Tag: Nabapatrika

Nabapatrika

  • Durga Puja 2025: নবপত্রিকা আসলে নবদুর্গার প্রতীক! মহাসপ্তমীর প্রাতে সপ্তসিন্ধুর জলে হয় দেবীর মহাস্নান

    Durga Puja 2025: নবপত্রিকা আসলে নবদুর্গার প্রতীক! মহাসপ্তমীর প্রাতে সপ্তসিন্ধুর জলে হয় দেবীর মহাস্নান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহা সপ্তমীর (Maha Saptami) সকালে জলাশয় থেকে ঘটে করে নিয়ে আসা হয় জল। সেই জলেই হয় দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা। এই ঘটের সঙ্গেই স্নান করিয়ে নিয়ে আসা হয় নবপত্রিকাকে। নবপত্রিকা স্নান লোকমুখে কলাবউ (Kola Bou) স্নান হিসেবেই বেশি পরিচিত। সপ্তমীর (Durga Puja 2025) সকালে হয় নবপত্রিকার মহাস্নান। এদিন অষ্ট কলসের জলে স্নান করানো হয় দেবী দুর্গার প্রতীক নবপত্রিকাকে (Nabapatrika)। শাস্ত্রবিদদের মতে, এক সময় যখন দেবী প্রতিমার রূপকল্পনা হয়নি, তখন মানুষ দুর্গাপুজো করতেন নবপত্রিকা বসিয়ে। পরে মূর্তি কল্পনা হওয়ার পর তৈরি হয় মূর্তির। তার পর থেকে মহামায়ার সঙ্গে পুজো পেয়ে আসছেন নবপত্রিকাও (Nabapatrika)।

    অষ্ট কলসে থাকে বিভিন্ন তীর্থের জল

    অষ্ট কলসে থাকে বিভিন্ন তীর্থের (Durga Puja 2025) জল। সপ্তসিন্ধুর জলে হয় দেবীর মহাস্নান (Maha Snan)। এই সপ্তসিন্ধু হল গঙ্গা, যমুনা, গোদাবরী, সরস্বতী, নর্মদা, সিন্ধু এবং কাবেরী। এছাড়াও প্রয়োজন হয় আত্রেয়ী, সরযূ, ভারতী, কৌশিকা, ভোগবতী, মন্দাকিনী, গণ্ডকী এবং শ্বেত গঙ্গা নদীর জল। দেবীকে গরম জল এবং সুগন্ধী জলে স্নান করানোর রীতিও রয়েছে। এই স্নান শাস্ত্র মতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই যে আটটি কলসে করে দেবীকে স্নান করানো হবে, তার প্রতিটি কলসের জল দেবীর গায়ে ঢালার সময় আলাদা আলাদা বাজনা বাজানোর রীতি রয়েছে। অনেকে মনে করেন, যেহেতু নবপত্রিকা (Nabapatrika) মহামায়ারই একটি অংশ, তাই তাঁর স্নানের জল খুবই পবিত্র। অনেকে এই জল পান করেন দীর্ঘায়ু লাভের আশায়। নবপত্রিকা যেহেতু নানা দেবীর প্রতীক, তাই তাঁর এই স্নানজল অনেকে মাথায় ছড়ান। কারণ, লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, দেবীর স্নানজল তাঁকে প্রাকৃতিক এবং দৈবিক নানা বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করবে।

    কলা বউ আসলে কে

    দেবী দুর্গার (Durga Puja 2024) পরে যিনি সচরাচর লোকের চোখে পড়েন, তিনি হলেন কলাবউ। সাধারণ মানুষ ভাবেন, তিনি গণেশের স্ত্রী। আসলে কিন্তু তা নয়। কারণ, নবপত্রিকা থাকেন গণেশের ডান দিকে। হিন্দু মতে, স্ত্রী থাকবেন পুরুষের বাম পাশে। অর্থাৎ নবপত্রিকার সঙ্গে গণেশের কোনও সম্পর্কই নেই। তবে “কলা বউ” আসলে কার বউ? এক কথায় উত্তর হবে, শিব জায়া অর্থাৎ শিবের বউ। “কলা বউ” আসলে মা দুর্গার বৃক্ষ রূপ। তাই তিনি গণেশের স্ত্রী নন, বরং মা। এ প্রসঙ্গে জানা দরকার যে “কলা বউ” প্রচলিত নাম হলেও এটি ন’টি উদ্ভিদের সমষ্টি বা সমাহার। তাই “কলা বউ”-এর আসল নাম “নবপত্রিকা”।

    নবপত্রিকার (Nabapatrika) ৯ গাছ

    এই ন’টি উদ্ভিদের বর্ণনা রয়েছে এই শ্লোকটিতে-রম্ভা কচ্চী হরিদ্রাচ জয়ন্তী বিল্ব দাড়িমৌ। অশোক মানকশ্চৈব ধান্যঞ্চ নবপত্রিকা। রম্ভা (কলা), কচ্চী (কচু), হরিদ্রা (হলুদ), জয়ন্তী, বিল্ব (বেল), দাড়িম্ব (ডালিম), অশোক, মানকচু ও ধান গাছ। কলা-দেবী রম্ভার প্রতীক, কচু-দেবী কালিকার প্রতীক, হলুদ-দেবী দুর্গার প্রতীক, জয়ন্তী-দেবী কার্তিকীর প্রতীক, বেল-শিবের প্রতীক, বেদানা-রক্তদন্তিকার প্রতীক, অশোক-শোকরহিতার প্রতীক, অপরাজিতা-চামুণ্ডার প্রতীক এবং ধান-লক্ষ্মীর প্রতীক। নবপত্রিকায় একটি পাতা যুক্ত কলাগাছের সঙ্গে অপর আটটি উদ্ভিদকে শ্বেত অপরাজিতা লতা দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়। তার পরে পরানো হয় শাড়ি-সিঁদুর।

    কেন কলা বউ পুজো করা হয়?

    অতি প্রাচীন কাল থেকেই প্রকৃতি পুজো (Durga Puja 2024) ভারতীয় উপমহাদেশের রীতি। অগ্নি, জল, বায়ু, মাটি, পাহাড়, গাছ, নদী সব কিছুতেই ঈশ্বর বিরাজমান, এই ধারণা থেকেই “নবপত্রিকা” বা “কলা বউ”-এর পুজো। উদ্ভিদ প্রকৃতির সজীব অংশ। খাদ্যশস্য, নিঃশ্বাসের বাতাস, জীবনদায়ী ওষুধ-এ সবকিছুতেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে উদ্ভিদ। ভক্তদের কল্যাণকারী মা দুর্গা তাই অধিষ্ঠাত্রীদেবী নবপত্রিকার এই উদ্ভিদগুলিতে। তিনি সর্বত্র বিরাজমান। নবপত্রিকা মা দুর্গার বৃক্ষ রূপ হিসেবে পরিচিত। মহা সপ্তমীর সকালে “নবপত্রিকা”-র পুজোতে মন্ত্র পাঠ করা হয় “নবপত্রিকাবাসিন্যৈ নবদুর্গায়ৈ নমঃ” যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায় – নবপত্রিকা বাসিনী নবদুর্গা।

    নবপত্রিকার সঙ্গে দুর্গাপুজোর সম্পর্ক

    নবপত্রিকার সঙ্গে দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2024) সম্পর্ক নিয়ে পণ্ডিত মহলে নানা মত রয়েছে। মার্কণ্ডেয় পুরাণে নবপত্রিকার কোনও বিধান নেই। আবার কালিকা পুরাণে সপ্তমীতে “পত্রিকা” পুজোর উল্লেখ পাওয়া যায়। কৃত্তিবাসী রামায়ণে রামচন্দ্র কর্তৃক নবপত্রিকা পুজোর কথা আছে। “বাঁধিল পত্রিকা নববৃক্ষের বিলাস”। পণ্ডিতদের মত অনুযায়ী, সম্ভবত শবর সম্প্রদায় কোনও এক সময়ে ন’টি উদ্ভিদের মাধ্যমে মা দুর্গার পুজো করতেন। সেই থেকেই হয়তো “নবপত্রিকা” বা “কলা বউ” পুজো হয়ে আসছে। হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন ধর্মীয় রীতিনীতির বিষয়ে বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন ১৯৬১ সালের অ্যাকাডেমিক পুরস্কারপ্রাপ্ত গবেষক শশিভূষণ দাশগুপ্ত। নবপত্রিকা পুজোর বিষয়ে তিনি তাঁর “ভারতের শক্তি সাধনা ও শাক্ত সাহিত্য গ্রন্থের” ২৫-২৬ পাতায় লিখছেন, “বলা বাহুল্য এসবই হল পৌরাণিক দুর্গা দেবীর সঙ্গে এই শস্য দেবীকে (পড়ুন “নবপত্রিকা”) সর্বাংশে মিলিয়ে নেওয়ার এক সচেতন চেষ্টা। এই শস্য দেবী, মাতা পৃথিবীরই রূপভেদ। সুতরাং আমাদের জ্ঞাতে অজ্ঞাতে দুর্গা পুজোর ভিতরে এখনও সেই আদিমাতা পৃথিবীর পুজো, অনেক খানি মিশিয়া আছে “। যুগ যুগ ধরে হওয়া সেই প্রথা ও ঐতিহ্যকে এখনও ধরে রেখেছেন সকলে।

  • Durga Puja 2024: নবপত্রিকা হল নবদুর্গার প্রতীক, সপ্তসিন্ধুর জলে হয় দেবীর মহাস্নান!

    Durga Puja 2024: নবপত্রিকা হল নবদুর্গার প্রতীক, সপ্তসিন্ধুর জলে হয় দেবীর মহাস্নান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তমীর (Durga Puja 2024) সকালে হয় নবপত্রিকার মহাস্নান। এদিন অষ্ট কলসের জলে স্নান করানো হয় দেবী দুর্গার প্রতীক নবপত্রিকাকে (Nabapatrika)। শাস্ত্রবিদদের মতে, এক সময় যখন দেবী প্রতিমার রূপকল্পনা হয়নি, তখন মানুষ দুর্গাপুজো করতেন নবপত্রিকা বসিয়ে। পরে মূর্তি কল্পনা হওয়ার পর তৈরি হয় মূর্তির। তার পর থেকে মহামায়ার সঙ্গে পুজো পেয়ে আসছেন নবপত্রিকাও।

    অষ্ট কলসে থাকে বিভিন্ন তীর্থের জল (Durga Puja 2024)

    অষ্ট কলসে থাকে বিভিন্ন তীর্থের (Durga Puja 2024) জল। সপ্তসিন্ধুর জলে হয় দেবীর মহাস্নান। এই সপ্তসিন্ধু হল গঙ্গা, যমুনা, গোদাবরী, সরস্বতী, নর্মদা, সিন্ধু এবং কাবেরী। এছাড়াও প্রয়োজন হয় আত্রেয়ী, সরযূ, ভারতী, কৌশিকা, ভোগবতী, মন্দাকিনী, গণ্ডকী এবং শ্বেত গঙ্গা নদীর জল। দেবীকে গরম জল এবং সুগন্ধী জলে স্নান করানোর রীতিও রয়েছে। এই স্নান শাস্ত্র মতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই যে আটটি কলসে করে দেবীকে স্নান করানো হবে, তার প্রতিটি কলসের জল দেবীর গায়ে ঢালার সময় আলাদা আলাদা বাজনা বাজানোর রীতি রয়েছে। অনেকে মনে করেন, যেহেতু নবপত্রিকা মহামায়ারই একটি অংশ, তাই তাঁর স্নানের জল খুবই পবিত্র। অনেকে এই জল পান করেন দীর্ঘায়ু লাভের আশায়। নবপত্রিকা যেহেতু নানা দেবীর প্রতীক, তাই তাঁর এই স্নানজল অনেকে মাথায় ছড়ান। কারণ, লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, দেবীর (Nabapatrika) স্নানজল তাঁকে প্রাকৃতিক এবং দৈবিক নানা বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করবে।

    নবপত্রিকার ৯ গাছ (Durga Puja 2024)  

    নবপত্রিকা হল নবদুর্গার (Durga Puja 2024) প্রতীক। কলা গাছের সঙ্গে আরও আটটি গাছ, লতাপাতা থাকে। এই নটি গাছ হল, কলা-দেবী রম্ভার প্রতীক, কচু-দেবী কালিকার প্রতীক, হলুদ-দেবী দুর্গার প্রতীক, জয়ন্তী-দেবী কার্তিকীর প্রতীক, বেল-শিবের প্রতীক, বেদানা-রক্তদন্তিকার প্রতীক, অশোক-শোকরহিতার প্রতীক, অপরাজিতা-চামুণ্ডার প্রতীক এবং ধান-লক্ষ্মীর প্রতীক। এই নটি গাছ এবং লতাপাতাকে কলাগাছের খোল দিয়ে একসঙ্গে বাঁধা হয়। পরে জোড়া বেল দিয়ে তৈরি করা হয় দেবীর স্তন। তার পরে পরানো হয় শাড়ি-সিঁদুর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja: কোন কোন জলে নবপত্রিকাকে স্নান করানো হয় জানেন?  

    Durga Puja: কোন কোন জলে নবপত্রিকাকে স্নান করানো হয় জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহা সপ্তমী। ষষ্ঠ্যাদি কল্পে যাঁদের পুজো শুরু তাঁদের সপ্তমীতে হয় নবপত্রিকা (Nabapatrika) স্নান। তার ঠিক আগের দিন অর্থাৎ ষষ্ঠীর (Sasthi) রাতে হয় নবপত্রিকার অধিবাস। সপ্তমীর (Saptami) সকালে হয় নবপত্রিকার মহাস্নান। এদিন অষ্ট কলসের জলে স্নান করানো হয় দেবী দুর্গার (Goddess Durga) প্রতীক নবপত্রিকাকে।

    শাস্ত্রবিদদের একাংশের মতে, এক সময় যখন দেবী প্রতিমার রূপকল্পনা হয়নি, তখন মানুষ দুর্গাপুজো করতেন নবপত্রিকা বসিয়ে। পরে মূর্তি কল্পনা হওয়ার পর তৈরি হয় মূর্তির। তার পর থেকে মহামায়ার সঙ্গে পুজো পেয়ে আসছেন নবপত্রিকাও। এই নবপত্রিকা হল নবদুর্গার প্রতীক। কলা গাছের সঙ্গে আরও আটটি গাছ, লতাপাতা থাকে। এই নটি গাছ হল, কলা, দেবী রম্ভার প্রতীক, কচু, দেবী কালিকার প্রতীক, হলুদ, দেবী দুর্গার প্রতীক, জয়ন্তী, দেবী কার্তিকীর প্রতীক, বেল, শিবার প্রতীক, বেদানা, রক্তদন্তিকার প্রতীক, অশোক, শোকরহিতার প্রতীক, অপরাজিতা, চামুণ্ডার প্রতীক এবং ধান, লক্ষ্মীর প্রতীক। এই নটি গাছ এবং লতাপাতাকে কলাগাছের খোল দিয়ে এক সঙ্গে বাঁধা হয়। পরে জোড়া বেল দিয়ে তৈরি করা হয় দেবীর স্তন। তার পরে পরানো হয় শাড়ি-সিঁদুর।

    অষ্ট কলসে থাকে বিভিন্ন তীর্থের জল। সপ্ত সিন্ধুর জলে হয় দেবীর মহাস্নান। এই সপ্ত সিন্ধু হল গঙ্গা, যমুনা, গোদাবরী, সরস্বতী, নর্মদা, সিন্ধু এবং কাবেরীর জল। এছাড়াও প্রয়োজন হয় আত্রেয়ী, সরযূ, ভারতী, কৌশিকা, ভোগবতী, মন্দাকিনী, গণ্ডকী এবং শ্বেত গঙ্গা নদীর জল। দেবীকে গরম জল এবং সুগন্ধী জলে স্নান করানোর রীতিও রয়েছে। এই স্নান শাস্ত্র মতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই যে আটটি কলসে করে দেবীকে স্নান করানো হবে, তার প্রতিটি কলসের জল দেবীর গায়ে ঢালার সময় আলাদা আলাদা বাজানা বাজানোর রীতি রয়েছে। ধর্ম বিশ্বাসীদের একাংশের মতে, যেহেতু নবপত্রিকা মহামায়ারই একটি অংশ, তাই তাঁর স্নানের জল খুবই পবিত্র। অনেকে এই জল পান করেন দীর্ঘায়ু লাভের আশায়। নবপত্রিকা যেহেতু নানা দেবীর প্রতীক, তাই তাঁর এই স্নান জল অনেকে মাথায় ছড়ান। কারণ, লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, দেবীর স্নানজল তাঁকে প্রাকৃতিক এবং দৈবিক নানা বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Durga Puja 2022: কলাবউ গণেশের স্ত্রী নন, তিনি কে জানেন? 

    Durga Puja 2022: কলাবউ গণেশের স্ত্রী নন, তিনি কে জানেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠীর (Sasti) দিন বোধনের পরে দেবী উঠলেন জেগে। গ্রহণ করলেন আমন্ত্রণ। সপ্তমীর (Saptami) সকালে হবে তাঁর গৃহপ্রবেশ। সনাতন হিন্দু ধর্ম বিশ্বাসী মানুষ এভাবেই যুগে যুগে বরণ করে নিয়েছেন দেবী দুর্গাকে (Goddess Durga)। এই সপ্তমীর সকালে জলাশয় থেকে ঘটে করে নিয়ে আসা হয় জল। সেই জলেই হয় দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা। এই ঘটের সঙ্গেই নিয়ে আসা হয় নবপত্রিকাকে স্নান করিয়ে। নবপত্রিকা স্নান লোকমুখে কলাবউ স্নান হিসেবে পরিচিত।

    দেবী দুর্গার পরে যিনি সচরাচর লোকের চোখে পড়ে, তিনি কলাবউ। সাধারণ মানুষ ভাবেন, তিনি গণেশের স্ত্রী। আসলে তা নন। কারণ, নবপত্রিকা থাকেন গণেশের ডান দিকে। হিন্দু মতে, স্ত্রী থাকবেন পুরুষের বাম পাশে। অর্থাৎ নবপত্রিকার সঙ্গে গণেশের কোনও সম্পর্কই নেই। আসলে নবপত্রিকা হল নবদুর্গার প্রতীক। কলা গাছের সঙ্গে আরও আটটি গাছ, লতাপাতা থাকে। এই নটি গাছ হল, কলা, দেবী রম্ভার প্রতীক, কচু, দেবী কালিকার প্রতীক, হলুদ, দেবী দুর্গার প্রতীক, জয়ন্তী, দেবী কার্তিকীর প্রতীক, বেল, শিবার প্রতীক, বেদানা, রক্তদন্তিকার প্রতীক, অশোক, শোকরহিতার প্রতীক, অপরাজিতা, চামুণ্ডার প্রতীক এবং ধান, লক্ষ্মীর প্রতীক। এই নটি গাছ এবং লতাপাতাকে কলাগাছের খোল দিয়ে এক সঙ্গে বাঁধা হয়। পরে জোড়া বেল দিয়ে তৈরি করা হয় দেবীর স্তন। তার পরে পরানো হয় শাড়ি-সিঁদুর।

    আসলে দেবী দুর্গা এক অর্থে প্রকৃতির পুজো। যেসব প্রাকৃতিক গাছগাছড়া যুগে যুগে মানুষের উপকারে লেগে আসছে, বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতীক হিসেবে তাদের পুজো করা হয়। কারণ হিন্দুদের বিশ্বাস, প্রকৃতিই স্বয়ং শক্তি। মানবীর মতো তিনিও হন রজঃস্বলা। জন্ম দেন সন্তানের। সেই কারণেই দেবী দুর্গার সঙ্গে সঙ্গে পুজো হয় নবপত্রিকার। অনেক পরিবারে কেবল নবপত্রিকায়ই আরাধনা করা হয় দেবী দুর্গার। সেখানে প্রতিমা হয় না।

    কোনও কোনও শাস্ত্রবিদের মতে, এক সময় যখন দেবী প্রতিমা রূপকল্পনা হয়নি, তখন মানুষ দুর্গাপুজো করতেন নবপত্রিকা বসিয়ে। পরে মূর্তি কল্পনা হওয়ার পর তৈরি হয় মূর্তির। তার পর থেকে মহামায়ার সঙ্গে পুজো পেয়ে আসছেন নবপত্রিকাও। যেহেতু তিনি মহামায়ারই অংশ, তাই তিনি গণেশের স্ত্রী নন, বরং মা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share