Tag: Nadia

Nadia

  • Nadia: ভোটের আগেই বাড়ির কাছে তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন, প্রশ্নের মুখে পুলিশ

    Nadia: ভোটের আগেই বাড়ির কাছে তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন, প্রশ্নের মুখে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) থানারপাড়া থানা এলাকার মোক্তারপুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সাইদুল সেখ (৩৭)। তিনি তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। এই খুনের ঘটনার পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে কি না তা নিয়ে দলের আন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই খুন করেছে। শনিবার রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার (Nadia) থানারপাড়া থানা এলাকার মোক্তারপুর গ্রামে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাইদুলসাহেব সক্রিয়ভাবে দলীয় প্রার্থীর হয়ে খেটেছিলেন। মিটিং, মিছিলে তিনি নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন। লোকসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর হয়ে তিনি দেওয়াল লিখন শুরু করেছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার অন্যান্য দিনের মতোই কাজে গিয়েছিলেন সাইদুল। কিন্তু, নির্দিষ্ট সময়ে বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা তাঁকে ফোন করতে থাকেন। কিন্তু ফোনেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। এরপর শুক্রবার রাতেই পরিবারের সদস্যরা তাঁকে খুঁজতে বের হন। বাড়ির অদূরেই রক্তাক্ত অবস্থায় তৃণমূল কর্মীকে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। পরিবারের দাবি, সাইদুলের সারা শরীরে ক্ষত ছিল। রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে খুন করা হয়েছে। সাইদুলকে দ্রুত উদ্ধার করে নতিডাঙ্গা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় কংগ্রেস আশ্রীত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে পরিবার। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, পুরনো কোনও শত্রুতাতেই খুন হয়ে থাকতে পারেন সাইদুল। দলের কোন্দলের কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে। এর সঙ্গে কংগ্রেসের কোনও যোগ নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: দেড় বছর অপেক্ষা নয়, তার আগেই বিধানসভার ভোট, জনসভায় জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: দেড় বছর অপেক্ষা নয়, তার আগেই বিধানসভার ভোট, জনসভায় জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরো পরিবারটাই দুর্নীতিতে যুক্ত। এবার লোকসভায় যে আসন সংখ্যা বিজেপি পেতে চলেছে আর দেড় বছর অপেক্ষা করতে হবে না, তার আগেই বিধানসভা ভোট হবে। বুধবার নদিয়ার রানাঘাটে প্রকাশ্য জনসভা থেকে রাজ্য সরকারকে এভাবেই কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    মুখ্যমন্ত্রীর ভাই বাবুনকে নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    নদিয়ার দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে এদিন রানাঘাটে একটি জনসভার আয়োজন করা হয়। সেখানেই প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বক্তব্য দিতে গিয়ে  রাজ্য সরকারকে কড়া আক্রমণ করেন। এরপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারে এখন ভাগাভাগি নিয়ে ঝামেলা বেধেছে। ভাইপো বেশি পাবে, না ভাই বেশি পাবে তা সামলাতেই ব্যস্ত পিসি। পুরো পরিবারটাই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত।  ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিট এবং কালীঘাট সম্পূর্ণ দখল করে নিয়েছে মমতার পরিবার। শুধু তাই নয়। ক্রীড়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় মমতার পরিবার জোর করে দখল নিয়েছে। আর এই সম্পূর্ণটাই হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দৌলতে। মুখ্যমন্ত্রীর ভাই বাবুনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিজেপি সম্পর্কে আর একটাও কুকথা বলেন তাহলে গত দুইদিন ধরে বিজেপির সঙ্গে তিনি কী কী আলোচনা করেছেন তা সম্পূর্ণ ফাঁস করে দেব।

    আরও পড়ুন: সিএএ-র প্রতিবাদে শিলিগুড়িতে মহামিছিলের ডাক দিয়েও পিছিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী!

    সিএএ নিয়ে রাজ্যকে তোপ

    সিএএ নিয়েও রাজ্য সরকারকে কড়া আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, ২০১৯ সালে ঠাকুরবাড়িতে এসে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কথা দিয়েছিলেন তার ক্ষমতা শেষ হওয়ার আগেই তিনি সিএএ লাগু করে যাবেন। আর সেই কথা তিনি রেখেছেন। মতুয়া ঠাকুরবাড়ির দীর্ঘদিনের লড়াই আজ সফল হয়েছে। দেশের সকল সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরেছে এটা নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়, নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। রাজ্য সরকার যতই চক্রান্ত করুক কোনও কাজ হবে না। পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে আমরা যে সংখ্যক আসন পেতে চলেছি তাতে করে আর দেড় বছর বিধানসভা ভোটের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। তার আগেই বিধানসভা ভোট হবে। শুধু সবাইকে বলবো, তৃণমূলের মতো খারাপ ব্যবহার করবেন না। মাথা ঠান্ডা রাখবেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: অধ্যক্ষ বসন্ত উৎসবের টাকা টিএমসিপিকে দেওয়ায় কলেজে তীব্র বিক্ষোভ এবিভিপির

    Nadia: অধ্যক্ষ বসন্ত উৎসবের টাকা টিএমসিপিকে দেওয়ায় কলেজে তীব্র বিক্ষোভ এবিভিপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়া সুধীর রঞ্জন লাহিড়ী মহাবিদ্যালয়ে বসন্ত উৎসবের অনুষ্ঠানের দখল কে নেবে, এই নিয়েই আজ বিবাদ চরমে ওঠে। এভিবিপি ছাত্রদের অভিযোগ, “বসন্ত উৎসবের টাকা টিএমসিপির হাতে তুলে দিয়েছেন কলেজ অধ্যক্ষ। এটা রাজনৈতিক পক্ষপাত।” উল্লেখ্য, গত শুক্রবার এই কলেজে পতাকা লাগিয়ে ক্যাম্পাসের দখল নেয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। টিএমসিপি-র এই দৌরাত্ম্যের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ জানায় এভিবিপি। কলেজে পাল্টা আজ পতাকা লাগায় এভিবিপি। এরপর কলেজ ক্যাম্পাসে ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসে পুলিশ।

    টিএমসিপি-র দুষ্কৃতী বাহিনীর দৌরাত্ম্য (Nadia)

    আজ সুধীর রঞ্জন লাহিড়ী মহাবিদ্যালয়ে (Nadia) টিএমসিপি-র দুষ্কৃতী বাহিনীর দৌরাত্ম্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করল এবিভিপি। বিক্ষোভরত ছাত্রদের বোঝাতে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় প্রিন্সিপালকে। প্রিন্সিপালকে ঘিরে ছাত্র-ছাত্রীরা বিক্ষোভ দেখা যায়। অপরদিকে তৃণমূলের বহিরাগত দুষ্কৃতীরা কলেজের মধ্যে লাঠি নিয়ে প্রবেশ করলে মুহূর্তের মধ্যেই কলেজ ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ এসে এভিবিপির আন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনায় বসে। এরপর উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানা গিয়েছে।

    এবিভিপির বক্তব্য

    কলেজের এবিভিপি নেতা পাপন বিশ্বাস কলেজ (Nadia) অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “অধ্যক্ষ নিজে তৃণমূলের পক্ষপাত করছেন। টিএমসিপিদের জোর করে বসন্ত উৎসব করার সুযোগ করে দিয়েছেন। তিনি এখানে কাটমানি খেতে আসেননি। আমাদের না জানিয়ে বসন্ত উৎসবের টাকা তুলে দিয়েছেন। এই বিষয় আমরা আপত্তি জানাই। আমরা এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে তীব্র ধিক্কার জানাই। কালেজে ছাত্র সংসদ নেই বলেই অধ্যক্ষ এইভাবে শাসকের পক্ষাবলম্বন করলেন। অবিলম্বে আমরা ছাত্র সংসদের নির্বাচন চাই।”

    প্রিন্সিপালের বক্তব্য

    কলজের (Nadia) প্রিন্সিপাল দীপঙ্কর ঘোষ বলেন, “আমি কলেজকে ঠিক ভাবে পরিচালনা করতে চাই। আমি কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষে এবং বিপক্ষে নেই। নিজেদের দলীয় পতাকা লাগানোর অধিকার সকলের রয়েছে। তবে যেহেতু কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়নি, তাই এই মুহূর্ত ক্যাম্পাস সকলের। আমি উভয় পক্ষকে পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার আবেদন জানাবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jagannath Sarkar: ‘রাজ্যের জন্য থমকে কৃষ্ণনগর-করিমপুর রেল প্রকল্পের কাজ”, বললেন জগন্নাথ সরকার

    Jagannath Sarkar: ‘রাজ্যের জন্য থমকে কৃষ্ণনগর-করিমপুর রেল প্রকল্পের কাজ”, বললেন জগন্নাথ সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণ করলেই নদিয়ার  কৃষ্ণনগর- করিমপুর এবং কৃষ্ণনগর- নবদ্বীপ ঘাট রেল পরিষেবার জন্য রেল  লাইন বসানোর দ্রুতগতিতে শুরু হবে। এই প্রকল্পের জন্য রেলের কাছে পর্যাপ্ত অর্থ মজুত রয়েছে। মঙ্গলবার রানাঘাট স্টেশনে এক ‘স্টেশন এক পণ্য’ স্টল উদ্বোধন করতে এসে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার (Jagannath Sarkar)।

    এক স্টেশন এক পণ্য প্রকল্প চালু

     রেল দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রেল দফতর তরফে গোটা দেশজুড়ে প্রতিটি স্টেশনে শুরু হতে চলেছে ‘এক স্টেশন এক পণ্য’ । সেখান থেকে যাবতীয় সুবিধা পাবে নিত্যযাত্রীরা। শুধু তাই নয় শারীরিক সমস্যা দেখা গেলে জরুরি পরিস্থিতিতে যে সমস্ত ওষুধের প্রয়োজন সেগুলো সেই স্থল থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন যাত্রীরা। গোটা দেশজুড়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। এদিন নদিয়ার রানাঘাট স্টেশনে সেই স্টল এবং ঠান্ডা পানীয় জলের কল উদ্বোধন করলেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার (Jagannath Sarkar)। উপস্থিত ছিলেন রানাঘাটের বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় সহ রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এই প্রকল্পের উদ্বোধন করে জগন্নাথ সরকার ওই স্টল থেকে যাত্রীদের আরো উৎসাহ বাড়াতে নিজেই দুটি তাঁতের শাড়ি সংগ্রহ করেন। এরপরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিটি যাত্রীরা উপকৃত হবেন। পাশাপাশি যারা স্টল খুলবেন তারাও উপকৃত হবেন।

    আরও পড়ুন: তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করল বিজেপি

    রাজ্য সরকারের জন্য ঝুলে রয়েছে করিমপুর রেল প্রকল্পের কাজ (Jagannath Sarkar)

    কৃষ্ণনগর থেকে করিমপুর রেল পরিষেবা চালু করা প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার (Jagannath Sarkar) বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে দিল্লিতে বসে রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। করিমপুর পর্যন্ত যে রেললাইন চালু করার কথা তার অনুমোদন হয়ে আছে। রাজ্য সরকার যদি জমি অধিগ্রহণ করে দেয় তাহলে দ্রুতগতিতে কাজ শুরু হবে। ফলে, জমি জটের কারণে এই প্রকল্পের কাজ করা যাচ্ছে না। রেল দফতর সবরকমভাবে প্রস্তুত রয়েছে। আসলে রাজ্য সরকারের জন্য থমকে রয়েছে কৃষ্ণনগর- করিমপুর রেল প্রকল্পের কাজ। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, এই জমি জটের কারণেই নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত এখনও রেল পরিষেবা চালু করা গেল না। তবে, রাজ্য সরকারের সহযোগিতা পেলেই রেল দফতর কাজ শুরু করবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করল বিজেপি

    Nadia: তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল থানায়। অভিযোগ করলেন বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র রাজর্ষি লাহিড়ী । প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করলেও পরবর্তীকালে অভিযোগ জমা নেয় পুলিশ। মঙ্গলবার নদিয়ায় (Nadia) কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায় তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ে।

    প্রার্থী পদ বাতিলের দাবি (Nadia)

    মূলত দিন কয়েক আগে একটি অডিও ভাইরাল হয়। যেখানে শোনা যায়, নদিয়ায় (Nadia) দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বলেন মহুয়া মৈত্র বলছেন, দেওয়াল দখল করে নিন, নিমপাতা দিয়ে হলেও ভোট করাতে হবে। মূলত এই অডিও ভাইরাল হওয়ার পরে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। নিমপাতা মানে কী বোঝাতে চাইছেন নেত্রী? এই প্রশ্ন তুলে এবার থানায় অভিযোগ করে বিজেপি। তাঁর প্রার্থী পদ বাতিলের আবেদন জানানো হয়। বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র রাজর্ষি লাহিড়ী বলেন, এই বক্তব্যে স্পষ্ট হচ্ছে কীভাবে এই লোকসভা ভোটে সন্ত্রাস চালাবে তৃণমূল। যেখানে একজন মহিলা প্রার্থী তাঁর দলের কর্মীদের এই নির্দেশিকা জারি করছেন। এর পাশাপাশি তাঁরা জানিয়েছে পুলিশ প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আমরা অবিলম্বে হাইকোর্টে যাব। আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাবো। প্রয়োজন হলে তাঁর অডিও নমুনা পরীক্ষা করতে হবে। যদি সত্যিই তৃণমূল প্রার্থী এই ধরনের মন্তব্য করে থাকেন তাহলে অবিলম্বে তাঁর প্রার্থী পদ বাতিল করার আবেদন জানানো হবে।

    আরও পড়ুন: ‘রাজ্যের জন্য থমকে কৃষ্ণনগর-করিমপুর রেল প্রকল্পের কাজ”, বললেন জগন্নাথ সরকার

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    এ বিষয় নিয়ে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি। ফলে, তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তৃণমূলের জৈব ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি দফতরের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, কৃষ্ণনগর লোকসভায় হেরে যাওয়া শুধু বিজেপির সময়ের অপেক্ষা। তাই ওরা আতঙ্কে ভুগছে। বাজারে দুর্নাম ছড়ানোর জন্য নিজেরাই এগুলো তৈরি করে ভাইরাল করছে। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এসব করে বিজেপি মানুষের আরও আস্থা হারাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CAA:“সিএএ আটকানোর ক্ষমতা নেই মমতার”, তোপ দাগলেন রানাঘাটের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ

    CAA:“সিএএ আটকানোর ক্ষমতা নেই মমতার”, তোপ দাগলেন রানাঘাটের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সংসদে ২০১৯ সালে আমি প্রথম উদ্বাস্তু বাঙালিদের নাগরিকত্ব দেবার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলাম। আমি খুব খুশি যে আজ সিএএ লাগু হয়েছে। সিএএ (CAA) আটকানোর ক্ষমতা নেই মমতার”, কেন্দ্র সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে কার্যকর করার নির্দেশ জারি করতেই ঠিক এই ভাবে প্রতিক্রিয়া দিলেন রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। সেই সঙ্গে নির্দেশিকা জারি হওয়ার পরেই আবির খেলায় মেতে উঠলেন সাংসদ সহ বিজেপি কর্মী সমর্থক এবং মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরা।

    ২০১৯ সালে পাশ হয়েছিল সিএএ আইন (CAA)

    কয়েক দশক ধরেই নাগরিকত্ব নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে তরজা চলছিল। গত ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর নরেন্দ্র মোদি সরকার সংসদে এই সিএএ (CAA) বিল পাশ করায়। এরপর রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে দেশের আইনে পরিণত হয়। এরপর গতকাল কার্যকর করার নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র সরকার। যদিও নির্দেশিকা জারি হতেই বিরোধিতা করতে দেখা গেল রাজ্যে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। তবে এদিন সুবিশাল মিছিলের মধ্য দিয়ে আবির খেললেন রানাঘাটের সংসদ তথা এবারে লোকসভার প্রার্থী জগন্নাথ সরকার।

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী?

    রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন, “এর আগে যখন সিএএ বিল পাস হয়, তখন কেন্দ্র সরকারের সংস্থাগুলিতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন রেল স্টেশন ভাঙচুর করা হয়েছিল, এমনকী ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন যারা পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ করে এসেছে, তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন-বিদ্রোহ করে সিএএ আইনকে কীভাবে বাতিল করা যায়। কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হয়নি। তখনও আমি বলেছিলাম মমতার ক্ষমতা নেই ট্রেনে আগুন জ্বালিয়ে এই আইন বন্ধ করার। আমি কেন্দ্র সরকারকে স্বাগত জানাচ্ছি। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার হয়ে এদেশে বসবাস করছেন এবং মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ, তাঁরা প্রত্যেকেই নাগরিকত্ব পাবেন, তার গ্যারান্টি আমি দিচ্ছি।”

    আর উদ্বাস্তু হয়ে থাকতে হবে না

    নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, “সিএএ চালু হওয়ায় হিন্দু বাঙালিদের আর উদ্বাস্তু হয়ে থাকতে হবে না। এই আইন চালু হওয়ায় আমরা সকলেই খুশি। এর আগেও কংগ্রেস কেন্দ্র সরকারে থাকাকালীন বহুবার আশ্বাস দিয়েছিল, কিন্তু কার্যকর কিছুই হয়নি। বিজেপি কথা দিয়েছিল, সেই কথা রেখেছে। আজ থেকেই সকলে নাগরিকত্ব পেতে চলেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ranaghat: “গদ্দারকে কেউ বিশ্বাস করবে না”, মুকুটমণি প্রার্থী হতেই তোপ জগন্নাথের

    Ranaghat: “গদ্দারকে কেউ বিশ্বাস করবে না”, মুকুটমণি প্রার্থী হতেই তোপ জগন্নাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও বড় ব্যবধানে জিতবো। তৃণমূল এই গদ্দার মুকুটমণি অধিকারীকে কেউ বিশ্বাস করবে না। তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণার পর কড়া আক্রমণ করলেন রানাঘাটের (Ranaghat) বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। তিনি বলেন, ভোটে আরও ভালো ফলাফল হবে। সাধারণ মানুষের কোনও উপকার করেনি মুকুটমণি। তাই এবার ওই এলাকার বিজেপি কর্মীরা আরও ভালোভাবে নির্বাচনে লড়াই করতে পারবে।

    তৃণমূল ডুবন্ত নৌকা (Ranaghat)

    ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে রাজ্যের ৪২ টি আসনে লোকসভা প্রার্থী ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেস। একের পর এক চমকও রয়েছে সেই প্রার্থী তালিকায়। তবে, রানাঘাট (Ranaghat) লোকসভা কেন্দ্রে সদ্য বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান করা এবং রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীকে প্রার্থী নির্বাচিত করল তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও তার  সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপির রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ  জগন্নাথ সরকার। সুতরাং,এবছর ভোটের লড়াই হাড্ডাহাড্ডি হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তার কারণ মুকুটমণি অধিকারী এবং জগন্নাথ সরকারকে নিয়ে বিজেপির দ্বন্দ্ব এর আগেই প্রকাশ্যে এসেছে। তারপরেই মুকুটের দলবদল এবং রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে তার প্রার্থী হওয়ার কারণ। জগন্নাথ বলেন, তৃণমূল দল এখন ডুবন্ত নৌকা। এখানে সবাই চোর। যারা আদর্শ বিজেপি কর্মী তারা কখনও বিজেপি ছেড়ে অন্য দলে যোগদান করে না। তাঁর মস্তিষ্ক সুস্থ রয়েছে বলে আমার মনে হয় না। তবে, এর প্রভাব লোকসভা ভোটে পড়বে না।

    গদ্দারকে কেউ বিশ্বাস করবে না

    তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরই রানাঘাট (Ranaghat) লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী  মুকুটমণি অধিকারীকে স্বাগত জানিয়ে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন, অন্য কেউ ভোটে দাঁড়ালে হয়তো জয়ের ব্যবধানটা এক লক্ষ হত। তবে, মুকুট ভোটে দাঁড়ানোর কারণে ব্যবধানটা দু লক্ষ পেরিয়ে যাবে। কারণ, তৃণমূল এই গদ্দার মুকুটমণি অধিকারীকে কেউ বিশ্বাস করবে না। আর সাধারণ মানুষ তৃণমূলের দুর্নীতি এবং তাদের হিংস্রতা চোখের সামনে দেখেছে। শুধু তাই নয় মুকুটমণি অধিকারীকে অনভিজ্ঞ, অপরিণত,লোভী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবেও অভিহিত করেন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ‘তালিবানি কায়দায় তৃণমূল সন্দেশখালিতে সন্ত্রাস চালিয়েছে’, বিস্ফোরক মুক্তার আব্বাস নাগভি

    Nadia: ‘তালিবানি কায়দায় তৃণমূল সন্দেশখালিতে সন্ত্রাস চালিয়েছে’, বিস্ফোরক মুক্তার আব্বাস নাগভি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তালিবানি কায়দায় তৃণমূল সন্দেশখালিতে সন্ত্রাস চালিয়েছে। যারা সন্ত্রাস চালিয়েছে তাদের উৎসাহ যুগিয়েছে এই তৃণমূল সরকার। রবিবার নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরে একটি বেসরকারি লজে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুক্তার আব্বাস নাগভি।

    মোদির নেতৃত্বে উন্নয়নের জোয়ার চলছে (Nadia)

    তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির সাংসদ ছিলেন এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের দায়িত্ব পালন করেছেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগর কেন্দ্রকে পাখির চোখ করে লড়াইয়ে নামছে বিজেপি। মূলত, কর্মীদের আরও উৎসাহ বাড়াতে এদিন তিনি কৃষ্ণনগরে আসেন। একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন তিনি। তিনি বলেন, বিজেপি একমাত্র দল যেখানে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে গোটা দেশজুড়ে উন্নয়নের জোয়ার চলছে। কমিউনিস্ট পার্টি এবং তৃণমূল কংগ্রেস সবাই ভাঁওতাবাজির দল। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই নদিয়ার দুই লোকসভা কেন্দ্রে  প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল। কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে গতবারের জয়ী প্রার্থী মহুয়া মৈত্র ওপর আস্থা রেখেছে তৃণমূল। মহুয়া মৈত্র সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পর রাজনৈতিক বিতর্কে সৃষ্টি হয়েছিল। জল্পনা হচ্ছিল, তিনি কি আবারও লোকসভার টিকিট পাবেন কিনা। অন্যদিকে সদ্য বিজেপি থেকে আশা বিধায়ক মুকুটমনি অধিকারীকে রানাঘাটের লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করল তৃণমূল। দিন কয়েকের মধ্যেই লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। এরআগে রানাঘাট কেন্দ্র বিজেপির দখলে থাকলেও কৃষ্ণনগর ছিল তৃণমূলের দখলে। সেই কারণেই কৃষ্ণনগরকে পাখির চোখ করে রাস্তায় নামছে বিজেপি।

    তৃতীয়বারের জন্য বিজেপি ক্ষমতায় আসতে চলেছে

    কিছুদিন আগেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি জনসভা করে গেছেন কৃষ্ণনগরে। শুধু তাই নয় বেশ কয়েক মাস ধরেই রাজ্য নেতৃত্ব একাধিকবার নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগর বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন বৈঠক করেছে তাদের উৎসাহ বাড়াতে। এবার সেই উৎসাহের পারদ আরও বাড়াতে কৃষ্ণনগরে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় নেতা মুক্তার আব্বাস নাগভি। সেই সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন তিনি। তিনি বলেন, এর আগে হয় রিমোট কন্ট্রোলের সরকার চলেছে, না হয় রোবট দিয়ে সরকার চালানো হয়েছে। গত দশ বছর ধরে এমন একটি সরকার চলছে যাদের রোবট কিংবা রিমোট কিছুই নেই। নিজের শক্তিতে তৃতীয়বারের জন্য সরকারে আসতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ‘বাংলার কাশী’ শিবনিবাস, শিবরাত্রিতে ছুটে আসেন হাজার হাজার ভক্ত

    Nadia: ‘বাংলার কাশী’ শিবনিবাস, শিবরাত্রিতে ছুটে আসেন হাজার হাজার ভক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথিত আছে মহাদেবের স্বপ্নাদেশেই তৎকালীন সময় ১০৮টি শিবমন্দির তৈরি করেছিলেন নদিয়ার (Nadia) রাজা কৃষ্ণচন্দ্র। শিবনিবাস নদিয়ার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বাংলার ইতিহাস খ্যাত ও পুরাকীর্তি সমৃদ্ধ এক প্রাচীন স্থান। এখানেই রয়েছে দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবলিঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গে নদিয়া জেলার এই শিবনিবাসকে বাংলার কাশী বলা হয়। শিবরাত্রি উপলক্ষে শুক্রবার দেশজুড়ে বিভিন্ন শিব মন্দিরের পাশাপাশি কৃষ্ণগঞ্জের শিবনিবাস শিবমন্দিরেও শিবরাত্রি পালিত হচ্ছে। হিন্দু ধর্মে মহা শিবরাত্রি তিথির এক বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। পুণ্যার্থীরা মনস্কামনা পূরণের জন্য এদিন নানা ধর্মীয় ক্রিয়াকর্মের মধ্যে দিয়ে শিবের ব্রত পালন করেন। একইভাবে এদিন শিবনিবাস মন্দিরে দিনভর চলে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান। দূর দূরান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দ ছুটে আসেন মন্দির প্রাঙ্গনে। ভক্তবৃন্দদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরো মন্দির চত্বর ঘিরে রাখা হয় কড়া পুলিশি প্রহরায়।

    শিবরাত্রি উপলক্ষে মেলার আয়োজন (Nadia)

    এছাড়াও শিবরাত্রি উপলক্ষে শিবনিবাস মন্দির সংলগ্ন এলাকায় মেলার আয়োজন করা হয়। মেলাকে ঘিরেও উপস্থিত স্থানীয় ও বহিরাগত মানুষজনদের বাড়তি উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়। এই মন্দিরের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে চুর্ণী নদী। জনশ্রুতি আছে যে, দেবাদিদেব শিবের স্বপ্নাদেশের পর মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র তাঁর নতুন রাজধানী কৃষ্ণগঞ্জে স্থাপন করেছিলেন এবং ১০৮ টি মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। তবে ইতিহাসবিদরা আরও কিছু যুক্তি দিয়েছেন। কেউ কেউ বলেন, আঠারো শতকের মাঝামাঝি মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র বহিরাগত শত্রু মারাঠাদের আক্রমণের হাত থেকে তাঁর রাজধানী কৃষ্ণনগরকে বাঁচানোর জন্য চূর্ণী নদীর ধারে অবস্থিত কৃষ্ণগঞ্জের শিবনিবাস (Nadia) এলাকা বেছে নেন এবং আক্রমণকারীদের থেকে তিনি সুরক্ষিত থাকেন। তাঁর রাজধানী স্থানান্তরিত হওয়ার পরে মহারাজা সম্ভবত এই জায়গাটির নাম ‘শিবনিবাস’ করেন। লোকেদের বিশ্বাস, এটি মহাদেব নিজেই করেছেন। আবার অনেকে বলেন, এই নামটি তাঁর পুত্র শিবচন্দ্রের নামে রাখা হয়েছিল।

    দ্বিতীয় উচ্চতম শিবলিঙ্গ (Nadia)

    মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজত্বকালে (১৭২৮-১৭৮২) বাংলায় সাংস্কৃতিক বিপ্লব হয়েছিল। তাঁর জ্ঞান, শিক্ষা ও সংস্কৃতি তাঁকে বাংলার সাংস্কৃতিক ইতিহাসে একটি অনন্য স্থান দিয়েছে। তাঁর নবরত্ন (নয়টি রত্ন) সভা এখনও বাংলার সাংস্কৃতিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই মন্দিরের (Nadia) ছাদ ঢালু এবং গম্বুজবিশিষ্ট, যা ঐতিহ্যবাহী বাঙালি প্রাচীন পরম্পরাকে অনুসরণ করে না। এই মন্দিরে রয়েছে পোড়ামাটি কাজ। তেমনি রয়েছে ইসলামিক ও গথিকের কাজ। এখানে সবচেয়ে বড় শিব মন্দিরটি বুড়ো শিব নামে পরিচিত। চূড়া সমেত মন্দিরের উচ্চতা ১২০ ফুট। মন্দিরের ভিতরের শিবলিঙ্গটি দ্বিতীয় উচ্চতম শিবলিঙ্গ। এছাড়াও শিবনিবাসের অন্যান্য মন্দিরগুলি রাজ রাজেশ্বর মন্দির, রগনিশ্বর মন্দির, রাম-সীতা মন্দির, বুড়ো শিব মন্দির নামে পরিচিত। 

    তিনটি মন্দিরের অস্তিত্ব (Nadia)

    যদিও বর্তমানে এখানে ১০৮ টির মধ্যে মাত্র তিনটি মন্দিরের অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়। যার মধ্যে একটিতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবলিঙ্গ রয়েছে। পাশাপাশি এখানে রাম-সীতা মন্দিরের সঙ্গে রয়েছে আরও দুটি শিব মন্দির এবং কৃষ্ণচন্দ্রের প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ, যা মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের (Nadia) প্রাচীন ইতিহাসের ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share