Tag: nabanna abhijan

nabanna abhijan

  •  Nabanna Abhijan: হুইল চেয়ারে করে নবান্ন অভিযান এসএসসি প্রার্থীর, হাওড়া ব্রিজেই আটকালো পুলিশ

     Nabanna Abhijan: হুইল চেয়ারে করে নবান্ন অভিযান এসএসসি প্রার্থীর, হাওড়া ব্রিজেই আটকালো পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে তীব্র তোলপাড়। তৃণমূলের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী থেকে নেতা, বিধায়ক এবং আমলা অনেকেই জেলে। অপর দিকে প্যানেলে নাম থাকা সত্ত্বেও যোগ্যপ্রার্থীরা নিয়োগ পাচ্ছেন না বলে ধর্মতলায় অবস্থান বিক্ষোভ করছেন এসএসসি, টেট উত্তীর্ণরা। প্রত্যেক দিনই যোগ্য প্রার্থীরা নিজেদের প্রাপ্য চাকরির জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দেখা করতে চাইছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী দেখা করছেন না বলে অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের। এবার বিশেষ ভাবে সক্ষম এক চাকরি প্রার্থী মালদা থেকে ৩৮৫ কিমি নিজের হুইল চেয়ারে করে নবান্নে অভিযান (Nabanna Abhijan) করলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে পুলিশ তাঁকে রাস্তায় আটকে দেয়। নিখিলের দাবি “ভিক্ষা করে জীবন কাটাতে চাই না। চাকরি চাই।”

    কে এই বিশেষ ভাবে সক্ষম প্রার্থী (Nabanna Abhijan)?

    শারীরিকভাবে বিশেষ সক্ষম উত্তর মালাদার বসিন্দা নিখিল সরকার। তিনি এসএসসি লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেছেন কিন্তু চাকরি মেলেনি। সেই সঙ্গে প্রাথমিক পরীক্ষা টেটেও পাশ করেছিলেন। এই বছর তাঁর বয়সের শেষ সীমা। পরের বছর থেকে আর চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন না। রাজ্যের নিয়োগ নেই, তাই হুইল চেয়ারেই চাকরির আশা নিয়ে হাওড়া ব্রিজ পাড় হয়ে যেতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। কিন্তু পুলিশ তাঁকে রাস্তায় আটকে দিয়েছে। যাওয়া হল না মুখ্যমন্ত্রীর (Nabanna Abhijan) কাছে। বলতে পারলেন না নিজের কথা।

    নিখিলের বক্তব্য

    মালদার বাসিন্দা নিখিল বলেন, “আমার এখন একটাই স্বপ্ন চাকরিটা লাগবে। আমি কোনও ব্যক্তিদের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে চাই না। দিদিকে এবার সামনাসামনি দেখাতে চাই।” মানসিক ভাবে অত্যন্ত শক্ত নিখিল। তিনি খুব মেধাবী ছাত্র ছিলেন। ছোট থেকেই তাঁর দুই পা তেমন ভাবে কাজ করেনা। হুইল চেয়ারই একমাত্র সম্বল। বাড়িতে এক দিদি রয়েছেন। তিনি দিদির সঙ্গেই থাকেন। নিখিল সমাজে সম্মানের পাত্র হয়ে বাঁচতে চান।

    গত ২৭ নভেম্বর মালদার মান্দাই গ্রাম থেকে নবান্নের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিলেন। কিন্তু এই বিশেষ ভাবে সক্ষম চাকরি প্রার্থী কী সত্যই নবান্নে (Nabanna Abhijan) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছাতে পারবেন? এটাই এখন বড় প্রশ্ন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu meets Meena Devi Purohit: পুলিশের আঘাতে আহত কাউন্সিলরের সঙ্গে দেখা করলেন শুভেন্দু 

    Suvendu meets Meena Devi Purohit: পুলিশের আঘাতে আহত কাউন্সিলরের সঙ্গে দেখা করলেন শুভেন্দু 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযানকে (Nabanna Abhijan) কেন্দ্র করে  উত্তাল হয় কলকাতা এবং হাওড়া। বিজেপি কর্মীদের আটকাতে জল কামান, কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে পুলিশ। লাঠি চার্জ করা হয়। বচসায় জড়ায় বিজেপি এবং পুলিশ। এই অশান্তির মাঝেই এমজি রোডে পুলিশের লাঠির আঘাতে মাথা ফাটে কলকাতা পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতের (Meena Devi Purohit)। তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছাড়াও পেয়ে যান হাসপাতাল থেকে। বৃহস্পতিবার মীনাদেবীকে দেখতে তাঁর আত্মীয়ের বাড়ি গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ভয়ে অন্ধ হয়ে গিয়েছেন, পুলিশ পিসি-ভাইপোর দাস নয়’’, ফের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা শুভেন্দুর 
     
    এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ওনাকে পুরুষ পুলিশ মেরেছে, আর আমার কাছে মহিলা পুলিশ পাঠিয়ে দিয়েছে। টি শার্ট জিন্স পরে একদম জগিং করতে করতে চলে এসেছে।” মঙ্গলবার অভিযান চলাকালীন বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন, “আপনার লেডি অফিসার আমার গায়ে হাত দিয়েছে। ও কেন আমার গায়ে কেন হাত ধর বে! ছবিগুলো থাকল।” মহিলা পুলিশকে গ্রেফতার করার দাবি করেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা, বিধায়কের রাস্তা আটকে পুলিশ মস্করা করছে বলেও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। ভিডিওতে শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, “আমার শরীর স্পর্শ করবেন না। আপনি মহিলা, আমি পুরুষ। আপনার সিনিয়রকে ডাকুন।” ওই মহিলা পুলিশ আধিকারিক উত্তরে বলেন, “আমি স্পর্শ করছি না। আপনি চলুন।”

    আরও পড়ুন: ‘‘রাজ্যটাকে উত্তর কোরিয়া বানিয়ে দিয়েছেন ‘লেডি কিম’…’’, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর  

    কলকাতা পুরসভার ৪ নম্বর বরোর অন্তর্গত ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত। নিয়োগ দুর্নীতি-সহ একাধিক দাবিতে ১৩ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, তিনদিক থেকে নবান্নে রওনা হয় বিজেপির মিছিল। বড়বাজার থেকে শুরু হওয়া মিছিলের সামনেই ছিলেন বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত। পুলিশ মিছিলে বাধা দিতেই তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। মাথা ফাটে কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতের। হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান মীনাদেবী পুরোহিত। নিজের বাড়িতে না গিয়ে সল্টলেকে ভাইয়ের বাড়িতে গিয়েছেন। বিজেপি নেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এদিন সেখানে যান শুভেন্দু অধিকারী। মীনাদেবী পুরোহিতের সঙ্গে কথা বলেন বিরোধী নেতা। শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ নেন। সেখান থেকেই নবান্ন অভিযানে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share