Tag: motua

motua

  • CAA: “সিএএ-তে ১০ হাজার মতুয়া আবেদন করেছেন”, বললেন শান্তনু ঠাকুর

    CAA: “সিএএ-তে ১০ হাজার মতুয়া আবেদন করেছেন”, বললেন শান্তনু ঠাকুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে লাগু হয়েছে সিএএ (CAA)। লাগু হওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে ক্রমশই বাড়ছে তরজা। একদিকে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের প্রত্যেকটা সভা থেকে মন্তব্য করছেন সিএএ তে আবেদন করলে নাগরিকত্ব চলে যাবে। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে মতুয়ারা পাত্তা দিচ্ছে না। বরং, হাজার হাজার মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ সিএএ-তে আবেদন করছেন। এমনই দাবি বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের। ভোটের আগে বিজেপির কাছে এটা বাড়তি অক্সিজেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    ১০ হাজার মতুয়া আবেদন করেছে (CAA)

    এমনিতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্য সফরে এসে সিএএ (CAA) নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি বলেছেন, সিএএ নাগরিক দেওয়ার আইন। নাগরিক কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। তৃণমূল মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে।  এবার সিএএ নিয়ে বিজেপি প্রার্থী নতুন তথ্য দিলেন। সোমবার সকালে দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে গাইঘাটা বাজারে প্রচারে বেরিয়েছিলেন শান্তনু ঠাকুর। প্রচার শেষে তিনি বলেন, “সিএএ মানুষের অধিকার। যারা বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছেন তাঁরা বাংলাদেশের নাগরিক। তারা ভারতবর্ষে নাগরিক নয় তাদের অবশ্যই নাগরিকত্ব নিতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকার কি বলছে না বলছে তাতে কোনও যায় আসে না। আমরা মতুয়া মহা সংঘের কার্ড করিয়ে দিচ্ছিলাম, যাতে এই মানুষগুলোর কোনও অসুবিধা না হয়। এই মুহূর্তে আমাদের ৫ লক্ষ সদস্য আছে যারা কার্ড হোল্ডার। এদের আমরা সিএএ জন্য আবেদন করাচ্ছি। ইতিমধ্যেই দশ হাজার জন আবেদন করেছেন। এরপর যারা নতুন করে আসবে, তাদের জন্য আমরা শিবিরের আয়োজন করব। ফলে, মুখ্যমন্ত্রীর কথা যে কেউ বিশ্বাস করছে তা বোঝাই যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: শাহজাহানের জমি দখলের টাকা নিয়েছেন রাজ্যের আরও ২ মন্ত্রীও, বিস্ফোরক দাবি ইডির

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপি প্রার্থী শান্তনুর মন্তব্য নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। তিনি বলেন, “শান্তুনু শুধু মিথ্যা কথা বলে। এই পাঁচ বছরে এই একটাই কাজ শিখেছে মিথ্যে কথা বলা। একজন মতুয়াও সিএএ -তে (CAA) আবেদন করেননি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: উত্তরবঙ্গে আরও শক্তিশালী বিজেপি, সুকান্তর হাত ধরে পাঁচ জেলার মতুয়াদের হল যোগদান

    Sukanta Majumdar: উত্তরবঙ্গে আরও শক্তিশালী বিজেপি, সুকান্তর হাত ধরে পাঁচ জেলার মতুয়াদের হল যোগদান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিএএ লাগু হতেই বাজিমাৎ! লোকসভা ভোটের আগে উত্তরবঙ্গে বিজেপি আরও শক্তিশালী হল। শনিবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) হাত ধরে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরা বিজেপিতে যোগদান করেন। বালুরঘাটে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপি কার্যালয়ে এদিন উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং সহ বিভিন্ন জেলা থেকে মতুয়া মহা সংঘের কার্যকর্তারা বিজেপিতে যোগদান করেন। বিজেপিতে যোগদানের পর মতুয়া মহাসংঘের উত্তরবঙ্গ জোনের পর্যবেক্ষক জানান, পরবর্তীতে জেলায় মতুয়া ও নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের মানুষজনকে তাঁরা বিজেপির পতাকা তুলে দেবেন। আজকের যোগদানের ফলে উত্তরবঙ্গের মতুয়া সম্প্রদায়ের এবং নমঃ শূদ্র সম্প্রদায়ের ভোট লোকসভায় বিজেপির পক্ষে যাবে তা বলাই বাহুল্য।

    মতুয়াদের যোগদানে আরও শক্তিশালী হল বিজেপি (Sukanta Majumdar)

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, এদিন এই যোগদান কলকাতায় হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, ভোট প্রচারের কারণে জেলায় থাকায় এদিন বালুরঘাটে মতুয়া মহাসঙ্ঘের উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার কার্যকর্তাগণ বিজেপিতে যোগদান করেন। পরবর্তীতে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষজন জেলায় জেলায় বিজেপিতে যোগদান করানো হবে। এর ফলে দল অনেকটাই শক্তিশালী হবে। পাশাপাশি এদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্তে নানা ধরনের কর্মসূচি অংশ নেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার আগেই তৃণমূল সরকারের  বোনাস ঘোষণা প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন,এই মুহূর্তে কোনও পুজো নেই, সামনে হয়তো ইদ আছে। পুজোর বোনাস কেন এখন ঘোষণা করা হল আমি সেটা বুঝতে পারছি না। এইটা হতে পারে যেহেতু সামনে ভোট, ভোটের আগে মানুষকে বোকা বানানোর জন্য এখনই বোনাস ঘোষণা করে দেওয়া হল।

    সন্দেশখালিতে শান্তি ফেরাতে কী বললেন সুকান্ত?

    ভোট ঘোষণার আগেই বাংলায় ঝরল রক্ত! নদিয়ার খুন তৃণমূল কর্মী। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majundar) বলেন, নদিয়া সহ বিভিন্ন এলাকায় এখন তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে। চাপড়ার বিধায়কের সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের লড়াই চলছে। আমরা চাই, যে রক্ত শূন্য ভোট হোক। এক ফোঁটা যেন রক্ত না ঝড়ে এই ভোটে। লোকসভা ভোটেও যেন আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না বাংলার। আতঙ্ক নিয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ সন্দেশখালির মায়েরা। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, সন্দেশখালির মহিলারা তো এখনও অত্যাচারিত হচ্ছেন। তাঁরা তো বলছেন, শেখ শাহজাহান ভেতরে। কিন্তু, তাঁর ভাই সহ দলবল অত্যাচার করে যাচ্ছে। শেখ শাহজাহান ভেতরে যাওয়াতে তাঁরা কোনওভাবে দমেনি। প্রত্যেককে গ্রেফতার করলে সন্দেশখালিতে শান্তি ফিরবে, না হলে শান্তি ফিরবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘ভুল বোঝানো হচ্ছে”, সিএএ নিয়ে মুসলিমদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘ভুল বোঝানো হচ্ছে”, সিএএ নিয়ে মুসলিমদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিএএ কার্যকরী হতেই জেলায় জেলায় খুশির বন্যা বইছে। মতুয়ারা রাস্তায় নেমে ডঙ্কা বাজিয়ে মিছিল করেছেন। এরমধ্যে তৃণমূল সিএএ নিয়ে আসরে নেমে পড়েছে। নানাভাবে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছেন। এমনই অভিযোগ বিজেপির। আর তাই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সিএএ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন। মঙ্গলবার তমলুকে তিনি বলেন, সিএএ কার্যকর হওয়ায় কোনও মুসলিম যদি বিপদে পড়েন তাঁর পাশে থাকবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। মুসলমানদের ভুল বুঝিয়ে কাজ হবে না।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    এদিন শুভেন্দুবাবু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘ সিএএ কার্যকর হওয়ায় কোনও অশান্তি হবে না। সংখ্যালঘু মুসলিমরা বুঝেছেন এটা কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। আমি আপনাদের মাধ্যমে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, স্বীকৃত পদে থেকে বলছি, একজন মুসলিমও যদি কোনও অসুবিধার মধ্যে পড়েন আপনার জন্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আছে। এই আইন সম্পূর্ণভাবে উদ্বাস্তু হিন্দুদের সম নাগরিকত্বের আইন। কারও কাছ থেকে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। ভুল বুঝিয়ে কাজ হবে না। গতকাল রাতে লাগু হয়েছে। ১০ ঘণ্টা হয়ে গেছে। কার নাগরিকত্ব গেছে? এক জনকেও দেখাতে পারলে আমি নাকে খদ দেব’।

    মতুয়ারা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন

    সিএএ আইন কার্যকর হতেই সোমবারের মতো মঙ্গলবারও ঠাকুরনগরের উচ্ছ্বাস এবং আবেগে মেতে ওঠেন মতুয়ারা। একে উদ্বাস্তু হিন্দু বাঙালি সমাজের কাছে গৌরবের দিন বলে উল্লেখ করেছেন মতুয়া সমাজের মানুষ। ইতিমধ্যে এলাকার মানুষ ঢাক-ঢোল, কাঁসর নিয়ে ঠাকুর বাড়ির মন্দিরে নেমে পড়েন। সকলে মিষ্টিমুখ করেন। পুরুষ-মহিলা সকলে এই আনন্দ উচ্ছ্বাসে যোগদান করেন। মতুয়া সমাজের ঠাকুরনগরের বাসিন্দারা বলেন, “আমরা ভীষণ খুশি, আমাদের দীর্ঘ দিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটল। প্রধানমন্ত্রী নিজে আমাদের মতো শরণার্থীদের কথা ভেবেই আইন করেছেন এবং তাকে বাস্তবায়িত করলেন। আমরা নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পেয়ে অত্যন্ত গর্বিত। নাগরিকত্ব নিয়ে আমরা এখন সম্মানের সঙ্গে বসবাস করব।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantanu Thakur: শান্তনুতেই আস্থা! সিএএ নিয়ে আশার আলো দেখছেন মতুয়ারা

    Shantanu Thakur: শান্তনুতেই আস্থা! সিএএ নিয়ে আশার আলো দেখছেন মতুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাতদিনের মধ্যে সিএএ লাগু হবে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী  শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আশ্বাসে নতুন করে আশার আলো দেখা শুরু করেছেন মতুয়ারা। খুশির হাওয়া মতুয়া গড়ে। তাঁদের বিশ্বাস, মন্ত্রী যখন বলেছেন, তখন হবেই। এত লড়াইয়ের স্বীকৃতি এবার মিলবেই।

    সিএএ লাগু হওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন অমিত-শুভেন্দু

    মতুয়ারা দীর্ঘদিন ধরে নাগরিকত্বের দাবিতে আন্দোলন করছেন। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে মতুয়া গড় ঠাকুরনগরে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে আশ্বস্ত করেছিলেন। এমনকী গত বছর নভেম্বরে কলকাতায় এসে ধর্মতলার সমাবেশ থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, সিএএ অবশ্যই কার্যকর হবে। সেদিন তৃণমূল সরকারকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে অমিত শাহকে বলতে শোনা গিয়েছিল, সিএএ গোটা দেশের আইন। বাংলার সরকার এই আইন কোনও ভাবেই রুখতে পারবে না। বাংলায় অনুপ্রবেশে মদত দিচ্ছে তৃণমূল। তাই সিএএ কার্যকর করতে চান না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এটা দিল্লির আইন। তাই চেষ্টা করলেও এটাকে রুখতে পারবেন না। এদেশে একজন হিন্দু নাগরিকের যতটা অধিকার,শরণার্থীদের অধিকারও ঠিক ততটাই। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ফেব্রুয়ারিতেই সি এএ লাগু হয়ে যাবে। একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা সিএএ কার্যকরী হওয়ার কথা বলায় মতুয়ারা নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও (Shantanu Thakur) এক সপ্তাহ সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন।

    কী বললেন মতুয়ারা?

    মতুয়াদের বক্তব্য, আমরা উচ্ছ্বসিত, আপ্লুত। অবশেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) হাত ধরে আমাদের দাবি পূরণ হতে চলেছে। কারণ, শান্তনু ঠাকুর যখন বলেছেন অবশ্যই সিএএ লাগু হবে। আমরা শুভদিনের অপেক্ষায় দিন গুনছি। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি সিএএ’র কথা বললেও তা লাগু না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছিল মতুয়াদের মধ্যে। এমনকী বিজেপি-র এক বিধায়ক সিএএ-এর পক্ষে জোর সওয়াল করেছিলেন।  ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন আগে দেশে সিএএ কার্যকরী হলে বিজেপি মাস্টারস্ট্রোক হবে বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantanu Thakur: ‘এক সপ্তাহের মধ্যে দেশজুড়ে সিএএ কার্যকর হবে’, আশ্বাস শান্তনুর

    Shantanu Thakur: ‘এক সপ্তাহের মধ্যে দেশজুড়ে সিএএ কার্যকর হবে’, আশ্বাস শান্তনুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে আবারও সিএএ নিয়ে বড় দাবি করলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। এক সপ্তাহের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে সিএএ অর্থাৎ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হবে। রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের নিশ্চিন্তপুরে একটি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই বলেছেন শান্তনু।

    এক সপ্তাহের মধ্যে সিএএ কার্যকরী হবে (Shantanu Thakur)

    শান্তনু (Shantanu Thakur) বলেন, ‘আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দেশের প্রতিটি রাজ্যে সিএএ চালু হবে। লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলার প্রতিটি মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ভারতবর্ষে সিএএ লাগু হবে, এই গ্যারান্টি দিয়ে গেলাম। সেটা আপনারা দেখতে পাবেন।হল, ২০১৯ সালে কেন্দ্রে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর সিএএ আইন সংসদে পাশ করায় নরেন্দ্র মোদি সরকার। এরপর চার বছর কেটে গেলেও সেই আইন কার্যকর করা হয়নি। বলা যায়, সিএএ কার্যত ঠান্ডাঘরে চলে গিয়েছিল। তবে গত নভেম্বরে কলকাতায় এসে ধর্মতলার সমাবেশ থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, সিএএ অবশ্যই কার্যকর হবে। সেদিন তৃণমূল সরকারকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে অমিত শাহকে বলতে শোনা গিয়েছিল, সিএএ গোটা দেশের আইন। বাংলার সরকার এই আইন কোনও ভাবেই রুখতে পারবে না। বাংলায় অনুপ্রবেশে মদত দিচ্ছে তৃণমূল। তাই সিএএ কার্যকর করতে চান না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এটা দিল্লির আইন। তাই চেষ্টা করলেও এটাকে রুখতে পারবেন না। এদেশে একজন হিন্দু নাগরিকের যতটা অধিকার,শরণার্থীদের অধিকারও ঠিক ততটাই।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র কী বলেছিলেন?

    সিএএ নিয়ে গত চার বছর ধরে বিতর্ক অব্যাহত। এই আইনের সাহায্যে মূলত ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার হওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, পার্সি, খ্রিস্টান ও জৈন শরণার্থীরা পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে নাগরিকত্ব পাবেন। এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র ঠাকুর নগরে এসে মার্চ মাসের মধ্যে সিএএ-র চূড়ান্ত খসড়া তৈরি হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। তারপরই আইন আসবে বলে তিনি বলেছিলেন। এই আবহের মধ্যে রবিবার কাকদ্বীপের সভায় রীতিমতো সময় বেঁধে দিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur) দাবি করলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে এক সপ্তাহের মধ্যেই সিএএ লাগু হয়ে যাবে।’ যে দাবি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। আর সেটা হলে লক্ষ লক্ষ মতুয়া ভোট যে বিজেপির দিকে নিশ্চিত ভাবে চলে আসবে, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CAA: ‘মার্চের মধ্যে সিএএ কার্যকরী হয়ে যাবে,’ ঠাকুরনগরে দাঁড়িয়ে আশ্বাস কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি-র

    CAA: ‘মার্চের মধ্যে সিএএ কার্যকরী হয়ে যাবে,’ ঠাকুরনগরে দাঁড়িয়ে আশ্বাস কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী মার্চের মধ্যে সিএএ (CAA) কার্যকরী হয়ে যাবে। রবিবার বনগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্ৰীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি এই মন্তব্য করেন। মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ আগেই শুরু হয়েছে। শান্তনু ঠাকুরও চেষ্টা করছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই আশ্বাসে নতুন করে চাঙা মতুয়া সম্প্রদায়ের লোকজন। তাঁদের বক্তব্য, সিএএ কবে কার্যকরী হবে তা নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় ছিলাম। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আমাদের নাগরিকত্ব নিয়ে আশ্বাস দেওয়ায় ভাল লাগছে।

    মতুয়াদের কী বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    এদিন ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে রাস উৎসবে এসেছিলেন কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি। প্রথমে ঠাকুরবাড়ির হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে পুজো দেন তিনি। এরপর চলে যান নাট মন্দিরে, যেখানে রাসের অনুষ্ঠান চলছিল। সেই অনুষ্ঠান মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি বলেন, ‘মতুয়াদের নাগরিকত্বের জন্য কেন্দ্ৰীয় সরকার চেষ্টা করছে। নাগরিকত্ব নিয়ে অমিত শাহ লোকসভায় কথা বলেছিলেন। শান্তনু ঠাকুরও চেষ্টা করছেন। আসলে মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার যে প্রক্রিয়া, সেটা অনেক আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে। যেসব মতুয়াদের ভারতীয় পরিচয়পত্র নেই, তাঁরা অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুরের সই করা কার্ড ব্যবহার করুন বিনা বাধায়। শান্তনু ঠাকুরের দেওয়া মতুয়া কার্ড যাঁদের কাছে থাকবে, ভারতবর্ষের কারও হিম্মত নেই যে সেই মতুয়াদের কিছু করবে।’

    সিএএ-র (CAA) জন্য কারা আবেদন করতে পারবেন, জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আরও বক্তব্য, আগামী ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ সুপ্রিম কোর্টে নাগরিকত্ব নিয়ে সমস্যার সমাধান হবে। ২০১৪ সালের আগে যাঁরা ভারতে এসেছেন, তাঁরা সিএএ-(CAA) এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। নিয়ম মেনেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। আর ভারতীয় পরিচয়পত্র না থাকা মতুয়াধর্মীদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফলে, মতুয়াধর্মী মানুষদের উদ্বেগ হওয়ার কিছু নেই।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share