Tag: mou

mou

  • India Afghanistan: ওষুধ ও ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে মউ স্বাক্ষর ভারত-আফগানিস্তানের, চিন্তার ভাঁজ পাকিস্তানের কপালে

    India Afghanistan: ওষুধ ও ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে মউ স্বাক্ষর ভারত-আফগানিস্তানের, চিন্তার ভাঁজ পাকিস্তানের কপালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও কাছাকাছি চলে এল ভারত-আফগানিস্তান (India Afghanistan)। স্বাভাবিকভাবেই চিন্তার ভাঁজ পাকিস্তানের কপালে। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বকে উন্নত ও সুদৃঢ় করতে ভারত এবং আফগানিস্তান ওষুধ ও ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে একটি মউ (Pharma MoU) স্বাক্ষর করেছে। এর মূল্য ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই মউ নয়াদিল্লি ও কাবুলের কৌশলগত, বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার এক নতুন যুগের সূচনা করবে। ভারতের এবং আফগানিস্তানের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ প্রস্ততকারী সংস্থাগুলি দুবাইয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষর করে। আফগানিস্তানের রোফি’স ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ অব কোম্পানিজ এবং ভারতের অন্যতম বৃহত্তম ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান জাইডাস লাইফ সায়েন্সেস দুবাইয়ে আফগান কনস্যুলেটে এই মউ স্বাক্ষর করতে রাজি হয়। পরে সই হয় মউ।

    স্বাক্ষরিত মউ (India Afghanistan)

    দুই দেশের এই চুক্তি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এক নয়া অধ্যায়ের সূচনা করে, যেখানে ভারত আফগানিস্তানকে যথাযথ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সাহায্য করবে। নয়াদিল্লির জন্য এই চুক্তি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও ওষুধ শিল্পে তার শক্ত অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করে। কারণ পরিমাণের দিক থেকে ভারতীয় ওষুধ শিল্প বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম। প্রসঙ্গত, ভারত ও আফগানিস্তানের বাণিজ্য দ্রুত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, বিশেষত তালিবান সরকারের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী আলহাজ নূরউদ্দিন আজিজির সম্প্রতি ভারত সফর করার পর থেকে। এই দ্বিপাক্ষিক সফরের উদ্দেশ্যই ছিল দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ইত্যাদি ক্ষেত্রে অগ্রগতি সাধন। এই মউয়ের প্রাথমিক শর্ত অনুযায়ী, ভারত প্রথমে কাবুলে ওষুধ রফতানি করবে এবং কয়েক বছর পর কোম্পানিটি আফগানিস্তানে নিজস্ব প্রতিনিধি অফিস স্থাপন করবে এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদন শুরু করবে। এটি আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নতি ও ব্যবসায়িক পরিবেশে বড় ধরনের গতি আনবে (Pharma MoU)। কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছেন যে, স্থানীয় উৎপাদন সক্ষম করতে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত জ্ঞান হস্তান্তরের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে (India Afghanistan)।

    আফগানিস্থানের প্রশংসা

    আফগানিস্তান সরকার এই চুক্তিকে দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে একটি রূপান্তরমূলক পদক্ষেপ হিসেবে প্রশংসা করেছে। এই চুক্তি কাবুলে আন্তর্জাতিক মানের উচ্চমানের ওষুধের ধারাবাহিক এবং সময় মতো সরবরাহ নিশ্চিত করবে। দীর্ঘমেয়াদে এই মউ গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের ক্ষেত্রে আমদানি নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করবে এবং দেশীয় ওষুধ সরবরাহ শৃঙ্খলকে সক্ষম করে তুলবে। ব্যবসায়ী ও স্বাস্থ্যপেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা এই চুক্তিকে দূরদর্শী তো বটেই, উপকারী বলেও স্বাগত জানিয়েছেন। ভারতের ওষুধ শিল্প বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। উৎপাদনের পরিমাণের দিক থেকে এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম। বিশ্বের মোট টিকার ৫০ শতাংশই ভারত সরবরাহ করে। শুধু তাই নয়, জেনেরিক ওষুধ উৎপাদনেও দেশটির নামডাক রয়েছে। ভারতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প ২০৩০ সালের মধ্যে ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার মূল্যে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে (Pharma MoU)। সাশ্রয়ী মূল্য প্রক্রিয়ার কারণে ভারতীয় ওষুধ এখন বিশ্বজুড়ে সহজলভ্য হয়েছে। ভারত ২০০-এরও বেশি দেশে ওষুধ এবং অন্যান্য ফার্মা পণ্য রফতানি করে। এর মূল্য ২৭.৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ ক্ষেত্রে তামাম বিশ্বে ভারতের স্থান ১২ নম্বরে (India Afghanistan)।

    শাহবাজ শরিফের দেশের কপালে চিন্তার ভাঁজ

    ভারত ও আফগানিস্তানের ক্রমবর্ধমান কৌশলগত অংশীদারিত্ব আবারও দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তানের স্বার্থে একটি গুরুত্বপূর্ণ আঘাত হেনেছে। একদিকে, সীমান্ত সংঘর্ষ ও বোমা হামলা বৃদ্ধি এবং ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘনের কারণে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সম্পর্ক দিন দিন তলানিতে ঠেকছে। অন্যদিকে, ভূ-রাজনৈতিক প্রয়োজন মেটাতে আফগানিস্তান-ভারত সম্পর্ক বিকশিত হচ্ছে। এটি নিঃসন্দেহে পাকিস্তানের শিরঃপীড়ার কারণ। ফার্মাসিউটিক্যাল খাত সম্পর্কিত সাম্প্রতিক স্বাক্ষরিত মউ পাকিস্তানের পক্ষে একটি বড়সড় ধাক্কা।  কারণ নয়াদিল্লির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের সময় কাবুল তার কোম্পানিগুলিকে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে (Pharma MoU) এবং পাকিস্তানি সরবরাহকারীদের সঙ্গে ওষুধ ব্যবসা বাতিল করতে বলেছে। তালিবানও ফার্মা কোম্পানিগুলিকে তিন মাসের মধ্যে পাকিস্তানের সঙ্গে ব্যবসা বন্ধ করার আলটিমেটাম দিয়েছে। এটিও ইসলামাবাদের পক্ষে একটি বড় ধাক্কা বই কি (India Afghanistan)!

  • Rising Northeast: ‘রাইজিং নর্থ ইস্ট ইনভেস্টরস সামিটে স্বাক্ষরিত ৪.৩ লাখ কোটি টাকার মউ

    Rising Northeast: ‘রাইজিং নর্থ ইস্ট ইনভেস্টরস সামিটে স্বাক্ষরিত ৪.৩ লাখ কোটি টাকার মউ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘রাইজিং নর্থ ইস্ট (Rising Northeast) ইনভেস্টরস সামিট ২০২৫’-এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার নয়াদিল্লির ভারত মণ্ডপে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন তিনি। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়নের দিকে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ২৩-২৪ মে অনুষ্ঠিত দু’দিনের এই শীর্ষ সম্মেলনে পর্যটন, বস্ত্র, কৃষি-খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং জ্বালানির মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে বিনিয়োগের সুযোগগুলি অন্বেষণ করার জন্য শিল্পপতি, সরকারি কর্তা এবং পার্টনারদের একত্রিত করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী উত্তর-পূর্বের কৌশলগত ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বের ওপর জোর দেন। এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক পরিবর্তন এবং ভারতের পূর্ব করিডরের জন্য একটি প্রবৃদ্ধির ইঞ্জিন হিসেবে এই সামিটের সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

    সরকারি বিবৃতি (Rising Northeast)

    শনিবার শেষ হয় এই সম্মেলন। সরকারি বিবৃতি থেকে জানা গিয়েছে, এই সম্মেলনে ৪.৩ লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি মিলেছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন (Rising Northeast) মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত এই দু’দিনের সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন বিশ্বের নানা প্রান্তের বিনিয়োগকারীরা। এটি ফের একবার প্রমাণ করল যে উত্তর-পূর্ব কেবল একটি অঞ্চল নয়, বরং বিকশিত ভারতের (Viksit Bharat) জন্য একটি কৌশলগত বৃদ্ধির করিডর। উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বলেন, “আজ, ‘এনইআর’ শব্দটির অর্থ নতুন অর্থনৈতিক বিপ্লব এবং ভারতের নতুন অর্থনৈতিক পুনর্জাগরণ।” তিনি বলেন, “আমাদের সামিট কোনও সমাপ্তি নয় — এটি একটি সূচনা। এটি পূর্ণ বিরাম নয়, প্রস্তাবনা।”

    স্বাক্ষরিত একাধিক মউ

    জানা গিয়েছে, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রধান বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে একাধিক মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। সম্মেলনে সিকিম সরকার এসএম হোটেলস অ্যান্ড রিসর্টসের সঙ্গে একটি মউ স্বাক্ষর করেছে, যার বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২৫০-৩০০ কোটি টাকা। অরুণাচল প্রদেশ সরকার ফার্ম নেটিভ গ্রুপের সঙ্গে একটি ১৫০ কোটি টাকার মউ স্বাক্ষর করেছে। মেঘালয় সরকার এগ্রি-বায়ো ফুয়েলস গ্লোবাল লিমিটেডের সঙ্গে ৪ হাজার কোটি টাকার একটি মউ স্বাক্ষর করেছে। মেঘালয় সরকার এবং ইনল্যাম্বি প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে ১,০০০ কোটি টাকার একটি মউ স্বাক্ষর করেছে। মণিপুর সরকারও ওই সংস্থার সঙ্গে ১,০০০ কোটি টাকার একটি মউ স্বাক্ষর করেছে। ত্রিপুরা সরকার শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর বিদ্যা মন্দির ট্রাস্টের শ্রী শ্রী ইউনিভার্সিটি এবং একটি আয়ুর্বেদ কলেজ ও হাসপাতালের জন্য ৫০০ কোটি টাকার একটি মউ স্বাক্ষর করেছে।

    মোট ৮০৩টি বিনিয়োগের আগ্রহ

    মার্কি মউ স্বাক্ষরের বাইরে শীর্ষ সম্মেলনে মোট ৮০৩টি বিনিয়োগের আগ্রহ রেজিস্টার্ড হয়েছে। এগুলি সংগৃহীত হয়েছে রোডশো, বিটুজি বৈঠক এবং সরকারি/সরকারি-বেসরকারি প্রস্তাবনার মাধ্যমে। বিভিন্ন রাজ্যে আয়োজিত রোডশোগুলির মাধ্যমে ₹৯৯,৫৩৩ কোটি টাকার বিনিয়োগে আগ্রহও প্রকাশিত হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে এসেছে ₹১.২৭ লক্ষ কোটি টাকা। শিল্প গোষ্ঠীগুলি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ₹১.৫৮ লাখ কোটি টাকা এবং শীর্ষ সম্মেলন চলাকালীন অনুষ্ঠিত বিটুজি বৈঠকগুলির মাধ্যমে ₹১৮,৬০০ কোটিরও বেশি মূল্যের লগ্নির প্রতিশ্রুতি মিলেছে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে (Rising Northeast)। সিন্ধিয়া বলেন, “বাজপেয়ীজির বপন করা বীজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে একটি বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছে। গত ১১ বছরে আমাদের মন্ত্রিসভা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ৭৩০ বার সফর করেছে, যা কেন্দ্রের আবেগগত ও কৌশলগত অঙ্গীকার প্রতিফলিত করে।”

    ৮০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিদলের অংশগ্রহণ

    বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিদলের অংশগ্রহণে এই শীর্ষ সম্মেলন উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও তার বাইরের সঙ্গে একটি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সেতুবন্ধন হিসেবে তুলে ধরেছে। তিনি বলেন, “এটি শুধুমাত্র রুপি বা ডলারে বিনিয়োগ নয় — এটি বিশ্বাস, সম্পর্ক এবং ভারতের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক ভূগোলের ওপরও বিনিয়োগ।” সিন্ধিয়া আরও একটি নতুন প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর কথাও ঘোষণা করেন। তিনি জানান, আটটি ক্ষেত্রভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত স্তম্ভ, যার নেতৃত্ব দেবেন মুখ্যমন্ত্রীরা, এবং অন্য রাজ্যগুলির সহায়তায় স্বাক্ষরিত মউ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে। তিনি বলেন, “এখানে কোনও মূল ভূখণ্ড ও উত্তর-পূর্ব নেই — এখানে শুধুই অখণ্ড ভারত রয়েছে, যেখানে প্রতিটি ভারতীয়ের হৃদয়, হাত ও দিগন্ত এক সঙ্গে দাঁড়িয়ে রয়েছে (Rising Northeast)।”

    প্রসঙ্গত, উত্তর-পূর্ব অঞ্চলটি ভারতের “অ্যাক্ট ইস্ট নীতি”-এর কেন্দ্রবিন্দু, যার লক্ষ্য আসিয়ান দেশ এবং অন্যান্য পূর্ব প্রতিবেশীদের সঙ্গে সংযোগ এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। ঐতিহাসিকভাবে অনুন্নত, এই অঞ্চলে গত এক দশক ধরে (মোদি জমানা) পরিকাঠামো, শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য সরকারি বিনিয়োগ দেখা গিয়েছে (Rising Northeast)।

  • India Sri Lanka Relation: ভারত-বিরোধী কোনও শক্তি শ্রীলঙ্কার জমি ব্যবহার করতে পারবে না, মোদিকে আশ্বাস দিশানায়েকের

    India Sri Lanka Relation: ভারত-বিরোধী কোনও শক্তি শ্রীলঙ্কার জমি ব্যবহার করতে পারবে না, মোদিকে আশ্বাস দিশানায়েকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদ্বেগ বাড়াল চিনের। দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার (India Sri Lanka Relation) সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহ একগুচ্ছ ইস্যুতে মৌ চুক্তি স্বাক্ষর করল ভারত। তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর প্রথম শ্রীলঙ্কা সফরে শনিবার কলম্বো পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে গার্ড অফ অনারে তাঁকে সম্মান জানানো হয়। সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে ৭টি গুরুত্বপূর্ণ মৌ সাক্ষর হয়েছে। প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, ডিজিটাল প্ররিকাঠামো, স্বাস্থ্য এবং বাণিজ্য খাতে চুক্তি হয়েছে ভারত-শ্রীলঙ্কার। ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনের প্রভাব বিস্তারের মধ্যেই এই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিগুলি সাক্ষর হয়েছে। চিনের নাম না নিয়ে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েক এদিন জানান, ভারত বিরোধী কোনও শক্তিকে শ্রীলঙ্কার মাটি ব্যবহার করতে দেবেন না। প্রধানমন্ত্রী মোদির উপস্থিতিতে তিনি ভারতকে আশ্বস্ত করেছেন যে শ্রীলঙ্কা তার ভূমি ভারতের নিরাপত্তা স্বার্থে প্রতিকূল পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ব্যবহার করতে দেবে না।

    ভারত বিরোধী কোনও শক্তিকে আশ্রয় নয়

    শ্রীলঙ্কার মাটি এবং জলপথ ব্যবহার করে ভারতের নিরাপত্তার বিঘ্নিত করতে দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা দিশানায়েক। ভারতের নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর কোনও কাজে শ্রীলঙ্কার মাটি এবং জলভাগকে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে না বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি। বস্তুত, গত কয়েক বছরে চিনের বেশ কিছু জাহাজ শ্রীলঙ্কার দক্ষিণে, ভারত মহাসাগরে ঘুরপাক খেয়েছে। শ্রীলঙ্কার হামবানটোটা আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দরের একাংশ ইজারা নিয়েছে চিন। এই পরিস্থিতিতে মোদির সঙ্গে বৈঠকে অনুরার এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    শ্রীলঙ্কায় রাজকীয় অভ্যর্থনা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে

    তিনদিনের সফরে শ্রীলঙ্কায় (India Sri Lanka Relation) গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিমানবন্দরে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানানো হয় তাঁকে। কলম্বোতে নমোকে স্বাগত জানান শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েক। তিনদিন পড়শি দেশে একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে মোদির। থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমস্টেক (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল এন্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন মোদি। সেখান থেকেই শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। শনিবার সকালে মোদি পা রাখেন পড়শি দেশে। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও পর্যটন মন্ত্রী বিজিথা হেরাথ, স্বাস্থ্য ও গণমাধ্যম মন্ত্রী নালিন্দা জয়তিসা, শ্রম মন্ত্রী অনিল জয়ন্ত, মৎস্য মন্ত্রী রামালিঙ্গম চন্দ্রশেখর, নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী সরোজা সাবিত্রী পালরাজ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী কৃষ্ণাথা আবেসেনা। সকলের থেকে রাজকীয় অভ্যর্থনা পেয়ে আপ্লুত মোদি।

    ভারত শ্রীলঙ্কা মউ স্বাক্ষর

    দীর্ঘ ৬ বছর পর শ্রীলঙ্কায় গিয়েছেন মোদি (India Sri Lanka Relation)৷ দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েক এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবার ৭টি সমঝোতা স্মারকে সই করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে প্রথম প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি। এই ঐতিহাসিক চুক্তি উভয় নেতার মধ্যে আলোচনা শেষে সই করা হয়৷ প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ে সই করা স্মারকটি ভারত ও শ্রীলঙ্কার সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, যা প্রায় ৩৫ বছর আগে ত্রিনকোমালি এলাকা একটি শক্তি কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। অন্য একটি চুক্তি শ্রীলঙ্কার পূর্বাঞ্চলে ভারতের বহুমুখী সহায়তার প্রসারে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

    ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে সই হওয়া ৭টি মউ

    ১. এইচভিডিসি আন্তঃসংযোগের বাস্তবায়নের জন্য (বিদ্যুৎ আমদানি/রফতানি)
    ২. ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য সফল ডিজিটাল সমাধান শেয়ারিংয়ে
    ৩. ত্রিনকোমালি এলাকা শক্তি কেন্দ্র হিসেবে উন্নয়নের পরিকল্পনা
    ৪. ভারত ও শ্রীলঙ্কার সরকারের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার জন্য চুক্তি
    ৫. শ্রীলঙ্কার পূর্বাঞ্চলের জন্য বহুমুখী গ্রান্ট সহায়তার চুক্তি
    ৬. স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহযোগিতা চুক্তি
    ৭. ভারতীয় ফার্মাকোপিয়া কমিশন এবং শ্রীলঙ্কার জাতীয় ঔষধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের মধ্যে ফার্মাকোপিয়াল সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি হয়

    চিন্তা বাড়ল চিনের

    ভারত মহাসাগরে চোখ রাঙাচ্ছে চিন। গবেষণার নামে ‘নজরদারি’ চালাতে সাগরে ঘোরাফেরা করছে একাধিক চিনা জাহাজ। ভারতের হাঁড়ির খবর বের করাই সেগুলোর লক্ষ্য বলে আশঙ্কা করা করা হচ্ছে। গোটা পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে দিল্লি। শ্রীলঙ্কায় নোঙর করার চেষ্টা করছে চিনের ‘গুপ্তচর’ জাহাজ। এই আবহে মোদির এই সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনীতিকরা। তার মধ্যে ভারত-শ্রীলঙ্কা দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হল প্রতিরক্ষা চুক্তি। যা চিন্তা বাড়াচ্ছে বেজিংয়ের।

    মৎস্যজীবীদের মুক্তি

    ভারতীয় মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে কখনও কখনও ভুলবশত শ্রীলঙ্কার জলসীমায় প্রবেশ করে যান। এমন বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবী এখনও শ্রীলঙ্কার জেলে বন্দি। ভারতীয় মৎস্যজীবীদের যাতে অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়া হয়, সে কথাও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছেন মোদি। বৈঠকের পরে যৌথ বিবৃতিতে অনুরাকে পাশে নিয়ে আবারও সেই কথা বলেছেন তিনি। মোদি বলেন, “মৎস্যজীবীদের বিষয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। তাঁদের (মৎস্যজীবীদের) দ্রুত ছেড়ে দেওয়া উচিত। তাঁদের নৌকাও ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।” পরে বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী জানান, ভারতকে আশ্বস্ত করা হয়েছে ১১ জন মৎস্যজীবীকে শীঘ্রই মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষ। আগামী দিনে আরও মৎস্যজীবীকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে আশাবাদী তিনি।

  • PM Modi: ভারতে বড় লগ্নি, মোদির সঙ্গে বৈঠক শেষে ইঙ্গিত সিঙ্গাপুরের শিল্পপতিদের

    PM Modi: ভারতে বড় লগ্নি, মোদির সঙ্গে বৈঠক শেষে ইঙ্গিত সিঙ্গাপুরের শিল্পপতিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-সিঙ্গাপুর বাণিজ্য নিয়ে উদ্যোগী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই দেশের মধ্যে মৈত্রী আরও জোরদার করা নিয়েও আশাবাদী তিনি। দু’দিনের সফরে গিয়ে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী, সেদেশের শিল্পপতি এবং তাবড় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন মোদি। মোদির সঙ্গে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওং-এর বৈঠকে ছিলেন মন্ত্রী লি সিয়েন লুং, গোহ চোক টং এবং দেশের শিল্প-বাণিজ্য কর্তারাও। ছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও।

    ভারতে বিপুল বিনিয়োগের আশ্বাস

    সিঙ্গাপুরের একাধিক শিল্পপতি এবং সংস্থার সিইও-দের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রী মোদির।  যেখানে অর্থনৈতিক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। দীর্ঘ এই বৈঠক শিল্পপতিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারতে বেশ কিছু সংস্কার হচ্ছে, যা বিনিয়োগে উৎসাহ দেবে। জানা গিয়েছে, বৈঠকে আগামীদিনে ভারতে বিপুল বিনিয়োগের আশ্বাস দেন সিঙ্গাপুরের শিল্পপতিরা। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ব্ল্যাকস্টোন সিঙ্গাপুর, টেমাসেক হোল্ডিংস, সেম্বকর্প ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ক্যাপিটাল্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, এসটি টেলিমিডিয়া গ্লোবাল ডেটা সেন্টার এবং সিঙ্গাপুর এয়ারওয়েজের সিইও।

    বৈঠক নিয়ে উচ্ছ্বসিত মোদি

    বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘‘ভারত এবং সিঙ্গাপুর দুই দেশই অদূর ভবিষ্যতে আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির জন্য একসঙ্গে কাজ করে যাবে। সিঙ্গাপুর প্রতিটি উন্নয়নশীল দেশের কাছে অনুপ্রেরণা। আমরা ভারতে অনেক ‘সিঙ্গাপুর’ তৈরি করতে চাই।’’ বৃহস্পতিবার সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনে অংশীদারিত্বের পাশাপাশি আলোচনা হয়েছে ডিজিটাল অর্থনীতি নিয়েও। সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপ্রধান এবং শিল্প-বাণিজ্য কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সেমিকন্ডাক্টর, ডিজিটাল প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা ও দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয়ক চারটি মউ তথা সমঝোতা (এমওইউ) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সেগুলি হল— ডিজিটাল প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা, ভারত, সিঙ্গাপুর সেমিকন্ডাক্টর ইকোসিস্টেম পার্টনারশিপ, স্বাস্থ্য ও ওষুধের ক্ষেত্রে সহযোগিতা এবং শিক্ষাগত সহযোগিতা এবং দক্ষতা উন্নয়ন।

    প্রসঙ্গত, গত ১০ বছরে দু’দেশের বিনিয়োগ প্রায় তিন গুণ বেড়েছে। চালু হয়েছে ডিজিটাল মাধ্যমে দ্রুত অর্থিক লেনদেন ব্যবস্থা। সেমিকন্ডাক্টর সেক্টর দুই দেশকে এক সুতোয় বাঁধতে পারে বলে মনে করেন মোদি।

    লি সিয়েন লুংয়ের দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে মোদি

    সিঙ্গাপুরে প্রবীণ মন্ত্রী লি সিয়েন লুংয়ের দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারত-সিঙ্গাপুর কূটনৈতিক অংশীদারিত্বের উন্নয়নে তাঁর অবদানের প্রশংসাও করেছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ লি সিয়েন লুং, মোদির সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছিলেন৷ সেই ভোজে অংশ নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “আমার বন্ধু এবং সিঙ্গাপুরের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং-এর সঙ্গে দেখা করা সবসময়ই আনন্দের। তিনি সবসময় ভারত-সিঙ্গাপুরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের একজন শক্তিশালী অংশ হিসাবে কাজ করেছেন ৷ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর অন্তর্দৃষ্টিও খুব সমৃদ্ধ। আমাদের দেশগুলি কীভাবে সবুজ শক্তি, ফিনটেক, ইত্যাদিতে একসঙ্গে কাজ করতে পারে সে সম্পর্কে আমরা একটি সুন্দর আলোচনা করেছি ৷”

    মোদির সফরের লক্ষ্য

    মোদির দু’দিনের সফরের সঙ্গে ভারত ও সিঙ্গাপুর তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কূটনৈতিক অংশীদারিত্বে বেশ কিছুটা উন্নীত করেছে বলেই মনে করছে বিদেশ মন্ত্রক। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের লক্ষ্য দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্ব, কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থেকে বিনিয়োগ আকর্ষণ করা। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদী ও লরেন্স উয়ং একটি বৈঠক করেছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের পার্টনারশিপের বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। ডিজিটাইজেশন, স্বাস্থ্য, ওষুধ সহ বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে সেই বৈঠকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Adani Group: রাহুলকে উপেক্ষা করেই আদানির সঙ্গে মউ স্বাক্ষর কংগ্রেস পরিচালিত তেলঙ্গানা সরকারের

    Adani Group: রাহুলকে উপেক্ষা করেই আদানির সঙ্গে মউ স্বাক্ষর কংগ্রেস পরিচালিত তেলঙ্গানা সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিনিয়ত আদানি গোষ্ঠীকে (Adani Group) আক্রমণ শানিয়ে চলেছে কংগ্রেস। ‘স্বজনতোষী পুঁজিবাদে’র অভিযোগ আনা হয়েছে এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। বছরখানেক আগে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ চিনের সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর যোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।

    কংগ্রেসের নিশানায় আদানি

    কেন্দ্রীয় সরকার কীভাবে গৌতম আদানিকে একচেটিয়া বাজার ধরার সুযোগ করে দিয়েছে এবং সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তিনি কীভাবে বিমানবন্দর বা বিদ্যুতের মতো অত্যাবশ্যক পরিষেবা নিয়ে ক্রেতাদের ঠকিয়ে গিয়েছেন জনসমক্ষে সেই অভিযোগ করেছিলেন এই কংগ্রেস নেতা। গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির প্রাক্তন সভাপতি খোদ রাহুল গান্ধীর চাঁদমারিও হয়েছে আদানি গোষ্ঠী। গত বছর অক্টোবরে আদানি গোষ্ঠীকে আক্রমণ শানিয়ে রাহুল বলেছিলেন, “ভারতবাসীর ব্যয়ে আদানি গোষ্ঠী লাভ করেছে ৩২ হাজার কোটি টাকা।”  

    মউ স্বাক্ষর

    এহেন স্বজনতোষী পুঁজিবাদ কর্তা আদানির (Adani Group) সঙ্গে ১২ হাজার ৪০০ কোটি টাকার মউ স্বাক্ষর করেছে কংগ্রেস পরিচালিত তেলঙ্গানা সরকার। এবং মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে রাহুল গান্ধীকে উপেক্ষা করেই। কিছুদিন আগেই দাভোসে হয়েছে ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম। সেখানেই তেলঙ্গানা সরকারের তরফে মউ স্বাক্ষর করেছেন মুখ্যমন্ত্রী রেভান্ত রেড্ডি। এক্স হ্যান্ডেলে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর অফিসকে ট্যাগ করে গৌতম আদানি লিখেছেন, “তেলঙ্গানার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক সুযোগ নিয়ে ঘণ্টাখানেক ধরে বৈঠক হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই আর রাজ্য পুলিশকে নিয়ে সিট গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

    চারটি মউয়ের মধ্যে একটি অনুযায়ী, আদানি গোষ্ঠী ১০০ এমডব্লু ডেটা সেন্টারে ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। গ্রিন এনার্জি ব্যবহার করে আদানি গোষ্ঠীর এই ফ্ল্যাগশিপ ফার্ম চলবে। অন্য তিনটি মউয়ে স্বাক্ষর করেছে আদানি গ্রিন এনার্জি, অম্বুজা সিমেন্ট এবং আদানি ডিফেন্স সিস্টেম। ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বার্ষিক ৬ মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন সিমেন্ট গ্রাইন্ডিং ইউনিটও স্থাপন করা হবে। পরন্তু, আদানি গ্রিন দুটি পাম্প স্টোরেজ প্রজেক্টও তৈরি করবে। এজন্য তারা ব্যয় করবে ৫ হাজার কোটি টাকা। কাউন্টার ড্রোন ও মিসাইল ফেসিলিটি তৈরি করতে আদানি (Adani Group) ডিফেন্স এবং অ্যারোস্পেস লগ্নি করবে হাজার কোটি টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share