Tag: Monuments

Monuments

  • Karnataka Waqf: কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকে পুরাতত্ত্ব বিভাগের ৪৩টি ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ দখল ওয়াকফ বোর্ডের!

    Karnataka Waqf: কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকে পুরাতত্ত্ব বিভাগের ৪৩টি ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ দখল ওয়াকফ বোর্ডের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকে (Karnataka) ৫৩টি পুরাতত্ত্ব বিভাগের ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে। যার মধ্যে ৪৩টি দখল করেছে ওয়াকফ বোর্ড (Waqf Board)। ইতিমধ্যে সরকারের রাজস্ব বিভাগের পক্ষ থেকে ওই সম্পত্তি ওয়াকফ বোর্ডের নামে রেকর্ড এবং শংসাপত্র প্রদান করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে এএসআই-এর সমীক্ষার অধীনে থাকা ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভকে কীভাবে মুসলিম ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি হিসেবে সিলমোহর দেওয়া হোল? সিদ্ধারামাইয়া, ডিকে শিবকুমার এবং রাহুল গান্ধীরা কি তাহলে এএসআইকে অন্ধকারে রেখে নিয়ম বহির্ভূত কাজ করলেন?

    রেকর্ড করার সময় মন্ত্রী ছিলেন মোহাম্মদ মহসিন (Karnataka)!

    এই স্মৃতিস্তম্ভগুলির মধ্যে রয়েছে গোল গুম্বাজ, ইব্রাহিম রৌজা, বড় কামান, বিদারের দুর্গ এবং কালাবুরাগী এবং অন্যান্য আরও অনেক। এই ৫৩টি স্মৃতিস্তম্ভের মধ্যে ৪৩টি কর্ণাটকের বিজয়পুরায়। বাকিগুলির মধ্যে ৬টি হাম্পিতে এবং ৪টি বেঙ্গালুরু সার্কেলে রয়েছে। ডেকান ক্রনিকলের একটি প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, বিজয়পুরা ওয়াকফ বোর্ড (Waqf Board) ২০০৫ সালে ৪৩টি কেন্দ্রীয়ভাবে সুরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভকে নিজস্ব হিসাবে ঘোষণা করেছিল। সেই সময় রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের (চিকিৎসা শিক্ষা) প্রধান সচিব ছিলেন মোহাম্মদ মহসিন। আবার তিনি বিজয়পুরায় ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ডেপুটি কমিশনারের পদেও ছিলেন। এই চেয়ারম্যান বলেন, “প্রমাণিত প্রামাণ্য তথ্য পেশ করার পর রাজস্ব বিভাগ একটি সরকারি গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। ওয়াকফ বোর্ড সম্পত্তির মালিক হিসেবে নিজেদের নামে রেকর্ড এবং সরকারের শংসাপত্রও পেয়েও গিয়েছে।”

    ১৯৫৮ সালের বিধি দ্বারা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ

    জানা গিয়েছে একবার কোনও সম্পত্তি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI) এর অন্তর্গত হয়ে গেলে, তারপর ডি-নোটিফাই করা যায় না। সেই সঙ্গে অন্য পক্ষের কাছে হস্তান্তরও করা যায় না। আই নিয়ম প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভ এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান অবশেষ (AMASR) আইন এবং ১৯৫৮ সালের বিধি দ্বারা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। একজন এএসআই (Karnataka) কর্মকর্তা বলেন, “এই স্মৃতিস্তম্ভগুলির একটি যৌথ সমীক্ষার কাজ ২০১২ সাল থেকে চলছে। ওয়াকফ বোর্ড সেই সময়ে তাদের দাবিগুলি প্রমাণ করার জন্য কোনও প্রমাণ উপস্থাপন করেনি। এখন ৪৩টি জায়গাকে বিজয়পুরা ওয়াকফ বোর্ডে (Waqf Board) দখল করে ফেলেছে।

    আরও পড়ুনঃ রোটি-বেটি-মাটি সুরক্ষিত করার আহ্বান শাহের, ঝাড়খণ্ডে ইস্তেহার প্রকাশ বিজেপির

    কিছু সম্পত্তি দোকানদাররা দখল করেছে!

    আবার ডেকান ক্রনিকল আরও বলেছে, “বিজয়াপুরার (Karnataka) ৪৩টি স্মৃতিস্তম্ভ ক্ষতি হয়েছে, তাই প্লাস্টার ও সিমেন্ট দিয়ে মেরামত করা হচ্ছে। স্মৃতিস্তম্ভে ফ্যান, এয়ার কন্ডিশনার, ফ্লুরোসেন্ট লাইট ও টয়লেট যুক্ত করা হচ্ছে। তবে এলাকার বেশ কিছু সম্পত্তি দোকানদাররা দখল করেছে। ফলে এই স্মৃতিস্তম্ভগুলিতে পর্যটকদের প্রবাহের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।” এখন এএসআই-এর অধীনে থাকা সম্পত্তি কীভাবে ওয়াকফ বোর্ডের অধীনে গেল, সেটাই এক বড় প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Untraceable Monuments: আচমকাই উধাও দেশের ২৪ টি স্মৃতিসৌধ! এমনটাই বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি

    Untraceable Monuments: আচমকাই উধাও দেশের ২৪ টি স্মৃতিসৌধ! এমনটাই বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবিশ্বাস্য! দেশের ২৪ টি স্মৃতিসৌধ আচমকাই উধাও! বর্তমানে এই সৌধগুলির কোনও খোঁজ নেই বলে জানাচ্ছে খোদ কেন্দ্র সরকার। সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে এই তথ্য জানান কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি (Union Culture Minister G Kishan Reddy)। ওই সৌধগুলির কাঠামো ও সৌধ সংলগ্ন এলাকা- কোনও কিছুরই খোঁজ নেই বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। দেশে সংরক্ষিত স্মৃতিসৌধের বিভিন্ন তথ্য দিতে গিয়ে এমনটাই বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: মন্দির থেকে নিলামঘরে! ৫০ বছর আগে চুরি যাওয়া দেবীমূর্তির খোঁজ মিলল নিউইয়র্কে

    তিনি এদিন জানিয়েছেন, স্বাধীনতার পর থেকে ১৯টি রাজ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে সুরক্ষিত সৌধগুলির সংলগ্ন জায়গা থেকে মোট ২১০ টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৯১ টি চুরি হওয়া বস্তুও উদ্ধার করা হয়েছে। আরও একজনের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, বিগত আট বছরে ৮৪৭৮টি গ্রামে ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ সার্ভে করে ২৯১৪টি গ্রাম থেকে প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করেছে। এছাড়াও এএসআই নিয়মিত ভাবে গ্রামে গ্রামে গিয়ে সার্ভে করে বিভিন্ন ধ্বংসাবশেষের সন্ধান চালায়। ASI দ্বারা সুরক্ষিত ভারতে মোট ৩৬৯৩টি ঐতিহ্যবাহী স্থান রয়েছে, যার মধ্যে ৭৪৩টি উত্তর প্রদেশেই রয়েছে। এইসবের তথ্য দিতে গিয়েই এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, দেশে নিখোঁজ স্মৃতিস্তম্ভের সংখ্যা ২৪টি।

    আরও পড়ুন: তাজমহলের বন্ধ ঘরে আছে বহু হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি? আদালতে তালা খোলার আবেদন

    তিনি আরও জানান, ৮৪৭৮টি গ্রামের মধ্যে পাজ্ঞাবে ও কর্ণাটকে সবচেয়ে বেশি সন্ধান চালানো হয়েছে এবং যথাক্রমে ১৩০ ও ৮৬০টি প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে। আবার উত্তরপ্রদেশ থেকেও ১৪৪টি মন্দির সহ ৭৪৩টি স্মৃতিসৌধের সংরক্ষণের কাজ করছে এএসআই। দেশে মোট টিকিটযুক্ত এবং টিকিটবিহীন স্মৃতিসৌধের সংখ্যা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৯৫৮-এর অধীনে প্রাচীন স্মৃতিসৌধ এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান ও ধ্বংসাবশেষ (এএমএএসআর) আইন অনুসারে,  মোট ৩৬৯৩ টি স্মৃতিসৌধ রয়েছে, যেগুলোকে জাতীয় গুরুত্ব হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে মাত্র ১৪৩টি জায়গায় প্রবেশের জন্য টাকা নেওয়া হয়। সুতরাং স্মৃতিসৌধগুলোকে সংরক্ষণ করার জন্য কেন্দ্র থেকে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ও নেওয়া হবে তা নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন জি কিষাণ রেড্ডি। হারিয়ে যাওয়া প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ সন্ধানের প্রক্রিয়া ভবিষ্যতেও বহাল থাকবে তা জানিয়েছেনে তিনি।

     

LinkedIn
Share