Tag: Nadia

Nadia

  • Nadia: ইভটিজারদের হামলায় খুন! নিষ্ক্রিয় পুলিশ, প্রতিবাদে দেহ নিয়ে রাতভর জাতীয় সড়ক অবরোধ

    Nadia: ইভটিজারদের হামলায় খুন! নিষ্ক্রিয় পুলিশ, প্রতিবাদে দেহ নিয়ে রাতভর জাতীয় সড়ক অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর সময় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করেছিলেন বছর চব্বিশের শুভ দাস। আর তারপরই তিনি হামলার শিকার হন। টানা কয়েকদিন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে তিনি হেরে যান। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছিল নদিয়ার (Nadia) হরিণঘাটার বিরহী এলাকায়। শনিবার রাতে হাসপাতাল থেকে দেহ এলাকায় আসতেই পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের মূল সড়ক যোগাযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় হরিণঘাটা থানার পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Nadia)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ায় (Nadia) হরিণঘাটা থানার বিরহীর বাসিন্দা শুভ দাস পুজোর মধ্যে এক দিন বাড়ির কাছের পুজোমণ্ডপে বসেছিলেন। তিনি দেখতে পান, কয়েক জন মত্ত যুবক এক মহিলাকে উত্যক্ত করছেন। শুভ তাঁদের বাধা দেন। ইভটিজারদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় তাঁর। কিছুক্ষণ পর অবশ্য এলাকা ছেড়ে চলে যায় ইভটিজাররা।  অভিযোগ, পরে শুভ যখন বাইক চালিয়ে অন্যত্র যাচ্ছিলেন, তখন ওই ইভটিডজারা তাঁর পিছনে ধাওয়া করে।  বাইকে লাথি মেরে তাঁকে রাস্তায় ফেলে দেন। স্থানীয় বাসিন্দারা রক্তাক্ত অবস্থায় শুভকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করানো হয় কলকাতার হাসপাতালে। তারপর থেকে কলকাতায় চিকিৎসাধীন ছিলেন শুভ। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। গত শুক্রবার শুভর মৃত্যু হয়। এরপরেই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। শনিবার দেহ এলাকায় ফিরলে তা নিয়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে চলতে থাকে বিক্ষোভ। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    বিক্ষোভকারীদের কী বক্তব্য?

    বিক্ষোভকারীরা বলেন, পুজোর মধ্যে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করতে এলাকার ছেলে খুন হল। পুলিশে জানানোর পরও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার যদি এই অবস্থা হয় তা হলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? আগামীদিনে রাস্তা অন্যায় হলেও কেউ প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসবে না। আমাদের দাবি, অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: শিশু নির্যাতন-নারী ধর্ষণ রুখতে একরত্তি কন্যাকে মা লক্ষ্মী রূপে আরাধনা বাগচি দম্পতির

    Nadia: শিশু নির্যাতন-নারী ধর্ষণ রুখতে একরত্তি কন্যাকে মা লক্ষ্মী রূপে আরাধনা বাগচি দম্পতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাজে শিশু নির্যাতন এবং নারী ধর্ষণ রোধ করতে নিজের সাড়ে তিন বছর কন্যাকে, মা লক্ষ্মী রূপে পুজো করে অভিনব উপায়ে প্রতিবাদ জানালেন বাগচি দম্পতি। এমন পুজো কার্যত সামজিক সচেতনতার প্রতীক। এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়েছে, নদিয়া জেলার (Nadia) ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কৃষ্ণগঞ্জ থানার নাঘাটা পাড়ায়। মা লক্ষ্মীর এই অভিনব পুজোতে খুশির উচ্ছ্বাস এলাকায়।

    কন্যাকে মা লক্ষ্মী রূপে পুজো (Nadia)

    লক্ষ্মী পূর্ণিমার পুণ্য তিথিতে, সারা বিশ্ব যখন ধন-সম্পদ লাভের আশায় ব্রতী, ঠিক সেই মুহূর্তে নিজের সাড়ে তিন বছর বয়সী একরত্তি শিশু কন্যাকে, দেবী লক্ষ্মী রূপে ধর্মীয় রীতি মেনে পুজো করলেন বাবা-মা। সেই সঙ্গে, পৃথিবী থেকে শিশু নির্যাতন ও নারী ধর্ষণের মতো অসামাজিক ঘটনা যাতে আর না ঘটে, তার জন্য প্রার্থনা করলেন এই বাগচি দম্পতি। নাঘাটা (Nadia) এলাকার বাগচি পরিবারের ঠাকুর ঘরের সিংহাসনে, মা লক্ষ্মীর প্রতিকৃতি রয়েছে। মায়ের সামনেই এদিন নিজের শিশু কন্যা অরিত্রিকা বাগচিকে, মা লক্ষ্মীর রূপে সজ্জিত করে, পুরোহিত ডেকে পুজো করলেন তাঁরা।

    কন্যার মায়ের বক্তব্য

    নদিয়ার (Nadia) পুজো প্রসঙ্গে, কন্যা অরিত্রিকা বাগচির মা ঝুমা বাগচি বলেন, “মেয়ে সন্তানকে পরিবারের লক্ষ্মী হিসাবে দেখছি আমরা। নারী হল মাতৃশক্তির আরেক রূপ। মূলত সেই কারণেই মা লক্ষ্মীর মৃন্ময়ী মূর্তির বদলে, ঘরের মেয়েকেই আমরা মা লক্ষ্মী হিসাবে আরাধনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” পাশাপাশি নিজের মেয়েকে ভগবান রূপে আরাধনা করার মধ্যে দিয়ে, সমাজ থেকে শিশু-নারী নির্যাতনের মতো অমানবিক ঘটনার, চিরতরে অবলুপ্তির আহ্বান জানিয়েছেন পরিবার।

    কন্যার বাবার বক্তব্য

    বহুক্ষেত্রে গ্রাম বাংলার বহু জায়গায় বাস্তব জীবনে মেয়েদের পিছন সারিতে ফেলে রাখার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। তাই কন্যা অরিত্রিকা বাগচির বাবা অর্জুন বাগচি বলেন, “কন্যা সন্তানদের প্রতি ভ্রান্ত ধারণা ও অসামাজিক মনোভাবকে মুছে দিতে হবে। নারীদের প্রতি সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।”

    দুর্গা পুজোকে কেন্দ্র করে কুমারী পুজোর প্রচলন থাকলেও, কোনও শিশু কন্যাকে লক্ষ্মী রূপে আরাধনা করার ঘটনা এখনও পর্যন্ত নজিরবিহীন। বাগচি দম্পতির এই কর্মকাণ্ডকে স্বচক্ষে দেখে, নাঘাটার (Nadia) বাড়িতে এইদিন ভিড় জমান আশেপাশের প্রতিবেশীরাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: ডেঙ্গিতে স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনেই অ্যাসিড খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা স্ত্রীর

    Dengue: ডেঙ্গিতে স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনেই অ্যাসিড খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা স্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গিতে (Dengue) আক্রান্ত হয়ে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। সেই শোক সামলাতে না পেরে অ্যাসিড খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন স্ত্রী। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার হাঁসখালির বেনালি গ্রামে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম বিকাশ হালদার। তাঁর বয়স ছিল ৫৩ বছর। তিনি বগুলা হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মী হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর স্ত্রীর নাম প্রীতি হালদার। তাঁকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার গভীর রাতে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁর অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dengue)

    প্রায় এক সপ্তাহ ধরে জ্বরে ভুগছিলেন বিকাশবাবু। বগুলা হাসপাতালে তিনি কাজেও গিয়েছিলেন। তবে, এক সপ্তাহ পরেও সুস্থ হচ্ছিলেন না দেখে জ্বর এবং গলাব্যথার উপসর্গ নিয়ে বগুলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয় তাঁকে। জ্বর না কমায় রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। রক্ত পরীক্ষার পর জানা যায়, তাঁর ডেঙ্গি (Dengue) হয়েছে। ডেঙ্গির চিকিৎসার জন্য তাঁকে বগুলা হাসপাতাল থেকে রানাঘাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রক্তে প্লেটলেট অস্বাভাবিক হারে কমতে থাকে। বহু চেষ্টার পরও প্লেটলেট বৃদ্ধি পায়নি। মঙ্গলবার বিকেলে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় বিকাশবাবুর। শোকে ভেঙে পড়েন তাঁর স্ত্রী প্রীতি হালদার। স্বামীর মৃত্যু মেনে নিতে না পেরে অ্যাসিড খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন প্রীতি। বিকাশের মৃত্যুর পর গ্রামের বাড়ি থেকে বগুলা হাসপাতালে তাঁর মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক থেকে শুরু করে হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। পরে শেষকৃত্যের জন্য বিকাশের দেহ হাসপাতাল থেকে সরাসরি স্থানীয় শ্মশানঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়।

    মৃতের পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    বিকাশবাবুর ভাই প্রসেনজিৎ হালদার বলেন, দাদা বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিল। রক্ত পরীক্ষা করে জানা যায় যে তার ডেঙ্গি (Dengue) হয়েছে। অনেক চেষ্টা করেও তাকে বাঁচানো যায়নি। দাদার মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছতেই বউদি অ্যাসিড খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। দাদার মৃত্যুর পর বউদি এভাবে আত্মহত্যার চেষ্টা করবে, তা ভাবতেও পারিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: নদিয়ায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সক্রিয় কর্মী বাইক চুরির পান্ডা! এতদিন পুলিশ কী করছিল?

    Nadia: নদিয়ায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সক্রিয় কর্মী বাইক চুরির পান্ডা! এতদিন পুলিশ কী করছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ায় (Nadia) তৃণমূল  ছাত্র পরিষদের সক্রিয় কর্মী এখন গাড়ি চুরির পান্ডা। সেই কর্মীকে গ্রেফতার করে একাধিক মোটরবাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম মনিরুল দফাদার। প্রসঙ্গত শান্তিপুরের মনিরুল একনিষ্ঠ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী। শান্তিপুর কলেজে ছাত্র সংসদে তার যাতায়াত ছিল নিয়মিত। কলেজের নেতাদের সঙ্গে ওঠা বসা ছিল তার। সব কিছুর আড়ালে সে মোটরবাইক চুরি  করত বলে অভিযোগ।

    গাড়ি চুরির পান্ডা কীভাবে জানা গেল? (Nadia)

    গত এক সপ্তাহ আগে নদিয়ার (Nadia) বাদকুল্লা সবজি বাজার থেকে একটি বাইক চুরি হয়। একটি দোকানের সিসি ক্যামেরা দেখে থানার পুলিশ মনিরুলকে গ্রেফতার করে। অপর দিকে, মনিরুল মোটর সাইকেল যার কাছে বিক্রি করেছিল, পুলিশ তাকেও গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার করেছে বাইকও। ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে জানতে পারে মনিরুলই হল চক্রের পান্ডা। সে মোটরবাইক চুরি করে বিক্রি করত। শান্তিপুর থেকে আরও দু’টি চোরাই মোটরবাইক উদ্ধার করে পুলিশ। শান্তিপুর, ফুলিয়া, বাদকুল্লা সহ একাধিক বাইক চুরির ঘটনার সঙ্গে সে জড়িত। সে কোথায় কোথায় চুরি করা বাইক বিক্রি করত তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। সব চুরি চুরি যাওয়া মোটরবাইক উদ্ধারের চেষ্টা কাছে চালাচ্ছে পুলিশ। মনিরুল তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী হওয়াতে ঘটনায় বিপাকে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। পাশাপাশি শান্তিপুর কলেজে যাতে আগামীতে মনিরুল প্রবেশ করতে না পারে সেই আশ্বাসও তারা হয়। দিয়েছেন। শান্তিপুর কলেজ থেকে বেশ কিছু মোবাইল চুরি হয়েছে। এখন সকলের সন্দেহ মনিরুলই সে সব করেছে।

    বিরোধীদের কী বক্তব্য?

    বিরোধী দলের নেতাদের বক্তব্য, তৃণমূল দলটা কেমন তা আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল। এই ধরনের বড় সড় চুরি চক্রের পান্ডা ওই তৃণমূল কর্মী। এরাই দলের সম্পদ। অবিলম্বে পুলিশের ওই তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: পুজোর আগেই নদিয়ার আমঘাটা-কৃষ্ণনগর রেললাইন দিয়ে ছুটলো মালগাড়ি, জেলাজুড়ে খুশির হাওয়া

    Nadia: পুজোর আগেই নদিয়ার আমঘাটা-কৃষ্ণনগর রেললাইন দিয়ে ছুটলো মালগাড়ি, জেলাজুড়ে খুশির হাওয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরেই নদিয়ার (Nadia) আমঘাটা থেকে কৃষ্ণনগর রেললাইনের উপর দিয়ে ছুটলো মালগাড়ি। দীর্ঘদিন ধরেই কৃষ্ণনগর থেকে আমঘাটা পর্যন্ত রেললাইন পাতা ছিল। কিন্তু, বছরের পর বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও সেই রেললাইন থেকে ছোটেনি ট্রেন। অবশেষে ফের একবার মালগাড়ি নিয়ে ডিজেল রেল ইঞ্জিন ছুটতে দেখা গেল কৃষ্ণনগর নবদ্বীপ লাইনে।

    প্রকল্পের কী অবস্থা? (Nadia)

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে পূর্ব রেলের নদিয়ার (Nadia)  নবদ্বীপ ঘাট শান্তিপুর ন্যারোগেজ লাইনটিকে ব্রডগেজ এ রূপান্তর করার কাজ শুরু হয়েছিল। ওই বছরই ১৭ই জানুয়ারি সেই ন্যারোগেজ লাইনে ট্রেন ছুটেছিল শেষবারের মতো। মোট ২৯ কিলোমিটার এ ন্যারোগেজ লাইনটি প্রথম ধাপে শান্তিপুর থেকে কৃষ্ণনগর জংশন পর্যন্ত বড় লাইনে রূপান্তর হয়। এরপর শুরু হয় কৃষ্ণনগর থেকে নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত ন্যারোগেজ লাইনটিকে ব্রডগেজ লাইনে পরিবর্তন করার কাজ। তবে কৃষ্ণনগর থেকে নবদ্বীপ ব্লকের আমঘাটা পর্যন্ত নির্বিঘ্নে ব্রডগেজ লাইনের কাজ সম্পন্ন হয়ে যায়। পরে, বেশ কিছু জমি জটের কারণে আমঘাটা থেকে নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় চার কিলোমিটার অংশে এখনও পর্যন্ত রেললাইন পাতা সম্ভব হয়ে ওঠেনি বলেই খবর রেলসূত্র মারফত।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    প্রায় ১৩ বছর পর নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগর থেকে নবদ্বীপ ঘাটের লাইনে ট্রেন চলতে থেকে খুশি স্থানীয় এলাকার মানুষজনেরাও। দীর্ঘ তেরো বছর পর আবার এই দৃশ্য দেখতেই অনেকেই ক্যামেরা বন্দী করে রাখলেন সেই স্মৃতিকে। দীর্ঘদিন ওই লাইন পড়ে থাকার পর অবশেষে বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই শুরু হয়েছে জোরকদমে সংস্কারের কাজ। রেল লাইনের পাশেই রয়েছে নবদ্বীপ ঘাট- কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়ক, ঠিক তেমনি রেললাইনের অপরপ্রান্তে শুরু হয়েছে আরও একটি ঢালাই রাস্তার কাজ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন এই রেলপথ পুনরায় চালু হলে উপকৃত হবেন নিত্য যাত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা সকলেই। তারা প্রত্যেকেই চান এই রেলপথ পুনরায় চালু হোক। শনিবার সকালের দিকে নতুন রেল প্যানেল বাহী একটি বিরাট কৃষ্ণনগর থেকে আমঘাটার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। দীর্ঘদিন ধরে ওই ১২ কিলোমিটার পথে রেললাইন পড়ে থাকার কারণে সেটি খারাপ হয়ে গিয়েছে এবং সেই কারণেই পুনরায় নতুন করে রেল প্যানেল বসবে আমঘাটা পর্যন্ত, এমনটাই জানা যাচ্ছে রেলের তরফ থেকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Death: ডেঙ্গিতে মুর্শিদাবাদ-নদিয়ায় মৃত ২! টনক নড়ছে না প্রশাসনের, আতঙ্কিত রাজ্যবাসী

    Dengue Death: ডেঙ্গিতে মুর্শিদাবাদ-নদিয়ায় মৃত ২! টনক নড়ছে না প্রশাসনের, আতঙ্কিত রাজ্যবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই পুজো, কিন্তু ডেঙ্গির ভয়াবহতা কমছে না। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ। রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue Death) নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রত্যেক দিন এই মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুও ঘটছে। অথচ প্রশাসনের হুঁশ নেই। সরকারের স্বাস্থ্য দফতর এবং পুরসভাগুলি কার্যত মুখে কুলুপ দিয়ে বসে রয়েছে বলে অভিযোগ। ডেঙ্গিতে মৃত্যু নিয়ে কোনও বক্তব্য যেমন নেই, তেমনি রোগ সংক্রমণ নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকা নিষ্ক্রিয়। নেই কোনও সামজিক দায়িত্ব। তাই সাধারণ মানুষ অসন্তোষ প্রকাশ করছে প্রশাসনের নিরুদ্ধে।

    গত ৫ অক্টোবর নদিয়ায় মাত্র পনেরো বছরের এক কিশোরের ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়। বিষয়টি গতকাল প্রকাশ্যে এসেছিল। ইতিমধ্যে আজ মুর্শিদাবাদে আরও এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গিতে। রাজ্য জুড়ের ডেঙ্গির থাবায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকা নিয়ে বার বার উঠছে প্রশ্ন।

    মুর্শিদাবাদে ডেঙ্গিতে মৃত্যু (Dengue Death)

    মুর্শিদাবাদের সুতি দফাহাট এলাকায় ডেঙ্গিতে (Dengue Death) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল বছর ৫০-এর আরতি সাহা নামে এক গৃহবধূর। জানা গেছে, গত ৩ দিন আগে শরীরে অসহ্য ব্যথা ও জ্বর নিয়ে আরতি সাহাকে মহিশাইল ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে পরিবার। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রক্ত পরীক্ষার পর ধরা পড়ে ডেঙ্গি পজেটিভ। কিন্তু রোগীর অবস্থার অবনতি হতেই গতকাল স্থানান্তরিত করা হয় জঙ্গিপুর হাসপাতালে। এরপর গভীর রাতে চিকিইসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। এখনও শরীরে জ্বর ও ব্যথা নিয়ে মহিশাইল ব্লক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন গ্রামের বেশ কিছু মানুষ। ডেঙ্গিতে মৃত্যুর ফলে পুজোর আগে নতুন ভাবে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। ডেঙ্গিতে মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লেও হেলদোল নেই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের। দেখা মেলেনি প্রশাসনের কোনও জনপ্রতিনিধিদের। তাই এলাকার মানুষ শাসক দলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

    নদিয়ায় কিশোরের মৃত্যু ডেঙ্গিতে

    সূত্রে জানা গেছে, নদিয়ার গাংনাপুরে পশ্চিম গোপীনগরের বাসিন্দা রনি দেবনাথের মৃত্যু হয় ডেঙ্গিতে (Dengue Death)। গত ৩ অক্টোবর তার ডেঙ্গি পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। শরীরে সেই সঙ্গে ছিল প্রচুর জ্বর। অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে চাকদা, এরপর বনগাঁ হাসপাতাল এবং শেষে বেলেঘাটা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। প্লেটলেট নামতে থাকায় শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যায়। আর এরপর মৃত্যু হয় তার।

    বেসরকারি সূত্রে খবর

    বেসরকারি সূত্রে জানা গেছে, গত জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ৫০ হাজার জন মানুষ রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যা ৫৮। অধিকাংশ পুরসভা কোনও রকম হেল্প লাইন প্রকাশ করেনি। ৬৫ বছরের বেশি বয়স্ক ভেক্টর কন্ট্রোল কর্মীদের বদলে নতুন কর্মী নিয়োগ করেনি। ফলে ডেঙ্গি প্রতিরোধে লোকের অভাবে সঠিক ভাবে কাজ হচ্ছে না। প্রশাসনও সঠিক দায়িত্ব পালন করছে না বলে সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: হাতে আইফোন,পায়ে দামী জুতো, বাইক হাঁকিয়ে ত্রিপল নিতে হাজির বিডিও অফিসে!

    Nadia: হাতে আইফোন,পায়ে দামী জুতো, বাইক হাঁকিয়ে ত্রিপল নিতে হাজির বিডিও অফিসে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রিপল দেওয়ার কথা। বিডিও অফিস থেকে সেই ত্রিপল বিলি করার কথা ছিল। কিন্তু, প্রাপকদের পোশাক, চালচলন দেখে হতবাক হয়ে যান নদিয়ার (Nadia) করিমপুর-২ বিডিও অফিসের কর্মীরা। ত্রিপল বিলি স্থগিত করে দেওয়া হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    কয়েকদিনের বৃষ্টিতে যাদের বাড়ি, গোয়ালঘর ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের ত্রাণ দেওয়ার কথা ছিল। সেই মতো নদিয়ার (Nadia) করিমপুর-২ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় পঞ্চায়েতের মাধ্যমে জানানো হয়েছিল। বিডিও অফিস থেকে সেই ত্রিপল বিলি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, বাস্তবে দেখা গেল বিডিও অফিসে ত্রিপল নেওয়ার প্রাপকের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। আর প্রাপকদের তালিকায় এমন অনেকে রয়েছে, যাদের হাতে আইফোন রয়েছে, কেউ দামী বাইক, পায়ে দামী জুতো, ব্রান্ডেড কোম্পানির জামাও অনেকে পড়ে রয়েছেন। কেউ আবার চার চাকা হাঁকিয়ে ত্রিপল নেওয়ার জন্য বিডিও অফিসে হাজির হয়েছেন। বিডিও অফিসের এক কর্মী বলেন, বহুদিন ধরেই এই বিডিও অফিসে রয়েছি। সামান্য ত্রিপল নেওয়ার জন্য যারা বিডিও অফিসে এসেছিলেন, তাঁদের ত্রাণের প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। ফলে, এই অবস্থায় ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রিপল বিলি করার কর্মসূচি স্থগিত রাখা হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ যাচাই করার পর প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে ত্রাণ তুলে দেওয়া হবে।

    কী বললেন করিমপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি?

    নদিয়ার (Nadia) করিমপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি সাজিজুল হক শা বলেন, গরিব মানুষদের ত্রিপল দেওয়ার জন্য বিডিও অফিসে শিবির করা হয়েছিল। সেখানে ত্রিপল নেওয়ার জন্য যারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তাঁদের দেখে আমরা তাজ্জব হয়ে গিয়েছিলাম। দেখে কাউকে গরিব পরিবারে লোকজন মনে হচ্ছিল না। কেন  তারা সামান্য ত্রিপল নেওয়ার জন্য এভাবে বিডিও অফিসে হাজির হলেন তা্ বুঝতে পারলাম না। অগত্যা আমি এ নিয়ে বিডিও সাহেবের সঙ্গে দেখা করে সমস্ত বিষয়টি বলি। আমাদের বৈঠকের পরে ঠিক হয়েছে, আবেদনপত্রগুলো সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে দিয়ে যাচাই করানোর পর ত্রাণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Nadia: ক্ষুদ্র শিশিতে দুর্গা এঁকে তাক লাগিয়েছেন নদিয়ার তুহিন, প্রশংসা কুড়িয়েছেন লণ্ডনের

    Nadia: ক্ষুদ্র শিশিতে দুর্গা এঁকে তাক লাগিয়েছেন নদিয়ার তুহিন, প্রশংসা কুড়িয়েছেন লণ্ডনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একজন শিল্পীর জীবনে হাজার ঝড় বৃষ্টি বয়ে গেলেও ইচ্ছে শক্তি একদিন পৌঁছে দেয় সাফল্যের দৌড়গোড়ায়। সংসারে অভাব অনটন পিছু না ছাড়লেও সবকিছু উপেক্ষা করেও হোমিওপ্যাথি ওষুধে ব্যবহারকারী ক্ষুদ্র কাঁচের শিশির ভেতরে দুর্গা প্রতিমা এঁকে এক অনন্য নজর গড়লেন নদিয়ার (Nadia) চাপড়ার বড় আন্দুলিয়া এলাকার অঙ্কন শিল্পী তুহিন মণ্ডল।

    বাবার ইচ্ছেপূরণে হাতে তুলি ধরেছিলেন শিল্পী

    শিল্পী তুহিনের বাবা আব্দুল মুজিব মণ্ডল একজন অঙ্কন শিল্পী ছিলেন, তাঁর ইচ্ছে ছিল সন্তান বড় হয়ে তার মত একজন শিল্পী হবে। বাবাকে দেখেই হাতে তুলি ধরেন তিনি। আর এই সংসার চালানোর ক্ষেত্রে অনেক ঝড় ঝাপট তার মাথার উপর দিয়ে গেছে, কিন্তু তিনি পিছুপা হননি। ২২ বছর ধরে তিনি এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। জানা গেছে, মাত্র কয়েক মাস আগে পেট দিয়ে রবীন্দ্রনাথের মূর্তি এঁকে নদিয়া (Nadia) থেকে সারা বিশ্বের দরবারে পৌঁছে গিয়েছিলেন তুহিন, লণ্ডনের একটি সংস্থা তাঁকে শংসাপত্র দিয়েছে। প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ধরে নতুন নতুন শিল্পভাবনাকে তুলির টানে ফুটিয়ে তোলেন তিনি। তবে, হোমিওপ্যাথির একটি ক্ষুদ্র শিশির ভেতরে এইভাবে যে দুর্গা প্রতিমা আঁকা যায় তা কখনও ভাবতে পারছেন না পাড়া প্রতিবেশীরা। স্ত্রী বলেন, প্রতিদিন রাত জেগে শিল্প কলার কাজ করেন স্বামী। তাঁর মতো একজন স্বামী পেয়ে আমি গর্বিত। ছোট মেয়ে লুসি মণ্ডল বলেন, বাবা আমার কাছে আদর্শ। বাবার হাতের কাজ দেখে আমরা হতবাক হয়ে যায়।

    কী বললেন শিল্পী?

    গর্বের সুরে তুহিন বলেন, আমার এই শিল্পকলার জন্য বিদেশ থেকে শংসাপত্র পাব তা ভাবতে পারিনি। একটা সময় আমার সাংসারিক অসচ্ছলতার কারণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম, কিন্তু, কাজের জন্য আমার এখন পরিচিত বেড়েছে। এখন নদিয়ার (Nadia) জেলার বিভিন্ন প্রান্তের অনেক পরিবারের কচিকাঁচারা আমার কাছে ছবি আঁকা শিখতে আসেন, যা এখন সংখ্যায় প্রায় ৫০০ রেও বেশি। তবে লণ্ডনের একটি সংস্থা শংসাপত্র দেওয়াই জীবনের সবথেকে মূল্যবান জিনিস লাভ করেছি। আগামীদিনে এই শিল্পকলার মধ্যে দিয়ে জীবনে আরও প্রতিষ্ঠিত হতে চান তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: বেনারসের ১০ সন্ন্যাসী জলঙ্গি নদীর বিলে সন্ধ্যারতি করবেন ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত

    Durga Puja 2023: বেনারসের ১০ সন্ন্যাসী জলঙ্গি নদীর বিলে সন্ধ্যারতি করবেন ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার ধুবুলিয়ার চৌগাছা হাঁসাডাঙ্গা। এখানকার প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে সবুজের মাঝে গড়ে উঠেছে ‘মা দুর্গা আশ্রম’। সেখানকার শান্ত পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে দেশের দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ছুটে আসেন মন্দির প্রাঙ্গণে (Durga Puja 2023)। দুর্গা মন্দিরটি গড়ে উঠেছে জলঙ্গি নদীর একটি সুবিশাল বিলের পার্শ্ববর্তী এলাকায়। পাশাপাশি মন্দির চত্বরে রয়েছে রংবেরঙের বাহারি ফুলের বাগান। এছাড়াও রয়েছে একাধিক আম ও পেয়ারার বাগান। সব মিলিয়ে ছোট-বড় গাছগাছালি দিয়ে সাজানো মা দুর্গা আশ্রমের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও নান্দনিকতা নজর কাড়ে দর্শনার্থী থেকে শুরু করে আবালবৃদ্ধবণিতাদের। পাশাপাশি দূর দূরান্ত থেকে মন্দির প্রাঙ্গনে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে মন্দিরের এক ধারে রয়েছে নিরামিষ রেস্তোরাঁ। যেখানে সারা বছরই রকমারি নিরামিষ খাবারের সম্ভার লক্ষ্য করা যায়।

    মানুষজন ছুটে আসেন দূর-দূরান্ত থেকে

    ধুবুলিয়ার চৌগাছা হাঁসাডাঙ্গা এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পার্শ্ববর্তী মা দুর্গা আশ্রমের মনোমুগ্ধকর পরিবেশে সময় কাটাতে সারা বছরই কমবেশি মানুষজন ছুটে আসেন দূর-দূরান্ত থেকে। বর্তমানে শরতের আগমন জানান দিয়ে যায় বিল সংলগ্ন এলাকায় গজিয়ে ওঠা ফুরফুরে সাদা মেঘের মতো কাশফুলের বাহার। যা মন্দিরের পরিবেশকে আরও দৃষ্টিনন্দন করে তুলছে। মন্দির প্রাঙ্গনে সারা বছরই মা দুর্গার আরাধনা (Durga Puja 2023) হয়। তবে দুর্গোৎসবের ক’দিন দেবী দুর্গার মূর্তি মন্দিরের বাইরে নিয়ে এসে পূজা-অর্চনা করেন ভক্তরা। তবে চলতি বছরে পুজোর বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে সুদূর বেনারস থেকে ১০ সদস্যের এক সন্ন্যাসী দল এসে মহা ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত (Durga Puja 2023) জলঙ্গি নদীর বিলে সন্ধ্যারতি করবেন। যা আশ্রমের এই বছরের পুজোর দিনগুলি স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে বহিরাগত দর্শনার্থীদের কাছে আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে বলে দাবি মন্দির কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের।

    ভোলানাথের মূর্তির সামনে হবে সন্ধ্যারতি

    আশ্রমের এক কর্মী বিদ্যুৎ ঘোষ বললেন, এখানে প্রতিদিন সকাল এবং সন্ধ্যায় পুজো হয়। সন্ধ্যায় হয় আরতি (Durga Puja 2023)। বাইরে থেকে বহু মানুষ আসেন এই মন্দির দর্শন করতে। সন্ধ্যায় আমরা তাঁদের হাতে ফল প্রসাদ তুলে দিই। একদিন মিষ্টান্নও দেওয়া হয়। এখানেই রয়েছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক, বিলে নৌকাও চলে। বাচ্চারা এলে খুবই উপভোগ করতে পারে। চারদিকে রয়েছে নানা ফুল গাছে ঘেরা বাগান। রয়েছে ফলের গাছ। তিনি জানান, দুর্গাপুজোয় এমন হয়েছে, একেক দিন ৫ হাজার লোক এসেছেন। জলে বাবা ভোলানাথের মূর্তির সামনে হবে সন্ধ্যারতি। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: চ্যালেঞ্জ করতেই হাঁসুয়া নিয়ে আক্রমণ, বিএসএফের গুলিতে ঝাঁঝরা বাংলাদেশি চোরাচালানকারী

    Nadia: চ্যালেঞ্জ করতেই হাঁসুয়া নিয়ে আক্রমণ, বিএসএফের গুলিতে ঝাঁঝরা বাংলাদেশি চোরাচালানকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হল বাংলাদেশি এক চোরাচালানকারীর। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার মধ্য রাতে নদিয়ার (Nadia) ভীমপুর থানার অন্তর্গত রাঙিয়াপোতা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। মৃতের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। বয়স আনুমানিক ৪০ বছর। বিএসএফ রাতেই গুলিবিদ্ধ দেহটি কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    বাধা পেয়েই গুলি (Nadia)

    সূত্রের খবর, বুধবার রাতে একদল বাংলাদেশি এদেশে ভীমপুর থানার (Nadia) রানিয়াপোতা বিওপি’র অধীনস্থ এলাকা দিয়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছিল। তখন ওই এলাকায় কর্মরত এক বিএসএফ কর্মী বাধা দিতে গেলে তাকে ঘিরে ফেলে এবং ধারালো হাসুয়া দিয়ে তার ওপর আক্রমণ চালাতে যায়। এরপর ওই বিএসএফ কর্মী গুলি চালাতে শুরু করে। পালাবার সময় গুলিতে জখম হয় একজন। পরে আরও বিএসএফ কর্মী ঘটনাস্থলে জমায়েত হয়ে ওই এলাকায় তল্লাশি করার সময় একটি ঝোপের মধ্যে ওই ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে বিএসএফ কর্মীরা এবং সেখানে তল্লাশি করার সময় উদ্ধার হয় এক বস্তা নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ। তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় জেলা হাসপাতালে। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে জানান। গুলি তার পায়ে লাগে। তার পর মৃতদেহ পুলিশমর্গে রাখা হয় ময়নাতদন্ত জন্য। বিএসএফের পক্ষ থেকে ভীমপুর থানায় সীমান্ত দিয়ে নিষিদ্ধ মাদক পাচারকারী হিসেবে একটি মামলা রুজু করা হয়। ওই ব্যক্তির পরিচয় কী এবং সঙ্গে কারা কারা ছিল, সমস্তটা জানার চেষ্টা করছে ভীমপুর থানা পুলিশ।

    একের পর এক ঘটনা

    উল্লেখ্য, সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা বারবার রুখে দিয়েছে বিএসএফ। কয়েকদিন আগেও বিএসএফের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছিল এক পাচারকারীর। ঘটনাটি ঘটেছিল নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ বর্ডার এলাকার (Nadia)। গভীর রাতে নোনাগঞ্জ বর্ডার এলাকায় এক পাচারকারী সীমান্তে থাকা কাঁটাতার কাটছিল। তখন বিএসএফের তরফ থেকে তাকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়। অভিযোগ, ঠিক তখনই ওই পাচারকারী বিএসএফকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপর বিএসএফের তরফ থেকেও তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। ওই পাচারকারীর গায়ে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। যদিও পরবর্তীকালে তাকে উদ্ধার করে কৃষ্ণগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    তারও আগে ধানতলা থানার (Nadia) দত্তপুলিয়ায় ফেন্সিং না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইছামতী নদীর ব্রিজের নিচ দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে ৬ থেকে ১০ টি গরু পাচার করার চেষ্টা করেছিল পাচারকারীরা। অভিযোগ, বিএসফের জওয়ানরা গরু পাচারকারীদের আটকাতে গেলে পাচারকারীরা বিএসএফকে লক্ষ্য করে পাথর ও বোমা ছোড়ে। পরে বিএসএফ কাউন্টার ফায়ার করলে বেশ কয়েকজন গরু পাচারকারী আহত হয়। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশ পালিয়ে গেলেও ধরা পড়ে যায় এক গরু পাচারকারী। তাকে পরবর্তীকাল ধানতলা পুলিসের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ।

    পিছনে বড় বড় গাং

    বিএসএফের পাচারকারীদের এটা কোনও প্রথম ঘটনা নয়। গরু পাচার থেকে শুরু করে সোনার বিস্কুট সহ একাধিক জিনিস কখনও বাংলাদেশ থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে (Nadia), আবার কখনও ভারতের বর্ডার পার করে বাংলাদেশে পাচার হয়। বড় বড় গ্যাং কাজ করে এইসব পাচার চক্রের পিছনে। এর আগেও বিএসএফের তরফ থেকে পাচার চক্র রোধে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা চালানো হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share