Tag: Muslims

Muslims

  • Mann Ki Baat: বিজেপির উদ্যোগে রমজান মাসেই বেরোবে মোদির ‘মন কি বাত’-এর উর্দু সংকলন

    Mann Ki Baat: বিজেপির উদ্যোগে রমজান মাসেই বেরোবে মোদির ‘মন কি বাত’-এর উর্দু সংকলন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিংহভাগ দেশবাসীর চোখের মণি তিনি। মুসলিম সমাজেও রয়েছে তাঁর তুঙ্গ জনপ্রিয়তা। এসব কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) মন কি বাত (Mann Ki Baat) রেডিও অনুষ্ঠানের ভাষণ নিয়ে উর্দু ভাষায় লেখা দেড়শো পাতার বই প্রকাশ করছে উত্তর প্রদেশের বিজেপি (BJP)। শুক্রবারই শুরু হয়েছে রমজান মাস। পবিত্র ইদ পালিত হবে এ মাসেই। সেই কারণেই বই প্রকাশের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে পবিত্র এই মাসটিকেই। বইটিতে মন কি বাত-এর বাছাই করা ১২টি ভাষণ লিপিবদ্ধ হবে। প্রতিটি ভাষণেই রয়েছে মুসলিম সমাজের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর ভাবনার কথা। নাম ‘ওয়াজির-এ-আজম জনাব নরেন্দ্র মোদি কে মন কি বাত’। উর্দু ভাষায় ওয়াজির-এ-আজম শব্দের অর্থ হল প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন কি বাত (Mann Ki Baat)…

    ‘বিজেপি মুসলিম বিরোধী’— কৌশলে এই তত্ত্ব প্রচার করেছেন বিরোধীরা। তার জেরে মুসলিমদের একাংশ ভুল বুঝছেন পদ্ম শিবিরকে। মুসলিমদের এই অংশের মন পেতে গেরুয়া শিবিরের নেতা-মন্ত্রীরা মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় যাতায়াত বাড়িয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীও দলকে সব ধর্মের গরিব মানুষের মধ্যে দলের প্রভাব বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশ মেনে দরিদ্রতম মুসলমানদের নিয়ে সম্মেলনও করেছে বিজেপির উত্তর প্রদেশ শাখা। দেশের মুসলমান সমাজের উন্নতিকল্পে গুচ্ছ উন্নয়ন ভাবনার কথা প্রকাশ্যে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত-এর (Mann Ki Baat) বিভিন্ন পর্বে।

    আরও পড়ুুন: মমতার পাল্টা ধর্নায় বিজেপি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রয়েছে গুচ্ছ কর্মসূচিও

    রেডিওয় শোনা সেই ভাষণগুলিকেই দুই মলাটের মধ্যে আনার পরিকল্পনা করেছে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যের বিজেপি। উত্তর প্রদেশে লোকসভার আসন রয়েছে ৮০টি। প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রেই বিলি করা হবে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ সম্বলিত সেই বই। রমজান মাসেই বড় করে অনুষ্ঠান করে প্রকাশ করা হবে ‘ওয়াজির-এ-আজম জনাব নরেন্দ্র মোদি কে মন কি বাত’। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। চারশোরও বেশি আসনের টার্গেট নিয়েছেন বিজেপির ভোট ম্যানেজাররা। যেহেতু উত্তর প্রদেশে লোকসভার আসন সব চেয়ে বেশি, তাই এই রাজ্যকেই পাখির চোখ করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেই কারণেই সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছতে চাইছে পদ্ম শিবির। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ সম্বলিত বই (Mann Ki Baat) প্রকাশের পরিকল্পনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bigamy: মুসলিমদের একাধিক বিয়েতে আপত্তি! আবেদন খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ

    Bigamy: মুসলিমদের একাধিক বিয়েতে আপত্তি! আবেদন খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুসলিমদের একাধিক বিয়ের (Bigamy) বিষয়ে জমা পড়া আপত্তির আবেদনপত্র খতিয়ে দেখতে সঠিক সময়ে সাংবিধানিক বেঞ্চ (Constitution Bench) গঠন করা হবে। বৃহস্পতিবার একথা জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। মুসলমানদের একাধিক বিয়েতে অনুমতি দেওয়া হবে কেন? এ ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে আবেদনপত্র জমা পড়েছিল দেশের শীর্ষ আদালতে। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠনের কথা। এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসিমহা এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চে এই আবেদনটি উত্থাপন করেন আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়। সেই আবেদন প্রসঙ্গেই বিচারপতি বলেন, সঠিক সময়ে এ নিয়ে সাংবিধানিক বেঞ্চ তৈরি করব।

    একাধিক বিয়ে (Bigamy)…

    ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৪ ধারা অনুযায়ী, বিবাহিত কেউ যদি নিজের স্বামী বা স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয় বিয়ে করেন, তাহলে দ্বিতীয় বিয়েটি বাতিল করা হয়। প্রথম স্বামী বা স্ত্রী বর্তমান থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয় বিয়ে করায় শাস্তি হিসেবে কারাদণ্ড ও জরিমানাও করা হয়। তবে মুসলমানদের ক্ষেত্রে এই ধারা প্রযোজ্য হয় না। মুসলিম পার্সোনাল ল’ অ্যাপ্লিকেশন অ্যাক্ট ১৯৩৭ এর ২ নম্বর ধারায় একাধিক বিয়েতে (Bigamy) মুসলিম পুরুষদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া আবেদনপত্রে এই ধারাকে অসাংবিধানিক হিসেবে ঘোষণা করার আর্জি জানানো হয়েছে।মুসলিমদের একাধিক বিয়ের বিষয়ে জমা পড়া আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, যেখানে অন্য ধর্মে একাধিক বিয়ের রীতি নিষিদ্ধ, সেখানে কোনও একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে এই রীতিকে অনুমতি দেওয়া যায় না। এই রীতি মহিলাদের ওপর নিপীড়ন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে আবেদনপত্রে।

    আরও পড়ুুন: ‘এই চোর পার্থ’! স্লোগানের পাশাপাশি সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতার ফাঁসিও চাইল জনতা

    প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের অগাস্টে এক ঐতিহাসিক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট তিন তালাক প্রথাকে অসাংবিধানিক ও বেআইনি ঘোষণা করেছিল। ২০১৮ সালে একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে বহু বিবাহ ও নিকাহ হালালা প্রথার সাংবিধানিক বৈধতা খতিয়ে দেখতে সম্মত হয়েছিল শীর্ষ আদালত। ওই আবেদনে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছিল মুসলিম পুরুষের একই সঙ্গে চারজন স্ত্রী (Bigamy) থাকার অধিকারের বৈধতাকে। সেই সঙ্গে নিকাহ হালালা প্রথাকেও অসাংবিধানিক বলে দাবি করা হয়েছিল ওই আবেদনে। এই প্রথা অনুযায়ী, কোনও মুসলিম নারী যদি সেই পুরুষকেই ফের বিয়ে করতে চান, যাঁর সঙ্গে তাঁর একবার বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে, তা হলে আগে অন্য কোনও পুরুষকে বিয়ে করে তাঁর কাছ থেকে তালাক নিয়ে আসতে হবে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Mohan Bhagwat: ‘আমরা ফের এই দেশ শাসন করব’, মুসলমানদের এই ধারণা ছাড়তে হবে, বললেন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: ‘আমরা ফের এই দেশ শাসন করব’, মুসলমানদের এই ধারণা ছাড়তে হবে, বললেন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেক্স: আমরা একবার এই দেশ   শাসন করেছি, আবার শাসন করব। মুসলমানদের এই ধারণা ছাড়তে হবে। মঙ্গলবার এ কথা বলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, ভারতে (India) মুসলমানরা নির্ভয়ে থাকতে পারেন। তবে তাঁদের অবশ্যই আধিপত্যের ভাবনা ছাড়তে হবে।

    ভাগবত উবাচ…

    আরএসএস প্রধান বলেন, আমরা একটি  উচ্চ জাতি। এক সময় আমরা এই দেশ শাসন করেছিলাম। আবারও শাসন করব। কেবল আমাদের অনুসৃত পথই ঠিক। বাকি সবারটা ভুল। আমরা আলাদা। তাই আমরা তা চালিয়ে যাব। আমরা এক সঙ্গে থাকতে পারি না। মুসলমানদের এই ধারণা ছেড়ে বেরতে হবে। তিনি বলেন, এই ভূমিতে যাঁরা বাস করেন সে তিনি হিন্দুই হোন বা কমিউনিস্ট, তাঁদের অবশ্যই এই যুক্তি ত্যাগ করতে হবে।

    সংঘ প্রধান (Mohan Bhagwat) আরও বলেন, ইতিহাস লেখার আগে থেকেই ভারত অখণ্ড। এই ভারতই ভাগ হয়েছিল তখন, যখন কোটি কোটি হিন্দু ভুলে গিয়েছিলেন তিনি হিন্দু। এর পরেই মোহন ভাগবত বলেন, হিন্দু আমাদের পরিচয়। আমাদের জাতীয়তাবাদ। আমাদের সভ্যতার বৈশিষ্ট্য। এমন একটি বৈশিষ্ট্য, যার কারণে আমরা প্রত্যেককেই আমাদের বলে ভাবতে পারি। তিনি বলেন, আমরা কখনওই বলি না, আমাদেরটাই (অনুসৃত পথ) সত্য, আর তোমাদেরটা মিথ্যে।

    আরও পড়ুুন: ‘বিজেপি ছাড়ুন, নাহলে…’, লস্কর-ই-খালসার হুমকি আরএসএস এবং সেনাকেও

    ভাগবত বলেন, তোমরা তোমাদের পথে ঠিক আছ। আমি আমার পথে ঠিক আছি। চলো, এক সঙ্গে এগনো যাক। এটাই হল হিন্দুত্ব। এর পরেই মোহন ভাগবত বলেন, সহজ সরল সত্যটা হল কী জানেন, এই হিন্দুস্তান হিন্দুস্তানই থাকবে। তবে ভারতে যে মুসলমানরা বসবাস করছেন, তাঁদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তিনি বলেন, ইসলামের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সংঘ প্রধান (Mohan Bhagwat) বলেন, হিন্দু সমাজ গত হাজার বছর ধরে যুদ্ধের মধ্যে রয়েছে। আগে বিদেশি হানাদারদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে। আর এখন বিদেশি প্রভাব এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। তিনি বলেন, এসবের কারণেই হিন্দু সমাজ জেগে উঠেছে। ভাগবত বলেন, সংঘ প্রথাগত রাজনীতি থেকে দূরে থাকবে। তবে, জনগণের এই উদ্বেগ স্বয়ংসেবকদের কাছে পৌঁছে দেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Teen Pregnancies: হিন্দুদের তুলনায় কৈশোরে মুসলিমদের গর্ভবতী হওয়ার প্রবণতা ৩০ শতাংশ বেশি!

    Teen Pregnancies: হিন্দুদের তুলনায় কৈশোরে মুসলিমদের গর্ভবতী হওয়ার প্রবণতা ৩০ শতাংশ বেশি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অব্যাহত কৈশোরে গর্ভবতী (Teen Pregnancies) হওয়ার প্রবণতা। গর্ভনিরোধক কোনও কিছু ব্যবহার না করার কারণে কৈশোরে মা হচ্ছেন বহু কিশোরী। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, হিন্দুদের (Hindus) চেয়ে কৈশোরে মা হচ্ছেন বেশি মুসলিম (Muslim) কিশোরী। শরীর পুরোপুরি গঠন হওয়ার আগেই মা হওয়ায় ভগ্নস্বাস্থ্য হচ্ছেন কিশোরী মা। যা ভবিষ্যতে তাঁর নিজের শরীরের পক্ষেই ভীষণ ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    সম্প্রতি ডেটা প্রকাশ করে ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেল্থ সার্ভে (NFHS) ৫। তাতেই উঠে এসেছে চোখ কপালে তোলার মতো সব তথ্য। জানা গিয়েছে, ১৫ থেকে ১৯ বছরের মধ্যেই মা হচ্ছেন ৭ শতাংশ ভারতীয় মহিলা। এঁদের মধ্যে আবার মুসলমানদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি। শতাংশের হিসেবে ৮.৪। এর পরে রয়েছে খ্রিস্টান। শতাংশের হিসেবে তাঁরা ৬.৮। সব শেষে রয়েছেন হিন্দু। তাঁদের হার ৬.৫ শতাংশ। এ থেকে স্পষ্ট যে হিন্দুদের তুলনায় কৈশোরে মুসলমানদের গর্ভবতী (Teen Pregnancies) হওয়ার প্রবণতা ৩০ শতাংশ বেশি। এই তথ্য থেকে এও স্পষ্ট গর্ভনিরোধক ব্যবহারে তাঁদের ঘোর অনীহা।

    আরও পড়ুন: জানেন হৃদরোগীর থেকেও করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি কাদের?

    প্রসঙ্গত, বাল্য বিবাহের কারণে হিন্দুদের শাস্তি দেওয়া যায়। কিন্তু মুসলমানদের তা দেওয়া যায় না। কারণ তাঁদের পার্সোলান ল’ রয়েছে। সমীক্ষা থেকেই জানা গিয়েছে, কৈশোরে গর্ভবতী (Teen Pregnancies) হওয়ার প্রবণতা শহরাঞ্চলের চেয়ে গ্রামাঞ্চলেই বেশি। শিক্ষা এবং সম্পদ যাঁদের কম, তাঁদের পরিবারের ক্ষেত্রেই সচরাচর এটা দেখা যায়। বিবাহিত মহিলাদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ মহিলা ১৫ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে মা হন। কৈশোরে গর্ভবতী হওয়ার হার সব চেয়ে বেশি ত্রিপুরায়। শতাংশের হিসেবে ২২। এর পরেই রয়েছে বাংলা। সেখানে এই হার ১৬ শতাংশ। এর পরে রয়েছে যথাক্রমে অন্ধ্রপ্রদেশ, আসাম, বিহার এবং ঝাড়খণ্ড।

    সমাজকর্মীদের মতে, নাবালিকা বিবাহের কারণে দ্রুত বাড়ছে জনসংখ্যা। সমীক্ষায় প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মুসলমানদের মধ্যে এই বয়সে সন্তান জন্মদানের হার ২.৪ শতাংশ। সেখানে হিন্দু এবং খ্রিস্টানদের মধ্যে এই হার মাত্র ১.৯ শতাংশ। আরও জানা গিয়েছে, ভারতে গত পাঁচ বছরে নাবালিকা বিয়ের হার ২২২ শতাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Supreme Court: মুসলিমদের বহুবিবাহ, নিকাহ হালালা কি বৈধ? মানবাধিকার কমিশনের মতামত চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: মুসলিমদের বহুবিবাহ, নিকাহ হালালা কি বৈধ? মানবাধিকার কমিশনের মতামত চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুসলিমদের (Muslims) মধ্যে বহুবিবাহ (Polygamy) ও নিকাহ হালালা (Nikah Halala) প্রথা নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, জাতীয় মহিলা কমিশন এবং জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের মতামত চাইল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত বহুবিবাহ এবং নিকাহ হালালার সাংবিধানিক বৈধতার বিষয়ে আবেদন জমা পড়েছিল দেশের শীর্ষ আদালতে। তার পরেই আদালতের তরফে ওই তিন কমিশনের মতামত জানতে চাওয়া হয়। বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ ওই তিন কমিশনের মতামত জানতে চেয়ে নোটিশ জারি করেছে। ইন্দিরা ছাড়াও বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত, সূর্য কান্ত, এমএম সুন্দ্রেশ এবং শুধাংশু ঢুলিয়া। প্রসঙ্গত, বহুবিবাহ এবং নিকাহ হালালা নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জনৈক অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়। তাঁর দাবি, মুসলিম সমাজে প্রচলিত বহুবিবাহ এবং নিকাহ হালালা অসাংবিধানিক তো বটেই, অবৈধও। দশেরা উৎসবের পরে ফের হবে এই মামলার শুনানি। 

    ২০১৮ সালের জুলাই মাসে গঠিত হয় এই সাংবিধানিক বেঞ্চ। তার পরেই মামলাটি পাঠিয়ে দেওয়া হয় ওই বেঞ্চে। সেখানেই চলছে শুনানি। দেশের শীর্ষ আদালত এ ব্যাপারে কেন্দ্রকেও একটি নোটিশ পাঠিয়েছে। ফারজানা নামের এক মহিলা আবেদনকারীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে ওই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ফারজানা তাঁর আবেদনে অশ্বিনীকে ট্যাগ করেছিলেন। আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী সওয়াল জবাবে বলেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ ধারায় বিচার-বহির্ভুত তালাক নিষ্ঠুর, আইপিসির ৩৭৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী নিকাহ হালালা অপরাধ এবং ৪৯৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী বহুবিবাহ ফৌজদারি অপরাধ। 

    আরও পড়ুন : স্বস্তিতে সরকার! রাফাল চুক্তি নিয়ে নতুন মামলার আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট
    ২০১৭ সালের ২২ অগাস্ট দেশের শীর্ষ আদালত তিন তালাক নিষিদ্ধ করে। আর বহুবিবাহ এবং নিকাহ হালারা বৈধতা বিচারের জন্য মামলাটি পাঠায় বৃহত্তর বেঞ্চে। প্রসঙ্গত, মুসলিম বহু বিবাহ রীতি অনুযায়ী, একজন মুসলমান পুরুষ চারটি স্ত্রী রাখতে পারেন। আর নিকাহ হালালা হল, কোনও ডিভোর্সি মুসলিম মহিলাকে তাঁর স্বামীর কাছে ফিরতে হলে অন্য পুরুষকে বিয়ে করতে হবে। তাঁকে ডিভোর্স দিয়ে ফের বিয়ে করতে হবে প্রথম স্বামীকে। এই দুই প্রথার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অশ্বিনী। দায়ের হয়েছে মামলা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Population Growth Row: দ্রুত বাড়ছে মুসলিম জনসংখ্যা, বদলে যাচ্ছে ভারতের ধর্মীয় মানচিত্র?

    Population Growth Row: দ্রুত বাড়ছে মুসলিম জনসংখ্যা, বদলে যাচ্ছে ভারতের ধর্মীয় মানচিত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে দ্রুত বাড়ছে মুসলিম (Muslims) জনসংখ্যা। ২০১১ সালের জনগণনা থেকেই এই তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের (Religious Group) চেয়ে দ্রুত বাড়ছে মুসলিম জনসংখ্যা। সেই তুলনায় জন্মহার কম হিন্দু (Hindus), শিখ (Sikhs), জৈন (Jains) এবং বৌদ্ধদের (Buddhists)।  সম্প্রতি এনিয়ে সমীক্ষা করেন জেকে বাজাজ নামে এক ব্যক্তি। ‘সেন্টার ফর পলিসি স্টাডিজ’-এর পক্ষে সমীক্ষাটি করেন তিনি। তাতেই দেখা যায়, ভারতে দ্রুত বদলে যাচ্ছে ধর্মীয় মানচিত্র। মুসলিমদের বাড়বাড়ন্তের পাশাপাশি কমছে শিখ, জৈন এবং বৌদ্ধদের জন্মহার। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাজাজ জানান, এটা একটা তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। এর সমাজতাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক পরিণতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

    আরও পড়ুন : হিন্দু ধর্ম সবচেয়ে সহনশীল, জানুন জুবের-জামিনকালে কী বলল আদালত

    সমীক্ষায় প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে বাজাজ দেখিয়েছেন, মুসলিম এবং ভারতের বাকি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্মহারের ফারাক বিস্তর। ১৯৫১ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত সময়ে মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ০.২৪ শতাংশ। ২০০১ থেকে ২০১১ পর্যন্ত সেটা বেড়ে হয়েছে ০.৮০ শতাংশ। ১৯৫১ সালে ভারতে ৩.৪৭ কোটি মুসলিম ছিলেন। ২০১১ সালে সেটাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭.১১ কোটিতে। অর্থাৎ, সংখ্যাতত্ত্বের নিরিখে বৃদ্ধি হয়েছে ৪.৬ গুণ। তুলনায় অন্যান্য ধর্ম বেড়েছে ৩.২ গুণ। যা থেকে প্রমাণ হয় ভারতে ধর্মীয় ভারসাম্যহীনতা ক্রমশ বাড়বে। তিনি জানান, মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্মহারের ফারাক ১৯৯১ থেকে ২০০১ পর্যন্ত খানিকটা কমলেও পরের দশকে ফের বেড়েছে এক লপ্তে অনেকটাই।

    সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ভারতীয় ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলির জনসংখ্যা ২০০১ সালে ছিল ৮৪.২১ শতাংশ। পরের দশকে সেটাই কমে হয়েছে ৮৩.৪৮ শতাংশ। অথচ মুসলিম জনসংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। সমীক্ষার ফলেই স্পষ্ট, ভবিষ্যতে এর প্রভাব হবে মারাত্মক। সমীক্ষায় এটাও স্পষ্ট হয়েছে যে, যেসব মায়েরা কম সন্তান ধারণ করেন, তাঁরা সুশিক্ষিত। অন্যদিকে, যাঁরা বেশিবার গর্ভধারণ করেন, তাঁদের মধ্যে শিক্ষার হার কম। তাঁরা সুস্বাস্থ্যের অধিকারীও নন। সীমান্ত এলাকায় যে নিরন্তর ধর্মান্তকরণ চলছে, তারও প্রমাণ মিলেছে ওই সমীক্ষায়। দেখা গিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত এলাকায় তফশিলি উপজাতির মানুষ দ্রুত খ্রিষ্টান ধর্মে দীক্ষিত হচ্ছেন। ২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ওই রাজ্যে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা ১৯ শতাংশের কম থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০ শতাংশেরও বেশি।

  • Bakrid: খোলা জায়গায়  ‘কুরবানি’ না দেওয়ার আর্জি ইমামদের

    Bakrid: খোলা জায়গায় ‘কুরবানি’ না দেওয়ার আর্জি ইমামদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ১০ জুলাই রবিবার পালিত হতে চলেছে বখরি ইদ বা ইদ-আল-আধা। মুসলিম সমাজের প্রধান দুটি উত্‍সবের অন্যতম হল এই বখরি ইদ। একে কুরবানির ইদও বলা হয়ে থাকে। এবছর ইদে খোলা রাস্তায় বা জনসমক্ষে কুরবানি না দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন ইমামরা। জুম্মার নমাজের পর তাঁরা এই আর্জি রাখেন সাধারণ মানুষের কাছে। কুরবানির কোনও ভিডিও তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট না করারও আবেদন রাখা হয়েছে।  ইমামদের তরফে বলা হয়েছে, দেশের আইন মেনে এবং শান্তিপূর্ণভাবে কুরবানি দেওয়াটাই প্রকৃত ইসলামের কাজ। এমন কোনও কাজ করা উচিত নয়, যা অন্যের অস্বস্তির কারণ হতে পারে। 

    প্রসঙ্গত, হিজরি ক্যালেন্ডারের ১২তম ও শেষ মাস ধুল হিজার দশমতম দিনে পালিত হয় ইদ-উল-আধা। আকাশে নতুন চাঁদ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন দেশে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা এই উত্‍সব পালন করেন। গোটা বিশ্বের মুসলিমরা এদিন নতুন জামাকাপড় পরে, ভালো ভালো রান্না করে, বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয় পরিজনের সঙ্গে এই দিনটি কাটান। ইদের প্রার্থনার পরেই কুরবানি দেওয়া হয়ে থাকে। কুরবানি দেওয়া পশুর মাংস তিন ভাগে ভাগ করেন মুসলিমরা। একটা ভাগ গৃহস্থ নিজে রাখেন, অন্য ভাগে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের মধ্যে ভাগ করে দেন এবং তৃতীয় ভাগটি দরিদ্রদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হয়।

    বখরি ইদে ছাগল, উট বা অন্য কোনও পশুকে বলি দিয়ে সেই মাংস গরীবদের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়ার প্রথা প্রচলিত আছে। ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে নিজের প্রিয় কিছু উত্‍সর্গ করাই হল কুরবানির ইদের মূল কথা। বকরি ইদ পালনের মধ্যে দিয়েই শেষ হয় মুসলিম ধর্মের অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য হজযাত্রা। আল্লাহের প্রতি আনুগত্য ও বিশ্বাস প্রদর্শনের উত্‍সব এটি। সত্যের পথে থাকতে সবকিছুরই বলিদান দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার বার্তাই বকরিদের কুরবানির মাধ্যমে দেওয়া হয়। ইদের আগে মানুষের মধ্যে সেই ত্যাগের বার্তাই পৌঁছে দিতে চেয়েছেন দিল্লির ইমামরা।

LinkedIn
Share