Tag: Monsoon

Monsoon

  • HFMD: বর্ষায় বাড়ছে এইচএফএম রোগের দাপট? কীভাবে সন্তানকে সুস্থ রাখবেন?

    HFMD: বর্ষায় বাড়ছে এইচএফএম রোগের দাপট? কীভাবে সন্তানকে সুস্থ রাখবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    স্কুল থেকে ফিরেই জ্বর! সঙ্গে দেখা দিচ্ছে সর্দি, হাঁচি, কাশির মতো উপসর্গ। বর্ষার মরশুমে (Monsoon) এমন সমস্যা হামেশাই হয়। সাধারণ ভাইরাস ঘটিত জ্বর কিংবা গলাব্যথার মতো সমস্যায় ভোগে কমবেশি সব বয়সীরাই। কিন্তু শিশুদের এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে বাড়তি সজাগ থাকার পরামর্শ দিচ্ছে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে বর্ষার মরশুমে বাড়ছে হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজ (এইচএফএম)। আর তার (HFMD) জেরেই ভোগান্তি বাড়ছে‌। সতর্ক না হলে ভাইরাসের দাপট বাড়বে। শিশুদের ভোগান্তিও আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছে চিকিৎসকদের একাংশ। 

    হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজ (এইচএফএম) কী? (HFMD)

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজ (এইচএফএম) হল এক ধরনের ভাইরাস ঘটিত অসুখ। এই রোগের কোনও টিকা নেই। এই ভাইরাস খুব সহজেই একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণত হাঁচি এবং কাশির মাধ্যমেই এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়। তাই সচেতনতা ও সতর্কতাই পারে এই রোগের সংক্রমণ রুখতে। শিশুদের পাশপাশি প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরে এই রোগের দাপট কম থাকে। শিশুদের ভোগান্তি বেশি হয়। তাই পরিবারের খুদে সদস্যদের নিয়েই সজাগ থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। 

    কেন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজ (এইচএফএম)? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, সাধারণ শীতের মরশুমে এই রোগের প্রকোপ বাড়ে। কিন্তু চলতি বছরে বর্ষার মরশুমেও হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজের প্রকোপ বেড়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি দিল্লি, মহারাষ্ট্র সহ দেশের অন্যান্য রাজ্যেও এই রোগ (HFMD) হচ্ছে। ২ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যেই এই রোগের প্রকোপ বেশি‌ দেখা দিচ্ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, আবহাওয়ার পরিবর্তনে তাপমাত্রার রকমফের হয়। আর তার জেরেই বাতাসে একাধিক ভাইরাস সক্রিয় হয়। চলতি বছরে কলকাতা ও রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় মারাত্মক গরম পড়েছিল। বর্ষার মরশুমে সেই তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই কমেছে। সেই কারণেই বর্ষার মরশুমে বাড়ছে হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজ (এইচএফএম)-এর দাপট। 

    কীভাবে এই রোগ শনাক্ত হবে? (HFMD)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজে (এইচএফএম) প্রথমে সাধারণ জ্বরের মতোই লক্ষণ দেখা যায়। শরীরের তাপমাত্রা মারাত্মক বাড়তে থাকে। তার সঙ্গে দেখা যায় সর্দি, গলাব্যথা। এরপরে শরীরের বিভিন্ন অংশে বিশেষত পায়ের পাতা, মুখের ভিতর, ঠোঁট এবং হাতে লাল ফোস্কার মতো দাগ ফুটে ওঠে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, অধিকাংশ অভিভাবকেরা অনেক সময়েই এই রোগকে চিকেন পক্স ভাবেন। কিন্তু চিকেন পক্স আর হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজ (এইচএফএম) সম্পূর্ণ আলাদা। এই রোগে আক্রান্ত হলে শিশুর খাওয়ার ইচ্ছে সম্পূর্ণ চলে যায়। 

    কীভাবে সন্তানকে সুস্থ রাখবেন? (Monsoon)

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, জ্বরের উপসর্গ দেখা দিলে প্রথম থেকেই সতর্ক থাকা জরুরি। শরীরের কোথাও র ্যাশ দেখা দিচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার। উপসর্গ দেখা দিলে কোনও রকম দেরি করা উচিত নয়। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়ানো দরকার। শিশু হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজে (এইচএফএম) আক্রান্ত (HFMD) হলে অন্তত ১৪ দিন স্কুলে পাঠানো উচিত নয়। এই রোগ খুবই সংক্রামক। আক্রান্তের থেকে বহু শিশুর দেহে এই রোগ ছড়াতে পারে। তাই এই বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন থাকা জরুরি।‌ 
    আক্রান্তের খাবার থালা, গ্লাস যাতে পরিবারের অন্য কেউ ব্যবহার না করে, সেদিকেও‌ নজর দেওয়া জরুরি বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক ও সচেতন থাকলেই সন্তানের ভোগান্তি কমবে বলেই তাঁরা জানিয়েছেন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: বর্ষায় অজানা পোকার কামড়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু! তীব্র আতঙ্ক রায়গঞ্জে

    Uttar Dinajpur: বর্ষায় অজানা পোকার কামড়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু! তীব্র আতঙ্ক রায়গঞ্জে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই বর্ষাতে নতুন আতঙ্ক দেখা গিয়েছে। অজানা এক পোকার কামড়ে শরীরে পড়ছে ফোসকা, আসছে বেদম জ্বর। ইতিমধ্যে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। তবে আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগ মহিলা এবং শিশু। তবে এই পোকার উপদ্রব কীভাবে আটকানো যায়, তা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন এলাকার মানুষ। ঘটনা ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) রায়গঞ্জে। এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

    পোকা কামড়ালেই বেদম জ্বর আসে (Uttar Dinajpur)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পোকা (Insect) কামড়ালে বেদম জ্বর আসছে। শরীরের অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। ৮ থেকে ৮০, কেউই এই পোকার প্রকোপ থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না। রায়গঞ্জের (Uttar Dinajpur) কুলিক নদীর সংলগ্ন দেবীনগর, বীরনগর, শক্তিনগর, পশ্চিম বীরনগর এলাকার ২২, ২৩, ২৬, ২৭, ৮, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বহু মানুষ ইতি মধ্যে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু এই পোকা কী? কথা থেকে এসেছে, কেউ নাম বলতে পারছেন না। রোগের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে একাধিক মানুষ গৃহেবন্দি হয়ে রয়েছেন। পোকার কামড়ে অসুস্থ হয়ে একজন ইতিমধ্যে মারাও গিয়েছেন।

    শরীরে তীব্র জ্বালা শুরু হয়

    এলাকার (Uttar Dinajpur) এক যুবতী রুনা সিং আক্রান্ত হয়েছেন এই পোকার কামড়ে। তিনি বলেছেন, “যখন পোকা (Insect) কামরায় তখন অনেকেই বুঝতে পারেননি। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই শরীরে জ্বালা শুরু হয়ে যায়। আমি যখন জঙ্গলের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলাম, সেই সময় আচমকা কিছু একটা পোকা কামড়ে দিয়েছিল। এরপর শুরু হয় ব্যাপক জ্বালা। হাত দিয়ে ধরতেই ফোসকা পড়ে গেল। একই ভাবে আমার চোখ লাল হয়ে গিয়েছিল। এরপর ডাক্তারকে দেখাতে গেলে পোকার কামড়ে সংক্রমণ হয়েছে বলে জানতে পারি।”

    কেমন দেখতে পোকা?

    এই পোকা (Insect) দেখতে বাদামি রঙের। দিনে ভালো করে দেখা যায় না। রাতে আলোর দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে। বর্ষায় জল জমে, গাছ লতাপাতা বাড়ে সেখানে নানা পোকার বাসা হয়। এই পোকা এইরকম ভাবেই এলাকায় বাসা বেঁধেছে। তবে চিকিৎসা করতে গিয়ে ডাক্তাররাও একে বারে নাজেহাল। আবার রায়গঞ্জ (Uttar Dinajpur) পুরসভার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঝোপঝাড় বাড়লেও সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে নিয়মিত সাফাই অভিযান চালানো হয়। প্রশাসন বর্ষার পোকামাকড় থেকে রক্ষা পেতে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বলে জানা গিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Monsoon Diseases: হাজির বর্ষা, সঙ্গে এসেছে হরেক ব্যাধিও, কী কী রোগ হতে পারে জানেন?

    Monsoon Diseases: হাজির বর্ষা, সঙ্গে এসেছে হরেক ব্যাধিও, কী কী রোগ হতে পারে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গে এসে গিয়েছে বর্ষা। বর্ষা এসেছে গোটা দেশেও। সঙ্গে এসেছে বর্ষার বিভিন্ন রোগ্য-ব্যাধি (Monsoon Diseases)। গ্রীষ্মের খরতাপে পুড়েছে দেশ। তার পর স্বস্তির বৃষ্টি এনেছে বর্ষা। তবে স্বস্তির পাশাপাশি সঙ্গে নিয়ে এসেছে অস্বস্তিও। কারণ রোগ-বালাইয়ের (Infections And Diseases) জ্বালায় অস্থির দেশবাসী। বর্ষার মরশুমের এই রোগগুলির মধ্যে কয়েকটি আবার প্রাণঘাতীও। ঠিক সময় চিকিৎসা শুরু না হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে রোগী কিংবা রোগিণীর।

    বর্ষার রোগবালাই (Monsoon Diseases)

    এই রোগগুলির কয়েকটির বাহক মশা। বর্ষায় বৃষ্টির জল জমে যত্রতত্র। সেই জমা জলে জন্মায় মশা। পরবর্তীকালে সে-ই হয়ে দাঁড়ায় প্রাণঘাতী নানা রোগের বাহক। মশা-বাহিত রোগের পাশাপাশি বর্ষাকালে উপদ্রব বাড়ে ভাইরাসেরও। তাই এই সময় ভাইরাসঘটিত রোগবালাইয়েও ভোগেন মানুষ। ছত্রাকের সংক্রমণ তো ফি বর্ষার রুটিনের মধ্যেই পড়ে। তাই বর্ষার সময় একটু বেশিই সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। একমাত্র সাবধানতা অবলম্বন করলেই জমিয়ে উপভোগ করা যাবে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি-ঋতুর সৌন্দর্য। এবার জেনে নেওয়া যাক, বর্ষায় কী কী রোগ হতে পারে।

    পেটের রোগ

    ফি বর্ষায় ভারতে যে রোগটি খুবই কমন (Monsoon Diseases), সেটি হল পেটের রোগ। ডায়েরিয়া, তলপেটে খিঁচুনি, বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে, বমিও হতে পারে। জলের মাধ্যমে ছড়ায় ডায়েরিয়া। সামান্য জ্বরও হতে পারে। হতে পারে গাঁটে ব্যথাও। দ্রুত চিকিৎসা শুরু না করলে হতে পারে শরীরের ভয়ঙ্কর ক্ষতি। ডিহাইড্রেশন, ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালেন্স মায় কিডনি ফেলিওরও হতে পারে। ডায়েরিয়ার কোনও লক্ষণ দেখা গেলেই দ্রুত ওআরএস খাওয়াতে হবে রোগীকে। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে শুরু করতে হবে যথাযথ চিকিৎসাও।

    ডেঙ্গি

    বর্ষার আর একটি ভয়ঙ্কর রোগ হল ডেঙ্গি। মশা-বাহিত এই রোগে প্রতি বছর মৃত্যু হয় অনেকের। ন্যাশনাল ভেক্টর বর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের রিপোর্ট বলছে, ২০২১ সালে ভারতে নথিভুক্ত হয়েছিল ডেঙ্গিতে আক্রান্ত এক লাখ রোগীর নাম। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ব্যক্তি ভুগবেন প্রচণ্ড জ্বরে। মাথাব্যথায় কাতর হবেন রোগী। যন্ত্রণা হতে পারে চোখের পিছনেও। শরীরের বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে যন্ত্রণাও হতে পারে। ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে ত্বকে। ডেঙ্গি থেকেই হতে পারে ডেঙ্গি হেমোরাজিক ফিভার। এক্ষেত্রে রোগীর শরীর থেকে রক্তপাত হতে থাকবে। বিকল হতে পারে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। মৃত্যুও হতে পারে রোগীর। যেসব শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের ক্ষেত্রে বিপদের সম্ভাবনা অনেক বেশি।

    আর পড়ুন: ইলিশ কেনা থেকে শিষ্যদের ব্যাকরণ পড়ানো, প্রয়াণের দিনে কী কী করেছিলেন স্বামীজি?

    ম্যালেরিয়া

    ডেঙ্গির পাশাপাশি বর্ষার আর একটি উপদ্রব হল মশা-বাহিত রোগ ম্যালেরিয়া। জমা জলে দ্রুত ((Monsoon Diseases)) বংশবৃদ্ধি করে অ্যানোফিলিস মশা। এই মশাই ম্যালেরিয়ার বাহক। ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রার পারদ বাড়তে থাকে দ্রুত। রোগী ভুগতে থাকেন প্রচণ্ড জ্বরে। ঘনঘন জ্বর আসবে। রোগীর খুব ঘাম হবে। মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব এবং পেশিতেও ব্যথা হবে। হঠাৎ হঠাৎ জ্বর আসবে। ফ্লুয়ের মতো লক্ষণও দেখা দেয়। জ্বর আসে কাঁপুনি দিয়ে। ম্যালেরিয়ার দ্রুত চিকিৎসা শুরু না হলে অ্যানিমিয়া, শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হতে পারে। সেরিব্রাল ম্যালেরিয়া হলে রোগী কোমায় চলে যেতে পারেন, মৃত্যুও হতে পারে।

    কলেরা

    প্রতি বছর বর্ষায় কলেরা ভয়ঙ্কর আকার (Infections And Diseases) ধারণ করে ভারতে। জলবাহিত এই রোগে অনেকের মৃত্যুও হয়। জলের মতো পাতলা পায়খানা হতে পারে রোগীর। বমি করতে থাকেন। শরীর থেকে জল বেরিয়ে যেতে থাকবে। প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাবে। রোগীর চোখ গর্তে ঢুকে যেতে পারে। ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালেন্সও দেখা দিতে পারে। অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং জল থেকে এই রোগ ছড়ায়। এক্ষেত্রেও রোগীকে দ্রুত ওআরএস খাওয়ানো প্রয়োজন। রোগের উপসর্গ দেখা দেওয়ার পরে পরেই রোগীকে নিয়ে যেতে হবে চিকিৎসকের কাছে।

    টাইফয়েড

    বর্ষায় ভারতের বিভিন্ন অংশে টাইফয়েডের উপদ্রবও দেখা (Monsoon Diseases) যায়। এক্ষেত্রেও রোগীর শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় অনেকখানি। মাথাব্যথা, তলপেটে যন্ত্রণা এবং দুর্বলতা গ্রাস করে রোগীকে। এক্ষেত্রে জ্বর বাড়তে থাকে ধীরে ধীরে, রোগীর খিদে কমে যায়, কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা ডায়েরিয়াও দেখা যায়। বুকে গোলাপি ছোপ ছোপ দেখা যায়। টাইফয়েডে আক্রান্ত ব্যক্তির দ্রুত চিকিৎসা শুরু না হলে রোগীর জীবনহানি পর্যন্ত হতে পারে। রোগী আক্রান্ত হতে পারেন সেপ্টিসেমিয়ায়ও।

    ফ্লু

    বর্ষার আর একটি অতি পরিচিত রোগ হল ফ্লু। ঠান্ডা লাগা, নাক এঁটে যাওয়া, নাক দিয়ে জল গড়ানো এবং মাথাব্যথা এ রোগের প্রাথমিক লক্ষণ। এ থেকেই রোগী আক্রান্ত হতে পারেন নিউমোনিয়ায়। শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যায়ও ভুগতে পারেন রোগী। জন-ঘন-পূর্ণ এলাকায় দ্রুত ছড়ায় ইনফ্লুয়েঞ্জার ভাইরাস। এই রোগে সব চেয়ে বেশি ক্ষতি হতে পারে বয়স্ক ব্যক্তি এবং শিশুদের।

    লেপ্টোস্পাইরোসিস

    বর্ষায় আর একটি রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। এটি হল লেপ্টোস্পাইরোসিস। এই রোগ মূলত দেখা যায় বানভাসি এলাকায়। এক্ষেত্রেও ফ্লুয়ের মতো উপসর্গ দেখা দেবে, রোগী বমি করতে থাকবেন, চোখ হয়ে উঠবে জবাফুলের মতো টকটকে লাল। ঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু না হলে রোগীর লিভার এবং কিডনি ড্যামেজ হতে পারে। মেনিনজাইটিস এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

    ছত্রাক-ঘটিত রোগ

    বর্ষায় ছত্রাক ঘটিত রোগের প্রাদুর্ভাব অতি পরিচিত একটি ঘটনা। দাদ-হাজা-চুলকুনির সমস্যা দেখা দেয়। নখকুনির সমস্যাও হয় এই সময়। এসব ক্ষেত্রে গা-হাত-পা চুলকোতে (Infections And Diseases) শুরু করবে, চামড়া কুঁচকে যেতে পারে, শরীরে ফোস্কার মতো দেখা দিতে পারে, ছাল উঠতে পারে। অবহেলা করলে চামড়ার স্থায়ী সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে (Monsoon Diseases)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Weather Update:  শনি সকালেও ঘামছে শহরবাসী, আজ বিকেল থেকে বৃষ্টি! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    Weather Update: শনি সকালেও ঘামছে শহরবাসী, আজ বিকেল থেকে বৃষ্টি! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আষাঢ়ের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে এখনও দক্ষিণবঙ্গে (Weather Update) বর্ষার দেখা মেলেনি। গত কয়েক দিন ধরে ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস করছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ। শনিবারও সকাল থেকেই ঘাম ঝড়ছে শহরবাসীর। একাধিক জেলায় চলছে তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে ৪০ ডিগ্রির গণ্ডি। তবে এবার স্বস্তির খবর দিল হাওয়া অফিস। আবহাওয়া দফতর (Weather Update) জানিয়েছে, শনিবার থেকেই ঝড়বৃষ্টির (Monsoon) সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। 

    কবে থেকে বৃষ্টি

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) জানিয়েছে, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব ক’টি জেলাতেই শনিবার বিকেল থেকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে। হাওয়ার বেগ কোথাও কোথাও হতে পারে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার। বৃষ্টিপাত চলতে পারে বুধবার পর্যন্ত। যদিও বর্ষা আসতে এখনও একটু দেরি। 

    দক্ষিণে বর্ষার প্রবেশ

    মৌসম ভবনের পূর্বাভাস (Weather Update), আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে বর্ষা (Monsoon) আসতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। আবহবিদেরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে ওড়িশা, অন্ধ্র উপকূল, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশ এবং বিহারের কিছু অংশে অগ্রসর হতে পারে। আগামীকাল অর্থাৎ ১৬ জুন থেকেই এটির অবস্থানে বদল হতে শুরু করবে। ১৭ তারিখ বিকেলের মধ্যে উত্তরের মালদা এবং দুই দিনাজপুর সহ বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় আনুষ্ঠানিক প্রবেশ ঘটবে বর্ষার। পরবর্তী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা অর্থাৎ ১৮ থেকে ১৯ জুনের মধ্যে সমগ্র দক্ষিণবঙ্গে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করতে পারে বলে পূর্বাভাস জারি করেছে হাওয়া অফিস। প্রথম দিকে অর্থাৎ ২০ বা ২১ তারিখ পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বর্ষা কিছুটা দুর্বল থাকবে। প্রত্যাশার চেয়ে কম বৃষ্টি হবে। কিছুটা বাড়বে দিন ও রাতের তাপমাত্রা। তবে সেই আক্ষেপ পূরণ হবে ২২ থেকে ২৭ জুনের মধ্যে। বর্ষার বৃষ্টি শুরু হবে দক্ষিণের সব জেলায়। কমবে তাপমাত্রা।

    শহরের তাপমাত্রা

    শুক্রবার শহর কলকাতায় রাতের তাপমাত্রা সামান্য বেড়ে ৩০.২ ডিগ্রি হয়েছিল। যা এই সময়ের স্বাভাবিকের থেকে ৩.২ ডিগ্রি বেশি। শনিবার দিনের তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি থেকে কিছুটা বেড়ে ৩৭.৪ ডিগ্রি। যা এই সময়ের স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ভোরে ৫৪ শতাংশ। সকালে ৮৫ শতাংশ। দুপুরের পর প্রায় ১০০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছবে।

    আরও পড়ুন: উষ্ণ আলিঙ্গন বাইডেনকে, খালিস্তানি সমস্যার মধ্যেও ট্রুডোর হাতে হাত রেখে সৌজন্য মোদির

    উত্তরে কতদিন ভারী বৃষ্টির শঙ্কা

    দক্ষিণ যখন গরমে কাহিল, তখন অন্য পরিস্থিতি উত্তরবঙ্গে। সেখানে বর্ষা (Monsoon) ঢুকে গিয়েছে জুনের প্রথম সপ্তাহেই। গত কয়েক দিন প্রবল বৃষ্টি চলছে উত্তরের জেলাগুলিতে। সেখানে বন্যা পরিস্থিতি তৈরির সম্ভাবনাও রয়েছে। টানা বৃষ্টিতে ধস নেমেছে পাহাড়ে। সিকিমে আটকে পড়েছেন পর্যটকেরা। তিস্তার জল ক্রমশ বাড়ছে। এর মাঝে শনিবারও আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পং— তিন জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এই তিন জেলায় ঝড়বৃষ্টির লাল সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। পূর্ব থেকে পশ্চিম একটি অক্ষরেখা রয়েছে উত্তরপ্রদেশ থেকে মেঘালয় পর্যন্ত সেটি আসাম ও উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে গিয়েছে। এছাড়াও একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে পূর্ব বিহার ও উত্তরবঙ্গের উপরে। মূলত এর টানেই উত্তরবঙ্গের ওপরের ৫ জেলায় অতি ভারী এবং নীচের দিকের জেলায় ভারী বৃষ্টি চলবে আগামী অন্তত আরও ৫ দিন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি অব্যাহত, বৃষ্টি হলেও কমবে না গরম! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    Weather Update: আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি অব্যাহত, বৃষ্টি হলেও কমবে না গরম! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকে ফের ভ্যাপসা গরম। রোদের তেজ একটু কমলেও বৃহস্পতিবারও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিতে ভুগছে কলকাতা। বুধবার রাতে এক পশলা বৃষ্টি হলেও ভেজেনি পথ-ঘাট। আজ, বৃহস্পতিবারও একাধিক জেলায় বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস (Weather Update)। তবে, বৃষ্টি হলেও এখনই গরম কমবে না, মত আবহবিদদের। সাময়িক স্বস্তি মিললেও, পাকাপাকি বর্ষা আসতে এখনও দেরি আছে। 

    শহরের আবহাওয়া

    বুধবার দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলায় ছিটেফোঁটা বৃষ্টিপাত হয়। বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ- সমস্ত জেলাগুলিতেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। তবে শনিবার কলকাতায় বেশি বৃষ্টি হতে পারে। এদিন কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে রয়েছে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। ১৫ তারিখের পর থেকে ধীরে ধীরে বৃষ্টির (Weather Update) পরিমাণ বাড়বে তিলোত্তমায়। 

    তাপপ্রবাহের সতর্কতা

    বৃহস্পতিবার পশ্চিমের তিন জেলা পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পুরুলিয়াতে তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা (Weather Update) রয়েছে। ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়াতে মৃদু তাপপ্রবাহ হতে পারে। বৃহস্পতিবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল সর্বাধিক ৮৭ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৬১ শতাংশ। বৃহস্পতিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৬ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি।

    আরও পড়ুন: অর্শদীপের ম্যাজিক স্পেল, সূর্যের অর্ধশতরান! আমেরিকাকে হারিয়ে সুপার এইটে ভারত

    কবে আসবে বর্ষা

    দক্ষিণবঙ্গে ২১ জুন প্রবেশ করতে পারে বর্ষা, আপাতত এমনই মনে করছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update)। ১৫ জুন থেকে বাড়তে পারে বৃষ্টির পরিমাণ। গতকাল উত্তরের উপরের দিকের ৫ জেলাতেও ভারী বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে আজও। ভিজতে পারে মালদহ এবং দক্ষিণ দিনাজপুর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: সকাল থেকে সঙ্গী ঘাম! কবে বর্ষা দক্ষিণবঙ্গে বলতে পারল না হাওয়া অফিস

    Weather Update: সকাল থেকে সঙ্গী ঘাম! কবে বর্ষা দক্ষিণবঙ্গে বলতে পারল না হাওয়া অফিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই চাঁদিফাটা রোদ। ঘেমে-নেয়ে এক সার। সারাক্ষণ জলে ডুব দিয়ে থাকলে ভাল নতুবা, জল গড়াবে মাথা থেকে পা। আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিতে কাহিল শহরবাসী। গরমের ছুটি শেষে সবে খুলেছে স্কুল। ফের ছুটি বাড়ালে ভাল হয় এমনই ভাবনা, ছোট থেকে বড়দের। আপাতত আরও দুইদিন এমনই থাকবে আবহাওয়া জানাল হাওয়া অফিস। বৃহস্পতি এবং শুক্রবার বৃষ্টি (Monsoon) হতে পারে বিভিন্ন জেলায়। ইতিমধ্যে পশ্চিমের ৪ জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা (Weather Update) থাকছে।

    দক্ষিণে মৌসুমী বায়ুর প্রবেশ

    হাওয়া অফিস সূত্রে (Weather Update) খবের, ১৪ তারিখের আগে মৌসুমী বায়ুর (Monsoon) দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ নিয়ে কোনও আপডেট দেওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। জুনের এক সপ্তাহ কেটে গেলেও ছিটেফোঁটা বৃষ্টির দেখা নেই। সাধারণত ১০ জুন দক্ষিণবঙ্গে মৌসুমী বায়ুর প্রবেশ করার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। উল্টে গরম বাড়ছে প্রতিদিন। গত ৩১ মে থেকে একই জায়গায় থমকে মৌসুমী অক্ষরেখা। এই সপ্তাহে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণে মৌসুমী বায়ু আসার সম্ভাবনা নেই। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি দক্ষিণবঙ্গে আসতে পারে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের। তবে তার আগে বৃহস্পতি ও শুক্রবার বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। 

    গরমে নাজেহাল শহর থেকে জেলা

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) বলছে, দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় থাকছে চরম গরম ও প্যাচপ্যাচে ঘর্মাক্ত পরিস্থিতি। আগামী ২৪ ঘন্টায় আরও এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়তে পারে। আজ মঙ্গলবারও তেমনভাবে কোনও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের চার জেলা  বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়ায় তৈরি হতে পারে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। বুধবার বিকেলের পর থেকে পরিবর্তন হতে পারে আবহাওয়ার। বৃহস্পতি এবং শুক্রবার রাজ্যজুড়ে থাকছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩.১ ডিগ্রি বেশি। পাশাপাশি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ভোরে ৫৬ শতাংশ এবং বেলা বাড়লে ৮৫ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘন্টায় আরও ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

    আরও পড়ুন: মন্ত্রক বদলাল না শান্তনুর, মোদি মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েই জোড়া দায়িত্ব সুকান্তর

    উত্তরে চলছে বৃষ্টি

    উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির (Monsoon) পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস (Weather Update)। উপরের দিকের পাঁচ জেলাতে বৃষ্টি চলবে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার জেলাতে ভারী বৃষ্টি সঙ্গে দমকা বাতাসের পূর্বাভাস। মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। বুধ ও বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। ভারী বৃষ্টির সঙ্গে দমকা ঝড়ো বাতাস বইবে মালদা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: রবিতেও তীব্র গরমে পুড়বে কলকাতা ও জেলা! তাপপ্রবাহের সতর্কতা, কবে বৃষ্টি শহরে?

    Weather Update: রবিতেও তীব্র গরমে পুড়বে কলকাতা ও জেলা! তাপপ্রবাহের সতর্কতা, কবে বৃষ্টি শহরে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দীর্ঘ দগ্ধ দিন’! সকাল থেকে ঘামে প্যাচপ্যাচে গরম। দুপুর গড়িয়ে বিকেল। জুনের ৮ তারিখেও গরমে নাজেহাল শহরবাসী। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস (Weather Update) বলছে, রবিবার আরও ২-৩ ডিগ্রি গরম বাড়বে শহরে। শনিবার থেকে মঙ্গলবার তাপপ্রবাহের পরিস্থিতিই বজায় থাকবে পশ্চিমের চার জেলায়। বাকি জেলাগুলিতেও আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি চরমে উঠবে। রাতেও আদ্রতাজনিত অস্বস্তি অনুভূত হবে।

    কবে থেকে বর্ষা

    উত্তরবঙ্গে আগাম বর্ষা এলেও দক্ষিণবঙ্গের দিকে বর্ষা (Monsoon) এগোচ্ছে বিলম্বিত লয়ে। আগামী সপ্তাহের আগে দক্ষিণবঙ্গে মৌসুমী বায়ু  প্রবেশ করার সম্ভাবনা কম।  আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গে ৩১ মে থেকে একই জায়গায় মৌসুমী অক্ষরেখা অবস্থান করছে। খুব ধীর গতিতেত এগোচ্ছে। দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি দক্ষিণবঙ্গে আসতে পারে। ১২-১৩ জুনের আগে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার মঙ্গল ধ্বনি শোনা যাবে না। অন্যদিকে শনিবার জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০ কিমি বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরের জেলাগুলিতে। 

    আরও পড়ুন: ছত্তিশগড়ে যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম ৭ মাওবাদী, উদ্ধার অস্ত্র

    তাপপ্রবাহের ইঙ্গিত

    আবহাওয়া দফতর (Weather Update) জানাচ্ছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া কষ্ট দেবে। বীরভূম ,পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া , পুরুলিয়া , ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় অস্বস্তি থাকবে চরমে। তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়া এই তিন জেলাতে ।  সোমবার থেকে পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়ার সঙ্গে বীরভূম জেলাতেও তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হবে। শনিবার সকালে শহর কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯ ডিগ্রি। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.১ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৫৫ থেকে ৮৫ শতাংশ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার প্রবেশ দেরিতে, পারদ চড়ছে শহরে, কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা

    Weather Update: দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার প্রবেশ দেরিতে, পারদ চড়ছে শহরে, কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময়ের আগে বাংলায় বর্ষা (Monsoon in Bengal) প্রবেশ করলেও তা আটকে থেকেছ উত্তরেই। দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসার দিনক্ষণ এখনও জানায়নি হাওয়া অফিস (Weather Update)। প্রতিদিনই চড়ছে তাপমাত্রার পারদ।  দক্ষিণবঙ্গের অন্তত তিন জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী ১০ জুনের বদলে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকতে পারে ১২ বা ১৩ জুন। 

    কোথায় কোথায় তাপপ্রবাহ

    গত কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় আর্দ্রতাজনিত গরম এবং অস্বস্তি চলছে। বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি (Monsoon in Bengal) হলেও গরম থেকে নিস্তার মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে হাওয়া অফিস (Weather Update) জানিয়ে দিল, আগামী কয়েক দিনেও পরিস্থিতি বদলের কোনও আশা নেই। আলিপুর আরও জানিয়েছে যে, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়া জেলার কিছু জায়গায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।  ওই তিন জেলা বাদে দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতেও তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাবে।

    আরও পড়ুন: পাশে নীতীশ, নায়ডু, মোদির নেতৃত্বেই সরকার গড়ার পথে এনডিএ

    কবে থেকে বৃষ্টি

    উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যে বর্ষা (Weather Update) প্রবেশ করেছে। তবে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা (Monsoon in Bengal) প্রবেশ করতে দু’তিন দিন দেরি হতে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদদের একাংশ। মৌসুমি বায়ুর প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশে বিলম্ব হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহবিদেরা। গত ৩১ মে কেরল হয়ে বর্ষা প্রবেশ করার কথা ছিল দেশে। কিন্তু দেশবাসীকে দহনজ্বালার হাত থেকে মুক্তি দিতে এক দিন আগেই, অর্থাৎ ৩০ মে কেরল উপকূলে এসে পৌঁছয় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। কেরলে ইতিমধ্যেই বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। মৌসুমি বায়ু বর্তমানে একটু একটু করে উত্তর-পূর্বের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। যার প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে অরুণাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, মিজোরাম, মণিপুর এবং অসমেও। বৃষ্টি চলছে উত্তরবঙ্গেও। কিন্তু দক্ষিণে বর্ষামঙ্গলের ধ্বনি বাজতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েকদিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ভোট গণনার দিন বৃষ্টি! উত্তরে বর্ষা ঢুকলেও দক্ষিণে এখনও অপেক্ষা

    Weather Update: ভোট গণনার দিন বৃষ্টি! উত্তরে বর্ষা ঢুকলেও দক্ষিণে এখনও অপেক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট গণনার দিনও বৃষ্টি চলবে বঙ্গে। সোমবার সকাল থেকেই শহরের আকাশে চলছে রোদ-ছায়ার খেলা। তবে বুধবারের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা ফের বাড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস (Weather Update)। উত্তরবঙ্গেই আপাতত আটকে থাকছে বর্ষা। দক্ষিণে কবে বর্ষার (Monsoon) প্রবেশ ঘটবে তা বলেনি আবহাওয়া দফতর। গত ৩১ মে বর্ষা ঢুকেছে উত্তরবঙ্গে। দক্ষিণে বর্ষা প্রবেশের সময় জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ। উত্তরে বর্ষা ঢুকে পড়ায় মনে করা হয়েছিল সময়ের আগেই বর্ষা ঢুকবে দক্ষিণবঙ্গেও। কিন্তু তা হচ্ছে না। 

    শহরের তাপমাত্রা

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) জানাচ্ছে, সোমবার শহরের আকাশ থাকতে পারে আংশিক মেঘলা। সঙ্গে হতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত (Monsoon)। এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৪ ডিগ্রি কম। অন্যদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এক্ষেত্রে তাপমাত্রা বিশেষভাবে না বাড়লেও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি দিনভর বজায় থাকবে দক্ষিণবঙ্গে। সকাল থেকেই থাকবে ঘামে প্যাচপ্যাচে গরম। তবে বিকেল বা সন্ধ্যায়র দিকে ঝড়বৃষ্টিতে সাময়িক স্বস্তি মিলতে পারে। 

    ভোট গণনার দিন বৃষ্টি

    আলিপুর হাওয়া অফিস (Weather Update) জানিয়েছে,বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি (Monsoon) চলতে পারে। সোমবার উপকূলবর্তী জেলাগুলির পাশাপাশি বাঁকুড়া ও নদিয়াতেও থাকছে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস। এমনকী মঙ্গলবার ভোট গণনার দিনও উপকূলবর্তী জেলায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা। দুর্যোগ হতে পারে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়াতেও। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে সোমবার এবং মঙ্গলবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়াও। মালদহ, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে ভারী বৃষ্টি চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। বৃষ্টি হতে পারে ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার। সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে বইতে পারে দমকা হাওয়া। উত্তরের উপরের দিকের পাঁচ জেলাতেই ৩-৪ দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে।

    আরও পড়ুন: দুধের দাম বাড়াল আমূল, জানেন কত টাকা করে প্রতি প্যাকেট?

    দেশের নানা প্রান্তে গরম 

    তবে সারা ভারতের পরিপ্রেক্ষিতে আস্তে আস্তে কমবে তাপপ্রবাহের দাপট। তিন থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমবে রাজস্থান হরিয়ানা দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশের কিছু অংশে। তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা রয়েছে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চন্ডীগড়ে। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চন্ডীগড় ও দিল্লিতে রাতও হবে গরম। তবে তাপমাত্রা সামান্য কমলেও, তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় থাকবে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, কঙ্কন, গোয়া, সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছে। হাওয়া অফিস (Weather Update) সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় শুকনো আবহাওয়া থাকবে। তাপমাত্রা বাড়তে পারে আরও দুই থেকে তিন ডিগ্রি। তবে ইতিমধ্যেই বর্ষা (Monsoon) প্রবেশ করেছে কেরলে। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে দক্ষিণের রাজ্যে, লাক্ষাদ্বীপ, আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। তামিলনাড়ুতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সোমবার থেকে। ভারী বৃষ্টি হবে আসাম মেঘালয় এবং অরুণাচল প্রদেশে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Monsoon 2024: কেরলে ঢুকে পড়ল বর্ষা, কয়েক দিনেই পৌঁছবে উত্তর-পূর্ব ভারতে

    Monsoon 2024: কেরলে ঢুকে পড়ল বর্ষা, কয়েক দিনেই পৌঁছবে উত্তর-পূর্ব ভারতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার কেরলে বর্ষা প্রবেশ করল। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (IMD) জানিয়েছে, আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে উত্তর-পূর্ব ভারতেও মৌসুমী বায়ু (Monsoon 2024) ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর জেরে টানা বৃষ্টিপাতের (Heavy Rainfall) সম্ভাবনা রয়েছে। ২৮ মে পর্যন্ত বৃষ্টি দক্ষিণ আরব সাগর এবং মালদ্বীপ অঞ্চলে পৌঁছেছিল।

    যেসব অঞ্চলে বেশি বৃষ্টি হবে (Monsoon 2024)

    “বর্ষার (Monsoon 2024) অনুকূল পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। দক্ষিণ আরব সাগরের আরও বেশি এলাকায় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর অগ্রগতি, মালদ্বীপের অবশিষ্ট অংশ এবং কমোরিন অঞ্চল, লক্ষদ্বীপ এলাকার কিছু অংশ, কেরালা, দক্ষিণ-পশ্চিমের অতিরিক্ত অঞ্চল এবং আগামী তিন বা চার দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় বঙ্গোপসাগর, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির কিছু অংশে টানা বর্ষা হবে” আইএমডি জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কেরলে প্রাক-বর্ষার বৃষ্টিতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। রাজ্যের বেশ কয়েকটি শহরে রাস্তাগুলি প্লাবিত হয়। যার ফলে স্থানীয়দের বাড়ির বাইরে পা রাখা কঠিন হয়ে পড়েছিল।

    আরও পড়ুন: হঠাৎ বিস্ফোরণ! জগন্নাথ দেবের চন্দন যাত্রায় ঝলসে গেলেন একাধিক ভক্ত

    কাক্কানাদ-ইনফোপার্ক এবং আলুভা-এডাপ্পল্লি এলাকায় ব্যাপক জলমগ্ন ছিল। সোমবার রাত থেকে তিরুবনন্তপুরম জেলায় প্রবল বর্ষণ চলছে। বর্তমানে, মধ্যম ট্রপোস্ফিয়ারিক স্তরে একটি ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণ তামিলনাড়ু এবং এর আশেপাশের অঞ্চলে অবস্থান করছে। এর ফলে কেরল, লক্ষদ্বীপ এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ঝড়, বজ্রপাত এবং দমকা হাওয়া (৩০-৪০ কিমি প্রতি ঘণ্টা) সহ বিস্তৃত এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কারাইকাল, উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, রায়ালসীমা এবং কর্নাটকের মত রাজ্যগুলিতেও আগামী সাত দিন বিক্ষিপ্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

    বহু অংশে বৃষ্টি কম হবে

    আইএমডি-র পূর্বাভাস, জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত (Monsoon 2024) প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সারা দেশে মৌসুমী বৃষ্টিপাত গড় বৃষ্টিপাতের ১০৬ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে উত্তর-পশ্চিম ভারত, উত্তর-পূর্ব ভারত, মধ্য ভারতের পূর্ব অংশ এবং পূর্ব ভারতের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে অনেক জায়গায় স্বাভাবিক থেকে স্বাভাবিকের কম বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share