Tag: Nadia

Nadia

  • Nadia: শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে মাধ্যমিকে সফল দুই বোন

    Nadia: শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে মাধ্যমিকে সফল দুই বোন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছোট থেকেই পারে না হাঁটতে, পারে না কথা বলতে। মাধ্যমিকে এমনই যমজ দুই বোনের সাফল্যে উৎসাহিত গোটা নদিয়ার (Nadia) বাগআঁছড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অদম্য চেষ্টা ও বাবামায়ের হাড়ভাঙা পরিশ্রমে আজ স্বপ্নপূরণ বিশেষভাবে সক্ষম দুই বোনের।

    কীভাবে চলেছিল পড়াশুনা

    বড় মেয়ে (Nadia) রুমা মল্লিক। তার প্রাপ্ত নম্বর ৩২৪। ছোট মেয়ে ঝুমা মল্লিক, তার প্রাপ্ত নম্বর ৩২১। দুজনই জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী। একজন কোনও রকমে চলাফেরা করতে পারলেও আরেকজন বিকলাঙ্গ। কানে যেমন শুনতে পারে না, বলতে পারে না কথাও। এভাবেই দুই বোন শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছে। সংসার সামলানোর পাশাপাশি দুই প্রতিবন্ধী মেয়েকে কীভাবে পড়াশোনা করাবেন, তা নিয়ে সব সময় দুশ্চিন্তায় থাকতেন মা রেখা মল্লিক। পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির সময় অনেকটাই ভোগান্তিতে পড়তে হয় রুমা-ঝুমাকে। কারণ দুজনেই তো প্রতিবন্ধী, কীভাবে বিদ্যালয়ে (Nadia) যাবে? এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শিক্ষক এবং শিক্ষিকারা। যদিও অনেক টানাপোড়নের পর বাবা-মা মেয়েদের ভর্তি করান বাগআঁচড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। তারপর থেকেই নিয়মিত বিদ্যালয়ে পঠন পাঠনের জন্য যেত দুই বোন।

    শিক্ষকদের বিশেষ ভূমিকা

    অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে রুমা-ঝুমাকে বেশি নজর দিতেন স্কুলের শিক্ষকরা। মা রেখা মল্লিক জানিয়েছেন, মেয়েদের ভর্তি করানোর সময় একটু সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। মা বলেন, আজ যদি বিদ্যালয়ের (Nadia) শিক্ষক-শিক্ষিকারা পাশে না থাকত, তাহলে হয়তো মাধ্যমিক পরীক্ষায় মেয়েরা সাফল্য পেত না।

    আর্থিক সঙ্কটে আবেদন

    বাবা শ্যামল মল্লিক টোটো গাড়ি চালিয়ে কোনওরকম সংসার চালান। মেয়েদের পড়াশোনার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন, তা জোগাড় করতেই হিমশিম খেয়ে যেতে হয়। তবুও হাল ছাড়েননি বাবা-মা। শ্যামল মল্লিক আক্ষেপের সুরে বলেন, পরিবারের দুরবস্থার কথা কে না জানে! আজ পর্যন্ত মেয়েরা মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করলেও কেউই পাশে দাঁড়ায়নি। বাড়িতে (Nadia) না এসেছে কোনও জনপ্রতিনিধি, না খোঁজ নিয়েছে প্রশাসন। সরকার যদি একটু আর্থিক সহায়তা করত, তাহলে মেয়েদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হত। তবে হাজার কষ্ট করে হলেও মেয়েদের পড়াশোনা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন মা-বাবা দুজনেই।  প্রতিবন্ধী দুই বোনের জন্য এখন কোনও সরকারি সহযোগিতা মেলে কি না, সেটাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Nadia: প্রকাশ্যে তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি, কেন জানেন?

    Nadia: প্রকাশ্যে তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাইক চালানো নিয়ে বচসা। সামান্য এই ঘটনা নিয়ে গুলিবিদ্ধ হলেন এক তৃণমূল কর্মী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) কালিগঞ্জ থানার পালিতবেগিয়া এলাকার। গুলিবিদ্ধ ওই তৃণমূল কর্মীর নাম আশরাদুল শেখ। গুলিবিদ্ধ যুবক তৃণমূল কর্মী। হামলাকারীরাও তৃণমূল করে। এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার (Nadia)  পালিতবেগিয়া এলাকায় শনিবার বিকালে কয়েকজন যুবক পাড়ার ভিতর দিয়ে প্রচণ্ড গতিতে বাইক চালিয়ে যাচ্ছিল। জানা যায়, ওই যুবকদের বাড়ি পাশের গ্রামে। প্রচণ্ড গতিতে বাইক চালানোর কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ করেন। শুরু হয় বচসা। পরে, হাতাহাতি শুরু হলে এলাকাবাসী তা  মিটিয়ে দেন। বাইক আরোহীরা গ্রামে ফিরে গিয়ে দল বেঁধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ফের চড়াও হয় বলে অভিযোগ। ফের দুপক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। এরপরই আচমকা আশরাদুল শেখ নামে এক যুবককে লক্ষ্য করে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে পরপর ২ রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে বাইক আরোহীদের বিরুদ্ধে।। আশরাদুলের বুকে গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় লোকজন জড়ো হতেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবকরা। গুরুতর জখম অবস্থায় আশরাদুলকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর শরীর থেকে একটি গুলি বের করা হলেও আরেকটি গুলি শরীরের ভিতরে রয়ে গেছে। বর্তমানে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে তিনি চিকিত্সাধীন রয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কালীগঞ্জ থানার পুলিশ। এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানার চেষ্টা করছে, আদতে ঠিক কী কারণে এই ঘটনা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    কী বললেন গুলিবিদ্ধ যুবকের দাদা?

    গুলিবিদ্ধ আশরাদুলের দাদা ওসমান গনি শেখ বলেন, মূলত প্রচণ্ড গতিতে বাইক চালানোর প্রতিবাদ করাতেই হামলা চালিয়েছে ওরা। তবে, সামান্য বিষয় নিয়ে এভাবে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটবে তা ভাবতে পারিনি। আমরা দোষীদের শাস্তির দাবি করছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: টিফিনের টাকা জমিয়ে বুট কেনা! ফুটবল প্রশিক্ষণ নিতে স্পেন যাচ্ছে নদিয়ার প্রেমাংশু

    Nadia: টিফিনের টাকা জমিয়ে বুট কেনা! ফুটবল প্রশিক্ষণ নিতে স্পেন যাচ্ছে নদিয়ার প্রেমাংশু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মায়ের স্বপ্ন ছিল ছেলে পড়াশুনা করে বড় হয়ে সরকারি চাকরি করবে। পরিবারের অভাব-অনটন দূর করবে। আর ছেলের স্বপ্ন ছিল ধেলাধূলায়। পায়ে ফুটবল পেলে খাওয়া-দাওয়া ভুলে যেত নদিয়ার (Nadia) নাজিরপুরের প্রেমাংশু ঠাকুর। হাজার বকাবকি ও শাসনেও তাকে পা থেকে ফুটবল কাড়তে পারেননি মা। টিফিনের পয়সা জমিয়ে বুট কিনে ফুটবল প্র্যাকটিস শুরু। দিদির জমানো টিউশনের টাকা চুরি করে প্রথম ফুটবল কেনা। স্কুল পালিয়ে ফুটবল প্র্যাকটিস। ফুটবলের প্রতি অমোঘ ভালোবাসা আজ সাফল্য এনে দিয়েছে তাকে। নদিয়া থেকে স্পেনে ফুটবল প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছে প্রেমাংশু। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে আন্দ্রে ইনিয়েস্তার দেশে পাড়ি দেবে নদিয়ার (Nadia) নাজিরপুর বিদ্যাপীঠের দ্বাদশ শ্রেণির এই ছাত্র। এলাকাবাসীর বক্তব্য, প্রেমাংশু একদিন নামকরা ফুটবলার হবে। ও এলাকার মুখ উজ্জ্বল করবে।

    কীভাবে নির্বাচিত হল প্রেমাংশু?

    বাংলার প্রত্যন্ত জেলা থেকে ফুটবল প্রতিভা তুলে আনার লক্ষ্যে আইএফএ এর সঙ্গে যৌথ স্পোর্টস ভেনচারে যোগ দেয় স্পেনের মোট্রিল ফুটবল ক্লাব। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে স্পেনের মোট্রিল ক্লাবের অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত হয়েছে নদিয়ার (Nadia) প্রেমাংশু। স্পেনের মোট্রিল অ্যাকাডেমির প্রশিক্ষক ফেরনান্দো তোরেস ও বাংলার প্রথম প্রো লাইসেন্স প্রাপ্ত প্রশিক্ষক শঙ্কর লাল চক্রবর্তী খেলোয়াড় বাছাইয়ের দায়িত্বে ছিলেন। সম্প্রতি কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবের তাঁবুতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথা ঘোষণা করা হয়। ছেলের এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত মা এবং এলাকার লোকজন সকলে।

    কী বললেন কৃতি ফুটবলারের মা?

    জীবনটা অত্যন্ত কষ্টের বললেন, কৃতি ফুটবলারের মা দুর্গা সরকার। জীবন সংগ্রামের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘শ্বশুরবাড়ি থেকে আমাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। বাবার বাড়িতে ফিরে ছোট্ট প্রেমাংশুকে বুকে আগলে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই শুরু করেছিলাম। ছেলের পড়াশোনার জন্য অন্যের বাড়িতে রান্নার কাজ করতাম। পরিচারিকার কাজও করেছি। সরকারি চাকরি করে সংসারের হাল ধরবে ছেলে, এমনটাই আমার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু ওর স্বপ্ন ফুটবল। বিদেশের মাটিতে ছেলে প্রশিক্ষণ নিতে যাবে ভেবে খুব ভাল লাগছে।’’ আর প্রেমাংশু একজন নামকরা ফুটবলার হয়ে দেখিয়ে দিতে চায় তার জন্মদাতা বাবাকে। যে বাবা একদিন তাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalyani: হাসপাতালে ডায়ালিসিস করাতে এসে এইচআইভি আক্রান্ত পাঁচজন! জেলাজুড়ে শোরগোল

    Kalyani: হাসপাতালে ডায়ালিসিস করাতে এসে এইচআইভি আক্রান্ত পাঁচজন! জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতালে চিকিত্সা করাতে এসে এইচআইভি রোগে আক্রান্ত হলেন রোগী। এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠল কল্যাণী (Kalyani) জেএনএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে।  হাসপাতালের ডায়ালিসিস ইউনিট থেকে এইচআইভি সংক্রমণ ছড়িয়েছে। হাসপাতালে ডায়ালিসিস পরিষেবা নিতে এসে পাঁচজন রোগী এইচআইভি সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। এমনই অভিযোগ করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে লিখিত অভিযোগ করেন এক রোগী। আর এই ধরনের গুরুতর অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়। বিষয়টি জানাজানি হতেই অনেক রোগীর পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। অনেকে ডায়ালিসিস করাতে আসছে না বলে অভিযোগ।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    জানা গিয়েছে, কল্যাণী (Kalyani) জেএনএম হাসপাতালে ডায়ালিসিস নিতে আসা এক রোগী এর আগে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ করেছিলেন। মূলত ডায়ালিসিস বিভাগে অব্যবস্থা নিয়ে তিনি অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগের পর পরই স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে ডায়ালিসিস ইউনিট খতিয়ে দেখা হয়। এরপরই ওই রোগী ফের স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ডায়ালিসিস ইউনিটে একজনের সিরিঞ্জ অন্য রোগীকে চিকিত্সার কাজে ব্যবহার করা হয়। আর তারজন্যই সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। পরে, শারীরীক পরীক্ষা করে জানা যায়, গত কয়েকমাসের মধ্যে এই হাসপাতালে ডায়ালিসিস নিতে আসা ৮ জনের মধ্যে ৫ জন এইচআইভিতে আক্রান্ত। আর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই তাঁরা সকলেই এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। বিষয়টি উপযুক্ত তদন্তের তিনি দাবি জানান।

    কী বললেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ?

    স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানোর পরই মঙ্গলবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকে। বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কল্যাণী (Kalyani) মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অভিজিত্ মুখোপাধ্যায় বলেন,  আমাদের হাসপাতালে ১০টি ডায়ালিসিস বেড রয়েছে। তারমধ্যে একটি বেড এইচআইভি রোগীর জন্য বরাদ্দ রয়েছে। আর একজনের সিরিঞ্জ অন্য রোগীকে দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। তবু, আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। সুপারের নেতৃত্ব ৮ সদস্যের হাইপাওয়ার কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে কমিটি বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাইপাওয়ার কমিটি তদন্তের প্রয়োজনে যে পাঁচজন এইচআইভি আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের পরীক্ষা করবেন। আর হাসপাতালের গাফিলতির কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • The Ghost:  অবাককাণ্ড! ভূতের আরাধনা কোথায় হয় জানেন?

    The Ghost: অবাককাণ্ড! ভূতের আরাধনা কোথায় হয় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূত (The Ghost) ! “নেই, নেই” হাজার বার বলার পরেও দিব্যি চলে আসে অদ্ভূত সব ভূতের (The Ghost) গল্প। মামদো ভূত, মেছো ভূত, গেছো ভূত, গলাকাটা ভূত ইত্যাদি কতোই না তার রকমফের। পেত্নি, শাকচুন্নি, ডাইনি ইত্যাদি স্ত্রী ভূতও নাকি আছে বলা হয়। গল্প শুনলেই গা ছমছমে করে। আর দুর্বল মনের মানুষ হলে তো কথাই নেই। “ভূতে ধরেছে” রটতে না রটতেই হুলস্থুল কাণ্ড ঘটে যায়। তারপর সেই ভূত (The Ghost) তাড়াতে ওঝা ডাকা হয়। ওঝার কেরামতি নিয়েও ঘটে যায় আরও কত কাণ্ড। কিন্তু কখনও কি শুনেছেন ভূতের পুজোর কথা? তাও আবার যে সে ভূত (The Ghost) নয়, ভয়ংকর ও বিশাল চেহারার ‘গলাকাটা’ ভূতের পুজোর কথা? এ হেন ভূতবাবাজিকে তুষ্ট করতে তাঁকে রীতিমতো সম্মান, শ্রদ্ধা জানিয়ে পুজো করা হল এবারও।

    কেমন চেহারা এ ভূতের (The Ghost)?

    প্রায় পনেরো ফুট লম্বা হাত-পা ছড়িয়ে শুয়ে থাকা এক ভূত (The Ghost)। ডান হাতটা কিছুটা ওপরের দিকে তোলা। আর বাঁ পা যেন একটু বেশি প্রসারিত। মুখ তার আকাশপানে। তবে মাথা নেই। ধড় অংশের শুরুতেই সাদা-কালোয় মায়াবী দুটো চোখ দু পাশে। বাম, ডান যেদিক থেকেই আপনি তাঁকে দেখুন না কেন, মনে হবে যেন আপনার দিকেই তাকিয়ে। বুক ও পেটের অংশে উন্নত নাক, লকলকে জিভ, ধবধবে সাদা দাঁতের পাটি। গায়ের রং কুচকুচে কালো। শরীরের নিচের অংশ মেয়েলি ‘ঘের’ জাতীয় লাল টুকটুকে বস্ত্রে ঢাকা। আলতা রাঙানো হাত ও পা। আর বুকের ওপর থেকে ঝোলানো লাল রঙের কাগজের মালা।

    কোথায় হয় এমন গলাকাটা ভূতের (The Ghost) পুজো ?

    নদিয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়া তালতলায় বৈশাখের পয়লাতে এবারও হল এমন ভয়াল চেহারার ভূতের (The Ghost) আরাধনা। হ্যাঁ, বাংলার বিখ্যাত তাঁতশাড়ির আঁতুরঘর যেখানে, সেই ফুলিয়ায়। তবে কোনও তান্ত্রিক বাড়ির নিভৃত কোণে নয়। ভূতের পুজো হল একদম খোলা আকাশের নিচে, হাজার হাজার লোকের মাঝে। কিন্তু, হস্তচালিত তাঁতযন্ত্রের নিত্যদিনের খটাখট শব্দের মাঝে কী করে সেখানে পৌঁছাল এমন ভূত? গল্পটা শোনা যাক ভূতপুজোর আয়োজক বাড়ির অন্যতম কর্তা প্রকাশ বসাকের মুখে। প্রকাশ বললেন, প্রতি বছর আমাদের পরিবারের শরিকি সদস্যদের উদ্যোগে ভূতের (The Ghost) পুজোর আয়োজন করা হয় ঠিকই। কিন্তু, এ পুজো এখন গ্রামের বহু মানুষের পুজো হয়ে গিয়েছে। সেই অর্থে বলা যায় সর্বজনীন। গ্রামের কচিকাঁচা থেকে শুরু করে বয়স্ক সদস্য, এমনকি গ্রামের মহিলারাও এ পুজোর আয়োজনে হাত লাগান। প্রকাশ আরও বলেন, ওপার বাংলার টাঙ্গাইল জেলার বামুন কুইচা গ্রামে বাড়ি ছিল আমাদের পূর্ব পুরুষের। ফি বছর বাংলা নববর্ষের দিনে এমন ভূতের (The Ghost) পুজো করতেন আমাদের ঠাকুরদাদা বা তাঁর বাবারা। স্বাধীনতার পর আমাদের বাবা-জেঠারা পরিবার নিয়ে এপার বাংলার ফুলিয়ায় এসে বসবাস শুরু করেন। খুব সম্ভবত ষাটের দশকে ওপার বাংলার পারিবারিক সেই ভূতের পুজো এখানকার বাড়িতেও শুরু করেছিলেন আমার জেঠু দুলাল বসাক। এরপর আমাদের শরিকি পরিবারের সব সদস্য তো বটেই, দেখতে দেখতে গ্রামের লোকজনও আমাদের এই পুজো আয়োজনের শরিক হয়ে গিয়েছেন। আমাদের এখানকার বাড়ির গায়ে নিজস্ব শিবমন্দির আছে। সেই শিবের গাজনে আমরা যাঁরা সন্ন্যাসী হই, তাঁরাই গলাকাটা ভূতের মূল সেবক।

    কেন এমন ভূতের (The Ghost) পুজো ?

    প্রকাশের বক্তব্য, “বাড়ির বয়স্কদের কাছে শুনেছি, বাড়ির কচিকাঁচারা যাতে ভূতের (The Ghost) ভয় না পায় এবং পরিবারের সবার যাতে মঙ্গল হয়, সেজন্য বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে এই পুজো শুরু করেছিলেন আমাদের পূর্বপুরুষরা। স্থানীয় বাসিন্দা সত্তরোর্ধ্ব হরিপদ বসাক বলেন, আমরা এই দেবতাকে কেউ বলি ‘বড় দেবতা’, আবার কেউ বলি ‘কবন্ধ ভূত’। প্রকাশদের পরিবারের গৃহ দেবতা মহাদেব। তাই চৈত্র শেষের দু দিনে ওদের বাড়ির মন্দিরে ঘটা করে নীল পুজো হয় আর গাজনের সন্ন্যাসীরা প্রথা মেনে দেবাদিদেব মহাদেবকে তুষ্ট করেন। মহাদেবের সঙ্গে ভূতও (The Ghost) থাকেন বলে গাজনের সন্ন্যাসীরা ভূতকেও সন্তুষ্ট করা শুরু করেছিলেন। রামায়ণেও এমন কবন্ধ ভূতের (The Ghost) পুজোর কথা উল্লেখ আছে বলে দাবি জানান হরিপদবাবু।

    ভূত (The Ghost) দেবতা থাকেন কতক্ষণ ?

    মূলত একদিনের পুজো। পুজো ঘিরে বসে মেলাও। তবে অক্ষয় তৃতীয়া পর্যন্ত তো বেটেই, গোটা বৈশাখ মাস জুড়েই বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ উঁকি দেন এই লৌকিক দেবতাকে প্রণাম জানাতে। খোলা আকাশের নিচে দেবতা শুয়ে থাকেন বলে বৃষ্টি নামলেই মৃন্ময় এ দেবতার  অঙ্গহানি শুরু হয়। তবে, অনেক ঝড়বৃষ্টির পরে বছর শেষেও ওই জায়গায় থেকে যায় মাটির স্তুপ। পরের বছর সেই মাটির ঢিবিতে আবারও মাটি লাগিয়ে এবং রং করে ফের গড়া হয় বড় দেবতাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ফিল্মি কায়দায় ভরা বাজারে তৃণমূল কর্মীকে গুলিতে ঝাঁঝরা করল দুষ্কৃতীরা, কোথায় জানেন?

    Nadia: ফিল্মি কায়দায় ভরা বাজারে তৃণমূল কর্মীকে গুলিতে ঝাঁঝরা করল দুষ্কৃতীরা, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বাজারে লোকজনে থিক থিক করছে। দুটি বাইকে কয়েকজন এসে একেবারে ফিল্মি কায়দায় এক তৃণমূল কর্মীকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিল। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালি থানার বড় চুপড়ি বাজারে। বছর পঁচিশের মেয়ের সামনেই পর পর গুলি করে করে খুন করা হল বাবাকে। দোকানের মধ্যে ঢুকে প্রাণ বাঁচানোর আর্ত চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত লুটিয়ে পড়লেন সুঠাম চেহারার ওই ব্যক্তি। আর মৃত্যু নিশ্চিত বুঝতে পেরে ভরা বাজারে লোকজনের সামনে বাইক ছুটিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম  আমোদ আলি বিশ্বাস (৫৩)।  তাঁর বাড়ি বড় চুপড়ি এলাকায়।

    কে এই আমোদ আলি ?

    সামনে তার পেশা ছিল চাষ বাস। আর ভিতরে  জমি কেনা বেচা থেকে শুরু করে অপরাধ জগতের অনেক কিছু করত সে। আর এসব অপরাধ আড়াল করতে তৃণমূল দলের স্থানীয় কোন সভায় লোক জড়ো করার কাজটা ভালো করেই দেখাতো সে। শাসক দলের ছত্রছায়ায় থাকলে তাকে সহজে পুলিশ ধরবে না এই আশায় এমন কৌশল করত সে এমনই দাবি তৃণমূলের একাংশের । এক কথায় বড় চুপড়ি গ্রামের ‘বড় দাদা’ বলেই পরিচিত ছিল সে। ইদানিং অবশ্য তার লোকবল কিছুটা কমে গিয়েছিল। তবু, শুক্রবার খুনের ঘটনার ঘণ্টা খানেক পরেও তৃণমূলের স্থানীয় প্রাক্তন যুব সভাপতি বিপিন সাধুখাঁ দাবি তুলেছিলেন, নিহত ব্যক্তি তাদের দলের গ্রাম নেতা। আমোদ দলের অঞ্চল কমিটির সহ সভাপতি ছিলেন বলে দাবি তোলেন তিনি । গ্রাম থেকে তৃণমূলের একাংশ এমন দাবি তুললেও তৃণমূলের বর্তমান ব্লক ও নদিয়া (Nadia) জেলা নেতৃত্ব অবশ্য তাতে সায় দেয়নি। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শিশির রায় জানান , “আমোদ আমাদের দলের সমর্থক। এটুকু ছাড়া আর কিছু নয়।” এদিকে পুলিশের চোখে দাগি দুষ্কৃতী বলেই পরিচিত ছিল আমোদ। তার বিরুদ্ধে খুন সহ একাধিক অভিযোগের রেকর্ড আছে পুলিশি খাতায়। এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে এই আমোদের বাড়িতে অভিযান চালিয়েই হাঁসখালি থানার পুলিশ একটি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র সহ ১২ বোরের ৩ রাউণ্ড গুলি উদ্ধার করেছিল।   

    কিভাবে তৃণমূল কর্মীকে খুন করা হল ?

    পানের নেশা ছিল আমোদের। বাড়ি থেকে বাজার আধ কিমিও নয়। বাড়ি থেকে বাজারে এসে যথারীতি পান কিনেছিল সে। তারপর একটা চায়ের দোকানে গিয়েছিল। মেয়ে সেলিনাকে বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে চা দোকানে ঢুকতে না ঢুকতেই আমোদকে ঘিরে ধরে একদল দুষ্কৃতী। একদম কাছ থেকে একাধিক গুলিতে ঝাঁঝরা করে তাকে মাটিতে লুটিয়ে দিয়েই বাইক নিয়ে দ্রুত চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। দুটি বাইকে মোট ৫ জন দুষ্কৃতী এসেছিল বলে জানান তার মেয়ে। নিহতের পরিবারের সদস্যদের দাবি, এর আগে আমোদকে তিন বার খুন করার চেষ্টা হয়েছিল। ওই তিনবার প্রাণে বাঁচলেও এবার জীবিত অবস্থায় হাসপাতালে যাওয়ার সুযোগটুকুও পায়নি সে। কারা এ খুন করল, কোথা থেকে এসেছিল, সে তদন্ত শুরু করেছে হাঁসখালি থানার পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Toto: রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হেলিকপ্টার টোটো! কোথায় জানেন?

    Toto: রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হেলিকপ্টার টোটো! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় এখনও ঘুরপাক খায় বীরভূমের এক রাজমিস্ত্রির নিজের হাতে বানানো বাড়িটি। মনে আছে? একদম বাসের আদলে নিজের বসত বাড়ি বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন ওই রাজমিস্ত্রি। তার আগে কলকাতায় দেখা গিয়েছিল ট্রামের কামরার আদলে চায়ের দোকান। কেটলির আকারে ফুটপাতের চায়ের স্টল বা বাড়ির ছাদে ফুটবলের আকৃতির জলের ট্যাঙ্ক ইত্যাদি তো রাজ্যের অনেক গাঁ গঞ্জেও এখন দেখা যায়। কোন গ্রামের যুবকের তৈরি অভিনব সাইকেল, বাইক ইত্যাদিও মাঝে মাঝে সংবাদের শিরোনামে উঠে আসে। এবার সামনে এলো একেবারে হেলিকপ্টারের মতো দেখতে টোটো (Toto)। “চাকদা এক্সপ্রেস” ক্রিকেটার ঝুলন গোস্বামীর নিজের শহরে হেলিকপ্টার টোটো এখন এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। নদিয়ার চাকদহের এক যুবক গৌতম মালাকার এমন অদ্ভুত টোটো (Toto) বানিয়ে নজর কাড়লেন।

    কেন এই অভিনব ভাবনা?

    গৌতম পেশায় মেকানিক। চাকদহ চৌরাস্তার কাছে সাইকেল, টোটো ইত্যাদি বিক্রি ও সারাইয়ের দোকান আছে তাঁর। দোকানে অন্য কর্মচারী থাকলেও মেরামতির মূল কাজটা নিজের হাতেই করেন। কারিগরী বুদ্ধি দিয়ে নিজের হাতে নতুন কিছু একটা তৈরি করার ব্যাপারটা তাড়া করে বেড়ায় গৌতমকে। সেই ভাবনা থেকেই একদম হেলিকপ্টারের মতো দেখতে একটা টোটো (Toto) বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। রাস্তায় চলা হেলিকপ্টার তৈরির কাজ শেষ হওয়ার আগে থেকেই তার দোকানে ভিড় করছিলেন স্থানীয় লোকজন। এরপর সেই টোটোতে (Toto) কোন আরোহী আগে চাপবেন সেই আবদারও শুরু হয়ে গিয়েছিল। পরীক্ষামূলকভাবে এই অদ্ভুত দর্শন টোটো (Toto) পথে নামাতে গিয়ে যাত্রী পিছু দশ টাকা করে নিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু, বাস রাস্তায় বা শহরের অলি গলিতে হেলিকপ্টারের মতো দেখতে টোটো (Toto) চলছে দেখে তাতে চড়া এবং সেলফি তোলার হিড়িক পড়ে যায়। পথে থাকা সাধারণ টোটো (Toto) ছেড়ে এই টোটোতে ওঠার আবদার বাড়তে থাকে। কিন্তু, এই টোটো (Toto) নিয়মিত পথে নামলে বন্ধু টোটো চালকদের ভাড়া কমে যাবে বলে মন কাঁদলো হেলিকপ্টার টোটোর (Toto) নির্মাতা গৌতমের। তাই মত বদলালেন তিনি। গৌতমবাবু বলেন, সব সময় নতুন কিছু করতে মন চাইত। নিজের বুদ্ধি দিয়ে এটা তৈরি করে ফেললাম। এই অল্প সময়ের মধ্যে এত জনপ্রিয় হয়ে যাবে তা ভাবতে পারিনি। তাই, অন্য টোটো (Toto) চালকদের ব্যবসার ক্ষতি হোক তা আমি চাই না। তাই, ঠিক করেছি, বিয়ে, অন্নপ্রাশন, জন্মদিনের মতো অনুষ্ঠান বাড়িতে এই টোটো (Toto) ভাড়া দেব।

    হেলিকপ্টার টোটোর মধ্যে কী কী আছে?

    ভিতরে চারটে আসন। গদি আঁটা। লাইট অ্যান্ড সাউন্ডে ভিতরের পরিবেশ সাজাচ্ছেন এখনও। চালকের আসন, স্টিয়ারিং, বাইরের দিকের  জানালা, হেলিকপ্টারে ওঠার ধাপ, কিংবা বাইরের ছাদে ফ্যান ইত্যাদি হেলিকপ্টারের আদলেই জোড়া হয়েছে। দু লক্ষ টাকার বেশি খরচ হয়ে গিয়েছে বলে দাবি টোটোর (Toto) মালিকের। আসল হেলিকপ্টারে নিজে চড়ার সুযোগ পাননি গৌতম। তাতে কী ! নিজের সখ কিছুটা তো মিটলো। এখন অনেকের মুখে সেই দুধের স্বাদ ঘোলে মিটিয়ে দিতে চান তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Palash Flower: লাল পাহাড়ির দেশে শ্বেত পলাশেই মজেছে পর্যটকরা, একটি গাছের দাম জানেন?

    Palash Flower: লাল পাহাড়ির দেশে শ্বেত পলাশেই মজেছে পর্যটকরা, একটি গাছের দাম জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বসন্ত মানেই প্রকৃতি প্রেমী আম বাঙালির কাছে ডেস্টিনেশন হচ্ছে পুরুলিয়া। রাস্তার দুধারে পলাশের (Palash Flower) লাল ফুলে রঙীন হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। প্রকৃতির এই অপরূপ শোভা চাক্ষুস করতেই কলকাতা থেকে বহু পর্যটক লাল পাহাড়ির দেশে ছুটে যান। বহু কবির লেখার জাদুতে এই লাল পলাশ ফুলই আমাদের মনের মণিকোটায় আরও বেশি করে জায়গা করে নিয়েছে।  কিন্ত, এবার বসন্তে লাল পলাশ (Palash Flower) নয়, লাল পাহাড়ির দেশে ভিভিআইপি হয়ে উঠেছে শ্বেত পলাশ গাছ। শুধু এক ঝলক এই গাছকে দেখতে পর্যটকরা হুড়ার মতো প্রত্যন্ত এলাকায় ছুটে যাচ্ছেন। রাতারাতি পর্যটকদের মূল আকর্ষণ হয়ে উঠেছে এই শ্বেত পলাশ (Palash Flower)। পুরুলিয়ার হুড়ায় এই গাছের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তবে, শুধু হুড়া নয়, বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের পাহানা গ্রামে এবং নদীয়ার তেহট্ট এই গাছের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।

    শ্বেত পলাশ গাছ বাড়িতে থাকলে কত টাকার আপনি মালিক জানেন? Palash Flower

    আর পাঁচটা গাছের মতোই পুরুলিয়ার হুড়ার মালি স্বপন মাহাত শ্বেত পলাশ গাছের (Palash Flower) পরিচর্চা করতেন। ভাগলপুরের এক যুবক এই গ্রামে এসে বিভিন্ন গাছের ছাল, আঠা সংগ্রহ করতেন। এই সব দিয়ে তিনি আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি করতেন। তাঁর নজরে পড়ে যায় এই গাছ। সকলের আড়ালেই এই গাছের ছাল, আঠা সংগ্রহ করে তিনি নিয়ে যান। পরে, ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি বিরল এই শ্বেত পলাশের (Palash Flower) মাহাত্ম্যের কথা বলেন। একজন-দুজন হতে কথাটি পাঁচ কান হয়ে যায়। খবর যায় জেলা উদ্যান পালন দপ্তরে। সেখান থেকে আধিকারিকরা এসে গাছটি পর্যবেক্ষণ করেন। উদ্যান পালন দপ্তরের পক্ষ থেকে সন্ধান চালিয়ে তেহট্ট এবং ময়ূরেশ্বরের হদিশ পাওয়া যায়।  কলকাতার অনেকের কাছেই এই খবর পৌঁছাই। তাঁরা ছুটে এসেছেন হুড়ায়। এক বছরের জন্যেই শ্বেত পলাশ গাছ লিজ নেওয়ার জন্য ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দর উঠেছে। গাছের মালিক স্বপনবাবু গাছের এই দাম শুনেই হতবাক। তিনি এখনও লিজে দিতে রাজি হননি। তাঁর ধারণা, এই গাছের মূল্য আরও অনেক বেশি। তাই, এখনই এই গাছকে তিনি কারও কাছে হাতছাড়া করতে নারাজ। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, একটি গাছের জন্য ২০ লক্ষ টাকা লিজে নিতে চাইছেন। এরকম গাছ বাড়িতে পাঁচটি থাকলে তো কোটিপতি।

    পুরুলিয়া জেলার উপ উদ্যান পালন অধিকর্তা সমরেন্দ্রনাথ খাঁড়া বলেন, এই গাছের ফুল, ছাল, আঠা অত্যন্ত ঔষধি গুণসম্পন্ন। ক্যান্সার প্রতিরোধক, বন্ধ্যাত্ম দূরীকরণসহ একাধিক কাজে ব্যবহার করা হয়। এখনও পর্যন্ত হাতে গোনা কয়েকটি জায়গায় আমরা এই গাছের সন্ধান পেয়েছি।  এই গাছটিকে নিয়ে আমাদের পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। গাছটি সংরক্ষণ এবং সংখ্যায় আরও বেশি পরিমাণে বাড়ানোর জন্য রাজ্য দপ্তরে আমরা চিঠি দিয়েছি। আর জানতে পেরেছি, ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই গাছটিকে রক্ষা করার জন্য সমস্ত রকম উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Agriculture: তাইল্যান্ডের পিঙ্ক কাঁঠালের চাষ করে আয়ের দিশা দেখাচ্ছেন মাজদিয়ার প্রশান্ত

    Agriculture: তাইল্যান্ডের পিঙ্ক কাঁঠালের চাষ করে আয়ের দিশা দেখাচ্ছেন মাজদিয়ার প্রশান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতবর্ষ কৃষিপ্রধান দেশ। কিন্তু বর্তমানে সার, কীটনাশক এবং কৃষিকাজে ব্যবহৃত অন্যান্য যন্ত্রাংশের দাম প্রচণ্ড ঊর্ধগামী। এর পাশাপাশি আবহাওয়াও বিরূপ হওয়ায় চাষিরা ফসলের সঠিক ফলন ও পর্যাপ্ত দাম পান না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ফসল ঘরে ওঠার সময় আবহাওয়ার অবনতির ফলে চাষি সঠিক পরিমাণ ফলন পান না। এমনকী ঋণে জর্জরিত হয়ে আত্মহত্যার পথও বেছে নেন। এমন অবস্থায় স্বল্প খরচে এবং স্বল্প সময়ে তাইল্যান্ডের পিঙ্ক কাঁঠাল চাষ (Agriculture) করে অধিক ফলন ও অধিক লাভের মুখ দেখাচ্ছেন নদিয়ার মাজদিয়ার প্রশান্ত বিশ্বাস।

    লাভজনক নতুন চাষের দিশা (Agriculture)

    নিজে প্রথমে বাড়ির নিকটস্থ এক বিঘা জমিতে কুড়িটি চারা দিয়ে শুরু করেন পিঙ্ক কাঁঠালের চাষ। দুই বছরের মধ্যেই পেতে শুরু করেন অধিক ফলন। ওই গাছ থেকেই কলমের মাধ্যমে তৈরি করেন চারা এবং খুবই স্বল্প মূল্যে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় অন্যান্য চাষিদের কাছে তা বিক্রি করেন। তাঁর কাছ থেকে চারা নিয়ে নদিয়ার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এই পিঙ্ক কাঁঠালের চাষ শুরু করেছেন। এই চাষে প্রতি বছর গড়ে বিঘা প্রতি তিন থেকে চার লাখ টাকা লাভ হয় চাষিদের (Agriculture)। কাঁঠালের পাশাপাশি বারোমাসি আম, বারোমাসি লেবু, হাইব্রিড পেঁপে সহ অন্যান্য ফল ও তার চারা তৈরি করছেন এই প্রশান্ত বিশ্বাস। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও শুধুমাত্র কর্মদক্ষতার মাধ্যমে তিনি নিজে তথা অন্যান্য চাষিদের দেখাচ্ছেন লাভজনক নতুন চাষের দিশা। প্রায় প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন মানুষ আসেন তাঁর এই নতুন ধরনের চাষ দেখতে এবং চারা গাছ সংগ্রহ করতে।

    কুড়িখানা চারা দিয়ে শুরু (Agriculture)

    এ বিষয়ে প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, আমি বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় গিয়ে প্রথম এই চাষ দেখেছিলাম। তারপরে নিজেও এই চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করি। ওই ব্যক্তির কাছ থেকেই কুড়িখানা চারা আমি নিয়ে এসেছিলাম। পনেরো খানা চারা থেকে ঠিকঠাক ফলন (Agriculture) দেওয়া শুরু হয়েছিল। এখন আমি প্রায় দুই বিঘা জমি চাষ করি। এক এক বিঘাতে ৮০ খানা চারা লাগানো যাবে। অন্যান্য চাষের থেকে এই চাষ অনেক লাভজনক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: অনুব্রতর হাল দেখেও শিক্ষা হয়নি! নিমপাতা দিয়ে ভোট করানোর হুমকি দিলেন মহুয়া

    Nadia: অনুব্রতর হাল দেখেও শিক্ষা হয়নি! নিমপাতা দিয়ে ভোট করানোর হুমকি দিলেন মহুয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল এখন তিহার জেলে রয়েছে। কিন্তু, তাঁর বুলি এখনও আওড়াচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। এক সময় ভোটের আগে বীরভূমে ‘নকুলদানা’, ‘গুড়-বাতাসা’ আর ‘চড়াম চড়াম’-এর দাওয়াই দিয়েছিলেন কেষ্ট। সেই বুলি এবার শোনা গেল নদিয়ার (Nadia) প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্রের মুখে।

    নিমপাতা-র দাওয়াই দিলেন মহুয়া (Nadia)

    সংসদ থেকে বহিষ্কৃত মহুয়ার ওপরে আস্থা রেখে তাঁকে ফের প্রার্থী করা হবে নদিয়ায় (Nadia) এসে ঘোষণা করে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দল এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা না করলেও মহুয়াই ফের কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছেন ধরে নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে জেলা তৃণমূল। মহুয়া বিভিন্ন এলাকায় কর্মিসভাও করছেন। প্রকাশ্যে আসা ওই অডিও ক্লিপে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘যে করেই হোক বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ভোটটা এ বার করতে হবে। এ বার কিন্তু যেখানে মধু দিয়ে, যেখানে নিমপাতা দিয়ে ভোটটা করতে হবে। সিম্পল কথা। প্রশাসনিক ব্যাকআপ আপনারা হান্ড্রেট পারসেন্ট পাবেন। এই কথা আমি দিয়ে যাচ্ছি।’ আর, জেলা প্রশাসনের ‘ব্যাকআপ’ প্রসঙ্গে নদিয়ার জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপির কিষাণ মোর্চার রাজ্য সভাপতি মহাদেব সরকার বলেন, “সংসদ থেকে বহিষ্কৃত হয়েও ওঁর শিক্ষা হয়নি। নিমপাতা বলতে উনি কী বোঝাতে চাইছেন সেটা সকলেই পরিষ্কার বুঝতে পারছে। আসলে জনমত বিপক্ষে রয়েছে বুঝতে পেরে এভাবে হুমকি দিচ্ছেন। উনি তো আসলে লেডি অনুব্রত!” তৃণমূলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা চেয়ারম্যান রুকবানুর রহমানের দাবি, এমন কোনও অডিও ক্লিপের কথা আমাদের জানা নেই। যদি তেমন কিছু আমার কাছে আসে তা হলে বিষয়টি নিয়ে মহুয়ার সঙ্গে কথা বলব।”  সিপিএম নেতা সুমিত বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share