Tag: muslim

muslim

  • Murshidabad Incident: বেছে বেছে হামলা, হিংসার আগে হিন্দুদের বাড়িগুলিতে দেওয়া হয় কালো কালির চিহ্ন!

    Murshidabad Incident: বেছে বেছে হামলা, হিংসার আগে হিন্দুদের বাড়িগুলিতে দেওয়া হয় কালো কালির চিহ্ন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইন ছুতো মাত্র। মুর্শিদাবাদে (Murshidabad Incident) হিন্দুদের বাড়িতে যে হামলা হবে, তা পূর্বপরিকল্পিত (Hindu) বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, হিংসার আবহে যাতে হিন্দু-মুসলমানের বাড়ি গুলিয়ে না যায়, তাই বেছে বেছে হিন্দুদের বাড়িগুলিতে কালো কালি দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার এই তথ্য ফাঁস করেছে এনএমএফ নিউজ নামে এক সংবাদমাধ্যম।

    হিন্দুদের বাড়িতে কালির দাগ (Murshidabad Incident)

    গ্রাউন্ড জিরোতে গিয়ে সংস্থার সাংবাদিককে বলতে শোনা যায়, ওরা (মুসলমানরা) এই চিহ্নগুলো দিয়ে রেখেছে, যাতে দাঙ্গাবাজরা জানতে পারে কোন বাড়িতে বোমা নিয়ে হামলা করতে হবে, কোন বাড়িতেই বা লাগিয়ে দিতে হবে আগুন। তিনি বলেন, ‘‘দাঙ্গা শুরুর আগে হিন্দুদের বাড়িগুলি এভাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এই এলাকার প্রতিটি হিন্দু বাড়িতে কালো কালি দিয়ে চিহ্ন দেওয়া হয়েছিল। দাঙ্গার সময় শুধুমাত্র সেই সব বাড়িকেই আক্রমণ করা হয়েছিল। বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল এবং বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’’ স্থানীয় হিন্দুদের সঙ্গে কথা বলে ওই সাংবাদিক জানতে পারেন, উন্মত্ত মুসলমান জনতা হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় ঢুকে আগে থেকে চিহ্ন দিয়ে রাখা বাড়িগুলিতে হামলা চালায়।

    তাণ্ডব, ভাঙচুর, লুটপাট

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার জুম্মার নমাজ আদায় শেষে শুরু হয় মুসলমানদের তাণ্ডব। মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন অংশে বেছে বেছে নিশানা করা হয় হিন্দুদের বসত ভিটে, দোকানদানি। বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি চালানো হয় অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাটও। প্রথমে অত্যাচার শুরু হয় সূতি ও সামশেরগঞ্জে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে জেলার বিস্তীর্ণ অংশে। জানা গিয়েছে, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের ছদ্মবেশে উন্মত্ত মুসলমান জনতা এক হিন্দু দম্পতির মিষ্টির দোকান ধ্বংস করে তাদের সমস্ত জিনিসপত্র লুট করে নেয়। দোকানের মালিক কাঁদতে কাঁদতে শুধু বললেন, “এখানে আমার একটি মিষ্টির দোকান ছিল।” আর কথা বলতে পারলেন না ওই নির্যাতিত। কেবল ইঙ্গিত করলেন ধ্বংসপ্রাপ্ত তাঁর সাধের ‘শুভ স্মৃতি হোটেল’-এর দিকে। দোকান মালিকের স্ত্রী বলেন, “ওরা দোকানের ভিতরে রাখা নগদ টাকা-সহ আমাদের সব কিছু কেড়ে নিয়েছে (Hindu)। কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। এখন আমরা কী খাব?” মুসলিমরা ‘শ্রী হরি হিন্দু হোটেল অ্যান্ড লজ’ নামের আরও একটি প্রতিষ্ঠানও ভাঙচুর করেছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই এই ক্ষয়ক্ষতির ছবি শেয়ার করেছে (Murshidabad Incident)।

    ভাঙা হয়েছে মূর্তি

    মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু মন্দিরেও হামলা হয়েছে। হয়েছে মূর্তি ভাঙাও। সংবাদ মাধ্যমের শেয়ার করা একটি ভিডিওতে স্থানীয় সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের খলিলুর রহমান প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন, জঙ্গিপুরে একটি মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ, সংখ্যালঘু-অধ্যুষিত জেলায় হিন্দু পরিবারগুলির একাধিক বাড়িকে টার্গেট করা হয় এবং দোকানে হামলা চালানো হয়। বিক্ষোভকারীরা হিংসার মধ্যে পড়ে যাওয়া একটি অ্যাম্বুলেন্সকেও রেহাই দেয়নি। তাতে আগুন লাগিয়ে দেয়। অ্যাম্বুলেন্সটিতে আগুন লাগানোর আগে চালককে নিষ্ঠুরভাবে মারধর করা হয়। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “মুসলিমরা একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং চালককে আক্রমণ করে।”

    আক্রমণকারীরা স্থানীয় মুসলিম!

    ওই প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘‘আমরা ভয়ে ঘরের ভিতরে বসেছিলাম। আমি আমার বাবা-মা, স্ত্রী ও শিশুদের বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছিলাম।’’ তিনি বলেন, “আক্রমণকারীরা স্থানীয় মুসলিম, বাইরের কেউ নয়।” সম্প্রতি অনলাইনে প্রকাশিত একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, এক আক্রমণকারী একটি হিন্দু (Hindu) পরিবারের গাড়ি ভাঙচুর করছে। মুসলমানদের এই হিংসার শিকার হয়েছিলেন আরও এক হিন্দু। তিনি বলেন, “ওরা আমার বাইক ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। আমাদের জিনিসপত্র লুট করে নিয়েছে এবং দোকানে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, ‘‘ওই রাতে আমি ঘুমোতে পারিনি। ভয়ে সবাই জেগে ছিলাম। হিংসা চলাকালীন এখানে কোনও পুলিশ আসেনি। প্রাণ বাঁচাতে কয়েকজন পুলিশ কর্মীকেও দৌড়তে দেখেছি (Murshidabad Incident)।”

    ‘‘মেয়েটার কিছু হয়ে গেলে কী করতাম?’’

    হিন্দু ব্যবসায়ী অমর ভগতের স্ত্রী মঞ্জু ভগত সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, ‘‘ওরা (মুসলিম জনতা) সামনের গেট দিয়ে আমাদের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। ব্যর্থ হয়ে পিছনের গেট দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে। ওরা আমাদের বাইক ভেভেছে, বাড়ি ভাঙচুর করেছে, চেয়ার, গদি, টিভি থেকে শুরু করে দামি দামি গৃহস্থালির জিনিসপত্র সব লুটে নিয়ে গিয়েছে (Hindu)।’’ তিনি আরও বলেন, “আমরা ছাদে লুকিয়ে ছিলাম। মনে মনে শুধুই ভগবানকে ডেকে গিয়েছি। লোকগুলো যাতে দ্রুত আমাদের বাড়ি ছেড়ে চলে যায়, তাই। ওই সময় আমার মেয়েটার কিছু হয়ে গেলে আমি কী করতাম?” শুক্রবার শুরু হওয়া হিংসার এই ঘটনা ঘটতে থাকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত। ওই রাতেই ভিটে ছেড়ে মালদায় গিয়ে আশ্রয় নেন হাজার হাজার হিন্দু (Murshidabad Incident)।

  • Waqf Amendment Act 2025: ‘হিংসার ঘটনা উদ্বেগজনক’, ওয়াকফ আইন শুনানি প্রসঙ্গে পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির

    Waqf Amendment Act 2025: ‘হিংসার ঘটনা উদ্বেগজনক’, ওয়াকফ আইন শুনানি প্রসঙ্গে পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইন (Waqf Amendment Act 2025) নিয়ে অশান্তির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। বুধবার তাঁর বেঞ্চেই হয়েছে এই আইন সংক্রান্ত মামলার শুনানি। সেই সময়ই ওয়াকফ আইন সংশোধনকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদী বিক্ষোভে অশান্তির প্রসঙ্গ ওঠে। দেশের নানা প্রান্তেই এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছে, একাধিক রাজ্যে অশান্তিও হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে অশান্তি হয়েছে মুর্শিদাবাদে। এদিন শুনানি চলাকালীন সে বিষয়ে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবীরা। তখনই উদ্বেগ প্রকাশ করেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি। এই ধরনের ঘটনাগুলিকে তিনি উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেন।

    প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ (Waqf Amendment Act 2025)

    ওয়াকফ আইকে ঘিরে অশান্তির প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। এই ধরনের হিংসা বা অশান্তির ঘটনা বাঞ্ছনীয় নয়। এমন ঘটনা উদ্বেগজনক।” পরবর্তী শুনানিতে অশান্তির প্রসঙ্গ শুনবেন বলেও জানান প্রধান বিচারপতি। প্রসঙ্গত, ওয়াকফ আইন সংক্রান্ত এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বৃহস্পতিবারই। সংশোধিত ওয়াকফ আইন কার্যকর করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে বেশ কয়েকটি পিটিশন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। বুধবার সব মামলাকে এক সঙ্গে জুড়ে শুরু হয় শুনানি। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চে চলছে এই মামলার শুনানি। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথন। এদিন এ সংক্রান্ত শুনানির পর নয়া আইন নিয়ে অন্তর্বর্তী কোনও স্থগিতাদেশ জারি করেনি সুপ্রিম কোর্ট।

    আদালতের অন্তর্বর্তী প্রস্তাব

    তবে এদিন, (Waqf Amendment Act 2025) আদালত তিনটি অন্তর্বর্তী প্রস্তাব রাখে। এগুলি হল, আদালতে যদি কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ বলে চিহ্নিত হয়ে থাকে, সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে শুনানি চলাকালীন কোনও মতেই সেটিতে রদবদল ঘটানো যাবে না। কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ না কি সরকারি সম্পত্তি, জেলাশাসকের নির্দেশে তদন্ত চলাকালীন সেই সম্পত্তিকে ওয়াকফ বলে গণ্য করা হবে না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে আইনে। কিন্তু এখনই সেই নির্দেশ কার্যকর হবে না বলে জানিয়েছে আদালত। ওয়াকফ বোর্ড ও কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কমিটির সব সদস্যকে মুসলিম হতে হবে। একমাত্র ব্যতিক্রম সরকারি আধিকারিক কিংবা কোনও পক্ষের প্রতিনিধি হওয়ার দরুণ যাঁরা আপনাআপনিই (Supreme Court) বোর্ডের সদস্যপদ পান, তাঁদের ক্ষেত্রে ধর্ম পরিচয় বাধ্যতামূলক নয় (Waqf Amendment Act 2025)।

  • Murshidabad Unrest: মুর্শিদাবাদকাণ্ডের নেপথ্যে বাংলাদেশিদের হাত! চাঞ্চল্যকর তথ্য কেন্দ্রের রিপোর্টে

    Murshidabad Unrest: মুর্শিদাবাদকাণ্ডের নেপথ্যে বাংলাদেশিদের হাত! চাঞ্চল্যকর তথ্য কেন্দ্রের রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে অশান্তির আগুনে জ্বলছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad Unrest) বিস্তীর্ণ অংশ। এই হিংসার নেপথ্যে রয়েছে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। বিস্ফোরক এই তথ্য উঠে এল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রাথমিক তদন্তে। সূত্রের খবর, ওই রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, হিংসা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি বাংলার পুলিশ। যদিও সরকারিভাবে এই রিপোর্ট নিয়ে কেন্দ্রের তরফে কিছু বলা হয়নি।

    উসকানিমূলক বক্তব্য (Murshidabad Unrest)

    এর আগে ৯ এপ্রিল সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গিয়েছিল, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আইন বিরোধী সমাবেশে বেশ কিছু উসকানিমূলক বক্তব্য রাখা হয়। তার কিছু ভিডিও এসে পৌঁছায় ওই সংবাদ মাধ্যমের কাছে। জঙ্গিপুরের পিডব্লুডি মাঠে এই সমাবেশ হয়েছিল। আয়োজক ছিল ইমাম মোয়াজ্জিন অ্যাসোসিয়েশন। তাকে সমর্থন করেছিল অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অফ ডেমোক্রেটিক রাইটস এবং সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্ট অফ ইন্ডিয়া-সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন।

    এসডিপিআইয়ের জড়িত থাকার ইঙ্গিত

    সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তদন্তকারীরা বেশ কিছু তথ্য হাতে পেয়েছেন। তাতে মুর্শিদাবাদের হিংসায় এসডিপিআইয়ের জড়িত থাকার ইঙ্গিত মিলেছে। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, এসডিপিআইয়ের সদস্যরা গত বেশ কয়েকদিন ধরে ওয়াকফের নামে এলাকার মুসলিম যুবকদের উসকানি দিচ্ছিল। এসডিপিআইয়ের সদস্যরা প্রত্যন্ত এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে যুবক ও কিশোরদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে বলছিলেন। মুসলিম সম্প্রদায়ের যুবক ও কিশোরদের বলা হয় যে, সরকার ওয়াকফের নামে মুসলমানদের কাছ থেকে সব কিছু কেড়ে নেবে। ফলে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করতে হবে। শনিবার মুর্শিদাবাদের এক হাসপাতালে মৃত্যু হয় ইজাজ আহমেদের। বিক্ষোভ চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হন তিনি। তাঁর পরিবারেরও দাবি, মুর্শিদাবাদে উসকানিমূলক প্রচার চালাচ্ছে এসডিপিআই।

    পিএফআইয়ের প্রভাব!

    পুলিশের মতে, এক সময় পশ্চিমবাংলায় সিমির ঘাঁটি ছিল এই মুর্শিদাবাদই। সিমির যোগ ছিল জঙ্গি সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সঙ্গে। সিমির লোকজন অবশ্য পরে কট্টরপন্থী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ায় যোগ দেয়। তার পর বদলে যায় মুর্শিদাবাদের ছবি। বস্তুত, পিএফআইয়ের ঘাঁটিতে পরণিত হয় মুর্শিদাবাদ। ২০২২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ইউএপিএর অধীনে পাঁচ বছরের জন্য পিএফআইকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সূত্রের খবর, এই সিমি ও পিএফআইয়ের এই লোকজনও এসডিপিআইয়ের সঙ্গে জড়িত। মুর্শিদাবাদে এসডিপিআই বেশ শক্তিশালী। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, স্থানীয় নেতাদের কাছ থেকে দুস্কৃতীরা প্রাথমিকভাবে সহায়তা পেয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তারা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (MHA) পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Unrest) ও অন্যান্য সংবেদনশীল জেলার কার্যকলাপের ওপর কড়া নজর রাখছে।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের বক্তব্য

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব গোবিন্দ মোহন ১২ এপ্রিল রাজ্যের মুখ্যসচিব ও পুলিশের ডিজির সঙ্গে কথা বলেন। সেই সময় সম্ভাব্য সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়। তিনি রাজ্য প্রশাসনকে অন্যান্য সংবেদনশীল জেলাগুলোয়ও কঠোর নজরদারি বজায় রাখার এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শও দেন। তার পর থেকে তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব ও পুলিশের ডিজির সঙ্গে নিরবচ্ছিন্নভাবে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। এছাড়াও, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মুর্শিদাবাদে বিএসএফের প্রায় ন’কোম্পানি, অর্থাৎ কমপক্ষে ৯০০ জন সদস্য মোতায়েন করেছে। এই ন’টি কোম্পানির মধ্যে ৩০০ বিএসএফ সদস্য স্থানীয়ভাবে উপস্থিত ছিলেন। রাজ্য সরকারের অনুরোধে পরে অতিরিক্ত কোম্পানিগুলিও পাঠানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপি আগেই জানিয়েছিলেন, মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ, তবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। ডিজিপি আরও উল্লেখ করেন, স্থানীয়ভাবে মোতায়েন থাকা বিএসএফের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে এবং এ পর্যন্ত ১৫০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    উত্তেজনা অব্যাহত

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে মুর্শিদাবাদের মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকায় ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভের সময় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। এই বিক্ষোভের জেরে মালদা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলি জেলায় অগ্নিসংযোগ, পাথর ছোড়া এবং সড়ক অবরোধের মতো ঘটনাও ঘটে। আধিকারিকদের বক্তব্য, হিংসাকবলিত এলাকাগুলিতে উত্তেজনা অব্যাহত থাকলেও, নতুন করে কোনও ঘটনা ঘটেনি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মুর্শিদাবাদ জেলায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা (Murshidabad Unrest)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মুর্শিদাবাদের তিনটি সীমান্তবর্তী এলাকায় সাম্প্রতিক হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং সতর্কতামূলকভাবে অতিরিক্ত আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছে। প্রাথমিক রিপোর্টে ইঙ্গিত মিলেছে, স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের সহায়তায় বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের জড়িত থাকার বিষয়টি, পরে যাদের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায় ঘাসফুল নেতৃত্ব।

    এদিকে, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারের কাছ থেকে জীবন ও সম্পত্তি রক্ষায় ব্যর্থতা, রেলওয়ে সম্পত্তিতে হামলা এবং হিংসার প্রাথমিক পর্যায়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চেয়েছে (Murshidabad Unrest)।

  • Anti Waqf Protests: ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতেই কি বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে জ্বালানো হয়েছে অশান্তির আগুন?

    Anti Waqf Protests: ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতেই কি বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে জ্বালানো হয়েছে অশান্তির আগুন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে (Anti Waqf Protests) কার্যত জ্বলছে বাংলার (West Bengal) একটা অংশ। বিশেষ করে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে হিন্দুদের ওপর বেনজির আক্রমণ চালানো হচ্ছে। অভিযোগ, এতে ইন্ধন জুগিয়েছে রাজ্যের এক মন্ত্রীর বক্তব্য এবং খোদ তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয়! তার জেরেই অশান্ত হয়ে উঠেছে মুসলিম অধ্যুষিত ওই এলাকাগুলি। অথচ, মুসলিম অধ্যুষিত কেরল, তেলঙ্গানা কিংবা বিহারের বিভিন্ন অংশে কিন্তু এভাবে প্রতিবাদের নামে আগুন জ্বালানো হয়নি। বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি মিটিং-মিছিল হয়েছে, কিন্তু এভাবে বাংলাদেশি কায়দায় হিন্দুদের খুন করা হয়নি, ঘরছাড়াও করা হয়নি। রাজনৈতিক মহলের মতে, এভাবে হিংসার আগুন ছড়িয়ে দিয়ে জনতা-জনার্দনের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। নিয়োগ কেলেঙ্কারির কারণে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন এ রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার মানুষ। ওই একই কারণে চাকরি খোয়াতে পারেন আরও প্রায় ৬০ হাজার জন। আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে যখন বিরোধীরা হাতে অস্ত্র পেয়ে গেলেন, চাকরিহারারা যখন পথে নামলেন তখনই ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে রাজ্যের একাংশে জ্বালিয়ে দেওয়া হল অশান্তির আগুন! ব্যস, জনতার দৃষ্টি গেল ঘুরে! ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এটা চলতেই থাকবে। কারণ ক্ষমতার চিটে গুড়ে যে পা আটকে গিয়েছে শাসকের!

    হিংসায় মদত শাসকের! (Anti Waqf Protests)

    ফেরা যাক খবরে। জানা গিয়েছে, (সু)পরিকল্পিত এই হিংসায় মদত জুগিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ। রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী দিন কয়েক আগে বলেছিলেন, “জেলাগুলি ফিক্স করার পর মুসলিমরা কলকাতার প্রধান সড়কগুলি অবরোধ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঘেরাও করবে।” জমিয়ত উলেমা-ই হিন্দের রাজ্য সভাপতি সিদ্দিকুল্লার এই বক্তব্যের পরেই হিন্দুদের ওপর হিংসার ঘটনা শুরু হয় বলে অভিযোগ। অন্যান্য কয়েকজন মুসলিম ধর্মীয় নেতাও উস্কানিমূলক বক্তব্য পেশ করেন, যা মুসলিমদের হিন্দুদের ওপর নৃশংস হামলা চালাতে উদ্বুদ্ধ করে। অভিযোগ, তার পরেই জ্বালিয়ে দেওয়া হয় হিন্দুদের বাড়িঘর, মন্দির-বিগ্রহ। হিংসা কবলিত এলাকাগুলির স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, হিন্দু মহিলাদের ওপর যৌন হয়রানির ঘটনাও ঘটেছে। প্রাণ ভয়ে রাতের অন্ধকারে জেলা ছেড়ে ভিন জেলায় আশ্রয় নিয়েছেন হিন্দুরা। আক্ষরিক অর্থেই, নিজভূমে পরবাসী হয়েছেন তাঁরা।

    ইসলামিস্টদের তাণ্ডব

    মুর্শিদাবাদের শামসেরগঞ্জের জাফরাবাদে শুক্রবার সন্ধে (West Bengal) থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত তাণ্ডব চালায় ইসলামিস্টরা। কুপিয়ে খুন করা হয় (Anti Waqf Protests) প্রতিমাশিল্পী হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর পুত্র চন্দনকে। মুর্শিদাবাদেরই ধুলিয়ানেও ছড়িয়ে পড়ে হিংসার আগুন। শতাধিক হিন্দু বাড়ি ও দোকান আক্রমণ ও ধ্বংস করা হয়। শতাধিক হিন্দু পরিবার নৌকায় করে গঙ্গা পার হয়ে পড়শি জেলা মালদায় আশ্রয় নেয়। রাজ্যের অন্যান্য অংশেও হিন্দুদের ওপর হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে। পূর্বপরিকল্পিত ও সমন্বিতভাবে, ইসলামিস্ট জনতা অন্যান্য কিছু জেলার মুসলিম-অধ্যুষিত অঞ্চলেও হিন্দুদের লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়েছে বলে খবর। পুলিশ প্রথমে দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিল। তারপর বোধহয় ওপরতলার নির্দেশে নড়েচড়ে বসে। এর পর ইসলামিস্টরা রেয়াত করেনি পুলিশকেও। পুলিশ কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়, তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। প্রাণ বাঁচাতে কয়েকজন পুলিশকর্মীকে মসজিদেও আশ্রয় নিতে হয়েছে বলে খবর।

    কাঠগড়ায় তোষণের রাজনীতি

    যে পুলিশ সুপরিকল্পিত হিংসা হচ্ছে দেখেও, ঢাল-তরোয়াল নিয়ে বসেছিল, সেই পুলিশই চাকরিহারাদের মিছিলে লাঠি চালিয়েছিল। সদ্য চাকরি খোয়ানো এক শিক্ষককে লাথিও মারতে দেখা গিয়েছে এক পুলিশ কর্মীকে (West Bengal)। এর পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ধেয়ে আসে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুষ্টিকরণের রাজনীতির বিরুদ্ধে একের পর এক ট্যুইট-বাণ। নেটিজেনদের সিংহভাগের বক্তব্যের নির্যাস, এই সব ঘটনার জন্য দায়ী মমতার তোষণমূলক রাজনীতি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তো বলেই দিয়েছেন, “এই শক্তি প্রদর্শন তাদের ধর্মীয় পরিচয়ের জোরদারকরণ এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদের ঘোষণা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুসলিম তোষণের ফলে মুসলিমরা আইনের কব্জা থেকে রেহাই পেয়েছে বলে মনে করছে (Anti Waqf Protests), আর হিন্দুরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।”

    কী বলছেন দিলীপ ঘোষ

    বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আবার বলেন, “মুসলিম গোষ্ঠীর হিংসা, হিন্দু ও পুলিশের ওপর তাদের হামলা, এবং মুসলিমদের দ্বারা উস্কানি মূলক স্লোগান—এই সবকিছু পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশের থেকে আলাদা করা কঠিন করে তুলেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মুসলিম আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা উৎসাহিত হয়েছে, যার ফলস্বরূপ হিন্দুরা বাংলায় নিরাপদ নয়। এটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলাগুলি থেকে হিন্দুদের তাড়ানোর পরিকল্পনারই অংশ।” তিনি আরও বলেন, “গত সপ্তাহান্তে মুসলিমদের দ্বারা হিন্দুদের ওপর হামলা হিন্দুদের জন্য একটি সতর্কবার্তা। যদি বাংলার হিন্দুরা ঐক্যবদ্ধ না হয়, তবে যে কোনও দিন বাংলা বাংলাদেশের অংশ হয়ে যাবে। সেই দিন আর খুব বেশি দূরে নেই। তখন হিন্দুদের আর বাংলায় কোনও জায়গাই থাকবে না (Anti Waqf Protests)।”

    রাহুল সিনহার বক্তব্য

    বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়। মুসলিমরা দায়মুক্তি নিয়ে হিন্দুদের আক্রমণ ও হত্যা করছে। তারা পুলিশকে আক্রমণ করছে, থানা ও যানবাহনে আগুন দিচ্ছে, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করছে এবং আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুসলিম ভোটারদের হারাতে চান না বলে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর ফলে মুসলিম সমাজের অপরাধী ও মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলি সাহস পেয়েছে (West Bengal)।”

    দিলীপের কটাক্ষ

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি “শান্তি বজায় রাখার” নরম আবেদনকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু ও পুলিশের ওপর হামলা, সম্পত্তি ধ্বংস এবং দাঙ্গা চালানো মুসলিমদের বিরুদ্ধে কঠোর ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে এবং বাংলা হিন্দুদের জন্য মরণফাঁদে পরিণত হবে।” তিনি বলেন, “কিন্তু এটাও ঠিক, এবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কঠোর ব্যবস্থা নেবেন না। কারণ তিনি জানেন, তা করলে তাঁর সরকার পড়ে যাবে। তিনি তো প্রকাশ্যেই স্বীকার করেছেন যে মুসলিম সমর্থনের জোরেই তিনি ক্ষমতায় আছেন। তিনি মুসলিমদের কাছে ঋণী (Anti Waqf Protests)।”

    সেলিমের ধরি মাছ না ছুঁই পানি!

    কংগ্রেস হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। সিপিআই(এম)-এর রাজ্য সম্পাদক মহাম্মদ সেলিম বিতর্কের মুখে পড়েছেন এই অভিযোগে যে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি উভয়েই দাঙ্গার জন্য দায়ী। তাঁর দাবি, বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের, যাঁকে তিনি “দাঙ্গার মস্তিষ্ক” বলে উল্লেখ করেছেন। শুভেন্দুকে গ্রেফতারের দাবি জানালেও, সেলিম সাহেব সিদ্দিকুল্লার মন্তব্য নিয়ে অদ্ভুতভাবে নীরব! হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় সরব হয়েছেন কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী। হিংসার জন্য তিনি দায়ী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে, সুপ্রিম কোর্টের ২৬,০০০ সরকারি স্কুল কর্মী বরখাস্তের আদেশ সৃষ্ট সঙ্কট থেকে মনোযোগ সরাতে হামলা উস্কে দেওয়ার জন্য। তবে তিনি একবারও হিন্দুদের আক্রমণকারী মুসলিমদের নাম নেননি।

    শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য

    এহেন আবহে হিন্দুদের আশ্বস্ত করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “আমরা হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করতে এবং হিন্দুদের রাজনৈতিকভাবে সংহত করতে আমাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করব। বাংলার হিন্দুদের এটা বোঝাতে হবে যে সম্প্রদায়টি একটি গুরুতর অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি হয়েছে, এবং হিন্দুরা ঐক্যবদ্ধ না হলে বাংলা আর একটি বাংলাদেশে পরিণত হবে। বাঙালি হিন্দুরা পড়ে থাকবে (West Bengal) কোনও স্বদেশ ছাড়াই! তাই হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোট বিভাজন রুখতে হবে (Anti Waqf Protests)।”

  • Hindus Under Attack: ভারত ও বিদেশে চলছে হিন্দুদের ওপর নিদারুণ আক্রমণ, এক সপ্তাহের খতিয়ান দেখলে চমকে যাবেন

    Hindus Under Attack: ভারত ও বিদেশে চলছে হিন্দুদের ওপর নিদারুণ আক্রমণ, এক সপ্তাহের খতিয়ান দেখলে চমকে যাবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও বিদেশে হিন্দু ও হিন্দু ধর্মের ওপর ক্রমাগত নিদারুণ আক্রমণ (Hindus Under Attack) চলছে। বিশ্বের বহু অঞ্চলে এই নির্যাতন ধীরগতিতে সংঘটিত একটি গণহত্যার মতোই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে (Roundup Week)। হিন্দুবিদ্বেষী সংকীর্ণ মানসিকতার কারণে দশকের পর দশক ধরে বিশ্ব এই আক্রমণের প্রকৃত গভীরতা ও ব্যাপ্তিকে উপেক্ষা করে এসেছে। হত্যা, জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ, জমি দখল, উৎসব-অনুষ্ঠানে হস্তক্ষেপ, মন্দির ও মূর্তি অপবিত্রকরণ, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত – হিন্দুরা তাঁদের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান আক্রমণের পাশাপাশি অভূতপূর্ব হিন্দুবিদ্বেষের মুখোমুখি হচ্ছেন। চলতি বছরের ৬ এপ্রিল থেকে ১২ এপ্রিল এই সাতদিনে বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের ওপর সংঘটিত অপরাধগুলির দিকে আমরা একবার চোখ বুলিয়ে নিই।

    ভারত (Hindus Under Attack)

    উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার বারগুম কাচারি বাড়ি এলাকায় অগ্রদূত ক্লাব আয়োজিত বাসন্তী পুজোর প্যান্ডেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে পুড়ে যায় প্রতিমাগুলি। ‘প্রার্থনা সভা’ বা ‘স্বাস্থ্য উদ্ধার সভা’র অছিলায় স্থানীয় হিন্দুদের জবরদস্তিমূলক খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগে এক পাদ্রি-সহ ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকান্ডা থানার বাহাতরাই অঞ্চলের ঘটনা। দাগী আসামি ওয়াজিদ শাহেনশা রামনবমী উদযাপনে বিঘ্ন ঘটাতে বিজেপির পতাকা ছিঁড়ে ফেলে। গালিগালাজও করে। আহমেদাবাদের দানিলিমদার ঘটনা। পুনের কোঠরুডে একটি ইউনিসেক্স সেলুনের বিরুদ্ধে ইসলামিক ধর্মান্তর ও লাভ জিহাদে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একটি ভিডিওয় সত্য সনাতন ধর্ম নামক সংগঠনের সদস্যদের জাভেদ ও আরমান নামে দুই মুসলমানকে এক হিন্দু মেয়েকে কালমা পড়তে বাধ্য করা হতে দেখা গিয়েছে।

    হিংসাত্মক বিক্ষোভ

    ওয়াকফ আইন ২০২৫ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ইসলামিস্টদের দ্বারা হিংসাত্মক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। মালদার নিমতিতা স্টেশন ছিল এই অশান্তির ভরকেন্দ্র। এখানে ইসলামিস্টরা “আল্লাহু আকবর” ধ্বনি দিয়ে রেল ট্র্যাক দখল করে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দয়ে বলে অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশের উননাওয়ে ওয়াকফ বিল নিয়ে তর্কে জড়িয়ে এক ক্যাব ড্রাইভার ওয়াসিম ও তার সহযোগীরা এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসারকে আক্রমণ করে। অবসরপ্রাপ্ত ওই কর্নেলের নাম সূর্য প্রতাপ সিং। জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় আম আদমি পার্টির বিধায়ক মেহরাজ মালিকের হিন্দুদের লক্ষ্য করে আপত্তিজনক মন্তব্য করার পর হাতাহাতি হয়। বিজেপি বিধায়কদের প্রতিবাদে সভা স্থগিত করতে বাধ্য হয়। ঠাকুরগাঁও জেলায় ইসলামিস্টরা একটি শ্মশানের জমি দখলের চেষ্টা করে। অভিযোগ, শ্মশানে প্রিয়জনের দেহ সৎকার করতে যাওয়া হিন্দুদের ওপর হামলা চালায় ইসলামিস্টরা (Hindus Under Attack)।

    নাবালিকাকে ধর্ষণ

    পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মন্তাজ হোসেন নামে এক যুবক হিন্দু নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। কলকাতার নিউ টাউন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বারাণসীতে এক ছাত্রীকে টানা ছ’দিন ধরে যৌন নির্যাতন করা হয়। ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই ইসলামিস্ট। বিহারের সারণের রেওয়েলগঞ্জ এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ গির্জা ভেঙে ফেলেন স্থানীয়রা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, খ্রিস্টান মিশনারিরা লোভ দেখিয়ে তাঁদের জোরপূর্বক খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করছিল (Roundup Week)।

    ইউটিউবারকে হুমকি

    হিমাচলের উনা জেলার ইউটিউবার রোহিত কাটওয়ালকে খালিস্তানপন্থী গোষ্ঠীগুলি হুমকি দেয়। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ আজমগড়ের আহিরৌলা থানা এলাকার আরুশা গ্রামে একটি বাড়ির ভিতরে বড় ধরনের খ্রিস্টান ধর্মান্তরের পর্দা ফাঁস করেছে। গুজরাটের আহমেদাবাদে ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুসলিম জনতা রাস্তায় নমাজ আদায় করে। তারা ‘মসজিদ কেড়ে নেওয়া হবে’ এই স্লোগান দিয়ে উত্তেজনা বাড়ায়। ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নামে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে হিন্দুদের ওপর হিংসার ঘটনা ঘটছে। জাফরাবাদ এলাকায় দুজন হিন্দু নিহত হন। ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নামে মুসলিম জনতা সামশেরগঞ্জেই এক হিন্দু দম্পতির দোকানে হামলা চালায় (Hindus Under Attack)।

    পাকিস্তান

    পাকিস্তানের হিন্দু নাবালিকাদের অপহরণ, ধর্ষণ, জোর করে ধর্মান্তরকরণ ও বিয়ের ঘটনা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কেবল সিন্ধ প্রদেশেই প্রতি বছর কমপক্ষে ১০০০ সংখ্যালঘু মেয়ে এই ধরনের যৌন দাসত্বের শিকার হয়। হিন্দু মন্দিরে নিয়মিত হামলাও হয়। সিন্ধের উমরকোট জেলার ২০ বছরের যুবক সুরজ কুমার রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার পর হঠাৎই মুহাম্মদ আলি নামে একজন নতুন ইসলামিক পরিচয় নিয়ে আবির্ভূত হন। সরকারি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, নিখোঁজ থাকাকালে গুলজার খলিলে তিনি স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন (Roundup Week)।

    বাংলাদেশ

    বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিরবচ্ছিন্ন হামলা হয়েই চলেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল বারাকাতের গবেষণা অনুযায়ী, প্রাতিষ্ঠানিক ও পদ্ধতিগত নিপীড়নের কারণে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে একজনও হিন্দু অবশিষ্ট থাকবে না। মন্দির অপবিত্রকরণ, জমি দখল, মিথ্যা মামলার পর জনতার দ্বারা হামলা, ধর্ষণ, জবরদস্তি ধর্মান্তরকরণ এবং ঘৃণামূলক বক্তব্য হিন্দুদের বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য করছে। টাঙ্গাইল জেলায় উন্মত্ত মুসলিম জনতা জনৈক অখিল চন্দ্র মন্ডলের বিরুদ্ধে ইসলাম অবমাননার অভিযোগ এনে তাঁকে পিটিয়ে (Hindus Under Attack) হত্যা করার চেষ্টা করে।

    কানাডা

    কানাডার অটোয়ায় ভারতীয় নাগরিক ধর্মেশ কাথিরিয়াকে খুন করেন এক শ্বেতাঙ্গ। আক্রমণকারী ধর্মেশের স্ত্রীকেও ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করেন। জানা গিয়েছে, আক্রমণকারী গিলস মার্টেল আগে ধর্মেশ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে (Roundup Week) জাতিগত বিদ্বেষমূলক ও ভারত-বিরোধী মন্তব্য করেছিলেন (Hindus Under Attack)।

  • Muslim Rashtriya Manch: ওয়াকফ আইন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন বিরোধীরা, মোকাবিলায় পথে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ

    Muslim Rashtriya Manch: ওয়াকফ আইন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন বিরোধীরা, মোকাবিলায় পথে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে দেশের সর্বনাশ করে ছেড়েছেন তাঁরা। তার পরেও ক্ষমতায় ফিরতে নয়া ওয়াকফ আইন (Waqf Act) নিয়ে গুজব এবং অপপ্রচার করে চলেছে বিরোধী দলগুলি। অথচ খোদ মুসলমানদেরই একটা বড় অংশ সমর্থন করছেন ওয়াকফ আইনকে। জনমানসে বিভ্রান্তি কাটাতে এবং বিরোধীদের অপপ্রচারের জবাব দিতে পথে নামছে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ (Muslim Rashtriya Manch)। মঞ্চের সিদ্ধান্ত, নয়া আইন সম্পর্কে গুজব দূর করতে এবং বিভ্রান্তি কাটাতে দেশজুড়ে ১০০টিরও বেশি প্রেস কনফারেন্স করা হবে। আয়োজন করা হবে ৫০০-রও বেশি আলোচনাসভার। নয়া ওয়াকফ আইন নিয়ে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের মেন্টর ইন্দ্রেশ কুমার জানান, নয়া ওয়াকফ আইন নিয়ে যে ভুল ধারণা ও গুজব ছড়ানো হয়েছে, তা দূর করতে তাঁরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

    কী বললেন ইন্দ্রেশ কুমার (Muslim Rashtriya Manch)

    দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ইন্দ্রেশ কুমার। সেখানেই তিনি বলেন, “এই আইনের উদ্দেশ্য এবং সুবিধাগুলি প্রতিটি ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য মঞ্চ সারা দেশে ১০০টিরও বেশি প্রেস কনফারেন্স এবং ৫০০টিরও বেশি সেমিনারের আয়োজন করবে। এই আইন মুসলিম সম্প্রদায়ের আত্মমর্যাদা, ন্যায়বিচার ও সমানাধিকারকে আরও বেশি করে শক্তিশালী করবে।” দীর্ঘদিন ধরে ওয়াকফ সম্পত্তির অপব্যবহার ও অব্যবস্থাপনার বিষয়গুলির উল্লেখ করে ইন্দ্রেশ কুমার বলেন, ওয়াকফ সংশোধনী আইন এই সম্পত্তিগুলির স্বচ্ছ ও সমতাভিত্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করবে। এর ফলে উপকৃত হবেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। তিনি বলেন, “নয়া এই আইন কারও বিরুদ্ধে নয়, বরং সকল মুসলমানের স্বার্থেই প্রণয়ন করা হয়েছে।”

    যৌথ সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যানের বক্তব্য

    ওয়াকফ সংশোধনী বিল সম্পর্কিত যৌথ সংসদীয় কমিটির (JPC) চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল বলেন (Muslim Rashtriya Manch), “এই নয়া আইনটিতে সম্মতি দিতে গোটা দেশ যেন একজোট হয়েছে, এমন একটা অদ্ভুত অনুভূতি তৈরি হয়েছে।” নয়া ওয়াকফ আইনকে (Waqf Act) মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি বিপ্লবী পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করে তিনি বলেন, “এই আইনটি সমাজে দীর্ঘদিনের ভুল ধারণা, দুর্নীতি ও অবিচার দূর করতে একটি সুবর্ণ সুযোগ দিয়েছে।” জেপিসির চেয়ারম্যান বলেন, “এই আইনটি কেবল ওয়াকফ সম্পত্তির স্বচ্ছ ও অ্যাকাউন্টেবল ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করবে না, বরং সমাজের সবচেয়ে দুর্বল ও বঞ্চিত অংশের অধিকার সুরক্ষিত করতেও সাহায্য করবে।”

    কী বলছেন রামলাল

    আরএসএস নেতা রামলাল ওয়াকফ সংশোধনী আইনকে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে আস্থা ও সম্প্রীতি বাড়ানোর দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, “এই পরিবর্তন ভারতীয় সমাজকে নতুন শক্তি দেবে এবং সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এই মন্ত্র বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।” রামলাল আরও বলেন, “নতুন এই আইনটি কেবল একটি আইনি পরিবর্তন নয়, বরং এটি সামাজিক ও নৈতিক সংস্কারের দিকে একটি বড় অগ্রগতি (Muslim Rashtriya Manch)।” রামলাল জনগণকে তাদের নিজ নিজ অঞ্চলে নতুন ওয়াকফ আইনের (Waqf Act) ইতিবাচক দিকগুলি সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান, যাতে সমাজের প্রতিটি অংশ এর তাৎপর্য বুঝতে পারে।

    ওয়াকফ আইন

    ওয়াকফ আইনটি সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হওয়ার পর এবং গত সপ্তাহে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর অনুমোদন পাওয়ার পর আইনে পরিণত হয়েছে। এই বিলটি নিয়ে ১২ ঘণ্টা বিতর্কের পর ৩ এপ্রিল ভোর রাতে লোকসভায় পাশ হয়। সেখানে বিলটি সমর্থন করেছিলেন ২৮৮ জন সদস্য। বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ২৩২ জন। এরপর ৪ এপ্রিল সকালে রাজ্যসভায় বিলটি পাশ হয়। সেখানে ১২৮ সদস্য সমর্থন করেছিলেন, বিরোধিতা করেছিলেন ৯৫ জন। নয়া এই আইনটি ভারতের ওয়াকফ সম্পত্তির ম্যানেজমেন্ট ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ব্যবস্থা উন্নত করার লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইন সংশোধন করে করা হয়েছে। এরা মুসলিমদের দ্বারা দান করা সম্পত্তি পরিচালনা করে।

    সরকারের দাবি

    নয়া আইন অনুযায়ী, ওয়াকফ কাউন্সিলে সর্বোচ্চ চারজন অমুসলিম সদস্য থাকতে হবে, যার মধ্যে দু’জন মহিলা সদস্যও থাকবেন। এছাড়াও, কোনও সম্পত্তি ওয়াকফের না সরকারের, তা এখন থেকে জেলা কালেক্টরের পদমর্যাদার ঊর্ধ্বের পদস্থ কর্তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের বিষয় (Muslim Rashtriya Manch)। বিরোধী দলগুলি নয়া ওয়াকফ আইনের সমালোচনা করে একে অসাংবিধানিক ও মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক বলে অভিহিত করেছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এটি কোনও মুসলিম-বিরোধী পদক্ষেপ নয়, বরং নতুন এই আইন ওয়াকফ সম্পত্তি ম্যানেজমেন্টে স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে (Waqf Act)। কংগ্রেস, এআইএমআইএম এবং আপ-সহ বিরোধী দলগুলির কিছু নেতা নয়া ওয়াকফ আইনকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে পৃথক আবেদন দাখিল করেন (Muslim Rashtriya Manch)।

  • Shaheen Bagh: পাল্টে গেল শাহিনবাগ! ওয়াকফ আইনের সমর্থনে মুসলিমদের মিছিল, মোদির প্রশংসায় উঠল স্লোগান

    Shaheen Bagh: পাল্টে গেল শাহিনবাগ! ওয়াকফ আইনের সমর্থনে মুসলিমদের মিছিল, মোদির প্রশংসায় উঠল স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার খবরের শিরোনামে চলে এল দিল্লির শাহিনবাগ (Shaheen Bagh)। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে এই শাহিনবাগেই দীর্ঘদিন ধরে চলেছিল আন্দোলন। কয়েকশো মহিলা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সেখানে ধর্নায় বসেছিলেন (Waqf Property)। রবিবার সেই শাহিনবাগেই বের হল বিশাল মিছিল। নয়া ওয়াকফ আইনের সমর্থনেই এদিন পদযাত্রায় যোগ দেন মুসলিমরা। ‘ক্লিন ওখলা গ্রিন ওখলা’ সংগঠনের আহ্বায়ক শাহজাদ আলি ইদ্রিসি বলেন, ‘ক্লিন ওখলা গ্রিন ওখলা’ সংগঠনের এই সমাবেশে শাহিনবাগ ও পার্শ্ববর্তী ওখলা – উভয়ই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা থেকে ৭০ জনেরও বেশি মুসলিম পদযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন।

    পদযাত্রায় মুসলিমরা (Shaheen Bagh)

    তিনি বলেন, “ওয়াকফ সংশোধনী বিলের সমর্থনে সংগঠনের কর্তারা বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জাতীয় সভাপতি জামাল সিদ্দিকির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।” ইদ্রিসি বলেন, “এতকাল ধরে স্বঘোষিত মুসলিম নেতারা, আইএমপিএলবি এবং রাজনৈতিক সুবিধাবাদীরা আমাদের সম্প্রদায়ের কথাকে হাইজ্যাক করে রেখেছে। আজ শাহিনবাগ দেখিয়ে দিয়েছে যে তারা প্রগতির পক্ষে, তাদের পক্ষে নয় যারা ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবহার করে তাদের সাম্রাজ্য গড়ে তোলে বা অশান্তির সৃষ্টি করে।” তিনি বলেন, মুসলিম নারীরা, যাঁদের অনেকেই একসময় একই রাস্তায় সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাঁরাও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সংস্কার আনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাতে পদযাত্রায় অংশ নিয়েছেন। এদিনের পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন সিদ্দিকি। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বেশ কিছু মুসলিম ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি লিখেছেন। তিনি বলেন, “এটি রাজনীতি সম্পর্কিত কোনও বিষয় নয়। এটি গরিব ও প্রান্তিক সম্প্রদায়ের অধিকার ফিরে পাওয়ার বিষয়। ওয়াকফ লুটের মাধ্যমে যারা নিজেদের (Waqf Property) পকেট ভারী করেছে, তাদের মুখোশ খুলে দেওয়ার বিষয় (Shaheen Bagh)।”

    ওয়াকফ সংশোধনী বিল

    প্রসঙ্গত, ৩০ মার্চ লোকসভায় পাশ হয় ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫। বিলটি রাজ্যসভায়ও পাশ হয়ে যায়। পরে অনুমোদনের জন্য সেটি পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করায় মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই বিলটি পরিণত হয় আইনে। ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে নানা সময় বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, ধর্মীয়, সামাজিক ও দাতব্য কাজের জন্য দান করা ওয়াকফ সম্পত্তি (Waqf Property) রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ধর্মগুরু ও মধ্যস্বত্বভোগীদের ব্যক্তিগত জমিদারিতে পরিণত হয়েছিল।

    দেশজুড়ে সমীক্ষা

    বিলটি লোকসভায় পেশ করার আগে কেন্দ্রীয় সরকার দেশজুড়ে একটি সমীক্ষা করে। সেই সমীক্ষায় উঠে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। বেরেলিতে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে একটি বাড়ির উল্লেখ থাকলেও, প্রকৃত পক্ষে সেখানে ছিল ২১টি দোকান, দুটি বাড়ি এবং একটি মসজিদ। হাথরাসে তহশিল রেকর্ডে ওয়াকফ সম্পত্তিকে অবৈধভাবে ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছিল। ছত্তিশগড়ের রায়পুরে ৫ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ওয়াকফ সম্পত্তি থেকে আয় হয়েছিল মাত্র ৫ লাখ টাকা। রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান সালিমরাজ স্বীকার করেন, “প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অবৈধ রেজিস্ট্রির পর প্রাইম ওয়াকফ সম্পত্তিতে দোকান ও শোরুম খুলেছে।” বিহারে শিয়া ও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে (Shaheen Bagh)।

    এআইএমপিএলবির বিরুদ্ধাচরণ করার ডাক

    ভামসি ডিজিটাল পোর্টালে হাজার হাজার আনভেরিফায়েড ওয়াকফ সম্পত্তি জমা হয়েছে। তা সত্ত্বেও উত্তরপ্রদেশের সুন্নি ও শিয়া বোর্ড সহ রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডগুলি দুবছর আগে জমা দেওয়া সমীক্ষায় প্রাপ্ত ডেটা যাচাই করতে ব্যর্থ হয়েছে। রাজস্থানেই ৭০৬টি সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল হওয়ায় ভাজনলাল শর্মার নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার রাজ্যস্তরে তদন্ত শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, এদিনের পদযাত্রাটি কেবল ওয়াকফ বিল আইনে পরিণত হওয়ার কারণেই নয়, এটি ছিল অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের (এআইএমপিএলবি) বিরুদ্ধে এক হওয়ার ডাক। কারণ এই সংস্থাই সুপ্রিম কোর্টে নয়া আইনের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে এবং দেশব্যাপী বিক্ষোভ প্রদর্শনের ডাক দিয়েছে (Waqf Property)।

    কী বললেন সিদ্দিকি

    এদিন সিদ্দিকি সাফ জানিয়ে দেন, “এআইএমপিএলবির কোনও আইনি সংস্থা নয়, জনমানসে তাদের কোনও গ্রহণযোগ্যতাও নেই, অথচ তারা দাবি করে যে তারা সব মুসলমানের পক্ষে কথা বলে। আমি আগেই তাদের ‘বোর্ড’ শব্দটি সরানোর জন্য লিখিত অনুরোধ করেছি। এখন আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে তাদের অর্থনীতি, কার্যক্রম এবং মুসলমানদের ভুল পথে চালিত করার ভূমিকা তদন্তের অনুরোধ করব (Shaheen Bagh)।”

    উল্লেখ্য, এই সংস্থাটি মূলত ধর্মীয় দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য গঠিত হলেও, এখন এর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সংস্কারে বাধা দেওয়া, অবৈধ ওয়াকফ সম্পত্তি দখল রক্ষা করা এবং চরমপন্থী গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ার। ইদ্রিসি বলেন, “ওয়াইসি ও মাদানি পরিবার নিয়ন্ত্রণ হারানোর ভয়ে আছে। এই দেশের গরিব মুসলমানদের চাকরি, শিক্ষা ও নিরাপদ বাসস্থান (Waqf Property) চাই, কেবল বিক্ষোভ নয় (Shaheen Bagh)।”

  • Anti Hindu Attacks: শুধু মার্চেই ৮ জায়গায় হামলা! মমতা জমানায় এপার বাংলায়ও বাড়ছে মন্দির-মূর্তি ধ্বংসের ঘটনা

    Anti Hindu Attacks: শুধু মার্চেই ৮ জায়গায় হামলা! মমতা জমানায় এপার বাংলায়ও বাড়ছে মন্দির-মূর্তি ধ্বংসের ঘটনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গেও (Anti Hindu Attacks)! এখানেও নির্বিচারে ভাঙচুর করা হচ্ছে হিন্দুদের (West Bengal) মন্দির-বিগ্রহ। বিরোধীদের অভিযোগ, এ রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার এই হিংসা নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খাচ্ছে। হিন্দুদের উপাসনালয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর এবং হামলার ঘটনা ঘটছে। যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ মালদার মোথাবাড়ি। অভিযোগ, সেখানে পুলিশ গিয়ে হিন্দু মহিলাদের বলছেন শাঁখা-পলা খুলে ফেলতে, কালো কাপড়ে মুখ ঢাকতে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণ নীতি, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা এবং হিংসা মোকাবিলায় ব্যর্থতার কারণে পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। চলতি বছরের মার্চেই এ রাজ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে আটটি। এই তালিকায় রয়েছে মোথাবাড়িও। আসুন, দেখে নেওয়া যাক গত মাসে কোথায় কোথায় আক্রান্ত হয়েছে হিন্দুদের দেবালয়।

    বারুইপুরে মূর্তি পোড়ানোর অভিযোগ (Anti Hindu Attacks)

    ৭ মার্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর শহরে মা শীতলার মূর্তি ভাঙচুর করা হয়। পরে তাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। খবরে প্রকাশ, শেখ ইন্দু নামে এক ব্যক্তি মূর্তিটি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা গিয়েছে, মূর্তিটি পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে। যে মন্দিরে মূর্তিটি ছিল, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটিও। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত শেখকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ তাকে নিয়ে যায়। এদিনই এক ট্যুইট-বার্তায় বারুইপুর পুলিশ জানায়, আটক ব্যক্তি বহিরাগত। তার মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা রয়েছে। ওই ট্যুইটে তাকে অসুস্থ মস্তিষ্কের ব্যক্তি বলে উল্লেখ করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মামলা দায়ের হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।

    নওদায় হিন্দুদের দোকান ও সম্পত্তি ভাঙচুর

    এর ঠিক দুদিন পরেই মুর্শিবাদের (West Bengal) নওদায় হিন্দুদের দোকান ও সম্পত্তির ওপর হামলা হয়। গত ৯ মার্চ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডেলে জানান, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার নওদা ব্লকের পাটিকাবাড়ি বাজারে হিন্দুদের দোকান ও সম্পত্তিতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, “কয়েক ঘণ্টা আগে, অপরাধীরা মুর্শিদাবাদ জেলার নওদা ব্লকের পাটিকাবাড়ি বাজারে হিন্দুদের দোকান ও সম্পত্তি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়।” তিনি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও মুখ্য সচিবের হস্তক্ষেপ চেয়ে দ্রুত শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শুভেন্দু বিএসএফ মোতায়েনের দাবিও জানান। তিনি বলেন, “যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসে, তাহলে আমি অনুরোধ করব, মাননীয় রাজ্যপালকে বিএসএফ পার্সোনাল মোতায়েনের অনুরোধ করুন, যাতে শীঘ্রই আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা যায় এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা যায়।”

    বসিরহাটে কালী মন্দিরে হামলা

    এই ৯ মার্চ উত্তর ২৪ পরগনার (Anti Hindu Attacks) বসিরহাট শহরের শাঁখচূড়া বাজারে একটি কালী মন্দিরে হামলার খবর প্রকাশিত হয়। এক্স হ্যান্ডেলে এ নিয়ে একটি পোস্ট করেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তার পরেই ঘটনাটি আসে প্রকাশ্যে। তিনি জানান, হিন্দু দেবতার মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা শাহানূর মণ্ডলের নেতৃত্বে ওই মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছে। এর ঠিক কয়েক ঘন্টা পরেই পুলিশের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই ঘটনায় কোনও সাম্প্রদায়িক ব্যাপার নেই। কালী মূর্তি ভাঙচুরের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে।

    নন্দীগ্রামে মন্দিরে মূর্তি ভাঙচুর

    ১৪ মার্চ পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের কামালপুরের একটি হিন্দু মন্দিরে দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টের মাধ্যমে ঘটনাটি জনসমক্ষে আনেন। ওই পোস্টে ভাঙচুর করা মূর্তির একটি ভিডিও-ও জোড়া ছিল। মালব্যর অভিযোগ, কিছু ব্যক্তি পূজা ও রাম নারায়ণ কীর্তন সহ্য করতে না পেরে মন্দিরে ভাঙচুর চালায় এবং মূর্তির অবমাননা করে। তিনি পরিস্থিতির গুরুত্বও তুলে ধরেন। পোস্টের ওই ভিডিওয় দেখা যায়, এক ব্যক্তি পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বলছেন যে তারা কিছুই (West Bengal) করছে না। ভিডিওতে আরও দেখা যায়, ভাঙচুর করা মূর্তির ভিডিও যিনি বানাচ্ছিলেন, একজন পুলিশ অফিসার তাঁকে ভয় দেখাচ্ছেন।

    শিরোনামে মোথাবাড়িও

    ২৭ মার্চ মোথাবাড়ি গ্রামে ব্যাপক হিংসা হয়। অভিযোগ, মুসলিম জনতা হিন্দুদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িগুলিকে টার্গেট করেছিল (Anti Hindu Attacks)। বিজেওয়াইএম নেতা অচিন্ত্য মণ্ডলের শেয়ার করা একটি ভিডিও-সহ প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণে ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এক হিন্দু মহিলা ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, “মুসলিমরা হিন্দুদের বাড়িঘর ধ্বংস করেছে।ভয়ে আমরা লুকিয়েছিলাম।” তাঁর অভিযোগ, বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করার পর টাকা-পয়সা ও জিনিসপত্রও লুট করা হয়েছে। তিনি বলেন, “পুলিশ তাদের প্রাণ নিয়ে দৌড়েছে। তারা আমাদের বাঁচায়নি।”

    আর এক হিন্দু মহিলার দাবি, তাঁদের ধর্মীয় পরিচয় গোপন করতে বাধ্য করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমাদের শাঁখা-পলা খুলে হিজাবের মতো মাথা ঢাকতে হচ্ছে। আমরা অনিচ্ছা সত্ত্বেও তা করতে বাধ্য হচ্ছি।” তাঁর অভিযোগ, নারীদের অপহরণ ও নির্যাতন করা হচ্ছে। হিন্দুদের বাড়ি লক্ষ্য করে অবিরাম পাথর ছোড়া হচ্ছে। হিন্দু নারীরা কোনও দাবি মানতে না চাইলে শিশুদের অপহরণ ও হত্যার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।

    ঝাউবোনায় হিন্দুদের ওপর অত্যাচার

    ২৯ মার্চ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এক্স হ্যান্ডেলে কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ শেয়ার করে মুর্শিদাবাদের ঝাউবোনায় হিন্দুদের (Anti Hindu Attacks) ওপর হামলার অভিযোগ তোলেন। তাঁর দাবি, হিন্দুদের মালিকানাধীন সুপারি বাগানে আগুন দেওয়া হয়েছে এবং দোকান লুট করা হয়েছে। এই ঘটনাগুলিকে তিনি জিহাদি মবস দ্বারা সংঘটিত হিংসা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ট্যুইট-বার্তায় তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণ নীতির অধীনে হিন্দুদের ওপর আর একটি ভয়ঙ্কর হামলা! মোথাবাড়ি হাঙ্গামার পর জিহাদি মবস ঝাউবোনা, নওদা (মুর্শিদাবাদ)-এ সন্ত্রাস ছড়িয়েছে। অন্ধকারের আড়ালে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে হিন্দুদের সুপারি বাগানে আগুন ধরিয়ে দেয়, ঝাউবোনা ও ত্রিমোহিনী বাজারের দোকান লুটপাট করে এবং নিরীহ হিন্দুদের আক্রমণ করে।”

    দক্ষিণ দিনাজপুর মন্দিরে ভাঙচুর

    ৩০ মার্চ সুকান্ত ফের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি দক্ষিণ দিনাজপুরের কেশবপুর গ্রামের একটি হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবিগুলিতে দেখা গিয়েছে, মন্দির চত্বরে শীতলা মায়ের মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, “দক্ষিণ দিনাজপুরের (West Bengal) জাহাঙ্গিরপুর অঞ্চলের কেশবপুরে শ্রী শ্রী শীতলা মায়ের মন্দিরের ধ্বংসস্তূপ দেখুন। রাতের আড়ালে মন্দিরটি ভাঙচুর করা হয়েছে। মায়ের মূর্তিটি এমনভাবে ভেঙে ফেলা হয়েছে যা বাংলাদেশের মৌলবাদী জিহাদিদের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় (Anti Hindu Attacks)।”

  • Waqf Bill 2025: ওয়াকফ বিলকে সমর্থন চন্দ্রবাবু-নীতীশের, কীভাবে হল অসাধ্য সাধন?

    Waqf Bill 2025: ওয়াকফ বিলকে সমর্থন চন্দ্রবাবু-নীতীশের, কীভাবে হল অসাধ্য সাধন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এবং নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)-কে নিজেদের ফেভারে নিয়ে এসে বিরোধীদের মাত দিল বিজেপি (BJP)। জেডিইউ এবং টিডিপির সমর্থনে বর্তমানে লোকসভায় এনডিএর সাংসদ সংখ্যা ২৯৩। নীতীশ এবং চন্দ্রবাবু বেঁকে বসলেই বিপদ হতে পারত। লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫ (Waqf Bill 2025) পাশ করাতে ব্যর্থ হতে পারত তৃতীয় মোদি সরকার। যার অর্থ হত, সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাত এনডিএ সরকার। বস্তুত, বিরোধীদের আশাও ছিল তেমনই। তবে শেষমেশ তাঁদের সে গুড়ে বালি দিয়ে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের দল। সূত্রের খবর, এই অসাধ্য সাধন হয়েছে বিজেপির জোট অংশীদারদের কাছ থেকে বিতর্কিত বিষয়ে সমর্থন আদায়ের নিরন্তর প্রচেষ্টায়।

    টিডিপি এবং জেডিইউয়ের ভোটব্যাংক (Waqf Bill 2025)

    টিডিপি এবং জেডিইউয়ের ভোটব্যাংক হলেন মুসলমান ভোটাররা। সেই কারণে মুসলমানদের সম্পর্কিত বিষয়গুলিতে, বিশেষত ইউনিফর্ম সিভিল কোডের মতো বিষয়ে বিজেপির বিপরীত অবস্থান নিয়েছে এই দুই দল। এবারও তেমনটাই হবে বলে আশা করেছিলেন বিরোধীদের সিংহভাগ অংশ। যদিও পর্দার আড়ালে আলোচনার মাধ্যমে এই দুই দলকে বিলটি সমর্থনে রাজি করায় পদ্ম শিবির। তার জেরেই লোকসভায় পাশ হয়ে যায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫।

    বিলটির প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা

    অগাস্ট মাসে বিলটি আনার আগে প্রবীণ মন্ত্রীরা টিডিপি এবং জেডিইউ নেতৃত্বকে বিলটির গুরুত্ব সম্পর্কে সম্যক অবহিত করেছিলেন। বিলটির প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেছিলেন এনডিএ জোটের অন্যান্য শরিকদের কাছেও। সেই সময় ওই দলগুলির নেতাদের বিজেপি নেতৃত্ব পইপই করে বুঝিয়েছিলেন বিলটি মুসলিম স্বার্থ রক্ষা এবং নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে প্রণয়ন করা হয়েছে, বিরোধী দলগুলির অভিযোগের মতো সম্প্রদায়গুলিকে (Waqf Bill 2025) বিভক্ত করার জন্য নয়।

    এনডিএ জোটের শরিকদের বোঝানোর পালা শেষ হওয়ার পর বিলটি পাঠানো হয় যৌথ সংসদীয় কমিটিতে। সেখানে টিডিপি এবং জেডিইউয়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা-সহ ১৪টি সংশোধনী গ্রহণ করা হয়। তার পরেই বিলটি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয় মন্ত্রিসভায়। পরে পেশ হয় লোকসভায় (BJP)। বিলটি সমর্থন করে টিডিপি এবং জেডিইউ দলের নেতারা বলেন, “এটি মুসলমান নারী ও প্রান্তিক সম্প্রদায়ের স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ (Waqf Bill 2025)।”

  • Waqf Bill: “ওয়াকফ সংশোধনী বিল মুসলমানদের উন্নয়নে সাহায্য করবে”, বললেন জম্মু-কাশ্মীর ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারপার্সন

    Waqf Bill: “ওয়াকফ সংশোধনী বিল মুসলমানদের উন্নয়নে সাহায্য করবে”, বললেন জম্মু-কাশ্মীর ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারপার্সন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Bill) ২০২৫ মুসলমান সম্প্রদায়ের উন্নয়নে সাহায্য করবে (Darakhshan Andrabi)।” বুধবার সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন জম্মু-কাশ্মীর ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারপার্সন দারাখশান আন্দরাবি। তিনি বলেন, “সংসদে পেশ করা বিলটি মুসলমানদের বিরুদ্ধে বলে মনে হয় না। যদি ওয়াকফের এত জমি থাকে, তাহলে এত মুসলমান গরিব কেন? যদি বোর্ডটি সঠিকভাবে পরিচালিত হয় এবং দায়বদ্ধ করা হয়, তাহলে আমাদের সম্প্রদায়ের মানুষের উন্নয়ন সম্ভব হবে।”

    জম্মু-কাশ্মীর ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারপার্সনের বক্তব্য (Waqf Bill)

    তিনি বলেন, “বিলটি মুসলমানদের কল্যাণের জন্যই পেশ করা হয়েছে বলে মনে হয়। বিলটিতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে এমন কিছুই নেই।” এদিন সকালে লোকসভায় বিলটি পেশ করার সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু প্রশ্ন তোলেন, “কেন ওয়াকফের সম্পত্তি দেশ ও মুসলমানদের উন্নয়নে ব্যবহার করা হয়নি।” তিনি জানান, ভারতের কাছে বিশ্বের সব চেয়ে বেশি ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে। তিনি বলেন, “যখন আমাদের দেশের কাছে বিশ্বের সব চেয়ে বেশি ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে, তখন সেগুলি দরিদ্র মুসলমানদের শিক্ষা, চিকিৎসা, দক্ষতা উন্নয়ন ও আয় বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করা হয়নি কেন (Darakhshan Andrabi)? এ ব্যাপারে এতদিনে কেন কোনও অগ্রগতি হয়নি?” তাঁর অভিযোগ, বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারের মুসলমানদের উন্নয়নের প্রচেষ্টাকে বাধা দিচ্ছেন। মন্ত্রী জানান, দেশে ওয়াকফ সম্পত্তির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। তাদের আয়ও বেড়েছে।

    ওয়াকফ সংশোধনী বিলের লক্ষ্য

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ সংশোধনী বিলের লক্ষ্য হল, ভারতের ওয়াকফ সম্পত্তির প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা উন্নত করা। এটি পূর্ববর্তী আইনের ত্রুটিগুলো দূর করে ওয়াকফ বোর্ডের দক্ষতা বাড়ানো, রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া উন্নত করা এবং ওয়াকফ রেকর্ড ম্যানেজমেন্টে প্রযুক্তির ভূমিকা বাড়ানোর চেষ্টা করে।

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ সংশোধনী বিল পেশের আগে গঠন করা হয়েছিল যৌথ সংসদীয় কমিটি। সেই কমিটি দেশের বিভিন্ন (Waqf Bill) নাগরিক কমিটি ও সংগঠনগুলির কাছ থেকে ৯৭ লাখ ২৭ হাজার ৭৭২টি মেমোরান্ডাম পেয়েছে। দারুল উলুম দেওবন্দ, জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ এবং জামায়াতের বিভিন্ন শাখার মতো বিশিষ্ট মুসলিম সংগঠনগুলির পরামর্শ নেওয়া হয়। সেখানে ওয়াকফ সম্পদ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সম্পর্কিত আইনি, প্রশাসনিক এবং সাম্প্রদায়িক (Darakhshan Andrabi) উদ্বেগগুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল (Waqf Bill)।

LinkedIn
Share