Tag: Nadia

Nadia

  • Nadia: এক ব্যক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ এলাকা, জুয়ার বোর্ড ভেঙে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ

    Nadia: এক ব্যক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ এলাকা, জুয়ার বোর্ড ভেঙে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাদ থেকে পড়ে এক ব্যক্তির রহস্যজনক ভাবে মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল এলাকা। জুয়ার বোর্ড ভাঙচুর করা হয়। আগুন জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করেন এলাকাবাসী। পরিবারের দাবি, ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালি থানার বগুলা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম কৃষ্ণপদ মণ্ডল। তাঁর বাড়ি হাঁসখালি থানার মুরাগাছা এলাকায়।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Nadia)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার (Nadia) বগুলা এলাকায় কার্তিক নামে এক দুষ্কৃতী নিয়মিত জুয়ার বোর্ড চালায়। অভিযোগ, রবিবার রাতে কৃষ্ণপদ নামে ওই ব্যক্তিকে ডেকে নিয়ে যায় কার্তিক। গভীর রাতে পুলিশের তরফ থেকে খবর দেওয়া হয়, কৃষ্ণপদ মণ্ডল দুর্ঘটনায় জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি সেখানে গিয়ে জানতে পারে তাঁর মৃত্যু ঘটেছে। প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয় পুলিশের ভয়ে পালাতে গিয়ে সে ছাদ থেকে পড়ে মারা গিয়েছে। পুলিশের দাবি মানতে নারাজ পরিবারের লোকজন। তাঁদের দাবি, রবিবার রাতে জুয়া খেলার সময় তাকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে খুন করা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে সোমবার কৃষ্ণনগর-বগুলা রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন এলাকাবাসী। তাঁদের অভিযোগ, বগুলা এলাকায় পুলিশের মদতে একাধিক জুয়ার বোর্ড চলে। পুলিশ টাকা নিয়ে চুপ করে থাকে।

    কী বললেন মৃতের পরিবারের লোকজন?

    এ বিষয়ে মৃত কৃষ্ণপদ মণ্ডলের জামাই তন্ময় রায় বলেন, পুলিশ টাকা নিয়ে এই জুয়ার বোর্ড চালাতে মদত দিচ্ছে। আমার শ্বশুরকে খুন করা হয়েছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয় ততক্ষণ এই আন্দোলন চলবে। পাশাপাশি পুলিশকে উদ্যোগ নিয়ে জুয়ার বোর্ডগুলি বন্ধ করতে হবে। যদিও পরবর্তীকালে পুলিশের আশ্বাস পেয়ে অবরোধ তুলে নেন এলাকাবাসী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Banana Tree: বিজেপির জয়ী সদস্যের বাগানে অধিকাংশ কলা গাছ কাটার অভিযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Banana Tree: বিজেপির জয়ী সদস্যের বাগানে অধিকাংশ কলা গাছ কাটার অভিযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির টিকিটের জয়লাভ করার পর থেকেই আসছিল শাসকদলের হুমকি। বোর্ড গঠনের পর জয়ী প্রার্থীর ফল ধরা প্রায় ৩০০ টি কলা গাছ (Banana Tree) রাতের অন্ধকারে কেটে নষ্ট করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। চরম অমানবিক রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক এই জঘন্য ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার চাকদার তাতলা- ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে ইটাপুকুর গ্রামে বিজেপির জয়ী সদস্য সুলেখা চৌধুরীর কলাবাগানে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Banana Tree) 

    বিজেপির জয়ী সদস্য সুলেখা চৌধুরীর দেড় বিঘা জমিতে কলার বাগান রয়েছে। দেড়বিঘে জমিতে লাগানো কলা গাছের মধ্যে ৩০০ টি গাছ (Banana Tree) কেটে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আর্থিক ক্ষয়ক্ষয় বিক্রির পরিমাণ প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকা। বৃহস্পতিবার সকাল বাগানে গিয়ে দেখেন বাগানের অধিকাংশ কলা গাছ কেটে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকাবাসীও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এলাকাবাসীর বক্তব্য, বিজেপির জয়ী সদস্য বলেই এভাবে কারও কলা বাগান নষ্ট করা ঠিক নয়। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

    কী বললেন বিজেপির জয়ী সদস্য?

    বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য সুলেখা দেবী বলেন, বিজেপির টিকিটে ভোটে জয় লাভের কারণে ফল প্রকাশের পরের দিন হঠাৎ রাতের অন্ধকারে আমার বাড়িতে বেশ কিছু শব্দবাজি একত্রিত করে ফাটানো হয়। সুলেখা দেবীর স্বামী হরিশচন্দ্র চৌধুরী এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব  প্রীতম মল্লিক ও তাঁর সহযোগী বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতৃত্বের  বিরুদ্ধে চাকদা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, এর আগে বাড়িতে প্রচুর পরিমাণে শব্দবাজি ফাটানোর প্রতিবাদ করেছিলাম বলে এলাকার তৃণমূল নেতা পাপ্পু মল্লিক এসে শাসিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, আমরা বাজি ফোটাতে যাবো কেনো ! ক্ষতি করার হলে পুরো কলা গাছের (Banana Tree) বাগান কেটে সর্বনাশ করে দিতাম। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চাকদা থানায় লিখিত অভিযোগ জমা করলেও এখনও পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। ব্যক্তিগত অথবা পারিবারিক শত্রুতাও হতে পারে বলে মনে করছেন তারা। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি শেখর কুমার কর বলেন, এই ধরনের ঘটনায় কোনও তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থক যুক্ত থাকতে পারেনা। তবে, প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার জন্য আমরা পুলিশ প্রশাসনকে বলব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া তৃণমূলের, দখল করল বিজেপি

    Nadia: শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া তৃণমূলের, দখল করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের হাতছাড়া শান্তিপুর (Nadia) পঞ্চায়েত সমিতি। জেলার মধ্যে এই প্রথম পঞ্চায়েত সমিতি দখল করল বিজেপি। অতীতে কখনও বামফ্রন্ট, পরবর্তীতে তৃণমূলের হলেও শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতি এই প্রথম দখল করল বিজেপি। বিজেপি কর্মীদের মধ্যে তীব্র উচ্ছ্বাস। 

    কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস (Nadia)

    শান্তিপুর (Nadia) পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের পর বিজেপির নবনিযুক্ত সভাপতি হলেন নৃপেন মণ্ডল। তিনি হরিপুর ১০ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি থেকে জয়লাভ করেছিলেন। অপরদিকে সহ-সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হন চঞ্চল চক্রবর্তী, তিনি আবার ফুলিয়া টাউনশিপ ২৮ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি থেকে জয়লাভ করেছেন। পঞ্চায়েত সমিতি দখলের পর বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিজয়োল্লাস লক্ষ্য করা যায়। এদিনের বোর্ড গঠন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক পার্থসারথি চ্যাটার্জী এবং রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জগন্নাথ সরকার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট উত্তর-পূর্বের বিধায়ক অসীম বিশ্বাস, চাকদা বিধানসভার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ সহ অন্যান্য বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।

    বিজেপি সাংসদের বক্তব্য

    বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের (Nadia) দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ যেভাবে বিজেপির প্রতি আস্থা রেখেছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে ভোটই দেবে না মানুষ। তিনি পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, থানার ওসি অঞ্চল সভাপতির মতো আচরণ করছেন। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এলাকায় ঢুকে বিজেপি কর্মীদের ঘরছাড়া, মারধর করে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। শাসকের এত হিংসার পরেও মানুষ বিজেপিকে জয়যুক্ত করেছেন। এই জয় সাধারণ মানুষের জয়।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করলেও খোঁচা দিতে ছাড়লেন না শান্তিপুরের (Nadia) তৃণমূল বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী। তাঁর দাবি, বিজেপি বারবার দাবি করে এই রাজ্যে ডবল ইঞ্জিনের সরকার গড়বে। যেদিন এই রাজ্যে ডবল ইঞ্জিনের সরকার হবে, সেদিন এই রাজ্য উত্তরপ্রদেশে পরিণত হবে। এই রাজ্যে তৃণমূল আছে বলেই মা বোনেরা এখনও স্বাধীনভাবে রাস্তায় বেরোতে পারছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gram Panchayat Election: বোর্ড গঠনের পরই কংগ্রেস কর্মীদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Gram Panchayat Election: বোর্ড গঠনের পরই কংগ্রেস কর্মীদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান, গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটে (Gram Panchayat Election) কংগ্রেসকে সমর্থন করা অপরাধ! বোর্ড গঠনের পরই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে গুলিবিদ্ধ একাধিক কংগ্রেস কর্মী। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম অনেকে। বাদ যায়নি মহিলা এবং শিশুও। তিন শিশুসহ আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১৭ জন কংগ্রেস সমর্থক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। রাতভর চলে তৃণমূলের তাণ্ডব। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানার হরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিপুর এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটের (Gram Panchayat Election) আগেই একাধিক তৃণমূল সমর্থক কংগ্রেসের যোগদান করেন। ভোটে কংগ্রেসের হয়েই রাস্তায় নেমেছিলেন তাঁরা। পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের পর সোমবার গভীর রাতে হঠাৎ তৃণমূল আশ্রিত একদল দুষ্কৃতী কংগ্রেস সমর্থকদের বাড়িতে চড়াও হয়। অভিযোগ, একাধিক দুষ্কৃতীদের হাতে দেশি পিস্তল এবং ধারালো অস্ত্র ছিল। কংগ্রেস সমর্থকদের বাড়িতে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে তারা। তিন মাসের শিশুসহ গুরুতর জখম হয় আরও দুজন শিশু। পাশাপাশি গুলি এবং ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আরও ১৪ জন কংগ্রেস সমর্থক গুরুতর জখম হয়। চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হলে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এরপরই তড়িঘড়ি তাদের প্রথমে নাকাশিপাড়া হাসপাতাল এবং পরে, শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এখনও দুই শিশুসহ বেশ কয়েকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আক্রান্ত কংগ্রেস কর্মীর পরিবারের লোকজন বলেন, আমরা আগে তৃণমূল করতাম। এবার পঞ্চায়েতে কংগ্রেস করেছি। এটাই অপরাধ। ওরা পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের পরই এলাকায় এসে হামলা চালিয়েছে।

    কী বললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    এ বিষয়ে নদিয়া জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র সিলভি সাহা বলেন, এ আমরা কোন ভারতবর্ষে বসবাস করছি। যেখানে আমরা স্বাধীন নই। শাসক দল আবার নিজেদের মা মাটি মানুষ বলেন আর এদিকে মায়েদের উপর অত্যাচার চলছে। পঞ্চায়েত ভোটেও (Gram Panchayat Election) বিরোধী শূন্য করার খেলায় মেতেছে রাজ্যের শাসক দল। আমাদের দলীয় কর্মীদের উপর ওরা হামলা চালিয়েছে। শিশুদেরও বাদ দেয়নি। তৃণমূল কতটা বর্বর দল তা প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি, অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হোক।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    নাকাশিপাড়ার বিধায়ক তথা নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক তৃণমূলের জেলা সভাপতি কল্লোল খাঁ বলেন, এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল এটা। তৃণমূলকে বদনাম করার জন্য মিথ্যা প্রচার করছে কংগ্রেস। প্রশাসন পুরো বিষয়টি তদন্ত করছে। ঘটনার সত্যতা সামনে এলে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: স্বাধীনতা দিবসে শাড়িতে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ ফুটিয়ে তুলে শ্রদ্ধা নদিয়ার তাঁতশিল্পীর

    Nadia: স্বাধীনতা দিবসে শাড়িতে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ ফুটিয়ে তুলে শ্রদ্ধা নদিয়ার তাঁতশিল্পীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় তিনি ছিলেন সামান্য হস্তচালিত তাঁতি। নিজের উৎপাদনের কাপড় কলকাতার বিভিন্ন অলিগলিতে ফেরি করে বিক্রি করা মানুষটি আজ নদিয়া জেলার সাত হাজার হস্তচালিত তাঁত শিল্পীর অবলম্বন। তিনি নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুরের ফুলিয়ার বীরেন কুমার বসাক। হস্তচালিত তাঁত শিল্পের ধারক, বাহক হিসাবে এখন সকলেই তাঁকে একনামে চেনেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাজ্যপাল, দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি সকলের কাছে প্রশংসিত তিনি। রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পদ্মশ্রী সহ বিভিন্ন জাতীয়, আন্তর্জাতিক পুরস্কার রয়েছে তাঁর সংগ্রহে। তিনি শুধু একাই এগিয়ে চলেছেন তাই নয়, ২০১৭-১৮ এবং ১৯ সালের জাতীয় পুরস্কার এ বাংলায় ঘোষিত হয় মোট আটজনের নাম, যার মধ্যে বীরেনবাবুর পাঁচজন ছাত্র রয়েছেন সেই তালিকায়।

    কোন কোন ব্যক্তিত্বদের অবয়ব ফুটিয়ে তোলা হয়েছে শাড়িতে?

    সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর, ক্রীড়া জগতের যুবরাজ সৌরভ গাঙ্গুলী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র দামোদর মোদি সহ বিখ্যাত মানুষদের পোর্ট্রেট হাতে চালানো তাঁতে, জামদানি বুটিকের আদলে তিনি হুবহু ফুটিয়ে তুলেছেন অবয়ব। যার মধ্যে বেশিরভাগই তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে নদিয়ার এই তাঁত শিল্পীর (Nadia)। অন্যদিকে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলাম, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালাম, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু, জাতির জনক মহাত্মা গান্ধি, সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ, জাতীয় সেবিকা মাদার টেরেসা সহ বহু মহামানবের প্রতিকৃতি তাঁর অত্যন্ত কর্মদক্ষতা শিল্প নিপুণতা এবং ধৈর্যের ফলে সমাদৃত হয়েছে সারা দেশ জুড়ে।

    “আজাদি কা অমৃত মহোৎসব” ফুটে উঠেছে তাঁতের শাড়িতে

    স্বাধীনতা দিবস হোক বা প্রজাতন্ত্র দিবস, সরস্বতী পুজো, কিংবা বিশ্ব হস্ত চালিত তাঁত দিবস, কিংবা কোনও মহামানবের জন্ম অথবা মৃত্যু দিন। তিনি শ্রদ্ধা জানান ফাইন আর্ট জামদানি বুননের মাধ্যমে। এবারে স্বাধীনতার ৭৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে ছ মাস আগে থেকেই, তার সুদক্ষ হস্তচালিত তাঁত শিল্পীদের দিয়ে অসাধারণ শিল্পকর্ম ফুটিয়ে তুলেছেন সিল্ক বারো হাত শাড়ির উপর। যেখানে আঁচলে রয়েছে ভারতবর্ষের মানচিত্র, এবং গত বছর ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহীত “আজাদি কা  অমৃত মহোৎসব” লেখা এবং লোগো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। অন্যদিকে ৩৪ টি বিভিন্ন স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং দেশ বরেণ্য মহামানবের পোর্ট্রেট বুটি হিসাবে উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসাবে বুননের  মাধ্যমে সাজানো রয়েছে সমগ্র শাড়িতে।

    কী বললেন বীরেনবাবু?

    বীরেনবাবু বলেন, এই শাড়িটি আমি বিক্রির উদ্দেশ্যে তৈরি করিনি। দেশের ৭৬তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আমার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। আমার, ইচ্ছা দিল্লির ন্যাশনাল মিউজিয়ামে এই শাড়িটি সংরক্ষিত হোক সকলের দেখার উদ্দেশ্যে। সমগ্র পরিকল্পনা আমার হলেও প্রথমে ছবি আঁকার পর থেকে এই মহৎ কর্মকাণ্ড সম্পন্ন হয়েছে আমার কাছে থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নদিয়ার (Nadia) বিভিন্ন প্রান্তের হস্ত চালিত তাঁত শিল্পীদের শিল্প উৎকর্ষতায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ju Student Death: যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুকাণ্ডে নদিয়ায় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন, কী বললেন?

    Ju Student Death: যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুকাণ্ডে নদিয়ায় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন, কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর (Ju Student Death) নদিয়ার বাড়িতে যান পশ্চিমবঙ্গের শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপের মৃত্যুকে পকসো আইনের অধীনে আনার দাবি করল পশ্চিমবঙ্গের শিশু সুরক্ষা কমিশন। কমিশনের চেয়ারপার্সন। রবিবার নদিয়ায় স্বপ্নদীপের বাড়িতে মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। 

    কী বললেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন?

    স্বপ্নদীপের (Ju Student Death) বয়সের উল্লেখ করে শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন বলেন, এই ঘটনা পকসো আইনের অধীনে পড়ে। স্বপ্নদীপের ১৮ বছর বয়স হয়নি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর ৯ মাস ৯ দিন। তাই এই ঘটনায় পকসো আইনে বিচারের দাবি করা হয়েছে। পরে, অনন্যা আরও বলেন, ছেলেটিকে উলঙ্গ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। ওর দেহে সিগারেটের ছ্যাঁকা ছিল। ও নিজেও ফোন করে ভাইকে জানিয়েছিল, ওকে সমকামী বলা হচ্ছে। তাই এটি যৌন নির্যাতনের পর্যায়ে পড়ে। পাশাপাশি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকেও আক্রমণ করেছেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন। তিনি বলেন, যাদবপুর কি অন্য কোনও গ্রহ? দেশের আর পাঁচটা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে নিয়ম আছে, এখানে তা মানা হবে না কেন? কেন ক্যাম্পাসে, হস্টেলে সিসি ক্যামেরা থাকবে না? আমরা যখন সিসিটিভি বসাতে বলেছিলাম, ওখানকার এক অধ্যাপক ফুটপাতে ক্লাস নিতে শুরু করেন। ওখানে সিনিয়র এবং প্রাক্তনিদের দাদাগিরি চলে। কেউ তাঁদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পান না। এর আগে প্রাক্তন উপাচার্য সুরঞ্জন দাসও চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অধ্যাপক এবং পড়ুয়ারা এর বিরোধিতা করেছিলেন। তাই আজকের ঘটনায় কেউ দায় এড়াতে পারে না। সিসিটিভি থাকলে আমরা জানতে পারতাম হস্টেলে কী হয়েছিল। সকলের হাতেই রক্তের দাগ লেগে আছে। সকলেই আমাদের আতশকাচের নীচে। আমরা পৃথক ভাবে ঘটনার তদন্ত করছি।

    ছাত্র মৃত্যুকাণ্ডে ধৃত দুই পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর (Ju Student Death) ঘটনায় তদন্তে নেমে ফের দুই জনকে গ্রেফতার  করা হল। ধৃতদের মধ্যে মনোতোষ ঘোষের বাড়ি আরামবাগ পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে। মৃত পড়ুয়ার বাবা রামপ্রসাদ কুণ্ডুর  অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমে গ্রেফতার করে মনোতোষ ঘোষকে। মনোতোষের মা বলেন, ছেলের সঙ্গে প্রতিদিন কথা হত। স্বপ্নদীপ বেড না পেয়ে একদিন আমার ছেলের ঘরে ছিল। সেই সূত্রে পরিচয় হয়েছিল। তার বেশি কী হয়েছে তা আমাদের জানা নেই। প্রত্যেকদিনই মনোতোষ বাড়িতে ফোন করতো একটা কথাই বলতো তোমাদের কোনও ভয় নেই। পুলিশ হয়তো কিছু জিজ্ঞাসার জন্য ডাকতে পারে। যাদপবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার  হওয়া দুই ছাত্রের মধ্যে একজন বাঁকুড়া শহরের বাসিন্দা। নাম দীপশেখর দত্ত। শহরের মাচানতলার ফেমাস হোটেলের গলির বাসিন্দা দীপশেখর। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোনমিক্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া দীপশেখর দত্ত। তাঁর বাবা মধুসুদন দত্ত পেশায় ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে তা আমি সমর্থন করি না। পুলিশ তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতার করেছে ছেলেকে। এবার পুরোটাই আইনি বিষয়।তবে, আমি মনে করি ছেলে এই ঘটনায় যুক্ত নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: বোর্ড গঠনের উত্তেজনায় মর্মান্তিক মৃত্যু বিজেপি কর্মীর, পরিবারে শোকের ছায়া

    Nadia: বোর্ড গঠনের উত্তেজনায় মর্মান্তিক মৃত্যু বিজেপি কর্মীর, পরিবারে শোকের ছায়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ায় (Nadia) বোর্ড গঠন করার সময় প্রথমে অসুস্থ এবং ঠিক তারপরেই আকস্মিক মৃত্যু হল বিজেপির প্রাক্তন বুথ সভাপতির। এই ঘটনায় তীব্র শোরগোল এলাকায়। প্রচণ্ড গরম এবং উত্তেজনাই মৃত্যুর কারণ বলে জানা গেছে।

    কোথায় ঘটল ঘটনা(Nadia)?

    নদিয়ায় (Nadia) আড়বান্দি দু’নম্বর পঞ্চায়েতের চার নম্বর বুথের বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি জিতেন সর্দারের আজ এভাবেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। জানা যায়, মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪২ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় জনতা দলের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। মোট কুড়িটি আসন আড়বান্দি দু’নম্বর পঞ্চায়েতে। যার মধ্যে বিজেপির দশটি এবং তৃণমূলের দশটি। তাই আজ বোর্ড গঠনের জন্য অন্যান্য বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সাথে তিনিও ছিলেন উৎকণ্ঠার মধ্যে। সেই সঙ্গে ছিল বোর্ড গঠন ঘোষণার প্রতীক্ষা! প্রচণ্ড গরম এবং উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হতেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তড়িঘড়ি দলীয় কর্মী-সমর্থকরা তাঁকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    বিজেপির বক্তব্য

    খবর পেয়ে রানাঘাটের (Nadia) সাংসদ জগন্নাথ সরকার ছুটে যান মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে। তিনি পরিবারবর্গের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন এবং মৃত কর্মীর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান। তিনি বলেন, ৪ নম্বর বুথের প্রথম সভাপতি ছিলেন জিতেনবাবু। অত্যন্ত অভাবের মধ্যে দিয়েও বিজেপির জন্য কাজ করতেন। বোর্ড গঠনের সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন। অতিরিক্ত গরম এবং উত্তেজনায় মারা গেছেন।

    পরিবারের বক্তব্য

    পরিবারের তরফ থেকে জানা যায়, তিনি শান্তিপুর (Nadia)  গোবিন্দপুর অঞ্চলে একটি তেল মিলে শ্রমিকের কাজ করতেন। তাঁর দুটি নাবালক পুত্রসন্তান, স্ত্রী এবং মা রয়েছেন। মৃতদেহ শান্তিপুরে দাহ করা হবে বলেই জানা গেছে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সমগ্র এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বোর্ড গঠন ঘিরে হানাহানি এবং মারধর-সন্ত্রাসের ঘটনার যে কী ভয়ানক পরিণতি হতে পারে, তা এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: স্বপ্নদীপের রহস্য মৃত্যুতে খুনের মামলা বাবার, বিক্ষোভ মিছিল নদিয়ায়

    Nadia: স্বপ্নদীপের রহস্য মৃত্যুতে খুনের মামলা বাবার, বিক্ষোভ মিছিল নদিয়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্র ছিলেন স্বপ্নদীপ কুন্ডু। তাঁর বাড়ি নদিয়ার বগুলায় (Nadia)। স্বপ্নদীপ বুধবার রাতে যাদবপুর মেইন হোস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়। ইতি মধ্যেই তাঁর বাবা মামলা দায়ের করেছেন পুলিশের কাছে। এই মৃত্যুর প্রতিবাদে আজ শক্রবার বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হল বগুলায়। বলা হয় স্বপ্নদীপকে যারা খুন করেছে, তাদের গ্রেফতার করে অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে।

    খুনের অভিযোগ (Nadia)?

    ছাত্র স্বপ্নদীপের মৃত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এরপরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এই মৃত্যুকে খুনের অভিযোগ বলে মনে করছেন অনেকেই। পরিবারের তরফ থেকে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন নদিয়ার (Nadia) বগুলাবাসী।

    নদিয়ায় মিছিল

    আজ স্বপ্নদীপের মৃত্যুর প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ১১ টায় বগুলা স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এবং পাড়া-প্রতিবেশী সহ সাধারণ মানুষ একত্রিত হয়ে বগুলা কলেজ থেকে বগুলা হাই স্কুল (Nadia) পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল বের করে। যারা স্বপ্নদীপ কুন্ডুর মৃত্যুর জন্য দায়ী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তোলা হয়। অন্যদিকে একাংশ বিক্ষোভকারীদের দাবি, ছেলে মেয়েদের উচ্চশিক্ষিত করার জন্য সব বাবা মায়েরাই চেষ্টা করেন। একইভাবে স্বপ্নদীপের স্বপ্ন পূরণের জন্য তাঁর বাবা-মাও চেষ্টা করেছিলেন। কোনও রকমে সংসার চালিয়ে স্বপ্নদীপকে কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করেছিলেন তাঁর বাবা মা। কিন্তু তাঁর মৃত্যু কখনও এইভাবে হতে পারে না, তাঁকে চক্রান্ত করে মেরে ফেলা হয়েছে, আমরা এর তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। তাই দোষীদের অবিলম্বে ফাঁসির দাবি করছি।

    কী ঘটেছিল

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন স্বপ্নদীপ কুন্ডু (Nadia)। তাঁর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল গতকাল সকালে। জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের বারান্দা থেকে নিচে পড়ে গিয়েছিলেন। দুর্ঘটনা ঘটার পর প্রথমে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যাদবপুরে বাংলা অনার্স নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। থাকতেন মেন হস্টেলে এ-টু ব্লকের তিনতলায়। ওই ছাত্র কি ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন, নাকি তাঁকে কেউ ঠেলে ফেলে দিয়েছে, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Krishna Nagar: নদিয়ায় বিজেপির প্রধানকে অপহরণ, অভিযুক্ত তৃণমূল, প্রতিবাদে জাতীয় সড়়ক অবরোধ

    Krishna Nagar: নদিয়ায় বিজেপির প্রধানকে অপহরণ, অভিযুক্ত তৃণমূল, প্রতিবাদে জাতীয় সড়়ক অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোর্ড গঠনের পর বিজেপির (BJP) নির্বাচিত প্রধানকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে কৃষ্ণনগর-২ নম্বর (Krishna Nagar) ব্লকের ধুবুলিয়া-১ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগরের (Krishna Nagar) ধুবুলিয়া-১ নম্বর পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন ছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ধুবুলিয়া-১ নম্বর পঞ্চায়েতের ২১টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে ১১টিতে জয় লাভ করে বিজেপি। ৮ টি পায় তৃণমূল। ২টি আসনে সিপিএম জয়লাভ করে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার কারণে বৃহস্পতিবার শাসকদলের হাত থেকে পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিয়ে বোর্ড গঠন করে বিজেপি। অভিযোগ,বোর্ড গঠনের পর বিজেপির নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধান পঞ্চায়েত ভবন থেকে বাইরে বেরিয়ে আসার সময়  জোরপূর্বক অপহরণ করার অভিযোগ ওঠে শাসকদল  তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজনের বিরুদ্ধে। বিজেপি মনোনীত প্রধানকে অপহরণের পরেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন উপস্থিত বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। যার ফলে উভয়পক্ষের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে তীব্র বচসার সৃষ্টি হয়। এবং ধুবুলিয়ায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের চোখের সামনে তৃণমূলের লোকজন এই  কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করে বিজেপি। এছাড়াও খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রমণের শিকার হতে হয় সংবাদ কর্মীদের। দুর্বৃত্তদের হাতে মার খেয়ে মোবাইল ফোন ভেঙে যায় একজন সংবাদকর্মীর। এছাড়াও সংবাদ কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সবটাই পুলিশের সামনে ঘটলেও পুলিশ নির্বিকার ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ ওঠে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে। পরে, এদিন বিকেলের পর বিজেপির প্রধানকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিজেপির (BJP) প্রধান গৌতম সরকার বলেন, বোর্ড গঠনের পর আমাকে নিয়ে টানাটানি হয়। তাতে আমার চোট লাগে। তারপর আমার আর কিছু মনে নেই।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব? (Krishna Nagar)  

    বিজেপি (BJP) নেতা সৈকত সরকার বলেন, বিজেপি বোর্ড গঠন করেছে বলে ওরা আমাদের প্রধানকে অপহরণ করেছিল। তৃণমূলের সন্ত্রাসের প্রতিবাদে আমরা রাস্তা অবরোধ করেছিলাম। আমরা অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, বিজেপি (BJP) সংখ্যগরিষ্ঠতা পেলেও ওরা ভোটাভুটিতে হেরে যাচ্ছিল দেখে এসব নাটক করেছিল। অপহরণের ঘটনায় তৃণমূল জড়িত নয়। ওদের সবই বানানো গল্প।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: হুগলির বিজেপি নেতার মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি পরিবারের

    BJP: হুগলির বিজেপি নেতার মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) নেতার মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন স্ত্রী। মৃত বিজেপি নেতার নাম সুদীপ ঘোষ। তাঁর বাড়ি হুগলির গুড়াপে। ধনেখালি-২ মণ্ডলের সভাপতি ছিলেন তিনি। ৫ অগাস্ট নদিয়ার কল্যাণীর একটি হোটেল থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন মৃতের পরিবারের লোকজন?

    গত ৪ অগাস্ট চুঁচুড়ায় বিজেপির (BJP) হুগলি জেলা কার্যালয়ে নতুন মণ্ডল সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না সুদীপ। ৩ অগাস্ট বিকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। পরিবারের লোকজনকে ফোনে ওই বিজেপি নেতা জানিয়েছিলেন মগরায় রয়েছি। ৫ অগাস্ট বাড়ি ফিরব। সেদিনই পরিবারের লোকজনের কাছে তাঁর মৃত্যুর খবর আসে। সুদীপের দুই সন্তান আছে। সুদীপের স্ত্রী অঞ্জলি ঘোষ বলেন, ‘যারা আমার স্বামীকে খুন করেছে, তারা শাস্তি পাক। প্রয়োজনে সিবিআই তদন্ত করুক। শ্বশুর-শাশুড়ি সহ আমি অনেকবার বলেছিলাম পার্টি ছেড়ে দিতে। শুধু দলকে ভালবাসত বলে বিজেপি করত। দলকে ভালবাসতে গিয়ে নিজের প্রাণটাই চলে গেল। প্রশাসনের কাছে আমার দাবি, আমার স্বামীকে যারা হত্যা করেছে তারা যেই হোক না কেন, যেন শাস্তি পায়। সুদীপের বাবা সুফল ঘোষ বলেন, ‘ছেলে বিজেপি দলের সক্রিয় কর্মী। এলাকায় ভাল সংগঠন তৈরি করেছিল। আর তার এই উত্থানে শাসকদল বিপদে পড়ে যাচ্ছিল। তাদের সংগঠনের লোক কমে যাচ্ছিল। তাই ছেলেকে সরিয়ে দিতে পারলে শাসকদলের সংগঠন চাঙ্গা হয়ে উঠবে বলে আমার ধারণা। ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।’

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    হুগলি জেলা বিজেপির (BJP) সভাপতি তুষার মজুমদার বলেন, ‘পুলিশকে না জানিয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ মৃতদেহ নামিয়েছে। ময়নাতদন্তের পরেও তার মাথায় একটি দাগ ছিল, পায়েতেও কালশিটে দাগ। তাই আমরা কোনওভাবে মনে করছি না এটা স্বাভাবিক মৃত্যু। পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক থেকে দলের রাজ্য নেতৃত্বেকে বিষয়টি জানিয়েছি। ওই রাতের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনতে হবে।’

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের হুগলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অরিন্দম গুইন বলেন, ‘এই ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। তৃণমূল কংগ্রেসের এত দুর্দিন আসেনি যে বিজেপির (BJP) কোনও মণ্ডল সভাপতিকে মারতে যাবে। এসব ফালতু কথা। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share