Tag: Murshidabad

Murshidabad

  • Bomb Blast: সামশেরগঞ্জে বোমা বিস্ফোরণ, হরিহরপাড়ায় উদ্ধার হল সকেট বোমা

    Bomb Blast: সামশেরগঞ্জে বোমা বিস্ফোরণ, হরিহরপাড়ায় উদ্ধার হল সকেট বোমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের এই বোমার বিবর্তনে কপালে ভাঁজ পুলিশের। আগে সুতলি বোমার রমরমা থাকলেও এখন বোমার হরেক নাম। কোথাও বল বোমা, কৌটো বোমা, সুতলি বোমা এবং সকেট বোমা। কিছুদিন আগেই মুর্শিদাবাদ জেলায় ফারাক্কাতে উদ্ধার হয়েছিল প্লাস্টিকের রঙিন বোমা, যেগুলি দেখতে অবিকল প্লাস্টিকের বলের মতো। এই বোমাগুলিতে বাচ্চাদের ক্ষতি বেশি করে। কারণ, তারা বল ভেবে মাটিতে ফেললেই বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটবে। এর আগে এই জেলায় এভাবে অনেকে জখম হয়েছে। এই বোমার ব্যবহার ভোট শুরু হওয়ার আগের থেকেই আরম্ভ হয়। মুর্শিদাবাদ জেলায় যখনই ভোট শুরু হয় তার আগে থেকেই বোমার আনাগোনা দেখা যায়। সাগরদিঘি উপনির্বাচনের আগেই স্কুলের ছাদে এবং বাগানে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল সকেট বোমা। পঞ্চায়েত ভোট শুরু হওয়ার আগে থেকেই মুর্শিদাবাদ জেলার নানা জায়গায় পাওয়া যায় সকেট বোমা এবং সুতলি বোমা।

    সামশেরগঞ্জে বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast)

    এদিন সামশেরগঞ্জ থানার তিন পাকুরিয়ার পুকুরপাড়ে পড়ে থাকা বোমা ফেটে হঠাৎ বিস্ফোরণ (Bomb Blast) হওয়ায় স্থানীয় মানুষরা আতঙ্কিত হয়ে পড়়েন। জানা যায়, বুধবার দুপুরে সামশেরগঞ্জের তিন পাকুরিয়ায় পুকুরপাড়ে হঠাৎ বোম বিস্ফোরণ ঘটে। এর ফলে ঘটনাস্থলে ভিড় জমান প্রচুর মানুষ। খবর দেওয়া হয় থানায়। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। যদিও এই বোমা বিস্ফোরণে কেউ হতাহতের এখনও খবর পাওয়া যায়নি। সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ তদন্ত করে দেখছেন কীভাবে বোমাগুলি এল। অনেকে মনে করেন ভোটের কারণে এগুলি তৈরি করে রাখা হয়েছিল। ব্যবহার না হওয়ায় মাঠে-ঘাটে পুকুর পাড়ে বোমাগুলি রেখে দেওয়া হয়।

    হরিহরপাড়ায় উদ্ধার হল বোমা

    মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানা এলাকা থেকে এর আগে প্রচুর সকেট বোমা উদ্ধার হয়েছে। এই নিয়ে মানুষের মনে তৈরি হয়েছে আতঙ্কের বাতাবরণ। পঞ্চায়েত ভোট শুরু হওয়ার আগে থেকেই মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া এবং সামসেরগঞ্জে প্রচুর বোমা উদ্ধার করে হরিহরপাড়া এবং সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। হরিহরপাড়া থানার রায়পুর অঞ্চলের সদানন্দপুর গ্রামে মাঠের মধ্যেই ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় পাঁচটি সকেট বোমা। চাষিরা সকালে মাঠে যাওয়ার পরেই তাদের মাঠের মধ্যে ওই বোমাগুলো নজরে আসে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনকে খবর দেওয়া হয়। কিছুদিন আগেই স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে মাঠে খেলতে যাওয়ার সময় এই বোমা দেখতে পান তিনজন বাচ্চা, তাঁরা একটি নিয়ে যেই মাটিতে আঘাত করে অমনি ফেটে (Bomb Blast) গিয়ে তিনজনই গুরুতর আহত হন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মিললেও এখনও বাড়ি জোটেনি গঙ্গার ভাঙনে ঘরছাড়াদের

    Murshidabad: মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মিললেও এখনও বাড়ি জোটেনি গঙ্গার ভাঙনে ঘরছাড়াদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গার ভাঙনের কবলে পড়ে ঘরছাড়া হয়েছেন সামসেরগঞ্জের (Murshidabad) বিভিন্ন এলাকার বহু মানুষ। তাঁদের মধ্যে অনেকে ঘর পেলেও যোগ্য কিছু ব্যক্তিরা এখনও পাননি ঘর। যদিও বেশ কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মুর্শিদাবাদে এসে গঙ্গার ভাঙনে তলিয়ের যাওয়া গৃহহীনদের বাড়ি করে দেওয়ার প্রতশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর প্রশাসনের কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি। এখনও গৃহহীনদের বাসস্থান বলতে কোনও স্কুল বাড়ি বা ত্রিপল টাঙিয়ে চলছে, কোনও রকমের দিনপাত। এর মধ্যে এবার শুরু হয়েছে বর্ষা। বাড়ছে গঙ্গার জলস্তর। আবারও ভয়াবহ ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এলাকাবাসী। কী বলছেন তাঁরা শুনে নেওয়া যাক-

    স্থানীয়দের বক্তব্য (Murshidabad)?

    স্থানীয় (Murshidabad) নূর মহম্মদ মল্লিক বলেন, আমাদের প্রায় ৯০ শতাংশ জমি জলের তলায় চলে গেছে। বৃষ্টির জলে নদীর জলের স্তর বৃদ্ধির ফলে ভাঙন দেখা যাচ্ছে। ৮৬ টির বেশি পরিবারের কোনও বাড়ি বর্তমানে নেই। সরকার কিছু মানুষকে জমির পাট্টা দিলেও মাত্র ১৫ জন তা পেয়েছেন। বেশিরভাগ মানুষ এখনও কিছুই পাননি। এই বর্ষাকালে আমরা কীভাবে দিনপাত করবো সেই প্রশ্নই করছেন এই গৃহহীন।

    অন্যের বাড়িতে ভাড়া থাকছেন

    সামসেরগঞ্জের দুর্গাপুরের গৃহহীন (Murshidabad) এক মহিলা বলেন যে বাড়ি নদীতে তলিয়ে গেলে কিছুদিন ভাড়ার বাড়িতে ছিলাম। বিড়ি বেঁধে কোনরকমে সংসার চলে। কিন্তু নিজে খাবো কী, আর ভাড়া দেবো কী? এই অসহায়তার জন্য এখন নদীর পাশেই এক আত্মীয়ের বাড়িতে এসে থাকছি। কিন্তু এই বাড়িটাও যে কোনও সময়ে তলিয়ে যেতে পারে। তাই সন্তানদের নিয়ে খুব কষ্ট এবং আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। তিনি আরও বলেন, প্রশাসন থেকে এখনও কোনও সহযোগিতা আমরা পাইনি।

    নদীর পাড়ে ভাঙা বাড়িতে থাকছেন, যে কোনও সময় তলিয়ে যেতে পারে

    স্থানীয় (Murshidabad) মিন্টু শেখ বলেন, আমরা দুই বছর ধরে ঘর ছাড়া। নদীর ধারে একেটি ভাঙা বাড়িতে ত্রিপল টাঙ্গিয়ে কোনও রকম ভাবে থাকছি। আমার আর্থিক অবস্থা ভীষণ খারাপ, সামর্থ নেই যে অন্য জায়গায় বাড়ি করে থাকব। রাতের অন্ধকারে ঠিক করে ঘুমাতে পারি না কারণ, কখন ভেঙে যায় বাড়ি! জানিনা। নিজের জায়গা সম্পত্তি সবই ছিল কিন্তু নদীর ভাঙনে সব তলিয়ে গেছে। এই অবস্থায় সরকার আমাদের পাশে না দাঁড়ালে আমরা কোথায় যাবো! আপাতত মাথা গোঁজার মতন একটা আশ্রয় ভীষণ জরুরী। প্রশাসন এখন কবে উদ্যোগী হন তাই এখন দেখার। 

          

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: জলঙ্গির ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ-গরু পাচারকারীদের গুলির সংঘর্ষ, মৃত এক

    Murshidabad: জলঙ্গির ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ-গরু পাচারকারীদের গুলির সংঘর্ষ, মৃত এক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জলঙ্গিতে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে গরু পাচারকারীদের সঙ্গে বোমা-গুলির লড়াইয়ে নিহত এক পাচারকারী। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তরেখার কাছেই। মৃতের নাম মমিনুল ইসলাম। জলঙ্গিতেই এই পাচারকারীর বাড়ি। এলাকায় বিএসএফ-পাচারকারীদের সংঘর্ষে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে ।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Murshidabad)?

    জলঙ্গির (Murshidabad) সীমান্ত ঘেঁষা সরকারপাড়া এলাকায় গতকাল রাতে সংঘর্ষ হয় বলে জানা গেছে। রাতের বেলায় আচমকাই গ্রামবাসীরা বোমাবাজির শব্দ শুনতে পান। তারপর খবর হয়, পাচারকারীদের সঙ্গে সীমান্ত বাহিনীর লড়াই বেধেছে। বিএসএফ সূত্রের খবরে জানা যায়, সীমান্তের কাঁটাতারকে টপকে চলছিল অবৈধভাবে গরু পাচার। প্রথমে বিএসএফ বাধা দিলেও, কোনও বক্তব্য শোনেনি পাচারকারীরা। এরপর সতর্ক করে রবার বুলেট ছোড়া হয় কিন্তু পাল্টা বিএসএফকেই লক্ষ্য করে পাচারকারীরা বোমা এবং গুলিবর্ষণ শুরু করে। কিন্তু এরপর বিএসএফের গুলির জবাবে এক পাচারকারী গুলির আঘাতে আহত হয়। উল্লেখ্য বিএসএফ খুব স্পষ্ট করে জানায় যে তাদের আত্মরক্ষার জন্যই গুলি করতে হয়েছে। এরপর আহত মমিনুলকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে জানা যায়। মৃতদেহ এরপর জলঙ্গি থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। 

    পরিবারের বক্তব্য

    পরিবারের (Murshidabad) পক্ষ থেকে জানা যায়, রাজ্যে কোনও কাজ নেই, তাই মমিনুল নিজে বাইরের রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করত। ঈদের সময় বাড়িতে এসেছেন, তারপর আর ভিন রাজ্যে যায়নি। এলাকার গরু পাচারকারীদের সঙ্গে ৫০০ টাকার বিনিময়ে কাজ করতে যেত সে। গত দু’ দিন আগে বাড়ি থেকে গেলেও, ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না তাকে। তার মূলত কাজ ছিল, গরুকে বাংলাদেশের সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া। মমিনুলের স্ত্রী মিনা বিবি জানান, গরু পাচার কাজের জন্য মূলত গরুগুলিকে দেখেশুনে নিয়ে যাওয়ার কাজ করত সে। সকালে পুলিশের কাছে খবর পাই, বিএসএফের গুলিতে মারা গিয়েছে ও।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক হতেই পিটিয়ে খুন এক মহিলাকে, তীব্র উত্তেজনা

    Murshidabad: তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক হতেই পিটিয়ে খুন এক মহিলাকে, তীব্র উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক মহিলাকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ, অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মৃত ওই মহিলার নাম খাতুন বেওয়া, বয়স আনুমানিক ৬৫ বছর। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডোমকল থানার ১০ নম্বর ঘোড়ামারা অঞ্চলের হারুরপাড়া এলাকায়। গতকাল রাতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাড়িতে গিয়ে এই মহিলাকে ব্যাপক মারধর করে এবং আজ সকালে বহরমপুরের মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান তিনি। 

    কীভাবে ঘটল খুনের ঘটনা (Murshidabad)?

    স্থানীয় (Murshidabad) সূত্রে জানা যায়, কংগ্রেসের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন খাতুন বেওয়া। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের সঙ্গে বাক্‌বিতন্ডা শুরু হয়, তারপরেই মারধর করা হয়য় ওই কংগ্রেস কর্মীকে। আজ সকাল নটা নাগাদ ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তারপর বেলা গড়াতেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এরপর অবস্থার আরও অবনতি হলে তাঁকে বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। মেডিক্যাল কলেজে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় খাতুন বেওয়ার। ওই ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছাড়ায় এলাকায়।

    স্থানীয়র বক্তব্য

    ডোমকলের স্থানীয় (Murshidabad) বাসিন্দা বিল্লারুল রহমান বলেন, মৃত মহিলা এলাকায় ভিক্ষা করে কোনও রকমে দিনপাত করতেন। তাঁর বাড়িতে তেমন কেউ নেই। এলাকায় কংগ্রেসের অন্ধ ভক্ত ছিলেন। তিনি তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মাঝে মাঝেই একা একা বিস্ফরক বক্তব্য রাখতেন। গতকাল রাত ১১ টার সময় প্রথমে কিছু তৃণমূল দুষ্কৃতীদের সঙ্গে বচসা হয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়ে আরও বিস্ফরক মন্তব্য করলে, তাঁকে ওই দুষ্কৃতীরা প্রথমে প্রচুর গালিগালাজ করে এবং এরপর চলে যায়। কিন্তু রাত ২ টোর সময় ফের ওই মহিলার বাড়িতে ঢুকে তাঁকে আক্রমণ করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতীদের মধ্যে এনামুল, যুগুল, বিশু আরও অনেকে ছিল। প্রত্যেকেই ওই মহিলাকে হাত পা চেপে গলার শ্বাসনালি টিপে ধরে ব্যাপাক মারধর করে। এই মারধরের ফলেই মহিলার মৃত্যু হয়। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন এলাকার মানুষ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: বিজেপি কর্মীদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ, অভিযুক্ত সিপিআইএম

    Murshidabad: বিজেপি কর্মীদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ, অভিযুক্ত সিপিআইএম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনদুপুরে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলার অভিযোগ উঠল সিপিআইএমের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে মু্র্শিদাবাদের ইসলামপুর (Murshidabad) থানার বনমালী ঘাট এলাকায়। ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

    কেন ঘটল ঘটনা?

    সূত্র মারফত জানা গেছে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই ওই বিজেপি (Murshidabad) কর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। ওই এলাকায় বিজেপি প্রার্থী মাত্র ১৫ ভোটে হেরে যায়। তারপর থেকেই সিপিআইএমের লোকজন লাগাতার শাসানি, হুমকি দিত বলে জানান আহত বিজেপি কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিআইএম নেতৃবৃন্দ। বিজেপি কর্মীদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলার ঘটনায় এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পৌঁছেছে। এই ঘটনায় পাঁচজন বিজেপি কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে সিপিআইএমের বিরুদ্ধে। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে তড়িঘড়ি গোধনপাড়া (Murshidabad) গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। ওই হামলার ঘটনায় রবীন্দ্র মণ্ডল নামের একজন বিজেপি কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের সারা শরীরে কোপানো হয়েছে বলে অভিযোগ। পরে গোধনপাড়া গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে আহত বিজেপি কর্মীদের বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপি কর্মী রাজদীপ মণ্ডল বলেন, গতকাল বিকেলে মাঠে নিজের মধ্যে আমরা মজা করছিলাম। সেখান থেকেই দুষ্কৃতীরা আমাদের লক্ষ্য করে। এরপর আজ দুপুর ১২ টায় হঠাৎ আক্রমণ হয় আমাদের উপর। সিপিআইএম দলের প্রতাপ, বাপি, সঞ্জিত সকলে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমার বাবা, ভাই এবং আমাকে কোপায়। খুনের উদ্দেশ্য নিয়েই তারা বাড়িতে আসে। আমার জ্যাঠার পেটে গভীর আঘাত লাগে। আমি আগে থানায় (Murshidabad) জানিয়েছিলাম। কিন্তু জানিয়ে লাভ হয় না। পুলিশ কোনও সক্রিয়তা দেখায়নি।

    সিপিআইএমের বক্তব্য

    সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক (Murshidabad) জামির মোল্লা বলেন, আক্রান্ত পরিবার বিজেপির হলেও বিষয়টা পারিবারিক। এই ঘটনায় সিপিআইএমের সঙ্গে কোনও যোগ নেই। বিষয়টিকে ইচ্ছে করে রাজনৈতিক রং দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: হরিহরপাড়ায় স্কুলের কাছেই মিলল দু’ ব্যাগ সকেট বোমা, খড়গ্রামেও উদ্ধার তাজা বোমা

    Murshidabad: হরিহরপাড়ায় স্কুলের কাছেই মিলল দু’ ব্যাগ সকেট বোমা, খড়গ্রামেও উদ্ধার তাজা বোমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটপর্ব মিটে গেলেও মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলাতে বেশ কিছু দিন ধরে বিভিন্ন জায়গাতে উদ্ধার হচ্ছে তাজা বোমা। বুধবার ফের মুর্শিদাবাদের দুটি থানা এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ বোমা উদ্ধার হল। হরিহরপাড়ায় স্কুল থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে সকেট বোমা উদ্ধার হয়েছে। কে বা কারা এত বোমা মজুত করেছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    স্কুলের কাছে কত বোমা উদ্ধার হল?

    বুধবার সকালে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) হরিহরপাড়া থানার সদানন্দপুর এলাকায় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে সদানন্দপুর প্রাইমারি স্কুল থেকে ৩০ মিটারের মধ্যে দু’ ব্যাগ ভর্তি সকেট বোমা বাজেয়াপ্ত করে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা তাড়াতে ঘটনাস্থল পাহারা দিয়ে রয়েছে কেন্দ্র বাহিনীর জওয়ান ও হরিহরপাড়া থানার পুলিশ। ইতিমধ্যে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করার জন্য বোম্ব স্কোয়াডের কর্মীদের খবর দেওয়া হয়েছে। কে বা কারা কী কারণে বোমা মজুত করে রেখেছিল তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে হরিহরপাড়া থানার পুলিশ।

    কী বললেন এলাকাবাসী?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, স্কুলের কাছে এভাবে বোমা রাখা ঠিক হয়নি। বোমা বিস্ফোরণ হলেই বড় বিপদ হওয়ার আশঙ্কা ছিল। বিশেষ করে স্কুলের পড়ুয়াদের জখম হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। অবিলম্বে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা হলে এই ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে।

    খড়গ্রামেও উদ্ধার হল প্রচুর বোমা

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার খড়গ্রাম থানার সাদল গ্রাম পঞ্চায়েতের সুন্দরপুর গ্রামে মাঠের মধ্যে থেকে দুই বালতি তাজা বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। এলাকার বাসিন্দারা প্রথমে দুই বালতি তাজা বোমা মাঠের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে, পুলিশকে খবর দেওয়া হয়, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই বালতি তাজা বোমা উদ্ধার করে। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Student: ধুলিয়ানে গঙ্গায় স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গেল দুই স্কুল ছাত্র, এলাকায় শোকের ছায়া

    Student: ধুলিয়ানে গঙ্গায় স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গেল দুই স্কুল ছাত্র, এলাকায় শোকের ছায়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভরা গঙ্গায় স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল তিন স্কুলছাত্র। মঙ্গলবার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার ধুলিয়ান কাঞ্চনতলা গঙ্গার ঘাটে। যদিও স্থানীয় লোকজনের তৎপরতায় একজন ছাত্রকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এখনও পর্যন্ত ভরা গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে দুই ছাত্র। তলিয়ে যাওয়া ছাত্রদের (Student) নাম রোহন শেখ (১২) এবং মোজাহিদ শেখ (১৩)। তাদের বাড়ি সামশেরগঞ্জের হিজলতলা গ্রামে। রোহন কাঞ্চনতলা জে ডি জে ইনস্টিটিউশনের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। আর মোজাহিদ ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। খবর পেয়ে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। খবর দেওয়া হয়েছে ডুবুরি টিমকে। ডুবুরি টিম গঙ্গায় নেমে তল্লাশি চালালেও তাদের দুজনের খোঁজ মেলেনি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য সব স্কুল খুললেও কাঞ্চনতলার এই স্কুলে পঞ্চায়েত ভোটে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় এখনও পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। কিন্তু, স্কুল বন্ধ থাকার বিষয়টি বুঝতে না পেরে এদিন তিন স্কুল ছাত্র (Student) সামশেরগঞ্জের কাঞ্চনতলা জে ডি জে ইনস্টিটিউশনে যায়। স্কুল বন্ধ দেখে তারা পাশেই গঙ্গার ধারে খেলতে যায়। গঙ্গার ধারে কিছুক্ষণ খেলা করার পর ব্যাগ রেখে তারা তিনজনই গঙ্গায় স্নান করতে নামে। তখনই তলিয়ে যায় তারা। ডুবে যাওয়ার খবর জানাজানি হতেই হইচই সৃষ্টি হয়। যদিও তৎক্ষণাৎ একজন মাঝির তৎপরতায় নাজিম শেখ নামে এক ছাত্রকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। অন্যদিকে, গঙ্গা থেকে জল তুলতে গিয়ে সোমবারই খাগড়ায় দুজন যুবক তলিয়ে যান।

    কী বললেন নিখোঁজ ছাত্রের (Student) পরিবারের লোকজন?

    নিখোঁজ ছাত্রদের (Student) পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, স্কুল বন্ধ রয়েছে তা স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও কিছু জানায়নি। আর অন্য স্কুল চালু থাকায় আমরা ভেবেছি স্কুল খুলে গিয়েছে। ওরা স্কুল বন্ধ দেখে গঙ্গার ধারে খেলা করতে গিয়ে এই বিপত্তি হয়েছে।

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    ছাত্র তলিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ধুলিয়ান পুরসভার চেয়ারম্যান ইনজামামুল ইসলাম সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। তিনি বলেন, একজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকি দুজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: রানিনগরে কংগ্রেস কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, বাড়িতে বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    TMC: রানিনগরে কংগ্রেস কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, বাড়িতে বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক কংগ্রেস কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে ওই কংগ্রেস কর্মীর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার রানিনগর থানার ডেপুটিপাড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, জখম কংগ্রেস কর্মীর নাম রেন্টু শেখ। তাঁকে রানিনগর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    কেন হামলা?

    রানিনগর এলাকায় ডেপুটিপাড়া এলাকায় এবার কংগ্রেস তথা জোট প্রার্থীর কাছে তৃণমূল হেরে যায়। এরপর থেকেই তৃণমূলের (TMC) লোকজন এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে। কংগ্রেস কর্মীদের বাড়ির সামনে তৃণমূলের লোকজন জমায়েত করত বলে অভিযোগ। সেখান থেকে মাঝে মধ্যে হুমকিও দেওয়া হত। রবিবার রাতে রেন্টু শেখ নামে কংগ্রেস কর্মীর বাড়়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয়। পরে, কংগ্রেস কর্মীকে লক্ষ্য গুলি করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে প্রথমে রানিনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে, অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে  মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেছে। গুলি ও বোমায় তাঁর একটি পা ও হাত গুরুতরভাবে জখম হয়েছে।

    কী বললেন জখম কংগ্রসে কর্মীর পরিবারের লোকজন?

    জখম কংগ্রেস কর্মী রেন্টু শেখের স্ত্রী বলেন, ভোটে এই গ্রামে জোট প্রার্থীর জয় হওয়ার পর থেকেই বাড়ির সামনে তৃণমূলের (TMC)  লোকেরা জমায়েত করত। রবিবার রাতে হঠাৎ আমাদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি ও গুলি করা হয়। তাতেই আমার স্বামী জখম হয়েছে। ওই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতাদের বক্তব্য, কংগ্রেস কর্মীরাও তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করেছে। তাতে আতর আলি শেখ নামে তৃণমূল এক কর্মী জখম হয়েছেন। তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    ফরাক্কায় বোমা উদ্ধার

    ফের মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় বিপুল পরিমাণে বোমা উদ্ধার। বাজেয়াপ্ত করা হল বোমা তৈরির মশলাও। সোমবার সকালে ফরাক্কা থানার মহেশপুর পঞ্চায়েতের শিবতলা এলাকা থেকে বোমা ও মশলা উদ্ধার করে সিআরপিএফ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: সুতিতে তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধানকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুনের চেষ্টা, এলাকায় শোরগোল

    TMC: সুতিতে তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধানকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুনের চেষ্টা, এলাকায় শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধানকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সুতি থানার  উমরাপুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, জখম তৃণমূল নেতার নাম মুজিবর রহমান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ইতিমধ্যেই জখম তৃণমূল নেতার পরিবারের লোকজন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    মজিবরসাহেব ২০১৩ সালে তৃণমূলের উমরাপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। পরে, তিনি পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। এবারও তিনি পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী ছিলেন। তবে, তিনি পরাজিত হন। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জমি সংক্রান্ত বিবাদ নিয়ে এলাকায় গণ্ডগোল হয়েছিল। তৃণমূল নেতা হিসেবে তিনি গণ্ডগোলের মীমাংসা করতে যান। সেখানে দুপক্ষকে নিয়ে সমস্যার সমাধানও করেন। পরে, তিনি বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীরা তাঁর পথ আটকায়। এরপরই ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁকে এলোপাথাড়ি কোপানো হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালেই তিনি এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) সুতি -২ ব্লকের সভাপতি লতিফুর রহমান বলেন, বাড়ি ফেরার পথেই দলীয় নেতার উপর হামলা হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে তাঁকে খুন করার জন্যই কংগ্রেস এই হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনার পিছনে দলের কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নেই। এই ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা করছি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    কী বললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    হামলার ঘটনায নিয়ে কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই তৃণমূল চারিদিকে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। আর দলের কোন্দল তো রয়েছে। বিরোধীরা হামলা চালাবে তা হতে পারে না। আসলে এই হামলার পিছনে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে। আমরা চাই, অবিলম্বে হামলাকারীদের পুলিশ গ্রেফতার করুক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দলেরই প্রাক্তন সদস্যাকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মার, বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    TMC: দলেরই প্রাক্তন সদস্যাকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মার, বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের (TMC) প্রাক্তন সদস্যাকে বিবস্ত্র করে পেটানোর অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে। ভাঙচুর করা হয়েছে বাড়ি। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বড়ঞায়। তৃণমূলের প্রাক্তন সদস্যা এবার টিকিট না পেয়ে নির্দলকে সমর্থন করেছিলেন। শনিবার তারা কংগ্রেসে যোগ দেন। আর তারপরই এদিন তৃণমূলের লোকজন হামলা চালায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    আক্রান্ত মহিলা ২০১৮ সালে এই এলাকায় তৃণমূলের (TMC)  পঞ্চায়েত সদস্যা ছিলেন। এবার দলের পক্ষ থেকে তিনি টিকিট পাননি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী দাঁড়ায়। শাসক দলের প্রাক্তন সদস্যা সহ বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা শাসক দলের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্দল প্রার্থীকে তাঁরা সমর্থন করেন। ভোটের পর নির্দল অনুগামীরা সকলেই কংগ্রেসে যোগ দেন। তৃণমূলের প্রাক্তন সদস্যাও কংগ্রেসে যোগদান করেন। আর এতেই এলাকার তৃণমূল কর্মীদের সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ে ওই প্রাক্তন সদস্যার উপর। এদিন দুপুরে তারা এলাকায় বসেছিলেন। আচমকা তৃণমূলের লোকজন দল বেঁধে এসে হামলা চালায়। তৃণমূলের প্রাক্তন সদস্যাকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক পেটানো হয়। চোখের সামনে হামলা চালাতে দেখে দুজন কংগ্রেস কর্মী বাঁচাতে যান। তৃণমূলের হামলায় তাঁরাও গুরুতর জখম হন। আক্রান্ত কংগ্রেস কর্মীর নাম মহম্মদ বজরুল কেরিম এবং গোলাম সেখ। ঘটনায় ওই মহিলা সহ তিনজন কংগ্রেস কর্মীকে গুরুতর জখম অবস্থায় প্রথমে বড়ঞা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে, চিকিৎসকেরা তাঁদের কান্দি মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন।

    কী বললেন আক্রান্ত তৃণমূলের প্রাক্তন সদস্যা?

    আক্রান্ত তৃণমূলের (TMC) প্রাক্তন সদস্যা বলেন, ২০১৮ সালে আমি তৃণমূলের সদস্যা ছিলাম। এখন আমরা নির্দলকে সমর্থন করেছিলাম। পরে, কংগ্রেসে যোগ দিয়েছি। এটাই আমাদের অপরাধ। তারজন্য তৃণমূলের লোকজন আমাকে বিবস্ত্র করে সকলের সামনে পিটিয়েছে। বাড়ি ভাঙচুর করেছে। আমাকে বাঁচাতে এসে দুজন আক্রান্ত হয়ছেন। তৃণমূল সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেতা মাহে আলম বলেন, পারিবারিক গণ্ডগোল। এরসঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। ওরা আমাদের দলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share