Tag: Nadia

Nadia

  • Nadia: তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের বাড়িতে বিস্ফোরণ! উড়ল বাড়ির ছাদ

    Nadia: তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের বাড়িতে বিস্ফোরণ! উড়ল বাড়ির ছাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুলে বিস্ফোরণের ঘটনায় তৃণমূল নেতা ভানু বাগের বাড়ি উড়ে গিয়েছিল। মৃত্যু হয়েছিল ১১ জনের। তার কয়েকদিন পরই বীরভূমের দুবরাজপুরে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। রাজ্যু জুড়ে সর্বত্র মুড়ি মুড়কির মতো বোমা উদ্ধার করছে পুলিশ। এইসব ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণে উড়ে গেল বাড়ির ছাদ, ভেঙে পড়ল দেওয়াল। বিকট আওয়াজে চরম আতঙ্কে এলাকাবাসী। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) চাপড়া থানার মহিষনগর পূর্বপাড়া এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    বুধবার রাতে নদিয়ার (Nadia) চাপড়া থানার মহিষনগর পূর্বপাড়ায় সাইফুল শেখ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে আচমকা বিকট আওয়াজ শুনতে পান এলাকাবাসী। সাইফুল তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের আত্মীয়। প্রথমে কেউ বাড়ি থেকে ভয়ে না বের হলেও পরে গিয়ে দেখতে পান, সাইফুল শেখের বাড়ির ছাদ উড়ে গিয়েছে। ঘরের চারপাশের দেওয়াল ভেঙে পড়েছে। যেহেতু বিকট আওয়াজের সঙ্গে এই বিস্ফোরণ ঘটে, তাই এলাকাবাসী মনে করছেন, বোমা বিস্ফোরণই হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চাপড়া থানার পুলিশ। খবর দেওয়া হয় বোমা নিষ্ক্রিয়কারী প্রতিনিধি দলকে। তবে, বোমা বিস্ফোরণের সময় সাইফুলের বাড়িতে কেউ ছিল না বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দা?

    এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম শেখ বলেন, বিকট আওয়াজ শুনতে পেয়ে গিয়ে দেখি, সাইফুলের বাড়ির ছাদ উড়ে গিয়েছে এবং দেওয়াল ভেঙে পড়েছে। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। সেই কারণে অনুমান করা হচ্ছে, একাধিক বোমা মজুত ছিল ওই বাড়িটিতে। ঘটনার পর আমরা রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছি।

    বোম্ব স্কোয়াডের আধিকারিক কী বললেন?

    বোমা নিষ্ক্রিয়কারী প্রতিনিধি দলের এক আধিকারিক জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে বোমা ফেটেই এই ঘটনা ঘটেছে। তবে, বিস্ফোরণের তীব্রতা কতটা ছিল, সেটা যাচাই করা হচ্ছে। ঘটনার পর চাপড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

    ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হল তাজা বোমা

    বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে সিআইডি ঘটনাস্থলে যায়। ফরেনন্সিক টিম গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। এদিন ঘটনাস্থল থেকে একাধিক তাজা বোমা পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে। আর কোথাও বোমা রয়েছে কি না তার খোঁজে তল্লাশি চালানো হয়। তবে, ঘটনার পর এলাকার লোকজন চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: চোর ধরতে গিয়ে পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু এক বালকের

    Nadia: চোর ধরতে গিয়ে পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু এক বালকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ায় (Nadia) পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় মৃত এক বালক, আহত আরও দুজন। পুলিশ ও গ্রামবাসীদের মধ্যে খন্ড যুদ্ধ। আহত পুলিশ কর্মী সহ বেশ কয়েকজন। আহতদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় রানাঘাট হাসপাতালে। পুলিশের বিরুদ্ধে এলাকায় তীব্র বিক্ষোভ।

    নদিয়ার (Nadia) কোথায় এবং কী ঘটেছে?

    চোর ধরাকে কেন্দ্র করে এলাকায় পুলিশ এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। নদিয়ার (Nadia) ধানতলা থানার কুলগাছি এলাকার ঘটনা। মানুষের দাবি এলাকায় বৃদ্ধি পাচ্ছিল গরু চুরির ঘটনা। গতকাল রাতে এক চোরকে এলাকাবাসী হাতেনাতে ধরে ফেলে, আর সেই চোরকে উদ্ধার করতে গেলে জনরোষে পড়ে পুলিশ। অভিযোগ পুলিশ তখন ভিড়ের মধ্যে গাড়ি চালিয়ে বেরিয়ে আসতে গেলে গাড়ির নিচে চাপা পড়ে বেশ কয়েকজন। পুলিশের গাড়ির চাপায় ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় এক বালকের এবং আরও দুজন আহত অবস্থায় রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এলাকার মানুষের প্রতিক্রিয়ায় উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।

    পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    কুলগাছি (Nadia) এলাকর পাশেই রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত। এই সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারের অভিযোগে পুলিশের নিস্ক্রিয়তাকে দায়ী করছে এলাকার মানুষ। অপর দিকে পুলিশ চোর ধরতে এসে কীভাবে উপস্থিত মানুষের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে, এক বাচ্চাকে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দিল, সেই বিষয় নিয়েও এলাকার মানুষ বিক্ষোভ করেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

    তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য

    কুলগাছি (Nadia) উত্তরের তৃণমূল বহিরগাছি গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান রাজেশ বর্মন বলেন, এই মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখ জনক, ঘটনা অপ্রীতিকর। এখানে কোনও রাজনীতির বিষয় নেই। তবে এই এলাকায় মাঝে মাঝে চুরির ঘটনা ঘটে এবং এই কিছু দিন আগেই গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তিনি। রাজেশ বাবু আরও বলেন, পুলিশ ঠিক মতন চোরদের ধরতে পারে না বলে, এলাকায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। তিনি আরও বলেন, আমি চাইব, ঘটনা যাই ঘটুক না কেন, যে দোষী তার শাস্তি হোক। পুলিশ যদি দোষ করে থাকে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করুক প্রশাসন। চোর ধরতে এসে পুলিশের গাড়িতে কেন প্রাণ গেল! সেই প্রশ্নেই বিক্ষোভ করছে এলাকার মানুষ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: চাকদায় তৃণমূল ছাত্র নেতাকে লক্ষ্য করে চলল এলোপাথাড়ি গুলি,  কেন জানেন?

    TMC: চাকদায় তৃণমূল ছাত্র নেতাকে লক্ষ্য করে চলল এলোপাথাড়ি গুলি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীগঞ্জের পর চাকদায় গুলিবিদ্ধ তৃণমূলের (TMC) এক ছাত্র নেতা। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার চাকদা থানার মাস্টারপাড়া এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, জখম ছাত্র নেতার নাম শুভম দাস। তিনি চাকদা শহর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুদিন আগে পাড়ায় জোরে বাইক চালিয়ে ধূলো ওড়ানোর প্রতিবাদ করায় কালীগঞ্জ থানা এলাকায় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। এরপর সামান্য বিষয় নিয়ে চাকদায় গুলি চালানোর ঘটনা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    বেশ কিছুদিন ধরে বুবাই নামে এক যুবক তৃণমূলের (TMC) ওই ছাত্র নেতা শুভমকে হুমকি দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। এই বিষয় নিয়ে কথা বলতেই শুভম রবিবার রাত আটটা নাগাদ সুমিত মণ্ডল নামে এক যুবকের বাড়ি যান। সুমিত বুবাইয়ের সম্পর্কে আত্মীয় বলে জানা গিয়েছে। হুমকি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই বচসা বেধে যায়। এরপর সুমিতের স্ত্রী ঘর থেকে একটি বন্দুক বের করে সুমিতের হাতে তুলে দেন। সুমিত ওই ছাত্র নেতার বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে হুমকি দিতে থাকে। পরে হঠাৎ গুলি চালাতে শুরু করে। ওই ছাত্র নেতার হাতে গুলি লাগে। জানা গিয়েছে, হামলাকারী যুবকও তৃণমূল কর্মী। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দলও একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।

    কী বললেন জখম তৃণমূলের (TMC) ছাত্র নেতা?

    এ বিষয়ে শুভম দাস বলেন, সুমিতের এক আত্মীয় দীর্ঘদিন ধরে আমাকে খুন করার হুমকি দিচ্ছিল। সেই বিষয়ে সুমিতকে বলতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটে। ও এভাবে গুলি চালিয়ে দেবে, তা ভাবতে পারিনি। ও গুলি চালাতেই আমি ছুটে পালিয়ে যাই। যদিও ততক্ষণে একটি গুলি আমার হাতে লেগেছে। তবে, সময়মতো পালাতে না পারলে আমি আর বেঁচে ফিরতাম না।

    কী বললেন নদিয়া দক্ষিণ জেলা তৃণমূল (TMC) ছাত্র পরিষদের সভাপতি?

    এ বিষয়ে নদিয়া দক্ষিণ জেলা তৃণমূল (TMC) ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুদীপ দে বলেন, চাকদা শহর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি শুভমকে গুলি করে খুন করার চেষ্টা হয়েছে। তবে প্রশাসনের উপর আমাদের ভরসা আছে। আমরা চাই, প্রশাসন তদন্ত শুরু করে অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করুক। এই ঘটনা কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নয়, এটা পুরোপুরি অরাজনৈতিক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে মাধ্যমিকে সফল দুই বোন

    Nadia: শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে মাধ্যমিকে সফল দুই বোন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছোট থেকেই পারে না হাঁটতে, পারে না কথা বলতে। মাধ্যমিকে এমনই যমজ দুই বোনের সাফল্যে উৎসাহিত গোটা নদিয়ার (Nadia) বাগআঁছড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অদম্য চেষ্টা ও বাবামায়ের হাড়ভাঙা পরিশ্রমে আজ স্বপ্নপূরণ বিশেষভাবে সক্ষম দুই বোনের।

    কীভাবে চলেছিল পড়াশুনা

    বড় মেয়ে (Nadia) রুমা মল্লিক। তার প্রাপ্ত নম্বর ৩২৪। ছোট মেয়ে ঝুমা মল্লিক, তার প্রাপ্ত নম্বর ৩২১। দুজনই জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী। একজন কোনও রকমে চলাফেরা করতে পারলেও আরেকজন বিকলাঙ্গ। কানে যেমন শুনতে পারে না, বলতে পারে না কথাও। এভাবেই দুই বোন শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছে। সংসার সামলানোর পাশাপাশি দুই প্রতিবন্ধী মেয়েকে কীভাবে পড়াশোনা করাবেন, তা নিয়ে সব সময় দুশ্চিন্তায় থাকতেন মা রেখা মল্লিক। পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির সময় অনেকটাই ভোগান্তিতে পড়তে হয় রুমা-ঝুমাকে। কারণ দুজনেই তো প্রতিবন্ধী, কীভাবে বিদ্যালয়ে (Nadia) যাবে? এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শিক্ষক এবং শিক্ষিকারা। যদিও অনেক টানাপোড়নের পর বাবা-মা মেয়েদের ভর্তি করান বাগআঁচড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। তারপর থেকেই নিয়মিত বিদ্যালয়ে পঠন পাঠনের জন্য যেত দুই বোন।

    শিক্ষকদের বিশেষ ভূমিকা

    অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে রুমা-ঝুমাকে বেশি নজর দিতেন স্কুলের শিক্ষকরা। মা রেখা মল্লিক জানিয়েছেন, মেয়েদের ভর্তি করানোর সময় একটু সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। মা বলেন, আজ যদি বিদ্যালয়ের (Nadia) শিক্ষক-শিক্ষিকারা পাশে না থাকত, তাহলে হয়তো মাধ্যমিক পরীক্ষায় মেয়েরা সাফল্য পেত না।

    আর্থিক সঙ্কটে আবেদন

    বাবা শ্যামল মল্লিক টোটো গাড়ি চালিয়ে কোনওরকম সংসার চালান। মেয়েদের পড়াশোনার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন, তা জোগাড় করতেই হিমশিম খেয়ে যেতে হয়। তবুও হাল ছাড়েননি বাবা-মা। শ্যামল মল্লিক আক্ষেপের সুরে বলেন, পরিবারের দুরবস্থার কথা কে না জানে! আজ পর্যন্ত মেয়েরা মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করলেও কেউই পাশে দাঁড়ায়নি। বাড়িতে (Nadia) না এসেছে কোনও জনপ্রতিনিধি, না খোঁজ নিয়েছে প্রশাসন। সরকার যদি একটু আর্থিক সহায়তা করত, তাহলে মেয়েদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হত। তবে হাজার কষ্ট করে হলেও মেয়েদের পড়াশোনা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন মা-বাবা দুজনেই।  প্রতিবন্ধী দুই বোনের জন্য এখন কোনও সরকারি সহযোগিতা মেলে কি না, সেটাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Nadia: প্রকাশ্যে তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি, কেন জানেন?

    Nadia: প্রকাশ্যে তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাইক চালানো নিয়ে বচসা। সামান্য এই ঘটনা নিয়ে গুলিবিদ্ধ হলেন এক তৃণমূল কর্মী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) কালিগঞ্জ থানার পালিতবেগিয়া এলাকার। গুলিবিদ্ধ ওই তৃণমূল কর্মীর নাম আশরাদুল শেখ। গুলিবিদ্ধ যুবক তৃণমূল কর্মী। হামলাকারীরাও তৃণমূল করে। এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার (Nadia)  পালিতবেগিয়া এলাকায় শনিবার বিকালে কয়েকজন যুবক পাড়ার ভিতর দিয়ে প্রচণ্ড গতিতে বাইক চালিয়ে যাচ্ছিল। জানা যায়, ওই যুবকদের বাড়ি পাশের গ্রামে। প্রচণ্ড গতিতে বাইক চালানোর কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ করেন। শুরু হয় বচসা। পরে, হাতাহাতি শুরু হলে এলাকাবাসী তা  মিটিয়ে দেন। বাইক আরোহীরা গ্রামে ফিরে গিয়ে দল বেঁধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ফের চড়াও হয় বলে অভিযোগ। ফের দুপক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। এরপরই আচমকা আশরাদুল শেখ নামে এক যুবককে লক্ষ্য করে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে পরপর ২ রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে বাইক আরোহীদের বিরুদ্ধে।। আশরাদুলের বুকে গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় লোকজন জড়ো হতেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবকরা। গুরুতর জখম অবস্থায় আশরাদুলকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর শরীর থেকে একটি গুলি বের করা হলেও আরেকটি গুলি শরীরের ভিতরে রয়ে গেছে। বর্তমানে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে তিনি চিকিত্সাধীন রয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কালীগঞ্জ থানার পুলিশ। এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানার চেষ্টা করছে, আদতে ঠিক কী কারণে এই ঘটনা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    কী বললেন গুলিবিদ্ধ যুবকের দাদা?

    গুলিবিদ্ধ আশরাদুলের দাদা ওসমান গনি শেখ বলেন, মূলত প্রচণ্ড গতিতে বাইক চালানোর প্রতিবাদ করাতেই হামলা চালিয়েছে ওরা। তবে, সামান্য বিষয় নিয়ে এভাবে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটবে তা ভাবতে পারিনি। আমরা দোষীদের শাস্তির দাবি করছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: টিফিনের টাকা জমিয়ে বুট কেনা! ফুটবল প্রশিক্ষণ নিতে স্পেন যাচ্ছে নদিয়ার প্রেমাংশু

    Nadia: টিফিনের টাকা জমিয়ে বুট কেনা! ফুটবল প্রশিক্ষণ নিতে স্পেন যাচ্ছে নদিয়ার প্রেমাংশু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মায়ের স্বপ্ন ছিল ছেলে পড়াশুনা করে বড় হয়ে সরকারি চাকরি করবে। পরিবারের অভাব-অনটন দূর করবে। আর ছেলের স্বপ্ন ছিল ধেলাধূলায়। পায়ে ফুটবল পেলে খাওয়া-দাওয়া ভুলে যেত নদিয়ার (Nadia) নাজিরপুরের প্রেমাংশু ঠাকুর। হাজার বকাবকি ও শাসনেও তাকে পা থেকে ফুটবল কাড়তে পারেননি মা। টিফিনের পয়সা জমিয়ে বুট কিনে ফুটবল প্র্যাকটিস শুরু। দিদির জমানো টিউশনের টাকা চুরি করে প্রথম ফুটবল কেনা। স্কুল পালিয়ে ফুটবল প্র্যাকটিস। ফুটবলের প্রতি অমোঘ ভালোবাসা আজ সাফল্য এনে দিয়েছে তাকে। নদিয়া থেকে স্পেনে ফুটবল প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছে প্রেমাংশু। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে আন্দ্রে ইনিয়েস্তার দেশে পাড়ি দেবে নদিয়ার (Nadia) নাজিরপুর বিদ্যাপীঠের দ্বাদশ শ্রেণির এই ছাত্র। এলাকাবাসীর বক্তব্য, প্রেমাংশু একদিন নামকরা ফুটবলার হবে। ও এলাকার মুখ উজ্জ্বল করবে।

    কীভাবে নির্বাচিত হল প্রেমাংশু?

    বাংলার প্রত্যন্ত জেলা থেকে ফুটবল প্রতিভা তুলে আনার লক্ষ্যে আইএফএ এর সঙ্গে যৌথ স্পোর্টস ভেনচারে যোগ দেয় স্পেনের মোট্রিল ফুটবল ক্লাব। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে স্পেনের মোট্রিল ক্লাবের অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত হয়েছে নদিয়ার (Nadia) প্রেমাংশু। স্পেনের মোট্রিল অ্যাকাডেমির প্রশিক্ষক ফেরনান্দো তোরেস ও বাংলার প্রথম প্রো লাইসেন্স প্রাপ্ত প্রশিক্ষক শঙ্কর লাল চক্রবর্তী খেলোয়াড় বাছাইয়ের দায়িত্বে ছিলেন। সম্প্রতি কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবের তাঁবুতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথা ঘোষণা করা হয়। ছেলের এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত মা এবং এলাকার লোকজন সকলে।

    কী বললেন কৃতি ফুটবলারের মা?

    জীবনটা অত্যন্ত কষ্টের বললেন, কৃতি ফুটবলারের মা দুর্গা সরকার। জীবন সংগ্রামের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘শ্বশুরবাড়ি থেকে আমাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। বাবার বাড়িতে ফিরে ছোট্ট প্রেমাংশুকে বুকে আগলে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই শুরু করেছিলাম। ছেলের পড়াশোনার জন্য অন্যের বাড়িতে রান্নার কাজ করতাম। পরিচারিকার কাজও করেছি। সরকারি চাকরি করে সংসারের হাল ধরবে ছেলে, এমনটাই আমার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু ওর স্বপ্ন ফুটবল। বিদেশের মাটিতে ছেলে প্রশিক্ষণ নিতে যাবে ভেবে খুব ভাল লাগছে।’’ আর প্রেমাংশু একজন নামকরা ফুটবলার হয়ে দেখিয়ে দিতে চায় তার জন্মদাতা বাবাকে। যে বাবা একদিন তাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalyani: হাসপাতালে ডায়ালিসিস করাতে এসে এইচআইভি আক্রান্ত পাঁচজন! জেলাজুড়ে শোরগোল

    Kalyani: হাসপাতালে ডায়ালিসিস করাতে এসে এইচআইভি আক্রান্ত পাঁচজন! জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতালে চিকিত্সা করাতে এসে এইচআইভি রোগে আক্রান্ত হলেন রোগী। এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠল কল্যাণী (Kalyani) জেএনএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে।  হাসপাতালের ডায়ালিসিস ইউনিট থেকে এইচআইভি সংক্রমণ ছড়িয়েছে। হাসপাতালে ডায়ালিসিস পরিষেবা নিতে এসে পাঁচজন রোগী এইচআইভি সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। এমনই অভিযোগ করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে লিখিত অভিযোগ করেন এক রোগী। আর এই ধরনের গুরুতর অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়। বিষয়টি জানাজানি হতেই অনেক রোগীর পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। অনেকে ডায়ালিসিস করাতে আসছে না বলে অভিযোগ।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    জানা গিয়েছে, কল্যাণী (Kalyani) জেএনএম হাসপাতালে ডায়ালিসিস নিতে আসা এক রোগী এর আগে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ করেছিলেন। মূলত ডায়ালিসিস বিভাগে অব্যবস্থা নিয়ে তিনি অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগের পর পরই স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে ডায়ালিসিস ইউনিট খতিয়ে দেখা হয়। এরপরই ওই রোগী ফের স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ডায়ালিসিস ইউনিটে একজনের সিরিঞ্জ অন্য রোগীকে চিকিত্সার কাজে ব্যবহার করা হয়। আর তারজন্যই সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। পরে, শারীরীক পরীক্ষা করে জানা যায়, গত কয়েকমাসের মধ্যে এই হাসপাতালে ডায়ালিসিস নিতে আসা ৮ জনের মধ্যে ৫ জন এইচআইভিতে আক্রান্ত। আর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই তাঁরা সকলেই এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। বিষয়টি উপযুক্ত তদন্তের তিনি দাবি জানান।

    কী বললেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ?

    স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানোর পরই মঙ্গলবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকে। বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কল্যাণী (Kalyani) মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অভিজিত্ মুখোপাধ্যায় বলেন,  আমাদের হাসপাতালে ১০টি ডায়ালিসিস বেড রয়েছে। তারমধ্যে একটি বেড এইচআইভি রোগীর জন্য বরাদ্দ রয়েছে। আর একজনের সিরিঞ্জ অন্য রোগীকে দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। তবু, আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। সুপারের নেতৃত্ব ৮ সদস্যের হাইপাওয়ার কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে কমিটি বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাইপাওয়ার কমিটি তদন্তের প্রয়োজনে যে পাঁচজন এইচআইভি আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের পরীক্ষা করবেন। আর হাসপাতালের গাফিলতির কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • The Ghost:  অবাককাণ্ড! ভূতের আরাধনা কোথায় হয় জানেন?

    The Ghost: অবাককাণ্ড! ভূতের আরাধনা কোথায় হয় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূত (The Ghost) ! “নেই, নেই” হাজার বার বলার পরেও দিব্যি চলে আসে অদ্ভূত সব ভূতের (The Ghost) গল্প। মামদো ভূত, মেছো ভূত, গেছো ভূত, গলাকাটা ভূত ইত্যাদি কতোই না তার রকমফের। পেত্নি, শাকচুন্নি, ডাইনি ইত্যাদি স্ত্রী ভূতও নাকি আছে বলা হয়। গল্প শুনলেই গা ছমছমে করে। আর দুর্বল মনের মানুষ হলে তো কথাই নেই। “ভূতে ধরেছে” রটতে না রটতেই হুলস্থুল কাণ্ড ঘটে যায়। তারপর সেই ভূত (The Ghost) তাড়াতে ওঝা ডাকা হয়। ওঝার কেরামতি নিয়েও ঘটে যায় আরও কত কাণ্ড। কিন্তু কখনও কি শুনেছেন ভূতের পুজোর কথা? তাও আবার যে সে ভূত (The Ghost) নয়, ভয়ংকর ও বিশাল চেহারার ‘গলাকাটা’ ভূতের পুজোর কথা? এ হেন ভূতবাবাজিকে তুষ্ট করতে তাঁকে রীতিমতো সম্মান, শ্রদ্ধা জানিয়ে পুজো করা হল এবারও।

    কেমন চেহারা এ ভূতের (The Ghost)?

    প্রায় পনেরো ফুট লম্বা হাত-পা ছড়িয়ে শুয়ে থাকা এক ভূত (The Ghost)। ডান হাতটা কিছুটা ওপরের দিকে তোলা। আর বাঁ পা যেন একটু বেশি প্রসারিত। মুখ তার আকাশপানে। তবে মাথা নেই। ধড় অংশের শুরুতেই সাদা-কালোয় মায়াবী দুটো চোখ দু পাশে। বাম, ডান যেদিক থেকেই আপনি তাঁকে দেখুন না কেন, মনে হবে যেন আপনার দিকেই তাকিয়ে। বুক ও পেটের অংশে উন্নত নাক, লকলকে জিভ, ধবধবে সাদা দাঁতের পাটি। গায়ের রং কুচকুচে কালো। শরীরের নিচের অংশ মেয়েলি ‘ঘের’ জাতীয় লাল টুকটুকে বস্ত্রে ঢাকা। আলতা রাঙানো হাত ও পা। আর বুকের ওপর থেকে ঝোলানো লাল রঙের কাগজের মালা।

    কোথায় হয় এমন গলাকাটা ভূতের (The Ghost) পুজো ?

    নদিয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়া তালতলায় বৈশাখের পয়লাতে এবারও হল এমন ভয়াল চেহারার ভূতের (The Ghost) আরাধনা। হ্যাঁ, বাংলার বিখ্যাত তাঁতশাড়ির আঁতুরঘর যেখানে, সেই ফুলিয়ায়। তবে কোনও তান্ত্রিক বাড়ির নিভৃত কোণে নয়। ভূতের পুজো হল একদম খোলা আকাশের নিচে, হাজার হাজার লোকের মাঝে। কিন্তু, হস্তচালিত তাঁতযন্ত্রের নিত্যদিনের খটাখট শব্দের মাঝে কী করে সেখানে পৌঁছাল এমন ভূত? গল্পটা শোনা যাক ভূতপুজোর আয়োজক বাড়ির অন্যতম কর্তা প্রকাশ বসাকের মুখে। প্রকাশ বললেন, প্রতি বছর আমাদের পরিবারের শরিকি সদস্যদের উদ্যোগে ভূতের (The Ghost) পুজোর আয়োজন করা হয় ঠিকই। কিন্তু, এ পুজো এখন গ্রামের বহু মানুষের পুজো হয়ে গিয়েছে। সেই অর্থে বলা যায় সর্বজনীন। গ্রামের কচিকাঁচা থেকে শুরু করে বয়স্ক সদস্য, এমনকি গ্রামের মহিলারাও এ পুজোর আয়োজনে হাত লাগান। প্রকাশ আরও বলেন, ওপার বাংলার টাঙ্গাইল জেলার বামুন কুইচা গ্রামে বাড়ি ছিল আমাদের পূর্ব পুরুষের। ফি বছর বাংলা নববর্ষের দিনে এমন ভূতের (The Ghost) পুজো করতেন আমাদের ঠাকুরদাদা বা তাঁর বাবারা। স্বাধীনতার পর আমাদের বাবা-জেঠারা পরিবার নিয়ে এপার বাংলার ফুলিয়ায় এসে বসবাস শুরু করেন। খুব সম্ভবত ষাটের দশকে ওপার বাংলার পারিবারিক সেই ভূতের পুজো এখানকার বাড়িতেও শুরু করেছিলেন আমার জেঠু দুলাল বসাক। এরপর আমাদের শরিকি পরিবারের সব সদস্য তো বটেই, দেখতে দেখতে গ্রামের লোকজনও আমাদের এই পুজো আয়োজনের শরিক হয়ে গিয়েছেন। আমাদের এখানকার বাড়ির গায়ে নিজস্ব শিবমন্দির আছে। সেই শিবের গাজনে আমরা যাঁরা সন্ন্যাসী হই, তাঁরাই গলাকাটা ভূতের মূল সেবক।

    কেন এমন ভূতের (The Ghost) পুজো ?

    প্রকাশের বক্তব্য, “বাড়ির বয়স্কদের কাছে শুনেছি, বাড়ির কচিকাঁচারা যাতে ভূতের (The Ghost) ভয় না পায় এবং পরিবারের সবার যাতে মঙ্গল হয়, সেজন্য বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে এই পুজো শুরু করেছিলেন আমাদের পূর্বপুরুষরা। স্থানীয় বাসিন্দা সত্তরোর্ধ্ব হরিপদ বসাক বলেন, আমরা এই দেবতাকে কেউ বলি ‘বড় দেবতা’, আবার কেউ বলি ‘কবন্ধ ভূত’। প্রকাশদের পরিবারের গৃহ দেবতা মহাদেব। তাই চৈত্র শেষের দু দিনে ওদের বাড়ির মন্দিরে ঘটা করে নীল পুজো হয় আর গাজনের সন্ন্যাসীরা প্রথা মেনে দেবাদিদেব মহাদেবকে তুষ্ট করেন। মহাদেবের সঙ্গে ভূতও (The Ghost) থাকেন বলে গাজনের সন্ন্যাসীরা ভূতকেও সন্তুষ্ট করা শুরু করেছিলেন। রামায়ণেও এমন কবন্ধ ভূতের (The Ghost) পুজোর কথা উল্লেখ আছে বলে দাবি জানান হরিপদবাবু।

    ভূত (The Ghost) দেবতা থাকেন কতক্ষণ ?

    মূলত একদিনের পুজো। পুজো ঘিরে বসে মেলাও। তবে অক্ষয় তৃতীয়া পর্যন্ত তো বেটেই, গোটা বৈশাখ মাস জুড়েই বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ উঁকি দেন এই লৌকিক দেবতাকে প্রণাম জানাতে। খোলা আকাশের নিচে দেবতা শুয়ে থাকেন বলে বৃষ্টি নামলেই মৃন্ময় এ দেবতার  অঙ্গহানি শুরু হয়। তবে, অনেক ঝড়বৃষ্টির পরে বছর শেষেও ওই জায়গায় থেকে যায় মাটির স্তুপ। পরের বছর সেই মাটির ঢিবিতে আবারও মাটি লাগিয়ে এবং রং করে ফের গড়া হয় বড় দেবতাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ফিল্মি কায়দায় ভরা বাজারে তৃণমূল কর্মীকে গুলিতে ঝাঁঝরা করল দুষ্কৃতীরা, কোথায় জানেন?

    Nadia: ফিল্মি কায়দায় ভরা বাজারে তৃণমূল কর্মীকে গুলিতে ঝাঁঝরা করল দুষ্কৃতীরা, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বাজারে লোকজনে থিক থিক করছে। দুটি বাইকে কয়েকজন এসে একেবারে ফিল্মি কায়দায় এক তৃণমূল কর্মীকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিল। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালি থানার বড় চুপড়ি বাজারে। বছর পঁচিশের মেয়ের সামনেই পর পর গুলি করে করে খুন করা হল বাবাকে। দোকানের মধ্যে ঢুকে প্রাণ বাঁচানোর আর্ত চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত লুটিয়ে পড়লেন সুঠাম চেহারার ওই ব্যক্তি। আর মৃত্যু নিশ্চিত বুঝতে পেরে ভরা বাজারে লোকজনের সামনে বাইক ছুটিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম  আমোদ আলি বিশ্বাস (৫৩)।  তাঁর বাড়ি বড় চুপড়ি এলাকায়।

    কে এই আমোদ আলি ?

    সামনে তার পেশা ছিল চাষ বাস। আর ভিতরে  জমি কেনা বেচা থেকে শুরু করে অপরাধ জগতের অনেক কিছু করত সে। আর এসব অপরাধ আড়াল করতে তৃণমূল দলের স্থানীয় কোন সভায় লোক জড়ো করার কাজটা ভালো করেই দেখাতো সে। শাসক দলের ছত্রছায়ায় থাকলে তাকে সহজে পুলিশ ধরবে না এই আশায় এমন কৌশল করত সে এমনই দাবি তৃণমূলের একাংশের । এক কথায় বড় চুপড়ি গ্রামের ‘বড় দাদা’ বলেই পরিচিত ছিল সে। ইদানিং অবশ্য তার লোকবল কিছুটা কমে গিয়েছিল। তবু, শুক্রবার খুনের ঘটনার ঘণ্টা খানেক পরেও তৃণমূলের স্থানীয় প্রাক্তন যুব সভাপতি বিপিন সাধুখাঁ দাবি তুলেছিলেন, নিহত ব্যক্তি তাদের দলের গ্রাম নেতা। আমোদ দলের অঞ্চল কমিটির সহ সভাপতি ছিলেন বলে দাবি তোলেন তিনি । গ্রাম থেকে তৃণমূলের একাংশ এমন দাবি তুললেও তৃণমূলের বর্তমান ব্লক ও নদিয়া (Nadia) জেলা নেতৃত্ব অবশ্য তাতে সায় দেয়নি। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শিশির রায় জানান , “আমোদ আমাদের দলের সমর্থক। এটুকু ছাড়া আর কিছু নয়।” এদিকে পুলিশের চোখে দাগি দুষ্কৃতী বলেই পরিচিত ছিল আমোদ। তার বিরুদ্ধে খুন সহ একাধিক অভিযোগের রেকর্ড আছে পুলিশি খাতায়। এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে এই আমোদের বাড়িতে অভিযান চালিয়েই হাঁসখালি থানার পুলিশ একটি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র সহ ১২ বোরের ৩ রাউণ্ড গুলি উদ্ধার করেছিল।   

    কিভাবে তৃণমূল কর্মীকে খুন করা হল ?

    পানের নেশা ছিল আমোদের। বাড়ি থেকে বাজার আধ কিমিও নয়। বাড়ি থেকে বাজারে এসে যথারীতি পান কিনেছিল সে। তারপর একটা চায়ের দোকানে গিয়েছিল। মেয়ে সেলিনাকে বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে চা দোকানে ঢুকতে না ঢুকতেই আমোদকে ঘিরে ধরে একদল দুষ্কৃতী। একদম কাছ থেকে একাধিক গুলিতে ঝাঁঝরা করে তাকে মাটিতে লুটিয়ে দিয়েই বাইক নিয়ে দ্রুত চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। দুটি বাইকে মোট ৫ জন দুষ্কৃতী এসেছিল বলে জানান তার মেয়ে। নিহতের পরিবারের সদস্যদের দাবি, এর আগে আমোদকে তিন বার খুন করার চেষ্টা হয়েছিল। ওই তিনবার প্রাণে বাঁচলেও এবার জীবিত অবস্থায় হাসপাতালে যাওয়ার সুযোগটুকুও পায়নি সে। কারা এ খুন করল, কোথা থেকে এসেছিল, সে তদন্ত শুরু করেছে হাঁসখালি থানার পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Toto: রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হেলিকপ্টার টোটো! কোথায় জানেন?

    Toto: রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হেলিকপ্টার টোটো! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় এখনও ঘুরপাক খায় বীরভূমের এক রাজমিস্ত্রির নিজের হাতে বানানো বাড়িটি। মনে আছে? একদম বাসের আদলে নিজের বসত বাড়ি বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন ওই রাজমিস্ত্রি। তার আগে কলকাতায় দেখা গিয়েছিল ট্রামের কামরার আদলে চায়ের দোকান। কেটলির আকারে ফুটপাতের চায়ের স্টল বা বাড়ির ছাদে ফুটবলের আকৃতির জলের ট্যাঙ্ক ইত্যাদি তো রাজ্যের অনেক গাঁ গঞ্জেও এখন দেখা যায়। কোন গ্রামের যুবকের তৈরি অভিনব সাইকেল, বাইক ইত্যাদিও মাঝে মাঝে সংবাদের শিরোনামে উঠে আসে। এবার সামনে এলো একেবারে হেলিকপ্টারের মতো দেখতে টোটো (Toto)। “চাকদা এক্সপ্রেস” ক্রিকেটার ঝুলন গোস্বামীর নিজের শহরে হেলিকপ্টার টোটো এখন এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। নদিয়ার চাকদহের এক যুবক গৌতম মালাকার এমন অদ্ভুত টোটো (Toto) বানিয়ে নজর কাড়লেন।

    কেন এই অভিনব ভাবনা?

    গৌতম পেশায় মেকানিক। চাকদহ চৌরাস্তার কাছে সাইকেল, টোটো ইত্যাদি বিক্রি ও সারাইয়ের দোকান আছে তাঁর। দোকানে অন্য কর্মচারী থাকলেও মেরামতির মূল কাজটা নিজের হাতেই করেন। কারিগরী বুদ্ধি দিয়ে নিজের হাতে নতুন কিছু একটা তৈরি করার ব্যাপারটা তাড়া করে বেড়ায় গৌতমকে। সেই ভাবনা থেকেই একদম হেলিকপ্টারের মতো দেখতে একটা টোটো (Toto) বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। রাস্তায় চলা হেলিকপ্টার তৈরির কাজ শেষ হওয়ার আগে থেকেই তার দোকানে ভিড় করছিলেন স্থানীয় লোকজন। এরপর সেই টোটোতে (Toto) কোন আরোহী আগে চাপবেন সেই আবদারও শুরু হয়ে গিয়েছিল। পরীক্ষামূলকভাবে এই অদ্ভুত দর্শন টোটো (Toto) পথে নামাতে গিয়ে যাত্রী পিছু দশ টাকা করে নিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু, বাস রাস্তায় বা শহরের অলি গলিতে হেলিকপ্টারের মতো দেখতে টোটো (Toto) চলছে দেখে তাতে চড়া এবং সেলফি তোলার হিড়িক পড়ে যায়। পথে থাকা সাধারণ টোটো (Toto) ছেড়ে এই টোটোতে ওঠার আবদার বাড়তে থাকে। কিন্তু, এই টোটো (Toto) নিয়মিত পথে নামলে বন্ধু টোটো চালকদের ভাড়া কমে যাবে বলে মন কাঁদলো হেলিকপ্টার টোটোর (Toto) নির্মাতা গৌতমের। তাই মত বদলালেন তিনি। গৌতমবাবু বলেন, সব সময় নতুন কিছু করতে মন চাইত। নিজের বুদ্ধি দিয়ে এটা তৈরি করে ফেললাম। এই অল্প সময়ের মধ্যে এত জনপ্রিয় হয়ে যাবে তা ভাবতে পারিনি। তাই, অন্য টোটো (Toto) চালকদের ব্যবসার ক্ষতি হোক তা আমি চাই না। তাই, ঠিক করেছি, বিয়ে, অন্নপ্রাশন, জন্মদিনের মতো অনুষ্ঠান বাড়িতে এই টোটো (Toto) ভাড়া দেব।

    হেলিকপ্টার টোটোর মধ্যে কী কী আছে?

    ভিতরে চারটে আসন। গদি আঁটা। লাইট অ্যান্ড সাউন্ডে ভিতরের পরিবেশ সাজাচ্ছেন এখনও। চালকের আসন, স্টিয়ারিং, বাইরের দিকের  জানালা, হেলিকপ্টারে ওঠার ধাপ, কিংবা বাইরের ছাদে ফ্যান ইত্যাদি হেলিকপ্টারের আদলেই জোড়া হয়েছে। দু লক্ষ টাকার বেশি খরচ হয়ে গিয়েছে বলে দাবি টোটোর (Toto) মালিকের। আসল হেলিকপ্টারে নিজে চড়ার সুযোগ পাননি গৌতম। তাতে কী ! নিজের সখ কিছুটা তো মিটলো। এখন অনেকের মুখে সেই দুধের স্বাদ ঘোলে মিটিয়ে দিতে চান তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share