Tag: Myanmar Violence

Myanmar Violence

  • India-Bangladesh: মায়ানমার নিয়ে যৌথ পদক্ষেপের ঘোষণা, বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ডোভালের

    India-Bangladesh: মায়ানমার নিয়ে যৌথ পদক্ষেপের ঘোষণা, বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ডোভালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মায়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাসান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। মায়ানমারের গৃহযুদ্ধে ঘরছাড়া কয়েক হাজার সাধারণ নাগরিক আশ্রয় নিয়েছেন মিজোরাম-সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি রাজ্যে। মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় কামানের গোলায় ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকের। জুন্টা সমর্থক সেনা এবং বিদ্রোহী জোটের লড়াইয়ে পড়ে নাজেহাল সেখানকার বাসিন্দারা মায়ানমার ছাড়ছেন। এই পরিস্থিতিতে মায়ানমার নিয়ে ভারতের সঙ্গে বৈঠক করলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

    মায়ানমার প্রসঙ্গ

    বুধবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠকের পরে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘আঞ্চলিক নিরাপত্তার স্বার্থে মায়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করবে। এ বিষয়ে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। পরে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত কর্মপদ্ধতি ঠিক করা হবে।’’ বিদ্রোহী জোটের অগ্রগতি রুখতে ইতিমধ্যেই জনবসতিপূর্ণ এলাকায় নির্বিচার বিমানহানা শুরু করেছে মায়ানমার বায়ুসেনা। পাশাপাশি ভারত এবং বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া রাখাইন প্রদেশের বেশ কিছু জনপদে ভারী কামান থেকে গোলাবর্ষণও চলছে। ফলে সীমান্ত এলাকার সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে নয়াদিল্লি এবং ঢাকার। ভারতের মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড এবং বাংলাদেশের কক্সবাজার–বান্দরবান এলাকার সঙ্গে মায়ানমারের সীমান্ত রয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্রাণ বাঁচাতে মায়ানমারের নাগরিকরা পালিয়ে চলে আসছেন দু’দেশেই। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জও।

    দিল্লির মসনদে মোদিকেই চান হাসিনা

    মায়ানমার প্রসঙ্গ ছাড়াও এদিন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী জানান, দুই দেশের ক্রমবর্ধমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে ভারতের মসনদে ফের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদিকেই দেখতে চায় বাংলাদেশ। হাছান মাহমুদ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। এই উন্নয়ন অগ্রগতির ধারা বজায় রাখতে আঞ্চলিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি রক্ষার বিকল্প নেই। “

    বাংলাদেশে শেখ হাসিনার পনেরো বছর এবং ভারতে মোদির দশ বছরের শাসনামলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক বোঝাপড়া ছাড়াও পরিকাঠামো বিনিময়ে নজিরবিহীন অগ্রগতি হয়েছে।  দুই দেশ একে অপরকে তাদের বন্দর, রাস্তা ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে। ফলে বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। দু’দেশের নেতৃত্বই তাই মনে করেন, এই বিষয়ে অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে হলে নিজ নিজ দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Myanmar Rebel:  ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শহরের দখল নিল বিদ্রোহীরা! উদ্বিগ্ন মায়ানমার সরকার

    Myanmar Rebel: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শহরের দখল নিল বিদ্রোহীরা! উদ্বিগ্ন মায়ানমার সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তের অদূরে মায়ানমারের গুরুত্বপূর্ণ নদীবন্দর পালেতাওয়ার দখল করল সেখানকার বিদ্রোহীরা। রাখাইন প্রদেশের অন্তর্গত কালাদান নদীর তীরবর্তী ওই শহর  দখল করেছে মায়ানমারের শক্তিধর সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। ওই বন্দরের সাহায্যে ভারত ও বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য চালাত মায়ানমার। এই বন্দর বিদ্রোহীদের হাতে গেলে মানানমারের সামরিক জুন্টা সরকার আর্থিক ও বাণিজ্যিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে অনুমান কূটনীতিকদের। একই সঙ্গে এর ফলে নতুন করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শরণার্থীদের অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    মায়ানমারে বিদ্রোহ

    মায়ানমারের পশ্চিমাংশের রাখাইন প্রদেশ থেকে সশস্ত্র কার্যকলাপ পরিচালনা করে ‘আরাকান আর্মি’। মায়ানমারের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী— ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ)-র জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে সে দেশের সামরিক জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছে। বিদ্রোহীদের হামলার জেরে ইতিমধ্যেই সে দেশের অর্ধেক এলাকা সরকারি সেনার হাতছাড়া হয়েছে। বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির পক্ষ থেকে সোমবার জানানো হয়েছে, সীমান্তে স্থিতিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও তাঁরা প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার চেষ্টা চালিয়ে চালাবেন।’ সংগঠনের মুখপাত্র খিন থু খা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘পালেতাওয়ার প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব নেব আমরা।’’

    আরও পড়ুন: পাঞ্জাব সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে সেনার হাতে আসছে দেশীয় ড্রোন ‘দৃষ্টি-১০’

    আরাকান আর্মির দাবি

    বিষয়টি নিয়ে আপাতত মায়ানমার সরকারের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, পালেতাওয়ার অঞ্চলে গত সপ্তাহে মায়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং আরাকান আর্মির মধ্যে তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। তবে অধিকাংশ মানুষই চলতি মাসের গোড়ার দিকে পালেতাওয়া ছেড়ে চলে গিয়েছেন। স্থানীয় গ্রামে আশ্রয় নিয়েছেন। কয়েকজন বাসিন্দাই শুধুমাত্র পালেতাওয়ায় থেকে গিয়েছেন। যেখানে ইন্টারনেট এবং মোবাইল সংযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। মায়ানমারে গৃহযুদ্ধের জেরে ঘরছাড়া হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ , যার মধ্যে কয়েক হাজার আশ্রয় নিয়েছেন উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য মিজেরামে। উল্লেখ্য, মায়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে ২০১৫ সালে ওই পালেতাওয়া অঞ্চলে প্রথমবার পা রেখেছিল আরাকান আর্মি। যে অঞ্চলের অধিকাংশ বাসিন্দা আদতে চিন গোষ্ঠীর। যত দ্রুত সম্ভব পালেতাওয়া অঞ্চলে সুরক্ষা এবং আইনের শাসন কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন আরাকান আর্মির এক মুখপাত্র।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share