Tag: Muhammad Yunus

  • Sheikh Hasina: ‘‘ইউনূস ও তাঁর মিত্রদের ছাড়া হবে না’’, দেশে ফিরে বিচার করার হুঁশিয়ারি হাসিনার

    Sheikh Hasina: ‘‘ইউনূস ও তাঁর মিত্রদের ছাড়া হবে না’’, দেশে ফিরে বিচার করার হুঁশিয়ারি হাসিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) সোমবার দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘‘অপেক্ষা করুন। আমি দেশে ফিরব। ফিরে ইউনূসদের (Muhammad Yunus) অনাচার, অত্যাচারের বিচার করব।’’ হুঁশিয়ারি দিয়ে আওয়ামি লিগ নেত্রী বলেন, ‘‘ইউনূস ও তাঁর মিত্রদের ছাড়া হবে না।’’ সোমবার রাতে দিল্লি থেকে আওয়ামি লিগের সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘দায়মুক্তি’ নামের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনের সময় নিহত পুলিশ কর্মীর স্ত্রীদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।

    কী বললেন হাসিনা

    তিনি বলেন, ‘‘আমাদের পুলিশ বাহিনীর কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে চারশো থানায় পুলিশদের ভিতরে রেখে হামলা চালানো হয়েছে। থানা লুট করেছে হামলাকারীরা। অন্তঃসত্ত্বা মহিলা কনস্টেবলদেরও ছাড়েনি এই ঘাতকরা। যারা মানুষের জীবন রক্ষা করার জন্য দিন-রাত পরিশ্রম করে তাদের হত্যা করেছে এই ইউনূস সরকার। আমি দেশে ফিরব, আমাদের শহিদদের প্রতিশোধ নেব।’’ চার পুলিশ কর্মীর স্ত্রী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে জানান, কী নৃশংসভাবে তাঁদের স্বামীকে পিটিয়ে, কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। চারজনই প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তাঁরা অর্থ কষ্টের মধ্যে আছেন। তাঁদের একজন থাকেন শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) দেশের বাড়ি গোপালগঞ্জে। তিনি বলেন, ‘‘আমার থাকার জায়গা নেই।’’ এমন সময় হাসিনা তাঁর দলকে নির্দেশ দেন, নিহত পুলিশ কর্মীর পরিবারের পাশে দাঁড়াতে।

    আমার ওপর অনেকবার হামলা হয়েছে

    শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) আরও বলেন, ‘‘আমার ওপর অনেকবার হামলা হয়েছে। প্রতিবারই আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়েছে। ৫ অগাস্ট ফের আমাকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেদিনও আল্লাহ যখন বাঁচিয়েছেন তখন নিশ্চয়ই আমাকে দিয়ে বড় কোনও কাজ করাবেন।’’ আওয়ামি লিগ নেত্রীর মতে, ‘‘বঙ্গবন্ধুকে খুনের সময় আমি দেশে ছিলাম না। দেশে ফেরার অবস্থা ছিল না। পরে দেশে ফিরে আইন করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করেছি। জুলাই-অগাস্টে আন্দোলনের সময় যারা খুন-সন্ত্রাস করেছে এবারও দেশে ফিরে তাদের বিচার করব। ইউনূস ও তাঁর মিত্রদের ছাড়া হবে না। সবাইকে বিচারের কাঠগড়ায় তুলব।’’

    দেশ জঙ্গিদের হাতে চলে গিয়েছে

    এদিন ভার্চুয়াল কলে শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) বলেছেন, ‘‘উনি (ইউনূস) বলেছেন, উনি রাষ্ট্র চালাতে ব্যর্থ। ওনার কোনও অভিজ্ঞতা নেই। আমার কথা হচ্ছে, যিনি নিজেই বলছেন আমার দেশ চালানোর অভিজ্ঞতা নেই। ওনার অযোগ্যতার ফলে বিচারালয়ে হামলা, গণভবনে হামলা হয়েছে। ৬ মাসের ওপর হয়ে গেলেও দেশ জঙ্গিদের হাতে চলে গিয়েছে। এখন শুরু হয়েছে অপারেশন ডেভিল হান্ট। কে ডেভিল, কাকে খুঁজছে সে? ছেলেকে না পেলে মাকে হত্যা করছে। আজকে ওরা দেশটাকে জঙ্গির দেশে পরিণত করেছ। ইউনূসকে এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায় নিতে হবে। ওনারও বিচার হবে। আমি দেশ ফিরলে প্রত্যেককে যতটা সম্ভব সাহায্য করবে। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ চলবে না।’’

  • India-Bangladesh Relation: ‘হাসিনার মন্তব্য ব্যক্তিগত, ভারতের কোনও ভূমিকা নেই’, সাফ জানাল বিদেশমন্ত্রক

    India-Bangladesh Relation: ‘হাসিনার মন্তব্য ব্যক্তিগত, ভারতের কোনও ভূমিকা নেই’, সাফ জানাল বিদেশমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) মন্তব্য তাঁর ‘ব্যক্তিগত’। তার সঙ্গে ভারতের (India-Bangladesh Relation) কোনও সম্পর্ক নেই। শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। বাংলাদেশের সঙ্গে সদর্থক, গঠনমূলক, এবং পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্কও বজায় রাখতে চায় ভারত ৷ শুক্রবার নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে ডেকে এই কথাও জানিয়ে দিল সাউথ ব্লক ৷

    কেন তলব রাষ্ট্রদূতকে

    বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে বাংলাদেশের (India-Bangladesh Relation)  ধানমন্ডিতে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নায়ক মুজিবুর রহমানের বাড়িতে তাণ্ডব, ভাঙচুর চলে৷ পরদিন সকালে সেই ঐতিহাসিক বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ৷ এদিকে সেদিনই ভার্চুয়ালি বাংলাদেশবাসীর উদ্দেশে বক্তৃতা দেন গণঅভ্যুত্থানের জেরে দেশছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৷ ভারতও মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির ঐতিহাসিক বাড়ি ভাঙার ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে উল্লেখ করে। এর জন্য ভারতের সমালোচনা করে ইউনুস সরকার। এরপরই শুক্রবার নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নুরল ইসলামকে সমন পাঠিয়ে সাউথ ব্লকে তলব করা হয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে তলবের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিবৃতি দেয় বিদেশ মন্ত্রক।

    ভারতের অবস্থান স্পষ্ট

    বিবৃতি অনুযায়ী, বাংলাদেশের (India-Bangladesh Relation)  রাষ্ট্রদূতকে জানানো হয়েছে, ভারত একটি ইতিবাচক, গঠনমূলক সম্পর্ক চায় বাংলাদেশের সঙ্গে। সম্প্রতি দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বার বার এই বিষয়টি ব্যক্ত করা হয়েছে। তবে এটা দুঃখজনক যে, বাংলাদেশ প্রশাসনের নিয়মিত বিবৃতিতে ভারতকে নেতিবাচক ভাবে তুলে ধরা হচ্ছে। সে দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য ভারতকে দায়ী করা হচ্ছে। বাংলাদেশের এ ধরনের বিবৃতি দু’দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটাচ্ছে। হাসিনার সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে নয়াদিল্লি আরও এক বার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাসিনা (Sheikh Hasina) নিজের ক্ষমতাবলে মন্তব্য করছেন। এখানে ভারতের কোনও ভূমিকা নেই। হাসিনার মন্তব্যের সঙ্গে ভারত সরকারকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়। যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নতিতে সাহায্য করবে না। বিদেশ মন্ত্রক আরও বলেছে, ‘‘ভারত সরকার পারস্পরিক ইতিবাচক সম্পর্কের জন্য চেষ্টা করছে। আমরা আশা করি, বাংলাদেশও সেই পরিবেশ নষ্ট না-করে একই রকম ভাবে হাত বাড়িয়ে দেবে।’’

LinkedIn
Share