Tag: Naihati

Naihati

  • Couple: কোটি কোটি টাকা প্রতারণা, বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার নৈহাটির দম্পতি

    Couple: কোটি কোটি টাকা প্রতারণা, বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার নৈহাটির দম্পতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাউকে চড়া সুদের লোভ, কাউকে টাকা ডবল, কাউকে আবার কাজ পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছিল নৈহাটি অরবিন্দপল্লির এক দম্পতি (Couple)। টাকা হাতিয়ে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিল বিশ্বজিৎ মজুমদার ও সোমাশ্রী লাহিড়ী মজুমদার নামে ওই অভিযুক্ত দম্পত্তি। বেঙ্গালুরু থেকে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। আর প্রতারক দম্পত্তি গ্রেফতার হতেই টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় রয়েছেন প্রতারিতরা। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, কতজনের কাছে থেকে ওই দম্পতি টাকা হাতিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    মায়ের কাছেও লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছে ছেলে ও বউমা (Couple)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্বজিৎ ও তার স্ত্রী সোমাশ্রী বছরখানেক ধরেই অরবিন্দপল্লি সহ বিভিন্ন এলাকার ব্যক্তির কাছে চড়া সুদে ফেরত দেওয়ার লোভ দেখিয়ে টাকা তুলতে থাকে। প্রথমে অল্প পরিমাণ টাকা নিয়ে চড়া সুদে অনেককে তারা টাকা ফেরত দেয়। আর তাতে তারা মানুষের আস্থা অর্জন করে। অনেককে আবার বেসরকারি সংস্থায় কাজ পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখায়। কয়েক মাসের মধ্যেই সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করে ওই দম্পতি (Couple) বাজার থেকে মোটা অঙ্কের টাকা তুলতে থাকে। এক টোটো চালক চড়া সুদে টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় তাঁর ব্যাঙ্কে গচ্ছিত প্রায় ৮ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। তিনি কোনও টাকা ফেরত পাননি। এক মহিলার কাছে থেকে ১৫ লক্ষ টাকা তুলেছিল। এরকম নৈহাটি সহ আশপাশের এলাকায় প্রচুর মানুষের কাছে কোটি কোটি টাকা তারা তুলেছিল। এমনকী নিজের মায়ের কাছ থেকেও বিশ্বজিৎ মোটা টাকা হাতিয়ে নেয়। গত তিন মাস ধরে তারা ফেরার ছিল। সময়মতো টাকা ফেরত না পেয়ে প্রতারিতরা এর আগে তার বাড়ির সামনে বিক্ষোভও দেখিয়েছিল। বিশ্বজিৎয়ের মা শেফালী মজুমদার বলেন, আমাদের এলাকায় দেড় কোটি টাকা ছেলে আর বউমা তুলেছে। আশপাশের এলাকা থেকে চার-পাঁচ কোটি টাকা তুলেছে। আমার কাছে থেকেই সাড়ে আট লক্ষ টাকা ওরা হাতিয়েছে। ছেলে ও বউমার কঠোর শাস্তি চাই।

    প্রতারিতদের কী বক্তব্য?

    প্রতারিতদের বক্তব্য, আমাদের মতো বহু মানুষদের কাছ থেকে আর্থিক প্রলোভন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা তারা তুলেছিল ওই দম্পতি (Couple)। গত ২০ মে তারা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ গ্রেফতার করায় আমরা খুশি। আমাদের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুক পুলিশ। একই সঙ্গে আমাদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করুক।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Naihati: চড়া সুদের টোপ! দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে পালিয়ে গেল দম্পতি

    Naihati: চড়া সুদের টোপ! দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে পালিয়ে গেল দম্পতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেউ ৫০ হাজার টাকা, কেউ আবার এক লক্ষ টাকা বা তার বেশি জমা দিয়েছিলেন এক দম্পতির কাছে। এরকমভাবে সবমিলিয়ে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠেছে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বারাকপুর মহকুমার নৈহাটির (Naihati) অরবিন্দপল্লি এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই সোমাশ্রী লাহিড়ী মজুমদার ও বিশ্বজিৎ মজুমদার নামে এই দম্পতির বিরুদ্ধে  প্রতারিতরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    কাউকে চাকরি দেওয়ার নামে, কাউকে আবার কম টাকায় বেশি সুদের টোপ দিয়ে তারা সাধারণ মানুষের থেকে টাকা তুলতেন। টাকা জমা দেওয়ার পর কয়েক মাস চড়া সুদও দিতেন। ফলে, অনেকে বিশ্বাস করে তাদের কাছে টাকাও দিয়েছেন। কিন্তু, প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে না পারার কারণে এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। প্রতারিত হয়েছে বুঝতে পেরে এলাকার মানুষ রবিবার নৈহাটিতে (Naihati) ওই দম্পতির বাড়িতে চড়াও হন। ততক্ষণে বাড়িতে তালা মেরে তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। তাদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন প্রতারিতরা। কিন্তু, মোবাইল সুইচড অফ থাকায় তাদের নাগাল পাননি প্রতারিতরা। এরপরই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

    কী বললেন প্রতারিতরা?

    প্রতারিতদের বক্তব্য, অল্প টাকায় বেশি সুদের লোভ দেখিয়ে ওরা টাকা তুলত। সমস্ত টাকা দেওয়ার নথি আমাদের কাছে রয়েছে। রয়েছে কাগজপত্র। ফলে, সহজেই আমরা বিশ্বাস করে টাকা দিয়েছিলাম। সমস্ত নথি আমাদের কাছে রয়েছে। তবে, এভাবে আমরা প্রতারিত হব তা বুঝতে পারিনি। তনুশ্রী সরকার নামে এক প্রতারিত হওয়া এক মহিলা বলেন, ওই দম্পতি আমাকে বেসরকারি সংস্থা চাকরি করে দেবে বলে পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়েছিল। আমরা সকলেই নৈহাটি (Naihati) থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।

    কী বললেন তৃণমূলের চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য?

    নৈহাটি (Naihati) পুরসভার চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য সনত্ দে বলেন, এই শহরে বসে এভাবে গরিব মানুষদের টাকা নিয়ে কেউ পালাতে পারবে না। আমরা পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে সকলকে টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Naihati: সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়েও লাভ হল না, দুই বন্ধুই তলিয়ে গেল গঙ্গায়

    Naihati: সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়েও লাভ হল না, দুই বন্ধুই তলিয়ে গেল গঙ্গায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সঙ্গে দুই বন্ধু মিলে গঙ্গার ঘাটে স্নানে নেমেছিল। চোখের সামনে বন্ধুকে তলিয়ে যেতে দেখে অন্য বন্ধু তাকে সাহায্যের জন্য হাত বাড়ায়। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। দুজনেই গঙ্গায় তলিয়ে যায়। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে নৈহাটির (Naihati) লিচুবাগান এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    ঠিক কী হয়েছে?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিখোঁজ দুই যুবকের নাম শুভম দে ( ১৮) এবং সুজল সাউ ( ১৭)। শুভমের বাড়ি নৈহাটির (Naihati) মক্রেশ্বর ঘাট রোডে। সে এবছর নরেন্দ্র বিদ্যানিকেতন থেকে উচ্চ মাধ্যমিক দিয়েছে। নৈহাটির সঞ্জীব চ্যাটার্জি রোডের বাসিন্দা সুজল। সে মহেন্দ্র হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে তারা দুজনে খেলা করতে যাচ্ছি বলে বাড়ি থেকে বের হয়। ওরা মাঠে খেলাও করে। পরে, তারা বঙ্কিমঘাটে আসে। সেখানে দুজনেই একসঙ্গে স্নান করতে নামে। সুজল একটু বেশি জলে গিয়ে স্নান করছিল। আর শুভম ঘাটের সামনের দিকে ছিল। আচমকা সুজল তলিয়ে যেতে থাকে। সে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিত্কার করতে থাকে। চোখের সামনে বন্ধুকে তলিয়ে যেতে দেখে শুভম তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে যায়। দুজনেই গঙ্গায় তলিয়ে যায়। ঘাটের আশপাশে থাকা লোকজন ছুটে আসেন। অনেকেই সঙ্গে সঙ্গে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন। কিন্তু, অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাদের দুজনের হদিশ মেলেনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, একজন গঙ্গার অনেকটাই ভিতরে চলে গিয়েছিল। আর সে ফিরতে পারেনি। অন্যজন তাকে বাঁচাতে গিয়ে এই বিপত্তি হয়েছে।

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    ঘটনার পর পর খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন, পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা এবং নৈহাটি (Naihati) পুরসভার চেয়ারম্যান যান। গঙ্গায় ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি শুরু হয়। কিন্তু. তাদের আর হদিশ মেলেনি। পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, গঙ্গার ঘাট সংস্কার না হওয়ার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। গঙ্গায় ড্রেজিং করার প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি এই ঘাটের সংস্কার করার প্রয়োজন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Attack:  নৈহাটি পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যানের ছেলে গ্রেপ্তার, কেন জানেন?

    Attack: নৈহাটি পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যানের ছেলে গ্রেপ্তার, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বিজেপি নেতা সৌমেন সরকারের উপর হামল (Attack) চালানোর ঘটনায় নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে অভিজিত্ চট্টোপাধ্যায়কে পুলিশ গ্রেপ্তার করল। অভিজিতবাবু তৃণমূলের দাপুটে যুব নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের ঘনিষ্ঠ। শাসক দলের খোদ চেয়ারম্যানের ছেলের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। গ্রেপ্তার হওয়া প্রসঙ্গে অভিজিত্ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। তবে, কে বা কারা তাঁর সঙ্গে এই ষড়যন্ত্র করেছে  সেই বিষয়ে তিনি আর খোলসা করে কিছু বলেননি। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে দলের জেরবার অবস্থা। এরমধ্যেই চেয়ারম্যানের ছেলের গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী হয়েছিল? Attack

    বুধবার সন্ধ্যায় নৈহাটি নদীয়া জুট মিলের গেস্ট হাউসের সামনে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষকে (Attack)  কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। সামান্য মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলার পরিস্থিতি তৈরি হয়। দুটি গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। আর হামলার জেরে  বিজেপি নেতা সৌমেন সরকার ওরফে নাচু এবং তৃণমূলের যুব নেতা অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় জখম হন। সৌমেনবাবুর মাথায় গুরুতর চোট লাগে। তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুপক্ষই নৈহাটি থানায় একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। এই সৌমেনবাবুর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৩ শে মে তৃণমূল পার্টি অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ছিল। বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যানের ছেলে অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় দলবল নিয়ে এসে হামলা (Attack)  চালিয়েছে। আসলে এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই ওরা এসব করছে। সৌমেনবাবুর মাথায় এগারোটি সেলাই হয়েছে। আমরা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। অন্যদিকে, এই বিষয়ে নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমার ছেলে একটা নিমন্ত্রণ বাড়িতে যাচ্ছিল।  সেই সময় এই সৌমেন সরকার তাঁকে উদ্দেশ্য করে নানা ধরনের মন্তব্য করে। অভিজিত্ আপত্তি জানালে  তাঁকে লক্ষ্য করে সে বাঁশ  দিয়ে হামলা (Attack)  চালায়। দুপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। কয়েকজন জখম হয়েছে। ২০১৯ সালে এই নাচুই নৈহাটিতে পরিবেশ অশান্ত করেছিল। এদিন সে ফের অশান্তি করার চেষ্টা করছিল। তৃণমূলের ছেলেটা তা রুখে দিয়েছে। বুধবার ঘটনার পর পরই অভিজিত্ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে আমি বাইকে করে যাচ্ছিলাম। আমাকে দেখেই ও গালিগালাজ করতে থাকে। আমি বাইক থামিয়ে আপত্তি জানাই। এরপর ও আমার উপর হামলা করে। জানা গিয়েছে, বিজেপি নেতার উপর হামলা চালানোর অভিযোগে অভিজিত্ চট্টোপাধ্যায়সহ দুজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lover: বিয়েতে আপত্তি পরিবারের! প্রেমিকাকে নিয়ে গঙ্গায় মরণঝাঁপ প্রেমিকের, কোথায় জানেন?

    Lover: বিয়েতে আপত্তি পরিবারের! প্রেমিকাকে নিয়ে গঙ্গায় মরণঝাঁপ প্রেমিকের, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিয়েতে মত দেয়নি পরিবার। তাই প্রেমিকাকে (Lover) সঙ্গে নিয়ে গঙ্গায় মরণ ঝাঁপ দিল প্রেমিক। নৈহাটির জুবিলি ব্রিজে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রেমিকার নাম স্নেহা খাতুন (১৯) এবং প্রেমিক মহম্মদ মোক্তার। স্নেহাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। আর মোক্তারের হদিশ মেলেনি। যদিও পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ মোক্তারের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।

    কী করে দুজনের মধ্যে আলাপ হয়েছিল?

    চলতি বছরের শুরুতে ফেসবুকের মাধ্যমে দুজনের আলাপ। তারপর ফোন নম্বর আদান প্রদান হয়। জগদ্দলের বহড়াপাড়ায় বাড়ি স্নেহা খাতুনের। আর জগদ্দলের বাঁকাড় মোড়ে বাড়ি মহম্মদ মোক্তারের। প্রথমে বন্ধুত্ব। পরে, প্রেমের (Lover) সম্পর্ক গড়ে ওঠে দুজনের মধ্যে। স্নেহা মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করে। আর মোক্তার ইলেকট্রিকের কাজ করতেন। স্নেহার বাবার খুব বেশি রোজগার ছিল না। দুজনের সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারার পর পরই মোক্তারের পরিবারের লোকজন আপত্তি জানান। ফলে, মেয়ের বাড়ির লোকের মত থাকলেও তাঁরা পিছিয়ে আসেন। দুই পরিবারের নির্দেশে দুজনের মেলামেশা বন্ধ করে দেয়। এরপরই তাঁরা দুজনেই গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। স্নেহার এক বান্ধবী সাবিনা খাতুন বলেন, পরিবারের লোকজন মেলামেশা বন্ধ করে দেওয়ায় তারা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আমরা স্নেহাকে অনেকটাই বোঝাতে পেরেছিলাম বলে তাঁরা আত্মহত্যা সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসে। তবে, এবারও যে ওরা এরকম সিদ্ধান্ত নেবে তা ভাবতে পারিনি।

    জগদ্দল থেকে জুবিলি ব্রিজ কী করে গেল?

    পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফোনে যোগাযোগ করে প্রেমিক (Lover) যুগল জগদ্দল থেকে ট্রেনে চেপে নৈহাটি আসে। সেখান থেকে ব্যান্ডেল লোকাল ধরে হুগলিঘাট স্টেশনে নামে। এরপর লাইন ধরে তারা জুবিলি ব্রিজে আসে। সেখান থেকে মরন ঝাঁপ দেয়। লাফ দেওয়ার পর প্রেমিকা সোজা গঙ্গায় পড়লেও প্রেমিক ব্রিজে ধাক্কা খেয়ে নিচে পড়ে। এরপর মেয়েটি চুঁচুড়ার তেলেনিপাড়া গঙ্গাঘাট এলাকায় পৌঁছাই। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ওই মহিলাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্যে চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। এরপর পুলিশ দুজনের পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Naihati: নৈহাটি স্টেশনে উদ্ধার ৬০ লক্ষ টাকা, যুবক গ্রেফতার, সঙ্গে ছেঁড়া নোট কেন?

    Naihati: নৈহাটি স্টেশনে উদ্ধার ৬০ লক্ষ টাকা, যুবক গ্রেফতার, সঙ্গে ছেঁড়া নোট কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ফের মিলল বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা (Cash Recovery)। উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি (Naihati) রেল স্টেশনে এক যুবকের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ৬০ লক্ষ টাকা। তার সঙ্গে মিলেছে একটি ছেঁড়া ১০ টাকার নোট। ওই বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে যুবকটি কোথায় যাচ্ছিল, তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি সে।টাকার উৎস সন্ধানে ওই যুবককে জেরা করছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই যুবককে।

    সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুরে নৈহাটি (Naihati) রেল স্টেশনে রুটিন তল্লাশি চালাচ্ছিল জিআরপি থানার পুলিশ। ওই সময় আপ কল্যাণী লোকাল থেকে ব্যাগ হাতে নামে দেখা যায় এক যুবককে। ব্যাগে তল্লাশি চালাতেই সন্ধান মেলে রাশি রাশি টাকার। রেল পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। নিয়ে আসা হয় টাকা গোণার মেশিন। দেখা যায়, ওই যুবকের ব্যাগে রয়েছে ৬০ লক্ষ টাকা। ১০ টাকার একটি ছেঁড়া নোটও ছিল ওই যুবকের সঙ্গে। ওই যুবকের নাম অভিষেক সোনকর।বছর চব্বিশের অভিষেকের দাবি, তার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়ে। তবে বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে সে কোথায় যাচ্ছিল, তার কোনও যথাযথ উত্তর সে দিতে পারেনি। পুলিশের অনুমান, লেনদেনের সংকেতের জন্য ওই ছেঁড়া দশ টাকার নোট ব্যবহার করা হচ্ছিল। সম্ভবত, যাকে টাকা দেওয়ার কথা ছিল তার কাছে ওই ১০ টাকার নোটের বাকি অংশটি রয়েছে। এদিন রাতে জেরা করা হলেও ওই যুবক মুখ খোলেনি। সে সত্যিই টিটাগড়ের বাসিন্দা কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন : পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! এসএসসি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডি-র

    দিন কয়েক আগেও একবার বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছিল। হাওড়া (Howrah) স্টেশনের ওল্ড কমপ্লেক্সের চার ও পাঁচ নম্বর গেটের কাছে দুই যুবককে কালো ব্যাগ নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয় কর্তব্যরত আরপিএফ জওয়ানদের। ব্যাগ পরীক্ষা করতেই বেরিয়ে আসে নগদ ৩৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এরই কিছু দিন আগে হাওড়া স্টেশনেই রাজকুমার সোনি নামে এক ব্যক্তির ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৩৫ লক্ষ টাকা। তার আগে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। উদ্ধার হয়েছিল কোটি কোটি টাকা। তার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দিয়েও কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

LinkedIn
Share