Tag: Moon

Moon

  • NASA Lunar Mission: চন্দ্রযান ৩-এর পিছু পিছু! চাঁদের দক্ষিণ মেরু অভিযানে রোভার বানালো নাসা

    NASA Lunar Mission: চন্দ্রযান ৩-এর পিছু পিছু! চাঁদের দক্ষিণ মেরু অভিযানে রোভার বানালো নাসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও জাপানের পর চাঁদ জয় করতে রোভার পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এই মিশনে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সাহায্যে নিচ্ছে ক্যাঙারু-কান্ট্রি (Australia Moon Mission)। অস্ট্রেলিয়ান স্পেস এজেন্সিকে সাহায্য করার আগে অবশ্য চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশযান পাঠাতে চলেছে আমেরিকা। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই একটি রোভার তৈরি করেছে নাসা (NASA Lunar Mission)। আগামী বছরের শেষে সেটিকে পৃথিবীর উপগ্রহে পাঠানোর কথা। 

    নাসার পরিকল্পনা

    চন্দ্র অভিযানের জন্য নাসা যে যান তৈরি করেছে তাঁর নাম ভোলাটাইস ইন্সভেস্টটিগেটিং পোলার এক্সপ্লোরেশন রোভার বা ভাইপার (VIPER)। সম্প্রতি মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার জনসন স্পেস সেন্টারের ইঞ্জিনিয়াররা রোভারটির একটি প্রোটোটাইপ পরীক্ষা করেন। যা মোটের উপর সফল হয়েছে বলে নাসা সূত্রে খবর। মার্কিন মহাকাশ গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, ভারতের চন্দ্রযান ৩-র বিক্রম-র মতো একটি ল্যান্ডারে করে ভাইপারকে চন্দ্র পৃষ্ঠে পাঠানো হবে। এই মিশনের জন্য অ্যাস্ট্রোবোটিক নামের একটি বেসরকারি সংস্থা ওই ল্যান্ডার তৈরি করছে। সূত্রের খবর, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামবেন মার্কিন নভোচারী। সেই মিশন শুরুর আগেই চন্দ্র পৃষ্ঠের ওই অংশে পৌঁছবে ভাইপার। সেখানকার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করবে এই নভোযান। যা চাঁদে মানুষ পাঠানোর রাস্তাকে সহজ করবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা (NASA Lunar Mission)।

    অস্ট্রেলিয়ার অভিযান 

    অন্যদিকে, নাসার সাহায্যে চাঁদে অভিযান চালাতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া (Australia Moon Mission)। অজিদের পাঠানো রোভার চাঁদের মাটি সংগ্রহ করে পৃথিবীতে নিয়ে আসবে। সেই মাটি বিশ্লেষণ করবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। চন্দ্র পৃষ্ঠ থেকে সংগৃহীত নমুনা থেকে অক্সিজেন তৈরির চেষ্টাও চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে হিমায়িত জল রয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। চন্দ্র পৃষ্ঠের সেই জল আদৌ ব্যবহারযোগ্য? সূত্রের খবর, চন্দ্র মিশনে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজবেন অস্ট্রেলিয়ার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। অস্ট্রেলিয় প্রশাসন জানিয়েছে, ২০২৬-এ চন্দ্র মিশনে রোভার পাঠাবে তারা।

    চন্দ্রযান-৩ কে অনুসরণ

    চাঁদের মাটিতে অবতরণ করতে বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশগুলি হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে, সেই জায়গায় ভারত এই মিশন সম্পূর্ণ করেছে মাত্র ৬১৫ কোটি টাকায়। ভারতের দেখাদেখি একইভাবে চাঁদের মাটি দখলে নেমেছে জাপান (Japan)। ভারতের মতোই তারা কোনরকম তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না, একেবারে ধীরস্থির ভাবে পৌঁছে যেতে চাইছে চাঁদের মাটিতে।  জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (JAXA) র পাঠানো মহাকাশযান চন্দ্রযান-৩ এর মতই পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ধীরে ধীরে চাঁদের দিকে এগিয়ে যাবে। ভারত যে টেকনোলজি ব্যবহার করে বিশ্বকে কম খরচে চাঁদ জয়ের দিশা দেখিয়েছে সেই টেকনোলজি এবার ব্যবহার করছে জাপান।

    আরও পড়ুন: লক্ষ্যের আরও কাছে পৌঁছল আদিত্য এল-১, জানাল ইসরো

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: বড়সড় গর্তের সামনে প্রজ্ঞান, কীভাবে বিপদ এড়াল জানেন?

    Chandrayaan 3: বড়সড় গর্তের সামনে প্রজ্ঞান, কীভাবে বিপদ এড়াল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মামাবাড়ি’তে গিয়ে প্রথম বিপদের মুখে প্রজ্ঞান! চাঁদের মাটিতে রোভার প্রজ্ঞান যেখানে ছিল, তার তিন মিটার দূরেই ছিল চার মিটার চওড়া একটি গর্ত। এই গর্তে পড়লে সমূহ বিপদ হত প্রজ্ঞানের। তবে এই গর্ত এড়ানোয় বিপদে পড়েনি প্রজ্ঞান। ট্যুইট-বার্তায় ইসরো জানিয়েছে, প্রজ্ঞানের (Chandrayaan 3) অবস্থানের চেয়ে তিন মিটার দূরে গর্তটি দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে রোভারটিকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। তাই কোনও বিপদ হয়নি।

    চন্দ্রযান ৩

    এই সেদিনও চাঁদের দক্ষিণ মেরু সম্পর্কে বিশেষ কোনও ধারণাই ছিল না তামাম বিশ্বের। অনাবিষ্কৃত এই অঞ্চলেই পা রাখে ভারতের চন্দ্রযান ৩। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে গর্ত, পাথর, ঢিবি অনেক বেশি। তাই নিরাপদ জায়গা বাছাই করেই সফট ল্যান্ডিং করেছে চন্দ্রযান ৩-র ল্যান্ডার বিক্রম। পরে তার পেট থেকে বেরিয়ে কাজ শুরু করেছে প্রজ্ঞান।

    প্রজ্ঞানের কাজ

    প্রতি সেকেন্ডে প্রজ্ঞানের (Chandrayaan 3) গতি মাত্র এক সেন্টিমিটার। ছ’টি চাকার সাহায্যে চাঁদের মাটিতে অনুসন্ধান কার্য চালাচ্ছে এই রোভার। প্রজ্ঞান যে চাঁদের মাটির উষ্ণতা মেপেছে, রবিবারই সে খবর জানিয়েছিল ইসরো। চাঁদের মাটির গভীরে দশ সেন্টিমিটার পর্যন্ত যেতে পারবে প্রজ্ঞান। পৃথিবীর হিসেবে ১৪ দিন চন্দ্রালোকে কাজ করবে চন্দ্রযান ৩। কারণ এই সময়টাই চাঁদে দিন। যেহেতু চন্দ্রযান ৩ কাজ করছে সোলার প্যানেলের সাহায্যে, তাই সূর্যের আলো জরুরি। চাঁদে সূর্য অস্ত গেলে শক্তি হারাবে চন্দ্রযান ৩। ইসরো জানিয়েছে, চাঁদে এখনও পর্যন্ত সবকিছু তাদের পরিকল্পনা মতোই হচ্ছে। কোনও সিস্টেমে কোনও গন্ডগোল হয়নি।

    প্রসঙ্গত, ২৩ অগাস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছায় চন্দ্রযান ৩-র (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার বিক্রম। বিক্রম যে জায়গায় ল্যান্ড করে, সেই জায়গাটির নাম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেন ‘শিবশক্তি পয়েন্ট’। এই ‘শিবশক্তি’ পয়েন্টেই দাঁড়িয়ে রয়েছে বিক্রম। গুটি গুটি পায়ে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে প্রজ্ঞান। পেঁয়াজের খোসার মতো একটু একটু করে খুলছে চন্দ্রভূমের পরত।

     

    আরও পড়ুুন: ‘‘দত্তপুকুর বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়েছিল আরডিএক্স,’’ বিস্ফোরক শুভেন্দু

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Chandrayaan 3: আজ চাঁদের মাটি ছোঁবে ‘চন্দ্রযান ৩’, সাফল্য কামনায় দেশ-বিদেশে পুজো-যজ্ঞ-নমাজ পাঠ

    Chandrayaan 3: আজ চাঁদের মাটি ছোঁবে ‘চন্দ্রযান ৩’, সাফল্য কামনায় দেশ-বিদেশে পুজো-যজ্ঞ-নমাজ পাঠ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে রাশিয়া। আজ, বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদের মাটি ছোঁবে ভারতের ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। মিশন সফল হলে ইতিহাস রচনা করবে আর্যভট্টের দেশ। ‘চন্দ্রযান ৩’-এর সফল অবতরণের কামনায় দেশে-বিদেশে শুরু হয়েছে পুজো-পাঠ, হোম-যজ্ঞ, নমাজ পাঠ।

    বিশেষ পুজোপাঠ

    চন্দ্রযানের সফল অবতরণের কামনায় বিশেষ পুজো এবং যজ্ঞ হয়েছে বারাণসীর কামাখ্যা মন্দিরে। পুজো হয়েছে আগ্রার বিশেষ মন্দিরেও। মুম্বইয়ের চন্দ্রমৌলেশ্বর শিব মন্দিরে পুজো দিলেন শিবসেনার উদ্ধব গোষ্ঠীর নেতা আনন্দ দুবে। এখানেও আয়োজন করা হয়েছিল বিশেষ যজ্ঞের। এদিন বিশেষ পুজো হয়েছে দক্ষিণ ভারতের রামেশ্বর মন্দিরেও। রামেশ্বরম অগ্নি তীর্থে আয়োজন করা হয় বিশেষ যজ্ঞের। বিশেষ ভস্মারতি অনুষ্ঠিত হয় উজ্জ্বয়িনীর মহাকালেশ্বর মন্দিরে।

    এনসিপি (Chandrayaan 3) কর্মী-সমর্থকরা পুজো দিয়েছেন শ্রী গণেশ মন্দিরে। বিশেষ প্রার্থনা সভায় যোগ দিতে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়েছে ছতরপুরের বাগেশ্বর ধামে। কেবল দেশেই নয়, পুজোআচ্চা হয়েছে বিদেশেও। আমেরিকার নিউ জার্সিতে শ্রী সাই বালাজি মন্দিরে হয়েছে বিশেষ পুজো। বিশেষ যজ্ঞ হয়েছে ভার্জিনিয়ার মন্দিরেও।

    নমাজ পাঠ

    পুজোর পাশাপাশি ‘চন্দ্রযান ৩’-এর সাফল্য কামনায় হয়েছে বিশেষ নমাজ পাঠও। উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন মসজিদে নমাজ পাঠ করেন মুসলমানেরা। ভারতের ‘চাঁদমারি’ যাতে সফল হয়, তাই লখনউয়ের ইসলামিক সেন্টার অফ ইন্ডিয়ায়ও হয়েছে বিশেষ নমাজ পাঠ। রাজস্থানের আজমেঢ় শরিফেও হয়েছে বিশেষ প্রার্থনা। লখনউয়ের হজরত শাহ মীনা শাহ দরগায় বিশেষ প্রার্থনা করেন বিজেপি নেতা মহসিন রাজা।

    এদিকে, ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) অবতরণের সাক্ষী হতে দেশজুড়ে আয়োজন করা হয়েছে নানা অনুষ্ঠানের। উত্তরপ্রদেশ সরকার সমস্ত স্কুলকে এই ঘটনার বিশেষ স্ক্রিনিং করার নির্দেশ দিয়েছে। যোগী সরকার জানিয়েছে, ভারতের চন্দ্রযান-৩ অবতরণ একটি স্মরণীয় সুযোগ, যা কেবল কৌতূহলকে উসকে দেবে তাই নয়, তরুণদের মধ্যেও প্রশ্ন করার উৎসাহ জাগিয়ে তুলবে।  

    এদিন সায়েন্স পার্টির আয়োজন করেছে বাংলার সংস্কৃতি মন্ত্রক। লাইভ টেলিকাস্টের মাধ্যমে চন্দ্রযান অবতরণের ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে কলকাতায়।

    গুজরাটে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কাউন্সিল দু হাজারেরও বেশি স্কুল পড়ুয়াকে বড় পর্দায় এই ঐতিহাসিক (Chandrayaan 3) মুহূর্তটি দেখতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। ইসরোর বিজ্ঞানীদের নিয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কাউন্সিল। অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখানো হবে গুজরাটের ৩৩টি জেলা কমিউনিটি সায়েন্স সেন্টারে।

    আরও পড়ুুন: জোহানেসবার্গে বসেই ‘চন্দ্রযান ৩’-এর ঐতিহাসিক ল্যান্ডিং দেখবেন প্রধানমন্ত্রী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Chandrayaan-3: প্রপালশন মডিউল থেকে ছিন্ন হল চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম

    Chandrayaan-3: প্রপালশন মডিউল থেকে ছিন্ন হল চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের (Moon) কক্ষপথে প্রদক্ষিণ শেষ হওয়ার পর অবশেষে সফলভাবে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) এর প্রোপালশন মডিউল থেকে আলাদা হল ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ (Lander Vikram)। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তরফে একথা জানানো হয়। চাঁদের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার জন্য ল্যান্ডার বিক্রম ধন্যবাদ জানিয়েছে প্রপালশন মডিউলকে। এই প্রক্রিয়া যে সফল হয়েছে, জানানো হয়েছে এমনটাই। এরপর ধীরে ধীরে কমিয়ে আনা হবে ল্যান্ডারের গতি এবং তা অবতরণ করা হবে চাঁদের বুকে। আগামীকাল থেকেই এই কাজ শুরু হবে।

    কবে চাঁদে পা

    ২৩ অগাস্ট বিকেল পৌনে ছ’টা নাগাদ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের কথা রয়েছে চন্দ্রযান-৩-এর (Chandrayaan-3) ল্যন্ডার ‘বিক্রম’-এর। পরিকল্পনা সফল হলেই আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের পর সফল ভাবে চাঁদের জমিতে মহাকাশযান অবতরণ করানোর তালিকায় নাম তুলে নেবে ভারত। একই সঙ্গে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথমবার পা পড়বে কোনও দেশের মহাকাশযানের। ভারতীয় সময় ১টা থেকে ১.৩০টার মধ্যে এই বিছিন্ন হওয়ার কাজটি হয়। চন্দ্রকক্ষে ম্যানুয়েভর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পর প্রপালশন বিচ্ছেদের কাজটি শুরু হয়েছিল।

    কী বলছে ইসরো

    ইসরোর তরফে জানান হয়েছে বিক্রম ল্যান্ডার চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) এর প্রপালশন মডিউল থেকে আলাদা হয়ে গেছে। এখন এটি দ্রুত চাঁদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ২৩ আগস্ট চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে বিক্রম ল্যান্ডার। প্রপালশন মডিউলটি এখন চাঁদের কক্ষপথে ঘুরবে। বিক্রম ল্যান্ডার, এখন চাঁদের দিকে এগোচ্ছে। ২৩ আগস্ট চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে বিক্রম ল্যান্ডার। চন্দ্রযান বর্তমানে চাঁদের শেষ কক্ষপথে রয়েছে। চন্দ্রযান-৩ চাঁদ থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা নাগাদ বিক্রম তার একক যাত্রা শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় গর্বিত নারীরা! প্রতিক্রিয়া মহিলা পাইলটের

    ইসরোর তরফে বলা হয়েছে, বক্স আকৃতির প্রপালশন মডিউলটিতে রয়েছে একটি অতিকায় সৌর প্যানেল ও একটি সিলিন্ডার। এর সঙ্গেই যুক্ত রয়েছে ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান। এদের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর প্রপালশন মডিউলটি কাজ করবে রিলে স্যাটেলাইট হিসেবে। এখন বিক্রম এগিয়ে চলেছে চন্দ্রপৃষ্ঠে সফট ল্যান্ডিং করতে। সেটি চাঁদের (Moon) মাটিতে নেমে পড়লে শুরু হবে প্রজ্ঞানের কাজ।  

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birth of Moon: কীভাবে হয়েছিল চাঁদের জন্ম? জানেন?

    Birth of Moon: কীভাবে হয়েছিল চাঁদের জন্ম? জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের জন্ম নিয়ে নানা মুনির নানা মত। অনেকেই চাঁদের জন্ম (Birth of Moon) নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তত্ত্ব দিয়েছেন। সবচেয়ে প্রচলিত যে তত্ত্বটি রয়েছে তা হল, চাঁদের জন্ম হয়েছিল মাত্র কয়েক ঘণ্টায়। পৃথিবীর সঙ্গে ‘থিয়া’ নামের এক মহাজাগতিক বস্তুর ধাক্কার পরেই চাঁদের সৃষ্টি হয়। থিয়ার আকার প্রায় মঙ্গল গ্রহের সমান ছিল। পৃথিবীর সঙ্গে থিয়ার তীব্র সংঘর্ষ হয়। গবেষকদের মতে, তীব্র সংঘর্ষে পৃথিবী এবং থিয়া থেকে ছিটকে বেরিয়ে এসেছিল কিছু পদার্থ এবং তা সঙ্গে সঙ্গেই পৃথিবীকে কেন্দ্র করে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘুরতে শুরু করে। আর সেই পদার্থ পরবর্তীতে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ নামে পরিচিতি পায়।  

    নাসার এই নিয়ে অন্য একটি দাবি রয়েছে। তাদের দাবি, চাঁদের সৃষ্টি হয়েছিল প্রায় সাড়ে চারশো কোটি বছর আগে। সেই দাবিতে বলা হয়, পৃথিবীতে বড়সড় কোনও আলোড়নের ফলে তার উপাদান ছিটকে বেরিয়ে চাঁদের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ এমনও মনে করেন, চাঁদ তৈরি হয়েছিল পৃথিবীরই অংশ দিয়ে। আর চাঁদ তৈরির পরেই তৈরি হয়েছিল প্রশান্ত মহাসাগর!  

    পৃথিবী থেকে প্রায় ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে চাঁদ। এত দূরে থেকেও পৃথিবীর অনেক কিছুকেই নিয়ন্ত্রণ করে উপগ্রহটি। চাঁদের সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে এর আগেও বহু গবেষণা হয়েছে। কিন্তু ঠিক কীভাবে এই উপগ্রহ তৈরি হয়েছে, তার খুঁটিনাটি তথ্য অনেকাংশেই রহস্যে মোড়া।

    আরও পড়ুন: “প্রকল্পের নামে প্রহসন”, দুয়ারে সরকার শুরুর ঠিক আগেই রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    চাঁদের প্রকৃত বয়স জানবার জন্য বিগত কয়েক শতাব্দী ধরে বিজ্ঞানী ও গবেষকরা নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রকৃত বয়স জানা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলেসের আর্থ, প্লানেটারি অ্যান্ড স্পেস সায়েন্স বিভাগের রিসার্চ জিওকেমিস্ট মেলানি বারবোনি বলেন, “আমরা অবশেষ চাঁদের একটি সর্বনিম্ন বয়স স্থির করেছি।” নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে সৌরজগৎ সৃষ্টির ৬০ মিলিয়ন বছর পর চাঁদ সৃষ্টি হয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Artemis 1 Mission: আর্টেমিস ১ মিশনের প্রথম ধাপ! আজই চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিতে চলেছে নাসার মহাকাশযান

    Artemis 1 Mission: আর্টেমিস ১ মিশনের প্রথম ধাপ! আজই চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিতে চলেছে নাসার মহাকাশযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। এরপরেই আর্টেমিস ১ মিশনের (Artemis 1 Mission) চন্দ্র যাত্রা শুরু হতে চলেছে। সোমবার অর্থাৎ আজ নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার (NASA’s Kennedy Space Center) থেকে স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৩৩ মিনিটে উৎক্ষেপণ করা হবে এসএলএস রকেট। অর্থাৎ ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ লঞ্চ প্যাড ৩৯ বি -এর মাধ্যমে নাসার ওরিয়ন স্পেসক্রাফট চাঁদের উদ্দেশে রওনা দেবে।

    আর্টেমিস মিশনের তিনটি পর্যায় রয়েছে। সেগুলি হল আর্টমিস ১,২ এবং ৩। স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেটেই থাকবে ওরিয়ন স্পেসক্রাফট (Orion Spacecraft)। বিশাল এসএলএস রকেট এবং ওরিয়ন স্পেস ক্যাপসুল মহাকাশচারীদের চাঁদের কক্ষপথে নিয়ে যাবে। সেখান থেকে মহাকাশচারীদের চাঁদে নিয়ে যাবে।

    আগে ঠিক করা হয়েছিল যে আবহাওয়া পরিস্কার না থাকলে সেপ্টেম্বরে রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হবে। কিন্তু আজ আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে আকাশ প্রধানত পরিস্কারই থাকবে, ৮০% সুযোগ থাকবে সফল উৎক্ষেপণের। ফলে আজই উৎক্ষেপণ করতে চলেছে রকেট। আর এই মুহূর্তেরই অপেক্ষা করে আছে গোটা বিশ্ব।

    আরও পড়ুন: মানুষ তো খেলনা নয়! জানেন কি আর্টেমিস-১ রকেটে করে মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে ‘খেলনা-মানুষ’?

    নাসা (NASA) থেকে জানানো হয়েছে, এই মিশনটি সফল হলেই ২০২৫ সালে মহাকাশচারীরাও পাড়ি দেবেন চাঁদে। সূত্রের খবর, পৃথিবীতে ফিরে আসার আগে মহাকাশযানটি ৪২ দিন ধরে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে। এরপর ৬ সপ্তাহ পর ফের পৃথিবীতে ফিরে আসবে এবং এটি প্রশান্ত মহাসাগরে এসে নামবে। এই রকেটের মধ্যে ওরিয়ন নামক স্পেসক্রাফটি রয়েছে, তাতে কোনও মানুষ থাকবে না। তবে এতে মানুষ না থাকলেও মানুষের ন্যায় রোবট থাকবে।

    প্রসঙ্গত, চাঁদে শেষবার মানুষ পাড়ি দিয়েছিলেন ১৯৭২ সালের অ্যাপোলো মিশনে (Apollo)। অ্যাপোলো মিশনের পাঁচ দশকের পর আবার চাঁদে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে নাসা (NASA)। সে পরিকল্পনায় প্রথম বড় পদক্ষেপ হতে চলেছে আর্টেমিস ১ মিশন। পরের বছর দ্বিতীয় ধাপে আবার রকেট পাঠানো হবে ও তৃতীয় ধাপে চাঁদের বুকে মানুষ নামবে বলে জানিয়েছে নাসা। ৩২২ ফুট লম্বা রকেটটি বানাতে খরচ হয়েছে ৯৩ বিলিয়ন ডলার, যা নাসার সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। নাসার এ অভিযান সফল হলে দীর্ঘ ৫০ বছরের বেশি সময় পর আবারও চাঁদের বুকে পা রাখবে মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Supermoon 2022: ২০২২-এর বৃহত্তম চাঁদ দেখা যাবে আকাশে, কবে জানেন?

    Supermoon 2022: ২০২২-এর বৃহত্তম চাঁদ দেখা যাবে আকাশে, কবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি কিছুদিন আগেই চাঁদের এক অন্য রূপ দেখতে পেয়েছে গোটা বিশ্বব্যাপী মানুষ। সাধারণত জুন মাসের মাঝ বরাবর এই সুপারমুন দেখা গিয়েছিল। যা ‘স্ট্রবেরি মুন’ (Strawberry Moon) নামে পরিচিত ছিল। আবার আগামী ১৩ জুলাই মধ্যরাতে আকাশে সুপারমুন দেখতে পাবে সারা বিশ্বের মানুষ। চলতি মাসে চাঁদকে ফের নয়া রূপে দেখবে বিশ্ববাসী। বুধবার অর্থাৎ ১৩ জুলাই নতুনভাবে দেখা যাবে চাঁদকে। এদিন পৃথিবীর সবথেকে কাছে আসছে চাঁদ। তার ফলে চাঁদকে পৃথিবীতে বিরাট আকারে দেখা যাবে। বিজ্ঞানীদের মতে, বুধবারের চাঁদটি ২০২২ সালের বৃহত্তম ‘সুপারমুন’ (Supermoon)।

    কী এই সুপারমুন?

    এই নির্দিষ্ট দিনে চাঁদ পৃথিবীর চারপাশে তার কক্ষপথের সবচেয়ে কাছের বিন্দুতে থাকবে, যাকে পেরিজি (perigee) বলা হয়, সেই কারণে ১০ গুণ বেশি উজ্জ্বল দেখাবে তাকে। পৃথিবী থেকে এদিন মাত্র ৩,৫৭,২৬৪ কিমি দূরে অবস্থান করবে চাঁদ। আর এর ফলে সবথেকে বড় পূর্ণ চাঁদ দেখা যাবে। চাঁদের এমন রূপকেই বলা হয় সুপারমুন। ১৯৭৯ সালে মহাকাশ বিজ্ঞানী রিচার্ড নোল্লে (Richard Nolle) চাঁদের এই বিশেষ অবস্থানের নামকরণ করেন ‘সুপারমুন’। এবারের সুপারমুনটিকে তাদের মধ্যে সবথেকে বড় বলে চিহ্নিত করেছে নাসা (NASA)।

    আরও পড়ুন: আজ আকাশে দেখা যাবে স্ট্রবেরি মুন! কী এর বিশেষত্ব, জানুন

    ২০২২-এর বৃহত্তম চাঁদ

    ১৩ জুলাই অর্থাৎ বুধবার রাতের আকাশে যে সুপারমুন দেখা যাবে, তা এ বছরের সবথেকে বড়। এই সুপারমুনকে বাক মুনও (Buck Moon) বলা হয়। সারা বিশ্বে এর অন্য নামও রয়েছে। যেমন, থান্ডার মুন (Thunder Moon), হে মুন (Hay Moon) এবং উইর্ট মুন (Wyrt Moon)। আমেরিকানরা একে সালমন মুন (Salmon Moon), রাস্পবেরি মুন (Raspberry Moon) এবং ক্যালমিং মুন (Calming Moon) বলে থাকেন। চাঁদ এদিন পৃথিবীর অনেক কাছে আসায় সুপারমুনের প্রভাব বেশ জোরালো ভাবে জোয়ার-ভাটায় পড়বে।

    কখন দেখা যাবে এই সুপারমুনটি?

    ১৩ জুলাই রাত ১২টা ৭ মিনিটে দেখা যাবে। এরপর ফের ৩ জুলাই, ২০২৩ সালে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, বছরের শেষ সুপারমুন দেখা গিয়েছিল চলতি বছরের জুনে। যা স্ট্রবেরি মুন নামে পরিচিত। তখন চাঁদ পৃথিবী থেকে ৩,৬৩,৩০০ কিলোমিটার দূরে ছিল। কিন্তু এবার মাত্র ৩,৫৭,২৬৪ কিমি দূরে অবস্থান করবে চাঁদ।

    আরও পড়ুন: একনজরে দেখে নিন স্ট্রবেরি মুনের বিভিন্ন দৃশ্য

     

     

  • Venus Orbit: চাঁদ ও মঙ্গলের পর এবার শুক্রগ্রহে অভিযান চালাবে ইসরো

    Venus Orbit: চাঁদ ও মঙ্গলের পর এবার শুক্রগ্রহে অভিযান চালাবে ইসরো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদ ও মঙ্গলের পর এবার শুক্র গ্রহে অভিযান (Venus Orbiter Mission) চালাবে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO)। শুক্রকে প্রদক্ষিণ করার জন্য একটি মহাকাশযান (Spacecraft) প্রস্তুত করছে ইসরো। সৌরজগতের উষ্ণতম গ্রহের পৃষ্ঠের নীচে কী রয়েছে এবং এটিকে ঘিরে থাকা সালফিউরিক অ্যাসিড মেঘের রহস্য উদঘাটন করবে মহাকাশযান। এছাড়াও পরিকল্পিত পরীক্ষাগুলির মধ্যে রয়েছে শুক্রের পৃষ্ঠে ঘটে চলা প্রক্রিয়াগুলির সন্ধান, সক্রিয় আগ্নেয়গিরির হটস্পট এবং লাভা প্রবাহ সহ অগভীর উপ-পৃষ্ঠের স্তরবিন্যাস, বায়ুমণ্ডলের গঠন এবং গতিশীলতা অধ্যয়ন। এছাড়াও ভেনুসিয়ান আয়োনোস্ফিয়ারের সঙ্গে সৌর বায়ুর মিথস্ক্রিয়াও পর্যবেক্ষণ করা হবে।

    এক বৈঠকে ভাষণ দিতে গিয়ে ইসরো-র চেয়ারম্যান এস সোমনাথ (S Somnath) বলেছেন, “শুক্র মিশনটি নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে, একটি প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। এর জন্য় তহবিলের বিষয়টিও ঠিক করা হয়েছে।” সোমনাথ উদ্বোধনী ভাষণে বলেন, “শুক্র গ্রহের জন্য একটি মিশন তৈরি করা এবং স্থাপন করা ভারতের পক্ষে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সম্ভব। ভারতের কাছে এখন সেই সামর্থ্য আছে।”

    তিনি জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে শুক্র গ্রহের জন্য মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হতে পারে। ওই সময় পৃথিবী এবং শুক্র এতটাই কাছাকাছি আসবে যে মহাকাশযানটিকে ন্যূনতম পরিমাণ প্রপেলান্ট ব্যবহার করে কক্ষপথে রাখা যেতে পারে। ২০২৪ সালের পর আবার এই ধরনের সুযোগ আসবে ২০৩১ সালে। শুক্রগ্রহে অভিযান নিয়ে আশাবাদী ইসরো। মার্স বা চাঁদে যেরকম সফল অভিযান চালানো হয়েছিল শুক্রের ক্ষত্রেও তেমনই হবে, বলে বিশ্বাস বিজ্ঞানীদের। একসময় পৃথিবীর মতোই ছিল এই গ্রহ। অনেক বিজ্ঞানী একে পৃথিবীর যমজ গ্রহও বলে থাকেন। কিন্তু আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এখানে প্রাণীরা বাস করতে পারে না এমনটাই মনে করেন বিজ্ঞানীরা। তাই এই গ্রহকে নিয়ে মানুষের এত আকর্ষণ।

  • Water in Moon: চাঁদে জলের উৎস পৃথিবী, গবেষণায় প্রকাশ পেল নয়া তথ্য

    Water in Moon: চাঁদে জলের উৎস পৃথিবী, গবেষণায় প্রকাশ পেল নয়া তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটা সময় পর্যন্ত মনে করা হত চাঁদে (Moon)জল নেই, চাঁদ শুষ্ক উপগ্রহ। কিন্তু ২০০৮ সালে অ্যাপোলো ১৫ আর ১৭-র চন্দ্রাভিযানের পর সেই ধারণা বদলায়। জানা যায় চাঁদে জল আছে। তবে ভারতের চন্দ্রযান (Chandrayaan)অভিযানের পর ধারণাটা আরও খানিকটা বদলায়।  বিজ্ঞানীরা দেখেন, চাঁদের যে অংশে জলের উপস্থিতি অনুমান করা হয়েছিল সেখানে ছাড়াও জল আছে অন্য জায়গাতেও। এবার নয়া গবেষণার ফেল জানা গেল চাঁদে যে জলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল তার বেশিরভাগেরই উৎস পৃথিবী। 

    এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করছে আলাস্কা ফেয়ারব্যাঙ্কস জিওফিজিক্যাল ইনস্টিটিউট  (Alaska Fairbanks Geophysical Institute)। তাদের তরফে জানানো হয়েছে,পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্তর থেকে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন আয়ন বের হচ্ছে। সেখান থেকেই চাঁদে জল আসছে। এবিষয়ে একটি রিপোর্ট ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছেন ওই সংস্থার গবেষকেরা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, চাঁদ পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরছে এবং সেক্ষেত্রে পৃথিবীর সঙ্গে একটি চুম্বকীয় আকর্ষণ রয়েছে চাঁদের। সেখানেই রয়েছে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনের স্তর। যার মাধ্যমে চাঁদে জলের সন্ধান পাওয়া গেছে। 

    সম্প্রতি রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী,চাঁদের এক মেরু অঞ্চলে ৩৫০০ কিউবিক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে জলের সন্ধান পাওয়া গেছে। যা সম্পূর্ণভাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল থেকে তৈরি হয়েছে। এই বিষয়ে বিজ্ঞানীদের যুক্তি,হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন আয়নগুলি যখন চৌম্বকীয় তরঙ্গের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তখন তা জলকনা সৃষ্টি করছে। এবং সেখান থেকেই চাঁদে জলস্তর তৈরি হয়েছে।

    চাঁদে জলের সন্ধান করার জন্য চলতি দশকেই একাধিক মহাকাশচারীদের মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে নাসা (NASA)। চাঁদে সত্যিই জল রয়েছে কিনা এবং তার উৎস সন্ধানই এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য। এছড়াও আরও কিছু বিষয় নিয়ে খোঁজখবর করবে ওই মহাকাশচারীরা। 

  • Moon: চাঁদের উল্টোপিঠ কেন আলাদা? এতদিনে রহস্যের উদঘাটন বিজ্ঞানীদের

    Moon: চাঁদের উল্টোপিঠ কেন আলাদা? এতদিনে রহস্যের উদঘাটন বিজ্ঞানীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রহস্য়ে মোড়া চাঁদ। এই চাঁদকে নিয়ে মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই। চাঁদকে নিয়ে কবিতা, গল্প কত কিছু যে রচনা হয়েছে তা গুণে শেষ করা যাবে না। তবে এই চাঁদেরই রয়েছ দুই রূপ। 

    আমরা সবসময় চাঁদের একটা দিক দেখতে পাই। উল্টো দিক সবসময় অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে। দুই দিকের ভূমিরূপ সম্পূর্ণ আলাদা। কিন্তু কেন এই তফাত? সেই রহস্যই উদঘাটন করলেন বিজ্ঞানীরা। 

    তাঁরা জানালেন, ৪৩০ কোটি বছর আগে প্রাচীন গ্রহাণুর আঘাতে চাঁদের এই দশা। ‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’ নামক এক জার্নালে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, প্রায় ৪৩০ কোটি বছর আগে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে আছড়ে পড়ে বিশাল গ্রহাণু। 

    আঘাত এতটাই প্রবল ছিল, যে তা চন্দ্রপৃষ্ঠের একদিকের চেহারাই পাল্টে দিয়েছে। ফলে দৃশ্যমান এবং অদৃশ্য, দুই দিক এত আলাদা। চাঁদের যে দিকটা আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে সে দিকটা বিস্তীর্ণ, লাভা প্রবাহের গাঢ় ছাপ রয়েছে। আর উল্টো দিকটা ভর্তি বিশাল বিশাল গর্ত দিয়ে, লাভার চিহ্ন সেখানে নেই বললেই চলে। 

    বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, ওই গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষ এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল যে, চাঁদের চেহারা বদলে যায়। সেজন্য পৃথিবী থেকে চাঁদের যে রূপ আমরা দেখতে পায়  সেটা একরকম। আবার যে অংশ দেখতে পায় না তা আবার আলাদা।  

    গবেষণায় এও দাবি করা হয়েছে, ওই উল্কাপাতেই সৃষ্টি হয়েছে চাঁদের দৈত্যাকার সাউথ পোলএটিক্যান (এসপিএ) বেসিনের। কোনও কিছুর আঘাতে সৃষ্ট গর্তের মধ্যে গোটা সৌরজগতে এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম। 

     

LinkedIn
Share