Tag: Nadia

Nadia

  • TMC: নাকাশিপাড়ায় সিপিএম কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    TMC: নাকাশিপাড়ায় সিপিএম কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। রাজ্য জুড়ে বোমাবাজি, বিরোধীদের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। এবার সিপিএম কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানার পাটুয়াডাঙা পূর্বপাড়া এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে কাজ সেরে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন সিপিএম কর্মী সাজ্জাদ মণ্ডল এবং তাঁর ভাই তারিকুল মণ্ডল। একটি বাড়ি থেকে তাঁদের লক্ষ্য করে আচমকা গুলি চলতে থাকে। বাইক ফেলে রেখে দুজনেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালাতে যান। সেই সময় সাজ্জাদ মণ্ডলের পায়ে একটি গুলি লাগে। কোনও রকমে রক্তাক্ত অবস্থায় সেখান থেকে তাঁরা পালিয়ে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেন। অভিযোগ, শাসকদলের (TMC) দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে এতটাই আতঙ্কিত ছিলেন যে তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে পর্যন্ত যেতে পারেননি। এরপর রবিবার গভীর রাতে কোনওরকমে হাসপাতালে ভর্তি হন সাজ্জাদসাহেব।

    কী বললেন আক্রান্ত সিপিএম কর্মী?

    আক্রান্ত সিপিএম কর্মী সাজ্জাদ মণ্ডল হাসপাতালের বেডে শুয়ে বলেন, এলাকায় তৃণমূল (TMC) সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। ভোটের আগে গণ্ডগোল হয়েছিল। তবে, এরকমভাবে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেনি। রাতে আমরা বাইকে করে বাড়ি ফেরার সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালায়। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

    নাকাশিপাড়ার একাধিক বুথে সোমবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে পুনঃনির্বাচন। তার আগের রাতে সিপিএম কর্মী গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় যথেষ্ট আতঙ্ক রয়েছে এলাকায়। তবে, এদিন সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চলছে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। বুথে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের লাইন রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ছাপ্পা মারতে এসে ধরা পড়ল তৃণমূলের দুষ্কৃতী, গাছে বেঁধে বেধড়ক মার

    Nadia: ছাপ্পা মারতে এসে ধরা পড়ল তৃণমূলের দুষ্কৃতী, গাছে বেঁধে বেধড়ক মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার (Nadia) চাপড়ার মহেশনগর গ্রামে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ভোট লুট করতে এলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদেরকে ধরে ফেলে। তাদের মধ্যে একজনকে বেধড়ক মারধর করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। দুষ্কৃতীদের তিনটি মোটর বাইক ভাঙচুর করে। বাকি দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় ৩০ জন এসেছিল বাইকে করে ভোট লুট করতে এবং ছাপ্পা মারতে। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছেছে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    নাকাশিপাড়ায় (Nadia) ধারালো অস্ত্রের আঘাত

    বেলা বৃদ্ধির সাথে সাথে পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠছে নদিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত। নাকাশিপাড়া ব্লকের তেঁতুলবেড়িয়া ৩০৮ নং বুথ দখলের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দুষ্কৃতীদের ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর জখম হয়েছেন তিনজন সিপিআইএম কর্মী। তাঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাসপাতালে পাঠানো হয়।

    চাপড়ায় চলল ছাপ্পা

    নদিয়ার (Nadia) চাপড়ার বড় আন্দুলিয়া হাইস্কুলের ১০০ নম্বর বুথে ছাপ্পা মারার অভিযোগের পাশাপাশি শাসকদলের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ তুলল বিরোধীরা। রীতিমতো বুথ দখল করে সাধারণ ভোটারদের ভয় দেখিয়ে এই ভোট লুটের অভিযোগ করছেন বিরোধীরা। 

    শান্তিপুরে চলল কোপাকুপি

    নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর ব্লকের গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোলাডাঙ্গা ৮ এবং ৯ নম্বর বুথে নির্দল-তৃণমূলের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। একাধিক কর্মীর মাথায় কোপের আঘাত লেগেছে বলে জানা যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি প্রায় ২০ জন। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। হরিণঘাটার বইকরায় শাসক-বিরোধীদের ব্যাপক বোমাবাজি হয়। আক্রান্ত ৫ জনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের এক শিশু সহ দুজন রয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রত্যেককে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    হেমায়েতপুরে ছাপ্পা

    হেমায়েতপুর (Nadia) ২১৯ নম্বর বুথে ছাপ্পার অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে। সকাল থেকে চলছিল ছাপ্পা, বের করে দেওয়া হয় সাধারণ ভোটারদের। বুথগুলিকে সকাল থেকেই দখলে নেয় দুষ্কৃতীরা। এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি সাধারণ মানুষকে, আর সেই সঙ্গে চলছিল ছাপ্পা। বুথের ভেতরে নিদ্রায় মগ্ন ছিল পুলিশ। এরপরে গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে পথ অবরোধ করে। প্রতিবাদ জানিয়েও কোনও লাভ না হওয়ায় অবশেষে গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পৌঁছায়। এরপর গ্রামবাসীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বাধে।এই ঘটনায় চরম উত্তেজনা গোটা গ্রামে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: নদিয়ায় বিজেপি প্রার্থীর দেওরকে অপরহরণ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    BJP: নদিয়ায় বিজেপি প্রার্থীর দেওরকে অপরহরণ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) প্রার্থীর দেওরকে অপহরণ। আর অপহরণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ধুবুলিয়া থানার পন্ডিতপুর এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার ধুবুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পন্ডিতপুর এলাকার বিজেপি (BJP) প্রার্থীর নাম সঙ্গীতা মণ্ডল। তাঁর দেওর অষ্টম মণ্ডল এলাকার দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির সক্রিয় কর্মী। এবছর তাঁর বউদি বিজেপির প্রার্থী হয়ে পঞ্চায়েতে লড়াই করছেন। এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতেই তৃণমূল অপহরণ করেছে। জানা গিয়েছে, গত পাঁচ জুলাই রেশন তুলে অষ্টমবাবু সন্ধ্যা নাগাদ দলীয় প্রচারে বের হয়েছিলেন। তারপরে আর তিনি বাড়ি ফেরেনি। এরপরে ই পরিবারের পক্ষ থেকে ধুবুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি ওই বিজেপি কর্মীর। তাই চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

    কী বললেন স্থানীয় বিজেপি (BJP) কর্মীরা?

    এই বিষয়ে এলাকারই এক বিজেপি (BJP) কর্মী পরিমল মণ্ডল বলেন, ৫ জুলাই সন্ধ্যায় ঘোষপাড়ায় নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলেন। প্রচার শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান। আমাদের ধারণা, এই এলাকায় বিজেপি শক্ত ঘাঁটি রয়েছে। তাই, দলীয় প্রার্থীর দেওরকে অপহরণ করে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল।  

    কী বললেন নিখোঁজ বিজেপি (BJP) কর্মীর মা?

     নিখোঁজ বিজেপি (BJP) কর্মী অষ্টম মন্ডলের মা উরফি মণ্ডল বলেন, আমার ছেলে বিজেপি করে, সেই কারণে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে। প্রশাসনকে একাধিকবার লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু, কোনও কাজ হয়নি। আমাদের দাবি, আমার ছেলেকে সুস্থ অবস্থায় প্রশাসন বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসুক।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনভাবেই জড়িত নয়। ওই এলাকায় বিজেপির কোন অস্তিত্ব নেই। সেটা বুঝতে পেরেই নির্বাচনের আগের দিন নাটক করছে বিজেপি। পুলিশ তদন্ত করে সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসলেই বিজেপির চক্রান্ত ফাঁস হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: নির্দল প্রার্থীদের বাড়িতে ভাঙচুর, আতঙ্কে ঘরছাড়া পরিবার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    TMC: নির্দল প্রার্থীদের বাড়িতে ভাঙচুর, আতঙ্কে ঘরছাড়া পরিবার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার একাধিক জায়গায় তৃণমূলেরই (TMC) বিক্ষুব্ধরা টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়েছে। আর এই নির্দলরা এখন মন্তবড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই, ভোটের দুদিন আগেই এলাকায় চলছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব। ঘর ছাড়া নির্দল প্রার্থী সহ বেশ কয়েকটি পরিবার। এমনটাই অভিযোগ নির্দল প্রার্থী বিশু শেখের পরিবার। বুধবার রাতে নদিয়ার শান্তিপুর হরিপুর পঞ্চায়েতের চাঁদকুড়ি গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূলীদের হামলায় ভাঙচুর করা হয় নির্দল প্রার্থীর বাড়ি। আতঙ্কে ঘরছাড়া নির্দল প্রার্থীর পরিবারের লোকজন।

    কী বললেন নির্দল প্রার্থীদের পরিবারের লোকজন?

    বান্টি খাতুন বিবি আগে তৃণমূলের সদস্য ছিলেন। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট পাননি তিনি। তাই, তাঁর দেওর বিশু শেখ এবার ভোটে দাঁড়িয়েছেন। আর তারপর থেকে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। নির্দল প্রার্থী বিশু শেখের বউদি বান্টি খাতুন বিবি বলেন, আমার দেওর বিশু শেখ নির্দলে দাঁড়ানোর পর থেকেই তৃণমূলরা প্রতিনিয়ত আমাদের উপর ভয় দেখাচ্ছে। এদিন সকালেও তৃণমূলীরা গ্রামে ঢুকে একাধিক নির্দল কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করে লুটপাট চালাই তৃণমূলের কর্মীরা। তৃণমূলের সন্ত্রাসের কারণে গ্রামে ঢুকতে পারছি না। অনেক পরিবার ঘরছাড়া রয়েছে। এই ঘটনায় শান্তিপুর থানায় আমরা লিখিত অভিযোগ করেছি।

    হবিবপুরেও নির্দল প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুর

    নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন নির্দল প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুর ও তাঁর পরিবারের লোকজনকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার হবিবপুর পঞ্চায়েতের এলাকায়। এই প্রসঙ্গে নির্দল প্রার্থী গোপাল ঘোষের বাবা সুশান্ত ঘোষ বলেন, আমার ছেলে এই পঞ্চায়েতের দীর্ঘ কুড়ি বছরের তৃণমূল সদস্য ছিল। কিন্তু, এবার পঞ্চায়েত ভোটে দলের থেকে টিকিট না দেওয়ার কারণে সেই নির্দল প্রার্থী হয়ে নির্বাচনি লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। এদিন নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন ছেলে ছাড়াও কয়েকজনকে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি বেধড়ক মারধর করে তৃণমূল নেতাকর্মীরা। এমনকী আমাকেও তাঁরা মেরেছে। তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে আমরা দল করি। আমি নিজে তৃণমূল পরিচালিত হবিবপুর পঞ্চায়েতের কুড়ি বছরের সভাপতি পদে নিযুক্ত ছিলাম। কিন্তু, আমাকেও ওরা মারধর করতে ছাড়েনি। এই ঘটনার পর থেকে বাড়িছাড়া গোটা পরিবার। বর্তমানে আতঙ্কের মধ্যে দিয়েই দিন কাটছে নির্দল প্রার্থীর পরিবারের। খোঁজ নেই নির্দল প্রার্থীর। পরিবারের অভিযোগ তৃণমূল নির্দল প্রার্থীকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতার দাবি করছেন নির্দল প্রার্থীর পরিবার।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) জেলা নেতা সনৎ চক্রবর্তী বলেন, নির্দলদের কোথাও হামলা চালানো হয়নি। বরং,ওরা অশান্তি পাকাচ্ছে। শান্তিপুরে আমাদের কর্মীদের উপর ওরা হামলা চালিয়েছে। ৩ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। ওরা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bjp: পথসভা করতেই চক্ষুশূল! বিজেপি কর্মীদের লোহার রড-বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মার

    Bjp: পথসভা করতেই চক্ষুশূল! বিজেপি কর্মীদের লোহার রড-বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথসভা কেন করবে? সেই দাবি তুলে বিজেপির (Bjp) কর্মীদের বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মার! রক্ষা পেল না মহিলারাও। বেধড়ক মারের চোটে আহত কুড়ি জন। পাঁচজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অবশেষে রাজ্য সড়ক অবরোধ বিজেপির (Bjp)।

    কী ঘটেছে নদিয়ায়?

    ঘটনাটি নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার বোয়ালিয়া গ্রামের। জানা যায়, ওই এলাকায় কিছুদিন ধরেই বেশ কিছু তৃণমূলের দুষ্কৃতী দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল। বিরোধীরা ঠিকমতো পতাকা পর্যন্ত লাগাতে পারছিল না। এর আগেও একাধিকবার পথসভা করতে গেলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি চলছিল! এমনকী প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। গতকাল সন্ধ্যায় ওই এলাকায় একটি পথসভা করার কথা ছিল বিজেপির। সেইমতো বিকেলে বেশ কিছু বিজেপি কর্মী এবং মহিলা ব্যানার, ফেস্টুন লাগাচ্ছিলেন। অভিযোগ, ঠিক তখনই একদল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তাঁদের দেখেই অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আর তার প্রতিবাদ করতে গেলে আচমকা লোহার রড এবং বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারতে থাকে তাঁদের। প্রাণভয়ে অন্যের বাড়িতে ঢুকে গেলে বাড়ির ভিতর ঢুকে বিজেপি কর্মীদের মারা হয়। বিজেপির (Bjp) কয়েকজন মহিলা কর্মীদেরও মারার অভিযোগ ওঠে। এরপর দুষ্কৃতীরা চলে যায়। খবর পেয়ে জেলার বিজেপি কর্মীরা তড়িঘড়ি রক্তাক্ত অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়।

    পুলিশের ভূমিকা

    হাসপাতালে ১৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও, বাকি পাঁচজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি হন। এরপর এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিজেপি কর্মীরা। দীর্ঘক্ষণ অবরোধ চলার পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আছে কৃষ্ণনগর (Nadia) কোতোয়ালি থানার পুলিশ। এরপরে পুলিশের সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস পেয়ে অবশেষে অবরোধ তুলে নেন তাঁরা।

    বিজেপির (Bjp) বক্তব্য

    আহত এক বিজেপি (Bjp) কর্মী সুনীল বাগ বলেন, আমরা পথসভা করার জন্য ওই এলাকায় (Nadia) ব্যানার এবং পতাকা লাগাচ্ছিলাম। আচমকা তখনই তৃণমূলের একদল দুষ্কৃতী মদ্যপ অবস্থায় আসে। তাদের অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করার প্রতিবাদ করাতে আচমকা আমাদের উপর হামলা করা হয়। আমরা চাই অবিলম্বে ওই দুষ্কৃতীরা গ্রেফতার হোক।

    এই বিষয়ে ওই এলাকার (Nadia) গ্রাম পঞ্চায়েত ২৪ এর বিজেপির জেলা পরিষদের প্রার্থী গুরুপদ দে বলেন, এর আগেও আমরা যেখানে যেখানে পথ সভা করছি সেখানেই তৃণমূল দুষ্কৃতীরা মাইক বাজিয়ে পথসভা নষ্ট করার চেষ্টা করছে। গতকাল সন্ধ্যায় আমাদের এই পথসভার কথা ছিল। সকাল থেকেই সে কথা জানতে পেরে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছিল কর্মীদের। গতকাল আচমকা আমাদের কর্মীদের বেধড়ক মারধর করা হয়। অবিলম্বে ওই দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে পুলিশকে গ্রেফতার করতে হবে, এই দাবি জানাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: রাতে সরকারি স্কুলে মদ-মাংসের পিকনিক! ভোট কেনার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    Nadia: রাতে সরকারি স্কুলে মদ-মাংসের পিকনিক! ভোট কেনার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতের অন্ধকারে সরকারি স্কুল খুলে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে চলছে মাংস-ভাত খাওয়া। স্কুল চত্বরে পড়ে রয়েছে মদের বোতল। ভোটের আগে এলাকা দখলের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি বলছে, নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের চোখে কি তুলসি পাতা লাগানো রয়েছে?

    ঘটনা কী ঘটেছে (Nadia)?

    সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। গ্রামগঞ্জের প্রতি বুথে চলছে রাতের বেলায় খাওয়া-দাওয়ার আসর। একই ভাবে নবদ্বীপ (Nadia) বিধানসভার চরমাজদিয়া চরব্রহ্মনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একটি সরকারি স্কুলে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা লাগিয়ে চলল মাংস-ভাত খাবার আয়োজন। গ্রামের মানুষকে নিমন্ত্রণ করে চরমাজদিয়া গভর্নমেন্ট কলোনি জুনিয়র স্কুলে হয়ে গেল পিকনিক। স্কুলের চৌদ্দহির ভিতরেই পড়ে রয়েছে মদের বোতল। আর এ নিয়েই বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল প্রার্থীরা ওই এলাকায় মাংস-ভাত খাইয়ে ভোট কিনতে চাইছে! রাতের বেলায় স্কুলের চাবি পেল কোথায় তৃণমূল কংগ্রেস? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। স্কুলের ভিতরে মাইক এবং দলীয় পতাকা লাগিয়ে দেদার অনুষ্ঠান রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের। ভোটের আগে এলাকায় শাসক দলের এই আচরণে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    এলাকার (Nadia) বিজেপি নেতা দিলীপ সরকার বলেন, এই স্কুলের শিক্ষকরা আসেন এবং চলে যান। পড়াশুনা হয় না বললেই চলে। রাজনৈতিক নেতাদের গোপন আস্তানা হয়েছে এই স্কুল। ভোটের নিয়মবিধি চালু হওয়ার পর থেকেই স্কুলের মধ্যে তৃণমূলের পাতাকা লাগিয়ে মাংস-ভাত খাইয়ে রাতের অন্ধকারে ভোট কেনাবেচা চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষকরা কি কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না! নাকি চোখে তুলসি পাতা লাগিয়ে রেখেছেন! ঠিক এই ভাবেই শাসকদলের ভোট কেনার কথা বলে নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করেন এই বিজেপি নেতা।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এলাকার (Nadia) তৃণমূল নেতা বলেন, খাওয়া দাওয়ার সেরকম কিছু ব্যাপার নয়। ওই এলাকায় সারা বছরই স্কুলে পিকনিক হয়। দুর্গাপুজো, কালীপুজো এরকম বছরের ১২ থেকে ১৩ বার খাওয়া দাওয়া চলে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগাযোগ নেই। মদ খাওয়ার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, যারা মদ খায় তারা খেতেই থাকে, সারা বছরই মদ খায়। নির্বাচনকে সামনে নিয়ে বিরোধীরা মূলত অপ্রচার করছে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: তৃণমূলের হুমকিতে বাড়িছাড়া, এলাকায় গেলেই দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি

    Nadia: তৃণমূলের হুমকিতে বাড়িছাড়া, এলাকায় গেলেই দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দল তৃণমূলের ভয়ে বাড়িতে ঢুকতে পারছেন না, এমন অভিযোগ তুলে বিডিওর দ্বারস্থ হয়েছেন কংগ্রেস কর্মীরা। এমনই ঘটনা ঘটেছে নদিয়া ধুবুলিয়ায় (Nadia)। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মনোনয়নের পর থেকেই একমাত্র শাসক দলের বিরোধী প্রার্থী হওয়ায় এইরকম অতাচারের সম্মুখীন হতে হয়েছে। 

    কী ঘটেছে (Nadia)?

    বেশ কয়েক দিন আগে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মিথ্যা মোকদ্দমায় ফাঁসানো হয় ধুবুলিয়া থানার অন্তর্গত খাজুরি পুকুরপাড় এলাকার কয়েকজন বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের। ভোটের আগে বাড়িতে ফিরতে চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠিও লিখেছেন এই বিরোধী কর্মীরা। কিন্তু কিছু ফল হয়নি। গত বুধবার দুপুর আনুমানিক আড়াইটে নাগাদ কৃষ্ণনগর (Nadia) ২ নম্বর ব্লকের বিডিওর কাছে উপস্থিত হন তাঁরা। এলাকার বিরোধী কর্মীদের দাবি, আমরা কংগ্রেস করি। তাই আমাদের উপর অত্যাচার করছে শাসক দলের লোকেরা। এখন আমরা বাড়িতে ফিরতে চাই। তাই প্রশাসন এবং বিডিওর কাছে নিরাপত্তা চেয়ে, একটা মীমাংসা করে বাড়ি ফিরতে চাইছি।

    আক্রান্তদের বক্তব্য

    এলাকায় (Nadia) কংগ্রেস করেন সুনিতা বিবি। তিনি বলেন, আমরা গত এক মাস ধরে ঘরছাড়া। কংগ্রেস দল করার জন্য আমাদের বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এলাকায় গেলেই বলে, দেখে নেব, খুন করে দেব এবং বাড়িঘর লুটপাটেরও ভয় দেখানো হচ্ছে। বাড়ির পুরুষদের খুনের হুমকি মিলছে রোজ। শুধু তাই নই, প্রথমে শাসক দল আমদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কেস দেয় এবং এর পর আমদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়। পরিস্থিতি বুঝে আমরা জামিন নিয়ে জেল থেকে বের হই। কিন্তু তাতেও শান্তি নেই। বাড়িতে গেলেই রোজ মিলছে খুনের হুমকি। পুলিশের কাছে আমাদের কোনও অভিযোগের গুরুত্ব নেই। তিনি আরও বলেন, ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে কোথায় যাবো! নিজের বাড়ি থাকতেই আমরা আজ গৃহহীন! এই প্রসঙ্গে সুনীতা বিবি পুলিশের থেকে কোনও রকম সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে জানান। অবশেষে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে বাড়িতে ভয়মুক্ত হয়ে শান্তিতে বসবাস করার জন্য বিডিও অফিসের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানা গেছে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rath Yatra: বীরনগরে মুখার্জি পরিবারের তামা ও পিতল মিশ্রিত রথে প্রাচীনত্বের ছোঁয়া

    Rath Yatra: বীরনগরে মুখার্জি পরিবারের তামা ও পিতল মিশ্রিত রথে প্রাচীনত্বের ছোঁয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিংহ দুয়ার মুখার্জি পরিবার। নামটা অতি পরিচিত নদিয়ার বীরনগরবাসীর কাছে। প্রায় ৭০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন এবং মিশ্রিত ধাতুর তৈরি রথে পূজিত হন আরাধ্য দেবতা জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা (Rath Yatra)। মুখার্জি বাড়ির সদস্যরা জানিয়েছেন, রথটি ৭০০ বছর আগে ঢাকা থেকে নদিয়ার ফুলিয়াতে আনা হয়। সেখানে ২০০ বছর অবস্থান করার পর নিয়ে যাওয়া হয় মুখার্জি পরিবারে। রথটি তৈরি তামা ও পিতল দিয়ে। রথের চাকাও তৈরি মিশ্রিত ধাতু দিয়ে। এখনও মুখার্জি পরিবারে গেলে দেখা যাবে প্রাচীনত্বের ছোঁয়া। সুদর্শন কারুকার্যের মধ্যে দিয়ে এখনও ফুটে ওঠে ইটের প্রাচীর।

    রথ উৎসবের (Rath Yatra) দিন সবাই একত্রিত হন

    একটা সময় দেশ-বিদেশ থেকে পণ্ডিতরা আসতেন। ধুম ধাম করে পালিত হত রথ উৎসব (Rath Yatra)। উৎসব শেষে পণ্ডিতরা দীর্ঘদিন ওই স্থানে বসবাস করতেন। কিন্তু হঠাৎই গভীর রাতে চুরি করার উদ্দেশ্যে ছক করে একদল ডাকাত। এরপর চুরি করে নেয় রথের সারথি ও মূল্যবান বেশ কিছু ধাতু। তারপর থেকে সারা বছরই বিগ্রহ দেবতাদের রাখা হয় মুখার্জি বাড়ির একটি শিব মন্দিরে। তবে সেকালের রথ উৎসবের জাঁকজমকে এখন অনেকটাই ঘাটতি পড়েছে। চিরাচরিত প্রথা মেনে রথ উৎসব পালন হলেও আগের মতো আর মানুষের আনাগোনা দেখা যায় না। তবে পরিবারের সদস্যরা কর্মসূত্রে বিভিন্ন জায়গায় থাকলেও এই রথ উৎসবের দিন সবাই একত্রিত হয়ে পালন করেন রথ উৎসব। মিশ্রিত ধাতুর রথের চারদিকে ঘুরলে দেখা যাবে সেকালের শিল্পীদের অপূর্ব কারুকার্য, যা এখনকার শিল্পীদের ভাবনার বিষয়। চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী রথের রশিতে টান দেন মুখার্জি পরিবারের বংশধররা। এর পরে একই জায়গাতে রেখে দেওয়া হয় মিশ্রিত ধাতুর তৈরি রথ সহ আরাধ্য দেবতা জগন্নাথ, বলরাম সুভদ্রা দেবীকে।

    এখনও নিয়মিত পালিত হয় এই রথযাত্রা (Rath Yatra)

    আজ উল্টোরথ, সকাল থেকেই রথকে সাজানো হয় সুন্দরভাবে। বিকেলের পরে হরিনাম সংকীর্তন করে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা দেবীকে নিয়ে যাওয়া হবে আবার শিব মন্দিরে। বংশের ৩৬ তম বংশধর অশোক মুখোপাধ্যায় বলেন, ৭০০ বছর আগে ঢাকা থেকে এই রথটি ফুলিয়া এলাকায় ছিল প্রায় ২০০ বছর ধরে। বিভিন্ন কারণে পরবর্তীকালে ওই রথ নিয়ে এসে নিজেদের বাড়িতে একটি মন্দিরে রাখে আমাদের এই বংশধরের। প্রাচীন সেই রীতি মেনেই এখনও নিয়মিত পালিত হয় এই রথযাত্রা (Rath Yatra)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘নির্লজ্জ, বেহায়া’! অভিষেকের চ্যালেঞ্জের জবাবে তীব্র আক্রমণ বিজেপি সাংসদের

    BJP: ‘নির্লজ্জ, বেহায়া’! অভিষেকের চ্যালেঞ্জের জবাবে তীব্র আক্রমণ বিজেপি সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অভিষেক নির্লজ্জ বেহায়া। কয়লা, বালি চুরিতে নিজেকে বাঁচাতে ব্যস্ত। তাই ও চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছে না।” গতকাল প্রকাশ্য জনসভা থেকে বিজেপি সাংসদকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন অভিষেক। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ভাষাতেই পাল্টা আক্রমণ করলেন বিজেপি (BJP) সাংসদ জগন্নাথ সরকার।

    কী ঘটেছে?

    উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচার অভিযানে নেমেছে। তৃণমূলের তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন জেলায় প্রচার অভিযান শুরু করেছেন। গতকাল নদিয়ার হাঁসখালি ব্লকের বাদকুল্লা অনামি ক্লাবের মাঠে একটি প্রকাশ্য জনসভা করে তৃণমূল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বিজেপি (BJP) সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নাম করে বলেন, চার বছর আগে রানাঘাট কেন্দ্রের মানুষ প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটে জগন্নাথ সরকারকে জিতিয়েছিলেন। কিন্তু এই চার বছরে তিনি কোনও উন্নয়ন করেননি। রানাঘাটবাসীর জন্য কোনও মন্ত্রীর সঙ্গে উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেছেন, এমন তথ্য কেউ যদি দিতে পারে, তাহলে আমি চ্যালেঞ্জ করে যাচ্ছি, আমি জীবনে আর রানাঘাটে পা রাখবো না।

    বিজেপি (BJP)  সাংসদের বক্তব্য

    গতকাল তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রানাঘাটে সভার পর বিজেপি (BJP) সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি অভিষেকের মতো বড় বড় বাতেলা মারি না। কয়লা চুরি থেকে শুরু করে বালি চুরির বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট আর হাইকোর্টে যেতে যেতে মাথা খারাপ হয়ে গেছে অভিষেকের। সেই কারণে চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছে না। রানাঘাটবাসীর উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে তিনি বলেন, অভিষেকের জানা উচিত ভারতবর্ষের কোনও কৃষক রেল তার মন্ত্রীর সঙ্গে কথা না বলে আনা যায় না।। আমি রানাঘাটে কৃষক রেল চালু করেছি। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে ২০০০ লাইটের ব্যবস্থা করেছি রানাঘাট কেন্দ্রে। তার মূল্য কি কোনওদিন তৃণমূল হিসাব করে দেখেছে? অন্যদিকে তিনি আরও বলেন, প্রতিবন্ধীদের জন্য আমি যে গাড়ির ব্যবস্থা করেছি, তা তৃণমূলের কোনও সাংসদ আজ পর্যন্ত করতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির সঙ্গে কথা বলে ফুলিয়ায় ৬০ কোটি টাকার প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হতে চলেছে। তৃণমূলের কোনও সাংসদ এমন কাজ করতে পেরেছেন! পাল্টা চ্যালেঞ্জ করেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বাড়িতে বোমাবাজি, আক্রান্ত বিজেপি বিধায়কের ভাই, বাবা সহ তিন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বাড়িতে বোমাবাজি, আক্রান্ত বিজেপি বিধায়কের ভাই, বাবা সহ তিন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীর বাড়িতে বোমাবাজি। গুরুতর জখম বিধায়কের ভাই এবং বাবা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে কৃষ্ণগঞ্জ থানার সামনে চলছে বিজেপির বিক্ষোভ। অন্যদিকে, হামলার প্রতিবাদে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়া রাজ্য সড়কে মাজদিয়ার ভাজনঘাট মোড়ে বিজেপির পক্ষ থেকে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করা হয়। বিজেপি বিধায়ক মুকুটমনি অধিকারী নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ চলে। 

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে আচমকাই বিজেপির (BJP) বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীর বাড়ি এবং আশপাশের বেশ কিছু বাড়িতে বোমাবাজি শুরু হয়। বোমার আঘাতে রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মুকুটমণি অধিকারীর ভাই অনুপম অধিকারী এবং তাঁর বাবা ভূপাল অধিকারী। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এসে বোমাবাজি করে পালায়। এমনিতেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে রাজ্য জুড়ে বিজেপি সহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা শাসকদলের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন। কোথাও প্রার্থীদের জোর করে মনোনয়নপত্র তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, আবার কোথাও মারধর করা হয়েছে। সেই কারণেই আদালতের নির্দেশে দীর্ঘ টালবাহানার পর কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট পরিচালনা করার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী জেলায় জেলায় রুটমার্চ শুরু করলেও সন্ত্রাসের খবর উঠে আসছে একাধিক জায়গা থেকে। এবার বিজেপি বিধায়কের বাড়িতেই বোমাবাজির ঘটনায় জেলা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক?

    এ বিষয়ে বিজেপির (BJP) বিধায়ক মুকুটমনি অধিকারী বলেন, রবিবার রাতে বেশ কিছু দুষ্কৃতী এসে বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে। আশপাশেও তারা বোমা ছোড়ে। বোমার আঘাতে জখম হন আমার ভাই,বাবা এবং আরও এক বিজেপি নেতা। এই ঘটনার পিছনে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা জড়িত রয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, কৃষ্ণগঞ্জ থানার আইসি আমাদের কথা দিয়েছিলেন এই এলাকায় কোনও সন্ত্রাস হতে দেবেন না। তা সত্ত্বেও এই ধরনের ঘটনা ঘটে গেল। আর এই ঘটনার পিছনে পুরোপুরি দায়ী প্রশাসন এবং তৃণমূল। যত দ্রুত সম্ভব অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা হলে থানার সামনে বিক্ষোভ-আন্দোলন চলবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের জেলা নেতা সনৎ চক্রবর্তী বলেন, পুরো ঘটনাটি তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই ওই এলাকায় বিজেপির প্রার্থী বাছাই নিয়ে ঝামেলা চলছিল। আর রবিবারের রাতের ঘটনা পুরোটাই বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এর সঙ্গে তৃণমূল কোনভাবেই জড়িত নয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share