Tag: Muhammad Yunus

  • India Bangladesh Relation: “ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতেই হবে”, অবশেষে মানলেন ইউনূস

    India Bangladesh Relation: “ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতেই হবে”, অবশেষে মানলেন ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে (India Bangladesh Relation) কোনও অবনতি ঘটেনি। পদ্মাপাড়ে ক্রমবর্ধমান ভারত বিরোধিতার মধ্যেই এমন দাবি করলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। আগামী ৩-৪ এপ্রিল তাইল্যান্ডে বিমস্টেক সম্মেলনে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ইউনূস। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান ইউনূস। এমনই অভিমত কূটনৈতিক মহলের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক খুবই ভালো। আমাদের সম্পর্কের কোনও অবনতি হয়নি। আমাদের সম্পর্ক সব সময় ভালো থাকবে। এখনও ভালো আছে, ভবিষ্যতেও ভালো থাকবে।”

    কলকাতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল

    ইতিমধ্যেই পাঁচ দিনের সফরে পশ্চিমবঙ্গে এলেন ইন্দো-বাংলাদেশ জয়েন্ট রিভার কমিশনের বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। সোমবার মোট ১১ জন পদস্থ কর্মকর্তা এই সফরে অংশ নিতে এসেছেন। তাঁদের সঙ্গে নয়াদিল্লি থেকে আসা কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা বৈঠক করবেন বলে জানা গিয়েছে। সফরের মূল উদ্দেশ্য হল গঙ্গা-পদ্মা জলবণ্টন চুক্তি পর্যালোচনা এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা। উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা পরবর্তী সময়ে মৌলবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে বাংলাদেশে। এই আবহে সেখানে ভারত বিদ্বেষের হাওয়া যেন প্রবল হয়েছিল। কিন্তু এরই মাঝে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বুঝতে পারে ভারতকে যে কোনও মূল্যে পাশে দরকার। পদ্মাপাড়ে উন্নয়নের জন্য ভারত নিয়ে এবার সুর নরম করতে বাধ্য হন ইউনূস।

    গঙ্গা-পদ্মা জলচুক্তি নিয়ে আলোচনা

    ১৯৯৬ সালে ভারত ও বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation) মধ্যে গঙ্গা-পদ্মা জলবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এর ফলে দুই দেশ গঙ্গার জল ভাগ করে নেওয়ার একটি নির্দিষ্ট কাঠামো তৈরি করে। চুক্তির মেয়াদ ছিল ৩০ বছর, অর্থাৎ ২০২৬ সালে এটি শেষ হবে। আগামী বছর চুক্তির ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে নতুন করে কিছু পর্যালোচনা ও সংশোধন আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী, উভয় দেশ গঙ্গার প্রবাহ ও বণ্টন নিয়ে নিয়মিত বৈঠকে বসে। তবে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ অভিযোগ তুলেছে যে, শুষ্ক মৌসুমে ফরাক্কা ব্যারাজ থেকে তারা পর্যাপ্ত জল পায় না। অন্য দিকে, ভারতের দাবি, জলপ্রবাহের স্বাভাবিক ওঠানামার কারণে কিছু সময় জলের পরিমাণ কমবেশি হয়। তাই নিয়েই ফের আলোচনার জন্য ভারতে এসেছে বাংলার প্রতিনিধি দল।

    কোথায় কোথায় যাবেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা

    প্রতিনিধি দলটি সোমবার ফরাক্কা ব্যারাজ পরিদর্শনে গিয়েছেন। সেখানে তাঁরা গঙ্গা থেকে পদ্মায় প্রবাহিত জলের পরিমাণ ও অবস্থা খতিয়ে দেখেন। ফরাক্কা ব্যারাজ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নদীর জল বণ্টনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গঙ্গা থেকে নির্ধারিত পরিমাণ জল কী ভাবে পদ্মায় প্রবাহিত হচ্ছে, তা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন দুই দেশের বিশেষজ্ঞেরা। এর পর ৭ মার্চ কলকাতায় একটি বিলাসবহুল হোটেলে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে দুই দেশের প্রতিনিধিরা আলোচনায় বসবেন। গঙ্গার জলবণ্টন ছাড়াও তিস্তা এবং অন্যান্য আন্তঃসীমান্ত নদীগুলির বিষয়ে কথাবার্তা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

    মোদি-ট্রাম্প সুসম্পর্ক

    গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশে গণআন্দোলনের চাপে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন শেখ হাসিনা। পালিয়ে আসেন ভারতে। তাঁর প্রত্যর্পণ চেয়ে ভারত সরকারকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। এখনও তার উত্তর দেয়নি নয়াদিল্লি। হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। ভারত একাধিক বার বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ফলে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। ইউনূস সরকারের জামাত-ঘনিষ্ঠতা এবং ভারত-বিরোধিতা ক্রমে বুমেরাং হয়ে ফিরেছে ঢাকার কাছে। এরই মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতায় এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের অনুদান বন্ধ করে দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গেও ভারতকে পাশ পেতে চাইছেন ইউনূস। প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সম্পর্ক ভালো। বাংলাদেশ সমস্যা নিয়ে হস্তক্ষেপে রাজি নন ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, এই বিষয়য়ে মোদি যা করার করবেন। তাই মোদিই বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করবেন এমন আশাও দেখছে ঢাকা, ধারণা কূটনৈতিক মহলের।

    মোদির সঙ্গে কথা হয়েছে, দাবি ইউনূসের

    সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক (India Bangladesh Relation) ভালো না থেকে উপায় নেই। আমাদের সম্পর্ক এত ঘনিষ্ঠ, আমাদের পরস্পরের ওপর নির্ভরশীলতা অনেক বেশি। ঐতিহাসিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে আমাদের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। সেটার থেকে আমরা সরে আসতে পারব না। তবে মাঝখানে কিছু কিছু মেঘ দেখা দিয়েছে। তা অপপ্রচারের কারণে এসেছে। এই অপপ্রচার কোন শত্রুরা করছে, সেটা বিচার করতে হবে। কিন্তু এই অপপ্রচারের ফলে আমাদের সঙ্গে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে ভারতের। সেই ভুল বোঝাবুঝি থেকে আমরা বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি। ভারত সরকারের সঙ্গে আমাদের সব সময় যোগাযোগ হচ্ছে। তারা এখানে আসছে, আমাদের লোকজন সেখানে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আমার প্রথমেই কথা হয়ে গিয়েছে।” এখন মোদির হাত ধরেই কি পদ্মাপাড়ে সুদিন ফেরার আশা দেখছেন ইউনূস! প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে

  • Muhammad Yunus: বাংলাদেশের সেনাপ্রধানকে সরাতে সক্রিয় আইএসআই! জেনারেল জমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ইউনূস?

    Muhammad Yunus: বাংলাদেশের সেনাপ্রধানকে সরাতে সক্রিয় আইএসআই! জেনারেল জমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ইউনূস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনার জামানার পতনের পর মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus) জামানায় ঢাকা-ইসলামাবাদ দোস্তি চওড়া হয়েছে। পদ্মাপাড়ে ভারত বিরোধিতার সুর যত চড়েছে ততই পাকিস্তানের কোলে ঢলে পড়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূস। পাকিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘ ৫০ বছর পর সমুদ্র বাণিজ্য চালু করেছে বাংলাদেশ (Bangladesh Army Chief)। করাচি থেকে পণ্যবাহী জাহাজ এসেছে চট্টোগ্রামে। এবার পাকিস্তান সেনার সঙ্গে যোগ রেখে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জমানকে সরাতে চাইছে ইউনূস প্রশাসন। তাঁর বদলে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়ে আসা হতে পারে পাক ঘনিষ্ঠ বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে চতুর্থ স্থান অধিকারী,ফয়জুর রহমানকে।

    ইউনূস এবং সেনাপ্রধানের মধ্যে বিরোধ!

    সূত্রের খবর, বাংলাদেশের (Bangladesh Army Chief) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus) , যিনি গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের শাসনভার গ্রহণ করেছিলেন, তিনি দেশের সেনা প্রধানের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, জেনারেল জমান দীর্ঘদিন ধরে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তী সরকারকে নিয়ে অসন্তুষ্ট। তিনি দেশটির গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ এবং শেখ হাসিনার অপসারণের পর দেশটির আইন-শৃঙ্খলার অবনতির বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। শেখ হাসিনার পতনের পর জেনারেল জমান বারবার নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে কথা বললেও, বর্তমান পরিস্থিতির অজুহাতে ইউনূস দেশে নির্বাচনের তারিখ বারবার স্থগিত করেছেন। আরেকটি কারণ হতে পারে যে, জেনারেল জমান শেখ হাসিনার শাসনামলে সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পান। তাঁর স্ত্রীর সম্পর্ক শেখ হাসিনার পরিবারে, যার ফলে দু’পক্ষের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে।

    ইউনূস সরকার এবং পাকিস্তানের আইএসআইয়ের ষড়যন্ত্র

    বিশেষ সূত্রমতে, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল জমান সন্দেহ করছেন যে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং আইএসআই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে। তাঁর ধারণা, আইএসআই বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রভাব ফেলছে এবং তাদের পছন্দের লোকদের শীর্ষ পদে নিযুক্ত করার চেষ্টা করছে। গত মাসে পাকিস্তানের আইএসআই প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম মালিকের বাংলাদেশ সফরকালে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমানের সঙ্গে বৈঠকটি, জেনারেল জমানের প্রতি আইএসআইয়ের হস্তক্ষেপের চেষ্টার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ফয়জুর রহমান বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে চতুর্থ স্থান অধিকারী। তিনি পাকিস্তানের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।

    জমানকে অপসারণের চেষ্টা

    বাংলাদেশ সেনার অভ্যন্তরে গুঞ্জন, অন্তবর্তী সরকার জেনারেল জমানকে সেনাপ্রধান পদ থেকে অপসারণ করে, ফয়জুর রহমানকে এই পদে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। ফয়জুর রহমানকে পাকিস্তানের প্রতি সহানুভূতিশীল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাঁর পক্ষে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও আইএসআইয়ের সমর্থন রয়েছে।

    বিরোধের সূত্রপাত

    গত অগাস্ট মাসের শুরুতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের সময়, আন্দোলনকারীদের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন জেনারেল জমান এবং সেনা। তাদের চাপেই ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন হাসিনা। তারপর, মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকার। বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করে বিচার বিভাগ, পুলিশ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইউনুস। সেই সঙ্গে সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত করার একটি রূপরেখা দিয়েছে ইউনূস সরকার। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এতদিন পর্যন্ত ছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আওতাধীন। অর্থাৎ, সরাসরি নিয়ন্ত্রণ ছিল প্রধানমন্ত্রীর হাতে। কাজেই, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে রাজনৈতিক প্রয়োজনে সেনাকে ব্যবহারের সুযোগ ছিল। তার বদলে সেনাকে রাষ্ট্রপতির আওতায় আনার প্রস্তাব দিয়েছে নয়া সরকার। এর ফলে, ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় থাকবে। কিন্তু আখেড়ে উল্টো কাজ করছে ইউনূস প্রশাসন। তার থেকেই বিরোধের সূত্রপাত।

    ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক

    বাংলাদেশে (Bangladesh Army Chief) শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ জায়গায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশে বিশেষত হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ব্যাপক সম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। যা ঢাকা এবং নয়াদিল্লির সম্পর্ককে জটিল করে তুলছে। ভারত, ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তী সরকারকে অভিযোগ করছে যে তারা সন্ত্রাসী মৌলবাদী ইসলামিক শক্তিগুলির দ্বারা সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ প্রসঙ্গে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে অক্ষম এবং এ ব্যাপারে চোখ বন্ধ করে রেখেছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ভারত সফরে এসে পাক গোয়েন্দারা ভারতের চিকেন নেকও দেখতে গিয়েছিলেন। যা ভারতের কাছে বিরক্তির কারণ। এই আবহে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে পাক ঘনিষ্ঠতা ভারতের কাছে অসন্তোষের।

  • India Bangladesh Relation: ভারতই ভরসা! থমকে একাধিক রেল প্রকল্প, দিল্লির টাকার দিকে তাকিয়ে ঢাকা

    India Bangladesh Relation: ভারতই ভরসা! থমকে একাধিক রেল প্রকল্প, দিল্লির টাকার দিকে তাকিয়ে ঢাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোশ্যাল সাইট থেকে ঢাকার অলিগলি— বাংলাদেশে এখন ভারত-বিদ্বেষ (India Bangladesh Relation) চূড়ান্ত। যে ভারতের হাত ধরে বাংলাদেশের সৃষ্টি, সেই ভারত-বৈরিতা এখনকার বাংলাদেশ সরকারের বৈশিষ্ট্য। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই ভারতের (India) সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh)। কিন্তু ভারত ছাড়া বাংলাদেশ যে কতটা অচল, তা স্পষ্ট হল বাংলাদেশ রেলওয়ের (Bangladesh Railway) সাম্প্রতিক প্রকাশিত তথ্যে। জানা গিয়েছে, অর্থ সংকটের কারণে বাংলাদেশে রেলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প থমকে রয়েছে। বাংলাদেশের অভিযোগ, ভারত সরকার ছ’বছর আগে এইসব প্রকল্পের জন্য ঋণ (Loan) দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও অর্থ বরাদ্দ করেনি। এর ফলে, প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন শুরু করা সম্ভব হয়নি।

    কেন সাহায্য করবে ভারত?

    ওপার বাংলার সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ছয় বছর আগে বাংলাদেশ রেলের একাধিক প্রকল্পের জন্য ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু আজ অবধি সেই টাকা পায়নি ঢাকা। এর ফলে ওই প্রকল্পগুলির কাজ থমকে গিয়েছে। এই বিষয়ে একাধিক বার নরেন্দ্র মোদি সরকারকে চিঠি দিয়েও লাভ হয়নি। যদিও পালটা প্রশ্ন উঠছে, হাসিনা পরবর্তী সময়ে যে ভারতকে কথায় কথায় বিষোদগার করছে মহম্মদ ইউনূস সরকার এবং পদ্মাপাড়ের রাজনৈতিক দলগুলি, কোন ভরসায় তাদের অর্থসাহায্য করবে ভারত?

    সাতটি রেল প্রকল্প আটকে

    বাংলাদেশে (India Bangladesh Relation) এই মূহূর্তে সাতটি রেল প্রকল্প রয়েছে যা ভারতের টাকায় হওয়ার কথা। যার মধ্যে রয়েছে খুলনা-দর্শনা রেল লাইন প্রকল্প, সিরাজগঞ্জ-বগুরা ন্যারো এবং ব্রড গেজ লাইন প্রকল্প। ভারত এখনও ঋণ না দেওয়ায় এই দুই প্রকল্পের কাজ শুরুই করা যায়নি। তবে আরও দুটি প্রকল্পে কাজ চলছে ভারতের ঋণের টাকায়। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা-টঙ্গি তৃতীয় এবং চতুর্থ লাইনের কাজ, ৩৮ শতাংশ এই কাজ এগিয়েছে। সেই সঙ্গে কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ নির্মাণের কাজ এগিয়েছে ৫১ শতাংশ। এখানেই শেষ নয়, ভারতের টাকায় বাংলাদেশে খুলনা-মোংলা রেলপথ এবং আখাউড়া-আগরতলা লাইনের কাজ হওয়ার কথা ছিল। এই কাজ অনেকটা এগোলেও শেষ হয়নি। রেলের কাজের সঙ্গে নিযুক্ত ভারতীয় শ্রমিকরা এখনও ফেরেননি বাংলাদেশে। সেই সঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে না ভারতের টাকাও, তাই মাথায় হাত বাংলাদেশের। প্রকল্পগুলি আদৌ কী ভাবে শেষ হবে সেই নিয়েই চিন্তায় বাংলাদেশ সরকার। এছাড়া, দিনাজপুর-কাউনিয়া রেলপথের জন্য ভারত ঋণ বরাদ্দ করলেও কাজ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।

    ভারত বিদ্বেষ বাড়ছে

    শেখ হাসিনা পরবর্তী সময় বাংলাদেশে ক্রমাগত ভারত বিদ্বেষ বাড়ছে। সে দেশের ক্ষমতায় থাকা কিছু নেতা বারবার নয়াদিল্লিকে (India Bangladesh Relation) নিশানা করছেন। কখনও যুদ্ধের জিগির তুলছেন তো কখনও দেশের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার জন্য দায়ী করছে ভারতকে। বিষয়গুলি নিয়ে এতদিন ‘চুপ’ থাকলেও সম্প্রতি ঢাকাকে কড়া বার্তা দিয়েছে নয়াদিল্লি। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ, তা স্পষ্ট করতে হবে, দ্বিচারিতা চলবে না। একদিকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মহম্মদ ইউনূস বলছেন, “ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই।” অন্যদিকে তাঁরই সরকারের অন্য়ান্য উপদেষ্টারা নয়াদিল্লিকে নিশানা করছেন। বারবার অসম্মান করছেন। দেশে ক্রমাগত সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার বাড়ছে। এভাবে চলতে পারে না বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ভারতের প্রতি তাদের সরকারি অবস্থান স্পষ্ট করুক বাংলাদেশ। দুদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি করতে হলে, হিন্দুদের উপর অত্যাচার বন্ধ করতে হবে। ভারত-বিরোধী মন্তব্যও বন্ধ করতে হবে বলে জানান বিদেশমন্ত্রী।

    বিকল্প অর্থায়নের উপায় খুঁজুক বাংলাদেশ

    বাংলাদেশ (India Bangladesh Relation) রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঢাকা-টঙ্গি এবং কুলাউড়া-শাহবাজপুর প্রকল্পের জন্য ভারত আদৌ টাকা দেবে কি না, তা জানতে চেয়ে গত ডিসেম্বরে নয়াদিল্লিকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও উত্তর আসেনি। অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে, বর্তমান রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ভারত হয়তো অর্থ বরাদ্দ নাও করতে পারে। আসলে, ঢাকার দ্বিচারিতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে কূটনৈতিক মহলে। যে বাংলাদেশ নিয়মিত ‘ভারত বিদ্বেষ ছড়ানো অভ্যেস করে ফেলেছে, সেখানে রেল প্রকল্পে অর্থসাহায্য করবে কেন নয়াদিল্লি! এমনকী যেখানে প্রতিবেশী দেশ দখল করারও হুঁশিয়ারি দেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতারা, সেখানে কোন ভরসায় ফিরবেন ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার ও শ্রমিকরা? এই অবস্থায়, বিকল্প অর্থায়নের উপায় খুঁজতে হবে বাংলাদেশ সরকারকে।

  • Bangladesh Crisis: হিন্দু-নির্যাতন অব্যাহত! বাংলাদেশে পয়লা বৈশাখে গো-হত্যার পরিকল্পনা ইসলামিক মৌলবাদীদের

    Bangladesh Crisis: হিন্দু-নির্যাতন অব্যাহত! বাংলাদেশে পয়লা বৈশাখে গো-হত্যার পরিকল্পনা ইসলামিক মৌলবাদীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংঘর্ষ, ভাঙচুর, হিন্দুদের উপর অত্যাচার, খুনোখুনি। হাসিনা সরকারের পতনের পর, এগুলোই এখন বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) চেনা ছবি। যা থামা তো দূর, উল্টে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকেই এগোচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই। এই আবহেই বাংলাদেশে প্রশ্নের মুখে পড়েছে বাংলার বর্ষবরণ। বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানতে ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখে ১০০টি গো-হত্যা করার কথা ইসলামিক মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলি প্রকাশ্যে এনেছে। এই বিপজ্জনক পরিকল্পনাটি উপেক্ষা করছে ইউনুস পরিচালিত অন্তর্বর্তী সরকার। এর আগেও অবশ্য সংখ্যালঘু নির্যাতনে নীরব ভূমিকা পালন করছে ইউনূস প্রশাসন।

    গুরুত্ব দিতে নারাজ ইউনূস সরকার

    শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটাতে বৈষম্য বিরোধী বিক্ষোভ এবং তার পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) হিন্দু, আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। সরকারের পতনের পর হিন্দুদের বাড়ি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক হামলা চালানো হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের হিংসাত্মক আন্দোলন হোক কিংবা হিন্দুদের উপর অত্যাচার। প্রত্যেকবারই নানা পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে ইউনূস সরকার। কিন্তু, সে সবই যে আদতে লোক দেখানো। এবারও পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান নিয়ে ভাবতে নারাজ অন্তর্বর্তী সরকার। পয়লা বৈশাখের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতি সামনে আসার পরও সরকারের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় গো-হত্যার মতো হুমকিগুলি বাড়তে থাকলেও, সরকার কোনও প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে না। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রকের সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা, মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী, আশ্চর্যজনকভাবে এই হুমকির প্রতি কোনও গুরুত্ব না দিয়ে বলেন, “অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক কিছু বলেন… সরকার হিসেবে আমরা সবকিছুতে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারি না।”

    বাংলাদেশের অতীত

    বিশেষজ্ঞদের মতে, পদ্মাপাড়ে এই ধরনের হুমকির বাস্তব পরিণতি উপেক্ষা করার নয়। এর আগে ধর্মীয় উৎসবগুলির বিরুদ্ধে ইসলামিক মৌলবাদীদের আক্রমণের ইতিহাস রয়েছে। ২০০১ সালে হরকত-উল জিহাদ আল ইসলামি (HUJI) দলের করা রামনা বটমূল বোমা হামলায় ৯ জন নিহত এবং অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছিল। ২০১৪ সালে এই হামলার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচার হলেও, তাদের মধ্যে অনেকেই এখনো পলাতক। ইউনুস সরকারের শাসনকাল শুরু হওয়ার পর ইসলামিক মৌলবাদীরা আরও উৎসাহিত হয়েছে। যদিও ইউনুস নিজে সরাসরি কোনো উসকানি দেননি, কিন্তু তাঁর নীরবতা মৌলবাদীদের শক্তিশালী করেছে। তাঁর প্রশাসন সন্ত্রাসী এবং ইসলামিক মৌলবাদীদের মুক্তি দিয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণগুলোকে “ভুয়ো,” “অতিপ্রসারিত,” বা “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” বলে অবমূল্যায়ন করেছে।

    উদ্বিগ্ন রাষ্ট্রপুঞ্জ

    বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) নিয়ে সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জও। হিন্দু নিপীড়ন থেকে পুলিশ খুন, নারী নির্যাতন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো অসংখ্য ঘটনা ঘটছে এখানে। বাংলাদেশে শান্তি ও রাজনৈতিক স্বচ্ছতা ফেরানোর সুপারিশও করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দফতর। ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার সরকারকে পতনের পর, হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর ব্যাপক আক্রমণ শুরু হয়। এই সময়ে কমপক্ষে ২০৫টি হিন্দু মন্দির, দোকান এবং ব্যবসায় আক্রমণ করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বিভিন্ন ধর্মীয় ও আদিবাসী গোষ্ঠীর উপর হামলার সঙ্গে জড়িত ১০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু প্রতিশোধমূলক হিংসা ও বিভিন্ন গোষ্ঠীর উপর হামলার অপরাধীরা এখনও মুক্ত রয়েছে।ইউনূসের আমলে ছাত্র আন্দোলনের সময়ে প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ড ও হিংসার ঘটনাকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে। এমনকী নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও পরিকল্পিতভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল বলেও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।

    হিন্দুদের উপর চলমান নির্যাতনের কিছু ঘটনা

    সেপ্টেম্বর ৬: চট্টগ্রামে ভগবান গণেশের মূর্তি নিয়ে হিন্দু পূণ্যার্থীদের উপর ইসলামিক মৌলবাদীদের আক্রমণ।

    সেপ্টেম্বর ২৫: ময়মনসিংহে মা দুর্গার মূর্তি ভাঙার ঘটনা।

    সেপ্টেম্বর ২৮ অক্টোবর ১: পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলায় ৯টি হিন্দু মূর্তি ভাঙার ঘটনা।

    অক্টোবর ৩: ঢাকার গোপীনাথ জিউর আখাড়া দুর্গাপুজা মন্ডপে ৭টি মূর্তি ভাঙা।

    নভেম্বর ৫: চট্টগ্রামের হাজারি গলিতে পুলিশের দ্বারা হিন্দুদের উপর আক্রমণ।

    নভেম্বর ২৯: চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় তিনটি মন্দির ভাঙার ঘটনা।

    ডিসেম্বর ১৩: মহাশ্মাশান কালী মাতা মন্দিরে সাতটি মূর্তি ধ্বংস ও স্বর্ণালঙ্কার লুণ্ঠন।

    ডিসেম্বর ১৯: ময়মনসিংহে একাধিক হিন্দু মন্দিরে আক্রমণ, মূর্তি ভাঙার ঘটনা।

    হিন্দুদের অস্তিত্ব বিপন্ন

    শারীরিক আক্রমণের বাইরে আরও কিছু ঘটনা ঘটেছে পদ্মাপাড়ে। ৬০ জন হিন্দু সরকারি কর্মকর্তা এবং শিক্ষককে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। হিন্দুদেরকে জোর করে ‘জামায়াত-ই-ইসলামী’ তে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছে। হিন্দু কর্মী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর বিরুদ্ধে মিথ্যা রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বাংলাদেশে ধর্মীয় উগ্রপন্থা গভীরে প্রবাহিত হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায় প্রতিদিন আক্রমণের মুখে পড়ছে। মূর্তি ধ্বংস, জোর করে ধর্মান্তরিত হওয়া এবং সাংবিধানিকভাবে বৈষম্যের সম্মুখীন হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। পদ্মা তীরে হিন্দুদের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় অস্তিত্ব এখন বিপন্ন।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে শুরু মুষল পর্ব! খেয়োখেয়ি বিএনপি-ইউনূস সমর্থকদের

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে শুরু মুষল পর্ব! খেয়োখেয়ি বিএনপি-ইউনূস সমর্থকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাফান ঝাঁপান শেষ। এবার নিজেদের মধ্যেই খেয়োখেয়ি লেগে গিয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) ছাত্রদের মধ্যে। আওয়ামি লিগকে দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করতে কোমর কষে নেমে পড়েছিল খালেদা জিয়ার বিএনপি এবং মহম্মদ ইউনূসের (Muhammad Yunus) প্রশাসন। এবার এই দুই নেতা-নেত্রীর অনুগামী ছাত্ররাই নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে।

    নয়া সঙ্কটে ইউনূস প্রশাসন (Muhammad Yunus)

    শেখ হাসিনা যখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন ছাত্রদের আন্দোলন (পড়ুন পরিকল্পিত) ছিল সরকারের বিরুদ্ধে। গত বছরের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে ভারতে পালিয়ে আসেন হাসিনা। তারপর থেকে নতুন খেলা শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। এই খেলা খেলতে গিয়েই নয়া সঙ্কটের সম্মুখীন ইউনূস প্রশাসন। ফেরা যাক খবরে, খুলনার একটি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের জেরে জখম হয়েছেন ১৫০ পড়ুয়া। সংঘর্ষ হয়েছে শেখ হাসিনাকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্র সংগঠন ও তার বিরোধী গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

    দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলন

    জানা গিয়েছে, বিএনপির যুব শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্র দল (জেসিডি) বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার চেষ্টা করেছিল। বাধা দেয় ইউনূস সমর্থিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলন স্টুডেন্টস এগেইনস্ট কোরাপশন (এসএডি)-এর সদস্যরা। এরাই হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিল। যার জেরে দেশ ছাড়তে হয় আওয়ামি লিগ সুপ্রিমোকে। এই ঘটনার পরে পরেই জেসিডি বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন আয়োজন এবং ভাইস চ্যান্সেলর মোহাম্মদ মাসুদকে অপসারণের দাবি জানিয়েছে। এসএডি এই দুই দাবিরই বিরোধিতা করেছে। তার জেরেই হয় সংঘর্ষ। জখম হন দেড়শো জন।

    ছাত্র সংঘর্ষ

    সংঘর্ষের পরে ৫০ জনেরও বেশি পড়ুয়াকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সংঘর্ষের ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই গোষ্ঠীর সদস্যরা চাপাতি হাতে একে অপরের সঙ্গে লড়াই করছে (Muhammad Yunus)। সংঘর্ষের দায় একে অপরের ওপর চাপাচ্ছে দুই গোষ্ঠীই (Bangladesh Crisis)। জেসিডি প্রধান নাসিরউদ্দিন নাসির বলেন, “সাম্প্রতিক হিংসায় উসকানি দিয়েছে এসএডি। জামাতে ইসলামি এসএডিকে সহিংস কার্যকলাপে লিপ্ত হতে সমর্থন জোগাচ্ছে।” জেসিডির আরও অভিযোগ, এসএডি ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিয়ে এসেছে। তারা বলছে যে তারা ক্যাম্পাসকে রাজনীতিমুক্ত রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু এসএডি তা হতে দেয়নি।

    খসে পড়েছে ঐক্যের মুখোশ

    হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশের শীর্ষ নেতৃত্ব একটি ঐক্যবদ্ধ চিত্র তুলে ধরেছিল। তখন মনে হয়েছিল, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূস, বিএনপি এবং জামাত সবাই এক জোট হয়েছে। তাদের এই ঐক্য তখনই পর্যন্ত টিকে ছিল, যতক্ষণ তারা হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করছিল। রাজনৈতিক দৃশ্যপট থেকে হাসিনা সরে যাওয়ার পরেই খসে পড়ে ঐক্যের মুখোশ। বিএনপি ইউনূসের প্রতি অত্যন্ত সন্দেহপ্রবণ হয়ে উঠেছে। বিএনপি নেতৃত্ব মনে করছে, ইউনূস এখনই দেশে সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করতে আগ্রহী নন। বিএনপির অভিযোগ, ইউনূস সংবিধান সংশোধনের চেষ্টা করছেন যাতে তিনি নির্বাচন না করেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেন।

    মিলিট্যান্ট ধাঁচের সংগঠন

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে (Bangladesh Crisis), ইউনূস জামাত এবং এসএডি উভয়ের ওপরই যথেষ্ট জোর দিচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে, তিনি এসএডিকে এমন এক মিলিট্যান্ট ধাঁচের সংগঠন তৈরি করতে সমর্থন করছেন, যা শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করবে। এই নির্দিষ্ট অ্যাজেন্ডাটি পর্যবেক্ষণ করলে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ইউনূস প্রশাসনের প্রকৃত উদ্দেশ্য হল বাংলাদেশকে শরিয়া আইন দ্বারা পরিচালিত করে একটি ইসলামপন্থী রাষ্ট্রে পরিণত করা। দুই ছাত্র সংগঠনের মধ্যে সর্বশেষ সংঘর্ষটি আরও একটি ইঙ্গিত দেয়। সেটা হল, ইউনূস সমর্থিত ছাত্র শাখা এবং বিএনপির ছাত্র সংগঠনের মধ্যে বিভেদ কতটা গভীর। উভয় পক্ষই প্রতিটি স্তরে সংঘর্ষে লিপ্ত এবং এটি স্পষ্ট যে বিএনপি ইউনূসের (Muhammad Yunus) স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে।

    কী বলছেন পর্যবেক্ষকরা

    বাংলাদেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এটা অনিবার্যই ছিল। দুই সংগঠনের বিভেদের রেখাগুলো স্পষ্ট এবং ঐক্যের মুখোশ খুলে পড়েছে। যার জেরে কাছাকাছি আসতে শুরু করেছে বিএনপি এবং আওয়ামি লিগের ক্যাডাররা। এতদিন বিএনপি এবং ইউনূসের অনুগামীদের কমন শত্রু ছিল হাসিনার দল। আর এখন বিএনপি এবং আওয়ামি লিগ দুপক্ষই কমন শত্রু হিসেবে দেখছে ইউনূসকে। ক্ষমতার চিটে গুড়ে ইউনূসের পা আটকে যেতেই, বিপত্তি বেঁধেছে বাংলাদেশে। আজ বিএনপি এবং আওয়ামি লিগ দুই দলই ইউনূসকে (Bangladesh Crisis) কমন শত্রু হিসেবে দেখছে। তার কারণ দুই দেশই চায়, অবিলম্বে দেশে হোক সাধারণ নির্বাচন। তাদের আশঙ্কা, ইউনূস যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন, ততদিন তিনি হস্তক্ষেপ করবেন এবং শেষ পর্যন্ত সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে আজীবনের জন্য শাসনের রাস্তা পরিষ্কার করবেন।

    ইউনূসের অনুগামীরা বিএনপির সঙ্গে লড়াই করলেও, ইউনূস স্বয়ং এখনও আওয়ামি লিগকেই সবচেয়ে বেশি ভয় পান। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এখনই যদি অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সাধারণ নির্বাচন হয়, তাহলে কোনও সন্দেহ নেই যে আওয়ামি লিগই দেশের ক্ষমতায় ফিরবে। প্রসঙ্গত, ইউনূস (Muhammad Yunus) যাদের টার্গেট করেছেন, তাঁদের দাবি, দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং আইনের শাসন ফিরিয়ে আনার জন্য অবিলম্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত (Bangladesh Crisis)।

  • Sheikh Hasina: ‘‘ইউনূস ও তাঁর মিত্রদের ছাড়া হবে না’’, দেশে ফিরে বিচার করার হুঁশিয়ারি হাসিনার

    Sheikh Hasina: ‘‘ইউনূস ও তাঁর মিত্রদের ছাড়া হবে না’’, দেশে ফিরে বিচার করার হুঁশিয়ারি হাসিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) সোমবার দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘‘অপেক্ষা করুন। আমি দেশে ফিরব। ফিরে ইউনূসদের (Muhammad Yunus) অনাচার, অত্যাচারের বিচার করব।’’ হুঁশিয়ারি দিয়ে আওয়ামি লিগ নেত্রী বলেন, ‘‘ইউনূস ও তাঁর মিত্রদের ছাড়া হবে না।’’ সোমবার রাতে দিল্লি থেকে আওয়ামি লিগের সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘দায়মুক্তি’ নামের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনের সময় নিহত পুলিশ কর্মীর স্ত্রীদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।

    কী বললেন হাসিনা

    তিনি বলেন, ‘‘আমাদের পুলিশ বাহিনীর কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে চারশো থানায় পুলিশদের ভিতরে রেখে হামলা চালানো হয়েছে। থানা লুট করেছে হামলাকারীরা। অন্তঃসত্ত্বা মহিলা কনস্টেবলদেরও ছাড়েনি এই ঘাতকরা। যারা মানুষের জীবন রক্ষা করার জন্য দিন-রাত পরিশ্রম করে তাদের হত্যা করেছে এই ইউনূস সরকার। আমি দেশে ফিরব, আমাদের শহিদদের প্রতিশোধ নেব।’’ চার পুলিশ কর্মীর স্ত্রী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে জানান, কী নৃশংসভাবে তাঁদের স্বামীকে পিটিয়ে, কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। চারজনই প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তাঁরা অর্থ কষ্টের মধ্যে আছেন। তাঁদের একজন থাকেন শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) দেশের বাড়ি গোপালগঞ্জে। তিনি বলেন, ‘‘আমার থাকার জায়গা নেই।’’ এমন সময় হাসিনা তাঁর দলকে নির্দেশ দেন, নিহত পুলিশ কর্মীর পরিবারের পাশে দাঁড়াতে।

    আমার ওপর অনেকবার হামলা হয়েছে

    শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) আরও বলেন, ‘‘আমার ওপর অনেকবার হামলা হয়েছে। প্রতিবারই আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়েছে। ৫ অগাস্ট ফের আমাকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেদিনও আল্লাহ যখন বাঁচিয়েছেন তখন নিশ্চয়ই আমাকে দিয়ে বড় কোনও কাজ করাবেন।’’ আওয়ামি লিগ নেত্রীর মতে, ‘‘বঙ্গবন্ধুকে খুনের সময় আমি দেশে ছিলাম না। দেশে ফেরার অবস্থা ছিল না। পরে দেশে ফিরে আইন করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করেছি। জুলাই-অগাস্টে আন্দোলনের সময় যারা খুন-সন্ত্রাস করেছে এবারও দেশে ফিরে তাদের বিচার করব। ইউনূস ও তাঁর মিত্রদের ছাড়া হবে না। সবাইকে বিচারের কাঠগড়ায় তুলব।’’

    দেশ জঙ্গিদের হাতে চলে গিয়েছে

    এদিন ভার্চুয়াল কলে শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) বলেছেন, ‘‘উনি (ইউনূস) বলেছেন, উনি রাষ্ট্র চালাতে ব্যর্থ। ওনার কোনও অভিজ্ঞতা নেই। আমার কথা হচ্ছে, যিনি নিজেই বলছেন আমার দেশ চালানোর অভিজ্ঞতা নেই। ওনার অযোগ্যতার ফলে বিচারালয়ে হামলা, গণভবনে হামলা হয়েছে। ৬ মাসের ওপর হয়ে গেলেও দেশ জঙ্গিদের হাতে চলে গিয়েছে। এখন শুরু হয়েছে অপারেশন ডেভিল হান্ট। কে ডেভিল, কাকে খুঁজছে সে? ছেলেকে না পেলে মাকে হত্যা করছে। আজকে ওরা দেশটাকে জঙ্গির দেশে পরিণত করেছ। ইউনূসকে এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায় নিতে হবে। ওনারও বিচার হবে। আমি দেশ ফিরলে প্রত্যেককে যতটা সম্ভব সাহায্য করবে। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ চলবে না।’’

  • India-Bangladesh Relation: ‘হাসিনার মন্তব্য ব্যক্তিগত, ভারতের কোনও ভূমিকা নেই’, সাফ জানাল বিদেশমন্ত্রক

    India-Bangladesh Relation: ‘হাসিনার মন্তব্য ব্যক্তিগত, ভারতের কোনও ভূমিকা নেই’, সাফ জানাল বিদেশমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) মন্তব্য তাঁর ‘ব্যক্তিগত’। তার সঙ্গে ভারতের (India-Bangladesh Relation) কোনও সম্পর্ক নেই। শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। বাংলাদেশের সঙ্গে সদর্থক, গঠনমূলক, এবং পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্কও বজায় রাখতে চায় ভারত ৷ শুক্রবার নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে ডেকে এই কথাও জানিয়ে দিল সাউথ ব্লক ৷

    কেন তলব রাষ্ট্রদূতকে

    বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে বাংলাদেশের (India-Bangladesh Relation)  ধানমন্ডিতে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নায়ক মুজিবুর রহমানের বাড়িতে তাণ্ডব, ভাঙচুর চলে৷ পরদিন সকালে সেই ঐতিহাসিক বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ৷ এদিকে সেদিনই ভার্চুয়ালি বাংলাদেশবাসীর উদ্দেশে বক্তৃতা দেন গণঅভ্যুত্থানের জেরে দেশছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৷ ভারতও মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির ঐতিহাসিক বাড়ি ভাঙার ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে উল্লেখ করে। এর জন্য ভারতের সমালোচনা করে ইউনুস সরকার। এরপরই শুক্রবার নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নুরল ইসলামকে সমন পাঠিয়ে সাউথ ব্লকে তলব করা হয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে তলবের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিবৃতি দেয় বিদেশ মন্ত্রক।

    ভারতের অবস্থান স্পষ্ট

    বিবৃতি অনুযায়ী, বাংলাদেশের (India-Bangladesh Relation)  রাষ্ট্রদূতকে জানানো হয়েছে, ভারত একটি ইতিবাচক, গঠনমূলক সম্পর্ক চায় বাংলাদেশের সঙ্গে। সম্প্রতি দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বার বার এই বিষয়টি ব্যক্ত করা হয়েছে। তবে এটা দুঃখজনক যে, বাংলাদেশ প্রশাসনের নিয়মিত বিবৃতিতে ভারতকে নেতিবাচক ভাবে তুলে ধরা হচ্ছে। সে দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য ভারতকে দায়ী করা হচ্ছে। বাংলাদেশের এ ধরনের বিবৃতি দু’দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটাচ্ছে। হাসিনার সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে নয়াদিল্লি আরও এক বার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাসিনা (Sheikh Hasina) নিজের ক্ষমতাবলে মন্তব্য করছেন। এখানে ভারতের কোনও ভূমিকা নেই। হাসিনার মন্তব্যের সঙ্গে ভারত সরকারকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়। যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নতিতে সাহায্য করবে না। বিদেশ মন্ত্রক আরও বলেছে, ‘‘ভারত সরকার পারস্পরিক ইতিবাচক সম্পর্কের জন্য চেষ্টা করছে। আমরা আশা করি, বাংলাদেশও সেই পরিবেশ নষ্ট না-করে একই রকম ভাবে হাত বাড়িয়ে দেবে।’’

LinkedIn
Share