Tag: Murshidabad Police

  • Murshidabad violence: মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ হিংসা, ‘রাষ্ট্রপতি শাসন’ জারির সুপারিশ রাজ্যপালের

    Murshidabad violence: মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ হিংসা, ‘রাষ্ট্রপতি শাসন’ জারির সুপারিশ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদে (Murshidabad violence) ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদের চলে তাণ্ডব। ঘরছাড়া হন বহু হিন্দু পরিবার। সামশেরগঞ্জে খুন হন বাব-ছেলে। এই আবহে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল। রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি একটি বিস্তারিত রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে পাঠিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এই রিপোর্টেই রাজ্যপাল পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছেন। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) হিংসা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রাজ্যপাল স্পষ্ট ভাষায় লিখেছেন—মুর্শিদাবাদের ঘটনা (Murshidabad violence) ‘পূর্বপরিকল্পিত’ এবং ‘স্থানীয় প্রশাসনের চূড়ান্ত ব্যর্থতা’ তার পেছনে দায়ী। রাজ্যপালের অভিযোগ, ধর্মীয় পরিচয়কে কেন্দ্র করে রাজনৈতিকভাবে শোষণের চিত্র এই অশান্তিতে উঠে এসেছে।

    হিংসা বিধ্বস্ত এলাকায় অতিরিক্ত বিএসএফ ক্যাম্প করার সুপারিশ

    রাজ্যপালের পর্যবেক্ষণ (Murshidabad violence) অনুযায়ী, “রাজ্যে যদি প্রশাসনিক ব্যর্থতা এভাবেই চলতে থাকে, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত সংবিধান অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।” তাঁর আরও দাবি, ধারাবাহিক ব্যর্থতা চললে সংবিধানের ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের কথাও বিবেচনা করতে হবে কেন্দ্রকে। একইসঙ্গে রাজ্যের মুর্শিদাবাদ ও মালদা—দুই সীমান্তবর্তী জেলার অশান্ত অঞ্চলগুলিতে স্থায়ীভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের , “এই মুহূর্তে সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলে বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন।” ঠিক এই কারণে হিংসা বিধ্বস্ত এলাকায় অতিরিক্ত বিএসএফ ক্যাম্প করার কথাও তিনি সুপারিশ করেছেন।

    আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা ক্রমাগত বাড়ছে

    কেন্দ্রকে পাঠানো ওই রিপোর্টে রাজ্যপাল একাধিকবার সীমান্ত-সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন (Murshidabad violence)। তিনি উল্লেখ করেছেন, “বাংলার আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা ক্রমাগত বাড়ছে। মুর্শিদাবাদে সাম্প্রতিক হিংসার পর পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্কের বাতাবরণ কাটছে না।” এই অবস্থায় রাজ্যপাল কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, সংবিধান মেনে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার।প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই হিংসাদীর্ণ মুর্শিদাবাদে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সরজমিনে ঘুরে দেখেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা। কথা বলেন দুর্গতদের সঙ্গে। এবার সোজা রিপোর্ট পাঠালেন অমিত শাহরের দফতরে।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে খুন হওয়া বাবা-ছেলের পরিবারের ওপর সল্টলেকে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে খুন হওয়া বাবা-ছেলের পরিবারের ওপর সল্টলেকে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ অশান্তিতে জাফরাবাদে (Murshidabad) খুন হন হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাস। এবার এই খুন হওয়া বাবা-ছেলের পরিবারের উপর পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ উঠল। বিজেপির অভিযোগ, মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতার সল্টলেকে এসে পুলিশ এই পরিবারকে হেনস্থা করেছে। শুধু তাই নয়, দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকার অভিযোগও উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান রাজ্য বিজেপির নেতারা। পুলিশ এসে জানায়, ওই পরিবারকে নাকি অপহরণ করা হয়েছে। এতেই শুরু হয় বিতর্ক। নিহত পিতা-পুত্রের পরিবার পুলিশকে সাফ জানায়, তাঁরা স্বেচ্ছায় এখানে এসেছেন। এদিকে, পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ তুলে সল্টলেকের ওই আশ্রয়স্থল (Murshidabad) ছেড়েছেন নিহত বাবা-ছেলের পরিবার। জানা যাচ্ছে, বর্তমানে তাঁরা পৌঁছেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাসভবনে।

    পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়নি নিহত পিতা-পুত্রের পরিবার

    বিজেপি সূত্রে খবর, এক সপ্তাহ আগেই জাফরাবাদে (Murshidabad) খুন হওয়া বাবা-ছেলের পরিবার এসে উপস্থিত হন সল্টলেকে। সেখানেই তাঁরা থাকছিলেন এই কয়েকদিন। এরপর রবিবার সকালেই মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থেকে একদল পুলিশ আসেন, তাঁদের সঙ্গে কলকাতা পুলিশও ছিল। পুলিশের দল পৌঁছে যায় সল্টলেকের সেই আশ্রয়স্থলে। তারপর তাঁরা নিহত বাবা-ছেলের পরিবারের সঙ্গে সঙ্গে কথা বলতে চান। কিন্তু নিহতের পরিবার কোনওভাবেই তাতে রাজি হয়নি। বিজেপির অভিযোগ, এরপর পুলিশ জোর পূর্বক বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা, তরুণজ্যোতি তিওয়ারি ও সজল ঘোষ। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন অন্যান্য বিজেপির নেতারও। এরপরেই বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে প্রবল বচসা শুরু হয় পুলিশের।

    কী বলছেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ?

    নিহত পিতা-পুত্রের পরিবার যে বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন, ওই বাড়ির মালিক বলেন, “মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) বাবা-ছেলে খুন হওয়া পরিবারের সদস্যরা আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু আজ পুলিশের যে আচরণ দেখলাম, তাতে তারা তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনীকেও হার মানাবে। দরজায় লাথি মেরে ভিতরে ঢুকেছে। ওদের কাছে কোনও কাগজ নেই।” বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেন, “যে সময় খুন হয়েছিলেন সেই সময় পুলিশ আসেনি। আর এখন ১৫০ কিমি অতিক্রম করে ঠিক চলে এল? আমরা তো দেখব কোন অভিযোগ দায়ের হয়েছে।”

LinkedIn
Share