। সেখানে সবুজ সঙ্কেত মিললেই সুদ বৃদ্ধি বাবদ বাড়তি টাকা পড়তে থাকবে পিএফ অ্যাকাউন্টে।

    আরও পড়ুুন: ভাঙন পাঞ্জাবেও, ইন্ডি জোটে না থেকে একা লড়ার বার্তা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের

    উল্লেখ্য যে, ফি মাসে পিএফের টাকা জমা হলেও, সুদের টাকা অ্যাকাউন্টে জমা হয় বছরে একবারই। ধরা যাক, কোনও এক কর্মচারির পিএফ অ্যাকাউন্টে রয়েছে ১ লাখ টাকা। গত আর্থিক বর্ষে ৮.১৫ শতাংশ সুদের হারে তিনি পেয়েছেন ৮ হাজার ১৫০ টাকা। সুদের হার ০.১০ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার তিনিই পাবেন ৮ হাজার ২৫০ টাকা।

    চলতি বছর রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। ভোট হওয়ার কথা মাঝ-এপ্রিলে। তার আগে পিএফে সুদের (EPFO) হার বাড়ানোয় ভোটের গন্ধ খুঁজে পাচ্ছেন বিরোধীরা। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রের শাসক দল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: পুর নিয়োগ দুর্নীতি! কামারহাটি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারের ফ্ল্যাটে মিলল বিপুল টাকা-গয়না

    Recruitment Scam: পুর নিয়োগ দুর্নীতি! কামারহাটি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারের ফ্ল্যাটে মিলল বিপুল টাকা-গয়না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভার সহকারী ইঞ্জিনিয়ার! তাতেই চাকরি পাওয়ার মাত্র ৬ বছরের মাথায় কোটি কোটি টাকার মালিক। কামারহাটি পুরসভার (Kamarhati Municipality) অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার তমাল দত্তের সম্পত্তির খতিয়ান দেখে চোখ কপালে উঠেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) আধিকারিকদের। গত ৫ অক্টোবর, তাঁর বাগুইআটির অর্জুনপুরের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা নগদ মিলেছে। সেগুলি ছাড়াও, প্রায় ১ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা মূল্যের আড়াই কেজি সোনা ও হিরের গয়না মিলেছে। পুর নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় চার্জশিটে এমনই দাবি করেছে ইডি।

    বিপুল সম্পত্তি, বৈভব কীভাবে

    কেন্দ্রীয় এজেন্সির রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০১৬ সালে কামারহাটি পুরসভায় অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে যোগ দেন তমাল দত্ত। তারপর থেকে পুর-নিয়োগ প্রক্রিয়ায় (Municipality Jpb Scam) তিনি সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন। পুরসভার একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের এই বিপুল সম্পত্তি, বৈভব কীভাবে হল, তাঁর আয়ের উৎস কী, জানতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে,ওই ইঞ্জিনিয়ারের ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ১৩০০০ পাতার নথিও বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া এই বিপুল অর্থ এবং গয়নার কোনও নথি দেখাতে পারেননি তমাল। ফলে তা আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন বলেই মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই গয়না এবং নগদ বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। 

    সাসপেন্ড তমাল

    উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই কামারহাটি পুরসভার এই ইঞ্জিনিয়রকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, তমালের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথিগুলি সম্প্রতি দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে সবুজ সঙ্কেত এলে এই নথি আদালতে জমা দেওয়া হবে বলেও ইডি সূত্রের দাবি। হুগলির প্রোমোটার অয়ন শীলের গ্রেফতারির পর তাঁর ফ্ল্যাট এবং বাড়িতে তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। সেই সময়ই পুরনিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক তথ্য সামনে আসে। তদন্তে নেমে তমাল প্রসঙ্গে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে আসে।

    আরও পড়ুন: গুরুদ্বারে প্রার্থনার পর জনসংযোগ! কালীঘাটে পুজো দিলেন শাহ-নাড্ডা

    তমাল-অয়ন যোগ

    পুর নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্রে তমালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক তথ্য সামনে আসতে পারে বলে মনে করেন গোয়েন্দারা। তদন্তকারীদের দাবি, গত কয়েক বছরে কামারহাটি পুরসভায় প্রায় ৩০০-র বেশি বেআইনি নিয়োগ হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে তদন্তে উঠে এসেছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে তমালের জড়িত থাকার প্রমাণও পাওয়া গিয়েছিল বলে দাবি ইডি সূত্রের। ওই সূত্রের আরও দাবি, তমাল এবং অয়নের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এবং তমালের সঙ্গে একাধিক ‘প্রভাবশালী’রও যোগ রয়েছে বলে তদন্তে ইঙ্গিত মিলেছে। ইডি এবং সিবিআই সূত্রের দাবি, শুধু কামারহাটি নয়, রাজ্যের প্রায় ৭০টি পুরসভার বেশ কয়েক জন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, আধিকারিক পুর নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: ভোট কিনতে প্রকাশ্যে টাকা বিলি! দেওয়া হচ্ছে শাড়ি, কাপড়! অভিযুক্ত তৃণমূল প্রার্থী

    Birbhum: ভোট কিনতে প্রকাশ্যে টাকা বিলি! দেওয়া হচ্ছে শাড়ি, কাপড়! অভিযুক্ত তৃণমূল প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট কিনতে আদিবাসীদের দেওয়া হচ্ছে নগদ টাকা। বিলি করা হচ্ছে নতুন শাড়ি, কাপড়। নির্বাচনী বিধি ভেঙে ভোটারদের টাকা ও শাড়ি দিতে দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে। ভোটের আগে কেন এই ভাবে নিয়ম ভেঙে, ভোট কেনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগে সরব বিরোধীরা। ভোটের ঠিক একদিন আগে এই ঘটনায় বীরভূম (Birbhum) জেলায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

    কী ঘটেছে (Birbhum)?

    ঘটনাটি বীরভূমের (Birbhum) মুরারই এক নম্বর ব্লকের মহুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলগড়িয়া গ্রামে ঘটেছে। ওই আসনের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন হুমায়ুন কবীর। তাঁর স্ত্রী বদরুন্নেসা খাতুন মহুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতেরই তৃণমূল কংগ্রেসের বিদায়ী প্রধান ছিলেন। গতকাল বিকেলে হুমায়ুন কবীর তাঁর নির্বাচনী এলাকা বেলগড়িয়া গ্রামে আদিবাসী ভোটারদের টাকা ও শাড়ি বিলি করেছেন।এই বিলি করার ছবি ও ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সামজিক মাধ্যমে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ভিডিওতে মহিলাদের শাড়ি দেওয়া হচ্ছে এবং পুরুষদের খাবারের জন্য হাতে করে পাঁচশো টাকার নোট দিতে দেখা গেছে। যদিও টাকা ও শাড়ি বিলি করার ঘটনা অস্বীকার করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, এমন কোনও ঘটনার সঙ্গে তিনি যুক্ত নন, বিরোধীদের অপপ্রচার মাত্র। 

    বিরোধীদের বক্তব্য

    স্থানীয় (Birbhum) সঞ্জীব বর্মন সিপিএম নেতা বলেন, টাকা বিলি এবং কাপড় শাড়ি বিতরণের বিষয়টি একদম সত্য। ঘটনা সর্বত্র ভাইরাল হয়েছে। যাঁরা টাকা দিচ্ছেন, তাঁরা সকলেই শাসক দলের লোক। নির্বাচনের আচরণ বিধিকে অমান্য করে এই অনৈতিক আচরণ করা হয়েছে। রাজ্য জুড়ে চোরেদের চুরি সম্পর্কে সকলে জেনে গেছে। তাই শাসক দল হারের সম্ভাবনাকে বুঝতে পেরেই এইভাবে টাকা বিলি করছে। নির্বাচন অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ হলে তৃণমূলকে সাধারণ মানুষ বহিষ্কার করবে। তিনি আরও বলেন, এইভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করার বিষয় নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ জানাবো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Police: আবগারি দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করেও লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন কলকাতা পুলিশের সেই অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার

    Kolkata Police: আবগারি দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করেও লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন কলকাতা পুলিশের সেই অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু বারের লাইসেন্সই নয়, আবগারি দফতরে চাকরি করে দেওয়ার নাম করেও লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার সোমনাথ ভট্টাচার্য। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনই তথ্য জানতে পেরেছেন বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা। এমনিতেই সঞ্জয় বসু নামে উত্তরপাড়ার এক বাসিন্দার কাছ থেকে বারের লাইসেন্সের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন তিনি। আর একজনের কাছ থেকে নিয়েছিলেন ৩৬ লক্ষ টাকা। সঞ্জয়বাবুকে চালানও দিয়েছিলেন ওই পুলিশ অফিসার (Kolkata Police)। আবগারি দফতরের সেই চালান যে ভুয়ো, তা পুলিশ তদন্তে জানতে পারে।  সব মিলিয়ে তিনি প্রায় কোটি টাকা তুলেছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান।

    আবগারি দফতরে চাকরি দেওয়ার জন্য কতজনের থেকে টাকা নিয়েছিলেন ওই পুলিশ অফিসার?

    ধৃত পুলিশ অফিসারের বাড়ি থেকে আবগারি দফতরের কিছু নিয়োগপত্র পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছিল। পরে সেই নিয়োগপত্রগুলি খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পারে, সবই ভুয়ো। আবগারি দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে ওই পুলিশ অফিসার (Kolkata Police) টাকা তুলেছেন বলে তদন্তকারী আধিকারিকরা মনে করছেন। সেইমতো ধৃত পুলিশ অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়। তাতে নতুন তথ্য পুলিশের হাতে আসে। জানা যায়, পুলিশের চোখে ধুলো দিতেই কারও কাছ থেকে চেক বা অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা নিতেন না। সমস্ত টাকা নগদে নিতেন। মূলত বরানগরে বনহুগলির বাড়িতে বসেই এই কারবার চালাতেন। পুলিশ অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন, আবগারি দফতরে চাকরি দেওয়ার জন্য তিনি মাথাপিছু ৪ লক্ষ টাকা করে নিতেন। এইভাবে আটজনের কাছ থেকে মোট ৩২ লক্ষ টাকা তিনি তুলেছেন। উত্তরপাড়া এলাকায় এরকম বেশ কয়েকজন প্রার্থীর কাছ থেকে তিনি টাকা নিয়েছিলেন। এমনকী বারের লাইসেন্স দেওয়ার নাম করে যে সঞ্জয় বসুর কাছে থেকে ৩০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রীকে আবগারি দফতরে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। এজন্য তাঁর কাছ থেকেও টাকা নিয়েছিলেন। কলকাতা এবং দক্ষিণেশ্বর এলাকাতেও অনেকের কাছ থেকে তিনি টাকা তুলেছিলেন। আর কার কাছ থেকে তিনি টাকা তুলেছিলেন, তা তদন্তকারী আধিকারিকরা জানার চেষ্টা করছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cash Recovery: অধ্যাপকের বাড়িতে মিলল রাশি রাশি টাকা, পরিমাণ কত জানেন?

    Cash Recovery: অধ্যাপকের বাড়িতে মিলল রাশি রাশি টাকা, পরিমাণ কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ফের বিপুল পরিমাণ নগদ উদ্ধার (Cash Recovery)। এর আগে টাকা মিলেছিল টালিগঞ্জে, বেলঘরিয়ায় এবং গার্ডেনরিচে। এবার তাড়া তাড়া নোট উদ্ধার হল উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) খড়দহে, এক অধ্যাপকের ফ্ল্যাটে। এদিন উদ্ধার হল প্রায় ৩২ লক্ষ টাকা। উদ্ধার করলেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার রাত থেকে খড়দহের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ।

    বান্ডিল বান্ডিল টাকা…

    শুক্রবার খড়দহের নাথুপাল ঘাট রোড এলাকায় শিরোমণি আবাসনে হানা দেন বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক। এই আবাসনেরই একতলায় প্রায় আড়াই বছর ধরে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে বাস করছেন অধ্যাপক অমিতাভ দাস। তাঁর ফ্ল্যাট থেকেই মেলে বিপুল অঙ্কের নগদ (Cash Recovery)। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য কমিশন হিসেবে ওই টাকা নেওয়া হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান তদন্তকারীদের। অভিযুক্ত অধ্যাপককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নাম করে, ভুয়ো সার্টিফিকেট বের করে দিয়েই এই টাকা তুলেছিলেন অধ্যাপক।

    আরও পড়ুুন: আবাস যোজনার তালিকায় নাম দোতলা বাড়ির মালিকের! ঘুরে দেখল কেন্দ্রীয় দল

    অধ্যাপকের এই কাজের সঙ্গে আর কেউ যুক্ত কিনা, এর নেপথ্যে কোনও চক্র রয়েছে কিনা, তাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ওই অধ্যাপকের পরিবারের সদস্যদের। এদিন যে টাকা  উদ্ধার (Cash Recovery) হয়, তার সিংহভাগ নোটই ছিল ২০০০ টাকার। টাকা গুণতে নিয়ে আসা হয় ব্যাঙ্ক কর্মীদের। ঠিক কী কারণে গোয়েন্দারা ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালালেন, এদিন রাত পর্যন্ত তা স্পষ্ট নয়। ওই ফ্ল্যাটের অন্য আবাসিকদের দাবি, এর আগে সন্দেহজনক কিছু চোখে পড়েনি তাঁদের।

    প্রসঙ্গত, গত জুলাইয়ের শেষ দিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইডির জালে ধরা পড়ে মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও। দফায় দফায় অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ৫০ লক্ষ টাকা (Cash Recovery) বাজেয়াপ্ত করে ইডি। গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী নিসার খানের বাড়ি থেকে ১৭ কোটি টাকা উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশ। তার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের নগদ উদ্ধার। এবং সেটা এ রাজ্যেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • SSC Scam: টাকা আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়, তিন সত্যি পার্থর!

    SSC Scam: টাকা আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়, তিন সত্যি পার্থর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) তাঁর ঘনিষ্ঠ জনৈক অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। সেই টাকার উৎস খুঁজতে মরিয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। এদিন ইডির হাতে গ্রেফতার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chaterjee) দাবি করলেন, ওই টাকা তাঁর নয়। তবে টাকাটা কার, তাও খোলসা করেননি তিনি।

    স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এদিন পার্থ এবং অর্পিতাকে নিয়ে যাওয়া হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। সেখানে ঢোকার মুখে পার্থ জানিয়েছিলেন, তাঁর কোনও টাকা নেই। কার টাকা?  জবাবে প্রাক্তন মন্ত্রী বলেন, সময় এলেই বুঝবেন। বেরনোর সময় ফের উদ্ধার হওয়া টাকা সম্পর্কে একই প্রশ্নের উত্তরে পার্থ বলেন, আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়।

    এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটের সন্ধান পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটি  টাকার ওপর। ঘটনাটিকে পার্থ ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছিলেন। টাকা উদ্ধারের ঘটনার প্রেক্ষিতে মন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয়েছে পার্থকে। হতে হয়েছে তৃণমূল থেকে সাসপেন্ডও। এসব সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিলেও, টাকা নিয়ে কোনও কথা এতদিন বলেননি প্রাক্তন মন্ত্রী। এদিন বললেন। দু’বার দু’রকম। হাসপাতালে ঢোকার মুখে বললেন আমার কোনও টাকা নেই। হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় বললেন, আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়।

    আরও পড়ুন : শুধু এসএসসি নয়, পার্থ-অর্পিতা জড়িত প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতেও! আদালতে দাবি ইডি-র

    পার্থের এই প্রতিক্রিয়ার পাল্টা দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ভাইপো টাকাটা রাখতে দিয়েছেন। অপা সিন্ডিকেটের মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর নির্দেশ দিতেন ভাইপো, কয়লা ভাইপো। শুভেন্দুর কথায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর অপা ওই টাকার কাস্টডিয়ান বা তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। তাঁর দাবি, ভাইপোর নিজের, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বহু কালেক্টর রয়েছেন, যাঁরা টাকা সংগ্রহ করেন। শুভেন্দু বলেন, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যাম মুখোপাধ্যায় বিনয় মিশ্রের মাধ্যমে ১২ কোটি টাকা তুলে দিয়েছিলেন। ব্যানার্জি-চ্যাটার্জির যৌথ ষড়যন্ত্র এসব।

    এদিকে, পার্থ-অর্পিতার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এদিন আরও ৮ কোটি টাকার হদিশ মিলেছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন : এবার ইডি-র নজরে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে থাকা পার্থ-অর্পিতার একাধিক জমি?

LinkedIn
Share