Tag: muslim

muslim

  • Mothabari Allegations: ‘‘শাঁখা-পলা পরবেন না, কালো কাপড়ে মুখ ঢাকুন’’, হিন্দুদের বলছে পুলিশ! মোথাবাড়ি যাচ্ছে মহিলা কমিশন

    Mothabari Allegations: ‘‘শাঁখা-পলা পরবেন না, কালো কাপড়ে মুখ ঢাকুন’’, হিন্দুদের বলছে পুলিশ! মোথাবাড়ি যাচ্ছে মহিলা কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু মহিলাদের এয়োতির চিহ্ন মুছে ফেলতে বলছে পুলিশ! শাঁখা-পলা পরতে বারণ করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ (Mothabari Allegations)! কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে ঘুরতে বলা হচ্ছে হিন্দু মহিলাদের! হিন্দু মহিলাদের (NCW) এমনই অভিযোগে তপ্ত মোথাবাড়ি। জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার জানান, তাঁদের কাছে এ সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। মহিলা কমিশন এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে চলেছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তুষ্টিকরণের রাজনীতির বিষবৃক্ষে এবার ফল ধরতে শুরু করেছে! ওপার বাংলায় হিন্দু নির্যাতনের রেশ আছড়ে পড়েছে এবার বাংলার মোথাবাড়িতেও। এমনই আবহে আজ, সোমবার রেড রোডে ইদের নমাজে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, “কেউ গোলমাল পাকাতে এলে মনে রাখবেন, দিদি আছে।” রাজনৈতিক মহলের মতে, দিদির এহেন মন্তব্য যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মুসলমান ভোট ব্যাংক অটুট রাখা, তা পরিষ্কার। এই মুসলমানদের ভোটের জেরেই এ রাজ্যে টানা ১৪ বছর ধরে চলছে দিদি-রাজ!

    শাঁখা-পলা খুলে ফেলার নিদান (Mothabari Allegations)

    ফেরা যাক খবরে। দিন কয়েক আগে মালদার মোথাবাড়িতে গোষ্ঠী সংঘর্ষ হয়। ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করার চেষ্টা করে প্রশাসন। গ্রেফতার করা হয় ৬১ জনকে। ইদ এবং রামনবমীর আবহে প্রমাদ গোণে প্রশাসন। বিশাল বাহিনী নামিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্ত্ব আনার চেষ্টা করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং পুলিশমন্ত্রী। তাঁর হাতেই রয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতরের রশি। এই পুলিশের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মোথাবাড়ির হিন্দু মহিলারা। তাঁদের দাবি, পুলিশ হিন্দু মহিলাদের বলছে শাঁখা-পলা খুলে কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে ঘুরতে। মহিলা মোর্চার সভানেত্রীর অভিযোগ, রাতের বেলায় লুকিয়ে থেকে অত্যাচার করা হচ্ছে, হিন্দুদের বাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হচ্ছে ঢিল। সভানেত্রীর অভিযোগ, প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।

    শুধু হিন্দুদেরই গ্রেফতার করা হচ্ছে!

    মোথাবাড়িতে (Mothabari Allegations) যে ৬১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা সবাই হিন্দু বলে অভিযোগ বিজেপির। পদ্ম শিবিরের আইনজীবী নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, এই ঘটনায় একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সেখানে অপর সম্প্রদায়ের একজনকেও গ্রেফতার করা হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “মালদার মোথাবাড়ি ঘটনা: পুলিশের নিরপেক্ষতা কোথায়? মালদার মোথাবাড়িতে সাম্প্রতিক ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করেছে যে পশ্চিমবঙ্গের বিচার ব্যবস্থা একতরফা হয়ে গিয়েছে। পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে বলে দাবি করছে, আমি সেই তালিকায় তথাকথিত দুধ দেওয়া গরুদের দেখতে ব্যর্থ। মনে হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিশেষ জাতের গরুর দুধ পান করেন, কিন্তু সাধারণ হিন্দুরা কেন তাদের আগ্রাসনের শিকার হবেন?”

    হিন্দুরা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক!

    তিনি আরও লিখেছেন, “অভিযুক্ত ব্যক্তিদের একটি তালিকা, অ্যাডভোকেট রিঙ্কি চ্যাটার্জির প্রোফাইল থেকে আমি পেয়েছি। সেখানে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যে, হিন্দু সম্প্রদায় পক্ষপাতদুষ্ট নীতির শিকার হয়েছে। যারা ফেসবুক লাইভে প্রকাশ্যে দোকান ভাঙচুর করেছে, এবং হিংসাত্মক হামলা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। কারণ তারা ক্ষমতাসীন দলের বিশেষ ভোট ব্যাংকের অন্তর্ভুক্ত। তিনি লেখেন, এই ঘটনাটি আরও একবার হাইলাইট করে যে পশ্চিমবঙ্গের আইন (NCW) প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি নিরপেক্ষতা বজায় রাখার পরিবর্তে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের (Mothabari Allegations) প্রতি অগ্রাধিকারমূলক মনোভাব নিয়ে কাজ করছে। এমনকী যখন হিন্দুদের ওপর হামলা হয়, তখন অপরাধীদের বদলে গ্রেফতার করা হচ্ছে ভুক্তভোগীদেরই। প্রশাসন কি তাহলে হিন্দুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে দেখে? এই বৈষম্যমূলক অবস্থান কি গণতান্ত্রিক ও ন্যায়সঙ্গত? আর এটাই কি পশ্চিমবঙ্গের নতুন বাস্তবতা?”

    জাতীয় মহিলা কমিশনের বক্তব্য

    একটি খবরের চ্যানেলের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, মোথাবাড়িতে পুলিশ গিয়ে হিন্দু মহিলাদের শাঁখা-পলা পরতে বারণ করছে। সেই প্রতিবেদনের ক্লিপিং সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন তরুণজ্যোতি। এরই সঙ্গে জাতীয় মহিলা কমিশনকে বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছিলেন। পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘‘এটা মারাত্মক অভিযোগ। হিন্দু মহিলারা শাখা পলা পরতে পারবেন না?’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘জাতীয় মহিলা কমিশনের উচিত এই বিষয়টা দেখা এবং ওখানে টিম পাঠিয়ে বিষয়টা নিয়ে তদন্ত করা’’ গেরুয়া শিবিরের আইনজীবী-নেতার পোস্টটি শেয়ার করে অর্চনা মজুমদার লেখেন, “জাতীয় মহিলা কমিশন মালদার মোথাবাড়ি থেকে একাধিক অভিযোগ পেয়েছে। সেই সব অভিযোগ নিয়ে সক্রিয়ভাবে পদক্ষেপ করার প্রক্রিয়া করা হচ্ছে। একটি দল ৪ এপ্রিল ঘটনাস্থলে যাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে। ন্যায়বিচার আমাদের অগ্রাধিকার (Mothabari Allegations)।”

    এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, মোথাবাড়ির হিংসার ঘটনায় রুজু হয়েছে ১৯টি মামলা। গ্রেফতার (NCW) করা হয়েছে ৬১ জনকে। এলাকায় জারি হয়েছে ১৬৩ ধারা (Mothabari Allegations)।

  • RSS: “হিন্দু ধারণা কখনওই একটি মাত্র সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়,” বললেন হোসাবলে

    RSS: “হিন্দু ধারণা কখনওই একটি মাত্র সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়,” বললেন হোসাবলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হিন্দু একটি ভৌগোলিক-সাংস্কৃতিক পরিচয়। অন্য কোনও ধর্ম গ্রহণ করলেই কারও সাংস্কৃতিক পরিচয় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় না”। কথাগুলি বললেন (Hindu) আরএসএস (RSS) নেতা দত্তাত্রেয় হোসাবলে। তিনি বলেন, “ভারতের মুসলমানরা তাঁদের ধর্মীয় অনুশীলন পরিবর্তন করলেও, হিন্দু ধারণা কখনওই একটি মাত্র সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়”।

    “হিন্দু ও মুসলমানদের একই পূর্বপুরুষ” (RSS)

    প্রসঙ্গত, আরএসএসের প্রধান মোহন ভাগবতও বলেছিলেন, হিন্দু ও মুসলমানদের একই পূর্বপুরুষ। তিনি এও বলেছিলেন, সমস্ত ভারতীয় একই ডিএনএ শেয়ার করে। তাই উপাসনার ভিত্তিতে তাদের মধ্যে পার্থক্য করা যায় না। তারও আগে ভাগবত বলেছিলেন, “হিন্দু শব্দটি আমাদের মাতৃভূমি, পূর্বপুরুষ ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের সমতুল্য এবং প্রতিটি ভারতীয় একজন হিন্দু।” হোসাবলের গলায়ও শোনা গেল প্রায় সেই একই সুর। সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের বক্তব্যকে সমর্থন করে হোসাবলে বলেন, “দেশের মানুষ বিভিন্ন জাতিতে বিভক্ত নয়”।

    ‘এটি আদতে মানব ধর্ম’

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে হোসাবলে (RSS) বলেন, “এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, ভারতের মানুষ, তাঁদের ধর্ম, ভাষা বা ঐতিহ্য নির্বিশেষে, বিভিন্ন জাতির অন্তর্গত নয়। বাবাসাহেব আম্বেডকর তো নিজেই এটি বলেছেন। হিন্দু হওয়া একটি ধর্মীয় পরিচয় নয়। এটি একটি জীবনধারা। এস রাধাকৃষ্ণন এবং ভারতের সুপ্রিম কোর্টও এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।” আরএসএসের এই নেতা বলেন, “হিন্দুদের দ্বারা পালন করা ধর্মকে সাধারণত হিন্দু ধর্ম বলা হয়।  কিন্তু এটি আদতে মানব ধর্ম। মানবিক মূল্যবোধের সার্বজনীন নীতি। হিন্দু একটি ভৌগোলিক-সাংস্কৃতিক পরিচয়। এটি কোনও সম্প্রদায়গত বা কঠোর ধর্মীয় ধারণা নয়।” তিনি বলেন, হিন্দু ধারণাটি কখনওই একটি মাত্র ঐতিহ্যে সীমাবদ্ধ নয়। কেউ অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হলে তার জাতীয় পরিচয় হারায় না (Hindu)।”

    হোসেবলে বলেন, “ভারতের মুসলমানরা তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পরিবর্তন করতে পারে। একজন বৌদ্ধ কি কালই লিঙ্গায়ত হতে পারবে না? একজন ব্রাহ্মণ, যদি তিনি চান, বৌদ্ধ হতে পারবেন না? একই পরিবারের ভাইবোন, স্বামী-স্ত্রী পৃথকভাবে শৈব ও বৈষ্ণব মত অনুসরণ করে শান্তিপূর্ণভাবে এক সঙ্গে বসবাস করেন — এর অসংখ্য উদাহরণ আছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “হিন্দু ধারণা কখনওই একটি মাত্র সম্প্রদায় বা ঐতিহ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। শুধুমাত্র অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার অর্থ সাংস্কৃতিক ও জাতীয় পরিচয় ছিন্ন করা উচিত নয় (Hindu)। এটিই সংঘের (RSS) অবস্থান।”

  • Yogi Adityanath: “১০০ মুসলিম পরিবারের মধ্যে ৫০ জন হিন্দু সুরক্ষিত কি?” প্রশ্ন যোগী আদিত্যনাথের

    Yogi Adityanath: “১০০ মুসলিম পরিবারের মধ্যে ৫০ জন হিন্দু সুরক্ষিত কি?” প্রশ্ন যোগী আদিত্যনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:উত্তরপ্রদেশে সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে নিরাপদে রয়েছেন বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। তাঁর দাবি, একশো হিন্দু পরিবারের মধ্যে একটি মুসলিম পরিবার নিরাপদ বোধ করবে, কিন্তু বিপরীতে এটা হয় না। সম্প্রতি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপরে হওয়া হামলা এবং মন্দির ভাঙার ঘটনার উদাহরণ দিয়ে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “একটা মুসলিম পরিবার ১০০ হিন্দু পরিবারের মাঝে সুরক্ষিত অনুভব করে। তাদের ধর্মাচরণের স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু ৫০ জন হিন্দু কি ১০০টি মুসলিম পরিবারের মাঝে সুরক্ষিত অনুভব করবে? না। বাংলাদেশ তার উদাহরণ। এর আগে পাকিস্তান এই উদাহরণ ছিল।”

    উত্তরপ্রদেশে সবাই সুরক্ষিত

    গত আট বছর ধরে উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় রয়েছেন যোগী (Yogi Adityanath)। সেখানে সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করলে, মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “উত্তর প্রদেশে মুসলিমরা সবথেকে সুরক্ষিত। যদি হিন্দুরা সুরক্ষিত থাকে, তবে ওরাও সুরক্ষিত থাকবে। ২০১৭ সালের আগে এখানে যদি কোনও দাঙ্গা হত, হিন্দুর দোকান পুড়ত, তবে মুসলিমদের দোকানও জ্বলত। যদি হিন্দু পরিবারের বাড়ি জ্বলত, তবে মুসলিমদের বাড়িও জ্বলত। ২০১৭ সালের পর দাঙ্গা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।” যোগীর কথায়, “১০০ হিন্দু পরিবারের মধ্যে একটি মুসলিম পরিবার থাকলে, তারা সুরক্ষিত। নিজেদের ধর্ম পালনের স্বাধীনতা থাকে তাদের। কিন্তু ১০০ মুসলিম পরিবারের মধ্যে ৫০ জন হিন্দু সুরক্ষিত কি? সুরক্ষিত নন। বাংলাদেশই উদাহরণ। এর আগে উদাহরণ ছিল পাকিস্তান”

    মন্দির-মসজিদ বিতর্ক

    সম্প্রতিই একাধিক রাজ্যে মন্দির-মসজিদ নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সেই বিষয়েও মুখ খোলেন যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। হিন্দু ধর্মীয় স্থানে মসজিদ তৈরি করা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন যে এটা ইসলামিক নীতির বিরুদ্ধে। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেন যে সম্বলে যত সম্ভব মন্দির পুনরুদ্ধার করবেন তারা। যোগী বলেন, “সম্ভলে ৬৪টি তীর্থক্ষেত্র রয়েছে। আমরা ৫৪টির খোঁজ পেয়েছি। যাই হোক না কেন, আমরা খুঁজে বের করব। গোটা বিশ্বকে দেখাব, সম্ভলে কী হয়েছে।”

  • Imam Embraces Sanatan Dharma: সনাতন ধর্মে দীক্ষা ধর্মপ্রাণ ইমামের, নিলেন বড় শপথও

    Imam Embraces Sanatan Dharma: সনাতন ধর্মে দীক্ষা ধর্মপ্রাণ ইমামের, নিলেন বড় শপথও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোজার মাসে সনাতন ধর্মে দীক্ষা নিলেন এক ধর্মপ্রাণ মুসলিম ইমাম (Imam Embraces Sanatan Dharma)। শুধু তাই নয়, সেই সঙ্গে পণ করলেন, প্রতি বছর ১০ হাজার মুসলমানকে সনাতন ধর্মে দীক্ষিত করবেন। ইমামের ‘ঘর ওয়াপসি’কে (Ghar Wapsi) ঘিরে ব্যাপক হইচই দেশে।

    ধ্যানের মাধ্যমে সান্ত্বনা খোঁজার চেষ্টা (Imam Embraces Sanatan Dharma)

    এই ইমাম এক সময় মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষের সমস্যা সমাধানে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁর সমস্ত চেষ্টা সত্ত্বেও, তিনি দেখেন, তাঁর সম্প্রদায়ের সম্মুখীন চ্যালেঞ্জগুলি অমীমাংসিত থেকে গিয়েছে। নিজের জীবনে শান্তির অভাব নিয়েও ব্যতিব্যস্ত ছিলেন তিনি। গভীর হতাশা ও অসহায়ত্ব থেকে মুক্তি পেতে তিনি ধ্যানের মাধ্যমে সান্ত্বনা খুঁজতে লাগলেন। ইমামের দাবি, ধ্যানের সময় তিনি এক ঐশ্বরিক হস্তক্ষেপ অনুভব করেন। তিনি বলেন, “ধ্যানের সময় একটি শক্তিশালী কণ্ঠ আমাকে বেদ, সনাতন ধর্মের প্রাচীন শাস্ত্র অধ্যয়ন করার নির্দেশ দেয়। সেই কণ্ঠ আমায় সনাতন ধর্মের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক শান্তি খুঁজে নেওয়ার পথ দেখিয়েছিল।”

    ইমামের সনাতন ধর্ম-প্রশস্তি

    তিনি বলেন, “এ এমন এক অভিজ্ঞতা যা আমার জীবন পরিবর্তন করেছে। এই গভীর আধ্যাত্মিক যাত্রার সময়ই আমি সনাতন ধর্মের সঙ্গে একটি অচ্ছেদ্য বন্ধন অনুভব করি। তার পরেই সনাতন ধর্ম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিই।” তিনি শপথ নিয়েছেন, এবার থেকে প্রতি বছর ১০ হাজার মুসলমানকে সনাতন ধর্মে দীক্ষিত করবেন। তিনি বলেন, “আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সনাতন ধর্মে আমি যে শান্তির খোঁজ পেয়েছি (Imam Embraces Sanatan Dharma), মানুষকে সেই একই শান্তি ও আধ্যাত্মিক জাগরণ খুঁজে পেতে সাহায্য করাই আমার জীবনের লক্ষ্য। ইমাম বলেন, “মুসলমান সম্প্রদায়ের অনেক মুসলিম পুরুষ ও নারী তাঁদের নিজস্ব ধর্মে যে ব্যবহার পেয়েছেন, তাতে তাঁরা অসন্তুষ্ট। সেই কারণেই তাঁরা বিকল্প পথ অনুসন্ধান করছেন। আমার এই ধর্ম পরিবর্তন অনেককে অনুসরণ করতে উৎসাহিত করছে।” তিনি মনে করেন, “সনাতন ধর্ম উচ্চতর আধ্যাত্মিক জ্ঞানের পথ দেখায়।” ইমাম তাঁর দীক্ষিতদের বৈদিক হোম ও পূজার জটিল প্রথার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার আশ্বাসও দেন (Imam Embraces Sanatan Dharma)।

    ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের পাশাপাশি, ইমাম তাঁর অনুসারীদের প্রকৃতির কাছাকাছি একটি জীবনযাপন করতে উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, “অনেক দীক্ষিত ব্যক্তি বড় শহরের দূষিত পরিবেশের বদলে বন-জঙ্গল ও গ্রামীণ অঞ্চলে বসবাস করতে পছন্দ করেন (Ghar Wapsi)। এই নির্মল পরিবেশে তাঁরা চাষাবাদ, আধ্যাত্মিক সাধনা ও সনাতন ধর্মের প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জীবনযাত্রার মাধ্যমে শান্তি খুঁজে পান (Imam Embraces Sanatan Dharma)।”

  • VHP Leader Arrested: বাংলাদেশে অব্যাহত হিন্দু নিপীড়ন, এবার গ্রেফতার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা

    VHP Leader Arrested: বাংলাদেশে অব্যাহত হিন্দু নিপীড়ন, এবার গ্রেফতার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) অব্যাহত হিন্দু নিপীড়ন। মাস কয়েক আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল (VHP Leader Arrested) বাংলাদেশের হিন্দু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। গত নভেম্বরে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। এখনও নিষ্পত্তি হয়নি সেই মামলার, আদালতে ঝুলে রয়েছে। এমনই আবহে ফের গ্রেফতার করা হল আরও এক হিন্দু নেতাকে। যার জেরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হিন্দুরা।

    ভিএইচপি নেতা গ্রেফতার (VHP Leader Arrested)

    ফেরা যাক খবরে। এবার রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মহাসচিব ও অশ্বিনী সেবা আশ্রমের সভাপতি কপিল কৃষ্ণ মণ্ডলকে। সূত্রের খবর, শনিবার ভোরে গ্রেফতার করা হয় কপিল কৃষ্ণকে। ইতিমধ্যেই তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়েছে। বাংলাদেশের বাগেরহাটের চিতলমারি থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাঁকে। পুলিশের অভিযোগ, হিন্দু ওই নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের প্রমাণ মিলেছে। তাঁর মোবাইলে বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে বেশ কিছু সন্দেহভাজনের বৈঠকের ছবি ও কথোপকথন মিলেছে। তার ভিত্তিতেই দায়ের হয়েছে মামলা।

    বাংলাদেশ পুলিশের বক্তব্য

    চিতলমারি থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি এসএম শাহাদাত হোসেন জানান, কপিলের বিরুদ্ধে দেশ বিরোধী নাশকতার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। তাই তাঁকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেফতার করা হয়। তিনি জানান, থানার এসআই মোহম্মদ মাহমুদ হাসান বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। ওসি বলেন, “কপিল তাঁর গ্রামের বাড়িতে বসে রাত ৩টের দিকে ৫-৬জন সহযোগীকে নিয়ে বাংলাদেশের নিরাপত্তা নষ্টের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে ভোর সাড়ে ৪টের দিকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কপিলের সহযোগীরা পালিয়ে যান। কপিলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে সন্দেহভাজন দেশি ও বিদেশি নাগরিকদের মোবাইল ফোন নম্বর, ছবি ও কথোপকথনের (VHP Leader Arrested) তথ্য প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।”

    হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদ

    গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্র বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের জেরে দেশ ছাড়েন তিনি (Bangladesh Crisis)। তার পরেই ভারতের এই পড়শি দেশে শুরু হয় হিন্দু নিধন যজ্ঞ। হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করেছিল বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। সেই সমাবেশেই ভাষণ দিয়েছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। অভিযোগ, সেই সমাবেশেই তিনি অবমাননা করেছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার। এই অভিযোগেই চট্টগ্রামের একটি থানায় হিন্দু ওই নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান। ৩১ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ-সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ফিরোজ। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই ২৫ নভেম্বর ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণকে। তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় চট্টগ্রামে।

    চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালতের বাইরে জড়ো হন বহু হিন্দু। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। ওই সংঘর্ষে খুন হন এক আইনজীবী। সেই খুনের ঘটনায় সব মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয় ২১ জন হিন্দুকে। চিন্ময় কৃষ্ণের হয়ে যাতে কোনও আইনজীবী মামলা না লড়েন, সেজন্য হুঁশিয়ারি দেয় বাংলাদেশের মুসলমান সম্প্রদায়ের একটা (VHP Leader Arrested) বড় অংশ।

    বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার

    হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। হাসিনা দেশ ছাড়তেই হিন্দুদের মন্দির থেকে শুরু করে হিন্দুদের বাড়ি ঘরে ভাঙচুর চালানো হচ্ছে। সেই সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা থেকে বিএনপি-জামাত দেখেছিল আওয়ামি লিগের ষড়যন্ত্র। তবে কয়েক মাস যাওয়ার পরেও সে দেশে বন্ধ হয়নি হিন্দুদের ওপর অত্যাচার। ধর্মের নামে চাকরি থেকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয় সংখ্যালঘুদের। অনেককে ধর্মান্তরিত করানোর অভিযোগও উঠেছে (Bangladesh Crisis)। এরই মাঝে চট্টগ্রামে হিন্দু ও বৌদ্ধদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারে সেখানে কাঠগড়ায় খোদ বাংলাদেশ সেনা। হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি ঘিরে উত্তাল হয় বাংলাদেশের পরিস্থিতি।

    এদিকে, বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে পথে নেমেছিল বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা। জুলাই বিপ্লবের ছাত্র নেতারাও সরব হয়েছিলেন ইসকনের বিরুদ্ধে। সারসিজ আলম চট্টগ্রামে ইসকন ও হিন্দুদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক ভাষণ দেন। তার প্রতিবাদে ভারতের রাস্তায়ও প্রচুর লোক নেমেছিল। বাংলাদেশি মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে স্লোগানও ওঠে (Bangladesh Crisis)। ভারত সরকারও একাধিকবার বিবৃতি জারি করে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে (VHP Leader Arrested)।

  • VHP: ছ’মাসে ৬৬ হাজার হিন্দুকে রক্ষা করেছে ভিএইচপি, দাবি সংগঠনের

    VHP: ছ’মাসে ৬৬ হাজার হিন্দুকে রক্ষা করেছে ভিএইচপি, দাবি সংগঠনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের শেষ ছ’মাসে ৬৬ হাজার হিন্দুকে রক্ষা করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)। এঁরা অন্য ধর্মের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন।

    লাভ জিহাদ (VHP)

    পরিষদের দাবি, লাভ জিহাদের (Love Jihad) হাত থেকে তারা রক্ষা করেছে ৩ হাজার তরুণীকে। শনিবার প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ নগরের সেক্টর ১৮তে তিনদিনের শিবির চলছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে এই তথ্য। লাভ জিহাদের নামে হিন্দু তরুণীদের ভিন ধর্মে ধর্মান্তরিত করার ঘটনা এ দেশে নতুন নয়। এভাবেই বহু মুসলমান ধর্মান্তরিত করেছেন হিন্দু মহিলাদের। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সক্রিয় হওয়ায় সেই হার কিছুটা কমেছে বলে অসমর্থিত সূত্রের খবর।

    ঘর ওয়াপসি

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দাবি, গত বছরের শেষ ছ’মাসে তারা ১৯ হাজার হিন্দুকে ঘরে ফিরিয়েছেন। এঁরা হিন্দু ধর্ম ছেড়ে অন্য ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিলেন। পরিষদের দাবি, এই ১৯ হাজারের ঘর ওয়াপসি সম্পন্ন হয়েছে সম্মতি, আধ্যাত্মিক এবং আইনি পরামর্শের মাধ্যমে। যাঁরা হিন্দু ধর্মে ফিরে আসতে ইচ্ছুক, তাঁদের কাছ থেকে হলফনামাও নেওয়া হয়েছে (VHP)। কেবল হিন্দু নন, গো-মাতাও রক্ষা করেছে পরিষদ। এই সময়সীমায় তারা অবৈধ কষাইখানা থেকে রক্ষা করেছে ৯৭ হাজার ৯৩৪টি গরুকে।

    গত মাসেই হিন্দুদের এই সংগঠন দাবি করেছিল, হিন্দু জন্মহার হ্রাস পাচ্ছে। তারা এও বলেছিল, প্রতিটি হিন্দু পরিবারে অন্তত তিনটি সন্তান থাকা উচিত। আয়োজিত সন্ত সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বজরংলাল বাংড়া বলেন, “হিন্দুদের কমে যাওয়া জন্মহার দেশের হিন্দু জনসংখ্যায় ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করেছে। হিন্দু সমাজের সম্মানিত সাধুরা আহ্বান জানিয়েছেন যে প্রতিটি হিন্দু পরিবারে অন্তত তিনটি সন্তানের জন্মগ্রহণ করা উচিত।” তাঁর দাবি, ভারতে হিন্দুরা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে, যেমনভাবে বাংলাদেশে পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর নিরবচ্ছিন্নভাবে নিপীড়ন (Love Jihad) চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার স্বৈরাচারী ও সীমাহীন অধিকার নিয়ন্ত্রণের জন্য ওয়াকফ বোর্ডের ওপর একটি আইন প্রণয়নের কাজ করছে (VHP)।”

  • Uttar Pradesh: সম্ভলের শাহী জামা মসজিদ জরিপের কাজে বাধা, ইট-পাথর বর্ষণ দুষ্কৃতীদের

    Uttar Pradesh: সম্ভলের শাহী জামা মসজিদ জরিপের কাজে বাধা, ইট-পাথর বর্ষণ দুষ্কৃতীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) সম্ভ্লের শাহী জামা মসজিদ জরিপ করতে গেলে ব্যাপক ভাবে পাথর বর্ষণ করল মুসলিম (Muslim) সম্প্রদায়ের একাংশ। শান্তিপূর্ণ ভাবে এই জরিপের কাজে গেলে সরকারি আধিকারিকদের উপর আচমকা হামলা করে দুষ্কৃতীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামানো হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে “সরকারি কাজে বাধা এবং সরকারি কর্মীদের ব্যাপক ভাবে আঘাত করা হয়।”

    পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে (Uttar Pradesh)

    সম্ভলে (Uttar Pradesh) মজসিদের জমি নিয়ে বিবাদ দেখা দিলে সরকার পক্ষ  সম্পূর্ণ মসজিদকে জরিপ করতে যায়। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজিপি প্রশান্ত কুমার বলেছেন, “পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। আদালতের নির্দেশে সম্বলে একটি মসজিদে সমীক্ষা চলছিল। কিন্তু স্থানীয় মুসলমান সম্প্রদায়ের বেশ কিছু দুষ্কৃতী কাজে বাধা দেয় এবং লাগাতার পাথর-ইট বর্ষণ শুরু করে। যারা এই কাজের নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের কাজ শুরু করেছে। বেশ কিছু সরকারি কর্মী ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

    মসজিদ পূর্বে মন্দির ছিল!

    এই প্রসঙ্গে সিনিয়র আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈনের দায়ের করা একটি পিটিশনে দেখা গিয়েছে এই সমীক্ষা একটি আইনি প্রক্রিয়ার অংশ ছিল। মসজিদ মূলত পূর্বে মন্দির (Uttar Pradesh) ছিল। মন্দির ভেঙে সেই জায়গায় মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। যদিও গত ১৯ নভেম্বরে স্থানীয় পুলিশ, মসজিদ (Muslim) কমিটির সহযোগে জরিপের কাজে তদারকি শুরু হয়েছিল। যদিও স্থানীয় মানুষের কাছে কোনও রকমের কাজে বাধা এবং কোনও রকম প্ররোচনা থেকে দূরে থাকার আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও রবিবার সকালে দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে। এলাকার শান্তিশৃঙ্খলাকে বিঘ্নিত করে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের (Muslim) চিহ্নিত করে ধরপাকড় শুরু করেছে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gyanvapi Mosque: ষোড়শ শতকের জ্ঞানবাপী মসজিদ ঘিরে চলা ৩১ বছরের বিতর্ক

    Gyanvapi Mosque: ষোড়শ শতকের জ্ঞানবাপী মসজিদ ঘিরে চলা ৩১ বছরের বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque) কি আদতে মন্দির? প্রায় তিন দশক ধরে চলা এই বিতর্ক এখন খবরের শিরোনামে। সম্প্রতি, শেষ হয়েছে  আদালতের নির্দেশে শুরু হওয়া বারাণসীর (Varanasi) কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (Kashi Viswanath temple) লাগোয়া এই মসজিদের ভিডিওগ্রাফি জরিপের (videography survey) কাজ। গোটা বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। 

    ১৯৯১ সালে স্থানীয় কয়েকজন পুরোহিত দাবি করেন, মসজিদ তৈরি করবেন বলে মন্দিরের কিছু অংশ ভেঙে দিয়েছিলেন ঔরঙ্গজেব। পরে মালওয়া রাজ্যের মহারানি অহল্যাবাই হোলকার মন্দির পুননির্মাণ করেন। ওই পুরোহিতরা জ্ঞানবাপী চত্বরে পুজো করার অনুমতিও চেয়েছিলেন। তাঁদের দাবি, সেখানে হিন্দু দেবতার মূর্তি রয়েছে। এর পরে বিভিন্ন সময় আদালতের দ্বারস্থ হয় হিন্দুদের কয়েকটি গোষ্ঠী। সুপ্রিম কোর্টে রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিবাদের মীমাংসা হওয়ার পর ফের হইচই হয় বিষয়টি নিয়ে। ফের হয় মামলা। তার জেরেই আদালতের নির্দেশে শুরু হয়েছিল তিনদিন ব্যাপী মসজিদে জরিপের কাজ। ইতিহাসবিদদের একাংশ ঔরঙ্গজেবের মন্দির ধ্বংসের তত্ত্ব আওড়ালেও, অন্য একটি অংশের মতে মন্দির এবং মসজিদ পাশাপাশি গড়ে উঠেছিল পাশাপাশিই। তাঁদের দাবি, মুঘল সম্রাট আকবর তাঁর দীন-ই-ইলাহি নীতি সম্পর্কে জন সচেতনতা ছড়াতে একই চত্বরে গড়ে তুলেছিলেন মন্দির এবং মসজিদ।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদের কুয়োয় মিলল ‘শিবলিঙ্গ’! এলাকা ‘সিল’ করল আদালত

    তবে লেখক অড্রি ত্রুশকে তাঁর “ঔরঙ্গজেব: দ্য ম্যান অ্যান্ড দ্য মিথ” নামক গ্রন্থে লিখেছেন,  “আমার ধারণা যে জ্ঞানবাপী মসজিদটি প্রকৃতপক্ষে ঔরঙ্গজেবের শাসনকালে নির্মিত হয়েছিল। মসজিদটি পুরানো বিশ্বনাথ মন্দিরের কাঠামোকে অন্তর্ভুক্ত করে। ঔরঙ্গজেবের নির্দেশে ধ্বংস করা হয়েছিল মন্দিরটি। মসজিদটি ঔরঙ্গজেবের আমলের, তবে আমরা জানিনা কে এটি তৈরি করেছেন। এই সব বিতর্কের (mosque-temple controversy) অবসানেই আদালতের নির্দেশে মসজিদে হয় ভিডিওগ্রাফির কাজ। অবশ্য এই ভিডিওগ্রাফির কাজ নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। প্রথমে মসজিদ চত্বরে জরিপ করা যাবে না বলে দাবি করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় মুসলমান সম্প্রদায়ের কয়েকজন। সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে দিলে নির্বিঘ্নেই শেষ হয় ভিডিওগ্রাফির কাজ।

     

LinkedIn
Share