Tag: Nadia

Nadia

  • BJP: বাড়িতে বোমাবাজি, আক্রান্ত বিজেপি বিধায়কের ভাই, বাবা সহ তিন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বাড়িতে বোমাবাজি, আক্রান্ত বিজেপি বিধায়কের ভাই, বাবা সহ তিন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীর বাড়িতে বোমাবাজি। গুরুতর জখম বিধায়কের ভাই এবং বাবা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে কৃষ্ণগঞ্জ থানার সামনে চলছে বিজেপির বিক্ষোভ। অন্যদিকে, হামলার প্রতিবাদে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়া রাজ্য সড়কে মাজদিয়ার ভাজনঘাট মোড়ে বিজেপির পক্ষ থেকে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করা হয়। বিজেপি বিধায়ক মুকুটমনি অধিকারী নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ চলে। 

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে আচমকাই বিজেপির (BJP) বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীর বাড়ি এবং আশপাশের বেশ কিছু বাড়িতে বোমাবাজি শুরু হয়। বোমার আঘাতে রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মুকুটমণি অধিকারীর ভাই অনুপম অধিকারী এবং তাঁর বাবা ভূপাল অধিকারী। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এসে বোমাবাজি করে পালায়। এমনিতেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে রাজ্য জুড়ে বিজেপি সহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা শাসকদলের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন। কোথাও প্রার্থীদের জোর করে মনোনয়নপত্র তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, আবার কোথাও মারধর করা হয়েছে। সেই কারণেই আদালতের নির্দেশে দীর্ঘ টালবাহানার পর কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট পরিচালনা করার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী জেলায় জেলায় রুটমার্চ শুরু করলেও সন্ত্রাসের খবর উঠে আসছে একাধিক জায়গা থেকে। এবার বিজেপি বিধায়কের বাড়িতেই বোমাবাজির ঘটনায় জেলা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক?

    এ বিষয়ে বিজেপির (BJP) বিধায়ক মুকুটমনি অধিকারী বলেন, রবিবার রাতে বেশ কিছু দুষ্কৃতী এসে বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে। আশপাশেও তারা বোমা ছোড়ে। বোমার আঘাতে জখম হন আমার ভাই,বাবা এবং আরও এক বিজেপি নেতা। এই ঘটনার পিছনে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা জড়িত রয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, কৃষ্ণগঞ্জ থানার আইসি আমাদের কথা দিয়েছিলেন এই এলাকায় কোনও সন্ত্রাস হতে দেবেন না। তা সত্ত্বেও এই ধরনের ঘটনা ঘটে গেল। আর এই ঘটনার পিছনে পুরোপুরি দায়ী প্রশাসন এবং তৃণমূল। যত দ্রুত সম্ভব অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা হলে থানার সামনে বিক্ষোভ-আন্দোলন চলবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের জেলা নেতা সনৎ চক্রবর্তী বলেন, পুরো ঘটনাটি তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই ওই এলাকায় বিজেপির প্রার্থী বাছাই নিয়ে ঝামেলা চলছিল। আর রবিবারের রাতের ঘটনা পুরোটাই বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এর সঙ্গে তৃণমূল কোনভাবেই জড়িত নয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: প্রার্থী বাছাই এবং মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক দলের বিধায়ক

    Nadia: প্রার্থী বাছাই এবং মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক দলের বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই দলের কোনও অনুশাসন নেই, নেই নির্দিষ্ট কোনও গাইডলাইন। কেউ কাউকে মানে না। একশ্রেণির নেতারা এই দলটাকে শেষ করছে। যাদের কথা শুনে দল প্রার্থী ঠিক করছে সেই প্রার্থীর দায়িত্ব তাদেরকেই নিতে হবে। এখানে আমার কিছু করার নেই। দলের কর্মীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় দলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক তেহট্টের (Nadia) তৃণমূল বিধায়ক তাপসকুমার সাহা।

    নদিয়ায় (Nadia) মনোনয়নকে ঘিরে কী হয়েছে?

    উল্লেখ্য, এক দফা পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে চলছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ। আজ তার শেষ দিন। সেইমতো তেহট্ট (Nadia) বিডিও অফিসে দলের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক তাপসকুমার সাহা। আর সেখানেই পছন্দের প্রার্থীদের নাম না থাকায় দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। 

    বিক্ষুব্ধ বিধায়ক কী বললেন?

    নির্বাচনে মনোনয়নের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে এই তৃণমূল বিধায়ক (Nadia) বলেন, ব্লক সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি এবং আমি একসঙ্গে বসে দলের নির্দেশে যে তালিকা দলকে পাঠিয়েছিলাম, সেখান থেকে অনেকের নাম বাদ গেছে। অথচ দল যেভাবে বলেছে, সই করে নাম সেই ভাবেই পাঠিয়েছি। কিন্তু তারপরেও আমাদের অনেকের নাম বাদ গেছে। আমরা বুঝতে পারছি, কেউ দলকে শেষ করার জন্যই এই ঘটনা ঘটাচ্ছে। এরপর তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের আইপ্যাক এবং দলের শীর্ষ স্তর থেকেও কেউ কেউ এই নাম বদল করেছেন বলে অভিযোগ করেন। বলেন, আমার তালিকার বাইরে যে নামগুলি এসেছে, তাঁদের দায়িত্ব আমি নেবো না! আর আমার দেওয়া যে সমস্ত নাম দল নির্বাচিত করেছে, তাঁদের দায়িত্ব আমি নিচ্ছি। পাশাপাশি তিনি আরও আক্রমণাত্মক হয়ে বলেন, এই দলের কোনও অনুশাসন নেই, নির্দিষ্ট গাইডলাইন নেই। জেলা সভাপতি, আইপ্যাক, অঞ্চল সভাপতিদের মধ্যে কোনও সংযোগ নেই। দলের তরফ থেকে নেই কোনও বিশেষ নির্দেশিকাও। এই প্রসঙ্গে আরও স্পষ্ট করে বলেন, দলের একটা অংশের নির্দেশে এই ঘটনা ঘটছে এবং এই বিষয়ের মধ্যে প্রদেশের কিছু নেতা যুক্ত হয়ে তৃণমূল দলকে নষ্ট করছেন বলে অভিযোগ করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ঝড়বৃষ্টির দাপটে লণ্ডভণ্ড অভিষেকের নবজোয়ার, আতঙ্কে পালালেন তৃণমূল নেতারা

    Abhishek Banerjee: ঝড়বৃষ্টির দাপটে লণ্ডভণ্ড অভিষেকের নবজোয়ার, আতঙ্কে পালালেন তৃণমূল নেতারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৈরি করা হয়েছিল বিশাল প্যান্ডেল। নীল-সাদা কাপড়ে সভাস্থলে ঢোকার রাস্তার দুপাশ মুড়ে দেওয়া হয়েছিল। একেবারে এলাহি আয়োজন। তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বক্তব্য শুনবেন বলে অনেক কর্মী-সমর্থকও সভাস্থলে এসে গিয়েছিলেন। অনেকে রাস্তায় ছিলেন। কিন্তু, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সব কিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল। সভার শুরুতেই তুমুল ঝড়-বৃষ্টি। ত্রিপলের শেড ভেঙে মাথায় পড়ে জখম হলেন দুজন। তাঁরা ডেকরেটরের কর্মী। ঝড়ে ভেঙে পড়ার আতঙ্কে মঞ্চ ছেড়ে পালান তৃণমূল নেতারা। ভেঙে যায় তোরণ। বন্ধ হয়ে যায় অভিষেকের (Abhishek Banerjee) সভা।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এদিন নদীয়ার বাদকুল্লায় বেলা তিনটেয় তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নবজোয়ার কর্মসূচি ছিল। বাদকুল্লার অনামী ক্লাবের মাঠে ত্রিপলের শেড করা হয়েছিল। আচমকাই কালো মেঘে গোটা এলাকা ঢেকে যায়। তখনও সভাস্থলে কর্মী, সমর্থকরা ঢুকছেন। প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন রয়েছেন। মঞ্চে জেলা স্তরের সব নেতা রয়েছেন। আচমকাই শুরু হয় প্রবল ঝড় আর বৃষ্টি। দমকা হাওয়ায় রীতিমতো দুলছিল ত্রিপলের শেড। দমকা হাওয়ায় শেডের একাংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। তখনও মঞ্চে ছিলেন তৃণমূলের জেলা স্তরের নেতানেত্রীরা। মঞ্চের পিছনের ত্রিপল ছিঁড়ে যেতেই মঞ্চ ছেড়ে নিচে নেমে আসেন তাঁরা। এ বিষয়ে তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এদিনই প্রথম জনসভা ছিল। সমস্ত রকম প্রস্তুতি ছিল। প্রচুর কর্মী, সমর্থক চলে এসেছিলেন। রাস্তাতে অনেকে ছিলেন। কিন্তু, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে মূলত বন্ধ হয়ে গেল জনসভা কর্মসূচি। দলীয় নেতার সঙ্গে কথাও হয়েছে। এই অবস্থায় আর সভা করা সম্ভব নয়। তবে, রাস্তায় মিছিল করে জনসংযোগ কর্মসূচি করা হবে। জানা গিয়েছে, পরে, গাড়ি থেকেই তিনি কর্মীদের সঙ্গে জনসংযোগ করেন। তবে, এই প্রথম নয় এর আগেও আরামবাগ সহ একাধিক জায়গায় অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নবজোয়ার কর্মসূচি ঝড়বৃষ্টির কারণে বাতিল হয়ে গিয়েছে। সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হল নদীয়ার বাদকুল্লায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Abhishek Banerjee: আদালত নির্দেশ দিলে অভিষেককে কান ধরে নিয়ে যাবে ইডি, বললেন সুকান্ত

    Abhishek Banerjee: আদালত নির্দেশ দিলে অভিষেককে কান ধরে নিয়ে যাবে ইডি, বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) তলব করল ইডি। ১৩ জুন ইডি অফিসে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের জনজোয়ার কর্মসূচিতে অভিষেক প্রথমে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে রোড শো করেন। পরে, ধুবুলিয়াতে দলীয় কর্মসূচিতে তিনি যোগ দেন। সেখান থেকে নদিয়ার নাকাশিপাড়া, পলাশীপাড়া সহ কালীগঞ্জে একাধিক কর্মসূচিতে তিনি যোগদান করেন। সেখানেই ইডি-র নোটিশের বিষয়ে তিনি জানতে পারেন।

    ইডিতে হাজিরা নিয়ে কী বললেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)?

    ইডির নোটিশ প্রসঙ্গে অভিষেক (Abhishek Banerjee) বলেন, “এর আগে যখন আমাকে সিবিআই প্রায় আট ঘণ্টা অফিসে বসিয়ে রেখেছিল, আমি তদন্তে সম্পূর্ণ সাহায্য করেছি। এর পাশাপাশি অনুরোধ করেছিলাম, তৃণমূলের যে নবজোয়ার কর্মসূচি চলছে, তার মধ্যে যেন আমাকে না ডাকা হয়। কিন্তু, দেখা গেল, আমার স্ত্রীকে ডেকেও দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হল। স্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়ার পনেরো মিনিট পরই আমাকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক চক্রান্ত। তৃণমূলের নবজোয়ার কার্যত জনজোয়ারে পরিণত হয়েছে। আর তা দেখেই বিজেপি ভয় পেয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আমি তাদের সম্পর্কে কোনও খারাপ মন্তব্য করব না এবং দোষও দেব না। বিজেপি রাজনৈতিকভাবে আমার সঙ্গে পেরে না উঠে এই চক্রান্ত চালাচ্ছে। তবে যে কদিন জনজোয়ার কর্মসূচি রয়েছে, সেই কদিন আমার অন্য কোথাও যাওয়ার মতো সময় নেই। তারপর সামনে ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে আট ঘণ্টা কোথাও গিয়ে নষ্ট করার মতো সময় আমার হাতে নেই। ভোট মিটে যাওয়ার পর আমাকে যেদিন ডাকবেন, আমি সেদিনই যাব। তার আগে আমার পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়।”

    অভিষেক (Abhishek Banerjee) প্রসঙ্গে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “কুকুরের লেজ তো সহজে সোজা হয় না। তাই, ইডি ডাকলে তো তিনি (Abhishek Banerjee) যাবেন না, এটাই স্বাভাবিক বিষয়। ইডির হাত থেকে বাঁচতে এত কিছু হচ্ছে। যাত্রা হচ্ছে, নবজোয়ারের নাটক হচ্ছে, পঞ্চায়েত ভোট হচ্ছে। ইডি এবার আদালতকে বিষয়টি জানাবে। আদালত কান ধরে নিয়ে আসার নির্দেশ দেবে। ইডি তখন কান ধরে নিয়ে আসবে। তখন দেখবেন ঠিক হাজির হয়ে যাবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ইসকনের জগন্নাথ মন্দিরে পালিত হল স্নানযাত্রা, আনন্দিত ভক্তবৃন্দ

    Nadia: ইসকনের জগন্নাথ মন্দিরে পালিত হল স্নানযাত্রা, আনন্দিত ভক্তবৃন্দ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাড়ম্বরে পালিত হলো নদিয়ার (Nadia) মায়াপুর ইসকনে শ্রীজগন্নাথের স্নানযাত্রার উৎসব। মায়াপুর চন্দ্রোদয় মন্দির থেকে সাড়ে চার কিলোমিটার দূরে রাজাপুর শ্রীজগন্নাথ মন্দিরে স্নানযাত্রা উপলক্ষে সকাল থেকেই হাজার হাজার ভক্তের ভীড়। এলাকায় স্নানযাত্রা উপলক্ষে মহামহোৎসবের আবির্ভাব।

    মায়াপুরে (Nadia) কীভাবে শ্রী জগন্নাথদেবকে স্নান করানো হল?

    দাবদাহকে উপেক্ষা করেই দীর্ঘ লাইন দিয়ে শ্রীজগন্নাথকে স্নান করানোর জন্য দেশ-বিদেশের ভক্তরা সকালেই পৌছে গেছেন মন্দিরে। কথিত আছে আজকের স্নানযাত্রার পরেই শ্রীজগন্নাথের শরীরে আসবে ধুম জ্বর। জ্বরে কাবু হয়ে রথের দিন পর্যন্ত তিনি গৃহবন্দী হয়ে থাকবেন। রথের দিন রাজকীয় বেশে, রথে করে পুনরায় ভক্তদের মাঝে অবতীর্ণ ও পূজিত হবেন শ্রীজগন্নাথের ঠাকুর। এইদিন স্নানযাত্রা উপলক্ষে সমস্ত ভক্তদের জন্য প্রসাদের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল ইসকনের পক্ষ থেকে। একইসাথে বিশৃঙ্খলা এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা রাজাপুর (Nadia) শ্রীজগন্নাথ মন্দিরে শুরু হয়ে গেল স্নানযাত্রার মাধ্যমে রথের প্রস্তুতি। এলাকায় উৎসবের আবহ।

    ইসকনের পক্ষ থেকে বক্তব্য

    স্নানযাত্রা উপলক্ষে ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস জানান, অন্যান্য উৎসবের মতো ইসকনের রথযাত্রা এবং শ্রীজগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা একটি ধর্মীয় মুখ্য অনুষ্ঠান। জগতের নাথ অর্থাৎ জগন্নাথদেব এই স্নানযাত্রার পরে গৃহবন্দী অবস্থায় থাকবেন। রথের দিন পুনরায় তিনি ভক্তদের মাঝে অবতীর্ণ হবেন। প্রতিবছরের মত এবারও রাজাপুরের চন্দ্রোদয় মন্দিরে মহাসামরহে চলছে স্নানযাত্রার উৎসব। স্নানযাত্রার পর ২০ শে জুন থেকে রথযাত্রা শুরু হবে। এই রথ নিয়ে যাওয়া হবে মায়াপুর (Nadia) ধামে। আবার মায়াপুর থেকে ২৮শে জুন পুনরায় রাজাপুরে নিয়ে আসা হবে। প্রভু শ্রীজগন্নাথ রথের দিনে আপামর জগতবাসীকে আশীর্বাদ করবেন। তিনি আরও বলেন ইসকনের মহাপ্রভু শ্রীপ্রভুপাদ বিদেশের মাটিতে ১৯৬৭ সালে রথযাত্রা পালন করেন। মঙ্গলময় ঈশ্বর জগত সকলের মঙ্গল কামনা কবেন এই আশাই প্রকাশ করেছেন গৌরাঙ্গ দাস।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: দিনহাটায় বিজেপি নেতা খুনে সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: দিনহাটায় বিজেপি নেতা খুনে সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচবিহারের দিনহাটায় বিজেপি নেতা প্রশান্ত রায়বসুনিয়াকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। নৃশংস এই খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুক্রবার নদিয়ার ধানতলার কুলগাছিতে পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় মৃত যুবকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। পরে, দলীয় কর্মী খুনের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, “বিজেপি নেতা খুনে তৃণমূল জড়িত। ওই জেলার তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা জড়িত রয়েছে। আমরা এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।”

    অভিষেককে নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

     সম্প্রতি নদীয়ার ধানতলা থানা এলাকার কুলগাছিতে গরু চুরির ঘটনায় পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। তখনই পুলিশ দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ির নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় আকাশ রায় নামে এক কিশোরের। তারপর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। শুক্রবার নিহত আকাশের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিরোধী দলনেতা। রানাঘাট উত্তর-পূর্ব বিধানসভার বহিরগাছিতে কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় আয়োজন করা হয় শোক সভার। শোক সভা থেকে পুলিশকে নিশানা করার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। শুভেন্দু অধিকারীকে ব্যক্তি আক্রমণ অভিষেকের, ভিন্ন রাজনীতি বাংলায়? এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “এরা অশ্লীল কথা বলবেন, আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে ঠিক জায়গাতেই আছি। পায়ে দুটো কাঁটা ফুলেছে তাই লাফাচ্ছে, তিরিং বিড়িং, এপাং ওপাং ঝপাং, ভাইপো হবে ড্যাং ড্যাং। এরা তো চন্ডী পাঠও ভুল করে।” অভিষেকের দাবি, নন্দীগ্রামে এই মুহূর্তে ভোট হলে ৫০ হাজার ভোটে জিতবে তৃণমূল, এ প্রসঙ্গে  শুভেন্দু বলেন, “আবার ভোট তো দেরি আছে, ও চাইলে তো এক্ষুনি ভোট হবে না, ওর পিসি এসেছিল, ওর পিসিকে তো শিক্ষা দিয়ে নন্দীগ্রাম থেকে ভোটাররা পাঠিয়ে দিয়েছে। আমি বলছি, কালকে যদি ডায়মন্ড হারবারে ভোট হয় মমতা ব্যানার্জির ভাইপো তৃতীয় হবে, নওশাদ সিদ্দিকীর সঙ্গে বিজেপির লড়াই হবে।”

    পুলিশ নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    আকাশ রায়ের মৃত্যু প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা বলেন, “পুলিশের গাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যু হল একটি ফুটফুটে বালকের, সেখানে বলা হলো কী? দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে, এরাজ্যে সবই সম্ভব। সিআরপিএফ এর গাড়ি ধাক্কা মারায় চালকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা, আর পুলিশের গাড়ি চাপা পড়ে কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় জামিনযোগ্য ধারায় মামলা, যতদিন তৃণমূল থাকবে এই অরাজগতা চলবে।

    কুন্তলের মামলা কোথায় স্থানান্তরের কথা বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    কুন্তল ঘোষ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “ওকে জেলে খাসির মাংস খাওয়াচ্ছে, আর ভাইপো পিসি যা শিখিয়ে দিচ্ছে তাই বলছে। আমি দাবি করব, এই মামলা অন্য রাজ্যে স্থানান্তর করা হোক, অন্য রাজ্যে স্থানান্তর করলে কেষ্টর মতো ধোঁয়া বেরিয়ে যাবে।”  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: অবাক কাণ্ড! অদৃশ্য ইটবৃষ্টি একাধিক বাড়িতে, ভয়ে সিঁটিয়ে বাসিন্দারা

    Nadia: অবাক কাণ্ড! অদৃশ্য ইটবৃষ্টি একাধিক বাড়িতে, ভয়ে সিঁটিয়ে বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অলৌকিক ঘটনা, না এর পিছনে রয়েছে কোনও রহস্য? বুঝতে পারছেন না বাড়ির আবাসিকরা। কারণ, কারও বাড়ির টালির চালে, কারও আবার কাচের জানালায় ঢিল পড়ছে। কিন্তু, ঘর থেকে বেরিয়ে কারও হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না। গত কয়েক দিন ধরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বল্লভি আচার্যপাড়া লেনে।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুরের এই পাড়ায় বহু বছর ধরে আট ঘর আচার্য পরিবার বসবাস করছে। যার সদস্য সংখ্যা প্রায় ৪০ জন। অভিযোগ, গত তিন-চারদিন ধরে ওই ৮টি বাড়ি লক্ষ্য করে কেউ বা কারা ইট ছুড়ছে। মাঝে মধ্যেই হচ্ছে ইটবৃষ্টি, তাও আবার দিনের বেলায়। ইটের আঘাতে এক শিশু সহ দুজন জখম হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, কে ইট ছুড়ছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। বাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হচ্ছে, সেটাই শুনতে পাচ্ছি। আশপাশের সব বাড়িতেই এই ঘটনা ঘটছে। বাড়ির ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের অন্যত্র রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ঘটনায় আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি। আমাদের দাবি, যে বা যারা এই কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। নাহলে পরিবার নিয়ে বাড়িতে বসবাস করা আমাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে উঠবে।

    কী বললেন স্থানীয় কাউন্সিলার?

    বিষয়টি জানতে পেরে পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করতে যান এলাকার কাউন্সিলার পম্পা বিশ্বাস রাজবংশী। তিনি বলেন, “এটা অলৌকিক ঘটনা। আশ্চর্যজনক ভাবে আমি ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর আমার সামনেও হয় এই ইটবৃষ্টি। সবাইকে সাবধানে থাকতে বলেছি। কারও সঙ্গে শত্রুতার জন্য এই ঘটনা কি না, তা বুঝতে পারছি না। পুলিশ-প্রশাসনকে বলা হয়েছে। তারা এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।” জানা গিয়েছে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছতেই পুলিশকে লক্ষ্য করেও ছোড়া হয় ইট। ইটের আঘাতে আহত হয় এক পুলিশ কর্মীও।

    কী বললেন শান্তিপুর বিজ্ঞান ক্লাবের সদস্য?

    শান্তিপুর বিজ্ঞান ক্লাবের সভাপতি সুব্রত বিশ্বাস বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। তবে, এতে অলৌকিক কিছু নেই। যেভাবে কয়েকটি বাড়ি লক্ষ্য করে এই ধরনের হামলা চালানো হচ্ছে, তাতে পরিষ্কার, পরিকল্পিত ভাবেই এটা করা হচ্ছে। এর পিছনে কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে। পরিবারের লোকজন সঠিকভাবে বলতে পারবে। পরিবারের লোকজন সহযোগিতা করলে আমরা রহস্য উদঘাটন করতে পারব।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে রণক্ষেত্র কল্যাণী, বোমাবাজি, জখম ৪

    TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে রণক্ষেত্র কল্যাণী, বোমাবাজি, জখম ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার রাতে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কল্যাণীর সগুনা পঞ্চায়েতের কাঁটাবেলে এলাকা। তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনেই বুথ সভাপতিকে ধরে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে সংখ্যালঘু সেলের নেতার বিরুদ্ধে। পাল্টা হামলার ঘটনাও ঘটে। ঘটনার জেরে এলাকায় বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর চালানো হয় দলীয় কার্যালয়ে। দুপক্ষের চারজন জখম হন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    নব জোয়ার কর্মসূচিতে যোগ দিতে তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নদিয়ায় আসছেন। কল্যাণীর সগুনায় তাঁর আসার কথা রয়েছে। সেই কর্মসূচি উপলক্ষে তৃণমূলের বুথ সভাপতি সাইফুল মণ্ডলের উদ্যোগে বুধবার রাতে কাঁটাবেলে তৃণমূল পার্টি অফিসে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সেই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। মিটিং চলাকালীন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি জাহাঙ্গির মণ্ডল দলবল নিয়ে এসে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এমনকী এলাকায় বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত তৃণমূলের বুথ সভাপতি সাইফুল মণ্ডল বলেন, “আসলে আমি নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি। সেটা অনেকেই মেনে নিতে পারছে না। মিটিং চলাকালীন জাহাঙ্গিরের নেতৃত্বে হামলা হয়। মেরে আমার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। এলাকায় বোমাবাজি করে ওরা।” অন্যদিকে, সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি জাহাঙ্গির মণ্ডল বলেন, “সাইফুলের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে। বিজেপির মদতে ওরা এসব করছে। আমি সহ কয়েকজন কর্মী জখম হয়েছি। আমরা কোনও হামলা করিনি। বোমাবাজির অভিযোগ ঠিক নয়।”

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) অঞ্চল সভাপতি তারক চন্দ বলেন, “পার্টি অফিসে বসা নিয়ে গণ্ডগোল হয়েছিল। ভুল বোঝাবুঝি থেকে এসব হয়েছে। দলীয় কোন্দলের বিষয় নেই। তবে, আমাদের আরও সংযত হওয়া দরকার। দুপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রত্যেকে নিজেদের ভুল স্বীকার করেছে। ফলে, আর কোনও সমস্যা নেই। আমরা সকলেই একজোট হয়ে লড়াই করব।”

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি নেতা শুভাশিস বিশ্বাস বলেন, “তৃণমূলের (TMC) এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আজকের নয়। এই দল শুরু থেকেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সূত্রপাত। এই ঘটনা শুধু কাঁটাবেলের এলাকা জুড়ে নয়, গোটা রাজ্যজুড়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। দুর্নীতির জেরেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। এই দলটি লুটের রাজত্ব চালাচ্ছে। এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনায় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের বাড়িতে বিস্ফোরণ! উড়ল বাড়ির ছাদ

    Nadia: তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের বাড়িতে বিস্ফোরণ! উড়ল বাড়ির ছাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুলে বিস্ফোরণের ঘটনায় তৃণমূল নেতা ভানু বাগের বাড়ি উড়ে গিয়েছিল। মৃত্যু হয়েছিল ১১ জনের। তার কয়েকদিন পরই বীরভূমের দুবরাজপুরে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। রাজ্যু জুড়ে সর্বত্র মুড়ি মুড়কির মতো বোমা উদ্ধার করছে পুলিশ। এইসব ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণে উড়ে গেল বাড়ির ছাদ, ভেঙে পড়ল দেওয়াল। বিকট আওয়াজে চরম আতঙ্কে এলাকাবাসী। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) চাপড়া থানার মহিষনগর পূর্বপাড়া এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    বুধবার রাতে নদিয়ার (Nadia) চাপড়া থানার মহিষনগর পূর্বপাড়ায় সাইফুল শেখ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে আচমকা বিকট আওয়াজ শুনতে পান এলাকাবাসী। সাইফুল তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের আত্মীয়। প্রথমে কেউ বাড়ি থেকে ভয়ে না বের হলেও পরে গিয়ে দেখতে পান, সাইফুল শেখের বাড়ির ছাদ উড়ে গিয়েছে। ঘরের চারপাশের দেওয়াল ভেঙে পড়েছে। যেহেতু বিকট আওয়াজের সঙ্গে এই বিস্ফোরণ ঘটে, তাই এলাকাবাসী মনে করছেন, বোমা বিস্ফোরণই হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চাপড়া থানার পুলিশ। খবর দেওয়া হয় বোমা নিষ্ক্রিয়কারী প্রতিনিধি দলকে। তবে, বোমা বিস্ফোরণের সময় সাইফুলের বাড়িতে কেউ ছিল না বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দা?

    এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম শেখ বলেন, বিকট আওয়াজ শুনতে পেয়ে গিয়ে দেখি, সাইফুলের বাড়ির ছাদ উড়ে গিয়েছে এবং দেওয়াল ভেঙে পড়েছে। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। সেই কারণে অনুমান করা হচ্ছে, একাধিক বোমা মজুত ছিল ওই বাড়িটিতে। ঘটনার পর আমরা রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছি।

    বোম্ব স্কোয়াডের আধিকারিক কী বললেন?

    বোমা নিষ্ক্রিয়কারী প্রতিনিধি দলের এক আধিকারিক জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে বোমা ফেটেই এই ঘটনা ঘটেছে। তবে, বিস্ফোরণের তীব্রতা কতটা ছিল, সেটা যাচাই করা হচ্ছে। ঘটনার পর চাপড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

    ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হল তাজা বোমা

    বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে সিআইডি ঘটনাস্থলে যায়। ফরেনন্সিক টিম গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। এদিন ঘটনাস্থল থেকে একাধিক তাজা বোমা পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে। আর কোথাও বোমা রয়েছে কি না তার খোঁজে তল্লাশি চালানো হয়। তবে, ঘটনার পর এলাকার লোকজন চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: চোর ধরতে গিয়ে পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু এক বালকের

    Nadia: চোর ধরতে গিয়ে পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু এক বালকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ায় (Nadia) পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় মৃত এক বালক, আহত আরও দুজন। পুলিশ ও গ্রামবাসীদের মধ্যে খন্ড যুদ্ধ। আহত পুলিশ কর্মী সহ বেশ কয়েকজন। আহতদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় রানাঘাট হাসপাতালে। পুলিশের বিরুদ্ধে এলাকায় তীব্র বিক্ষোভ।

    নদিয়ার (Nadia) কোথায় এবং কী ঘটেছে?

    চোর ধরাকে কেন্দ্র করে এলাকায় পুলিশ এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। নদিয়ার (Nadia) ধানতলা থানার কুলগাছি এলাকার ঘটনা। মানুষের দাবি এলাকায় বৃদ্ধি পাচ্ছিল গরু চুরির ঘটনা। গতকাল রাতে এক চোরকে এলাকাবাসী হাতেনাতে ধরে ফেলে, আর সেই চোরকে উদ্ধার করতে গেলে জনরোষে পড়ে পুলিশ। অভিযোগ পুলিশ তখন ভিড়ের মধ্যে গাড়ি চালিয়ে বেরিয়ে আসতে গেলে গাড়ির নিচে চাপা পড়ে বেশ কয়েকজন। পুলিশের গাড়ির চাপায় ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় এক বালকের এবং আরও দুজন আহত অবস্থায় রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এলাকার মানুষের প্রতিক্রিয়ায় উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।

    পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    কুলগাছি (Nadia) এলাকর পাশেই রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত। এই সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারের অভিযোগে পুলিশের নিস্ক্রিয়তাকে দায়ী করছে এলাকার মানুষ। অপর দিকে পুলিশ চোর ধরতে এসে কীভাবে উপস্থিত মানুষের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে, এক বাচ্চাকে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দিল, সেই বিষয় নিয়েও এলাকার মানুষ বিক্ষোভ করেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

    তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য

    কুলগাছি (Nadia) উত্তরের তৃণমূল বহিরগাছি গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান রাজেশ বর্মন বলেন, এই মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখ জনক, ঘটনা অপ্রীতিকর। এখানে কোনও রাজনীতির বিষয় নেই। তবে এই এলাকায় মাঝে মাঝে চুরির ঘটনা ঘটে এবং এই কিছু দিন আগেই গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তিনি। রাজেশ বাবু আরও বলেন, পুলিশ ঠিক মতন চোরদের ধরতে পারে না বলে, এলাকায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। তিনি আরও বলেন, আমি চাইব, ঘটনা যাই ঘটুক না কেন, যে দোষী তার শাস্তি হোক। পুলিশ যদি দোষ করে থাকে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করুক প্রশাসন। চোর ধরতে এসে পুলিশের গাড়িতে কেন প্রাণ গেল! সেই প্রশ্নেই বিক্ষোভ করছে এলাকার মানুষ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share