Tag: Nadia

Nadia

  • Nadia: কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে একাধিক ব্যালট ইউনিটে সই নেই এজেন্টদের, বদল হয়েছে ইভিএম! বিস্ফোরক বিজেপি

    Nadia: কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে একাধিক ব্যালট ইউনিটে সই নেই এজেন্টদের, বদল হয়েছে ইভিএম! বিস্ফোরক বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের গণনা কেন্দ্রে কারচুপি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র রাজর্ষি লাহিড়ী। কৃষ্ণনগরে (Nadia) লোকসভা ভোটের গণনা কেন্দ্রে ব্যালট ইউনিটে সই নেই বলে অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি। মিলছে না পোলিং এজেন্টদের সইও। ভোটদানের পর গণনার আগে ব্যালটগুলিকে বদলে দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গণনা বন্ধ করে দিয়েছে বিজেপির এজেন্টরা। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    ব্যালট বদলে দেওয়া হয়েছে (Nadia)

    নদিয়ার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের গণনা চলছে কৃষ্ণনগর বিপিসি কলেজে। সেখানেই গণনা চলতে চলতে বিজেপির অভিযোগ, পলাশীপাড়া বিধানসভার একাধিক ব্যালট ইউনিটে এজেন্টের সই নেই। আবার সই থাকলেও এজেন্টের সঠিক স্বাক্ষরের সঙ্গে সেই স্বাক্ষর মিলছে না। বিজেপির দাবি এই ব্যালট, ইভিএমগুলি পরিবর্তন করা হয়েছে। সবটাই তৃণমূল, রাজ্য সরকারের আমলাদের ব্যবহার করে করা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ পুরুলিয়া গণনা কেন্দ্রে ঘোরফেরা করছে আই প্যাকের টিম! বিস্ফোরক জ্যোতির্ময়

    কী অভিযোগ বিজেপি নেতার?

    বিজেপি নেতা রাজর্ষি লাহিড়ী বলেছেন, “পলাশীপাড়ার (Nadia) ভোট গণনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কন্ট্রোল ইউনিটে সই থাকলেও ব্যালট ইউনিটে সই নেই। বেশির ভাগ মেশিনে ৯৩ শতাংশ চার্জ রয়েছে। আবার একাধিক ব্যালট ইউনিটের সই, এজেন্টের সই-এর সঙ্গে মিলছে না। ব্যালট ইউনিটে দুর্নীতি হয়েছে। প্রিসাইডিং অফিসার এই রকম ভুল করতে পারেন না। সব জায়গায় ৮০০ থেকে সাড়ে ৮০০ ভোট হয়েছে। কন্ট্রোল ইউনিটে সই আছে আর ব্যালটে সই থাকবে না এমনটা হতে পারে না। গতবারের বিধানসভা নির্বাচনে এমন হয়েছিল। ইভিএম বদল করে দেওয়া হয়েছিল। ফলাফলের পর তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ইভিএম। তাই এই বারের লোকসভায় আর কারচুপি মানব না। জেলা শাসককে কেন্দ্রে আসার দাবি জানাই। প্রয়োজনে আবার নির্বাচন করাতে হবে। সেনাবাহিনী নামিয়ে ভোট আরেকবার ভোট করাতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: “স্বামীকে বেধড়ক মারল তৃণমূল, মাথা ফাটিয়ে দিল আমার,” মুখ খুললেন বিজেপি কর্মীর স্ত্রী

    Nadia: “স্বামীকে বেধড়ক মারল তৃণমূল, মাথা ফাটিয়ে দিল আমার,” মুখ খুললেন বিজেপি কর্মীর স্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। শনিবার রাতে নদিয়ার (Nadia) কালীগঞ্জের চাঁদঘর এলাকায় বিজেপি কর্মীকে খুন করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল নদিয়ার কৃষ্ণনগরের বারুইহুদা এলাকায়। আক্রান্ত দুই মহিলা-সহ তিন জন। বিজেপি করার ‘অপরাধে’ রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হতে রাজনৈতিক  মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার বারুইহুদা মনীন্দ্রপল্লি এলাকার বাসিন্দা মলয় বিশ্বাস নামে এক বিজেপির সক্রিয় কর্মীর ওপর ভোটের আগে থেকেই তৃণমূল কর্মীদের রাগ ছিল। কারণ, বিজেপি না করার জন্য বলার পরও ভোটে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। রবিবার সন্ধ্যায় কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে ওই বিজেপি কর্মীকে মাঝ রাস্তায় একদল দুষ্কৃতী তাঁর ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁর স্ত্রীকেও। মারের চোটে বিজেপি কর্মীর স্ত্রীর মাথা ফেটে যায়। আরও একজন জখন হন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে বিজেপি কর্মীর স্ত্রী বলেন, আচমকা আমার স্বামীর ওপর হামলা চালায় তৃণমূল কর্মীরা। বাধা দিতে গেলে আমাকেও মারধর করে তারা। ওরা মেরে আমার মাথা ফাটিয়ে দেয়। এক প্রতিবেশী যুবতী বলেন, যেহেতু মলয় বিশ্বাস বিজেপির সক্রিয় কর্মী, সেই কারণে তৃণমূলের লোকজন হামলা চালায়।  

    আরও পড়ুন: ফল প্রকাশের আগেই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বালুরঘাটে কড়া হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    বিজেপি প্রার্থীর কী বক্তব্য?

    জখম বিজেপি কর্মীদের দেখতে যান কৃষ্ণনগর (Nadia) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়। তিনি বলেন, তৃণমূল বুঝতে পেরেছে, এবারের লোকসভা নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত। তাই,  কাউন্টিং সেন্টারে যাতে আমাদের এজেন্টরা ঢুকতে ভয় পান, তারজন্য এসব সন্ত্রাস তৈরি করছে। এইভাবে বিজেপিকে আটকানো যাবে না। আমি সম্পূর্ণ বিষয়টি লিখিত আকারে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার আইসিকে জানিয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP worker Murder: পরপর দুটি গুলি, আর তার পরেই মাথা কেটে বিজেপি কর্মীকে নৃশংসভাবে খুন!

    BJP worker Murder: পরপর দুটি গুলি, আর তার পরেই মাথা কেটে বিজেপি কর্মীকে নৃশংসভাবে খুন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে সবে শেষ হয়েছে সাত দফার ভোট। আর শেষ দফার ভোট মিটতে না মিটতেই নদিয়ায় (Nadia) খুন (BJP worker Murder) হল বিজেপি কর্মী। মৃত বিজেপি কর্মী হাফিজুল শেখ (৩৫) কালীগঞ্জের চাঁদপুরের বাসিন্দা। শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ির কাছেই তাঁকে খুন করা হয়। দুষ্কৃতীরা পরপর দুটি গুলি করে খুন করার পর হাফিজুলের মাথা নৃশংসভাবে কেটে নিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ।

    সিবিআই তদন্তের দাবি

    জানা গিয়েছে সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের আগে হাফিজুলের নেতৃত্বে এলাকায় সংখ্যালঘুরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনেও ওই এলাকায় বিজেপি বেশ ভালো ভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল আর তার পরিণাম হিসেবেই হাফিজুল কে খুন (BJP worker Murder) করা হয়েছে বলে দাবি বিজেপির। খুনের পর পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে অনেক রাত পর্যন্ত দেহ আটকে রাখেন নিহতের আত্মীয়-পরিজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে পুলিশ সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অনেক রাত পর্যন্ত পুলিশের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। ইতিমধ্যেই মৃত হাফিজুলের পরিবারের পক্ষ থেকে সিবিআই তদন্তর দাবি করা হয়েছে। একই সাথে ঘটনায় জড়িত প্রায় ১০ থেকে ১১ জনের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দাবি করা হয়েছে।

    মৃতের পরিবারের অভিযোগ (BJP worker Murder)

    এ বিষয়ে মৃত হাফিজুল শেখের দাদা জয়েন উদ্দিন মোল্লা বলেন, “এর আগে আমরা সকলেই সিপিআইএম করতাম। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের পর আমরা বিজেপিতে যোগদান করি। আর সেই কারণেই আমার ভাইকে খুন করল দুষ্কৃতীরা।” তিনি বলেন, “আমার ভাই ক্যারাম খেলছিল। সকলের সামনেই দুষ্কৃতারা এসে আমার ভাইকে পরপর দুই রাউন্ড গুলি করে। পরবর্তীকালে মাথা কেটে নিয়ে চলে যায়। শুধু সেখানেই থেমে থাকেনি দুষ্কৃতীরা, এরপরে বোমাবাজি করে তারা।” এই ঘটনার পরে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান তিনিও। 

    আরও পড়ুন: অসমে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বানের জলে ভাসল কেরলও, মৃত্যু

    ঘটনার তীব্র নিন্দা বিজেপির

    অন্যদিকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে নদীয়া (Nadia) উত্তরের বিজেপির জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, “এই এলাকায় হাফিজুল শেখ এবং তার দাদার নেতৃত্বে বিজেপির শক্তি অনেকটাই বেড়েছিল। সেই কারণেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হাফিজুল শেখ কে খুন (BJP worker Murder) করেছে। আর এই ঘটনায় রয়েছে পুলিশের মদত। আমরা অবিলম্বে যারা দোষী তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।” না হলে আগামী দিনে বড়সড়ো আন্দোলনে নামবো বলে জানান তিনি। ফলে বিজেপি কর্মীর এই খুনের ঘটনায় অভিযোগের তির রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে বলেই জানিয়েছেন অর্জুন বিশ্বাস। তবে পুলিশের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। প্রাথমিক তদন্তের পরে তাদের ধারণা ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই এই হামলা হয়েছে। তবে বর্তমানে আততায়ীদের ধরার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন অমৃতা রায়

    ঘটনার খবর পেয়ে মৃত বিজেপি কর্মী হাফিজুল শেখের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়। এই খুনের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “হাফিজুল দুই মাস আগে বিজেপিতে যোগদান করেছে এটুকু শুনেছিলাম। কিন্তু তার যে এই পরিণতি হবে তা বুঝতে পারিনি। আমি শুনেছি পুলিশ আগের দিন রাতে এসে সব দোকান বন্ধ রাখতে বলেছে। শুধুমাত্র একটা দোকান খোলা রাখতে বলেছে। এখান থেকেই বোঝা যাচ্ছে সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে এই খুন করা হয়েছে। আমি উচ্চ নেতৃত্বকে বিষয়টি সম্পূর্ণ জানাবো।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CAA: নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়ে প্রতিবেশীদের মিষ্টি বিলি করলেন শান্তিপুরের শ্রীকৃষ্ণ সরকার

    CAA: নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়ে প্রতিবেশীদের মিষ্টি বিলি করলেন শান্তিপুরের শ্রীকৃষ্ণ সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদিজির ভাষণ শুনে ভরসা করে কিছুদিন আগে সিএএ (CAA) পোর্টালে আবেদন করেছিলেন নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের আরবান্দি দু’নম্বর পঞ্চায়েতের আরপাড়া গ্রামের শ্রীকৃষ্ণ সরকার।  নাগরিকত্বের শংসাপত্র তিনি হাতে পেয়েছেন। আর শংসাপত্র হাতে পেয়ে তিনি বেজায় খুশি। নিজে হাতে মিষ্টি বিলি করলেন প্রতিবেশীদের।

    এলাকায় মিষ্টি বিলি করলেন সরকার পরিবার (CAA)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীকৃষ্ণবাবুর বয়স বর্তমানে ষাটের  কাছাকাছি। প্রায় ৫০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে মায়ের হাত ধরে দুই ভাই এবং এক বোনকে নিয়ে শ্রীকৃষ্ণবাবু ভারতে এসেছিলেন। মুসলিমদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তাঁরা বাংলাদেশ ছেড়ে চলে আসতে বাধ্য হন। শান্তিপুরে বাড়ি এবং চাষবাসের জন্য কিছুটা জমি কিনে তাঁরা বসবাস করতে শুরু করেন। পরে, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড, আধার কার্ড সব পরিচয়পত্র হয় তাঁদের। সম্প্রতি নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর তাঁরা যথেষ্ট দুশ্চিন্তায় ছিলেন।  ভরসা রেখেছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর। অনলাইন পোর্টালে আবেদনের মাত্র এক মাসের মধ্যেই হাতে পেয়ে গেলেন নাগরিকত্বের শংসাপত্র। শংসাপত্র (CAA) হাতে পেয়ে সরকার পরিবারের পক্ষ থেকে একই এলাকায় বাড়ি প্রাক্তন সাংসদ এবং বর্তমান রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার সহ আরএসএস এবং বিজেপি কর্মকর্তা সহ সকল নাগরিকদের মিষ্টি বিলি করা হয়।

    মোদি সরকারের জন্য মাথা উঁচু করে এবার বাঁচব

    শ্রীকৃষ্ণবাবু বলেন, নিজে আবেদন করে দেখে নিলাম কোনও আইনি সমস্যা বা দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতি আছে কিনা। ১৭ মে আবেদন করেছিলাম। এত অল্প সময়ের মধ্যে আমি শংসাপত্র (CAA) হাতে পাব তা আশা করিনি। এটা অত্যন্ত সহজ এবং আইনি কোনও জটিলতা নেই। সকলকে আইন অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারকে সহযোগিতা করার পরামর্শ দেব। কারণ, এই মোদি সরকার কখনও তার নাগরিকদের সমস্যায় ফেলবে না। তবে, যে দেশে বাস করব সেই দেশের অনুমতি সহ থাকাই নিরাপদ। মোদি সরকারের জন্য এই দেশে মাথা উঁচু করে এবার বাঁচব।

    বিজেপি প্রার্থী কী বললেন?

    বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন,  আফগানিস্তান পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা নাগরিকদের খুব সহজ পদ্ধতিতে কেন্দ্রীয় সরকার এই নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু করেছে। যা অতীতে কোনও রাজনৈতিক দল করতে পারেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: বিজেপি করার অপরাধ! নদিয়ায় রক্ত ঝরল বিজেপি কর্মীর

    Nadia: বিজেপি করার অপরাধ! নদিয়ায় রক্ত ঝরল বিজেপি কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি করার অপরাধে এক কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরে। হামলার জেরে গুরুতর জখম অবস্থায় ওই বিজেপি কর্মীকে কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে কৃষ্ণনগরে (Nadia) বিজেপির জেলা কার্যালয়ে একটি বৈঠক ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বজিৎ মাঝি নামে আক্রান্ত ওই বিজেপি কর্মী। তাঁর বাড়ি কোতোয়ালি থানার বেলেডাঙার বিনয়পল্লি এলাকায়। দলীয় বৈঠক শেষ করে ওই বিজেপি কর্মী যখন বাড়ি যাচ্ছিলেন, তখন কৃষ্ণনগর স্টেশন সংলগ্ন গরুরহাটের কাছে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়। স্থানীয় ভাতজাংলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭৭নম্বর বুথের তৃণমূলের সদস্য সুবোধ দাস এবং তাঁর দলবল বিশ্বজিৎ মাঝিকে লোহার রড, লাঠি, বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। লোহার রড দিয়ে মেরে নাক ফাটিয়ে দেয়। পরে, হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে জখম দলীয় কর্মীকে হাসপাতালে দেখতে চান কৃষ্ণনগর উত্তর বিজেপির জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস।

    আরও পড়ুন: ফের ইডির জেরার মুখে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা, এবার তলব রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    কৃষ্ণনগর (Nadia) উত্তর বিজেপির জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, শুধুমাত্র বিজেপি করার জন্যই এই ঘটনা। তবে, যেভাবে বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হয়েছে তা খুবই দুঃখজনক। এর পিছনে রয়েছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য এবং তাঁর দলবল। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হবে এবং অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার দ্রুত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। নাহলে বিজেপি বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে। কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ও জখম দলীয় কর্মীকে দেখতে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে যান। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার তিনি আর্জি জানান। যদিও বিজেপির তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, নিজেদের মধ্যে কোন্দলে এই ঘটনা ঘটেছে। এর পিছনে তৃণমূলের কোনও হাত নেই।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CAA: “নাগরিকত্বের কাগজ হাতে পেয়ে খুব ভালো লাগছে, মাথা উঁচু করে বাঁচব”, বললেন নদিয়ার বিকাশ

    CAA: “নাগরিকত্বের কাগজ হাতে পেয়ে খুব ভালো লাগছে, মাথা উঁচু করে বাঁচব”, বললেন নদিয়ার বিকাশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেলেন বিকাশ মণ্ডল নামে নদিয়ার এক যুবক। লোকসভা ভোটের আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিল পাশ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। আর তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করেছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্য সভায় বাংলায় সিএএ (CAA) হতে দেব না বলে বার বার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। সব কিছুকে ফুৎকারে উড়়িয়ে দিয়ে অবশেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে নির্দেশ মতো বুধবার থেকেই বাংলায় সিএএ চালু হয়ে গেল। রাজ্যের ৮ জন নাগরিকত্বের শংসাপত্র হাতে পেয়েছেন।

    মোদিজিকে কুর্ণিশ জানান মণ্ডল পরিবার (CAA)

    বেশ কিছুদিন আগে নদিয়ার বিকাশ মণ্ডল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। বুধবারই নাগরিকত্বের শংসাপত্র তিনি হাতে পেয়েছেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে বাংলাদেশের ঝিনাইদহ থেকে নদিয়া কৃষ্ণনগরের ভীমপুর আশাননগর এলাকায় পরিবার নিয়ে চলে আসেন বিকাশবাবু। এরপরে যখন নাগরিকত্ব আইন পাস হল তারপর থেকেই তিনি চেষ্টায় ছিলেন এ দেশের নাগরিকত্বের শংসাপত্র পাওয়ার জন্য। এরপর তিনি এপ্রিল মাসে অনলাইনে আবেদন করেন। ২৭ মে তাঁকে ভেরিফিকেশনের জন্য কৃষ্ণনগর পোস্টাল সুপারিনটেনডেন্ট অফিসে তাঁকে ডাকা হয়। এরপর তিনি সমস্ত কাগজপত্র জমা করার পর বৃহস্পতিবার নাগরিকত্বের শংসাপত্র হাতে পান। মোদিজিকে কুর্ণিশ জানান মণ্ডল পরিবারের সদস্যরা।

    রাতের অন্ধকারে পরিবার নিয়ে চোরা পথে ভারতে চলে আসি

    এই বিষয়ে বিকাশ মণ্ডল বলেন, বাংলাদেশে সাইবার ক্যাফে ছিল আমার। সেখানে হিন্দুদের কোনও গুরুত্ব নেই। ওরা অত্যাচার করত। অল্প জমি ছিল। জলের দরে জমি বিক্রি করি দিই। মুসলিমদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে রাতের অন্ধকারে পরিবার নিয়ে কাঁটাতার পেরিয়ে চোরা পথে আমরা এই দেশে চলে আসি। নাগরিকত্ব কাগজ হাতে পেয়ে খুব ভালো লাগছে। মাথা উঁচু করে বাঁচব। আর এটুকু বলতে পারি, সিএএ (CAA) নিয়ে ভয়ের কিছু নেই, আবেদন করলে সবাই নাগরিকত্ব পাবে। আর কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের ভারতবর্ষে থাকার সুযোগ করে দিয়েছে। তাই, মোদিজিকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

    হিন্দু মেয়েরা মন খুলে ঘুরতে পারে না, বসবাস করা যায় না বাংলাদেশে

    বিকাশবাবুর স্ত্রী সাথী বিশ্বাস বলেন, বাংলাদেশ মুসলিমরা হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করে। সেখানে হিন্দু মেয়েরা মন খুলে ঘুরতে পারে না, সেখানে বসবাস করা যায় না। বাইরে বের হলে অভিভাবকদের সঙ্গে যেতে হত। সবসময় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতাম। আর অত্যাচার তো ছিলই। সেই অত্যাচার থেকে বাঁচতেই ২০১২ সালে সপরিবারে আমরা নদিয়ায় চলে আসি। এই দেশে আসার পর নাগরিকত্ব পাওয়া নিয়ে অধীর আগ্রহে ছিলাম। অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকারের পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করে সার্টিফিকেট পেয়ে খুশি আমরা। মোদিজির প্রতি ভরসা আরও কয়েকগুণ বেড়ে গেল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Santipur: লোহার রড, শাবল দিয়ে বেধড়ক মার বিজেপির প্রধানকে, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Santipur: লোহার রড, শাবল দিয়ে বেধড়ক মার বিজেপির প্রধানকে, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাটি কাটার প্রতিবাদ করতে গিয়ে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হলেন বিজেপির প্রধান। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরের (Santipur) গয়েশপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য এবং তাঁর ভাই। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Santipur)

     শান্তিপুর (Santipur) থানার গয়েশপুর পঞ্চায়েতের গঙ্গা সংলগ্ন বহু কৃষকের জমি ভাঙনে চলে গেছে নদীগর্ভে। এখন গঙ্গার ধারে চাষের যে জমি রয়েছে, শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য আনোয়ার হোসেন মণ্ডলের নেতৃত্বে সেই সব কৃষকের জমি থেকে রাতের অন্ধকারে মাটি কেটে নেওয়া হয়। এমনই অভিযোগ গয়েশপুর এলাকাবাসীর। আনোয়ার হোসেন এলাকার ইটভাটার মালিক। শাসক দলের নেতা হওয়ায় কেউ কিছু বলতে পারে না। দিনের পর দিন তাঁর লোকজন মাটি কেটে নিয়ে যায়।  শুক্রবার রাতে তৃণমূল নেতা আনোয়ার হোসেনের ভাই অলি হোসেন মণ্ডল মাটি কাটছে জেনে এলাকাবাসী প্রথমে শান্তিপুর থানায় ফোন করে জানায়। একটি পুলিশ গাড়ি তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার পর বন্ধ থাকে মাটিকাটা।  এরপর পুলিশের গাড়ি চলে যাওয়ার পর আবারও মাটি কাটা হচ্ছে কিনা তা দেখতে এলাকাবাসীর  পক্ষ থেকে বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা সহ গয়েশপুর পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল মণ্ডল সেখানে যান। বিজেপির প্রধানের ওপর হামলা চালানো হয়। লোহার রড, শাবল দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। বাইক ভাঙচুর করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রধান সহ কয়েকজন এলাকাবাসীকে উদ্ধার করে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গিয়েছে,  বিজেপির প্রধান শ্যামল মণ্ডলের হাত ভেঙে যায় ও মাথায় গুরুত্ব আঘাত লাগে।

    আরও পড়ুন: প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে ‘রেমাল’, শুরু বৃষ্টি, ভয়ঙ্কর দুর্যোগের পূর্বাভাস

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    এলাকাবাসীর বক্তব্য, তৃণমূল নেতার মদতে প্রতিদিন রাতে এভাবেই অবৈধভাবে কৃষকদের জমির মাটি চুরি করা হয়। এমন কী ভয় দেখানোর জন্য অস্ত্রশস্ত্র মজুত রাখে ভাটায়। এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে, সম্পূর্ণ ঘটনা ঘটনার কথা অস্বীকার করেন অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন মণ্ডলের ভাই সানোয়ার হোসেন মণ্ডল। তিনি বলেন, রাতের অন্ধকারে হঠাৎ এই প্রধান কয়েকজন দুষ্কৃতীকে সঙ্গে নিয়ে ভাটায় থাকা বিভিন্ন শ্রমিক এবং ড্রাইভারদের বেধড়ক মারধর করে। শ্রমিকরা প্রতিবাদ করেছে। কোনও হামলা চালানো হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: নদিয়ায় হরিনাম বন্ধে ফতোয়া বাংলাদেশের! বিএসএফের উদ্যোগে হচ্ছে নাম সংকীর্তন

    Nadia: নদিয়ায় হরিনাম বন্ধে ফতোয়া বাংলাদেশের! বিএসএফের উদ্যোগে হচ্ছে নাম সংকীর্তন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার ঘটনা নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। কার্তিক মহারাজকে নিয়ে মমতার বক্তব্যের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন সাধুসন্তরা। এই আবহের মধ্যে এবার চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মভূমি নদিয়ায় (Nadia) হরিনাম সংকীর্তন বন্ধ করার ফতোয়া দিল বাংলাদেশ। যা সামনে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরে, বিএসএফের উদ্যোগে হচ্ছে নাম-সংকীর্তন অনুষ্ঠান।

    হরিনাম বন্ধে ফতোয়া দিল বিজিবি! (Nadia)

    নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জের সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম বিজয়পুর। এই গ্রাম থেকে বাংলাদেশ অনেকটাই কাছে। গত ৩৫ বছর ধরে সেখান গ্রামবাসীদের উদ্যোগে অষ্টম প্রহর নাম সংকীর্তনের অনুষ্ঠান হয়ে আসছে। বাংলাদেশের নিরাপত্তার রক্ষা বাহিনী (বিজিবি) এই সীমান্ত লাগোয়া বিজয়পুর গ্রামে নাম সংকীর্তন বন্ধ করার  ফতোয়া জারি করে বলে অভিযোগ। যার জেরে অনুষ্ঠান হওয়া একরকম অনিশ্চিত হয়ে প়ড়েছিল। যে নাম সংকীর্তনের অনুষ্ঠান শুধুমাত্র একটা অনুষ্ঠান নয়, স্থানীয় মানুষদের জন্য আবেগ এবং ঐতিহ্যের মেলবন্ধনের আরেক নাম। বিজিবি-র ফতোয়ার কারণে অনুষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। স্থানীয় গ্রামবাসীরা বিএসএফের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে, বিএসএফের হস্তক্ষেপে ফের গ্রামবাসীরা নাম সংকীর্তন অনুষ্ঠান করছেন বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু-হিরণ, কোলাঘাটকাণ্ডের কথা জানানো হল শাহকেও

    ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা কী বললেন?

    বাংলাদেশের এই ফতোয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ গ্রামের (Nadia) বাসিন্দারা। তাঁরা বলেন, আমরা ভারতবর্ষে বসবাস করি। আমাদের নিজের দেশের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নিরাপত্তা রক্ষীরা কীভাবে ফতোয়া দিতে পারে তা আমরা বুঝতে পারছি না। শেষ পর্যন্ত বিএসএফের হস্তক্ষেপে বাংলাদেশের বিজিবির হুঁশিয়ারিকে উপেক্ষা করে আবারও শুরু হল বিজয়পুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে নাম সংকীর্তনের অনুষ্ঠান। এ বিষয়ে আমরা বিএসএফের কাছে কৃতজ্ঞ। বিএসএফের আধিকারিকরা যদি হস্তক্ষেপ না করত, তাহলে আমরা এই অনুষ্ঠান করতে পারতাম না। গ্রামের এক মহিলা বলেন, আমরা ভারতের নাগরিক, কাঁটাতারের জিরো পয়েন্টে বসবাস করি। বিএসএফদের কারণে আমরা সুষ্ঠুভাবে জীবন যাপন করি। কোনও ভয় ভীতি নেই। আর পাঁচটা গ্রামের মতোই আনন্দ উৎসবের মুখর হয়ে থাকে এই গ্রাম। তবে, এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে শুধু বিজয়পুর গ্রামের মানুষ নয় আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ এই অনুষ্ঠানে সামিল হন। আর সেটাকেই বন্ধ করার লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশিদের। সেটা বিএসএফের কারণে তারা করতে পারেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: নদিয়ায় বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দাপাদাপি তৃণমূ্লের দুষ্কৃতীদের!

    Nadia: নদিয়ায় বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দাপাদাপি তৃণমূ্লের দুষ্কৃতীদের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চতুর্থ দফা ভোটে নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর, কৃষ্ণনগরে কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। বহু বুথে বিজেপি সহ বিজেপি এজেন্টদের বসতে না দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা করার অভিযোগও উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। সবমিলিয়ে ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে নদিয়া জেলায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

    বিজেপি কর্মীদের মার (Nadia)

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে,কৃষ্ণনগর (Nadia) লোকসভার অন্তর্গত কৃষ্ণনগর পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের ঘূর্ণিতে দুজন বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃনমূলের বিরুদ্ধে। পরবর্তীকালে পুলিশ এসে এক বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এরপরই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়। পরবর্তীকালে তিনি কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বলেন, তৃণমূল আমাদের কর্মীর ওপর হামলা চালিয়েছে। পুলিশ তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

    আরও পড়ুন: বিকেল ৫টায় খুন করা হবে বিজেপির কর্মীদের, তৃণমূল বিধায়কের হুমকির পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলীপেরও

    তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে

    চাপড়া (Nadia) বিধানসভার ২০০, ২০১ নম্বর বুথ বাঙালঝি, স্বামী বিবেকানন্দ হাইস্কুলে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মুখে গামছা বেঁধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। বিরোধী ভোটাররা যেন বুথ মুখী না হয়, তারজন্য আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভয় দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ। চাপড়া বিধানসভার সোনপুকুর দাস পাড়ায় বিরোধী ভোটারদের ভোট দিতে বাধা। ঘটনাটি ঘটেছে ৯ নম্বর ও ১০ নম্বর বুথে। এই ঘটনায় তৃণমূলে বিরুদ্ধে  অভিযোগ একাবাসী। এমনকী বিরোধীদের ভোটারদের মারধর করার অভিযোগ উঠছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। চাপড়া ব্লকের সোনপুকুর এলাকায় সিপিএম কর্মী সমর্থকদের ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠে। পরবর্তীতে খবর পেতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী এস এম সাদি, তারপর সিপিএম কর্মী -সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার জন্য নিজেই নিয়ে যান প্রার্থী। চাপড়া থানার হাতিশালা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০ নম্বর বুথে ভোট দিতে গেলে সিপিএম ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে।

    বিরোধী কর্মীদের মাথা ফাটানোর অভিযোগ

    কালীগঞ্জ (Nadia) থানার পালিতবেঘিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সিপিএম প্রধানের আত্মীয়র মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত ব্যক্তির নাম হাসমুত শেখ। অভিযোগ, চেয়ার টেবিল নিয়ে বসতে দিচ্ছে না শাসক দলের নেতা কর্মীরা। বসতে গেলে মারধর করছে। তৃণমূল ভোট লুটেরার দল, আমাদের এজেন্টের বসতে দিচ্ছে না। সোমবার চতুর্থ দফা লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাট কেন্দ্রের অন্তর্গত নবদ্বীপ বিধানসভার দুটি বুথে শুরু থেকে ইভিএম খারাপ থাকায় দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকে ভোট গ্রহণ। তেহট্ট বিধানসভার নারায়ণপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭ এবং ১৯ নম্বর বুথে বিরোধী দলের এজেন্টকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

     ভোট দিতে এসে সেলফি তোলার ধুম!

    ভোট দিতে এসে সেলফি তোলার ধুম! এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মনের ইচ্ছার কথা ভেবেই হয়তো জেলা প্রশাসনের মডেল বুথে করা হয়েছে সেলফি জোন। যদিও মডেল বুথ হিসাবে রয়েছে শিশুদের জন্য লজেন্স সর্বসাধারণের জন্য চা পানীয় জল অসুস্থদের জন্য ওয়ারেস এবং অন্যান্য প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা।  মহিলা ও শিশুদের বৃদ্ধদের বিশেষভাবে সক্ষমদের বসার জন্য রয়েছে অতিথি আসন। বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য রয়েছে হুইল চেয়ার। এভাবেই সুসজ্জিত করা হয়েছে নদীয়ার (Nadia) শান্তিপুর শহরের মিউনিসিপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২৫ নম্বর  বুথ।  যদিও পার্শ্ববর্তী ১২৪ এবং ১২৬ নম্বর বুথে একই পরিষেবা বজায় আছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mithun Chakraborty: “নদিয়ার সৌন্দর্য ফেরাতে রানিমাকে জেতাতে হবে,” রোড শো থেকে আর্জি জানালেন মিঠুন

    Mithun Chakraborty: “নদিয়ার সৌন্দর্য ফেরাতে রানিমাকে জেতাতে হবে,” রোড শো থেকে আর্জি জানালেন মিঠুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাখির চোখ কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র। তাই, বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের সমর্থনে ভোট প্রচার করতে একের পর এক হেভিওয়েট নেতারা আসছেন কৃষ্ণনগর লোকসভায়। বৃহস্পতিবার বলিউড সুপারস্টার তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী রানি মা অমৃতা রায়ের হয়ে কালীগঞ্জ বিধানসভার দেবগ্রাম মণ্ডল ২ এলাকায় রোড শো করলেন।

     মিঠুনের রোড শোয়ে জনজোয়ার (Mithun Chakraborty)

    এদিন এই রোড শো তে উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায় সহ একাধিক বিজেপি কর্মকর্তারা। তবে, মিঠুনকে (Mithun Chakraborty) একবার চোখের দেখা দেখতে সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। রোড শোয়ে সাধারণ মানুষের ভিড়় উপচে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দা পার্থ ঘোষ বলেন, “আমার বাড়ির সামনে দিয়ে মিঠুন গেলেন। তাঁকে এত কাছে থেকে দেখব তা ভাবতে পারিনি।” এর আগে, অমৃতা রায়ের সমর্থনে ইতিমধ্যে দু দুটি সভা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অপরদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একাধিক সভা করেছেন। কিছুদিন আগেই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রার্থীর সমর্থনে এসে রোড শো করে  প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন। অপরদিকে জমি ছাড়তে নারাজ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  দু -দুটি সভা করেছেন তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র সমর্থনে। তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড তথা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও ইতিমধ্যে সভা করে মানুষের কাছে ভোট ভিক্ষা করেছেন,কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর হয়ে।এতে করেই বোঝা যাচ্ছে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র পাখির চোখ করে এগোচ্ছে শাসক-বিরোধী দুই শিবির। এক চুলও জমি ছাড়তে নারাজ রাজ্যের প্রধান দুই প্রতিপক্ষ।

    আরও পড়ুন: শাহজাহান বাহিনীর হাতে খুন হন বাবা, ঘরছাড়া হয়েও উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৮৩ পেলেন প্রীতম

    নদিয়ার সৌন্দর্য ফেরাতে রানিমাকে জেতাতে হবে

    এদিন দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে এলাকায় চষে বেড়ান মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) । তিনি এদিন রোড শোয়ে খুব বেশি বক্তব্য রাখেননি। গাড়ি থেকে হাত নেড়ে সৌজন্য বিনিময় করেছেন সকলের সঙ্গে। মিঠুন এদিন শুধু বলেন, নদিয়ার সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে গেলে রানিমাকে জেতাতে হবে। সকলের কাছে তিনি এই আর্জি জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share