Tag: Murshidabad

Murshidabad

  • Murshidabad: রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষকের বাড়িতে বোমা, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    Murshidabad: রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষকের বাড়িতে বোমা, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। বোমাবাজি, গোলাগুলি, রাজনৈতিক হত্যা-সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে হয়েছে মনোনয়ন জমা, মনোনয়ন প্রত্যাহারও। আর এরপর প্রচার অভিযান শুরু হতেই দিকে দিকে শাসকের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের কর্মী, প্রার্থী, সমর্থকদের লক্ষ্য করে আক্রমণের অভিযোগ থামছে না। নির্বাচনে ভোট দেওয়ার আগেই ফের উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর।

    কী ঘটেছে (Murshidabad)?

    রানিনগরে (Murshidabad) ব্লক ২ এর মালিবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মরিচা গ্রামে রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক আতাউর রহমানের বাড়ির লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার মধ্যরাতে। রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক আতাউর রহমান পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ। সিপিএম জোট প্রার্থী-কর্মীদের সঙ্গে তাঁর অসুস্থ ছেলেকেও পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ তোলেন।

    রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষকের বক্তব্য

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, গতকাল রাতে আমার বাড়ির সামনে শাসক দলের দুষ্কৃতীরা এসে বোমাবাজি করে গেছে। এখানে মূলত সিপিএম সমর্থিত জোট এবং শাসক দল তৃণমূলের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়েছে। দিনের বেলায় বাচ্চা ছেলেদের বিষয় নিয়ে গোলমাল হয়, আর তারপরেই রাতের বেলায় এই বোমাবাজি হয়। তৃণমূলের গুণ্ডারা বোমা নিয়ে আঘাত করলে জোটের ছেলেরা আমার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। আর এরপর পুলিশকে খবর দিলে, পুলিশ উল্টো আমার বাড়িতে তল্লাশি করে জোটের কর্মীদের তুলে নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, সেই সঙ্গে আমার ছেলেকেও তুলে নিয়ে যায়। রাজ্যে স্বৈরাচারী আর দুষ্কৃতীদের শাসন চলছে বলে মন্তব্য করেন এই রাষ্ট্রপতি পুরুস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অপরদিকে শিক্ষকের অভিযোগ অস্বীকার করেন ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্ব। রানিনগর (Murshidabad) টু-এর তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি শাহ আলম সরকার বলেন, গ্রামে অশান্তির মূল কারণ হচ্ছেন শিক্ষক আতাউর রহমান। পরিকল্পনা মাফিক এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করেছেন শিক্ষক। তিনি আরও বলেন, আমাদের তিন-চারজন কর্মীকে মেরে আহত করেছেন ওই শিক্ষক। আমাদের বেশ কিছু কর্মী বহরমপুর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক সমাজের কলঙ্ক বলে মন্তব্য করেন ব্লক সভাপতি। বয়স্ক শিক্ষক মানুষ। আগে সিপিএম করতেন, কিন্তু ভালোমন্দের জ্ঞান নেই তাঁর। শিক্ষক আতাউর রহমান গ্রাম ছেড়ে অন্য কোথাও চলে গেলে গ্রামে নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হবে, এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: জেলা নেতৃত্বের অপসারণের দাবিতে বহরমপুরে জনসভা হুমায়ুনের, তৃণমূলের কোন্দল তুঙ্গে

    TMC: জেলা নেতৃত্বের অপসারণের দাবিতে বহরমপুরে জনসভা হুমায়ুনের, তৃণমূলের কোন্দল তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের টেক্সটাইল মোড়ে তৃণমূলের (TMC) ভরতপুরের বিধায়কের নেতৃত্বে বিশাল জনসভার ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে, সেটা পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীদের হারানোর জন্য কোনও প্রস্তুতি সভা নয়। এটা তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূলের লড়াই। দলের জেলা সভানেত্রী শাওনি সিংহরায় এবং দলের জেলার চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকারকে পদ থেকে অপসারণের ডাক দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েতের আগেই এই জনসভাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) বিক্ষুব্ধ বিধায়ক?

    তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে শাসক দলের ছন্নছাড়়া অবস্থা। দলের নির্দেশকে অমান্য করেই তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ভরতপুর বিধানসভার অধিকাংশ পঞ্চায়েতে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়েছেন। কয়েকদিন আগেই সালারে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিধায়ক প্রকাশ্যে নির্দল প্রার্থীদের হয়ে লড়াই করার কথা বলেছিলেন। নির্দল প্রার্থীদের জয়ী করার তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, বিধায়ক নিজের বিধানসভার চেয়ারম্যান। অথচ এই নির্বাচনে আমার কোনও গুরুত্ব নেই। তাই, দলের জেলা সভানেত্রী শাওনি সিংহরায় এবং দলের জেলার চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকারকে পদ থেকে অপসারণের ডাক দিয়ে জনসভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আহ্বায়ক হিসেবে এই জনসভার আয়োজন করছি। হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত সেখ প্রধান বক্তা। আর জলঙ্গির বিধায়ক ছাড়াও অনেকে সেই সভায় উপস্থিত থাকবেন। সেখানেই আমরা আমাদের দাবিদাওয়ার বিষয়টি আরও ভালোভাবে তুলে ধরব। জমায়েতে প্রচুর কর্মী, সমর্থকের যে ভিড় হবে তার তিনি আগাম ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভানেত্রী?

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এই ধরনের সভা নিয়ে শাসক দলের জেলা নেতৃত্ব বেশ বিড়ম্বনার মধ্যে রয়েছে। এতে দলের আখের ক্ষতি হবে বলে দলের মধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কিন্তু, এই ধরনের দল বিরোধী সভা বন্ধ করার ক্ষমতা কারও নেই জেনে দলের কর্মীরাও হতবাক। তৃণমূলের (TMC) জেলা সভানেত্রী শাওনি সিংহরায় বলেন, যে যা খুশি করতেই পারে। তাতে আমার কিছু বলার নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: বেলডাঙায় বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ, মৃত তৃণমূল কর্মী

    Bomb Blast: বেলডাঙায় বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ, মৃত তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরার খাদিকুল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূমের পর এবার মুর্শিদাবাদ। পঞ্চায়েত ভোটের আগেই শনিবার বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনা ঘটল। আর সেই বিস্ফোরণে (Bomb Blast) মৃত্যু হল এক তৃণমূল কর্মীর। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম আলিম বিশ্বাস। তার বাড়ি কাপাসডাঙায়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই মুর্শিদাবাদ জেলাজুড়ে ধারাবাহিকভাবে বোমা উদ্ধার হচ্ছে। দুদিন আগেই ভরতপুর থানার সরকারপাড়া গ্রামের জার ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। সেই জের কাটতে না কাটতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গিয়ছে, এদিন সকালে বেলডাঙার মজ্ঝমপুর নতুনপাড়া এলাকায় একটি পাটখেতে বোমা বাঁধতে গিয়েছিল ওই তৃণমূল কর্মী। সে পাটের জমিতে বোমা তৈরির সরঞ্জাম নিয়ে বোমা তৈরির কাজ করছিল বলে অভিযোগ। বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। তাতে ওই ব্যক্তি গুরুতর জখম হন। স্থানীয় মানুষরা বোমা বিস্ফোরণের আওয়াজ পেয়ে সেই পাটের খেতে গিয়ে দেখেন, ওই তৃণমূল কর্মী রক্তাক্ত অবস্থায় বসে ছিল। বেলডাঙা থানার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। জখম তৃণমূল কর্মীকে উদ্ধার করে বেলডাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

    কী বললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক সেখ শফিউজ্জামান বলেন, আর কয়েকদিনের মধ্যেই ভোট। লড়াই করার উদ্দেশ্যে বোমা বাঁধছিল তৃণমূলের ভাইয়েরা। বোমা বাঁধতে গিয়ে বোমা ফেটে (Bomb Blast) মৃত্যু হয়েছে ওই তৃণমূল কর্মীর।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল বিধায়ক হাসানুজ্জামান সেখ বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। মৃত ওই যুবক তৃণমূল কর্মী না অন্য দল করত তা জানি না। বিরোধীরা অভিযোগ করতেই পারে। এনিয়ে আমি কিছু বলছি না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ‘বিধায়ক আগুন নিয়ে খেলছেন’, হুমায়ুনকে কেন একথা বললেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী?

    TMC: ‘বিধায়ক আগুন নিয়ে খেলছেন’, হুমায়ুনকে কেন একথা বললেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভরতপুরে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে শাসক দলের ছন্নছাড়়া অবস্থা। দলের নির্দেশকে অমান্য করেই তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ভরতপুর বিধানসভার অধিকাংশ পঞ্চায়েতে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়েছেন। কয়েকদিন আগেই সালারে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিধায়ক প্রকাশ্যে নির্দল প্রার্থীদের হয়ে লড়াই করার কথা বলেছিলেন। নির্দল প্রার্থীদের জয়ী করার তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এবার দলের এই বিধায়কের বিরুদ্ধে সরব হলেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।

    তৃণমূল (TMC) বিধায়ককে নিয়ে কী বললেন মন্ত্রী?

    শুক্রবার ভরতপুর বিধানসভার একাধিক পঞ্চায়েত এলাকায় সভা করেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। দলীয় এই কর্মসূচিতে কোথাও বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন না। এই প্রসঙ্গে সালারের সোনারুন্দিতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দল বিরোধী কাজ করতে করতে বিধায়ক খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। বিধায়ক আগুন নিয়ে খেলছেন। জনগণকে দলবিরোধী কাজ করতে বাধ্য করবেন না। যদি শক্তি থাকে তৃণমূলের (TMC) পতাকা ছেড়ে, নৌকো বা বাস নিয়ে চলুন। কেউ ফুটো নৌকা পেয়েছে, কেউ পেয়েছে ভাঙা সাইকেল কেউ আবার চিহ্ন পেয়েছে ভাঙা বাস। কেউ পেয়েছে মোমবাতি, কেউ পেয়েছে টর্চ, দেখবেন আগামীদিনে ওরা কেউ থাকবে না। ভাঙা বাস যেমন রাস্তায় চলে না, ছোট নৌকাও তেমনি নদীতে চলে না। তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশ মেনে চলুন। যাঁরা নির্দল দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কোনও বিতর্ক নয়, দেখবেন জনসমর্থন আপনাদেরই থাকবে।’

    দলীয় কর্মীদের কী বার্তা দিলেন  মন্ত্রী?

    মুর্শিদাবাদের ভরতপুর-২ নম্বর ব্লকের শালু গ্রাম পঞ্চায়েতে এক কর্মী সভায় যোগদান করে তৃণমূলের (TMC) কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘কোনও রাজনৈতিক ভেদাভেদে যাবেন না। একজন মুসলমান আর একজন মুসলমানকে পেটাবেন না। মাথায় হাত বুলিয়ে পায়ে হাত দিয়ে গ্রামের লোককে বুঝিয়ে ভোট ভিক্ষা করে তৃণমূল নেত্রীর হাত শক্ত করুন। পরে, আমি কলকাতায় গিয়ে ৯০ ডিগ্রির ব্যবস্থা থেকে শুরু করে তাবিজ কবজ সবকিছুই করে দেব।’ এদিনের সভায় মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভরতপুর- ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সুমন সহ বহু তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে, কোথাও বিধায়কের দেখা মেলেনি। হুমায়ুন কবীরকে বার বার ফোন করার পরও তিনি ফোন না ধরায় তাঁর প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: তৃণমূল নেতার গোয়াল ঘরে মজুত বোমায় বিস্ফোরণ, উড়ে গেল টালির চাল

    Murshidabad: তৃণমূল নেতার গোয়াল ঘরে মজুত বোমায় বিস্ফোরণ, উড়ে গেল টালির চাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফরাক্কা ব্লকের উত্তর ইমামনগর বিডিও মোড় সংলগ্ন একটি আমবাগানে খেলতে গিয়ে বোমা ফেটে আহত বেশ কয়েকজন শিশু। অপরদিকে রানীনগরে এক তৃণমূল নেতার বাড়ির গোয়াল ঘরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বোমার আতঙ্কে গ্রাম বাংলা কতটা সুরক্ষিত? এই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।

    ফরাক্কায় কীভাবে আহত হল শিশু?

    সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ ঘটে এই দুর্ঘটনা। গুরুতর ভাবে যে শিশুরা আহত হয়, তারা হল, আরিয়ান শেখ (৮), দাউদ শেখ (১০), আসাদুল সেখ (৭), সুভান শেখ (১১), ইমরান শেখ (৯)। এরা প্রত্যেকেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। এলাকার আমবাগানে বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে এই শিশুরা আহত হয় বলে জানা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রথমে শিশুদের উদ্ধার করে এবং এরপর ফরাক্কা (Murshidabad) বেনিয়াগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। এইভাবে আমবাগানের মধ্যে বোমা পড়ে থাকায় গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছায় ফরাক্কা থানার পুলিশ। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে এই ভাবে কারা বোমাগুলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছিল, তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে বলে জানা গেছে।

    রানীনগরে বোমা বিস্ফোরণ

    এবার বিস্ফোরণ হল রানীনগর (Murshidabad) থানার নবীরমোড় এলাকায়। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী মফিজুল মোল্লার বাড়ির সামনে গোয়াল ঘরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, সোমবার দুপুরে এই বিস্ফোরণ ঘটে। গোয়াল ঘরে প্রচুর বোমা মজুত করা ছিল। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, গোয়াল ঘরের টালির চাল পর্যন্ত উড়ে গিয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

    রাজ্যের নির্বাচনকে ঘিরে মনোনয়নের সময় থেকেই ভাঙড়, ক্যানিং, মথুরাপুর, চোপড়া, খানকুল, পিংলা, নানুর, সাহেবগঞ্জ, বকচা ইত্যাদি এলাকায় প্রচুর বোমাবাজি হয়েছে। ড্রামে ড্রামে ভর্তি করা বোমা পাটক্ষেত বা আমবাগান থেকে উদ্ধার হয়েছে। ফলে নির্বাচনের দিন এই অবৈধ বোমার ব্যবহার করা হবে কিনা, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে বলে মনে করছেন মানবাধিকার কর্মীরা। রাজনৈতিক মহল বিশেষ করে বিরোধীরা এই বোমাবাজি, বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই সরব হচ্ছেন। এখন এই বোমার বোঝায় নির্বাচন কেমন কাটে, সেটাই দেখার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: “জীবনের সুরক্ষার দায়িত্ব কে নেবে?” কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে বিক্ষোভ ভোটকর্মীদের

    Murshidabad: “জীবনের সুরক্ষার দায়িত্ব কে নেবে?” কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে বিক্ষোভ ভোটকর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটকর্মীদের ট্রেনিং সেন্টারে এসে বিক্ষোভ দেখাল মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। ট্রেনিংয়ে আসা ভোটকর্মীরা বলেন, ‘কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার, আর কেউ নয় রাজকুমার’। এরপর বিশেষ চিঠিও লেখা হয় কমিশনকে।

    কেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি?

    ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল এক দফায়। উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির এক স্কুল শিক্ষক ছিলেন রাজকুমার রায়। বুথের প্রিসাইডিং অফিসার রাজকুমার রায় ভোট করতে গিয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেননি। তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ পাওয়া গিয়েছিল রেল লাইনের ধারে। তাঁর মৃত্যুকে প্রশাসন সেই সময় আত্মহত্যা বললেও সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ এই ঘটনাকে রাজনৈতিক দুষ্কৃতীদের দ্বারা বিশেষ হত্যাকাণ্ড বলেই দাবি করেছে। রাজ্যে ইতিমধ্যেই মনোনয়ন জমা থেকে পরীক্ষা পর্যন্ত ভোটের আবহে রাজনৈতিক পরিস্থিতি খুব একটা সুস্থ নয় বলে মনে করছে যৌথমঞ্চ। দিকে দিকে বোমাবাজি, রাজনৈতিক সংঘর্ষ এবং মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হচ্ছে। তাই ভোটকর্মী হিসাবে, ভোট করাতে গেলে তাঁদের জীবনের সুরক্ষার দায়িত্ব কে নেবে? এই প্রশ্নে আজ বহরমপুরে (Murshidabad) পঞ্চায়েত নির্বাচনের ট্রেনিং সেন্টারে আসা সমস্ত ভোটকর্মী কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে স্লোগান শুরু করেন। তাঁরা স্পষ্ট দাবি রাখেন, হাইকোর্টের অর্ডার অনুযায়ী প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। যদি প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না পাওয়া যায়, তাহলে আমরা ভোট নিতে যাব না। এভাবেই সোচ্চার হন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের কর্মীরা।

    সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের বক্তব্য

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষে তাপস মণ্ডল বলেন, যদি রাজ্যের প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না দেওয়া হয়, তাহলে কেউ ভোট করতে যাবেন না। প্রত্যেক ভোট কর্মীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। যৌথ মঞ্চের তরফ থেকে নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠিও দেওয়া হয়। যাতে বলা হয়, আমরা কেউ রাজকুমার হতে চাই না! আজ পর্যন্ত রাজকুমারের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত হল না। আমরা সকলেই গণতন্ত্র প্রেমী, শান্তিপূর্ণ অবাধ নির্বাচন চাই। সাংবিধানিক ভাবে আমাদের অধিকার সুরক্ষিত করতে হবে বলে চিঠিতে স্পষ্ট করে বলা হয়। হিংসা মুক্ত নির্বাচন এবং রাজ্য সরকারের কাছে তাঁদের নিরাপত্তাকে সুনিশ্চিত করার দাবি রাখা হয় ওই চিঠিতে। যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, প্রত্যেক ভোট কর্মী এই চিঠি মেল করবেন কমিশনকে। কয়েক লক্ষ মেল যাবে কমিশনের কাছে। সেই সঙ্গে আরও জানানো হয়, আজ বিভিন্ন জেলার প্রতিটি ট্রেনিং সেন্টারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ হবে। সেই সঙ্গে গণস্বাক্ষর এবং ডেপুটেশন দেওয়া হবে। পাশাপাশি কমিশন যে ভাবে বাহিনী না নেওয়ার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেছে, তাতে সমাজের কাছে ভালো বার্তা যায়নি বলে মনে করে যৌথ মঞ্চ। বাহিনী না দিলে এরপর সংগ্রামী যৌথ মঞ্চও সুপ্রিম কোর্টে যাবে বলে জানানো হয়েছে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট করলে ঘরবাড়ি জ্বালানোর হুমকি, গ্রাম জুড়ে পোস্টার!

    TMC: তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট করলে ঘরবাড়ি জ্বালানোর হুমকি, গ্রাম জুড়ে পোস্টার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে রাজ্য জুড়েই শাসক দলের বিরুদ্ধে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে। গত এক সপ্তাহের মধ্যে একাধিক রাজনৈতিক কর্মী খুন হয়েছেন। শনিবার রাতে বহরমপুরে মনোনয়ন প্রত্যাহার করার জন্য বিজেপি প্রার্থীদের বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। এবার মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার রানীনগর অঞ্চলের ভদ্রাপাড়া গ্রাম জুড়ে একটি পোস্টার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী লেখা রয়েছে পোস্টারে?

    রঘুনাথগঞ্জ থানার রানীনগর অঞ্চলের ভদ্রাপাড়া গ্রামে তৃণমূলের নামে দেওয়া পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। রবিবার সকালে বাড়ির দেওয়ালে পোস্টার দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে যদি কেউ ভোট করার চেষ্টা করিস, তাহলে তোদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেব। মা-বোনেদের তুলে নিয়ে যাব। আর তোদের গ্রামছাড়া করব। কোনও পুলিশ তোদের বাঁচাতে পারবে না।’ অন্য একটি পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘টিএমসির বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিস, সাদা কাপড় পাঠালাম, মা বোনেদের পরিয়ে দিস।’ এরকম একাধিক  বাড়িতে পোস্টারকে ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এই গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাদের এলাকায় কোনও গণ্ডগোল হয় না। কিন্তু, এই ধরনের হুমকি পোস্টার দেখে আতঙ্ক লাগছে। ভোটে ঝামেলার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা চাই, এই বিষয়ে প্রশাসন তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলা নেতা লাল্টু দাস বলেন, এই ধরনের হুমকি পোস্টার তৃণমূলই (TMC) দিতে পারে। কারণ, তারা বিরোধীদের ভয় পাচ্ছে। আমরা এই ধরনের পোস্টারের তীব্র বিরোধিতা করছি। যে বা যারা এই ধরনের হুমকি পোস্টার ওই গ্রামে দিয়েছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে এই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া পঞ্চায়েত ভোট হওয়া সম্ভব নয়। এই ধরনের হুমকি পোস্টারে তা আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েতের প্রার্থী দিবাকর দাস বলেন, আমি এদিন সকালে এই পোস্টার দেখতে পাই। আমি নিজে অবাক হয়ে যাই। এই ধরনের কাজ তৃণমূল করেনি। আসলে দলের মধ্যে প্রার্থী হতে না পেরে আমারই বিপক্ষ গোষ্ঠীর লোকজন এই কাজ করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে গুলি করে খুন, নবগ্রামে ১২ ঘণ্টা বন্‌ধের ডাক

    TMC: তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে গুলি করে খুন, নবগ্রামে ১২ ঘণ্টা বন্‌ধের ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে একের পর এক রাজনৈতিক কর্মী খুন হয়েছেন। ব্যালট পেপারের যে যুদ্ধ হতে চলেছে ৮ জুলাই, তার আগে বুলেটরাজ দেখছে বাংলা। বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন বাংলায় ৭ জন খুন হয়েছেন। মনোনয়ন শুরু হওয়ার দিন মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের ফুলচাঁদ শেখ নামে এক কংগ্রেস কর্মী খুন হয়েছিলেন। আর মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন নবগ্রামে গুলিবিদ্ধ হন এক কংগ্রেস প্রার্থীর বাবা। অন্যদিকে তৃণমূল (TMC) কর্মীকে গুলি করে খুন করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মোজাম্মেল শেখ (৪২)। তিনি হজবিবিডাঙা এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি ছিলেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল শুক্রবার ১২ ঘণ্টা বনধ ডেকেছে। শুক্রবার সকাল থেকে এলাকা থমথমে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    মনোনয়ন পর্ব শেষ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে ছেলে রমজান শেখের হয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন মাহারুল্লা শেখ। তাঁকে লক্ষ্য করে প্রথমে গুলি করা হয়। তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের কর্মীকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা গুলি করেছে বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে কংগ্রেসের পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা মোজাম্মেল সাহেব। নবগ্রাম থানার হজবিবিডাঙা গ্রামে প্রচারে গেলে তাঁকে ঘিরে ধরে এলাকার মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। শুরু হয় মারপিট। এরপরই দু রাউন্ড গুলি চলে। তৃণমূলের (TMC) এই অঞ্চল সভাপতিকে মারধর এবং গুলি করে করে দুষ্কৃতীরা, এমনটাই অভিযোগ। তড়িঘড়ি স্থানীয় বাসিন্দারা রক্তাক্ত অবস্থায় মোজাম্মেলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিনের ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকজন। হামলা চালানোর অভিযোগ  উঠেছে কংগ্রেস-সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    নবগ্রামের বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘দলীয় ওই নেতা প্রচারে বেরিয়েছিলেন। রাস্তাতে তাঁদের আটকে কংগ্রেস এবং সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই খুন করেছে। নবগ্রামে আগে কোনও রাজনৈতিক খুন দেখা যায়নি। শুক্রবার ১২ ঘণ্টা বন্‌ধ ডেকেছি।’ নবগ্রাম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ এনায়েতুল্লাহ বলেন, ‘অঞ্চল সভাপতি প্রচারে বেরিয়ে ছিলেন। তখন কংগ্রেস-সিপিএমের হার্মাদরা ওঁর উপরে হামলা চালায়। লাঠি-বাঁশ-লোহার রড-গুলি করে খুন করা হয়।’

    কী বললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে তৃণমূল (TMC) ভোট বানচাল করে দিতে চাইছে। আমাদের এক দলীয় কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। মানুষ তৃণমূলের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।

    পুলিশ-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    এই খুনের ঘটনায় জেলার পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিং বলেন, “একজনের মৃত্যু হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, পুলিশ খতিয়ে দেখছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: টিকিট না পেয়ে দলবদল, তৃণমূলের পার্টি অফিস রাতারাতি হয়ে গেল কংগ্রেসের!

    Murshidabad: টিকিট না পেয়ে দলবদল, তৃণমূলের পার্টি অফিস রাতারাতি হয়ে গেল কংগ্রেসের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েই বদলে দেওয়া হল পার্টি অফিস। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জের কোহেতপুর গ্রামের তৃণমূলের পার্টি অফিস বদলে হয়ে গেল কংগ্রেসের পার্টি অফিস। অফিস থেকে খুলে ফেলা হল পতাকা এবং ছিঁড়ে ফেলা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্লেক্স। মুছে দেওয়া হল তৃণমূল কংগ্রেসের দেওয়াল লিখন। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।

    কী হয়েছে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)?

    বুধবার সকাল পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতাপগঞ্জ (Murshidabad) অঞ্চলের যুব সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন মোহম্মদ জাহাঙ্গির শেখ। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরই দেখা যায়, চূড়ান্ত তালিকায় জাহাঙ্গিরের বদলে অন্য একজনকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। আর তাই কার্যত তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করে তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার ঘোষণা করেন মোহম্মদ জাহাঙ্গির শেখ। বৃহস্পতিবার সকালেই কোহেতপুর গ্রামে থাকা তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস থেকে তৃণমূলের পতাকা সহ যাবতীয় ফ্লেক্স সরিয়ে দেওয়া হয়। ছিঁড়ে ফেলা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেস্টুনও। মুছে দেওয়া হয় দেওয়াল লিখন এবং তৃণমূলের প্রতীক। তৃণমূলের যাবতীয় পতাকা সরিয়ে কংগ্রেসের পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দফায় দফায় স্লোগান তোলেন স্থানীয়রা। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের হয়ে বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা করার কথা ঘোষণা করেন মোহম্মদ জাহাঙ্গির শেখ।

    কী বললেন এলাকার মানুষ?

    যুব সভাপতি (Murshidabad) মোহম্মদ জাহাঙ্গির শেখ অনেক দিনের পুরনো তৃণমূল কর্মী। এলাকার এক তৃণমূল কর্মীর বক্তব্য, আমরা এই এলাকায় ২০০৯ থেকে তৃণমূল করি। এই এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী হিসাবে বাইরের ব্যক্তিদের টিকিট দেওয়া হয়েছে। এলাকার মানুষকে এলাকার কাজ করার কেন সুযোগ দেওয়া হবে না? বহিরাগত কোনও লোককে আমরা নেতা বলে মানতে পারব না। জাহাঙ্গির শেখ বলেন, এই এলাকার তৃণমূল কর্মীরা আজ পদত্যাগ করে, তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করেছে। এলাকার সমস্ত তৃণমূল অফিসকে আজ থেকে কংগ্রেসের পার্টি অফিস বলে ঘোষণা করা হয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মনোনয়ন কেন্দ্রে তৃণমূলের বিধায়ক-পত্নীকে দেখেই ‘চোর চোর’ স্লোগান

    Murshidabad: মনোনয়ন কেন্দ্রে তৃণমূলের বিধায়ক-পত্নীকে দেখেই ‘চোর চোর’ স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের প্রার্থী তালিকায় নাম নেই। অথচ বৃহস্পতিবার দেখা গেল, দলেরই সিম্বলে মনোনয়নপত্র জমা করলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার স্ত্রী টগরী সাহা। আর এর পরই বিরোধীরা ‘চোর চোর’ স্লোগানে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিধায়ক-পত্নীকে।

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) মনোনয়নপত্র জমা করতে গিয়ে কী ঘটল?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা করার আজ বৃহস্পতিবার ছিল শেষ দিন। ইতিমধ্যেই সর্বত্র মনোনয়ন জমা দেওয়াকে ঘিরে শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীরা অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে। মনোনয়নকে ঘিরে কোথাও চলেছে বোমা, আবার কোথাও চলেছে গুলি। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির টিকিটে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের স্ত্রীকে দেখা গেল মনোনয়নপত্র জমা করতে। উল্লেখ্য, এই জীবনকৃষ্ণ সাহাকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামালায় সিবিআই-ইডি গ্রেফতার করেছে। বর্তমানে তিনি জেলে রয়েছেন। তাঁর স্ত্রী পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা করে বেরিয়ে আসছিলেন। ঠিক সেই সময় ব্লক অফিসের ভিতরেই মনোনয়ন দাখিলের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা বিরোধী দলের বিজপি প্রার্থীরা বিধায়কের স্ত্রী টগরী সাহাকে দেখেই চোর চোর স্লোগান তোলেন। দীর্ঘক্ষণ ধরে বিরোধী প্রার্থীরা লাইনে দাঁড়িয়ে মনোনয়নপত্র জমা করতে পারছিলেন না। অথচ বিধায়ক-পত্নী কোনও লাইন না দিয়েই নিজের মনোনয়ন জমা করেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের। বিধায়ক-পত্নী মনোনয়ন জমা করতে এসে থেমে থাকেননি। তিনি সুযোগ পেয়ে মনোনয়ন কেন্দ্রের ভিতরেই বিরোধীদের কুকুর-ছাগলের মতো আচরণ করেন বলে অভিযোগও শোনা গেছে। আর এই নিয়ে প্রশাসনের কাছে বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগও করা হয়।

    বিজেপির অভিযোগ

    ভারতীয় জনতা পার্টির স্থানীয় বুথ সহ সভাপতি ইলিয়াস শেখ বলেন, এতকাল এই তৃণমূল বিধায়ক (Murshidabad) কেবল চুরিই করে গেলেন, প্রাপ্য সুযোগসুবিধা থেকে মানুষকে বঞ্চিত করলেন! আজ সেই বিধায়কের পত্নী পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন করলেন। আমরা সকাল থেকে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি, আমাদের সময়ের কোনও দাম নেই। অথচ একজন বিধায়কের পত্নীর জন্য সব সুবিধা প্রশাসন দিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বললেন, একজন দুর্নীতিগ্রস্ত বিধায়কের পত্নীকে মনোনয়ন জমা করতে এসে লাইনে দাঁড়াতে হল না। ব্লক অফিসের আধিকারিকরা বিরোধী দলের প্রতি অসহযোগিতা করছেন। তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে প্রশাসন, এমনটাই অভিযোগ করেন ইলিয়াস শেখ।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share